স্যাটারডে নাইট
জেবতিক রাজিব হক
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে এসে শিক্ষার মতো উচ্চ বিষয়ে প্রথমেই মাথা না ঘামিয়ে শুরু করি রোজগার। আমার কামলা জীবন শুরু হয় নিউক্যাসলের শালিমার এশিয়ান কুইজিন নামের একটি বাংলাদেশী রেস্তোরায় ওয়েটার হিসেবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত কাজ। সপ্তাহ শেষে একশ চল্লিশ পাউন্ড ক্যাশ, থাকা খাওয়া ফৃ। আস্তে আস্তে কাজ শিখলে বেতন আরো বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি। খারাপ না।
সম্পুর্ন অপিরিচিত একটা শহরে আমি আর বন্ধু গৌরীশ। গৌরীশ কাজ করে সকাল সাতটা থেকে রাত বারোটা, উইকএন্ড ছাড়া কথাই হয় না। আমি সারা দিন একা একাই ঘুরাফিরা করি, টাউন সেন্টারে উইন্ডো-শপিং নয়তো সাগর পাড়ে গিয়ে বসে থাকি। আমার আশ্রয় থেকে সমুদ্র মাত্র পাঁচ মিনিটের হাটা পথ।
একদিন টাউনসেন্টারে দেখা হয় মাসুক ভাইয়ের সাথে। শান্ত নির্বিরোধী পয়ত্রিশোর্ধ মানুষ, ভীষন পরহেজগার, কাজ করেন লাগোয়া ইন্ডিয়া ব্রাসারি রেস্টুরেন্টে। দেখা হলেই সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেশ করেন।
এবার উনার সাথে দেখা হলো বেশ কয়েক দিন পর। দেশে গিয়েছিলেন। মাত্র ফিরলেন। দেশের কথা জানতে চাই।
‘চলো কোথাও বসি।’
আমরা একটা কফি শপে ঢুকলাম। দুজন দুকাপ কাপুচিনো নিয়ে একটা কর্ণার টেবিল দখল করি।
মাসুক ভাইয়ের হাতে বেশকিছু খেলনা। সাথে বাচ্চাদের কিছু কাপড়চোপড়।
-‘খেলনা কার জন্য মাসুক ভাই?’
-‘আমার মেয়েটার জন্য। আমাদের শেফ সালাম মিয়া দেশে যাচ্ছে। তার হাতে কিছু পাঠাবো।’
-‘মাত্রই তো আসলেন। যাবার সময় কিছু নিয়ে জাননি?’
-‘সেতো নিয়েইছিলাম। তাতে কি আর মন ভরে রে ভাই?’ মাসুক ভাই হাসেন, ‘সামর্থ্য থাকলে পুরা দোকানটাই পাঠিয়ে দেই দেশে।’
আমি তার কাছে অন্য খবর জানতে চাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন, সাধারন মানুষের মতামত এইসব। কিন্তু মাসুক ভাই এসবের ধারে কাছেও জাননা। দেশ বলতে তার কাছে মাত্র দুইজন মানুষ, হাসিনা-খালেদা নয়, স্ত্রী আর মেয়ে, তার পরিবার। আমার অখন্ড অবসর। কফির কাপে চুমুক দিয়ে দিয়ে একটি পরিবারের গল্প শুনি।
-‘জানতো রাজিব, গতবার গিয়ে বিয়ে করেছিলাম। মেয়ের জন্মের সময় থাকতে পারিনি। এবার গিয়ে মেয়ের মুখ দেখলাম। একটাই আফসোস, আমার আব্বা-আম্মা নাতনীর মুখ দেখে যেতে পারলেন না।’
-‘ভাবী আর পিচ্চিটাকে নিয়ে আসেন না কেন?’
-‘আনতেই তো চাই। কাগজপত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
কফি শেষ। মাসুক ভাই গিয়ে আরো দুকাপ নিয়ে আসেন। কথা চলতেই থাকে। কীভাবে না দেখা বাবাকে মেয়েটা চট করে চিনে নিলো, কীভাবে গুটি গুটি পায়ে সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখে, এই বয়সেই লক্ষী মেয়েটা কতোটুকু বুদ্ধি রাখে, বলতে বলতে মাসুক ভাইয়ের চোখ ভিজে উঠে। আর আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। পৃথিবীর সব পিতারা বুঝি এমনই।
এরপর প্রায় সপ্তাহ খানেক মাসুক ভাইয়ের সাথে দেখা হয়না। এক শনিবার কাজ শেষে যাই ইন্ডিয়া ব্রাসারিতে। প্রায় রাতেই কাজ শেষে সেখানে কলব্রীজ বা টুয়েন্টি-নাইনের আসর বসে। সকালে ঘুম থেকে উঠার ঝামেলা না থাকলে প্রায় ভোররাত পর্যন্ত চলা এই আসরে প্রায়ই যোগ দেই।
শুক্র-শনি এই দুইদিন ব্রাসারি বন্ধ হয় বেশ দেরীতে, রাত দুটোয়। কারন সপ্তাহের এই দুটো রাতেই সব রেষ্টুরেন্টের আসল ব্যবসা হয়। অনেক কাস্টমার, প্রচুর পাউন্ড। তখন বাজে প্রায় একটা। ঢুকেই দেখি মাসুক ভাই বারে দাঁড়িয়ে গ্লাস মোছছেন।
‘স্লামালাইকুম মাসুক ভাই। কি খবর?’
‘ওয়ালাইকুম-আসসালাম।’ আর কোন জবাব দেননা। অন্যদিনের মতো কোন ড্রিংকও অফার করেননা। মাথা নিচু করে গ্লাস মোছেন। বিষয় কি, বসের ঝাড়ি-টাড়ি খাইছেন নাকি? আমি আর কোন কথা না বাড়িয়ে ভিতরে পা চালাই।
সুমনের সাথে দেখা হয়। এটা সেটা নিয়ে কথা বলার পর জানতে চাই মাসুক ভাইয়ের কি হইছে?
-‘তুই জানিস না? মাসুক ভাইয়ের মেয়েটা মারা গেছে।’
-‘বলিস কি?’ আমি হতভম্ব। ‘কবে?’
-‘আজ সকালে।’
-‘আজকে! কীভাবে, কি হয়েছিল?’
-‘মাত্রতো হাটা শিখেছিলো। কীভাবে যেনো গরম পানির হাড়িতে পড়ে যায়। ওর মা যখন দেখতে পান, তখন সব শেষ।’
-‘মেয়েটা আজকেই মারা গেছে আর উনি কাজ করছেন?’
-‘কি করবে বল? বস বললেন আজ স্যাটারডে নাইট। যেভাবেই হোক কষ্ট করে চালাতে। অন্য কোনদিন হলে দেখা যেতো। শালা খাটাইশ।’
কিচেনে ঢুকে দেখা পাই বস রইস মিয়ার। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এদেশে আছেন। দু-দুটো চালু রেষ্টুরেন্ট ছাড়াও প্রায় দশটি বাড়ীর মালিক। অগাধ সম্পত্তি, কিন্তু এ বয়সেও প্রতিদিন রেষ্টুরেন্টে কামলা খাটা চাই। এতে একজন কামলার খরচ বাঁচে। তবে বস আমাকে বেশ স্নেহ করেন।
-‘কেমন আছো রাজিব?’
-‘জ্বি চাচা ভালো। আপনি কেমন আছেন?’
-‘ভালো আর থাকতে পারলাম কই? এই বয়সে নানান ঝামেলা। দেখো তো, আজ শনিবার রাত, তান্দুরিটা ঠিকমতো কাজ করছেনা।’ রইস চাচার গলায় স্পষ্ট বিরক্তি।
- ‘হুঁ। শুনলাম মাসুক ভাইয়ের মেয়েটা নাকি আজ দেশে মারা গেছে। তাঁকে আজ কাজে না আনলেও পারতেন।‘
-‘হ্যাঁ, খারাপই লাগছে ওর জন্য। কিন্তু কি করবো বলো, আজ যে স্যাটারডে নাইট।’
কিচেন থেকে বেরিয়ে বারে এসে দাঁড়াই। কন্যাশোক বুকে চেপে মাসুক ভাই গ্লাস মোছেন। আমি এগিয়ে গিয়ে কাঁধে হাত রাখি। গৎবাঁধা কিছু স্বান্তনার বানী আউড়াই।
-‘ধৈর্য ধরেন মাসুক ভাই। আল্লাহ’র উপর ভরসা রাখেন।’
মাসুক ভাই গ্লাস মোছেন।
-‘আর আপনারই বা আজকে কাজে আসার কি দরকার ছিল? বস বললেই হলো? ফাক-অফ বলে চলে যেতে পারলেন না?’ আমার রাগ গিয়ে কিছুটা মাসুক ভাইয়ের উপরও পড়ে।
-‘এখন কাজ ছাড়লে চলবে?’ গ্লাস মোছতে মোছতেই জবাব দেন, ‘কয়েকদিন পরই আমার মেয়েটার চল্লিশা, টাকা পাঠাতে হবে না?’
আমি আর কিছু বলতে পারিনা। সবার জীবনতো আমার মতো ভাবনাহীন নয়। যাদের মাসে মাসে দেশে টাকা পাঠাতে হয়, স্পন্সরশিপের জন্য ব্যাংকে ব্যালান্স বাড়াতে হয়, কিছুদিন পর যার মেয়ের চল্লিশা থাকে, তাঁরা এতো সহজে বসকে ফাক-অফ বলতে পারেনা।
বেরুতে গিয়েও মাসুক ভাইয়ের গলা শোনে দাঁড়াই।
-‘আল্লাহ আমার মেয়েটাকে নিয়ে গেছেন, আমি সবর করে ফেলেছি। কিন্তু রাজিব বলতে পারো, পৃথিবীতে কতোভাবেই না মানুষ মারা যায়। এতো উপায় থাকতে আল্লাহ আমার এতোটুকুন মেয়েটাকে সিদ্ধ করে মারলেন কেন?’
ব্রাসারি থেকে বেরিয়ে আমি সাগর পাড়ের দিকে হাটতে থাকি। আকাশে বেশ বড় একটা চাঁদ। হালকা কুয়াশার চাঁদর চুইয়ে জ্যোৎস্না পড়ছে সাগরের পানিতে । অপার্থিব একটা দৃশ্য। বিস্তৃত সী-বিচে একা দাঁড়িয়ে আমি পরম দয়াময়ের করুনাধারায় সিক্ত হই। কিন্তু এই করুনাধারার মাঝে একটি অদেখা শিশুর সিদ্ধ হয়ে যাওয়া মুখের হিসেব, আমি কিছুতেই মিলাতে পারিনা।
মন্তব্য
কিছু বলার ভাষা নেই।
লেখাটা ভাল লাগল। বানানগুলোর উপর একটু যত্ন নিয়েন ভাই।
লিখতে থাকুন সচলে।
ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক।
-------------------------
--------------------------------------------------------
ট্যাগে গল্পকেই চমৎকার মানাচ্ছিল, কেন স্মৃতিচারণ আবার যোগ করতে গেলেন?
এটা কী লিখলি রাজু?
মন খারাপ করে দিলি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
তুই লিখছিস না কেন? অনেকদিন তোর কোন লিখা পাই না।
হায়! মাঝে মাঝে দুঃখও পরিহাসের মতো লাগে। ক্যান লাগে?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
কষ্ট দিয়ে গেলেন ভাই।
গল্পে মন খারাপ হলো।
লেখার স্টাইলে মুগ্ধ হলাম...
................................................................................................
আমি একটা ব্যাপার দেখেছি জানেন? যারা বেশী আল্লাহওয়ালা তাদের প্রতিই যেন তিনি বেশী নির্মম!! আমার মাঝেমাঝে উপরের দিকে তাকিয়ে রাগে ক্ষোভে চিৎকার করতে ইচ্ছা হয়!!!
অফটপিক:
লেখার হাত বিষয়টা কি জেনেটিক?
(অনধিকার চর্চা হলে ক্ষমাপ্রার্থী, নামের মিলে মনে হলো আপনি আরিফ জেবতিকের ভাই বা আত্মীয়, তাই বললাম)
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জেনেটিক কিনা বলতে পারছি না। পূর্বপুরুষদের কারো ব্লগ এখনো পড়িনি।
হা : ! হা :! হা : !
তব্দা খাইলাম গল্প পাঠে।
নিজের একটা ফুটফুটে মেয়ে আছে বলেই কি না জানি না , লেখাটা পড়ে অস্থির অস্থির লাগল । এই অস্থিরতা সৃষ্ঠি করার কৃতিত্ব লেখকের ।
ঈশ্বর নাকি দয়াময় , তিনি তার প্রিয় বান্দাদের নাকি বেশি বেশি পরীক্ষা করেন । হা : হা : হা : !
ব্লগীয় গিয়ানজামে স্বাগতম ।
...আইলাম...
ফুটফুটে রাজকন্যাটাকে দেখার জন্য যেকোন দিন চলে আসতে পারি...
কষ্ট কষ্ট কষ্ট
ভাষা হীন কষ্ট
মনে প্রাণে প্রার্থনা করছি এটা যেন কেবলই গল্প হয়।
.....আসলে গল্পই তো, তাই না?
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
জ্বি, দিন যাপনের গল্প।
০১
চমৎকার একটা সকাল কেমন যেন হয়ে গেল গল্পটা পড়ার পর।
০২
সিদ্ধান্তে পৌছেছি, লেখার হাত জেনেটিক।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
...
ধরে নিলাম বেহেস্ত আছে
বাচ্চাটা এখন বেহেস্তে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অবশ্যই সে এখন বেহেস্তে আছে।
যারা বাবা, তাদের এই গল্প না পড়াই ভালো।
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
চাচাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
আপনার লেখার স্টাইলটা খুবই পছন্দ হয়েছে। সরল গদ্য, কিন্তু জায়গা মত গিয়ে হিট করে। ওয়েলকাম টু সচল। চালায় যান।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে এ বিষয়ে কিছু বলার নাই, কষ্টের বিষয়গুলোর প্রতিক্রিয়া প্রকাশের বেলায় বিধাতা আমাদের বড় অসহায় করে সৃষ্টি করেছেন। কিসে যে আসলে একজন মানুষের কষ্ট খানিকটা হলেও উপশম হবে তা কখনই হয়তো আর বোঝে ওঠা হবে না এই এক জীবনে।
লেখার হাত আপনার আসলেই অসাধারন। খুব পছন্দ হল। লিখুন আরো বেশী বেশী।
-------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম।
বাচ্চাটার কথা ভেবে খুব খারাপ লাগছে।
মূর্তালা রামাত
এটা কী লিখলি রে দোস্ত? মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।
মানুষের জীবন... মাঝে মাঝেই মুখ তেতো হয়ে যায়।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
এইতো জীবন...
: (
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
খুব দুঃখ পেলাম। মনটা খারাপ হয়ে গেল...সিদ্ধ হওয়া শব্দটাই হজম করতে পারছি না...
=============================
Time marches on but memory stays
Torturing silently, the rest of our days .
রাজুরে এতো কান্না কাঁদলাম। তুইতো এমন কাদাতে পারিস জানতাম না। হালকা শব্দের পরতে এতো ব্যাদনা কেমনে ঢুকাইলি। অফিসে ছিলাম। এথখন আমি বাসায় যাবো।
...........................
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সচলায়াতনে স্বআগতম! লেখাটা পড়ে মনে হল গলার কাছে কি যেন আটকে আছে।ভাল লেগেছে গল্প বলার স্টাইলটা।
আমার অহংকার লাগে ভাবতে, আপনি, রানা মেহের, গৌরিশ রায়, অপু- কোন এক সময়, কোন এক কালে আমার সৃতির বড় একটা জায়গা দখলে রেখেছেন।ভাল থাকুন।
-------------------------------------------------------------------------------
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
সেই একই গর্ব আমারো। আপনিও ভালো থাকবেন।
অসম্ভব দারুন একটা গল্প (অথবা বাস্তবতা!)। আপনার গল্প বলার ঢং দুর্দান্ত। সচলায়তনে স্বাগতম। নিয়মিত লিখুন।
অন্ততঃ বছর দশেক আগে, এই লেখকের বয়স যখন আঠারো ও হয়নি তখন তিনি একটা ফিচার লেখেছিলেন শীতের অতিথি পাখী নিয়ে ।
একটু উষ্ণতার জন্য হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে যে পাখী উড়ে আসে, ভদ্রলোকদের ডাইনিং টেবিলে তার ভুনা মাংসের অন্য রকম উষ্ণতা, যে মেটাফোরিক বর্ননা ছিলো ঐ লেখায়- এখনো মনে পড়ে ।
রাজু, তোর এই লেখাটা ও আমার মনে থাকবে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সে...ই লেখা!! মোরশেদ ভাই, আপনার স্মৃতিশক্তির প্রশংসা করতেই হচ্ছে।
আপনার বইটা কিভাবে পাবো বুঝতে পারছি না।
হাসান মোরশেদের বই যদি ২৮ তারিখের আগে চলে আসে ( মানে আসার যদি আদৌ কোন সম্ভবনা থাকে ) তাহলে বই পাঠাতে পারব ।
আর স্পেসিফিক যে কয়টি লাগবে , মেইল করে দিস ।
- গল্পই হোক এটা, এর বেশি কিছু জানার দরকার নেই।
জেবতিক নাম্বার টু- কে সচলায়তন তথা ব্লগে সুস্বাগতম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- ঠিক।
সুস্বাগতম জানানোর জন্য সুধন্যবাদ।
Lina Fardows
চোখে বেয়ে পানি পড়ছে থামাতে পারছিনা, বার বার শিশুটির মুখ, ওর বাবা মার মুখ কল্পনা করতে চেষ্টা করছি আর চেষ্টা করছি ওদের অসহায়ত্বকে উপলদব্ধি করার। মাঝে মাঝে ভাবি জীবনের কাছে আমরা যে কত অসহায়, জ়ীবনের প্রয়জনে আমরাও আজকাল রোবট হয়ে যাচ্ছি। লেখক যে এখনো ততটা রোবট হননি তার জন্য তাকে ধন্যবাদ।
Lina Fardows
পরে পড়বো বলেই রেখে দিয়েছিলাম । ভাবছিলাম , দিনযাপনের গল্প হবে বুঝি । এখন ভাবছি , না পড়লেই ভালো হতো বুঝি । এমন বিমূঢ় হয়ে আছি...এমন আছন্ন !
দারুন লিখেছিস রাজু । মোরশেদের মতো আমারও সেই ফিচারটার কথাই মনে পড়ছিলো । সঙ্গে একটা হুতাসনও , এমন যাদের কব্জির শক্তি, তারা কেন নিয়তই লিখে না এই সব দিনযাপনের 'গল্প'...!
আমরা না হয় হুদাই, জীবিকা খেয়ে নিয়েছে সর্বাংশ !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
ভাল লাগলো!
আমাদের জীবন টাই এরকম। যারা বাস্তবতা মেনে নেয়, তারাই প্রকৃত মানুষ। আনাদের ধন্যবাদ।
খুব খারাপ লাগল পড়ে।
নতুন মন্তব্য করুন