সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা রক্ষায় আমেরিকার প্রস্তাব ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০২/২০০৯ - ১২:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাউচার সাহেব বিদায়ের লগ্নে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, যদি বাংলাদেশ চায় তবে আমেরিকা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা রক্ষায় সহায়তা করবে।প্রস্তাবটি যে বেশ প্রাসঙ্গিক তা নিয়ে কোন সন্দহ নেই।সাম্প্রতিক সময়ে দাদারা ও বর্মা যেভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অবাধে অনুপ্রবেশ করছে তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।বিশেষ করে সেখানে যে সম্ভাব্য জ্বালানী মজুদ রয়েছে তাতে ভাগ বসাতেই তাদের এই আস্ফালন।এমত অবস্থায় সমুদ্রসীমা নির্ধারন ও এর নিরাপত্তা রক্ষা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয়।এ বিষয়ে মার্কিন সাহায্য নানাবিধভাবে তাতপর্যপূর্ন।অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন এতে মার্কিন লাভ কি।এর উত্তরে বলতে হয়,বর্মার সাথে মার্কিন সম্পর্ক ভালো নয়।অন্যদিকে ভারত নিজেই নিজের অফ শোর ড্রিলিং করতে সক্ষম।তাই বাংলাদেশ যদি সমুদ্রসীমা রক্ষা করতে পারে তবে মার্কিন করপোরেশনগুলিই তা উত্তোলন করতে পারবে।ফলে তাদের যেমন লাভ তেমনি আমাদের লাভ।তাই মার্কিন এই প্রস্তাব পজেটিভলি সরকার বিবেচনা করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।মার্কিন সরকারের এই সাহায্যকে অনেকে সামরিক ঘাটি গড়ার পূর্ব প্রস্তুতি বলে মনে করতে পারে।বিষয়টি বাউচার পরিস্কার করেছেন।তিনি বলেছেন এরকম কোন উদ্দেশ্য তাদের নেই।সাথে তিনি এটিও বলেছেন ওবামা প্রশাসন বুশের পররাষ্ট্র নীতি পরিবর্তনের পক্ষে।পরিবর্তনশীল বিশ্ব পরিস্থিতিতে মার্কিন ও চীন সহায়তা, সমর্থন ও সহযোগীতা ছাড়া ভারতের মত সংকীর্নমনা বৃহৎ প্রতিবেশীর সাথে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না।বর্তমান দেশের জ্বালানী পরিস্থিতিতে অফশোর ড্রিলিং না করা ছাড়া কোন উপায় নেই।তাই এ বিষয়ে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত আশা করছি।

এইচ আহমেদ


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।