আমার স্কুল জীবনের ২১ শে ফেব্রুয়ারি।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২১/০২/২০০৯ - ১০:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্কুলে থাকতে একুশে ফেব্র“যারির প্রভাত ফেরি যোগ দিতাম বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট এর হয়ে। একটা নীল রং এর ট্রাক আসত আমাদের নিতে । আমরা সেই ট্রাকে উঠতাম। সেদিনের জন্য আমরা হতাম রেড ক্রিসেন্টের সদস্য । সারা বছর এর কি কার্যক্রম হত আমাদের স্কুলে তার মাথা মুন্ডু কিছুই জানতাম না। আমাদের শ্রেনীর এক বন্ধুর ভাই এই সংগঠনটির সাথে যুক্ত দেখে প্রতি বছর আমাদের স্কুল থেকে প্রভাত ফেরি জন্য লোক তারা রিক্রট করত ।

যাইহোক, যেটা বলার জন্য এই পোস্ট টা আজ লিখছি। তখন ছিল স্বৈরাচার এরশাদের আমল। সালটা মনে নাই। আমরা সকলে আজিম পুর কবর স্থান হয়ে শহীদ মিনার মুখি হয়ে আজিম পুর কলোনীর পাশে দাড়িয়ে আছি। এমন সময় লাইন অতিক্রম করল খালেদা জিয়ার একটা মিছিল ফুল দেওয়ার জন্য। মিছিলটি যাওয়ার মুহর্ুুতের মধ্যে বিকট আওয়াজে ফুটলো দুইটি বোমা । বোমার আওয়াজ শুনে আমরা কেউ ই দৌড় মারি নাই। আমরা ঠায় দাড়িয়ে আছি লাইনে অন্যান্য সংঘঠনের সাথে। হঠাৎ শুরু হল চোখ জ্বালা পোড়া । ব্যপারটা ঠিক ঐ বয়সে বুঝে উঠতে পারি নাই। শুধু ভাবছি কেন যে চোখ জ্বালা পোড়া করছে। আসলে বোমা মারার পর পুলিশ টিয়ার গ্যসের ছুড়ে ছিল যেটা অনেকক্ষন পড় হওয়ায় ভেসে আমাদের চোখে আক্রমন ঘটায়। চোখ জ্বালাপোড়া করায় আমরা দৌড়ে আশ্রয় নিলাম পাশে অবস্থিত টিনের চালের কোয়ার্টারে সেখানে সবাই পানি পানি করে চেচাতে থাকলাম। আমাদের স্কুল ড্রেস দেখে কোয়ার্টারের লোকজনের দয়া হল । তারা তাড়াতাড়ি সবাইকে পানি এনে দিল ঘর থেকে । তাদের সেই সেবা দেখে নিজের বাড়ির মতই মন হল। সবাই চোখে পানি দিয়ে চোখের জ্বালা উপশম করি। তার পর সেখানেই দেওয়া হল আমাদের দুপুরের লাঞ্চ। রুটি কলা, মিষ্টি, সামুচা, সিংগারা এসব।

সেদিন ছিল জীবনের প্রথম টিয়ার গ্যস খাওয়ার দিন। এর পর শুধু ঢাকার টেম্পুতে যাতায়াত করার সময় এর সাথে বহুবার পরিচয় হয়েছে।

puranpapi


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কত সালে এ ঘটনা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।