প্রস্তর যুগের আগে/সাম্প্রতিক কাহিনী
জুলফিকার কবিরাজ
বর্ষা থৈ থৈ, অঝড়ে বৃষ্টি পড়ছে।
দাদী বললেন, ‘আজ আমাবাস্যির দিন বৃষ্টি শুরু হোলি,
এতো দেকতিছি আমাবতি লাগবিনি- তার মানে
সাত দিনের কমে এ বৃষ্টি আর ছ্যাক দিবি নানে’।
দাদী আগম জান; তার কথাই ঠিক;
আমাবতিই লেগেছে। আদল এগার দিন ধরে চলছেতো চলছেই থামবার ওজড় দোহাই নেই।
মাটি বড্ড গরীব
তার বিছানার অবস্থা ভেজা চুলা, ভেজা খড়ির মত।
প্রহর ঘোষনার মত মা মাঝে মাঝে নিদ্রা জড়িত কণ্ঠে স্নেহ-সিক্ত ডাক দেন-
এ-এ-এ-জাহিদ, জা-হি-দ, জাহিদরে-এ, জাহিদ,
এ-জাহিদ, জাহিদরে-এ-এ-
উঁ-অঁ,
জাহিদরে, এ-জাহিদ, জাহিদ-
উঁ-অঁ-অঁ,
জাহিদরে, জাহিদ-
উঁ-অঁ -অঁ- অঁ,
এ মুতি শো।
জাহিদ মুতে না শুয়ে পাশ ফিরে শোয়।
বিরাম দিয়ে মা আবার শুরু করেন-
জা-হিদ-রে, এ-জা-হিদ, জাহিদ, এ জাহিদ-
উঁ- অঁ -অঁ- অঁ
এ মুতি শো।
বিছিন ভিজি ফেলবুনি, যে মরার বাস্যি লামেচে,
রোদ-বাও কিচ্চু নিই। শুকনে তেনা তো দুরির কতা শিতেনে পারার মত এক গাচ শুকনি খ্যার পন্তক নিই। সব ভিজি চপ চপে হয়ি লয়চে।
এ জাহিদ জাহিদ,
উঁ,
ওট বাপ, মুতি শো।
জাহিদ মুতে শোয়।
সেই জাহিদ আজ অনেক বড়;
কিন্তু বিছানা এখনো রোজ রোজ ভেজে,
তবে সে বিছানা ভিজায় জাহিদ নয় - তার ছেলে।
মন্তব্য
বাহ্! একেবারে পুরো জীবন কাহিনী কবিতায়! একটু অন্যরকম বলেই ভালো লাগলো খুব!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সত্যিই অন্যরকম !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
শোলালি পরে বিশি ভাইল লাইগতো! কাছ থিকি শুনতি পারলি বড় মজা হইতো গো। যেমন হইছিল সেইই দিন। ক্যামবা যে লাইগতো তা আর কি কব। আমি কি কতি পারলাম।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
নতুন মন্তব্য করুন