টরন্টোতে এসে পৌছেছি আজ মাস খানেক । স্কিল্ড কামলা হিসাবে নতুন অভিবাসী হয়েছি এখানে । এখানকার কর্তৃপক্ষ আমাকে কয়েকটা প্লাস্টিক কা্র্ড ধরিয়ে দিয়েছে (এই কয়টা প্লাস্টিকের টুকরার জন্য এত ক্যাচাল!?!)। কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকায় ফিরে যাবো, তার আগে এইখানে ধরে রাখি এই সময়টুকু...
তিক্ততা দিয়ে শুরু
আমি এসেছি হংকং হয়ে । আমার কাছে আসার দুটো রুট ছিলো, একটা দুবাই আরেকটা হংকং হয়ে । দুবাই আগে গিয়েছি কয়েকবার, তাই হংকং এরটাই পছন্দ করলাম । বিশাল আর অত্যাধুনিক এই বিমানবন্দরের মূল নাম চ্যেক-লাপ-কক হলেও সবাই একে হংকং বিমানবন্দর বলেই জানে । এখানে আমার যাত্রাবিরতি ছিলো ৮ ঘন্টার, তাই ঢাকা থেকেই পয়সা খরচ করে যাত্রী-লাউন্চে বুকিং দিয়েছিলাম । আমি কাউন্টারে গিয়ে বুকিং ভাউচার দেখাতে আমার পাসপোর্ট চাইলো, এন্ট্রি করে একটা স্টিকার দিয়ে বুঁকে লাগাতে বললো, আমি তাই করলাম । ভিতরে ঢুকে নেট আর বুফে খাবারের সদ্ব্যবহার করলাম আর রেস্ট নিলাম । পরে খেয়াল করলাম যে আসে পাশে সব সাদা চামড়া, নাক খাড়া বা চ্যাপ্টা হলেও, কিন্তু আমার ছাড়া কারো বুঁকে স্টিকার নেই । কিছুক্ষন পর নতুন দু’জনকে ঢুকতে দেখলাম বুঁকে স্টিকারসহ, এক বয়স্কা মহিলা আর তার ছেলে, পাকিস্থানী । বুঝতে বাকি রইলোনা, আমার পাসপোর্টই হলো স্টিকারের উৎস । তারপর স্টিকারটা ছিঁড়ে ফেলে দিলাম ।
কই আসলাম? China না Canada?
হংকং থেকে সাড়ে চৌদ্দ ঘন্টা উড়ে টরন্টো এসে পৌছলাম । লম্বা ভ্রমন...বোরিং বটেই । বিমানবালাদের জন্য কষ্টই হয়, এত লম্বা ফ্লাইটেও একটু ফুসরত নেই, দৌউড়াও আর হাসো ! যাহোক, কাস্টমস শেষ করে টরন্টো বিমানবন্দরে অভিবাসনের কাউন্টারে গেলাম । আমি ছাড়া অপেক্ষামান সবাই নাক বোঁচা, কিছু
স্কিল্ড, কিছু ফ্যামিলী ক্যাটাগরী মনে হলো । পরে বিভিন্ন অভিবাসন সেমিনারেও দেখেছি অধিকাংশই চাইনিজ । এখানে বেশকিছু এলাকাতে সব সাইনবোর্ড চাইনিজে, এমনকি বিজ্ঞাপনগুলোও । আগে জানলে চায়নাতেই যেতাম, সময় আর পয়সা দু’ই বাঁচতো !
এখন পর্যন্ত আমার দেখা কানাডার সবচেয়ে দর্শনীয় ও প্রয়োজনীয় বস্তুর ছবি দিয়ে আজ শেষ করি !!!
~
মন্তব্য
~
(স্বপ্নের ফেরিওয়ালা – )
লেখা ভাল লাগছে..
কিন্তু এইটা কি সারাংশ না ভূমিকা ?
ধন্যবাদ @ বাউলিয়ানা...এটা পর্ব-১
~
(স্বপ্নের ফেরিওয়ালা – )
লেখা উপাদেয় হইছে।
ফটুক সুন্দজ্জ।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
স্টিকারে কী লেখা ছিলো জানতে মঞ্চায়
...........................
Every Picture Tells a Story
পয়লা লেখাতেই কমোড আর বদনা!! তয় লেখা ভালা লাগসে...
যাই হোক আপ্নের নাম বা নিক দিলে ভালা হইতো...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আপ্নে নাম দিসেন খিয়াল করিনাই... মিস্টিক হইছে!!
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
ফটুকের বদনাটা বড়ই সৌন্দর্য
পরবর্তি পর্ব ছাড়েন তাড়াতাড়ি...........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কানাডায় কি বদনা লৈয়া গেছিলেন?
ভালো হৈছে... ধন্যবাদ...
(বিমান বালার ফুটুক দিলে কি হৈতো?)
আমিও জানতে চাই... দিলে কি হইতো?
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
***************
শাহেনশাহ সিমন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এইটা তো বদনা মনে হইতেছে না .. আসলে কি ?
মজা পাইলাম ... আরো লেখেন ..
বস... বৈদেশে এই জিনিসগুলাই বদনা নামে সুপরিচিত... কমোডের কাজ হয়, টয়লেটের সাজসজ্জাও হয় আর যদি বাগান করবার শখ থাকে তাইলে চামে ফুল গাছে পানি দিবার ঝামেলাও মিটে যায়...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
হাহাহাহাহ গোলাপী বদনা দেখে হাসতে হাসতে পরে গেলাম, এমন পেটুক বদনা কোথায় পেলেন! হিহিহি
লেখা কন্টিনিউ করেন!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বদনার আকার এবং রং অতীব মনোহর
এরকম লেখা এতো কম লিখলে হয় ?
--
আমার এই দেশেতে জন্ম, যেন এই দেশেতেই মরি...
বদনাটা ভাল্লাগছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বসের বদনাটা জোটিল হইছে।
এক্কে বারে লেটেসট মোডেল।
বোহুত দিন হইলো 'লোটা'দেহি না, আছে নাকি একখান লেটেসট মোডেল এর লোটার ফোটো।
- লালু
আপনার বদনাটা খুব পছন্দ হইসে। কালার দেখি আবার গোলাপি।
আমারে দিবেন নাকি ধার কয়েক দিনের লাইগা ?
-----------------------------------
--------------------------------------------------------
এতো দেখি বাহারী বদনা!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ইহা বদনা নহে 'ফুল গাছে পানি দিবার পাত্র মাত্র' (!!!)
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বদনার কথা আর কইয়েননা ভাই। পিএইচডি করতে দেশ ছাড়ার আগে ডিপার্টমেন্টের হালিম সার কইছিল, বাবা আর যাই কর ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকায় গেলে একটা বদনা লইয়া যাইও ( সার নিজে পিএইচডি করতে গিয়েছিল ইংল্যান্ডে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে)। সারের কথা না শুইনা দেড় বছর যারপর নাই ভুক্তভোগী হইছিলাম। ফুল গাছে পানি দেওয়নের পাত্র দিয়া (আপনার লেখায় প্রদত্ত ছবি) কি আর ঐ কাম চলে !!! এইবার দেশে যাইয়া আর ভুল করি নাই সবার আগে 'কানাডার প্রয়োজনীয় জিনিসটা' (!!) কিনছি।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ @ নজমুল আলবাব, মুস্তাফিজ, কীর্তিনাশা, টুটুল, অভ্রনীল, শাহেনশাহ সিমন, শাহান, মুশফিকা মুমু, আলাভোলা, সুলতানা পারভীন শিমুল, lalu fokir, ভূঁতের বাচ্চা, কনফুসিয়াস, সচল জাহিদ......ইহা বদনা নহে, ইহা ফুল গাছে পানি দেওয়নের পাত্র!! অভিজ্ঞ সচল জাহিদ ভাই বুঝতে পারছেন! বিপদের দিনে তাই সই ।
@ মুস্তাফিজ ভাই ..."স্টিকার" > ওই যাত্রী-লাউন্চের নাম লেখা ছিলো স্টিকারে, সাথে হাতে ফ্লাইট নাম্বার আর ফ্লাইটের সময় হাতে লিখে দিয়েছিলো ।
@ টুটুল ভাই ...
"কানাডায় কি বদনা লৈয়া গেছিলেন?" > নাহ, আমি যে কাজিনের বাসায় উঠেছি, তার বাসায় দেখলাম ।
"বিমান বালার ফুটুক দিলে কি হৈতো?" > আয়হায়, আপ্নের বউয়ের কাছে ওইদিন বিমান বালার ফুটুক দিয়ে বলছিলাম আপনেরে দিতে...দেয় নাই?
@ ভূঁতের বাচ্চা...
"আমারে দিবেন নাকি ধার কয়েক দিনের লাইগা ?"...ভাই তাইলে আমি চল্মু কেম্নে?
~
(স্বপ্নের ফেরিওয়ালা – )
কানাডায় আমার এক বন্ধু আছে । প্রতিবার দেশে আসার পথে জিজ্ঞেস করে , দোস্ত কী আনুম ?
আমি বলি , দেশে এমন কোন জিনিষ নাই যেটা পাওয়া যায় না , কিছু আনার দরকার নাই ।
এইবার বলব- দোস্ত , একটা গোলাপী কিউট বদনী নিয়ে আসিস , ঐ জিনিষ এই পোড়ার দেশে নাই ।
বাসা ছাড়া যখন বাইরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেন, তখন কি নিয়ে যান?
এইরকম "গোলাপী" সহসা চোখে পড়ে না
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ভাল প্রশ্ন করেছেন তানবীরা।
লেখকের বা অন্যদের কথা জানি না, তবে বাসার বাইরে বোতল আমার সাথী। অফিসে কয়েকটি আছে । অন্য কোথাও গেলে (যেমন কনফারেন্সে) ব্যাগের ভিতর রাখি । কোনো কারণে সাথে না থাকলে এদিক-ওদিক খোজ করলেই পাওয়া যায় । নতুবা এক বোতল পেপসি বা কোক কিনে নিই। পাঠকগণ ভুল বুঝবেন না, পেপসি/ কোক শেষ করেই ওটা বদনা হিসেবে ব্যবহার করি । (নবীনদের জন্য জানাচ্ছি, প্রথমে টয়লেট পেপার ভালভাবে ব্যবহার করে তারপর পানি নিবেন। আর যদি মনে হয় কমডের সিটটি ময়লা, ভেজা টিস্যু দিয়ে তা ভালভাবে মুছে নিতে পারেন। )
প্রথমে লজ্জা লাগতো বলে সবার চোখ এড়িয়ে বাথরুমে ঢুকতাম । পরে দেখলাম শুধু আমদেরই নয়, ইউরোপেও শৌচকর্মের প্রথা কিছুটা হলেও আছে । অনেক জায়গায় "বিডে" (bidet) বলে কমোডের পাশে কমড-সদৃশ একটা জিনিস থাকে, কলে চাপ দিলেই পানি আসে। সো, প্রবাসী বাঙালি ভাই ও বোনেরা, আপনারা ইউরোপ/নর্থ আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার/নিউজিল্যান্ড যেখানেই থাকুন না কেন, বোতল হাতে হাসিমুখে শৌচাগারে ঢুকে যান। কারও কিছু মনে করার নেই। যদি কেউ কখনও ভুলে প্রশ্ন করে ফেলে, হাসিমুখে জবাব দিবেন, "We use water after bathroom". তারা অবাক হবে না।
(bidet উপর উইকিপিডিয়াতে পড়তে পারেন। তবে অনুরোধ, "বিডে" দেখলে চেষ্টা করার দরকার নাই । নিতান্ত হযবরল লাগবে, এর তুলনায় আমাদের বদনা/বোতল ব্যবহার অনেক শৈল্পিক । আর একটি অনুরোধ, পানি ব্যবহারের পর বাথরুমের মেঝেতে বা কমডের উপর পানির ছিটা পড়ে থাকলে তা টিস্যু দিয়ে ভালভাবে মুছে ফেলবেন । শুষ্কতা সামান্য ভদ্রতা ।)
@ আরিফ জেবতিক ... এইটা আরেক পিস পাইলে আপনার জন্য নিয়ে আসবোনে
@ তানবীরা ... বাইরে সাড়া দেয়া লাগলে কাগজই চলে ... তবে প্লাস্টিকের বোতল পেলেও শান্তি
~
(স্বপ্নের ফেরিওয়ালা – )
@ অনামিকা ... ধন্যবাদ
ইতিপূর্বে বিভিন্ন হোটেলে এই bidet এর দেখা পেয়েছি, তবে এটা কাপড় ধুতে খুব কাজে লেগেছে
~
(স্বপ্নের ফেরিওয়ালা – )
আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার কোরার জন্য। ভাগ্যিস, "বিডে" দেখার পরপরই এর ব্যবহার জানতে পারেছি, তাই এ নিয়ে মজার কিছু করার সুযোগ হয়নি আমিও হোটেলে কাপড় ধোয়ার মেশিন পারতপক্ষে ব্যবহার করিনা -- অধিকাংশ সময় এর দাম গলাকাটা; বাথটাবে ছোটখাট ধোয়ার কাজ সারি ।
"বিডে" দেখার পর বুঝলাম একটি সামান্য বদনা কত বৈজ্ঞানিক হতে পারে। (বদনা নিয়ে বনে-জংগলে যাওয়া যায়, "বিডে" নিয়ে যা জোস্না রাতেও সম্ভব নয়।)
প্রয়োজনীয় বস্তুটা কি আপনার ব্যক্তিগত ব্যবহার্য্য ? এই আকৃতির বদনা কই পাইলেন ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
@ এনকিদু
ইহা বদনা নহে ভ্রাত, ইহা ফুল গাছে পানি দেওয়ার পাত্র মাত্র । যেখানে থাকছি ওখানে পেলাম!!
~
(স্বপ্নের ফেরিওয়ালা – )
হা..হা..হা...
বিস্তর গবেষনা চলেছে
(জয়িতা)
নতুন মন্তব্য করুন