সেদিন ছিল পূর্ণিমা, বিস্তীর্ন আকাশের পুরোটা জুড়ে।
আমি ঘর থেকে বাহিরে,
সামনের ওই বারান্দাটায় দাঁড়িয়ে।
ঠিক পুরোপুরি মনে নেই হয়তো;
হয়তো বা আমারই বাসর রাতের কিছুদিন আগের কথা-
একফালি চাঁদকে আমি নিজের মত করে;
প্রচন্ড ভালবেসেছিলাম!
আশ্চর্য, সেই চাঁদও হয়তো,
আমাকে ভালবাসতো...
নয়তো প্রতি পূর্ণিমা রাতে,
কেন তার এতো রূপ নিয়ে আসা-যাওয়া?
আজ অমাবস্যা-
চারদিক ঘন অন্ধকার করে,
চাঁদের ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়া।
মাঝে মাঝে টুকটাক আলোরও দেখা নাই।
ছোট্ট ছোট্ট জ্বলজ্বল যে তাঁরা,
চাঁদের সন্ধানে আজ তাদেরও তো আর দেখি না।
চারদিকে নিঃশব্দ নিরবতা,
ঘুটঘুটে অন্ধকার;
বারান্দার হেলানো চেয়ারে আমার,
চুপচাপ চাঁদের অপেক্ষায় জেগে থাকা।
চাঁদের ছলনাকে তোমরা বলো অমাবস্যা,
সত্যি বড় বিচিত্র...
বিচিত্র মানুষের ভিড়ে, বিচিত্র এক চাঁদ।
তাই বলে চাঁদ কী রক্ত মাংসের মানুষ?
না, না, আমি তো কোন মানুষকে ভালবাসতে চাইনি।
চেয়েছি অতীত ভালবাসা থেকে শিক্ষা নিতে,
নয়তো ভালবাসা নামক বস্তুটিকে বিসর্জন দিতে পারবো কি?
আজ চাঁদ নেই,
চাঁদের আলোয় অনেক প্রিয় মুখ হয়তো দেখতে পারবো না।
কিন্তু চোখের পাতা দুটি নিভে এলেই,
আমি চাঁদ দেখতে পাই,
চাঁদের হাসি শুনতে পাই।
চাঁদের পুর্ণিমার মত সবকিছু আলোকিত করে,
যেদিন কেউ আসবে আমার মাঝে,
আমি সেদিন অমাবস্যার রাতে গান ধরবো।
মনের সকল দুঃখ-বেদনা,
অন্ধকারে ছুঁড়ে ফেলে,
প্রিয় কারও নূপুরের আওয়াজ হয়তো শুনবো।
হয়তো আধাঁরেই তাকে খুঁজবো!!
তাহসিন
১৮-০৪-০৮
ধানমন্ডি
মন্তব্য
পড়লাম।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
থ্যাংকু।
হুমম, ভাল্লাগল। ছবিটাও অনেক সুন্দর।
জি...ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন