হোটেল নিরিবিলি
অবশেষে একটা সুনির্দিষ্ট গন্তব্য পেলাম যাবার জন্য। শহরে ফেরার পথে একটা ঝুপড়ি দোকান থেকে কলা-বিস্কুট-চা খেয়ে খিদেটা চাপা দিলাম। হোটেল নিরিবিলি খুঁজে বের করতে সময় লাগলো না। হোটেলটা নামকরন সার্থক করে শহরের একটু বাইরে চমৎকার নিরিবিলি জায়গায়ই দাঁড়িয়ে আছে। তখনকার দিনে টেকনাফের সবচেয়ে ভালো হোটেল। সামনে জাতিসংঘের একটা জীপ দাঁড়ানো দেখলাম। হোটেল ম্যানেজারের সাথে পরিচয় ও উদ্দেশ্য জানিয়ে আলাপ করলাম। জানা গেল বাবলু ভাই এখানেই থাকেন ঠিক আছে, বার্মা গেছেন তাও ঠিক। তবে আজকে ফিরবেন কিনা জানেন না। শুনে আমরা ফিরে যাচ্ছিলাম থাকার জায়গা খুঁজতে। সমীর প্রস্তাব দিল এই হোটেলে রাত কাটানো যায়। কিন্তু কেউ রাজী না, জাতিসংঘের জীপ যে হোটেলের সামনে থাকে সেটা আমাদের মতো অকূলীনদের জায়গা না। ভাড়া জিজ্ঞেস করে খামাকা লজ্জা পাবার দরকার নেই। সাধারন একটা চিৎকাত বোডিং হলেই আমাদের চলবে।
হোটেলের ম্যানেজার আমাদের দেখে মনোভাব আঁচ করলেন বোধহয়। ফিরে যাচ্ছি দেখে তিনি পেছন থেকে ডাক দিলেন। অন্যদের হোটেলের বাইরে দাঁড় করিয়ে আমি আর সমীর গেলাম।
-আপনারা হোটেলে উঠবেন না?
-জী উঠবো,
-কোন হোটেলে ঠিক করেছেন?
-এখনো ঠিক করি নাই
-আমার এখানেই উঠেন না কেন?
-এখানে হবে না, আমরা অন্য হোটেলে যাবো
-কেন এখানে অসুবিধা কী। এরচেয়ে ভালো হোটেল টেকনাফে পাবেন না।
-জানি।
-জানেন, তবু উঠবেন না?
-(জী ভাইজান জানি বলেই তো উঠবো না, সামনের গাড়ীগুলো দেখেই বুঝতে পারছি এটা আমাদের জায়গা না) -মনে মনে বললাম
-ভাই, খোলামেলা বলি। আপনার হয়তো ভাবছেন এটা খুব দামী হোটেল। আসলে এখানে দামী লোকেরা থাকেন ঠিকই, কিন্তু ভাড়া একদম কম।
-(তোমার কম মানে তো তিন-চারশো টাকা) মনে মনে গজগজ করছি। মুখে বললাম - কম কত?
-আরে ভাই, উঠেন না আগে। ভাড়া অসুবিধা হবে না।
-তবু বলেন একটু শুনি।
-আশি।
-কী?
-আশি টাকা।
-আশি টাকা কী? (আমি মাথাটা একটু ঝাঁকি দিলাম। ভুল শুনছি না তো?)
-প্রতি রুমের ভাড়া আশি টাকা। এক রুমে দুজন থাকার ব্যবস্থা।
এইটা কী স্বপ্ন না আসমানী উপহার? রাত বাজে প্রায় দশটা। ম্যানেজারের কথাটা আমাদের কানে দেবদুতের বানীর মতো শোনালো। মোট তিনটা রুম লাগবে আমাদের। দুজন করে এক রুমে। ছজনের রাত্রিযাপন খরচ ২৪০ টাকা। হিসেব করে খুশীতে নেচে উঠলাম মনে মনে। বাকী চারজনকে ডেকে আনলাম তাড়াতাড়ি। ওরাও হোটেলের ভাড়া শুনে লাফ দিল প্রায়। হোটেলের রুমগুলো বেশ বড় বড়। ফার্নিচারগুলোও মোটামুটি ভাল। প্রতিরুমেই এটাচড বাথ। সার্বক্ষনিক পানি। চমৎকার ব্যবস্থা। শুধু খাবারটা বাইরে খেতে হবে।
গোসল-টোসল সেরে ফ্রেশ হয়ে সাড়ে দশটার দিকে খাবার হোটেলের সন্ধানে বেরুলাম। বেরুবার আগে হোটেল ম্যানেজারকে বলে এসেছিলাম পারলে সেন্টমার্টিন যাবার একটা নৌকা ঠিক করে দিতে। বাবলু ভাই রাতে না ফিরলে এটাই একমাত্র উপায়। হোটেল ম্যানেজার খুবই মাই ডিয়ার টাইপ। আশ্বাস দিলেন। খাবার হোটেল খুঁজতে গিয়ে 'আল্লার দান' নামের একটা বাঁশের তৈরী ঝুপড়ি টাইপ হোটেল দেখে ঢুকে পড়লাম, কপালে যা থাকে তাই খাবো। এই অঞ্চলে এর চেয়ে উন্নত হোটেল আশা করা বৃথা। তাছাড়া রাতও অনেক। কিন্তু খেতে গিয়ে পরিবেশনা ও রান্নার মান দেখে রীতিমত মুগ্ধ হলাম। বাংলাদেশের কোথাও এত চমৎকার আতিথেয়তা পাইনি কোন রেষ্টুরেন্টে। টেবিলে টেবিলে গিয়ে বাটিতে করে হাত ধুইয়ে দেয়ার ঘরোয়া আতিথ্য কোথায় মিলবে? খাওয়ার শুরুতে প্রত্যেক প্লেটে শাক আর ভর্তা দেয়া হলো, ডাল আর সালাদ তো আছেই। শুনে অবাক হয়ে যাই ওই শাক-ডাল-সালাদ-ভর্তা ফ্রী! তারপর মুল আইটেম আসলো। কেউ ছোট চিংড়ী, কেউ রূপচাঁদা, কেউবা মাংস নিল। পরিমানে বানিজ্যিক কৃপনতা তো নেইই, বরং বাটি ভর্তি করে এত বেশী করে তরকারী দিল যা ঢাকা-চট্টগ্রাম শহরে কল্পনাও করা যায় না। পেট পুজোটা খাসাই হলো।
খাওয়া সেরে টিমটিমে অন্ধকারে টেকনাফ শহর ঘুরতে বেরুলাম। বেশীরভাগ দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। সেন্টমার্টিন যাবার জন্য প্রয়োজনীয় যা যা লাগবে কিনে ফেলতে হবে রাতেই। বিস্কুট, কলা চিড়া, মোমবাতি, টর্চলাইট, ব্যাটারী, মশার কয়েল ইত্যাদি অনেক হাবিজাবি। সভ্যতা বিবর্জিত কোন জায়গায় সভ্য মানুষদের যেন কোন অসুবিধা না হয়। কেনাকাটা করে ফেরার পথে জুনায়েদ আর মাসুম বললো - আমরা একটু বার্মিজ মার্কেট ঘুরে আসি। এত রাতেও শালাদের মার্কেটিং খায়েশ দেখে গা জ্বলে গেল।
পথে আমাদের মতো আরেকটা বাউন্ডুলে দলের দেখা পেলাম। কথা বললাম উৎসাহী হয়ে। দল ভারী হবে এদেরকে সাথে পেলে। জানলাম ওরা ঢাকা থেকে এসেছে। প্রস্তাব দিলাম চলেন একসাথে যাই। কিন্তু ছেলেগুলো উচ্চমার্গীয় আঁতেল। প্রায় নাক সিটকে আমাদের ঝেড়ে ফেললো। তাদের নাকি বিশেষ ব্যবস্থা আছে ওখানে যাবার থাকার। ওরা যাবে থাকবে সেই ব্যবস্থায়। ওদের কাছে পাত্তা না পেয়ে খানিকটা নিরাশ হলাম। যতদুর খবর পেয়েছি, সেন্টমার্টিনে যাবার একমাত্র বাহন ইঞ্জিন চালিত সাধারন মালবাহী নৌকা কিংবা ট্রলার। কেউ কেউ ডিঙি নৌকা নিয়েও আসা যাওয়া করে। থাকার ব্যবস্থা সম্পর্কে শুনেছি, গ্রামের কারো বাড়ীতে আতিথ্য নিয়ে থাকা যায়, চেয়ারম্যানের বাড়ীতে বাঁশের ঘর আছে কয়েকটা, সেখানেও থাকা যায়। আরেকটা সুখবর হলো, ওখানে একটা প্রাইমারী স্কুল আছে সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে বানানো। ওখানেও থাকা যাবে। কিন্তু আমাদের ইচ্ছা সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ শুনে শুনে রাত পার করা। সুতরাং থাকার ঘরবাড়ী না পেলে সমুদ্রের বালুকাবেলাই আমাদের আশ্রয়।
হোটেলে ফিরে শুতে যাবার আগে ম্যানেজার ডেকে পাঠালেন আমাদের। রিসেপশানে গিয়ে দেখি লুঙ্গির ভেতর শার্ট গুঁজে তীক্ষ্ণ চোখের খাটো মতো গাট্টাগোট্টা শরীরের কালো কুচকুচে এক লোক দাঁড়িয়ে। নাম আবদুল্লাহ। আমাদের সেন্টমার্টিন ভ্রমনের কান্ডারী। তার নৌকাতেই আমাদের আগামীকালের দ্বীপযাত্রা। সকালে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে যাবে হোটেল থেকে। ওফ দারুন ব্যবস্থা! ম্যানেজারকে ধন্যবাদ দিয়ে খোশ দিলে শুতে যাচ্ছি তখন মাসুম আর জুনায়েদ ফিরে এল বার্মিজ মার্কেট থেকে। দুজনের হাতে পত্রিকা মোড়ানো দুটো বোতল। এগুলা নাকি পিত্তশুল দমনকারক বার্মিজ সিরাপ। যা বোঝার বুঝে গেলাম। চেঙিজ খানের দুই বংশধর মাঝরাতে এই স্বাস্থ্যসেবার খোঁজে গিয়েছিল। শালারা, ঢেকি যেখানে যায় সেখানেই........!
হঠাৎ অনিশ্চয়তা অতঃপর উত্তরন
রাত প্রায় একটা তখন। ঘুমটা মাত্র লেগে এসেছে এমন সময় দরজায় খটখট। সমীর দাঁড়িয়ে আছে, বললো -সুসংবাদ এবং দুঃসংবাদ দুটোই এসেছে। সুসংবাদ- বাবলু ভাই বার্মা থেকে ফিরে এসেছেন। দুঃসংবাদ- বাবলু ভাই খবর এনেছেন সমু্দ্রে ৩ নম্বর সিগন্যাল। এখন সেন্টমার্টিন যাওয়া নিরাপদ নয়। সকালে কোন নৌকা ছাড়বে না এখান থেকে, এমনকি খোদ সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যানও তার যাত্রা বাতিল করে টেকনাফ থেকে যাচ্ছেন।
ধুত্তারি! মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। দমে গেলাম ভেতরে ভেতরে। তীরে এসে তরী ডুবলো! কিন্তু কিচ্ছু করার নেই। আবহাওয়ার উপর কারো হাত নেই। হতাশা নিয়েই ঘুমোতে গেলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম আকাশের মন মেঘলা। আমাদেরও। সারাদিন কী করবো ভেবে পেলাম না। তবে আমি আর সমীর ঠেঁটা সিদ্ধান্ত নিলাম টেকনাফেই থেকে যাবো সমুদ্র শান্ত না হওয়া পর্যন্ত। শেষ টাকাটা ফুরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত শেষ দেখবো। অন্যরাও মৌন সম্মতি দিল।
হোটেলের চারপাশটা আবাসিক এলাকা। স্বচ্ছল স্থানীয়দের ঘরবাড়ী। পেছনে একটা বাড়ীতে কুয়ো থেকে পানি তুলতে দেখে মনে পড়ে গেল, মাথিনের কুপ এখানেই কোথাও আছে। নাস্তা করে মাথিনের কুপ দেখতে যাবো। আল্লার দান হোটেলে ডাল ভাজি আর চাপাতি দিয়ে উত্তম ব্রেকফাষ্ট শেষে নিরিবিলির সামনে আসতেই দেখি কাল রাতে দেখা গাট্টা শরীরের লুঙির ভেতরে শার্ট গোঁজা কালো কুচকুচে বেঁটে লোকটা বৈঠা হাতে দাঁড়িয়ে সাদা দুপাটি দাঁত বের করে হাসছে- আবদুল্লাহ।
-ওবা ইয়া অনেরা ন যাইবেন? দেরী অই যাইবুগুই তো! (কী ভাই আপনারা যাবেন না? দেরী হয়ে যাবে তো)
-আজিয়া তো নৌকা ন যাইবু, সাগরত ঝড় উইট্টি বলে (আজ তো নৌকা ছাড়বে না, সাগরে নাকি ঝড় উঠছে)
-ঝড় উডিলি কী অইয়ি, এডইল্লা হত ঝড় দেখখি, আবদুল্লা এই লেল্লেইট্টা ঝররে ন ডরায় ( ঝড় উঠছে তো কী হয়েছে, এরকম কত ঝড় দেখেছি, আবদুল্লাহ এইরকম হালকা ঝড়কে ভয় পায় না)
-চেয়ারম্যান সাব ও ন যাইবু বলে, আঁরা যন কি ঠিক অইবু না? (এমনকি চেয়ারম্যান সাহেবও যাবেন না, আমাদের যাওয়া কী ঠিক হবে?)
-চেয়ারম্যান ন গেইলে আবদুল্লার কী, আবদুল্লাহ যাইবু, অনেরা গেইলে চলন, আঁই পৌঁছাই দিয়ুম দে (চেয়ারম্যান না গেলে তাতে আবদুল্লার কী, আবদুল্লাহ যাবে, আপনারা গেলে চলে, আমি পৌছে দেবো)
আবদুল্লাহর কথা শুনে আশাটা ফিরে এল। আমরা আলোচনায় বসলাম। সিদ্ধান্ত হলো- কপালে যা-ই থাকে, আমরা যাবো। দশ মিনিটের মধ্যে গুছিয়ে বেরিয়ে এলাম হোটেল থেকে। নৌকার ঘাট হোটেলের কাছেই। হেঁটেই গেলাম। নৌকায় আরো অনেক যাত্রী উঠছে। টেকনাফ থেকে একমাত্র নৌকা আজকে। এরকম দিনে নাকি একমাত্র আবদুল্লাহর নৌকাই সমুদ্র পাড়ি দিতে পারে। কেন? কিছুক্ষন পরই টের পেয়েছি আবদুল্লাহ কী জিনিস।
নৌকাটা বড়সড়ই। সব মিলিয়ে ত্রিশ-চল্লিশজন যেতে পারে। তবে নৌকায় যাত্রীর চেয়ে মালপত্তর বেশী। অর্ধেকটাই ভর্তি হয়ে আছে ইট, কাঠ আর বাঁশে। এতো এখনই অর্ধেক ডুবে আছে মালপত্রের ভারে। সমুদ্রে গেলে না জানি কী অবস্থা হবে। এ নিয়ে আমরা আবদুল্লাহর কাছে মৃদু আপত্তি জানালাম। সে বললো, এই মালের ওজনেই নৌকাটা আরো নিরাপদ হলো। সমুদ্রে নৌযান যত হালকা তত বিপদজনক। আমাদের তত বোঝার ক্ষমতা নাই। তাই বুঝলাম না। কিন্তু না গিয়েও উপায় নাই। নৌকা বোঝাই মালপত্তরগুলো নাকি হুমায়ুন আহমেদের বাড়ীর জন্য। শুনেছিলাম হুমায়ুন আহমেদও সেন্টমার্টিনের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন এবং সেখানে একটা বাড়ী বানাবেন। এই তাহলে সেই বাড়ীর মাল মশলা। সমুদ্রবিলাস তখন তৈরী হচ্ছিল। সবাই বসে গেলাম সেই মালপত্তরের ফাঁকে ফোকরে।
[চলবে]
নীড় সন্ধানী
১৪ এপ্রিল ২০০৯
মন্তব্য
এইটা কি হইল!!! ....মাত্র টেনশিত পর্যায়ের শুরু ...আর আপনি কিনা...!!!
তেব্র প্রতিবাদ।
জলদি পরের পর্ব আসুক।
আমার কোন দোষ নেই। আরেকটু বড় দিতে গিয়ে সার্ভারের হেঁচকিতে পোষ্ট দুবার গায়েব হয়ে গিয়েছিল। তাই ছোট করে দিতে হল।
লেখা মজাদার হয়েছে কিন্তু সাথে ছবি থাকলে আর মজাদার হত
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ছবিগুলো দিতে পারতাম, কিন্তু অনেক পুরোনো ছবি, স্ক্যান করলে ভালো আসবে না। তাছাড়া বন্যার পানিও খেয়েছে একবার।
আহা রে! আমি প্রথম সেন্ট মার্টিনস গেছিলাম ৯৮-এ, আর শেষ গিয়া আসছি গত সপ্তায়, এপ্রিল, ২০০৯। কী যে পরিবর্তন হইছে, না দেখলে বিশ্বাস করবেন না! দ্বীপটা তো কলুষিত হইছেই, তার চেয়েও বেশি কলুষিত হইছে দ্বীপের মানুষগুলা! লেখাপড়া শিখে নাই, কিন্তু ধান্দাবাজি, চুরি, ফটকাবাজি সব শিইখা গেছে... এত মন খারাপ হইল দেইখা!
আলাদা পোস্ট দিয়া কমু নে! তয় এইখানে মন ভালো করার মতো একটা ছবি দিলাম, তুইলা আনছি ঐখান থেইকা...সেন্ট মার্টিনস জেটির পাশে
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আমি ২০০৩ এর পর যাইনি। এমনকি ২০০৩ সালেও মনে হয়েছে এখানে বড্ড বেশী মানুষ। এখনকার আবস্থা জেনে খারাপ লাগলো। এই দ্বীপটা মারা যাবে মানুষের পদাঘাতে। আমরা কলুষিত করতে উস্তাদ। পর্যটন জিনিসটা আমাদের ধাতে নেই। প্রবাল দ্বীপের জন্য যে পরিচর্যা দরকার তার কিছুই গড়ে ওঠেনি। না সরকার না মানুষ। পলিথিনে ছেয়ে গেছে নিশ্চয়ই এতদিনে। একসময় গর্ব করতাম বাংলাদেশের একমাত্র পলিথিন বিহীন সৈকত।
নতুন মন্তব্য করুন