কাস্টমস কাহিনী-২
এলিফ্যান্ট রোডের জুতা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি মকবুলের একটা প্রিয় ডায়লগ হল... " আমারে যে বেকুব মনে করে সে এখনো মায়ের পেটে, দুনিয়ার মাটিতে এখনো তার পাও পড়ে নাই"। কথা সত্য, সে মানুষ হিসাবে মোটেও বেকুব কিসিমের না...স্বাধীনতার পরে চাঁদপুরের এক অজঁ গ্রাম থেকে খালি হাতে ঢাকা এসে আজকে সে কোটিপতি। এলিফ্যান্ট রোডে চারটা দোকান, ধানমন্ডিতে দুইটা ফ্ল্যাট, ছেলে মেয়েরা সব বিদেশে পড়াশুনা করে। জুতার ব্যবসার পাশাপাশি সে মদ, বীয়ার ,দামী সিগারেট এইসব চোরা পথে আমদানী করে। নিজে এক ফোঁটা মদ ছোয়না, ধুমপান ও করেনা...কিন্তু তার সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গেলে ঢাকা শহরের অনেক নামকরা ক্লাবের ব্যবসা লাটে উঠবে। ভুল বলেছি, চোরা পথে না ,তার মদ-বিড়ি আমদানী হয় ভিভিআইপি চ্যানেলে, বিদেশী কয়েকটি দূতাবাসের সাথে তার খুব দহরম মহরম। ডিপ্লোম্যাটদের জন্য আমদানী করা মদ-সিগারেট সব ট্যাক্স ফ্রী...এমনকি বিশেষ কোন কারন ছাড়া কাস্টমস ইন্সপেকটরদের দুতাবাসের পণ্যবাহী কন্টেইনারে হাত দেয়াও বড় মাত্রার বেয়াদবী, খুলে প রীক্ষা করে দেখা তো দূরের কথা । হাজি মকবুল এই সুযোগে প্যাকিং লিস্ট মন মতো উল্টা পালটা করে ( খুব নাম করা এক শিপিং লাইনের সর্বাঙ্গীন সহায়তায়) , বিশ প্যালেট মদ এনে দেখায় দুই/তিন কার্টন,কন্টেইনার ভর্তি মাল আসে কিন্তু লিস্টে দেখানো হয় মাত্র দশ ভাগের এক ভাগ। আগে থেকেই পেপার প্রসেস করা থাকে , ডিপ্লোম্যাটদের গুডস বিশেষ চ্যানেলে ঝড়ের গতিতে ক্লীয়ার হয়ে যায়, দশ ভাগের এক ভাগ মাল চলে যায় দুতাবাসে আর বাকীটা হাজি মকবুলের গোপন গুদামে। দূতাবাসের কর্মচারী নেয় দুই লাখ, কাস্টমস অফিসারের ভাগে পড়ে লাখ তিনেক...কিন্তু তার পরেও প্রতি চালানে হাজি সাহেবের সব খরচ পাতি বাদ দিয়ে দশ থেকে পনেরো লাখ টাকা লাভ হয়।
মকবুলের মনটা সকাল থেকে ভালো, নিজেই হিসাব করে দেখেছে যে সব ব্যবসা মিলিয়ে এখন তার ঘন্টায় দুই হাজার টাকা লাভ হয়। এখনই দাঁত কেলানোর কিছু নাই, আকিজ সাহেবের লাভ মিনিটে দুই হাজার...মকবুল চক্ষু মুদিয়া ধান্ধা আরো প্রসারিত করার ভাবনায় মশগুল হয়।
এমন সময় ঝন ঝন করে মোবাইল বেজে ওঠে...রিং টোন টা বদলে যদি আজানের ধ্বনি করে দেয়া যেত...ভাবতে ভাবতে মকবুল ফোন হাতে নেয়।
অপর প্রান্তে আক্কাস, তার খুবই বিশ্বস্ত সি এন্ড এফ এজেন্ট। হাজি মকবুলের সব আমদানীর ডান হাত। আক্কাসের কাহিনীও মকবুলের মতই। খালি হাত পায়ে ঢাকা শহরে পদার্পন, মানুষের লাথথি গুতা খেয়ে বাচতে শেখা, আক্কাসের বিশেষ গুন ...সে সবকিছু খুব দ্রুত শিখে ফেলে...তার প্রিয় ডায়লগ হল..." দেখাইয়া দিলে প্লেন ও চালাইতে পারুম"। একবার কাজ কাম খুজে না পেয়ে বেবী ট্যাক্সি চালানো শিখতে গিয়েছিল বি কম পাশ আক্কাস, গ্যারেজের মালিক পারবে কিনা জানতে চাওয়ায় এ কথাটা বলে ছিল...ডায়লগে কাজ হওয়ায় সেই থেকে সেটা মনে গেথে রয়েছে। কিন্তু বেবী ট্যাক্সি তাকে বেশিদিন চালাতে হয়নি, দূর সম্পর্কের এক মামার হাত ধরে এসিস্টেন্ট হিসেবে কাস্টমস হাঊসে তার আগমন এবং অতি দ্রুত দৃঢ় প্রতিজ্ঞা আর কঠোর পরিশ্রমের জোরে সবাইকে ছাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া। আক্কাস এখন প্রতিষ্ঠিত এবং খুবই ওয়েল কানেক্টেড একজন প্রথম সারির সি এন্ড এফ এজেন্ট। আজ পর্যন্ত মকবুলের কোন কাজে সে ব্যর্থ হয় নাই।
" কি হইছে?"...চিন্তায় ছেদ পড়ায় বিরক্ত স্বরে মকবুল হাজি জানতে চায়।
" পেচগি লাগছে হাজি সাব। কড়া পেচগি।"...কিছুটা চিন্তিত ভংগীতে আক্কাস বলে।
মকবুল কোন কিছুতেই সহজে ঘাবড়ায় না। সে ধমকে উঠল..." মাইয়া মানুষের মত কথা পেচাও ক্যান? কি পেচগি লাগছে খুইলা বল"।
"ফোনে বলমু না অফিসে আইসা পরুম?"...আক্কাস জানতে চায়।
মকবুল এবার সোজা হয়ে বসে। বিশেষ জরুরী না হলে আক্কাস অফিসে আসেনা। ঘটনা মনে হয় তা হলে আসলেই গুরুতর।
" এখানেই বল, বইলা অফিসের দিকে রওনা দেও...তুমি আসতে আসতে আমিও বিষয়টা নিয়া ভাবি।"..... কুল, কাম এন্ড কালেক্টেড স্বরে মকবুল বলে।
" আজকে মাল ডেলীভারী হবেনা, মাঙ্গীর পুত তালেবান শালায় পি এস আই রিপোর্ট বাতিল কইরা দিছে, এখন নাকি মার্কেট সার্ভে কইরা দাম ধরব, তার পর প্রত্যেক কার্টন খুইলা দেখব ভিতরে কি আছে। শালায় সাংঘাতিক ক্ষেপা, এক পয়সাও ঘুষ খায়না।"...এক নিঃশ্বাসে আক্কাস বলে উঠে।
" হুমম...আসো তুমি অফিসে, ভাইবা দেখি কি করা যায়। দুপুরে কি খাইবা? বিরানী আনামু?...না ঘাবড়ানো স্বরে ম কবুল বলে।
" বিরানী না নীল ক্ষেত থিকা তেহারী আনান...আমি আধা ঘন্টার মধ্যে আসতেছি"।
" আচ্ছা আসো তাইলে, আর পারলে জানার চেষ্টা কর এত লোক থাকতে তালেবান শালায় আমার সোনা নিয়া টানাটানি শুরু করছে ক্যান? আমিতো সবাইরে নিয়াই ভাগ কইরা খাই...হের যদি মাথায় মাল উইঠঠা থাকে তাইলে নগরবাড়ী গিয়া চুদাইয়া মুড়ী খাইলেই পারে...আমাগো জালায় ক্যান?"...মকবুল আস্তে আস্তে ঘটনার গুরুত্ব অনুভব ক রে কিছুটা রাগান্বিত।
" আপনে একলা না , সে আরো অনেকেরেই হাতে হারিকেন ঝুলানোর ব্যবস্থা করতেছে । বাংলার ছাত্র , কমিউনিস্ট পার্টি করত, বিসিএস দিয়া এই বছরেই জুনিয়র কালেক্টর হিসাবে যোগ দিছে। আগে তার মারফত কোন কাজ করাই নাই...তাই বিস্তারিত জানতাম না...আইজগা পেপার ছাড়াইতে গিয়া বিরাট ধমক খাইয়া খোজ খবর নিলাম। আমাগো বড় ভুল হইছে পাঁচ পার্সেন্ট দামে এল সি খুলাটা। ইনভয়েস ভ্যালু পনরো হাজার ডলারের নীচে হইলে ফাইল জুনিয়র অফিসারদের হাতে পড়ে। দশ পার্সেন্ট দেখাইলেই ফাইল গিয়া পড়ত এসিস্টেন্ট কমিশনারের হাতে, তাইলে আর কোন আলগা চিন্তা লাগতনা...হেরে লাখ পাঁচেক দিয়া আজকেই মাল বাইর কইরা আনতাম।"...আক্কাস জানায়।
" আচ্ছা আসো সামনা সামনি কথা বলি"। মকবুল ফোন রেখে দেয়।
পাঁচ পার্সেন্ট দাম শো করে এল সি করার আইডিয়াটা মকবুলেরই মস্তিস্ক প্রসূত। গত বাজেটের আগে পুরান ঢাকার ট্যানারী মালিক সমিতি এন বি আর এর চেয়ারম্যানকে কব্জা করে আমদানীকৃত জুতার উপর রেগুলার ট্যাক্স ভ্যাট এর সাথে নতুন একটা সাপ্লিমেন্টারী ট্যাক্স বসানোর ব্যাবস্থা করে, দুই চার টাকা না পুরা পঁচিশ পার্সেন্ট। বাজারে জোর গুজব চেয়ারম্যান সাহেব বিশ কোটি টাকা খাইয়া এই কাম করছে। ট্যাক্স বেড়ে যাওয়ায় ইনভয়েস ভ্যালু কমানো ছাড়া গতি ছিলনা, নয়তো পড়তা পড়েনা। তখন খাসা আইডিয়া বলে মনে হলেও এটাকে এভাবে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে দেখে মকবুল যার পর নাই বিরক্ত হল।কিছুটা নিজের উপরে কিছু আক্কাসের উপ্রেও।
আধা ঘ ন্টার আগেই আক্কাস চলে আসল। পুরা রাস্তাই মোবাইলে কথা বলতে বলতে আসছে...তালেবান ব্যাটার আরো উন্মাদ কার্য কলাপের খোজ খবর পেয়েছে... মাথা নষ্ট হওয়ার অবস্থা।
লেবু চিপে রস মাখিয়ে দু'জন চুপ চাপ তেহারী খায় আর ভাবে। মাঝে মাঝে স্প্রাইটে চুমুক দেয় কাচা মরিচে ঝাল লাগলে। খাওয়া শেষে হাজি সাব নামাজ পড়তে যায় আর আক্কাস বাংলা বেনসনের প্যাকেট খুলে একটা বিড়ি ধরায়। বাম দিকে সালাম ফিরাতেই হাজি মকবুলের মাথায় নতুন চিন্তার উদয় হয়।
ফিরে এসে দেখে আক্কাস সিগারেটের ধোঁয়ায় ঘর অন্ধকার করে বসে আছে।
" আরে মিয়া এইসব বাজে অভ্যাস ছাড়োনা ক্যান?"...মকবুল ধমকে ওঠে।
" কি হইব ছাইড়া...মউত যখন কপালে আছে তখন ই হইব"...আক্কাস দার্শনিক ভংগীতে জবাব দেয়।
" মরতে চাইল দূরে গিয়া মর... এখন কাজের কথা কও। হালায় সত্য সত্যই কন্টেইনার খুইলা সব মাল দেখলে আমাগো জিন্দেগীতে আর এই নামে ব্যবসা করন লাগবোনা।"...মকবুল তার আসল দুঃশ্চিন্তার প্রসংগ টানে।
ঘটনা হল...ইনভয়েসে যে সাদা সিধা মালের কথা উল্লেখ আছে তা আছে মাত্র বিশ কার্টন, বাকী সব নামকরা ব্র্যান্ডের কপি মাল। কাস্টমস ইন্সপেক্টরকে আগে থেকেই বলা থাকে কোন কোন কার্টনে জেনুইন মাল আছে , আর সে ওগুলো খুলে দেখেই রিপোর্ট দিয়ে দেয়। মাগনা না...পাত্তি দিতে হয় তাকে। মাল খালাস হয়, কপি মালে বাজার ছেয়ে যায়...মকবুলে ব্যাংকে নতুন ব্যালেন্স জমা হয় , আক্কাসের টুপিতে নতুন পালক পড়ে। পল ওয়েল আর নিঊ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দৌড় গুয়াং ঝৌ আর শেন ঝেন পর্যন্ত... মকবুল ওগুলার পালা অনেক আগে শেষ করে এখন মাল বানায় অনেক দুরের ঝেঝিয়াং প্রদেশে। পাহাড়ের নীচে ছোট ছিম ছাম ফ্যাক্টরী। সারা বছর গরীব দেশের লোক জনের জন্য কপি জুতা বানাতে ব্যস্ত। এদের উপর নির্ভর ক রেই মকবুল তার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে... এখন কোন এক নীতিবান মুর্খের জন্য ধরা পরে গেলে সব মাঠে মারা যাবে।এটা হতে দেয়া যাবেনা...ভাবতে ভাবতে মকবুল চোয়াল শক্ত করে।
দু'জন নীচু গলায় আলাপ করতে করতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের ফন্দি আঁটে।
পরের ঘটনা সং ক্ষেপে বলি। স্কোর বোর্ড দেখায় তালেবান ১ : মকবুল গং 0।
মকবুল জানে কখন হার মানতে হয়। নামাজে পাওয়া রেফারেন্স ভ্যালুর আইডিয়া বাদ দিয়ে বাজার দাম হিসাবে ট্যাক্স দেয়ার তালেবানী চক্রান্ত মেনে নেয়। এতে তার পঞ্চান্ন লাখ টাকা অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে হয়। পুরা চালানে লাখ বিশেক গচ্চা যাবে। উদর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে এ যাত্রা পুরা চালান খুলে দেখার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। ফলে মকবুলের লাইসেন্স বেচে যায়। তবে সততার ধ্বজাধারী আবাল অফিসার মকবুল গং এর বিরুদ্ধে অল আউট জেহাদ ঘোষনা করে এবং গত পাঁচ বছরের সমস্ত ফাইল খুজে বের করে দুর্নীতি দমন কমিশনে মকবুলের নামে মামলা করার হুমকি দেয়। মকবুল এটা জানতে পেরে অনেকদিন পরে বেচাইন হয়ে যায়।
আক্কাস চলে গেছে। কিন্তু তার চিহ্ন, বাংলা বেনসনের প্যাকেট পড়ে আছে। মাগরিবের নামাজের সময় হয়ে গেছে। মকবুল মসজিদে না গিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে ধোঁয়ায় ফুস ফুস ভরে ফেলেই পরক্ষনে কলিজা বাহির হইয়া যাইতেছে জাতীয় আওয়াজে দুরন্ত কাশতে থাকে।
কাশতে কাশতেই মকবুল প্রতিজ্ঞা করে যে তার বাড়া ভাতে ছাই যে দিয়েছে, তার পাকা ধানে মই যে চালিয়েছে, তাকে এমন চরম শিক্ষা দেবে যা ব্যাটা দুঃস্বপ্নেও দেখে নাই।
মকবুল জানে তার সেটা করে দেখানোর ক্ষমতা আর সাহস দুইটাই আছে।
( চলবে)
মন্তব্য
দুর্দান্ত হইছে..
ক্যাটেগরী দেখি গল্প..আমি ভাবছিলাম জীবন থেকে নেয়া।
চালাইয়া যান বস।
জীবন থেকেই নেয়া। নাম ধাম আর কিছু বৃত্তান্ত ধার করা তাই নিরাপদ থাকতে গল্পের ক্যাটাগরীতে দিলাম। তবে ঘটনা বাস্তব।
মারাত্মক হইছে। ঝড়ের বেগে চলুক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ইমানে কইতাছেন নাকি কাচা হাতের লেখা দেইখা দয়া পরবশ হইয়া সান্তনা দিতাছেন?
কথা ভালো মত গুছায়া ল্যাখতে পারিনা তয় চোখ কান খুইলা আশপাশের কান্ড কীর্তি দেখি। মাঝে মইধ্যে দুই একখান অভিজ্ঞতা আপনেগো না শুনাইলে মাথা বিলা লাগে।
আপনেরা কইলে কিচ্ছার বাকীটা শুনামু...তয় অখাদ্য লেখা পড়িয়া বদ হজম হইলে এই অধমকে গালি দিতে পারবেন না কিন্তু...
আরে ব্স, চেতেন কিলায়, চালায় যান, চলবে মানে, উরতাসে, তারাতারি দেন মিয়া ২য় ভাগ। অসাধারণ। বদ হ্জম যদি হ্য় কারো, আমি আসি না, ঘুটা দিয়া ওরস্যালাইন খায়ায় দিমুনে।
গল্পের ধারাটা চমৎকার
০২
লেখার সাথে কোথাও একটা জায়গায় নিজের নামটা যুক্ত করে দেবেন
চমৎকার
লেখা জমে ওঠেছে ! চালাইয়া যান.....
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হুমম ....আপনার লেখা দেখে আবার জানলাম
ওপরে স্বচ্ছ হলেও গভীরে পানি অনেক ঘোলা
(জয়িতা)
বিটিভিতে একসময় 'তথাপি' বলে একটা নাটক হতো, বিষয় ছিলো কাস্টমস আর চোরাচালান...
আপনার ঝরঝরে লেখা পড়ে ওই নাটকটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ভাই সগল আমি যতটুকু সম্ভব রাইখ্যা ঢাইক্যা লেখার চেষ্টা করছি, সত্যিকার অনেক ঘটনা আরো বেশী নোংরা । দুর্নীতিকে যেভাবে আমাদের দেশে সরকারী ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয় তা অবিশ্বাস্য এবং অগ্রহনযোগ্য। এর একটা বিহীত রাজাকার বিচারের মতই অবিলম্বে হওয়া দরকার।
বাংলা নাটকের কথা মনে নাই, নিজ চোখে আশে পাশে যা দেখছি তা নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করি। ভুল চুক হইলে মাফ ক রিয়া দিবেন।
তৃতীয় পর্ব অনেক ঘন্টা আগেই পোস্ট করছি, এখনো তার কোন চিহ্ন দেখতেছিনা।
আবার পোস্ট দিব নাকি অফ দিয়া ঘুমাইতে যাব বুঝতেছিনা?
এনি আইডিয়া?
(মামুন হক)
কঠিন লিখেছেন
চলুক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
পড়তে খুব আরাম বোধ হলো।
চলুক। অবশ্যই চলুক।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এই গল্পের হাজী মকবুল গত হয়েছেন কিছুদিন আগে...মৃত্যুর সময় তিনি তিন ছেলে, পাঁচ মেয়ে, প্যারালাইজড প্রথম স্ত্রী, প্রাক্তন বুয়া বর্তমান দ্বিতীয় স্ত্রী ( গোপন প্রেম ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে শাদী করা), চল্লিশটা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অনেক কোটি টাকা, স্বনামে-বেনামে গোটা দশেক বাড়ী, বিস্তর জমি-জিরাত ( কৃষি থেকে বানিজ্যিক সব পদের), নতুন মডেলের বেশ কয়েকটা গাড়ি, এবং বেশুমার চ্যালা-চামুণ্ডা রেখে গেছেন।
দুঃখের বিষয় মৃত্যুর সময় তিনি কিছুই সাথেই নিয়ে যেতে পারেন নাই, অবৈধ সম্পদ শেষ পর্যন্ত সাত ভূতেই লুটে পুটে খায়।
নতুন মন্তব্য করুন