বিকেলের আড্ডায় আজ বিষন্নতার ভার ছিল অনেকখানি।
সুজনের ‘যাবো যাবো’ করেও বিদেশ যাওয়া হয়ে ওঠছে না।
আর শ্যামল ছেলে অপুকে এই শহর গ্রাস করছে ক্রমশ !
আজও বললো - “মা বলেছে -পাকা আম, কাঁঠাল যে শেষ হয়ে এল বাবা,
তুইতো এখনও এলিনা।”
আমি চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ভাবি -
কবে পড়ালেখার সমাপ্তিতে চাকুরী পাবো?
কেমন অগোছালো হয়ে পড়ছে বিন্যস্ত দিনগুলো।
ঠিক তখনই বিকেলের আকাশ ভাসে চোখে।
বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড আর টাওয়ারের ভিড়ে
টুকরো আকাশ চোখে পড়ে -
চোখে পড়ে এক আশ্চর্য তীব্র বিলাসিতা।
অট্টালিকার ছাদের উপর গড়ে উঠছে কুকুরের খাঁচা ,
ছাদের আধেক সীমানায় সাদা রঙের ‘চরম বিলাসিতা’।
মনে পড়ে চয়নদা’র মেসঘরের কথা।
ছোট্ট ঘরে চারটি ছেলের যেন খড়কুটো ধরে ভাসতে থাকা।
গেল মঙ্গায় বাবাকে চিতায় তুলে দিতেই,
চয়দাকে মেটাতে হয় ছ’টি পেটের ক্ষুধার যন্ত্রণা....
গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিত উপার্জিত গুটিকতক নোট।
ওর সারাদিন কেটে যেত এক টুকরো পাউরুটি আর চা’য়।
আর আমি দেখি, সিমেন্টের খাঁচায় বন্দি মঙ্গাপীড়িত বোধ।
ঐ মেসঘর , আয়তনে খাঁচাটির অর্ধেকেরও কম।
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ভাবি - জয়তু ‘কুকুর ভাগ্য’ !!
‘কুকুর ভাগ্য’র কাছে হেরে গেল
‘মানব ভাগ্য’ কিংবা ‘সাম্যবোধ’ ॥
মন্তব্য
সে তো সেই পন্ডিতমশাই-এর আমল থেকেই হয়ে আসছে
হয়ে আসছে, তাই আজও হতে দিতে হবে, তা কি হতে পারে ??
বিবেকবর্জিত এহেন অর্থ-অপচয় সম্পর্কে সচেতন হবেন বিত্তবানেরা -
প্রত্যাশা এটুকুই।
কবিতাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ,
ভাল থাকুন, প্রতিদিন....... প্রতিক্ষণ ........
জুয়েইরিযাহ মউ
মউ,
কবিতা ভাল লেগেছে
ধন্যবাদ,
ভাল কাটুক প্রতিদিনের প্রতিটিক্ষণ .........
জুয়েইরিযাহ মউ
জুয়েইরিযাহ মউ- কি সম্মানিত অতিথি লেখকের নাম?
কবিতা পঠিত হলো। আরো লিখুন। আমরা পাঠকরা পড়ি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
জ্বী,
আমার নাম - জুয়েইরিযাহ মউ
ভাল থাকুন....... প্রতিদিন......... প্রতিক্ষণ.........
ধন্যবাদ.
দিব্য
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
ধন্যবাদ
জুয়েইরিযাহ মউ
চমৎকার লাগল কবিতাটা।
কবিতা পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
জুয়েইরিযাহ মউ
নতুন মন্তব্য করুন