এ লেখাটা লেখতে গিয়ে নিজেকে চোর চোর লাগছে। সচল আজমীরের পুলিশ সংক্রান্ত লেখা হলো তার কারন। উনি যদি প্রতারিত বোধ করেন, তার জন্যে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আসলে উনার লেখা পড়তে গিয়ে আমার নিজের ঘটনা গুলো মনে পড়ে যায়।
- সাইফ
আমি আমেরিকা আসি ২০০৫ এর জুলাই মাসে, তখন আমার স্ত্রী ৩ মাসের গর্ভবতী। আমি এসে পৌঁছাই নিউ ইয়র্ক সিটি, আমার শ্যালিকাও ছিল, বেচারী তখন আমাদের গাইড, এর আগে কখনো উপমহাদেশের বাইরে যাইনি, খুব ই ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থা। সে বেচারী তখন আপস্টেটে থাকে, আন্ডারগ্র্যাড করছে কেমিস্ট্রিতে। সে বেচারী আমাদের আস্তে আস্তে শিখায়, কিভাবে সাব ওয়েতে উঠতে হয়, কিভাবে ম্যাপ বুঝতে হয়, সেই সাথে প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি চলছে। সোশাল সিকিউরিটি কার্ড না আসা পর্যন্ত আমি কাজ ও শুরু করতে পারছি না। আমি তখন থাকতাম শহরের একটু বাইরে, কাছের সাব ওয়ে স্টেশনটাতে যেতে ৪৫ মিনিট লাগে বাসে। আমি বুঝে গেলাম, ঘোড়ার ডিমের শহর, এখানেও ত গাড়ী ছাড়া অচল। আসার আগে সবাই বলল নিউ ইয়র্ক সিটি যাও, ওখানে সাব ওয়ে আছে, গাড়ী লাগে না, কচুর সাব ওয়ে।
যাক, এক মাসের মাথায় সোশাল সিকিঊরিটি কার্ড আসতেই ছুটে যাই ডি এম ভি, এরা লাইসেন্স দেয়, আমাকে লারনার পারমিট দিয়ে বলে, রোড টেষ্টের জন্য আগে থেকে নাম লেখাতে হবে। ঐ ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখি, একটা সার্টিফিকেট লাগবে যে, আমি ২০ ঘন্টা গাড়ী চালিয়েছি। গেল মাথাটা গরম হয়ে। বাধ্য হয়ে যেতে হল ড্রাইভিং স্কুলে, সেখানে সর্বনিম্ন ৫টা ক্লাস নিতেই হবে। বললাম, কী করা যাবে, তাই সই, এর মাঝে আমার গাড়ী কেনা শেষ। জিজ্ঞেস করলাম, তা দাদা, রোড টেষ্ট কবে? বলে , ২ মাস পর, আমার তো পুরা মাথা ভনভন করে চক্কর দিতে থাকে, ঐ বেটা বলে, এর আগে খালি নাই কোথাও। আমি মনে মনে গালির তুব্রি ছুটাতে থাকি, নিজেকে খুব অসহায় লাগতে থাকে। লারনার থাকায় আমি সাহস করে গাড়ী রেজিস্টার করিয়া ফেলি, তারপর চালানো শুরু করি। আমার লাইসেন্স হয় শেষ মেস ৬ মাস পর, এই ৬ মাস আমি বিনা লাইসেন্সেই গাড়ী চালাতে থাকি নিউ ইয়র্ক সিটিতে। কিভাবে লাইসেন্স হল, সে গল্প নাহয় আরেকদিন বলা যাবে।
বিদেশ আসার পর প্রথম রোজার ঈদ, তখন আমার শ্যালিকা ছাড়া আর কেউ নেই এখানে। ঠিক করলাম, আমার এই আদরের ছোট বনের সাথেই ঈদ করব, তার ক্লাস চলছে, তাই আমি আপস্টেট যাব মনস্থির করলাম। যেই না ভাবা, সেই না কাজ, আমি আর আমার স্ত্রী রওনা হলাম, যাবো পুকিপ্সি (Poughkeepsie)। এর মাঝে আবার আমার এক বন্ধু এসে হাজির দেশ থেকে, তার ভাই নাকি আপস্টেটে থাকে, পুকিপ্সিতেই, তার সাথে দেখা করব বলে ঠিক করলাম। ম্যাপকোয়েস্ট করে তার বাসায় হাজির হলাম, সে আবার খুব করে ধরে বসল, ইফতার না খেয়ে যাওয়া যাবে না, আমরা তখন হাভাতে, কেউ খেতে দিলে আর না করি না, বিদেশ এসে এটুকু শিখে গেছিলাম, কেউ খেতে দিলে না করতে নেই, “মাগনা পাই, আলকাতরা খাই” এর মত অবস্থা। রোজার মাস বলতেও পারি না যে, খাওয়া এখন দেয়া যায় না? আমরা তো রোজা নাই, হে হে হে। আমরা মুসাফির। গিয়ে পৌছিয়েছি বেলা ১২ টার দিকে, বন্ধুটিকে বললাম, এতক্ষন কি করা যায়, চল ঘুরতে যাই, আসে পাশে যা আছে ঘুরে আসি।
আমার বন্ধুটি বলল, বেস, চল, এখানে একটা স্টেট পার্ক আছে হাডসন নদীর উপত্যকায়। গেলাম সেখানে, জায়গাটা এতই সুন্দর যে বলে বোঝানো যাবে না। পাহারের ঢালের মত পাড় দুপাশে, মাঝখান দিয়ে বিশাল নদী, ঢালে আবার নানান রঙের ফুলের গাছ হিসাব করে লাগান, একই রঙের ফুল ফুটে আছে। অসাধারণ অপরূপ এক দৃশ্য। ওই খানে কিছুক্ষন বসে থাকলাম ৩ জনে, তারপর ঠিক করলাম, পার্কটা ঘুরে ফিরে দেখি, এই ভেবে পার্কের ভেত্রের সর্পিল রাস্তা দিয়ে গাড়ী চালাতে চালাতে একেবারে পার্কের শেষ মাথায় চলে আসি, সেখানে এক গাড়ী চলার মত সরু একটা ব্রিজ। পার হ্যে ভেতরে ঢুকে দেখি, এক পার্ক রেঞ্জার বসে আছে, কিছু না থাকায় সাঁই করে গাড়ী ঘুরিইয়ে নিয়ে বের হয়ে আসি, কিছু রসিকতাও করি, “দেখেছ, কোন কাজ নেই, বসে বসে ডিম পারছে। কে জানত সেই ডিম আমাকে কাঁচা খেতে হবে!
ওই যায়গা থেকে বের হওয়া মাত্র দেখি পার্ক রেঞ্জার পুঁ পুঁ করে ছুটে আসছে, আমি এক পাশে দাড়িয়ে যাই, তার হয়ত জরুরী ডাক এসেছে, কিন্তু সে এসে ঠিক আমার পিছে দাড়িয়ে পড়ে, আমার তো তখন প্যান্ট খারাপ করার অবস্থা, নেই আমেরিকার লাইসেন্স !! ভাবলাম, আজ জেলের ভাত নিশ্চিত। আর বুঝতেও পারছি না, কি জন্য মামু আমার পিছে??
যাক, আমি কন নিয়ম কানুন জানি না, তাই গাড়ী থেকে বের হয়ে যাই, যেই না বের হয়েছি, মহিলা রেঞ্জার (মামি) মাইকে ধমক দেয়া শুরু করল, আমি ভয়ে হাত তুলে দাড়াই, কথায় ভাবলাম, মাফ টাফ চাইব, সে আমাকে কোন সুযোগই দিতে চায় না। এর পরে সে আমাকে মাইকে যা বলল, তার মানে হল, গাড়িতে গিয়ে বস, আমি আসব। এম্নিতেই গড়বড় করে ঘটনার শুরু, তখন তো ভয়ে আমার হাত পা ভেতরে সেঁধিয়ে যেতে চাইছে।
ভিতরে ঢুকে বসলাম, মহিলা এসে আমাকে বলল, “লাইসেন্স এন্ড রেজিস্ট্রেশন”, ইন্সুরেন্স , গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন বের করে দিয়ে বললাম, লাইসেন্স তো নাই, বলে, “মানে, কস্কি মমিন” । আমি দেঁতো হাসি দিয়ে বললাম, আসলে আমার ইন্টারন্যাশনাল লাইসেন্স আছে, ওইটা দেই? মহিলার আমার কাচুমাচু মুখ অথবা বিটকাল দাঁত, কোন একটার গুনে মণে দয়া হল, সে বলল, দাও। দিলাম, নিয়ে বলল, তুমি বস, আবার বের হইয়ো না। আমি এর মধ্যে ২বার সরি বলার চেষ্টাও করলাম, আসলে সে আমাকে এখনো বলতেই পারে নি, কি জন্যে সে আমাকে দাড় করিয়েছে। তার মাথায় তখন আরো বড় চিন্তা, আমি লাইসেন্সের নামে তাকে যা দিয়েছি, তা কতটুকু আসল। যাক ১৫ মিনিট পরে ফিরে এসে বলল, তুমি যে ব্রিজটা পার হয়ে এসেছ, সেটা এক লেন, তমার অপেক্ষা করে থাকার কথা আসার পথে। আমি বললাম, আসলে আমি তো একদম নতুন, নিয়ম জানি না, তারপরেও আমি খুবি লজ্জিত, দেখলাম, সে আর লাঈসেন্স নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করল না, সে বলল, বস, আমি আসতেছি, বলে, আবার ১৫ মিনিট এর জন্য হাওয়া।
তারপরে এসে বলল, যাও এবারের মত তোমাকে ক্ষমা করে দিচ্ছি, কিন্তু এমন ভুল যেন আর না কর! এই বলে সে আমার কাগজপত্র ফেরত দিয়ে দিল। আমার তো যেন দেহে প্রান ফিরে আসল, কিছু পাম্প পট্টি দিয়ে দিলাম, ওহ, ইউ আর সো কাইন্ড, ইউ আর দা বেস্ট, এদিকে আমার স্ত্রীতো আমাকে পারলে জবাই করে তখনি কোরবানির ঈদ করে ফেলে।
(চলবে?)
সাইফ
মন্তব্য
চলতেই হবে।
তবে এক লেনের ব্রিজে অপেক্ষার ব্যাপারটা বুঝিনি। এক লেন হলে তো আপনাকে অন্যপথে আসতে হতো, অপেক্ষা কেন?
পিপিদা, যাবার এবং আসার জন্য একটিই মাত্র ব্রিজ, যাওয়ার সময় অগ্রাধিকার দেয়া হয়, আর ফেরার পথে বোধ হয় stop sign ছিলো , আমি বেকুবের মত ভোঁ করে চলে এসেছিলাম, যেমন কর্ম, তেমন ফল হয়েছিল।
তাহলে তো বড় বাঁচা বেচেছেন মনে হচ্ছে। তবে একটা কথা প্রচলিত আছে যে বিপরীত লিংগের পুলিশ হলে নাকি হয় বেশী দয়াময় নয়তো বেশী নির্দয় হয়।
পিপিদা, দেখা যাক পরের পর্বে আপনার ভবিষ্যত বানী সত্যি প্রমানিত হয় কিনা, এ যাত্রায় তো পার্ক রেন্জার ছিল, আসল পুলিশ না।
দূর্দান্ত হয়েছে বস। কিছু কিছু জিনিস একেবারে মনে হল আমার নিজের কথা।বিশেষ করে রোজার ব্যাপারটা--হা হা হা ---
সাগ্রহে অপেক্ষা করছি পরের পর্বের---
বস, আর বইলেন না, সকালে নাস্তা না খাইয়া গেসিলাম, ক্ষিদায় জান শেষ, তাও মুখ ফুইটা কইতে পারি না, রোজা রাখি নাই । পরের পর্বের গল্প একটু বেশী করুন, দেখি লিখে ফেলব। অনেকগুলা লেখা জমে আছে, মাথা গরম হয়ে আছে।
হা হা হা সাইফ, দারুন লিখেছো ভাই!
এক্কেবারে ঝরঝরে, মসৃন লেখা।
পরের পর্বের অধীর অপেক্ষায় রইলাম।
বস, আপনাদের দোয়ায় এসব আপঝাপ লেখার সাহস পাই, আর মডু বসের দয়া কইরা লেখা গুলা ছাড় দেয় বইলা, নাহলে হা কইরা বইয়া থাকা লাগতো
চমৎকার হচ্ছে কাহিনী.....চলবে অবশ্যই।
ধন্যবাদ নওশিন, একটা লেখা ছাড়ো এবার।
মজা লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই, খুব শীঘ্রই দিব।
চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ, বস
মামদোবাজি মজাদার মনে হলো। বাইরের গল্প পড়লেই আমার বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা ফুরফুর করে উড়ে যায়!
বেরাতে আসলে আওয়াজ দিয়েন, মামুদের সাথে সাক্ষাত করিয়ে দিব
দুই মাসতো খুবই কম সময়!...আছি কানাডায়...আলবার্টা তে এক বছর! বড় বাঁচা বেঁচেছেন...বাইরে বাইর হলে গুলি করে দিতে পারত!
আসলে ২ মাস এখানে অনেক সময় কারন, সিটি থেকে বের হলে যেদিনেরটা সেদিনই পাওয়া যায়, সাথে খালি একজন লাইসেন্সধারী মানুষ লাগে। আর ভুক্তভোগীদের কাছে শুনেছি কানাডা আর অস্ট্রেলিয়াতে লাইসেন্স করানোর ঝক্কি।আমি যেখানে থাকি, সেখানে লাইসেন্স করতে শুরু থেকে শেষ করতে লাগে ১১ দিন। প্রথম দিন যেয়ে লারনার নিবেন, তার ১০ দিন পর "আগে আসিলে আগে পাইবেন " ভিত্তিতে রোড টেষ্ট নেয়া হয়।মাঝের ১০ দিন আপনার হাত পাকানোর জন্য
বস, আপনার লেখা কিন্তু অফলাইনে থেকে পড়ছি নিয়মিত। তোফা হচ্ছে
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ধন্যবাদ বস, অফলাইন অনলাইন যেভাবেই পড়েন না কেন, জেনে আনন্দিত হলাম আর অনুপ্রানিতও হলাম। আপনার লেখাতো আমি পাগলের মত পড়ি, তারপর স্ত্রীকে পড়তে বলি, অসাধারণ আপনার লেখনী
জ্বি স্যার।
সব লেখা বের করে দিয়ে মাথা হালকা করে ফেলেন ঝটপট।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হা হা হা, শিমুলাপু, তা হবার নয়, মাথা থেকে যেগুলো বের হতে চায়, তার কোনটাই ছাপার যোগ্য নয়, , আমার ব্লগস্পট দেখলেই বুঝবেন। ভালো ভালো কিছু গল্প আপনাদের শোনাই তার থেকে, সেই ভালো। তবে আসতে থাকবে আমার নানা সময়ের নানা ধরা খাবার গল্প । মাঝে মাঝে মনে হয়, ধরা খাবার জন্যই আমার জন্ম।
আপনার লেখাটা চমৎকার হয়েছে, পড়ে বেশ মজা পেলুম । তবে গাড়িতে আপনার সাথে যারা ছিল তাদের জন্য খারাপই লাগছে । বিদেশী মামার সাথে দেশী ভাগ্নার আরো কাহিনীর অপেক্ষায় থাকলাম ।
আপনার মতামত পড়েও অনেক মজা পেলুম আসিতেছে ২য় পর্ব, চা খাইবো না, কসম
আরে খাইসে ... স্বাগতম আমার দলে ... ধুরু ভাইউ, বৃথাই কেন ক্ষমা চান, এতো আমার সৌভাগ্য যে আপনিও লিখছেন ... আমিতো ভেবেছিলাম আমি একাই পুলিশের প্রিয় বান্দা ... এখন জানতে পারলাম যে, আমি একা না ... আপনার মত আমার সাথী আছে ... তবে লেখা থামালে চলবেনা ... চালিয়ে যান ... দেখা যাক, আমাদের আরও সাথী এভাবে বের হয়ে আসে কিনা
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
ধন্যবাদ ভাইজান, এখন মনে শান্তি পাইলাম, আপনার যখন আপত্তি নাই, তখন ধুমধাম আরো ৩-৪ টা পর্ব নামায় দিব
সবই বুঝলাম... শুধু যদি আজমীরের মত ফাঁকিবাজি করসেন তো খবর আসে! লেখা মুচমুচে। আরেক বাটি দেন তাড়াতাড়ি।
বস, আপনার কথাই সই, কালকেই দিয়ে দিব ২য় পর্ব
- লেখার মজার। আপনার আগের একটা লেখা ছিলোনা? "আই ডোন্ট ড্রাইভ ফাস্ট, জাস্ট ফ্লাই অ্যা লিটল লো"। চরম মজা পাইছিলাম রে ভাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগোদা, আপনার ভালো লাগলো যেন মনে সাহস বাড়লো।
এইটা বস আমার লেখা ছিল না, তবে যেই লিখে থাকুক, একদম মনের কথা লিখেছে, জটিলস্য জটিল উক্তি
উক্তিটা আজমীরের। এই লেখায় (নীড়ে ফেরা - উড়াল পর্ব) ছিল। অধম টুকলিফাই করেছিলো আজমীরের কাছ থেকে।
হা হা হা, ইশতি ভাই, টুকলিফাই করিয়া মনে হইতেছে ফাসিয়া গিয়াছেন, আজমীর ভাই এক বস, আপনে আরেক, ২ জনেই জটিলস্য জটিল লেখা দেন
বিদেশী পুলিশ আপারা অনেক সুইট মনে হচ্ছে
শাসিদা, যখন বাত্তি জ্বালায় আইসিল, তখন একদম খান্ডারী টাইপ ছিল, ছাইড়া দেওয়ার পর ভালই লাগসে। আসলে জঙ্গলে বইয়া থাকতে থাকতে মহিলার মন নরম হইয়া গেসিলো, কাউকে দেখতে পাইয়া মনে হয় তার মনে ফুর্তির আবির্ভাব হইসিল।
গাড়ি থেকে বের হলে কিসের ঝামেলা? গুলি করে দেবে?
এখানে নিয়ম হল, গাড়ীতে বসে থাকতে হবে, পুলিশ আসবে, আসলে এটা একটা প্রয়োজনীয় সাবধানতা, গাড়ী থেকে বের হয়ে কেউ যদি অন্য গাড়ীর মুখে পড়ে, বা পালানোর চেষ্টা করে, এখানে তো পাগলের অভাব নেই , আর ড্রাগস থাকলে এই সুযোগে যদি ছুড়ে ফেলে দেয়, গাড়ীর ভেট্রে না পাওয়া গেলে তারা আটক করতে পারবে না।
আপনার লেখা মনে হয় এই প্রথম পড়লাম, এতদিন শুধু কমেন্টই পড়ছি। লেখা ভালো লেগেছে, এবং আরো লেখা আশা করছি।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
শীঘ্রই দিচ্ছি, পেয়ে যাবেন ২য় পর্ব
লেখা ভালো লাগলো।
______________________________________
আমার গরল বন্ধুরা সব কই রে !!!
______________________________________
লীন
ধন্যবাদ, ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রেরনা পেলাম
এদিকে আমার স্ত্রীতো আমাকে পারলে জবাই করে তখনি কোরবানির ঈদ করে ফেলে।
কেনো? আপনার ১০০ ডলার ফাইন হলে উনার ভালো লাগতো? আমিতো আরো উলটা ঝাড়ি দেই, কই কি পোলা তুমি, বেটিরে ভজাইতে পারলা না ?
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হা হা হা, না তাতাপু, এই অতিরিক্ত টেনশন তৈরি করার জন্যে, সবসময় বলে আস্তে চালাও, দেখে চালাও ইত্যাদি, অবশ্য তার কথা শুনলে আজকে এ সিরিজ লেখা হত না . আর আপনার কথাও ঠিক, আমার উচিত ছিল বেটিরে ভজায় কাইত করা, বউ গাড়ীতে থাকায় ওই পথে পা বাড়ানোর সাহস হয় নাই
বহুদিন থেকে মনে মনে ভাবতেছিলাম সময় পাওয়ামাত্রই এই সিরিজটা পড়তে বসব। অবশেষে আজ পড়ার সুযোগ হলো। দুর্দান্ত লেখা সাইফ ভাই। খুব মজা পাইলাম। যাই, পরের পর্ব পড়ি।
নতুন মন্তব্য করুন