সাইফ
আগের ঘটনাটা ছিল রোজার ঈদের ১ দিন আগেকার, তখন বোধ হয় নভেম্বর মাস, ডিসেম্বরে আমার শ্যালিকার সেমস্টার শেষ হইল, তাহাকে ফিরাইয়া আনিতে হইবে, তাই এক শনিবার (তারিখটা বোধ হয় ১৭) তাহাকে আনিবার জন্য চলিয়া গেলাম সেই আপস্টেটে, কলেজটার নাম বার্ড, শহরের নাম রেড হুক। সেইখানে সকাল সকাল পৌছাইবার ইচ্ছা, তাই আগে ভাগে বাহির হইলাম, বাহির হইয়া কোনভাবে হাইওয়েতে উঠিয়াই পড়িমড়ি করিয়া টান দিলাম, তখন খুব স্পিডিং করিতাম, ৫৫ তে ৮০-৯০ মাইলের কমে চালাইতাম না, আর ঐ রাস্তায় এতবার যাওয়া আসা করিয়াছি যে ১২০ মাইল রাস্তার যাবতীয় চিপা, কোনা পর্যন্ত মুখস্ত। জানিতাম কোথায় পুলিশ ওৎ পাতিয়া বসিয়া থাকে। আমার ঔদ্ধত্যই আমার জন্য কাল হইয়া দাড়াইল।
যাক, ১২০ মাইল যাইতে আমার দেড় ঘন্টার মত লাগিল, তাহারপর আমার বোন বলিলে, তাহার সহিত তাহার ৩ বন্ধুও যাইবে, আমি বলিলাম, কোনই অসুবিধা নাই, লাগেজ আটিলেই চলিবে। মাল তো আর আমি মাথায় করিয়া নিব না, গাড়ী বহন করিবে, গাড়ীর কষ্ট হইলে আমার কী বা যায় আসে? যেই না বলা, সেই না কাজ, বেচারী ১ ঘন্টার মাঝেই সবাইকে একসাথে করিয়া ফেলিল, আমি মাল সামাল গাড়ীতে উঠাইয়া ফেলিলাম, এখন বাহির হইবার পালা। গাড়ীতে আমার বোন আর তাহার ৩ বন্ধু, আফরোজা, এঞ্জেলিক আর এডউইন। আবহাওয়াটাও ছিল চমৎকার, আর পিছনে এমন উত্তেজিত সব টিনেজার যে, আমার ও রক্ত তখন কিছুটা গরম, এমন না যে আমি আস্তে গাড়ী চালাই, তখন যেন মাথা আরেকটু বেশীই গরম ছিল।
পাই পাই করিয়া স্টিয়ারিং ঘুরাইয়া টায়ারে ধোঁয়া তুলিয়া চিঁহিঁহিঁ আওয়াজ করিতে করিতে আমি রাস্তায় উঠিয়া আসিলাম। ভিতরকার রাস্তা গুলোতে যেহেতু মানুষজন থাকে, তাই মোটামুটি ভদ্দরনোকের ন্যায় গাড়ী চালাইয়া হাইওয়েতে উঠিয়া আসি। মনে মনে বলিতে থাকি, অপেক্ষা কর বাছাধনেরা, হাইওয়েতে উঠিয়াই মজা দেখাইব, গাড়ী টানা কাহাকে বলে। তাহারা আমার এহেন বানী শুনিয়া যেন আরো উত্তেজিত হইয়া গেল। আমার এই ঔদ্ধত দেখিয়া বিধাতা নিশ্চয় দর্শনিয় দাঁত ভেটকি দিয়া বলিয়াছেন, “আসো বাছা, তোমার জন্য বংশদন্ড তৈয়ার করিতেছি, তৈল ও মাখাইতেছি উত্তম রূপে, জায়গা মত আসিলে উহা তোমাকে যথাযথভাবে সঠিক স্থানে প্রদান করিব। এই বংশদন্ডের কথা তোমার আজীবন মনে থাকিবে”।
যাহাই হউক সেই হাইওয়েতে উঠিয়াই আমি ৮৫ উঠাইয়া ফেলি, সূর্য তখন আমার একদম চোখে মুখে আসিয়া পড়িল, আমিও হাকুল্লার মত টানিতেই থাকি, সামনে একটা ব্রিজের নিচে কিসের যেন নড়াচড়া দেখিতে পাই, তখন রক্ত গরম থাকিলে কি হইবে, অভিজ্ঞতার আসলেই অভাব ছিল আমার। কিন্তু চোর পালাইলে যেমন বুদ্ধি বাড়ে, তেমনি তখন আর আক্ষেপ করিয়া কি হইবে, সর্বনাশ যা হইবার, তা হইয়া গিয়াছে, কাছে আসিবা মাত্র বুঝিলাম, আজিকে পড়িয়াছি মামার হাতে, নিস্তার নাই আর, আজিকে মামা আমাকে দিয়া সকালের নাস্তা করিবেন বইকি, উপহার হিসাবে প্রেম পত্রও দিবেন নে, আদর করিয়া কোলে বসাইয়া, বলা যায়না, ২-১ টা চুম্বন ও লাগাইয়া দিতে পারেন।
আমি মামাকে পার হইয়া আসি, দেখি, বেটা নড়িতেছে না, আমি তো খুশিতে লম্ফ দিয়া উঠি, হঠাৎ দেখি বেটা আস্তে আস্তে রাস্তায় উঠিয়া আসে, আমিও আস্তে আস্তে ডাইনে চাপিয়া গাড়ীর গতি ৫০ করিয়া ফেলাই, মামুকে দেখাই আরকি, যে দেখিতেছ মামা, রাগ করিওনা, আমি ভদ্রভাবে গাড়ি চালাইতেছি, কিন্তু বেটাত মহা বজ্জাত, নচ্ছাড়, আমার পশ্চাতের কাছে আসিয়া বাতি জ্বালাইয়া দিল, আমি বুঝিলাম, এত বুগিজুগিতে কাম হইলো না। তখনো কিন্তুক আমার লাইসেন্স হয় নাই, লারনার আছে, কিন্তু ওইটা বাহিরা করি না, কারন, পাশে একজন লাইসেন্সড চালক ছাড়া আমার লারনার ব্যবহার করিবার অধিকার নাই। আমি আর কোন পথ না দেখিয়া ডান প্বার্শের শোল্ডারে দাড়াইয়া পড়ি, মুখে একটা অসহায় ভাব ফুটাইয়া তুলিবার আপ্রান চেষ্টা করিতে থাকি।
বেটা আসিয়া আমাকে কহে, আগের মত, “লাইসেন্স এন্ড রেজিস্ট্রেশন”। আমি আগের বারের মত আর কথা না বাড়াইয়া ঐ বহিটা, আর অন্যান্য কাগজ বাহির করিয়া দিলাম। সেই বেটা আমার লাইসেন্স দেখিয়াই বলে “কস্কি মমিন” ‘এইডা আবার কিতা’। আমি দাঁত ভেটকাইয়া বলি, ইহা আমার “সুনার বাংলা” থিকা দেওয়া ইন্টারন্যাশনাল লাইসেন্স, বলে এই জিনিষ তো আগে দেখিনাইক্কা। মনে হয়, দাঁত বেশী ভেটকাইয়া ফালাইয়াছিলাম, তাহাতেই কাল হইল, বলিল, তুমি কি জান, তুমাকে আমি কেন দাড় করাইয়াছি? আমি একটু মুখ করুন করিয়া বলিলাম, “আলগা পিরিতি করিবার তরে !!” আসলে ইহা তো আর বলিতে পারি না, বলিলাম, আমি মনে হয় ‘একটু’ জোরে যাইতেছিলাম, সে বলিল, একটু নহে, তুমি ৫৫ এর রাস্তায় ৮৪ মাইলে গাড়ী ছুটাইতেছিলে, (আমি মনে মনে কহিলাম, গাড়ী খালি রাস্তায় ছুটাইবো নাতো কি তোমার পক্কু দিয়া ছুটাইবো নাকি) মুখে বলিলাম, আমি খুবি লজ্জিত, আমাকে এইবারের মত কি ক্ষমা করিয়া দেওয়া যায় না? সে বলিল, আরে মিয়া, ২৯ মাইল গতিসীমার উপর দিয়া চালাইতেছ, তোমাকে ক্ষমা করা তো দুরের কথা, তোমাকে ছাড়া যাইবে না হাজতে নিতে হইবে, সেইটা আগে ঠিক করিতে হইবে, তোমারতো গাড়ীও টো করাইতে হবে মনে হইতেছে।
ইহা শুনিয়া তো আমার চক্ষু চড়কগাছ, আমার আত্মা শুকাইয়া সাহারা মরুভূমি হইয়া গেল। মনে মনে বিধাতাকে স্মরণ করা শুরু করিলাম, আজিকে তো মনে হয় ‘আর ইয়া পার’ মার্কা অবস্থা। বেটা আমাকে বসিতে বলিয়া চলিয়া গেল। আধাঘন্টাকাল অতিবাহিত হইল, কিন্তু চান্দু তো আর আসে না, সে কম্পুটারে কি যেন ঘুটুর মুটুর করিতেছে, তাহার পরে দেখিলাম, বেটা কাহাকে যেন দুরালাপনিও করিল, তাহার ৫-৭ মিনিট পরে দেখি আরেক বেটা গাড়ী হাকাইয়া চলিয়া আসিল, তাহার পরে ২জনে মিলিয়া গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করিতে লাগিল। ৪৫ মিনিটকাল গত হইবার পরে বেটা আমাকে কহে, তোমার এই লাইসেন্স দিয়া তো গাড়ী চালানো যাইবে না।
আমি তো বুঝিয়া ফেলিলাম, ঘটনা কোন দিকে যাইতেছে, তাহারা DMV manual খুলিয়া দেখিয়াছে, এতক্ষন ধরিয়া বেটারা তাহইলে এই রহস্য উদ্ঘাটন করিয়া ফেলাইয়াছে। বিধি বাম, যাহাই হউক, আমি তো এই কাহিনী ঢাকা হইতে আসিবার সময় হইতে জানি যে, গ্রীন কার্ড থাকিলে ঐ লাইসেন্স ব্যবহার করা যায় না, কিন্তু বিনয়ের অবতার সাজিয়া ভং ধরিয়া বলিইয়া ফেলি, আসলে তো আমি জানিতাম না (পুরাতন বোতলে ভরা নতুন সুধা)। এইবারের মত আমাকে ছাড়িয়া দাও, কসম কাটিতেছি, ফিরিয়া গিয়া লাইসেন্স করাইব। সেও বুঝিতে পারিল, এ হারামী তো মহা ধুরন্ধর, তাই সে বলিল, তোমাকে আমার খুব ভাল লাগিল, তাই টিকিট দিয়া ছাড়িয়া দিতেছি, আমি বুঝিলাম, এখন আর মশকারি করা ঠিক হইবে না, তাই ভালো বালকের ন্যায় কহিলাম, তাই দাও, আমি শালা মানুষটাই খারাপ, দেখনা, কেমন জোরে গাড়ী চালাইতেছি। সে হাসিয়া বলিল, তোমার পিছে পিছে যাইব আমি, দেখিব তুমি কেমন করিয়া গাড়ী চালাও (আমি মনে মনে গান গাইতে থাকি, তুমি কেমন করে ধরা খাও হে শুনি, আমি অবাক হয়ে দেখি শুধু দেখি … … …”)। আমি আর কথা না বাড়াইয়া কাগজপত্র ফেরত লইয়া গাড়ী ছাড়িলাম।
(চলিবে?)
|
সাইফ
মন্তব্য
সোনার বাংলা ইন্টারন্যাশনালের গল্প চলবে কিনা সেটা প্রশ্ন করে জানতে হয়? ধুরো ভাইয়া, আপনাকে বুঝতার মানুষ ভাবতাম... আপনাকে দেখে আজমীর নিয়মিত কাহিনীগুলো লেখা শিখলে হয়। একাধারে সিরিজ নামাতে থাকুন, একটা সময় দারুণ কিছু দাঁড়িয়ে যাবে।
আর ২ মাইল জোরে গেলেই তো একদিনের হাজতবাস হয়ে যেতো। গতিসীমার ৩০ মাইলের বেশি প্রতি মাইলের জন্য ১ দিন করে বাধ্যতামূলক জেল। আগে জেল, পরে আদালত, তারও পরে অর্থদণ্ড।
খুব, খুব প্রিয় একটা গান দেওয়ার জন্য আলাদা করে ধন্যবাদ। বোনাস একটা মন্তব্য করে যাই। বাংলায় ব্লগানো মনে হয় উপভোগ করতে শুরু করেছেন। আগের মত টাইপো-সমুদ্র নেই আর। আপনার লেখার স্বাদ দুই কাঠি বেড়ে গেছে স্রেফ এখানেই!
বস, আপনার এরূপ মন্তব্য পাইয়াতো আমার ৩২" বুকের ছাতি ফুলিয়া ৪২" হইয়া গেল, তখন অবশ্য জানিতাম না ৩০ মাইলের অধিক জোরে চালাইলে হাজতে লইয়া যাইয়া মিঠাই মন্ডা খাওয়ায়। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই প্রীত হইলাম। পরের পর্ব আসিতেছে দ্রুত। গানটি আমারও খুব প্রিয়।
এভাবে কি চলবে?
বারবার পুলিশ ধরবে আর ছাড়বে?
একবার যান
জেল খেটে আসুন
তারপর একটা সচিত্র বর্ণনা দিন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বলা যায় না, যেতেও পারি, আপনারা চাইলে, পড়ার জন্য ধন্যবাদ
ওরে দুষ্টু----
জব্বর লেখা হয়েছে বস।
তোমার যে হারে শনৈঃ শনৈ লেখার উন্নতি হচ্ছে--কিছু দিনের মাঝে বাকি সবাই তল্পি-তল্পা গুটিয়ে গামছা দিয়া বাতাস খাবে---
ইশতির সাথে একমত---বানান ভুল এইবার নাই বললেই চলে। শুধু তাই নয়---'সাধু' ভাষার বর্ণনা নতুন মাত্রা যোগ করেছে তোমার অভিনব সব অভিজ্ঞতার লেবাসে---
সাধু সাধু!!!!!!
বস, গামছা তো সব আমার দখলে, হাওয়া খাইতেছি, কাজেই বাতাস খাইতে হলে লুঙ্গি দিয়া বাতাস খাইতে হবে
দারুন লেখা হয়েছে , মামদোবাজির গল্প গুলো পড়িতে ভাল লাগিতেছে বটে কিন্তু তাহার সুবাদে আপনার ইন্সুরেন্সে কিরুপ প্রভাব পড়িয়াছে সেটাতো বলিলেন না ।
পরিশেষে এত সুন্দর একটা গান দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ,মন ভাল করা একটা গান ।
ম্যাডাম এমি, আপনে আমার পরবর্তী পর্বের গুমর যদি এখনই শুনতে চান, তাহলে তো সমস্যা, তারপরেও বলি, ঐ টিকেট টা ছিল আমার সেই স্বদেশী লাইসেন্সে, যার ফলে কোর্টে গিয়ে জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে গিয়েছিলাম। রেকর্ডে কিছু আসেনি। গানটি ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম, আর কিছু না হোক, একজন রমণীর মন ভালো করতে পেরেছি, এও অনেক বড় পাওয়া
নথিপত্রে এই ইতিহাস রহিয়া থাকিলে বুঝিতেন টিকেট প্রাপ্তির কষ্ট কাহাকে বলিয়া থাকে। কেননা, আমি আমেরিকা হইতে -৯ নম্বর লইয়া বাহির হইয়াছি কিনা, তাই এই দুঃখ আমি ভালই জানি। তবে আশা করি আপনি আমার মত ফাঁকিবাজ সচল না হইয়া এক্র পর এক এরূপ কাহিনি উপহার দিয়া যাইতে থাকিবেন।
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
আজমীর ভাই, এটাতো কেবলে ১নং টিকেট, আরো আছে, চিন্তা করবেন না, পরের গুলো এত সহজে পার পাইনি। চেষ্টা করবো সব গুলো লিখে শেষ করতে
ধরা খেয়েই গ্যালেন!
শা.সি.দা, খাইয়াই গেলাম, তবে ঘটনার শেষ এখানেই না।
- আমি যেবার ইন্টারন্যাশনাল লাইসেন্সের ভেক ধরা বাংলাদেশ থেকে আনানো জিনিষটা ঠোলা মামুষের হাতে দিলাম, সেটা হাতে নিয়ে ঠোলা জিজ্ঞেস করলো, "এটা কি পাসপোর্ট"? ঐ ব্যাটার আর কী দোষ! পাসপোর্ট ফটোর সাইজের ঐ জিনিষের রঙটা ছিলো সবুজ, আর ভেতরে ভগিচগিতে ভরা ৮-১০ টা পাতা। আমি কই না, এটারে আমাদের দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স কয়।
তবে আমারে স্পিডিং করার কারণে আটকায় নাই। গাড়ি নিয়া বান্দরামী করার অপরাধে ধরছিলো। স্পিডিং-এ একবারই ধরা খাইছিলাম, ক্যামেরায়। ৬০ জোনে ৯০তে উড়াল দিছিলাম। ঐ যাত্রাও চাপাবাজীর অশেষ কল্যানে বিনাকড়ি, বিনাশাস্তিতে মুক্তি পাইয়া গেছিলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো বস, আসলেও বস, গাড় সবুজ বইয়ে বিভিন্ন পৃষ্ঠায় বিভিন্ন ভাষায় হাবি জাবি লেখা। শেষ পৃষ্ঠায় ছিল ইংরেজী।
বস, কাহিনীটা কি কোথাও দিসেন, না দিয়া থাকলে একদিন দিয়া দেন, আপনার সৌভাগ্যের গল্প শুনি।
সেও বুঝিতে পারিল, এ হারামী তো মহা ধুরন্ধর, তাই সে বলিল, তোমাকে আমার খুব ভাল লাগিল, তাই টিকিট দিয়া ছাড়িয়া দিতেছি, আমি বুঝিলাম, এখন আর মশকারি করা ঠিক হইবে না, তাই ভালো বালকের ন্যায় কহিলাম, তাই দাও,
আমি দিনে দিনে এ্যামেরিকার পুলিশের প্রেমে পড়ে যাচ্ছি। পুরা পুলিশ একাডেমী অবস্থা। ডাচ পুলিশ গুলোর কেনো কোন দয়া মায়া নাই? এরা কেনো যেনো বেরসিকের মতো সঠিক সময়ে খালি সঠিক কাজ করে ফেলে।
কপাল শালা।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপু, চলিয়া আসেন, আপনাকে হয়তো নাও থামাইতে পারে , আর ধরলে ভজায় ফেলাইবেন, হা হা হা। ডাচ পুলিশেরা মনে হয় সারাক্ষন "কফি" তে বুদ হইয়া থাকে।
কেমন যেন দ্বীর্ঘশ্বাসের শব্দ পাইলাম, মনে হইল ধরা খাইবার গল্প আপনারও কম না, নামাইয়া দেন, আমি দলে ভারী হই একটু, একা একা ধরা খাইতে ভালো লাগে না
সিরিজ তো আপনার স্পীডের মতই উড়াধুরা চলতেছে। আমি হাইওয়েতে স্পীড লিমিট মানার জন্য বেশ কয়েকবার হর্ণ খেয়েছি। এসব গা সওয়া হয়ে গেছে। এখন হর্ণ খেয়ে আর মন খারাপ হয়না। হর্ণ দিলে দে, আমি স্পীড লিমিটের ১০ কিলোর বেশি চালাবো না, ব্যস। তখন বিরক্ত ড্রাইভার আমার পাশ দিয়ে প্রচন্ড গতিতে পাস করে সিগনাল না দিয়েই আমার সামনে চলে এসে তার রাগ দেখায়। আমি কিছুই মনে করিনা।
পিপিদা, ৩টা টিকিট আর কয়েকবার পুলিশের চোখ রাঙানি খাওয়ার পর থেকে এখন আমিও ১০-১৫ মাইলের উপরে যাই না আর, ধন্যবাদ বস, কষ্ট করে লেখা পড়ার জন্য, এখানে অবশ্য হর্ণ বাজাইনি গত আড়াই বছরে, অন্যরাও বাজায় না।
আমার এখানেও বাজায়না, তবে যেগুলো শুনেছি সেগুলো টরন্টোর আশে পাশে। ওখানে কিছু ড্রাইভার আছে যারা খুবই রাফ চালায়। কিংবা টরন্টো জায়গাটাই হয়তো এমন যে রাফ চালাতে হয়।
হা হা হা, পিপিদা, ঠিকই বলেছেন,
আগের পর্বের চেয়েও বেশী মজা লাগলো....বিশেষ করে আপনার অনুবাদ করা মামার ডায়ালগ গুলো! যেমন, কস্কি মুমিন, ধুরো মিয়া হা হা হা....
সব শেষে গানটি মধুর লাগলো।
ধন্যবাদ নওশিন, আপনার ভালো লাগলো জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো। আবার ও বলছি, একটি লেখা দিয়েই দেখুন না, সচল আপনাকে আপন করে নিবে।
মজার!
মূলোদা, পড়ার জন্য ধন্যবাদ, দেখা যাক মজা ধরে রাখতে পারি কিনা
ফাটাফাটি সাইফ, সচলের আদাজল খাওয়া দিলখোলা আধা পাগলা সদস্যদের মধ্যে তুমি এক্কেবারে প্রথম কাতারে। ইমানে কই ভাই তোমার মতো মামুদের জন্যই দুনিয়াতে এত রং। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। তাড়াতাড়ি না দিলে তোমার নিজের খেয়ে পরের সেবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে খ্যাতির বিড়ম্বনায় ফেলে দিব কিন্তু
কিঞ্চিত উপকারের বিনিময়ে আমাকে এইভাবে খ্যাতির বিড়ম্বনায় ফালাইবার ভয় দেখাইয়া কালো চিঠি দিতেছেন , তাহা দেখিয়া বড়ই মজাক পাইলাম। বস মনে হয় পড়িয়া বড়ই তৃপ্ত হইয়াছেন, আপনাকে ক্ষনিকের তৃপ্তি দিয়া আমিও অতিশয় তৃপ্তি পাইলাম
ডরাইছি!!!!!!!!!!!!
দ্রোহীদা কোন কিছুতে ডরায় একথা আমার বিশ্বাস করা সম্ভব না, তাও খুব খুশি হলাম, নিজেকে সচলের পরিবারের অংশ বলে মনে হয়, আর গর্বে বুক এক হাত ফুলে যায়।
লেখায়, গানে পরিপূর্ণ একটা পোস্ট।
অসাধারণ, সাইফ ভাই।
দিনটা শুরু হলো আপনার চমৎকার পোস্টটি দিয়ে। নেন, পাঁচতারা নেন।
অফ টপিকঃ আপনার ইমেইল রেগুলার চেক করেন তো? এতদিনে আপনার অতিথি সচল একাউন্ট হয়ে যাওয়ার কথা।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
রেনেটদা, ধন্যবাদ, তারা দিয়ে তো আমাকে লজ্জায় ফেলে দিলেন, ই-মেইল চেক করেছি, অবশ্য স্প্যামে চলে গেল কিনা!!
এরকম মন্তব্য পেয়ে দিন শুরু করতেও ভালো লাগে
বেশ মজা পেলাম!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মুমু আপু, ধন্যবাদ
সাইফ দাদা গান কার গাওয়া?
আমি আসলে হেমন্ত দাদার গাওয়া ভার্ষনটা খুজছিলাম, এটা বস কার গাওয়া ঠিক জানি না, তবে esnips এ অমিত্র সুধা নামে একজন আপলোড করেছেন, আমি আপনার জন্য লিংকটি দিয়ে দিলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি কি আমাদেরই সাইফ?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপু দেখা যাচ্ছে আমার আনন্দ আপনাকেও স্পর্শ করেছে, আসলেও অতিথি হিসাবে সচল হবার ব্যাপারটি ছিল খুবই আনন্দঘন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই সাইফ তাহসিনটা আবার কে?এতদিন তো জানতাম তার নাম ডাক নাম সাইফ ভালো নাম যাচাই করা হয়নি, ঐ বেটা আবার গেলো কার সাথে মামদোবাজী করতে?
বাবা দিবস উপলক্ষে মামদোবাজী বন্ধ রেখে বাবা দিবসের নিয়ে লেখার চেষ্টা করতেছি, আর নিজেই নিজেকে বলতেছি, সচলে সুস্বাগতম,
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
দুর্দান্ত, স্রেফ দুর্দান্ত। খুবই মজার বর্ণনা। আমি তো মহাভক্ত হয়ে গেলাম এই সিরিজের। পরেরটা পড়তে যাই।
তা বস, ধুগো'দা কি জানে যে আপনার শ্যালিকা আছে?
নতুন মন্তব্য করুন