চলচ্চিত্র বার্তা - জন কিউ
(প্রজাপতি)
অনেক দিন ধরে সচলে নানাজনের লেখা মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে যাচ্ছি । পাঠক হিসেবে দিন পার করে দিবো ভাবছিলাম , কিন্তু আশে পাশে কয়েকজন সচলাসক্তের প্ররোচনায় আজকে কিছু একটা লেখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছি। কি লিখবো তা নিয়ে অনেক দ্বন্দ আর অসারতা, তা কাটিয়ে উঠতে পারছি না, তাই ভাবলাম, কয়েকদিন আগে আমার দেখা একটি ছায়াছবির উপর গৌরচন্দ্রিকা করব।
সাম্প্রতিককালে আমার দেখা ছবিগুলোর মধ্যে এই ছবিটা আমার মনে বেশ দাগ কেটেছে । ছবির ঘটনা হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে – আরো পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রে যাদের আর্থিক অবস্থা করুন, তাদেরকে কিভাবে অপদস্ত করা হয়, এবং তারা কতটা নিরুপায় হয়ে যায়, সেটা সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ ছবিতে। আর নিরুপায় হবার পরেও নানা রকম সাংসারিক চাপে তার কী বা করার থাকে, সকল রাস্তা যখন বন্ধ হয়ে যেতে থাকে, তখন কী সে অসৎ বা ভুল পথে পা বাড়াবে? যদি বাড়ায় তাহলে কি তার স্বত্তা হারিয়ে ফেলবে?
মানুষ যখন দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন ভাবে, আমার চাইতে খারাপ অবস্থায় কেউ নেই, কিন্তু সে কি আসলেই সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে? সে জানতে পারে না যতক্ষন না সে আরো খারাপ অবস্থায় পড়ে, সে তখন বুঝতে পারে, তার এখনো অনেক কিছু আছে হারানোর। আর হারানোর ভয়ে সে কি তখন সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করতে পারে? দেখা যাক চলচ্চিত্র আমাদের কোন দিকে নিয়ে যায়? জন আর্চিবাল্ড, তার স্ত্রী ডেনিস আর্চিবাল্ড, আর তাদের একমাত্র সন্তান মাইকেল আর্চিবাল্ড । তাদের সন্তানের একমাত্র লক্ষ সে বড় হয়ে রেসলার হবে, পেশীবহুল হবে, কাজেই তার ঘর ভর্তি নানান খেলোয়ারের পোস্টার।
এদিকে মাইকেলের বাবা জন শিকাগো শহরে একটি কারখানায় চাকরি করে, অর্থনীতিতে মন্দা যাবার কারনে তার ১৬ বছরের পুরানো চাকুরিতে তাকে ফুল টাইম থেকে পার্ট টাইমে অবনত করা হয়, তাকে আশ্বাস দেয়া হয় যে, তাকে সকল সুবিধা দেয়া হবে, যা সবাই পায়। ডেনিস কাজ করে একখানা ফাস্ট ফুডের দোকানে, দুজনের আয়ে মাস চলে না, যাবতীয় বকেয়া বাকি, গাড়ীর কিস্তি শোধ করতে না পারায় এক সকালে ব্যাংক এসে গাড়ী নিয়ে যায়। জন তাতে মোটেও বিচলিত নয়, সে অফিসে গিয়ে তার সুপারভাইজার কে ধরে, তাকে যদি আরেকটু বেশি সময় দেয়া যায়, তাহলে তার বাড়তি কিছু আয়ের বিনিময়ে সে গাড়ীটা ছুটিয়ে আনতে পারে ব্যাংক থেকে। কিন্তু নানা ধানাই পানাই করে তার সুপার তাকে কাজে ফেরত পাঠায়।
কাজ থেকে ফিরে জন বউকে নিয়ে ছেলের বেসবল খেলা দেখতে আসে, ছেলেকে নিয়ে বাবা-মার উচ্চাশার শেষ নেই, কারোই কম থাকে না। ‘মাইকি’ হোম রান করার জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে মাঠের মাঝে হঠাৎ করে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়ে, তার আবাব মা ছুটে আসে, ছেলেকে তুলে নিয়ে ছুটে যায় হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারে, মাইকি মৃত্যু পথযাত্রী, তার বাঁচার একমাত্র পথ হলো হৃৎপিন্ড প্রতিস্থাপন । আর তার সময় সীমাও সপ্তাহে, মাসে না। তার বাবার সাথেও মিলে যায়, কিন্তু, এ তো আর বৃক্ক নয় যে, ২ খানা আছে, একখানা কেটে দিয়ে দিবে বাবা। কিন্তু এরপরে তারা আবিষ্কার করেন যে তাদের যে লোক দেখানো ইন্সুরেন্স আছে, তা দিয়ে কিছুই হবে না, আড়াই লাখ ডলার লাগবে, এবং হাসপাতাল এরকম অবস্থায় শুধু মাত্র ক্যাশ নিবে, অন্য কোন ভাবে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানি তাদের এই ব্যায়ভার বহন করবে না। কিন্তু জন বলে উঠে, আমার তো পূর্ণাঙ্গ ইন্সুরেন্স আছে, হাসপাতালের ডিরেক্টর বলে, তোমার ইন্সুরেন্স আমাদের হাসপাতাল নেয় না, আর যে ইন্সুরেন্স তোমার আছে, তা মাত্র ১০,০০০ ডলার পর্যন্ত খরচ দিবে। আরো বুদ্ধি দেয় যে, সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাও, তারা বিনা পয়সায় চিকিৎসা করবে, কিন্তু তাদের ট্রান্সপ্লান্টের ব্যাবস্থাই নেই। অগত্যা তারা যেতে পারে না সেই হাসপাতাল ছেড়ে।
অফিসে গিয়ে জন জানতে পারে যে খরচ কমানোর জন্যে তার কোম্পানি সস্তা আরেকটি কোম্পানির কাছ থেকে ইন্সুরেন্স কিনেছে কিছুদিন আগে, কিন্তু পুরানো কর্মচারী বিধায় তারা ৩০,০০০ ডলার পর্যন্ত খরচ দিবে। এ ধরনের হটকারিতায় বিহ্বল হয়ে জন কী করবে, তা যখন বুঝতে পারে না, তখন হাওপাতালের এক নার্স বুদ্ধি দেয় যে, সরকারের কাছে আবেদন করতে, নানা রকম ফান্ড থেকে টাকা জোগাড় করা সম্ভব। সে বেচারা সেই অফিসে গিয়ে ধর্না দিতে থাকে, অনেক কষ্টে জন চিঠি বের করে যে, তাকে সরকার সাহায্য করবে। সেই চিঠি নিয়ে জন যখন হাসপাতালে গিয়ে ডিরেক্টরের সাথে দেখা করে, সে তাকে বলে, তুমি তো ভুল ফর্ম পুরন করেছ, আর এর মাঝে এক সপ্তাহ গত হয়েছে, তোমার কিন্তু ইতিমধ্যে অনেক টাকা বাকি পড়ে আছে। সব জায়গা থেকে ঠোকর খেতে থাকে ।
অগত্যা কোন উপায় না দেখে জন বাড়িতে যা আছে সব বিক্রি করতে থাকে, টিভি, ফ্রিজ, এক পর্যায়ে হাতের পাঁচ পিক আপ ট্রাক টাও চলে যায়, রবিবারে চার্চে গিয়েও হাত পাততে হয় মানুষের কাছে সন্তানের চিকিৎসার জন্যে। এসব করে ১৬,০০০ ডলার জোগাড় হয়, সে গিয়ে সব টাকা জমা দেয়, কথা দেয়, বাকি টাকাও জোগাড় করবে সে, তাকে একটু সময় দেওয়া হোক। কিন্তু হাসপাতাল সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় যে, তাদের যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা আগের খরচের অর্ধেক ও শোধ করতে পারে নি। কিন্তু ভাগ্যের কাছ হার মানতে অপারগ বাবা সব জায়গায় ধর্না দিতে থাকে । আশার আলো একটূ দেখা শুরুই করেছিলো তখন্ই মাইকির মা হাসপাতাল থেকে ব্যাকুল হয়ে ফোন করে যে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাদের ছেলেকে ছেড়ে দিচ্ছে ,তারা আর দায়িত্ব নিবে না । শোকে ভয়ে বিভ্রান্ত মা জনকে বলে মাইকিকে বাচানোর জন্য যা পারে করতে তাদের হাতে আর একদম সময় নেই।
জন কি করবে বুঝে উঠতে না পেরে বিভাগীয় প্রধানের কাছে ছূটে যায় । সেই চিকিৎসককে বার বার বুঝাতে থাকে যে তার সন্তানের নামটা ট্রান্সপ্লান্ট লিস্টে দেয় এবং তার চিকিৎসা বন্ধ না করে , সে যে করেই হোক অপারেশনের খরচ জোগাড় করে ফেলবে । কিন্তু ডাক্তার বলে সে নিরুপায় হাসপাতালের উর্ধতন কতৃপক্ষ সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে । বোঝাতে ব্যার্থ জন ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে এবং উত্তেজিত হয়ে তার পকেট থেকে বন্দুক বের করে সেই ডাক্তারকে জিম্মি করে বসে । এরপরের ঘটনাগুলো খুব দ্রুত ঘটতে থাকে । জন ডাক্তারকে নিয়ে জরুরী বিভাগে নিয়ে সেখানে যারা ছিল তাদেরকেও আটকে ফেলে । তার শুধু একটাই দাবী তার ছেলে যেন চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়। পুলিশ জরুরী বিভাগে ঘিরে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে । মিডিয়াও ছুটে আসে এবং প্রতি মুহূর্তের ধারা বর্ণনা করতে থাকে , সেই সাথে যে ব্যক্তি ঘটনার মুল তার নাম প্রকাশ হয় জন কিউ নামে । সেকি আসলে সন্ত্রাসী না দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অসহায় পিতা তাও প্রকাশ হয়ে যায় । এর পরের ঘটে যাওয়া প্রতিটা মুহূর্ত শ্বাস রুদ্ধকর সেইসাথে মর্মস্পর্শী। আপনারা না দেখলে বুঝবেন না , আমিও আগে থেকে বলে মজাটা নষ্ট করতে চাই না । কিন্তু ছবির শেষের দিকে আপনার ভেতরকে একেবারে কাপিয়ে যাবে , অন্তত আমাকে স্পর্শ করেছে ।
ছবিটার নাম “জন কিউ” , ডেনজেল ওয়াশিংটন অভিনীত, পরিচালনা করেছেন নিক কাসাভেটেস ।
(প্রজাপতি)
মন্তব্য
সিনেমাটা দেখে ইন্স্যুরেন্সের ব্যাপার গুলো তখন হতবাক করে দিয়েছিল। লেখা ভাল লাগছে কিন্তু পুরা কাহিনি কিন্তু এভাবে বলে দেওয়া ঠিক না
শুভ হোক আপনার সচলে লেখালেখি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আসলে ও বেশী লিখে ফেলেছি, আগামীতে চেষ্টা করব রেখে ঢেকে লেখার, প্রথম লেখাতো!!
দেখেছি ছবিটা। ভালো লেগেছিলো।
"দ্য টেকিং অব্ পেলহ্যাম ১২৩" দেখে ফ্যালেন। ড্যানজেল ওয়াশিংটন আর বিশেষ করে জন ট্রাভোল্টার দুর্দান্ত অভিনয় দেখে ভালো লাগবে।
দ্রোহীদা, দেখব, নতুন ছবিতো, টরেন্টে আসুক ভালো প্রিন্ট। ডেনজেল ওয়াশিংটনের অভিনয় অসাধারণ, তার ছবিগুলো দেখে ভালো লাগে, ধন্যবাদ।
উঁহু। এই ছবি ছোট পর্দায় দেখে আরাম লাগবে না। হলে গিয়ে দেখার উপায় না থাকলে বিশাল কোন টিভিতে দেখতে পারেন।
অবশেষে আপনার লেখা পড়ার সৌভাগ্য হল আমার, এটা কী আপনার প্রথম লেখা? আপনার লেখা খুবই ঝরঝরে, পড়ে মনে হল সিনেমাটা আবার দেখছি, বেশ বিস্তারিত, ভাষার গাথুনিও খুব ভালো, আর নতুন লেখিকা হিসাবে আপনার টাইপিং এ তো মনে হল একেবারেই ভুল নেই। নিজের ব্যাপারে এ কথা জোর দিয়ে বলতে পারছি না।
জন কিউ আসলেও খুব অসাধারণ একটি ছবি, যেমন অভিনয়, তেমন তার গল্প, আর গল্পটিও সত্য ঘটনা অবলম্বনে, আমার খুবই প্রিয়। সচলে সু-স্বাগতম, আশা করছি খুব শীঘ্রই আবার আপনার লেখার দেখা পাবো।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
জ্বী দাদা, এটা এই নাচীজের প্রথম এবং খুব সম্ভবত শেষ লেখা । একটা লিখেই বুঝতে পেরেছি আমি মুলত পাঠিকা , লেখিকা না ।
আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে শুনে খুব প্রীত হলাম । আমি আপনার লেখার কিন্তু বিশাল ভক্ত । অলপ কিছুদিন হলো এখানে এসেছেন এরই মাঝে হিটখোরের তালিকায় প্রথম কয়েকজনের মধ্যে চলে এসেছেন । আপনার কাছ থেকে আরো অনেক সুন্দর লেখা পাবার আশায় রইলাম ।
শুভেচ্ছা রইলো।
আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, "মূলত পাঠক" নামেও একজন আছে। তিনি এমনটাই বলতেন। মূলত পাঠিকা'কে সচলে স্বাগতম।
এই তো আরেকটাকে পাওয়া গেছে...
পাঠকদার লেখা আমি পড়েছি, আমার বেশ প্রিয় । তিনি হয়তো এমনটা বলতেন বিনয় করে ,কিন্তু আমি হয়তো এ্ই নামকরন স্বার্থক করে যাবো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সে্ই সাথে অভিনন্দন।
আমার অকিঞ্চিৎকর লেখার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। শীতনিদ্রায় ঠিক যাই নি, যাক সে কথা, আজ একটা লিখেছি।
আপনার লেখা ভালো লাগলো, তবে চলচ্চিত্র নিয়ে লিখতে গিয়ে কাহিনী বর্ণনা করাটা অধিকাংশ ক্রিটিকরা এড়িয়ে যান। স্পয়লার অ্যালার্টের কথা ছাড়াও, দর্শক ছবি দেখতে গেলে কাহিনী তো জানতেই পারবে। তার চেয়ে আপনার অনুভূতি আর ভালো বা খারাপ লাগার কারণগুলো বললে বেশি কাজ হয়। এ বিষয়ে আমার মতও ভিন্ন নয়।
আরো লিখুন।
আমি মুলত পাঠিকা
সাবাশ। মূলোদাতো শীতনিদ্রায় চইলা গেছে।
আপনিই এখন আমাদের ভরসা।
বস, আপুর কমেন্ট পইরা একটা জিনিস বুঝলাম, কিন্তু আপনার কমেন্ট পইরা আবার আউলায় গেলাম।
ওরে এমি---থুক্কু--প্রজাপতি---!!!
সচলায়তনে সুস্বাগতম!!!!!
দারুন লেখা।
বলতে দ্বিধা নেই---তোমার পতিদেবতার ঈর্ষান্নিত হবার যথেষ্ট কারণ আছে তোমার লেখার ব্যাপারে। একটুকুও কিন্তু বাড়িয়ে বলছি না।
চমৎকার লেখা হয়েছে---কিন্তু আরো আসুক।
শুভেচ্ছা
ইনিও কি আপনার প্রেরণায় এসেছেন ?
আজ্ঞে পিপিদা , আমাদের পারিবারিক প্রেরণার উৎস একই হিমালয়ে ।
পারিবারিক প্রেরণা মানে? আপনার উনিও সচলে আছেন নাকি?
হয়তো আছে, কালকেই তো দেখলাম আপনার সাথে ফোনে কথা বলছে, পৃথিবীটা আসলেই ছোট।
প্রজাপতি
আরে তাই নাকি? কিন্তু উপরে উনি কমেন্টাইলেন যে... আমি কিঞ্চিত বিভ্রান্ত
হ্যা বস!!!
আজ আমার বি-রা-ট ফুর্ত্তির দিন!!!
আপনি আর ইশতি পাল্লা দিয়ে রিক্রুট করা শুরু করছেন মনে হয়
যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট কোস্টের সচলের দুজন অতি সক্রিয় রিক্রুটার ।
অনিকেতদা অনেক অনেক ধন্যবাদ , এত সুন্দর তারাখচিত কমেন্ট করেছেন দেখে একটা নিমন্তন্ন পাওনা রইলো ।
নাহ বস, আমার দৌড় এখানেই শেষ।
প্রজাপতি।দি,,আপনার মন্তব্য পড়ে পড়ে আপনাকে খুব পরিচিত মনে হচ্ছে,,যদিও আমি এখানে খুবই নতুন
আপনার বর্ণনাশৈলী অসাধারণ!
সুমিন শাওন
অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে । আপনার কবিতাটা বিকালে পড়ছিলাম , খুব সুন্দর লিখেন, নতুন লিখছেন মনেই হল না । আমি বেশ কিছুদিন সচলে ঢুকে সবার লেখা পড়ি কিন্তু লেখার সাহস পাচ্ছিলাম না ।
শুভেচ্ছা রইলো ।
অতিথি হিসাবে প্রথম লেখা দিয়ে দেখি বেশ সাড়া পে্যেছেন, লেখা গুতোঘুতির শীর্ষে, ভেবে দেখুন আরেকটা লেখে দিবেন কিনা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শীর্ষে থাকতে থাকতেই বিদায় নেয়াটা কি সেফ না , সেইফ ভায়া ?
আচ্ছা, আচ্ছা, ব্যাপার তাহলে এই, সেইফ !!
অভিনন্দন, এমি। চলতে থাকুক।
ঘরে তাহলে রইলো বাকি এক...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সাথে ভায়া টায়া বলে বিভ্রান্তি কম ছড়াচ্ছেনা কিন্তু। আমি সেদিনই ধরতে পেরেছিলাম। আমারে বলে "পিপিদা", তার মানে সচলে তারও আনাগোনা আছে!
সবাই যদি এভাবে হাটে হাড়ি ভাঙ্গে তাহলে তো আমার টাঙকি বাজী শিকেয় তুলে রাখতে হবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সচলে স্বাগতম!
এক কথায় মুগ্ধ!!
প্রজাপতি প্রজাপতি এত রঙ তুই কোথায় পেলি ভাই!!!
মামুন ভাই আপনার কমেন্ট পেয়ে ধন্য হয়ে গেলাম । অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
চমৎকার।
একটা স্পয়লার আ্যালার্ট লাগাবেন নাকি।
মডুদের বললে লাগিয়ে দেবে।
দেখার লিস্টে সংযোজিত হইলো ছবিটা
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সিনেমাটা খুবই ভাল লাগছিল। অসাধারণ! আমি আবার ডেনজেলের বিরাট ভক্ত।
তবে রিভিউ লিখলে, একটু রেখে-ঢেকে লেখা ভাল, তাহলে - যারা দেখেনি, তাদের আর অসুবিধা হবে না দেখতে গিয়ে।
সচলায়তনে স্বাগতম। নিয়মিত লিখুন।
নতুন মন্তব্য করুন