২৭শে আষাঢ়
এক.
‘জানালা’, ‘বৃক্ষ’, ‘বোবা কান্না’....
‘ভয় ভয় এক দমবদ্ধ ব্যাকুল অনুভূতি’
সবই বড্ড পুরনো.....
তবু আদিম মানুষ খুঁজে ফেরে নিত্য নিরবধি।
মেঘলা আবেশ দুঃখ বিলাস জাগিয়ে তোলে যদি
মুঠোফোন আর চ্যাটবক্সে কবিতার ঝুনঝুনি।
দুই.
আমায় তুমি ছুঁতে পারো।
চকচকে ঐ জলকণা মুছে দেবার অভিপ্রায়ে-
বৃষ্টি ধোয়া সন্ধ্যেবেলায়
শুকতারাটা খুঁজতে পারো।
হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথ, চলতে চলতে বুঝতে শেখা-
ওসব আমার ভাল্লাগেনা।
রোদের তেজে জল হারালে-
আমিও খানিক বদলে যাবো।
২৬শে আষাঢ়
গুড় গুড় গুড় গড়রররর ....... য্যান রণরঙ্গিনী কালি।
কইলজা ফুড়্যা বেদ্নার ঢল, জমিন ভইরা ঢালি।
২৪শে আষাঢ়
হতভাগা মেঘেদের দল,
মাটি ছুঁতে প্যাঁজা তুলো ঝর ঝর ছল ছল....
পিচ ঢালা রাস্তায় বড় অনাদর।
কাদামাটি কদর বোঝে,
ওদের সাথে-ই তাই
গভীর আলিঙ্গন।
২০শে আষাঢ়
আমার প্রিয়
ঢাকার বিকেল
আজকে ছিল বৃষ্টিভেজা।
ঝুম বৃষ্টি
সঙ্গে নিয়ে
মাতিয়ে ছিলাম আজ আড্ডা।
১৭ই আষাঢ়
ঝম ঝম জলধারায়
ভিজে গেল পাথুরে নগর.....
মনে তাই জটিল অনুভব।
১২ই আষাঢ়
আজকাল জানালা থেকে অনেক কিছুই ধরা দেয়না।
এই যেমন জলের কণা মাতাল আমায় ছুঁয়ে যায়না।
১লা আষাঢ়
এমনি করে ভাবনাগুলোর শুরু,
মেঘের বুকে অশ্রু টলমল।
বুকের ভেতর ঠাঁই দিয়েছে এত বছর ধরে।
তবু দেখ আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে পড়ে।
শুকনো মাটি তৃষ্ণা নিয়ে ডাক দিয়েছে বলে,
আদরমাখা আবেগী মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে।
---------------------------------------------------------------
মন্তব্য
ধন্যবাদ
জুয়েইরিযাহ মউ
অনেক বড় কবির বন্ধু তাইলে আমি! নিজের ভাগ্যবান মনে হইতেছে।
তাই বুঝি !?!?
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
মউ
বাহ্! বর্ষাবাদলের এই সময়ের চিত্র তো চমৎকার এসেছে।
ধন্যবাদ, ভাল লাগলো
জুয়েইরিযাহ মউ
ভিন্ন ধরনের কবিতা। সুন্দর।
পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
জুয়েইরিযাহ মউ
এত সুন্দর কবিতার জন্য ধন্যবাদ !! মউ
কবিতা পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
জুয়েইরিযাহ মউ
নতুন মন্তব্য করুন