মামা বাড়ির আবদার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৭/২০০৯ - ১:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ছোটবেলা সবার থেকে একটু অন্যরকম। ছোটবেলার স্মৃতি ঘাটতে গেলে প্রথমে মা বাবা ভাই বোনদের সাথে আনন্দের ঘটনাগুলোই প্রথমে মাথা চাড়া দিয়ে উঠার কথা, কিন্তু আমার ছোটবেলার বেশির ভাগ দিনগুলো কেটেছে নানা বাড়িতে মামাদের আদরের মহাসাগরে।মামাদের মাত্রাতিরিক্ত আদরে আমার বাঁদর হয়ে যেতে যে খুব বেশীদিন লাগেনি তা অনুমান করতে নিশ্চই আপনাদের খুব বেশী কষ্ট হচ্ছে না।প্রথম জীবনে সবার এত বাড়াবাড়ি রকমের স্নেহ ভালোবাসা পেয়েছি বলেই হয়তো এখন প্রবাসে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হচ্ছে ।

তো আমার দীর্ঘকাল মামা বাড়িতে আম কুড়ানোর সুখের রহস্য উন্মাচন করি।কয়েকদিন আগেই সচলে আমার মত রসকষহীন অচলের অতি রোমান্টিক পিতামাতার বিবাহের কাহিনী শুনিয়েছিলাম।পরবর্তীতে তারা প্রেমের তরী ভাসিয়ে জীবিকার সন্ধানে প্রথমে ইরানে পাড়ি জমান। সেখানে বছর ঘুরতেই নীরবতাবিরোধী আন্দোলনের সোচ্চারের প্রতীক হয়ে আমি পৃথিবীতে পদার্পন করি।দিন রাত অবিরামহীনভাবে নিষ্পাপ শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে নতুন বাবামার জীবন মধুময় থেকে বেদনাময় করে তুললো।দুজন পালাক্রমে সরকারী চাকরী আর কন্যার সেবা করতে করতে আসলেই হাপিয়ে পড়ছিলো।তাদের কর্মস্থল দুর্ভাগ্যক্রমে খুবই অজপাঁড়াগায়ে হওয়াতে “বেবিসিটার” নামক উপকারী বস্তুটির সন্ধান তখনও পান নি।মেয়ের কষ্ট দেখে আমার মাতামহি পরামর্শ দিলেন শিশুটিকে দেশে তার কাছে পাঠিয়ে দেবার জন্য।সেখানে তিনি এবং তার তিন ছেলে সাগ্রহে পিচ্চিটাকে দেখাশুনা করবেন।আমার মা বাবা বুকে পাথর রেখে তাদের ছয় মাসের বাচ্চাটিকে দেশে রেখে দিয়ে যান।এটা শুনে বাচ্চাটির জন্য সহানুভূতির উদ্রেক হলেও আসলে সিদ্ধান্তটা অমানবিক ছিল না।এ ব্যবস্থা খুব বেশীদিনের জন্য ছিল না এবং শিশুটির জন্য আনন্দপ্রসূ হয়েছিল।

মূল ঘটনায় ফেরত চলে আসি।আমার মামারা একটা জীবন্ত খেলনা হাতে পাওয়ার পর খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন।কে আমাকে বেশীক্ষন হস্তগত করে রাখবে এটা নিয়ে সূক্ষ্ম প্রতিযোগিতাও চলতো।একটা শোনা গল্প মনে পড়ে গেল।আমার নানীবাড়িটা ছিল আগের দিনের ছাচে বানানো।বাসার সামনে উঠান ছিল,সেখানে মস্ত বড় একটা পেয়ারা গাছ সাথে আরও কিছু ফুলের বাগানের সমারোহ ছিল।উঠানের সাথে লাগানো ছিল আমার নানির শোবার ঘর যেখানে আমি থাকতাম।একদিন বাসায় হুলস্থুল লেগে গেলো, কারন আমার ব্ড় মামা বেশ উত্তেজিত,যে সামনে আসছে তার উপর তুমুল ঝাড়ি বর্ষন হচ্ছে।মামাদের মধ্যে উনি হলেন প্রচন্ড দায়িত্বপরায়ন আর রাগী, সহজে রাগেন না,কিন্তু কোন কারনে হট হয়ে গেলে খবর হয়ে যায় সকলের।তো সেদিনকার উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারন পরে জানা গেল, কেন আমাকে জানালার পাশে খাটে পাহারাবিহীনভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে।সবাই ভয়ে জিজ্ঞেসও করতে পারছে না এতে করে রাগার কি আছে? পরে জানা গেল আমাকে একা শুয়ে থাকতে দেখে উনার মনে হয়েছিল জানালা দিয়ে কোন ফকির গ্রীল দিয়ে হাত গলিয়ে আমাকে চুরি করে নিয়ে যেতে পারতো।বুঝতেই পারছেন আমি কতোটা আদরের ছিলাম।বড় হয়ে গল্পটা শুনে গ্রীলটার ফাক ফোকরের ধৈর্ঘ্য প্রস্থ নিয়ে গবেষনা নেমেছিলাম তারপর এই সিদ্ধান্তে অবনীত হলাম যে সেই ফাক দিয়ে আমার হাত ছাড়া আর কিছু বের হওয়া সম্ভব ছিল না।

আমার প্রয়াত নানী ও মামাদের আদরে আমি এতই আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম, আম্মু যখন আসত আমি ভাবতাম বাইরে থেকে কেউ বুঝি বেড়াতে এসেছে।আমাকে পটানোর জন্য রকমারী চকলেট,খেলনা দিয়ে কাছে আনার চেষ্টা চলতো আর আমি বলে সুযোগ বুঝে চিলের মত ছো মেরে সেগুলো নিয়ে মামাদের কাছে গিয়ে লুকাতাম।ইরান থেকে আমার বাবামা পাড়ি দিলেন আরব্য রজনীর দেশে।তখন আমাকে সাথে নিয়ে যান। কিন্তু যেখানে পোস্টিং পান সেখানে বাংলাদেশী বা ইংরেজী মাধ্যমের বিদ্যালয় না থাকায় আমার আরেকটা সুযোগ হয়ে যায় নানি বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করার।বছরে পাচ ছয়বার বিমানে(সৌভাগ্যজনভাবে একবারো বিমান বাংলাদেশে না)আশা যাওয়া করতে হতো।প্রতিবার ঢাকা বিমানবন্দরে নামার পর এত অদ্ভুত একটা অনুভূতি হত। নিজের বাড়িতে ফেরার মত রক্তের মধ্যে উত্তেজনা অনুভব করতাম।আমার মেঝ মামা সবসময়ে আমাকে নিতে আসতেন।এখনো লাগেজ নেবার সময় আমার মনে ওই বুঝি হাজার মানুষের ভীড়ে উনি মাথা উচু করে জোরে জোরে হাত নাড়াচ্ছেন।

মেঝ মামার কথা বলতে গিয়ে এক বিকালের কথা মনে পড়ে গেল।একদিন বাসায় তখন কাজের লোকের সংকট চলছে, আমার নানীও প্রেসার বেশী শুয়ে আছেন।এদিকে আমার পেটে খিদার আগুন হঠাৎ দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছে।মামা ছাড়া আর কেউ নেই আর্জি পেশ করার।মামা মনে হয় না কখনও দায়ে পড়ে কখনও চুলা জ্বালিয়েছেন। কিন্তু আমাকে নিয়ে মহাউৎসাহে রান্নাঘরে রান্না করতে ঢুকলেন।অনেক চিন্তাভাবনার পর ঠিক হলো মামা ভাগ্নী সুজির হালুয়া বানাবো।এটা বানানো কোন ব্যাপার হলো।সবকিছু ঠিকঠাক মত্ই দেয়া হলো শুধু চিনির পরিমান আমরা মনের মাধুরী মিশিয়ে ঢেলে দিলাম,ভাবখানা হালুয়াতো যত মিষ্টি হবে তত না মজা।যাই হোক অনেক সাধনার পর আয়েশ করে খেতে বসলাম তখন এক কামড় দিতেই আমার নড়বড়ে দাঁতটা ত্রাহি ত্রাহি করে উঠলো।মামা আমাকে সান্তনা দিতে গিয়ে বললো আরে হালুয়াতো সবাই খায় আমাদের মত মজা করে কটকটি কজন
বানিয়ে খায়।

বাকি রইলো আমার ছোট মামা। উনি মহাসুপুরুষ এবং ফ্যাশন সচেতন ছিলেন।আমিতো ছোট থাকতে শুধু ভাবতাম মামার মত ডুপ্লিকেট কাউকে না পেলে এ জীবনে বিয়েই করবো না।মামার আবার প্রনয়প্রার্থীর অভাব ছিলো না।আমাকে দিয়ে মাঝে মাঝেই নানা জিনিষের আদান প্রদান চলতো যার বিনিময়ে যাহাই খাইতে আবদার করিতাম তাহাই পাইয়া যাইতাম।মিমি চকলেট,গ্লুকোজ বিস্কিট, নানা ধরনের লজেন্স তখন খুব বেশি জিনিষ জিনিষ যদিও পাওয়া যেত না কিন্তু কাজের বিনিময়ে সেসব কিছু কিযে অসাধারন লাগতো।ছোট মামা খুব আড্ডাবাজ ও পড়াশুনায় ফাকিবাজ হওয়াতে দুই মামা বড় ভাইদের দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে তাকে একদিন একটু বেশী উত্তম অধ্যম দিয়ে ফেলেন।সেই দুঃখে অভিমানে তিনি স্বদেশ ত্যাগ করেন।এরপর থেকে যখনই দেশে আসতেন স্যুটকেস খোলার সময়ে আমরা সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে গোল হয়ে বসতাম আর ছোট মামা একটা করে সবার জন্য উপহার নিয়ে আসতেন।একবার হল কি সবার পাওয়ার পালা শেষ, আমার জিনিষ আসে না।আমি বললাম আমার গিফট কৈ,তখন মামা বলে উঠলো আমিতো জানি তুই যে হা করে বসে আছিস, যাতে মাছি ঢুকে না যায় এজন্য মাছি মারার লাঠি নিয়ে এসেছি।আর সবার কি হাসি,আমিতো অভিমানে আরেকটু হলে কেঁদেই দিয়েছিলাম,যাক পরে আসল গিফটটা বের করা হয়েছিল।

মামাদের বিয়েতে আমার অপরিসীম গুরুত্ব ছিল।আমি ছিলাম অন্যতম সাক্ষাৎকারিনী।গিয়ে গিয়ে হবু কনেদের হাজার রকমের প্রশ্ন করে জর্জরিত করতাম।হবি কি,সব প্রিয় র তালিকা সব জোগাড় করে মামাদের কাছে রিপোর্ট পেশ করতাম।কনের বাড়ীর লোকজন রীতিমত আতংকিত হয়ে যেত,তারা কানাকানি করতো ছেলের শাশুড়ী থেকে ভাগ্নী বেশী খুঁতখুঁতে,এর থেকে সাবধান।একবার মনে আছে কোন মামীকে বলেছিলাম,সবই তো ভাল এখন আপনার লেখা কোন খাঁতা দেখান,হাতের লেখাটা দেখি।এখন ভাবলে খুব অস্বস্তি লাগে যে কি করে এত পাকনামি কিভাবে করতাম, আর অবাক লাগে কেউ আমাকে ছোট বকা পর্যন্ত দিতোনা।আমার তিন মামারই পারিবারিকভাবে পছন্দ করে কনে ঠিক করা হয়েছিল, এবং তিন মামীই সর্বগুনেগুনান্বীতা ছিলেন।তারাও আমাকে এত মাথায় করে রেখেছিল যে বাবা মা থেকে দূরে আছি কখনও বুঝতেই পারিনি। সবার আদর শুধু একতরফাভাবে নিয়েই গেলাম,কখনও বলা হয়নি যে কতটা ঋনি আমি তাদের এ নিঃস্বার্থ ভালবাসার জন্য।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের আমার জীবনের শৈশবটাকে এত আনন্দময় ও স্মৃতিময় করে তোলার জন্য।আর সচলের সবাইকে ধন্যবাদ এতক্ষন ধরে আমার গল্প শোনার জন্য ও আমার প্রিয় একটা গান শোনার আমন্ত্রন।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

(প্রজাপতি)


মন্তব্য

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

নাহগো আপুনি! পড়তে গিয়ে কষ্ট হয়নি মোটেও! খুব সুন্দর লিখেছেন। তারা দিতে পারলে দিতাম। পারিনা, কি আর করা! ভাল থাকুন। আর এরকম সুন্দর সুন্দর লেখা লিখুন। দেঁতো হাসি

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ দুষ্ট বালিকা, আপনার লেখাও আমি সবসময়ে পড়ি,খুবই প্রানবন্তভাবে লেখেন ।

অনিকেত এর ছবি

অনবদ্য লেখা হয়েছে প্রজাপতি---
বড় স্মৃতি-মেদুর---

শুভেচ্ছা রইল।

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

অনেক খুশি হলাম আপনার মন্তব্য পেয়ে, এই প্রথম মনে হয় আমাদের গুতাগুতি ছাড়া নিজে থেকে আমার লেখা পড়তে পারলেন হাসি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

হাসি

ফ্রুলিক্স এর ছবি

আমিও মামা বাড়ি বড়ো হয়েছি। আমার ছিলো চার মামা। অবশ্য এতো পিচ্চি অবস্হায় মামা বাড়ি যেতে হয়নি। একটু বড়ো হয়েই গিয়েছিলাম (৩/৪তম বছরে)।
আমার মা-বাবা ইউরোপবাসি ছিলেন।
মামা-মামীদের এইসব ভালোবাসার ঋন শোধ সম্ভব না। তাই চেষ্টাও করি না। এখনো দেশে গেলে নিজের বাড়ি ছেড়ে মামাবাড়ি পড়ে থাকি।

লেখা ভাল্লাগছে।

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

মামা-মামীদের এইসব ভালোবাসার ঋন শোধ সম্ভব না। তাই চেষ্টাও করি না। এখনো দেশে গেলে নিজের বাড়ি ছেড়ে মামাবাড়ি পড়ে থাকি।

একদম আমার সাথে মিলে গেছে। ভালো থেকেন ।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

লেখাটাও আদরমাখা হয়েছে। পড়তে ভালো লাগলো।

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাড পান্হদা। আপনারা মাশরুমের চা আর চপ কেমন খেলেন জানিয়েন কিন্তু।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

পড়ে ‍‌খুব ভালো লেগেছে!!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী, ভালো লেগেছে জেনে আরেকটা লেখা দেবার সাহস পেলাম

মামুন হক এর ছবি

গান শুনেই তারা দিয়ে গেলাম, পরে লেখা পড়ে ছড়া দিব দেঁতো হাসি

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

না পেলেও হবে তারা ,
কিন্তু আসে যেন ছড়া ।

মামুন হক এর ছবি

ধন্য তোমায় প্রজাপতি থাক চির সুখে
ভুল করেও ভাশুরের নাম নিওনা মুখে দেঁতো হাসি

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

ভাশুর কোথা থেকে এলো সিনে,
সেটাতো বুঝে পাচ্ছিনে চিন্তিত

মামুন হক এর ছবি

সেটাই তো ঝাতি ঝানতে চায়
আর ভেবে ভেবে খাবি খায় হাসি

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

হায়রে আমাদের সাধের ঝাতি,
কবে জালাবে আশার বাতি ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এইসব ভালোবাসা হলো গিয়ে ওয়ানওয়ে ট্রাফিক, চাইলেও কোনো প্রতিদান দেয়া যায় না। পোস্ট ভালো লিখেছেন, সাবলীল।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বলাইদা।

মিনা এর ছবি

পড়ে ‍‌খুব ভালো লাগলো। খুবি আদরে একটা ভাব পুরো লেখায়।

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ, আসলে আদর অনেক বেশী ছিল, লেখায় ফুটিয়ে তোলার মত যোগ্যতা এখনও হয়ে উঠেনি, চেষ্টা করতে থাকব

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সেইফ তো ঠিকই বলেছিলো। চোখ টিপি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

কি বলে ছিল শিমুলাপু,আমিতো জানি না ।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি প্রজাপতি দেখি ধং করতেও জানে খাইছে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কি বলে ছিল শিমুলাপু,আমিতো জানি না ।
আমিও জানিনা। সেইফ কী বলেছিলে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সেইফ বলেছিলেন যে তাঁর দুই দুইখান শ্যালিকা আছে। মানে প্রজাপতির আরও দুই পিস বোন আছে। একটা বল্লা আরেকটা ভীমরুল। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ওহ হো, মনে পড়েছে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধুগোদা, বাগে আনতে না পারলে বোল্লা আর ভীমরুলের মত হুল ফোটাইতেই পারে, গড়াগড়ি দিয়া হাসি , আমার যেহেতু বিবাহের পাট চুকসে, কাজেই আমি সেইফ চোখ টিপি খেকজ

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

প্রকৃতিপ্রেমিক(অফলাইনে) এর ছবি

কুইজ:
একটি প্রজাপতির ১টি ব্লগ লিখতে যদি ২দিন লাগে, অনুরূপ ২টি প্রজাপতির ২টি ব্লগ লিখতে কতদিন লাগবে?

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চিন্তিত

হা হা হা, পিপিদা, প্রশ্নটা অনেকটা ১ কেজি বেগুনের তরকারি রাঁধতে কতটুকু ঝোল দিলে বেগুন ডুববে টাইপ লাগল, হো হো হো

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

উত্তর:

সেটা নির্ভর করবে ২টা প্রজাপতি ব্লগ শেষ করে উড়ে যাবার কত আগে একজন খাঁটি প্রকৃতিপ্রেমিক তার চিত্র ধারন করে সচলের ছবি ব্লগে আপলোড তথা উৎক্ষেপন করে সকলের মনোরঞ্জন করবেন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখাটি খুব সাবলীল আর ভালো লাগল, আর খুবই আদর মাখা। লেখায় (মানিক)

বোঝাই যাচ্ছে আপনি খুব আদরে বড় হয়েছেন, তার সেই আদর ব্যালান্স করতে বিদেশে এসে ধরা খেয়েছেন। বড়ই মজা পেলাম আপনার লেখা পড়ে। কিন্তু আমার মনে হযেছে লেখাটা অতিমাত্রায় ছোট, আপনি আপনার ৩ মামাকে এক ছাঁদের নিচে না এনে সেই সুখময় দিন গুলোর কথা রয়েসয়ে আরেকটু দীর্ঘ করে বর্ননা করলে বেশী ভালো লাগতো। লেখাটা পড়তে শুরু করতেই শেষ হয়ে গেল। আশা করছি, এ লেখা এখানেই শেষ না, আর আপনার মামাদের বিয়ের সাক্ষাতকার গুলোতেও আরেকটু বর্ননা চাই। ঝাতি বিস্তারিত ঝানতে চায়। কাজেই আপনার তিন মামা এবং নানীকে কেন্দ্র করে আরো চারটি পর্ব পাবো এমন আশা করতে পারি কী?

আর আরেকটা জিনিষ দেখলাম, আপনার ছড়া তো ভালোই আসে, একখানা ছড়া দিন না, তারপর বিশিষ্ট ছড়াকার মামুন ভাই নাহয় ছড়ায় জবাব দিবে, একটি ছড়ায় কথোপকথন হয়ে যাক, লিখে দিবেন, যেই মন্তব্য করতে চাইবেন, তাকে ওই পোস্টে ছড়ায় মন্তব্য দিতে হবে হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য বেশ ভালো লাগলো। আমার পাখাগুলো এখনো শক্ত না হও্য়ায়, খোলা আকাশে উড়াল দেয়ার সাহস এখনো করে উঠতে পারিনি। এক ব্লগ লিখতেই ২ দিন চলে যায়।সুযোগ পেলে পরে অবশ্যই লিখবো।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পড়লাম প্রজাপতি-মামা-কাহিনী। আমিও বলি, তিন পর্বে তিন মামার হাড়ির খবর লিখলে মজা হতো আরও বেশি। খাইছে

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ ইশতি।

শাহান এর ছবি

ভাল লাগল ।

আপু আপনে তো নিজেই লস করলেন, এইটারে কাইটা ঠিকঠাক কইরা একটার বদলে ৩টা লেখা নামায় দিতে পারতেন দেঁতো হাসি

আর দেখলেন তো, আমি সচলও পড়ি হাসি

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

আরে শাহান যে, বাহ তুমি শুধুই পাঠক থেকে স্হান পরিবর্তন করে কমেন্টাইসো এজন্য আমি খুবই হেপি ।।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে।
বিরাম চিহ্নের পরে একটা করে স্পেস দেয়াটাই বোধ করি নিয়ম। চোখেও আরাম লাগে। আগামীতে এ ব্যাপারটি খেয়াল রাখার অনুরোধ করছি।

অন্য প্রসঙ্গে, আমাদের সচল 'নিঘাত তিথি' দীর্ঘদিন 'প্রজাপতি' নিকে ব্লগিং করতেন। আপনাকে দেখে মনে পড়ে গেলো।

____________
অল্পকথা গল্পকথা

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ শিমুল ভাই, ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য। আমি প্রথমদিকে বিরাম চিহ্নের আগে ও পরে গ্যাপ দিতাম, পিপিদা বলার পর আগের স্পেসের সাথে সাথে পরের স্পেসটাও কমিয়ে ফেলেছিলাম। যাক এখন আর ভুল হবে না আশা করি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সত্যি কথা বলতে কি, প্রজাপতি নিকটা খুব বেশি পরিচিত আমাদের কাছে। এটা একটা ব্র্যাণ্ড হয়ে গেছে। আপনি যখন প্রথম এই নিকে কমেন্ট করতেন, ভেবে বসতাম, আমাদের বাটারফ্লাই নিজের নাম ছেড়ে আবার পুরনো নাম নিলো কেনো!

পরে দেখি না, এইটা আসলে বিএমসি প্রজাপতি। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

ধুগোদা, ঠিকই বুঝছেন, আমি পুরানো নামে নতুন প্রজাপতি চোখ টিপি হো হো হো , মাগার বস, আসলে কী আরেকজন প্রজাপতি বিদ্যমান, তাহলে নিক পরিবর্তন করতে হবে? একটু কী জানাবেন হাসি , নতুন মানুষতো! না জেনে অন্যকারো নাম দখল করে কাউকে মনে কষ্ট দিতে চাই না দেঁতো হাসি .

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

ধুগোদা আকিকা দিয়ে নামটা পালটায় ফেলব কিনা ভাবছি

স্বপ্নাহত এর ছবি

মামাবাড়ির কথা ভাবতে গেলে একটানে আমার পুরো শৈশব চোখের সামনে চলে আসে।

বোধহয় আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্মৃতিগুলো মামাবাড়ির আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সবচে বেশি।

লেখা ভালো লেগেছে। প্রজাপতির ডানায় ভর করে মামাবাড়ি ঘুরে বেড়াতে একটুও ক্লান্তি লাগেনি..

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

আনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

লেখাটি ভালো লেগেছে। আরো লিখুন।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

জাহিদ ভাই আমার লেখা আপনার পড়েছেন এতেই আমি ভীষণ খুশি। আপনার লেখাগুলো আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ি। আপনার অনুগল্পগুলো এত সুন্দর হয়।

মূলত পাঠক এর ছবি

মজার লাগলো!

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

পাঠকদা, আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে, আমি আপনার কাছ থেকে সমালোচনা আশা করছিলাম হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমার খুব প্রিয় দুটো চরিত্র হচ্ছে সঞ্জীব চ্যাটার্জির বড়মামা-মেঝমামা।
...আপনার সাবলীল লেখায় কেনো জানি ওদের কথা মনে পড়ে গেলো। দারুণ লিখেছেন, আরো লিখুন ...

---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

লেখা ভাল লেগেছে জেনে ভরসা পেলাম। মামাদের কথা এখনো মনে হয়,আরো লেখা দেবার চেষ্টা করবো

দ্রোহী এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো।

আমাদের নিঘাত তিথি একসময় প্রজাপতি নামে লিখতো।

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

একই কথা শিমুল ভাইও বললেন, উনি কি প্রজাপতি নিক এখনো ব্যবহার করেন?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাহ, সচলায়তনে এই নিকে কেউ লিখে না। তবে আপনি পুরান প্রজাপতি থেকে লিখিত অনুমতি নিয়া নেন। বলা তো যায় না, আবার মকদ্দমায় ফেঁসে যেতে পারেন। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

ভালো বুদ্ধি দিলেনগো ধুগোদা, তিথি আপুর কাছে অনুমতি চাহিয়া পত্র প্রেরন করিয়াছি।

noushin এর ছবি

বেশ মজা লাগলো। ভালো হয়েছে লেখা। এগিয়ে যান আপু হাসি

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ, নওশিন, তোমার নাম ইংরেজীতে যে? টাইপ করতে অসুবিধা হোলে এখান থেকে কপি করে পেস্ট করে দিও, আর তোমার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম

স্বপ্নহারা এর ছবি

দারুণ!!!

----------------------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

কোনটা দারুন? আমার লেখা না আমার মামাদের ভালোবাসা? ধন্যবাদ হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

চমৎকার!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

তুলিদি আপনার ভালো লেগেছে যেনে খুব প্রীত হলাম, কয়েকদিন যাবত আপনার লেখা দেখছি না, আপনে ঠিক আছেন তো?

তানবীরা এর ছবি

প্রজাপতি দেখি সত্যিকারেরি প্রজাপতি।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

না আপু প্রজাপতির মত আকাশে পাখা মেলে উড়তে পারলাম কোথায়

রানা মেহের এর ছবি

এই লেখাটা মামাদের পড়তে বলুন না
তারা নিশ্চয়ই মহা খুশী হবেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

হ্যা আমার মামাতো ভাইবোনদের লিংকটা দিয়েছিলাম, তারা আবার বড় মামাকে দেখিয়েছে। খুব বলে খুশি হয়েছেন পড়ে। কত অল্পতেই আনন্দিত হয়ে যাই আমরা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।