শুন্যস্থান নিয়ে আমার যত কনফেশন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৯/০৭/২০০৯ - ১০:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চেনা রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিন হাটি আর ভাবি কালকে নিশ্চই এই শহর ছেড়ে পালাবো। দূর আকাশের ষড়যন্ত্রকারী মেঘগুলোর এমবুশ ক্রমাগত হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে আশে আমার বাড়ির দিকে। আবহাওয়া অফিসের স্যাটেলাইটে ধরা পরেনি সেই সব মেঘের লাটিম যা ধেয়ে আসছে সবার অগচরে, তাই তারা ফলাও করে প্রচার করছে আকাশ থাকবে ফক ফকা! একবার ভাবলাম সবাইকে সতর্ক করেই দেই, কিন্তু বাশ বাগানের ভুত দেখার মত – আমার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। মনের ইথার তরঙ্গে ধরা পরছে ঢাকার একটা গলির জটলা পাকানো ঝুল ঝুল ইলেকট্রিক তারে কয়েকটি কাকের অস্থিরতা। পাড়ায় নতুন মানুষ ঢুকলে ওরা চিক্কুর দিয়ে কা কা করে ওঠে। ওরা অবশ্য সাধু ভাষায় কথা বলে না, কথা বলে ঢাকাইয়া ডায়ালেক্টে। সেইসব কাকদের রসিকতায় খিলখিলায় হাসে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা ফাকিবাদ এক কাজের মেয়ে, মহল্লার রিস্কাওয়ালাদের নজর তালা বন্ধ সেই বারান্দায়।সেইখানে মহল্লার সামষ্টিক রোদ আলো করে দেয় চিপাচাপার ছায়াগুলো। কাকদের শত ডাকেও ভাঙ্গেনা শেফালী ফুল গাছের ঘুম। সেই শোকে রাস্তার পাশে নালায় বাড়ে জলের সীমানা, সেই জলে চলে ডেঙ্গু মশার প্রজননচক্র।
প্রতিদিন ভাবি সেই গলিতে যাব। ডিমের মুখে সাইনপেন দিয়ে চোখমুখ আকি। চোখ মুখ পেয়ে ডিমগুলো আমার সাথে কথা বলে। ডিমগুলাকে বলি- যাবি নাকি শহরে! সেইখানে আমার মত আরো অনেক নীল চাষী কোদালের কোপে জন্ম দেয় ফিকশনাল সব বটগাছ, সেই গাছগুলো আমাদের রক্ত পান করে বেড়ে ওঠে। শহুরে সেপাহীরা হত্যা করতে গিয়ে জন্ম দিয়ে আসে। জন্মদাতারা ক্লোনের বিকাশে ক্ষয় হয়, ঋণের সুদ বাড়ে। সেই পাড়ায় ছিলো আমার এক ঝাক রোদ সিদ্ধ উদ্দামী বন্ধু। ছিল ঘাস ফুলের মত হাওয়ার দোলা খাওয়া একটা মেয়ের ভাসা ভাসা চুল। চুলগুলো ভেসে ভেসে তৈরী করত নবজাতক ঢেউয়ের পোট্রেট। সে রাস্তায় নামতেই রাস্তা ভাসত প্রাণের প্লাবনে, দমক দমক শুকনো বাতাসে আটকে যেতো নিঃশ্বাস, সে এমনই ইলিউশন, এমনই তীব্র… আহা, তাকেও নিয়ে গেলো ফুলের মুকুট পরা গাড়িতে বন্ধী করে। খুব মনে পড়ছে সেই মুহুর্তের তার চোখ, গুলি খাওয়া মানুষের চোখের মত দুই টুকরা বরফ, সেই চোখে বিরাট এক শুন্যস্থান।
আমি হাটি, ক্লান্তিগুলোকে পোষ মানিয়ে হাটতেই থাকি যতক্ষন না পর্যন্ত হারিয়ে যাই। যেদিকে তাকাই বিস্তর ফাকা, বিস্তর শ্বশান, বিস্তর আবর্জনার স্তুপ, কুকুরেরা ঘুর ঘুর করে… যেদিকে তাকাই কেবল নোনা রঙ, নির্বোধ দহন, আজন্ম কনফিউসিং সেই শুন্যস্থান!!

কাজী আফসিন সিরাজী


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দারুণ লেগেছে আপনার শূন্যস্থানের কনফেশন। এটা গল্প হলেই ভালো, বাস্তবে বরফটুকরোর দু'চোখ দেখাটা খুব ভালো অভিজ্ঞতা হওয়ার কথা না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য, এটা একটা ভাবনার আবহ! বাস্তব কিছুনা, তবে একেবারেই বাস্তব বর্জিত না, সচলে আমার পরিচিত অনেকে নিয়মিত লেখেন, তাদের অনুরোধের ঢেকিখানা গিলতে গিয়ে আমিও কিছুটা দুঃসাহদ দেখিয়ে লিখে ফেললাম এইটা, তাড়াহুড়ো করে লেখা তাই কিছু যায়গায় ভাব খুব বেশি পরিষ্কার হয়নাই,... আমি মূলত কবিতা লিখি। গদ্য টাইপের লেখায় একেবারেই আনকোরা, সচল দিয়েই গদ্য যাত্রায় সচল হলাম...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বেশ লাগলো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ পাঠককে!!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ক্ল্যামোফেজে মোড়ানো গল্পটার কিছুই ধরতে পারলাম না। তবে আপনার লেখার হাত দারুণ। আমার মতো মূর্খ মানুষদের জন্য একটু সহজ করে লিখুন না! পিলিজ লাগে। চোখ টিপি

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

আমার লেখার হাত ভালো !!!! এমন ঈষদ কাল্পনিক কমপ্লিমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ! হাহাহা... আমি তারাহুরো করে লিখেছি তাই অনেক ফাক ফোকর আছে। কবিতা লিখে লিখে হাত বড় শুকনো হয়ে গেছে... লেখাকে বিস্তৃত করতে বেশ বেগ পেতে হয়... তবে ভবিষ্যতে আবার যদি লিখি তবে অবশ্যই ব্যাপারটা ভেবে দেখব!!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কয়েকটা বানান ঠিক করা আর কয়েকটা চন্দ্রবিন্দু দিয়ে শুন্যস্থানগুলো আগে পূরণ করা দরকার। লেখা ভালো লেগেছে। হাসি

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য, আমার সব লেখাতেই ব্যাপক আকারে মানুষ আমার বানানের দিকে আঙ্গুল দিয়ে বলে ঠিক কর সোধরাও, বানানে কিছুটা অদক্ষ্য কিছুটা খামখেয়ালী, বেশির ভাগ মানুষ আমার বানান ভুলটাকেই মেনে নিয়েছে, কারন কেন জানি এখনো তেমন সচেতন হতে পারিনি, ব্যাপারটা খুবই দৃষ্টিকটু যদিও। তবে চেষ্টায় আছি, খামখেয়ালীপনাকে অতিক্রম করতে পারলেই হয়ত বানানে মনোযোগী হতে পারব। চন্দ্রবিন্দু ব্যাপারে আমার কিছুটা এলার্জি আছে। বানান ভুলের পক্ষ নিচ্ছিনা, বরং আমার অক্ষমতাকেই স্বীকার করে নিচ্ছি। শুন্যস্থান খালি শুন্যস্থান...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কিছু কিছু ভুল আছে যেগুলো হয়তো সহনীয়, কিন্তু কিছু ভুল আছে যার কারণে পড়তে এবং লেখার রস আস্বাদন করতে অসুবিধা হয়। চন্দ্রবিন্দু না দেয়াটা সেরকম একটা সমস্যা-- আমার কাছে। আবার দ্বিতীয় লাইনে আপনি লিখেছেন

এগিয়ে আশে আমার বাড়ির দিকে
.. এখানে এসেই আমি লেখা পড়ার ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলাম। সচলায়তনে নতুন লিখছেন বলেই বাকীটা পড়েছি। কোন সচল এমন করলে আর পড়তাম না।

এটা বললাম একারণে যে ভুল সেটা ভুলই, সেটাকে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আপনি এত ভালো লিখতে পারেন, বানানটাও ইচ্ছে করলেই ঠিক করে নিতে পারবেনা।

কাজী আফসিন সিরাজী এর ছবি

মন খারাপ :( হুম...

সচলায়তনে নতুন লিখছেন বলেই বাকীটা পড়েছি। কোন সচল এমন করলে আর পড়তাম না।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

এটা বললাম একারণে যে ভুল সেটা ভুলই, সেটাকে মেনে নেয়া সম্ভব নয়।

এডিট করার সুবিধে না থাকায় অনেক বানান পরে চোখে পড়লেও ঠিক করা সম্ভব হয়নি। বানান ভুলের কারনে লেখা লেখি বেশ কমিয়ে দিয়েছি, আগেও আমার লেখা প্রবল সমালোচিত হয়েছে ভুল বানানের জন্য। হয়ত এটা একটা সংকেত- আমার বিরতি প্রয়োজন। নতুন করে ভেবে দেখলাম, আসলেই ভুল বানানে আরো একটা লেখা শেয়ার করা ঠিক হয়নি।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এটা কোনো কথাই না। এমন পলায়নপরতা বাদ দিয়ে আরও উৎসাহের সাথে লিখে চলুন। অনলাইনে বাংলা স্পেলচেকার আছে কিছু। আমার হাতের কাছে লিংক নেই এই মুহূর্তে, একটু খুঁজে নেবেন কষ্ট করে। আর, অতিথি হিসেবে লেখা পোস্ট এডিট করানোর জন্য মডুদের খাটাখাটনি করান। দেঁতো হাসি একটা বিশাল ইমেইলে সব ভুলগুলো তালিকাবদ্ধ করে পাঠিয়ে দিয়ে বলেন ঠিক করে দিতে। [আহা, মঢিমু গং-এর চেহারা দেখার মত হবে তখন! চোখ টিপি ]

কাজী আফসিন সিরাজী এর ছবি

ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য, আমার নিজের নামের বানান লক্ষ্য করলে দেখবেন কোথাও লিখেছি শিরাজী আর কোথাও লিখেছি সিরাজী... আমি কেন এমন করি জানি না।

একটা বিশাল ইমেইলে সব ভুলগুলো তালিকাবদ্ধ করে পাঠিয়ে দিয়ে বলেন ঠিক করে দিতে।

শুকরিয়া, এই পন্থা বাতলে দেয়ার জন্য, আমি সাইকা আপুকে আরো জিজ্ঞেস করছিলাম পোস্ট ডিলিট করে কিভাবে, দু একটা ঝাড়ি খেয়ে পলায়ন করার মত মানুষ না আমি, আমি সমালোচনাকে সাধুবাদ জানাই, কিন্তু একি মন্তব্যের রিপিটেশন বোরিং মনে হয়, তাই ভাবছি ধ্যানে যাবো, হাহাহা... পরম যে গুরু মনে মাদুর বিছায় বসে আছেন তার লেজ ধরে মাটিতে নামিয়ে কিছু প্রশ্নের ফয়সালা করব... মনের মধ্যে একটা ইন্দুর ঢুকসে, পান্ডুলিপি সব খেয়ে ফেলতেসে... ঐটারে আগে মারতে হবে তারপর বানানের সংস্কার... আপনার আন্তরিকতা ভালো লাগল, অনেকদিন পর কিছু একটা মন থেকে ভালো লাগার পর বললাম ভালো লাগল...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এগুলো কোনো ব্যাপারই না। আমার বন্ধু সিরাতের দিকে তাকান। এই বান্দা শুরুতে যে কী বকাটা খেতো সবার কাছে বানান আর ইংরেজি শব্দের জন্য! মাস না ঘুরতেই সেই লোক এখন সচলের সবচেয়ে পঠিত এবং প্রতীক্ষিত ব্লগারদের একজন।

আপনার লেখার হাত ভালো। ভালো বলেই এভাবে উঠে-পড়ে লেগেছি আমরা। এটা মুছবার কিছু নেই। থাকুক না এমনই। পুরনো লেখা পড়ে নিজের বিবর্তন খেয়াল করা কিন্তু খুব মজার অভিজ্ঞতা। ক'দিন গেলেই টের পাবেন।

একই কথা/মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি নিয়েও চিন্তা করার কিছুই নাই। মা প্রতিদিন খেতে বলে না? বাবা প্রতিদিন পড়তে বলে না? ভালো চাই এবং ভালো পাই দেখেই বলি। অতএব, তাং-ফাং বাদ দিয়ে পরের লেখা নামান। এই সময়ের আকালেও অতিথিদের লেখা পড়ি। পুরনো সচলেরাই বাদ পড়ে যায় সময়াভাবে। কারণ অতিথিদের লেখার নতুন স্বাদ এবং সজীবতার তুলনা খুব কম।

এই পোস্ট থেকে ভাগুন এবার। আর কোনো মন্তব্য পড়বেন না, কোনো মন্তব্যের জবাবও দেবেন না। এটার লাইফ-সাইকেল শেষ। আগামী সপ্তাহান্তের আগে কিছু একটা লিখে ফেলুন। হাসি

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

হাহাহা ভালো বলেছেন, ঠিক আছে ফুটলাম... দেঁতো হাসি

লীন এর ছবি

হুম, তোমার লেখা সব সময়েই ভালো লাগে। এবারেও ব্যাতিক্রম হয়নি।
বানান নিয়ে তুমি চিন্তা কর না জানি, সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আমিও সে ব্যাপারে অলস। কিন্তু সচলায়তনের মান রক্ষা করার জন্য সবাই বানানের দিকে সতর্ক থাকলে ভালো হয়। যদিও আমারও অনেক ভুল থেকে যায়...

_________________________
লীন

______________________________________
লীন

কাজী আফসিন সিরাজী এর ছবি

হুমম... আবারো সেই বানান, হায়রে কপাল মন খারাপ কেনো যে এখনো শিক্ষিত হইতে পারলাম না!!! আফসস! মান বিচারে আমার লেখার মান খুব নিম্নমানের তয় লেখালেখি ছাড়া স্বাধীনতাটাকে আর কোন মাধ্যমে এত তীব্রভাবে অনুভব করি না।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ভাই, তোকে অনেক ধন্যবাদ কথা শুনার জন্যে... বানান ভুল আছে জানিস, সেটা নিয়ে কেউ বকা দিলে মন খারাপ হয় তাও জানিস, একসময় মনে হয়ে ধুরোছাতা, কেউ লেখা নিয়ে কথা বলেনা খালি বানানের ভুলটাকেই ধরে, আর লিখবই না, এইতো? ভাই, তোকে বানান নিয়ে কোনও কথা বলবনা, শুধু এইটা বলব যে তুই কি লিখিস সেইটা অনেক জরুরী, পিপিদা কি বলেছেন দেখছিস না? তোর লেখার মান যে ভাল সেটা অস্বীকার কেউ করেছে কি?... কিন্তু ভাই, লিখছিস যখন এখানে তখন যারা পড়বে তাদের জন্যেও তোকে একটু সাবধান হতেই হবেরে। ব্লগটা তোর বাড়ি, এখানে তোর অতিথিদের আপ্যায়ন করবিনা?

যদি কাল পরশুর মাঝে কোনও নতুন লেখা না দেখি তাহলে সত্যি মন খারাপ করব। দুঃখ পাস না। পিলিজ!

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ইউ আর সো সুইট, সায়কা। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কাজী আফসিন সিরাজী এর ছবি

তোমার অনুরোধেই লিখাটা দিলাম, তবে আবারো সেই ... যাই হোক, তোমার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তুমিতো আগেও দেখস, আমি এমনই হযবরল করে লিখি।

কিছু সময় নিরিবিলি একলা থাকতে হয়, নিজের সাথে লেনদেনগুলোর মিমাংসা করতে হয়, আমারো এমন সময় প্রয়োজন। আমি হরবর করে অনেক লিখেছি বিগত কয়েক মাস, এখন মনে হচ্ছে ঠিক হয়নাই কাজটা। আমি কলেজ জীবনে ক্লাসে বসে কবিতা লিখতাম, আর রিক্সা করে বাড়ি ফেরার সময় বন্ধুকে পড়ে শুনাতাম তারপর রাস্তায় ফেলে দিতাম, কিছুই মনে নাই কি লিখতাম তখন, কেমন লিখতাম। দু একজনের কাছে আমার যে কটা কবিতা আছে সে সময়ের- ওরা পড়ে শুনালে অবাক হই, ঐগুলা আমার লেখা, মনেও পড়ে না, কেন লিখেছিলাম কখন লিখেছিলাম কিছুই মনে নাই। নিজের লেখাগুলার নিজেই পাঠক হয়ে যাই, সেটাই ভালো ছিল। ব্লগ কালচার ধরে রাখছে সব, কিছু জিনিষ হারিয়ে গেলেই ভালো, আমার স্মৃতি আমার বর্তমানের সাথে চুলাচুলি করে। দুঃখ করিনারে বইন, এইটা হইলো দ্বন্দের চরকি...

সেপাই [অতিথি] এর ছবি

বাংলা লেখকদের জন্য অপনাবানান বেশ কাজের সফট-ওয়ার হতে পারে চিন্তিত
ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এটা অনেক সময় শুদ্ধ বানান অশুদ্ধ হিসাবে ধরে! কিন্তু অশুদ্ধ গুলো মোটামুটি ১০০% ধরা খায় হাসি

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কটা শেয়ার করার জন্য।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ভাই শুন, তখন বা যখন যেটা করেছিস সেটা করে ফেলেছিস, সেগুলো নিয়ে কখনই মাথা ঘামাবিনা [তবে আমার মনে হয় লেখা গুলা না ফেললে ভাল হত, মাঝে মাঝে পুরানো লেখাগুলা অনেক ভাল বা খারাপ স্মৃতি মনে করায় দেয়, জানি সব কিছু মনে রাখার বা করার মত না, তাও, এরও দরকার আছে।] তোর সুতপা শুনলাম, আমাকে এখন একটা কথা বল, যদি লেখাটা তুই ফেলে দিতি তাহলে কি একটা ভুল হতনা? [জানিস, সামুতে যখন আমার প্রথম ব্লগে এখনও মন্তব্য আসে তখন লেখাটা পড়ে আমার যেমন হাসি পায় তেমনই মন্তব্য পড়ে ভাল লাগে, যে আমি যাই ঘোড়ার ডিম লিখিনা কেন সেটা অন্ত্ররজালের কোনও এক চিপা থেকে বের করে যখন খুশি পড়তে পারব!]

আমি তোকে চিনি জিএমটির মারফতে, সে আমাকে তোর লেখা পড়তে দিত খোমাখাতায়। তোর পাঙ্খা হবার পরে তোকে বন্ধু বানালাম, তারপরে ভাই, তখন মনে হল কিকরে সবাইকে বঞ্চিত করি আমার ভাইটার লেখা থেকে?... তাই তোকে জোর করা আর তাইই তোকে আগের মন্তব্য। তোর লেখা অসাধারন, ফাটিয়ে দিয়েছিস এতকিছু বলবনা, আমি বলব যে তোর লেখায় দুর্দান্ত একটা গতি আছে, ভেঙ্গে গুড়িঁইয়ে দেবার একটা শক্তি আছে, আমি চাই তোর তলোয়ারটা আরও ধার হোক, তীক্ষ্ণ থেকে তীক্ষ্ণতর হোক। তুই অনেক বড় হ' তারপরে একদিন আমি সবাইকে ডেকে ডেকে বলব যে, 'এই যে নুহিন, ওকে তো আমি সেই ছোটবেলা থেকে চিনি, ও যে ঐ লেখাটা ছাপিয়েছিল তাতো আমার জন্যেই!' খাইছে

[সকলেই স্বার্থপররে, আমিতো তোকে কখন বলেই দিলাম আমার স্বার্থটা কি! :P]

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

তোর পাঙ্খা হবার পরে তোকে বন্ধু বানালাম, তারপরে ভাই,

পাঙ্খা!! সেটা আবার কবে গজালো! তবে বেশ ইন্টারেস্টিং ফ্রেজ।

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

আপনার লেখার হাত কতটা ভালো আপনি নিজেও জানেন না। আশা করছি আরও লেখা পাবো।

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

একখানা লেখায় হাত দিব বলে ভাবছি, সাহসে কুলাচ্ছে না, সাহস সংগ্রহ করতে পারলে আলবত পোস্ট করে দিবো... লেখাটি পাঠের জন্য ধ্ন্যবাদ।।

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

একখানা লেখায় হাত দিব বলে ভাবছি, সাহসে কুলাচ্ছে না, সাহস সংগ্রহ করতে পারলে আলবত পোস্ট করে দিবো... লেখাটি পাঠের জন্য ধ্ন্যবাদ।।

স্পর্শ এর ছবি

সচলে স্বাগতম। লেখাটা পড়েছি শুরুতেই। তখন মন্তব্য করা হয়নি।
এক কথায়, ভালো লেগেছে।
আরো লেখা চাই।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

তানভীর ভাই, আপনার মন্তব্য সব সময় আমাকে শক্তি দেয়, "বুস্ট ইজ দ্যা পাওয়ার অফ মাই এনার্জি" টাইপের অবস্থা আর কী... হাহাহা... ধন্যবাদ।

রানা মেহের এর ছবি

খুব সুন্দর লিখেছেন আফসিন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বেশ ভাল লাগল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।