তুমি ঘুড়ি উড়াতে পারো?
-হুম পারি, তবে নাটাই ধরতে পারি না।
- এটা কি কথা?
হুম এটা কথা।
- শুধু হুম হুম করো ক্যান?
তো করবো কি?
- ঘুড়ি উড়াবা!
আচ্ছা আগে বলো ঘুড়ি উড়ে, কিন্তু উড়ে কৈ? ঘুড়ি কি কখনও পৌঁছে আকাশের কাছাকাছি বা মেঘের আশেপাশে?
- না এতো উপরে যায় না, যাওয়ার দরকারই বা কি। তুমি এতো কথা বলো কেনো? তোমাকে বলছি ঘুড়ি উড়াতে।
আচ্ছা উড়াবো, তবে আরেকটি কথা। তুমি বলতে পারবে এই আকাশের শুরু কোথা থেকে?
- যাও ফুটও, ঘুড়ি উড়াতে হবে না, তুমি একটা পাগল!
তাই তো আমি তো পাগলই...
১০ বা বারো বছরের একটি ছেলের সাথে ৩০ বছরের এক বেকার লোকের কথা উপরের কথাগুলো। লোকটি বেকার। ঘুরে ফিরে পথে ঘাটে, বাচ্ছাদের সাথে কখনও খেলে, পার্কে ঘুমিয়ে থাকে। সে কিছু করে না, কিছু করতে পারলেও তা বেশিদিন হয় না। তাতে তার কোনো দুঃখ নাই। তবে সে যে বাতিল, তা সে ভালো করে জানে শুধু জানে না মানেও। তার কিছুই দীর্ঘ হয় না, সেটা সম্পর্ক হোক বা কাজই হোক। সে খুব অস্থির, অনেকে বলে, তবে এই কথা সে মানে না। কারণ তাকে সবচেয়ে বেশি জানে যে, তার সবকিছু যে জানে, যার জন্য সে গোপনে লিখে গেছে মন ভূর্জে অসংখ্য কবিতা, যার জন্যে তার ভেতরে বিজনে বয়ে যায় নদী, সেই মেয়েটি কখনও তাকে বলেনি সে অস্থির। এই মেয়েটির সাথে সম্পর্ক অনেকদিনের। শুধু এই বেলায় তার জীবনের অনেকটা পরিবর্তন। সে তাকে খুলে দেয় মেয়েটির কাছে, মেয়েটি তাকে পড়ে, পড়তে কখনও কোনো শব্দ ভুল হয় না। মেয়েটির সাথে যখনই দেখা হয় মনু ব্যারেজ বা প্রিন্স কর্ণারে, সে মেয়েটির পায়ে চুমু খায়। ওষ্ঠে আঙুল ছুঁয়ায়...যা সে তার ৫বছরের সংসার জীবনের সঙ্গীর কাছে ও পারে না। পাঠক এই পাগলের ঘরে বউ আছে। বউ তার পাগলামী জানে, কেবল তাকে জানে না, তাকে জানতে পারেনা, জানতে চায়নি কখনও। সেও কখনও খুলে ধরেনি বুক। বলেনি চাপা অভিমানে, পড়ো এই বেলা...দ্যাখো পাথর চাপা দাগ...না পারেনি কখনও, সব যায়গায় সব হয় না। এই না পারা তাকে ঘর টানে না, পথ টানে, মেয়েটি টানে। যে মেয়েটি সব জেনেও ভুল করে। সেও লিখে যায় তার চোখে কবিতা। সন্জীব চৌধুরীও বলে যান "তোমার চোখেতে মৃত্যু আমার তোমাতেই ফিরি...।"
তুমি আকাশ থেকে পাতাল পর্যন্ত নিজেকে নিয়ে যা ভাবো, তার চেয়ে বেশি আমি কল্পনা করি তোমাকে। ভাবো তুমি কার জন্য? ভাবতে থাকো।
হুম মেয়ে তুমি ভাবো। আমি তোমার ভাবনায় ভসিয়ে দেবো মুনিয়া সুর, সেই সুরে রুহিতেরা ডুব দিয়ে তুলে আনবে স্বপ্নের মাটি...সেই মাটিগুলো কে আমি কখনও আর মিশতে দেবো না মাটিতে। আমি গড়বো প্রতিমা। কিন্তু আশ্চর্য ব্যপার এই যে, সেই সেদিন বাচ্চার সাথে কথা বলার পর থেকে তার মাথায় নতুন একটি হুঁইপোঁকা কামড় বসায়। আকাশের শুরু কোথা হতে? সে তো জানে না! কেউ কি জানে? না, মেয়েটি ছাড়া আর কারো নিকটে গেলে উত্তর সে পাবে না। আকুল হয়ে ফেরে কখন মেয়েটি আসবে আর সে জানতে চাইবে আকাশের শুরু কোথা থেকে। সে ভালো করেই জানে, বাচ্চা তাকে পাগল বললেও মেয়েটি পাগল বলবে না। পাগলকেই তো সে পরশ দেয় আকাশ ফাটা শ্রাবণে, কার্তিকের রাস পূর্ণিমায়!!
মেয়েটি আসে। মেয়েটি তাকে দেখে হাসে, সে জানে এখন তার পায়ে চুমু পড়বে, পড়বে ফুল চন্দন।
জানো আমাকে একটা পিচ্চি পাগল বলছে।
- আনন্দ করছে।
না আনন্দ করেনি সিরিয়াস বলছে।
- আচ্ছা বলুক তাতে কি তুমি পাগল হয়ে গেছ?
হে হয়ে গেছি। তুমি কি জানো, আকাশের শুরু কোথা থেকে?
মেয়েটি ভাবে। কি বলবে ভাবে। এখন যদি সে না বলে তাহলে ছেলেটি সত্যি পাগল হয়ে যাবে। কি বলবে (?) তবু বলে আমার দিকে তাকাওতো...
ছেলেটি তাকায় মেয়েটির চোখের দিকে আর চিৎকার করে উঠে; বলে আমি পেয়ে গেছি আমার উত্তর। আকাশের শুরু তোমার মন থেকে...বলে সে জড়িয়ে ধরে মেয়েটিকে। তুমি সব পারো...স--ব...
মেয়েটি জানতে চায় আর আকাশের শেষ কোথায় তাহলে...?
--তোমার চোখে, এই চোখেই কলম্বিয়াস ভাসিয়েছিলেন মন পবণের নাও।
নীল
মন্তব্য
খুবই অ্যাবস্ট্রাক্ট!
ধন্যবাদ।
অসাধারণ
ধন্যবাদ।
গল্প বেশ ভালো লাগলো...
কিন্তু আবারো বানান নিয়া সতর্ক হতে বলি... পোস্ট দেওয়ার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেই সম্ভবত অনেক ভুল এড়ানো যায়... বানান আমার নিজেরই অনেক ভুল হয়। কিন্তু কিছু কিছু ভুল আসলে ভুল না, বেখেয়াল... অন্তত "হ্যাঁ" কে "হে" না লেখাই উচিত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ বস। আসলে আলসামী লাগে লেখার পর আবার পড়তে।
খু্বই ভাল লাগলো । কবিতা এবং গল্পের মাঝামাঝি । গভীর উপলব্ধি প্রবল হয় যখন স্মৃতির রোমন্থনে তার ব্যাপ্তি চতুর্দিকে ছড়িয়ে যায় ।
এরকম আরও লেখা চাই ।
============================
আমার নিজস্ব ডায়েরীটা সময় হলে পড়বেন(১৮+) http://tr.im/priyomeye
ধন্যবাদ...
অপ্রাসঙ্গিক হয়তো। কিন্তু লেখা পড়ে আমার এই কবিতাটার কথা মনে পড়ে গেলো-
"আমি ছাড়া তোমার আর কে আছে ?? সে বললো ,নীল
আকাশ।আকাশ ছাড়া তোমার আর কে আছে?? সে বললো,
সবুজ ধান। ধান ছাড়া তোমার আর কে আছে ?? গেরুয়া
নদী । নদীর পরে ?? পঞ্চবটী। পঞ্চবটী ছাড়া ?? সোনালি
হরিণ। হরিণের পর ?? ঝড়। ঝড় ছাড়া তোমার আর
কে আছে? কালো মাটি। কালো মাটির পর ?? তুমি আছো। "
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
কোনো কোনো তুমি হয়তো এরকম কবিতায় আর গল্পেই আমরা পাই।
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
!!
ভীষণ মন ছুঁয়ে গেলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ...
শিরোনাম পড়ে সঞ্জীব চেৌধুরীর আমার খুব প্রিয় একটা গানের কথা মনে পড়লো :
বাক্যের শুরু অন্য কোথাও/তোমাতেই দেই দাড়ি/যখন যেখানে নোঙর ফেলেছি/সবাইকে আজ আড়ি।
পূর্ব বুঝি না,পশ্চিমও না/সীমানা একেছে কে?/মানচিত্রের প্রাণ থমকায়/তোমার উঠোনে গিয়ে।
বহু বন্দর ছুয়ে ছুয়ে তাই/তোমার উঠোনে ফিরি/যখন যেখানে নোঙর ফেলেছি/সবাইকে আজ আড়ি।
গানের বাকি অংশটুকু মনে নাই।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আপনি হয়তো শিরোনাম শুধু পড়ছেন, গল্পের ভেতরে কিন্তু সন্জীব দা'র নাম পুরোটাই উল্লেখ আছে!
প্রেমের গল্প। কিন্তু প্রেমের চেয়ে কবিতাই বেশি। অবশ্য প্রেম আর কবিতা তো একজায়গাতেই মিশে থাকে।
ভালো লাগলো। আরও লিখুন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অনেক ধন্যবাদ গৌতম...
গল্পটিতে কাব্যময়তার আস্বাদ পেয়ে ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ...
দারুণ লাগল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ বস
এটা তো তো কবিতা কবিতা গল্প। ভালো লাগলো!
নতুন মন্তব্য করুন