বাড়ির সামনে হাঁটু জল, স্যান্ডেলখানা বাঁচাতে বগলে স্যান্ডেলখানা গুঁজে তিনি হাঁটছিলেন। পাড়ার ছেলেরা পেপার কেটে কাগজের নৌকা বানিয়ে সেই পানিতে ভাসাচ্ছিল। দূর্ভোগের এই জল থেকেও মানুষ আনন্দ খুঁজে নিচ্ছে! ভেবে তিনি খুব অবাক হলেন! মানুষের সুখবোধ কত বিচিত্র! ভোঁ ভোঁ… তিনি পিছ ফিরে তাকালেন, পিছ থেকে একটা রিক্সা আসছে, রিকশা একটা স্কুল পড়ুয়া মেয়ে। গোলাপী ফিতে দিয়ে বেণি করা চুল, দেখলে বড় মায়া হয়।
ভোঁ ভোঁ…
এবার সত্যি তার ঘোর ভাঙল, তিনি নিজেকে আবিষ্কার করলেন টেবিল-ল্যাম্প তীরবর্তী সজাগ নিদ্রায়। তিনি তার কল্পনার ডিম ভেঙ্গে নবজাতক হাসের বাচ্চার মত আড়মোড়া ভাঙলেন। তিনি তাকিয়ে দেখলেন একটা ফড়িং।তার সামনের জানালার কাঁচের উপর ডানা ঝাপটে পালানোর ফন্দি করছে। তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে ফড়িঙ্গাটা দেখতে থাকলেন। তিনি সারাজীবন অসংখ্য ফিকশন ও উপন্যাস লিখেছেন। সারাটা জীবনই ভাবনার খোয়ারে কাটিয়েছেন। হাত বাড়িয়ে তিনি ডাইরীটা বের করলেন। লিখতে শুরু করলেন এমন একটা বিষয়ে যা নিয়ে তিনি আগে কখনো লিখেননি। তার ভেতর বিচিত্র একধরনের অনুভূতি হতে থাকল, এমন অনুভূতি আগে কখনো হয়নি…
তিনি ডাইরীর একটা সুবিধাজনক পাতা খুলে ফড়িঙ্গাটাকে আরো মনোযোগ দিয়ে দেখতে থাকলেন। এরপর তার মনের অন্তর্গত আত্ম বিরোধের মীমাংসা করে জানালার কাঁচটা খুলে দিলেন। ফড়িঙ্গটা কোনরূপ কৃতজ্ঞতা না জানিয়েই মুহূর্তেই উড়ে গেলো। তিনি ভেবেছিলেন ফড়িঙ্গটা ফিরে আসবে আবার। কিন্তু তা আর ফিরে আসলোনা।
কলমটা হাতে নিয়ে তিনি লিখলেন, “হাউ ডাজ ইট ফিল টু ডাই”।
তিনি আর কিছুই লিখতে পারছিলেন না। তার সমস্ত শরীর অবসাদ হয়ে আসল, কোন এক বোধের হাঙ্গর কামড়ে কামড়ে খেয়ে যাচ্ছিল তার সব শক্তি।
তিনি লিখলেন, “আমি যদি এখন মরে যাই- কী হবে! কেউ কাঁদবে, কেউ খুশি হবে, কাফন বিক্রেতার কিছু লাভ হবে, সেই টাকায় চলবে তার বেঁচে থাকার অবিরাম সংগ্রাম…”
বাইরে তখন বিকেলের শেষ দিকটায় বখাটে আকাশের মেয়ে গালে লাল মেকাপ মেখে তার মনকে উস্কে দিল আরো। তিনি বড় অস্বস্তি নিয়ে লিখলেন, “যদি স্বর্গ না থাকে। যদি নরক না থাকে! তাহলে সব সততাই লোকসান, সব এড়িয়ে যাওয়া পাপের জন্য দুঃখ হবে খুব। যদি ঈশ্বর না থাকে! তাহলে কার কাছে যাব? অনন্তে মিলিয়ে যাব?”
না এমন ভাবে তিনি ভাবেননি আগে কখনো। তিনি খুব ছটফট করতে করতে এক অদম্য ভাবনার প্রবাহে লিখতে থাকেন, “যদি আমার এখন মৃত্যু হয়। তাহলে হিসেব করার এটাই উপযুক্ত সময়। আমি কতটুকু “আমি” হতে পেরেছি! আমার মৃত স্ত্রী, আমার প্রবাসী দুই সন্তান, আমার লাগানো লেবু গাছটা, আমার বিশ বছর পুরাতন ত্যানা ত্যানা রুমালটা, আমার খস খসে সাপের মত কুঁচ্কানো চামড়া, আমার হাঁটুর ঘাড়ে শরীরের সমস্ত ভর, আমার জীবন… কোথায় সুখ ছিলো। সব কিছু হারায় গিয়ে আমাকে শিখিয়ে দিলো কীভাবে হারাতে হয়, কীভাবে পথ চেনার ভান করে হারিয়ে যেতে হয় পথ হারানোর পথ খুঁজে!”
তার বুকের ভেতর প্রচণ্ড ব্যাথা শুরু হয়। এটাও কী তার গভীর ভাবনা! তার ভাবনাগুলো এত গভীর যে তিনি বাস্তব আর ভাবনার পার্থক্য করতে পারেন না। তিনি তার ব্যাথাটাকে উপেক্ষা করেই লেখায় মনোযোগ দেন, “আমি কী চাই এই মুহূর্তে! মরতে নাকি বাঁচতে! অবশ্যই মরতে। নিজেকে খুব ভাগ্যবান্ মনে হচ্ছে আমার মৃত্যু দুর্ঘটনায় হয় নাই। এমন মরে কয়জনা! মৃত্যুকে জেনে ভালোবেসে… অনুভব করে”।
তার হাত কাঁপতে থাকে।এটা অনেকটা নন টক্সিকেটেড সুইসাইড। তিনি খুব প্রাণ পণ প্রচেষ্টা করে লিখেন, “আহ…! ইটস কামিং, আই ক্যান সি ইট…; ইটস কোল্ড…; ফিঙ্গারস…; অন মাই ফোর হেড…”।
তার ভাবনায় ইংরেজী বা বাংলার কোন পার্থক্য থাকল না, তিনি তার অনুভূতিটা সরাসরি লিখতে থাকলেন। তিনি মৃত্যুর একটা ঘ্রাণও পাচ্ছিলেন। ব্যাপারটা তার কাছে অদ্ভূত লাগল, মৃত্যুর ঘ্রাণ! তাও আবার তীব্র কদম ফুলের ঘ্রাণের মত।
তিনি চোখ বন্ধ করে কয়েকটি বৃত্ত আঁকলেন। নিচে কাঁপা কাঁপা হাতে লিখলেন- “আমার জীবন। সাইকেল। শেষ বিন্ধুতে আমি মিশে যাচ্ছি আদির সাথে… কী সুন্দর… কী উজ্জ্বল… মৃত্যু একমাত্র সত্য… আহা আমি সত্য দেখলাম আজকে… আমি বাঁচতে চাই না আর… মৃত্যু বিচিত্র… রঙ্গহীন… রঙ্গ চেয়েও বেশি দৃশ্যমান; মৃত্যু আমার শ্রেষ্ঠ অর্জন… মৃত্যু নারীর মত প্রিয় কোন বিষ…!!!”
হঠাৎ কাজের মেয়ে সেলিনা চেঁচিয়ে উঠে পেছন থেকে, “খালুজান, আফনের গোসলের পানি দিসি, গোসল কইরা আসেন”।
তিনি খুব অবাক হয়ে দেখেন তার বুকের ভেতরের ব্যথাটা কমে গেছে। আফটার ওল, তিনি একজন ফিকশন রাইটার। কিন্তু তার মনে ভীষণ একটা আফসোস হতে থাকল, এই প্রথম তিনি বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে দুর্ভাগা মনে করতে থাকলেন।
তিনি তোয়ালে নিয়ে বাথরুমে ঢুকলেন। একটা ফড়িঙ জানালা দিয়ে রুমে ঢুকলো। তবে সেটা কি একই ফড়িঙ নাকি তা জানা নাই।
(বাসে বসে ভাবনার নোটবুকে লেখা। বাসে বসেই আমি বেশির ভাগ লেখা লিখি। আমি আজকে ভাবছিলাম আমি কীভাবে মরতে চাই, তখন যেভাবে মরতে গিয়ে মরতে পারলামনা তার একটা ঈষদ পরিবর্তিত রূপ হল এটা... এই গল্প আমার মৃত্যু ভাবনার ক্লোন...)
কাজী আফসিন শিরাজী
মন্তব্য
ভালো লাগল। আপনার লেখার হাত তো দারুণ।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এটা ঠিক লেখা না, ভাবনা। ফিকশনাল ভাবনা। আমি এভাবেই ভাবি তাই আমার লেখাগুলা এমনই হয়। লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অসাধারণ, চালিয়ে যান ...
------------------------------------------
যাহা চাই যেন জয় করে পাই ... গ্রহণ না করি দান ...
------------------------------------------------------
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক ... খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ ...
আপনার ফুটনোট টা ভালো লাগল... আমি যতদিন চলি ততদিন লেখালিখি চলবে, আমি কোনদিন ফুটুস হয়ে যাই তার নাই ঠিক!
আমার কাছে লেখাটির বিষয়বস্তু আর লেখার স্টাইলটি খুবই ভাল লেগেছে। তবে টুকরো টুকরো স্ন্যাপশটগুলোকে একদম শেষে কিছু একটা দিয়ে বেঁধে ফেলতে পারলে আরো ভালো লাগতো। লেখাটি যে ভালো, তা আবারও বলছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ছাগল দিয়ে চাষ করালে যা হয় আর কী... হাহাহা... কবিতা লিখে অভ্যাস তো খুব বড় করে লিখতে এখনো অভ্যস্ত না। লেখাটার এন্ডিং খুব সাদামাটা। কারন আমি দেখাতে চাইসি, লেখা আর জীবনের মধ্যে বিরাট এবং ডিস্টিংক্ট একটা পার্থক্য আছে। জীবন অনেক সাদামাটা। তবে আপনার মতামতের সাথে পুরোপুরি একমত শেষে আরেকটু বেধে দিলে হয়ত বক্তব্যটা আরেকটু গাঢ়তা পেতো!
ভাল লাগল
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হুমমমমম...
আপনার লেখার ভঙ্গি সুন্দর!
আমার লেখার ভঙ্গি! আমি তো বাসে হেলান দিয়ে লিখি... এই হল আমার লেখার ভঙ্গি
আমার ভাই ভালু লিখে!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার বইনও ভালো লেখে...
অসাধারণ লেখা। আপনি আরও বাসভ্রমণ করুন।
ইউনিভার্সিটি যেতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে। তখন বাসে বসে লিখি বা কার্টুন আঁকি। কিছু মানুষ অবাক হয়ে দেখে, ভাবে এ কেমন পোলারে বাবা!!!
আরেকটু দূরে বাসা নেন, ঘন্টা দুই লাগে এমন দূরে।
এখন তো থাকি ক্যানবেরা। তাহলে সিডনীতে বাসা নিতে হবে, তাইলে আরাম করে তিনঘন্টা বাসে চড়ে যাইতে পারব।
আরে, আপনি ক্যানবেরা থাকেন! ওখানে আমার শ্বশুড়বাড়ির দিকের কিছু আত্মীয় আছেন। কয়েকদিন পর হয়তো তাদের সাথে কথা বলতে বলতে দেখা যাবে আপনি ওদের চেনা
ক্যানবেরাতে আমার n- সংখ্যক আত্মীয় আছে, সেই সূত্রে অনেক বাঙ্গালীর সাথে পরিচয় আছে। তবে কেউ আমাকে আমার এই নামে চেনে না। সবাই আমাকে ডাক নামে চিনে।
আফসিন,
পরেরবার যখন তোমার সাথে ফেসবুকে গেজাবো তখন তোমাকে একটা ছোট্ট পরামর্শ দিব......এখনকার মত বলে রাখি- চমৎকার ! !
তাসলিম রেজা
nilchhoya@yahoo.com
ঠিক আছে ভাইয়া...
Inkheart (2008) মুভিতে শুনেছিলাম কথাটা হয়তো, গল্পের বাস্তবতাকে অনুভব করার কথা। একজন লেখকের জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া সেটাই যখন সে তার লেখা গল্প/ঘটনাকে উপলব্ধি করতে পারে নিজের ভেতরে, নিজের সত্তায়... যখন সেটা জীবন্ত হয়ে ওঠে, যখন সেটা তার কাছে বাস্তবতা হয়ে ধরা দেয়, সেই অভিজ্ঞতার আর কোন তুলনা হয় না। ... "এই প্রথম তিনি বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে দুর্ভাগা মনে করতে থাকলেন।" অসাধারণ...
বোধের এরকম ডিলেমায় আমিও সব সময় পেন্ডুলামের মত দুলি। এটা একটা ডায়ালেক্টিক ভাবনা। প্রায় মনে হয়, আমি লেখার চরিত্রগুলার সাথে মিলে যাই, কষ্ট পাই। বাস্তব আর লেখার চরিত্রগুলার পার্থক্য করতে পারি না। আমি ভালো লিখি না, কিন্তু লেখার এই অনুভূতিটা খুব উপভোগ করি। তাই লিখি।
আমারো এরকম করে মরতে ইচ্ছে করে। মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট সময় যেন হাতে পাই সেটাই আশা করি, যাতে মৃত্যুটা অনুভব করার একটুখানি সুযোগ পাই। কারণ ঐ সুযোগ দ্বিতীয়বার হয়তো আসবেনা।
লেখাটা সুন্দর। বানান একটু ঠিকঠাক করলে আরো ভালো হতো।
ধন্যবাদ... বানানের কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। আরেকটু সময় লাগবে। হুম... মৃত্যুর মত এমন একটা পরম ঘটনাকে অনুভব না করে মরার কোন মানে হয় না।
ধন্যবাদ কবি। ভালো লাগলো। ভাবনার প্রকাশ সুন্দর।
বানানের ব্যাপারে একটু সতর্ক হতে পারেন। এতো সুন্দর লেখায় বানান ভুল চোখজ্বালা করে। বাক্য গঠনেও...
এই বাক্যটাই দেখুন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুম...
অসাধারণ লেখা
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ!
লেখাটা খুবই চমৎকার লাগল
নিয়মিত লিখুন।
এক অপরিচিত আগন্তুকের লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ!
চমৎকার, ভালো হয়েছে ভাই।
লেখার ভাবপ্রকাশ খুবই ভালো লেগেছে।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ধন্যবাদ। ভাবনার ওমে শব্দশিশুরা বেড়ে ওঠে ওদের নিজেদের মতই, অতটা যত্ন নেয়া প্রয়োজন হয় না।
অসাধারণ লাগলো আপনার এই লেখাটা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আজকাল মন্তব্য করতে এসে দেখি সবাই আগেই বলে গেছে আমার কথা গুলো তাই পুরান কথাটাই বলি, আমার কিন্তু লেখাটা ভাল লেগেছে। আশা করি দেখা হবে আপনার পরের লেখায়।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
শিমুল ও নিবিড়- লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ!
লেখা ভালো হয়েছে। সিডনী আসছি এই শুক্রবারে। চলে আসেন না একটা লম্বা বাসজার্নি করে। ভালো কিছু গল্প শোনা যাবে তাহলে
হাহাহা ঠিক আছে, কদিন থাকবেন? ...
__________________
ঝড়ের বেতারে শুনি একটি শিশুর গোঙ্গানি...
ভালো লাগলো!
চমৎকার গল্প।
বেশি বেশি বাস ভ্রমন করুন আর সচলে গল্প পোস্ট করুন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হুম... বাস আমারে ভাবায় খুব। চোখের সামনে সব কিছুই তো ভাইগা পিছনে চলে যায়, আমি বড্ড ভাবনায় পইরা যাই...
_____________________________
ঝড়ের বেতারে শুনি একটি শিশুর গোঙ্গানি...
সিরাজী,
বন্ধু অনেকেই হয়। কিন্তু কেউ কেউ বন্ধুত্তীর্ন একটা বোধে পরিণত হয়। আমি নিশ্চিত আমি যদি নাও থাকি, তোকে নিয়ে আমার গর্ব হবে।
লিখতে থাকুন। আপনার আরো বেশি বেশি লেখা উচিৎ। গল্প ভাল হয়েছে।
চমৎকার। আরো অনেক লেখার প্রত্যাশায় রইলাম।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভাবছি এর পর মঞ্চ নাটক লিখব, হাহাহা... সব কিছু নিয়ের এক্সপেরিমেন্ট করব। রূপক আকারে লিখতে ভালো লাগে। যে বোঝার সে বুঝে নেবে, যে বুঝবেনা সেও বুঝবে- না বোঝার মধ্যেই।
______________________
ঝড়ের বেতারে শুনি একটি শিশুর গোঙ্গানি...
নতুন মন্তব্য করুন