শুনেছি বাংলায় আঁতেল শব্দটির আগমন ফরাসি অ্যঁতেলেকচুয়েল শব্দটির লেজ ধরে, তবে ব্যঙ্গাত্মক জাত্যর্থে। মোদ্দা কথা এই— যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তাঁর বা তাঁদের বুদ্ধিবৃত্তির লেবুটি নিংড়ে অন্যের মুখ তিক্ত করতে ওস্তাদ, তাঁরাই মূলত ওই সকল তিক্তমুখ জনতার ঋণাত্মক ভালোবাসায় আঁতেল খেতাবধারী। তবে এমনও হতে পারে যে— বিষয়বস্তুর আঁত নিয়ে ঘাঁটতে ভালোবাসেন যাঁরা, তাঁরাই আঁতেল। আমার আশাবাদ এই দ্বিতীয় সংজ্ঞায়; আঁতলামি বেজায় পছন্দ করি যতক্ষণ না নিজ আঁতে ঘা লাগে। এখন কারো মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে “ভায়া, এতোগুলো চন্দ্রবিন্দুর গোষ্ঠী উদ্ধার করে তুমি আসলে বলতে চাইছটা কি? অহেতুক প্যাঁচ না কষে উদ্দেশ্যটা বল দেখি!”, সে প্রশ্নের উত্তরে তবে বলতে হয়— যেহেতু প্রধানত সিনেমা নিয়ে লিখবার (এবং তার চাইতেও বেশি জানবার) ইচ্ছা সচলায়াতনে (অন্যান্য বিষয় নিয়েও লিখব বৈকি, এটা নিয়ে কুতর্কে নেমে লাভ নেই), সেহেতু একটু নাটকীয়তা। আধটু মশকরা। এইতো।
“তথাস্তু, বালক! আজি কোন সিনেমা লয়ে তব আঁতলামি?”
আজ্ঞে, “দ্যা প্রিন্সেস অ্যান্ড দ্যা ওয়ারিওর”, গুরুঠাকুর।
“হুম।”
“রান লোলা রান” খ্যাত পরিচালক টম টিকভার লোলা পরবর্তি সিনেমা “দ্যা প্রিন্সেস অ্যান্ড দ্যা ওয়ারিওর”। মূল নারী চরিত্রে সেই একই নায়িকা ফ্রাঙ্কা পুতেন্তো, যার খ্যাতির আরো বিস্তার ঘটে জেসন বোর্ন সিরিজের প্রথম দুই কিস্তিতে ম্যাট ডেমনের বিপরীতে মারী চরিত্রে অভিনয় করে। এই ছবিতে ফ্রাঙ্কা অভিনয় করেন এক মানসিক হাসপাতালের নার্স চরিত্রে, যার জন্ম এবং বৈচিত্রহীন বেড়ে ওঠা ওই হাসপাতালেই। তারপর একটি সড়ক দুর্ঘটনা কেন্দ্র করে শুরু হয় নানাজাতীয় কাণ্ডকারখানা এবং অসম্পৃক্তের বুনন। যদিও কাহিনীর অন্তমিল সম্বন্ধে আমার বেশ খানিকটা ইতস্ততা আছে, তবুও বলতে হয় পরিচালনায় বেশ মুন্সিয়ানা ছিল। কিছু-কিছু জায়গাতে আবহ সংগীত এতই মন্ত্রমুগ্ধকর ছিল যে মনে দাগ কেটে যায়। ক্যামেরার কিছু ডলি-শট/ক্রেন-শট এতই দেখবার মতন যে আমি টেনে-টেনে বেশ কয়েকবার দেখেছি। এত গুণকীর্তন করবার পরও বলতে হয় যে সিনেমাটির বিশেষত্বই ছিল তার কাহিনীর অভিনবত্ব এবং চরিত্রগুলোর ভিন্নতায়। আমি অন্তত হলপ করে বলতে পারি যে— দেখলে পস্তাবেন না, বরং আমার উপর রাগটা খানিক কমে আসবে।
বিস্তারিত: http://www.imdb.com/title/tt0203632/
===
চিন্তিত (sajjadfx@জিমেইল.কম)
মন্তব্য
পনের লাইন ভূমিকা দিয়ে তের লাইন মূল লেখা। এটা কেমন হল?
মূল বর্ণনা পড়ে চলচ্চিত্রটা, তার কাহিনী, নির্মাণ, নির্মাতা বা অভিনেতা-অভিনেত্রী কোন কিছু বা কারো সম্পর্কে বিশেষ কিছুই বুঝলাম না। কোন বিশেষ কারণে আপনি এটি recommend করলেন তাও বুঝলাম না। মূল পোস্টে যেহেতু সেসব কথা বলেননি, তাহলে দয়া করে মন্তব্যে সেসব বলুন।
আর পাঠক খামাখা আপনার উপর রাগ করবেন কেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনি যখন এত করে দেখতে বললেন তবে তো দেখতেই হয়।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
রান লোলা রান ভালো লাগছিলো। এটা দেখা হয় নাই। দেখবো আশা রাখছি। কাহিনীর অভিনবত্ব থাকলে বেশি খুশি আমি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
টম টুকভারের রান লোলা রানের নাম অনেক শুনেছি। সবাই বেশ প্রশংসা করেছে। কিন্তু দেখা হয়নি এখনো।
পাফিউম দেখে আশাহত হয়েছিলাম। সবাই যেভাবে প্রশংসা করেছিল সে তুলনায় ছবিটা একেবারেই ভাল না।
সিনেমা নিয়ে আরও লিখেন। তবে শট, কাহিনী, অবিনবত্ব এসব ভাল লেগেছে না বলে যদি স্পষ্ট করে বলে দেন- কোন শট, কোন ইনোভেশন ভাল লেগেছে এবং কেন লেগেছে তাহলে ভাল হয়।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আরেকটু বিস্তারিত বলবেন কি? সাধারনত রিভিউ পড়ে ছবি দেখিনা, কিন্তু আপনি যখন বলছেন তখন আরেকটু জানতে চাওয়াটা দোষের নয়। কি বলেন?
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
শুরু করতে করতেই শেষ হয়ে গেলো লেখাটা...
টম টিকভারের মুভির তুলনা নাই, পারফিউম দেইখা আমার মাথাই নষ্ট, এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল আর হেভেন'এরও তুলনা নাই, দেখুম দেখুম কইরা এত আগের থিকা শুইনা আইসাও লোলাটা এখনো দেখতে পারি নাই, এইটা তো দেখুমই রান লোলাটাও এইবার দেখুম।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
নতুন মন্তব্য করুন