১.
-এইটা কোন কথা হইলো। পজিশনটাতো আপনি ডিজার্ভ করেন। এমন তো না যে আপনি এই পদের জন্য অযোগ্য।
লতিফ সাহেবের আন্তরকিতায় মুগ্ধ হন প্রজেক্ট ম্যানেজার নজরুল। টিম লিডার পদটা খালি গত একমাস ধরে। ম্যানেজমেন্ট নতুন কাউকে নিয়োগ দেবে নাকি নজরুল সাহেবকেই প্রমোশন দিয়ে অই শূন্য পদটা পূরণ করবে তা এখনো ঠিক হয়নি। অবশ্য নজরুল সাহেব নিজেই বেশ আশাবাদী । তারপরও নির্লিপ্ত কন্ঠে বললেন -
দেখা যাক। ম্যানজেমেন্ট যেটা ভাল মনে করে। সত্যি বলতে কী, আমার আসলে আলাদা করে কোন চিন্তা নেই এই বিষয়ে।
এবার আগের চেয়েও উত্তেজিত লতিফ সাহেব - আপনি কইলেই হইলো। গুণীর কদর করতে জানেনা বইলাই আইজকা জাতির এই অবস্থা। দরকার হইলে আমি একাই ফাইট দিবো।
নজরুল সাহেব আবারো আপ্লুত হন। হঠাত্ করে মনটা ভীষণ ভালো হয়ে যায় তার। ফাইন্যান্স হেড একদিন কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন- শোনেন নজরুল ভাই, আমার এই দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতায় একটা জিনিস আমি বুঝছি, আর যা-ই হোক, কলিগ কখনো বন্ধু হয় না।
কথাটা তিনি ঠিক বলেননি!
২.
প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসাবে লতিফুর রহমানের প্রমোশনের চিঠিতে সই করতে করতে টিম লিডার নজরুল ইসলাম বিড়বিড় করে বললেন-স্বার্থপর এই সময়ে এরকম নির্মোহ মানুষগুলোর খুবই দরকার!
-কাকতাড়ুয়া
kaktarua09@জিমেইল.কম
মন্তব্য
বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই নায়ক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আসলেই
আমি ভাবছিলাম আমাদের নজু ভাইয়ের কথাই বলা হচ্ছে।
এটা একটা সত্যিকারের অনু-গল্প হয়েছে।
ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক মন্তব্যের জন্য।
আপনার গল্প লেখার হাত খুব ভালো।
একটা ছোটো প্রশ্ন, লতিফ সাহেব কি ঐ পদের জন্য ক্যান্ডিডেটই ছিলেন না, না কি নজরুল সাহেব এ বিষয়ে অজ্ঞ ছিলেন? লতিফের ভণ্ডামিটা ভালো জিনিস নয় ঠিক কথা, তবে কাঙ্খিত পদের জন্য নিজের ক্যান্ডিডেচার নিয়ে প্রতিযোগিতা কার সাথে সে খোঁজখবর না রেখে শেষে গিয়ে হতাশ হওয়াটাও কাজের কথা নয়।
ধন্যবাদ মূলত পাঠক আগ্রহ নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য।
লতিফ সাহেব ঐ পদটির জন্য প্রার্থী ছিলেন না। তার আগ্রহ ছিল প্রজেক্ট ম্যানেজার পদটার প্রতি। যেটা টিম লিডার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত নজরুল সাহেবের ছিল।
গল্পটা তেমন ভালো লাগেনি। অণুগল্পের লাস্ট মোচড়টা যেনো থেকেও নেই। ছোট পরিসরের গল্পে চরিত্রগুলোর পুরো নাম না দিলেও চলতো। পদগুলো বাংলায় (কোষাধ্যক্ষ, পরিচালক, ইত্যাদি) দিলেও মন্দ হতো না।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
ধন্যবাদ অমিতদা।
আমি তো সচলের নজরুল ভেবেছিলাম।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো গল্প হয়েছে। মোটা দাগের টুইস্ট না থাকায় আরও বেশী ভালো লাগল।
ধন্যবাদ মামুন ভাই
গল্প বলা ঠিক আছে। তবে টুইস্টটা কেমন যেন হয়ে গেলো...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ধন্যবাদ শব্দশিল্পী। পরের গল্পে ভাল করার চেষ্টা থাকবে।
পুরা নিজের অফিসের ঘটনা দেখলাম মনে হলো ।
কন্কী!
ভাল লাগছে... চমৎকার!
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ধন্যবাদ স্বপ্নহারা
হুম! গল্পে দেখছি ভিলেজ পলিটিক্স ঢুকে গেছে।
.................................................................
ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল
হ
ভাল্লাগলো!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ বালিকা!
অনু-গল্প ভাল্লাগলো।
সামনে নিশ্চয়ই আরো ভালো ভালো লিখবেন
ধন্যবাদ আরেফিন ভাই।
আমার কাছে লেখাটি ভালো লেগেছে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।
সত্যি বলতে কী, সচলে আপনার নিয়মিত (অণু)গল্প দেখেই আমার গল্প লেখার চেষ্টা। আপনি দুর্দান্ত লেখেন!
নতুন মন্তব্য করুন