প্রাসঙ্গিক কথা : স্বাধীনতা প্রসঙ্গে রুশোর জগদ্খ্যাত উক্তিটি প্রথমেই অভিজ্ঞতার বহুদূর পশ্চাদ্ভূমি থেকে এখনো গড়িয়ে গড়িয়ে কিংবা এমনকি হামাগুড়ি দিতে দিতে চৈতন্যের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায় : মানুষ স্বাধীন হয়ে জন্মায় কিন্তু জন্মের পরেই সে শৃঙ্খলিত হয়ে পড়ে। সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট লেখার আগে রুশো যে দীর্ঘ প্রবন্ধটি লিখেছিলেন এবং যে গদ্যকর্মের ওপর ভিত্তি করে উল্লিখিত বইটি প্রণয়ন করেছিলেন, তাঁর সেই প্রথম অনবদ্য রচনায়, বলা হয়তো বাহুল্য, তিনি মানুষের পরাধীনতার আদি কারণ হিসেবে মানুষের ইতিহাসে সম্পদের আবির্ভাব এবং এর ওপর সংখ্যালঘুর ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠা ও অবশিষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদের সেই সম্পদের ওপর অধিকার হারানোর মর্মন্তুদতাকেই শনাক্ত করেছেন। আদিম সাম্যবাদী সমাজের প্রকৃতি ব্যাখ্যার মানবহিতৈষী নিষ্ঠার জন্যেও মানবজাতির অসমতার উৎস এবং ভিত্তি শীর্ষক তাঁর প্রথম কাজটি প্রণিধানযোগ্যতা লাভ করেছে। স্মরণ এখনো অপ্রয়োজনীয় নয় যে, রুশোর অসাধারণ উত্তরসূরী মার্কস, এঙ্গেলস্, লেনিন, মাও জে দং এবং এমনকি হো চি মিন মানুষকে এই পরাধীনতা থেকেই মুক্তি দিতে চেয়ে মনীষাপাত. প্রতিভাপাত এবং জীবনপাত করেছেন। আজ তাঁদের প্রসঙ্গই প্রত্নস্মৃতিতে পরিণত। কিন্তু তথাপি মানবচিন্তার ইতিহাসে স্বাধীনতা ও পরাধীনতার সীমা-পরিসীমা বিষয়ে কিছু বলতে চাইলেই তাঁরা অনিবার্যরূপে দণ্ডায়মান হন। ধনতন্ত্রের বিকাশের এক পর্যায়ে উন্নত রাষ্ট্রগুলো বহির্বিশ্বে তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার দখলের প্রতিযোগিতায় দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত করে। দ্বিতীয় মহাসমরের পর পৃথিবীর অনেক দেশই ধনতান্ত্রিক উপনিবেশমুক্ত হয়। কিন্তু সেসব অধিকাংশ দেশেই পুরোনো পুঁজিবাদী শক্তির জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হয় আঞ্চলিক নব্য ধনবাদী গোষ্ঠি। তাই স্বাধীনতার জন্যে উপনিবেশ-বিরোধী সংগ্রামগুলো শেষ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিত্বশীলতা হারায়। ওদিকে দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধের আগে থেকেই ধনতন্ত্রের প্রতিপ হিসেবে সমাজতান্ত্রিক দ্বিতীয় পরাশক্তি সক্রিয় থাকলেও এ-সমাজতান্ত্রিক অবকাঠামোর ভেতরে পূর্বে-থেকে-যাওয়া প্রতিক্রিয়াশীল উপাদানসমূহের ক্রমোন্নতি, প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে আমলাতন্ত্রের বিকাশ এবং অন্যান্য প্রায়োগিক ব্যর্থতার দরুনও তা প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মার্কিন প্ররোচনার অসম্ভব নগ্নতা তো ছিলোই। সভ্যতা তবুও অগ্রবর্তী হয়। গেলো শতাব্দীতে সমাজতন্ত্রের পতন হলেও আবিষ্কৃত হয় ফ্যাক্স মেশিন, ই-মেইল এবং ইন্টারনেট। এ-তিনটি আবিষ্কারের দ্বিতীয়টি প্রথমটির তুলনায় উল্লম্ফনের গতিতে অগ্রবর্তী হয়েছে, তৃতীয়টি দ্বিতীয়ের, বলা যায়, অনতি পরেই। ই-মেইল প্রতিষ্ঠার পরেই ওয়েবসাইট তৈরির কোম্পানিগুলো আবির্ভূত হয়। কিন্তু এসব সত্ত্বেও মানবসভ্যতা পশ্চাদ্বর্তীও হয়। প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন ছত্রখান হলে পূর্ব ইয়োরোপীয় অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতেও, সোভিয়েতের মতোই, পতন ঘটে ন্যূনতম বহু মানবিক মূল্যবোধের। অপরদিকে এশিয়ার দিকে দিকে ফণা তোলে একাধিক ধর্মীয় মৌলবাদ। বিশ্বধনতন্ত্র এর পৃষ্ঠপোষকতাও করে। সমাজতান্ত্রিক প্রতিপকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রকালে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাদেনকে গড়ে তোলে সেই উগ্রতাবাদী ধর্মীয় নেতাই মতালোভী অভিন্ন ধনতান্ত্রিক চরিত্রহেতু মার্কিনি প্রতিপত্তির বিরুদ্ধে হাত উত্তোলিত করে প্রায় টুইন টাওয়ারের সমান উচ্চতায়। আমেরিকার অহংকার টুইন টাওয়ার ভেঙে দেয়া হয়। প্রতিক্রিয়ায় আফগানিস্তানে, মূলত দেশটির নিকটবর্তী তুর্কমেনিস্তানের গ্যাস সম্পদ লুণ্ঠনের উদ্দেশ্যেই সংঘটিত মার্কিন হামলায় মেষপালের মতোই নিহত হয় অসংখ্য মানুষ, ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় অনেকখানি ভূ-সম্পদ। এদিকে গত শতকের শেষ দশকের শুরু থেকেই, ইরাক ইস্যুতে কুয়েতের তৈলসম্পদ অধিকারের পর হতেই, ইরাকের তেলে ভাসতে চায় মার্কিন জাহাজ। বিগত এক যুগে দেশটিকে তিল তিল করে ধ্বংস তো করা হয়ই। এতোসব ঘটনা পরম্পরার পরিপ্রেক্ষেতে, যুদ্ধ-পরবর্তী ও যুদ্ধকালীন নিন্দা জ্ঞাপনের ইতিহাসে মানুষ ব্যতিক্রম সংযোজন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মানুষ ইরাক-যুদ্ধের আগেই যুদ্ধের বিরোধিতায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
আমেরিকায় এক পাহাড়ের পাদদেশে কয়েকজন বিদূষী নারী সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে পাঁচটি ইংরেজি অরের আকারে শুয়ে নিজেদের অস্তিত্ব দিয়ে লেখেন : নো ওয়ার। আর আমাদের আলোচ্য ব্লুস্টকিং অরুন্ধতী রায়?
প্রাথমিক দৃষ্টিপাত : ভারতের উচ্চ শ্রেণীর তথা ধনশালী গোষ্ঠির সঙ্গে গোপন চুক্তির আওতায় উন্নত বিশ্বের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো সে দেশটিকে বিশেষভাবে অধিকৃত এক বৃহৎ বাজারে পরিণত করার সমস্ত আয়োজনে মেতেছে। অরুন্ধতী রায় প্রশ্ন হানেন : বিশ্বের দারিদ্র্য দূরীকরণই কি গোলকায়নের উদ্দেশ্য নাকি এ উপনিবেশবাদের ভিন্নতর বৈচিত্র্য, যা রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং ডিজিটাল ভিত্তিতে পরিচালিত? দ্য গড অফ স্মল থিংস্-এর লেখক, লিখিত রচনাকে যিনি ভাস্কর্য জ্ঞান করেন, অরুন্ধতী রায়, তাঁর জন্মস্থান ভারতের দণিপশ্চিম প্রদেশটি সম্পর্কে বলেন : কেরালা হচ্ছে পৃথিবীর মহান চারটি ধর্ম হিন্দুত্ব, ইসলাম, খ্রিস্টত্ব এবং মার্কসবাদের ঘরবাড়ি। তাঁর উপন্যাসটির চলচ্চিত্রায়নের হলিউডি আকর্ষণীয় লাভজনক প্রস্তাব তিনি ক্ষুদ্র শয়তানের পাঁয়তারা জ্ঞানে অবজ্ঞা ভরে নাকচ করে দেন। বলেন : আমি অনমনীয়রকম দৃশ্যরূপময় উপন্যাস লিখেছি, ফিল্ম বানাবার বই নয়। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের মতো ভারতের কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমা কয়েকটি প্রদেশে নদীর জল প্রতিবন্ধক বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গিয়ে তিনি তৃণমূল সংগঠন এনবিএ-নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন-এ কেবল যোগ দেন নি, উপন্যাসের জন্যে বুকার পুরস্কার বাবদ প্রাপ্ত প্রায় ৩০,০০০ মার্কিন ডলার সংগ্রামী দলটিকে তো দেনই, তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন এবং পুলিশের হাতে আটকও হন। বাঁধ তৈরির ফলে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের অস্তিত্বকে অপরিসীম বিপন্নতার হাত থেকে রাকল্পে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার পাশাপাশি লেখেন দ্য গ্রেটার কমন গুড ও দ্য গ্রেটার কমন গুড ২ শিরোনামে তীব্র মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ দুটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রবন্ধ। পাকিস্তান ও ভারতে পরমাণু বোমা নিয়ে অমানবিক উচ্ছ্বাস, বিশেষত, ভারতের হিন্দু মৌলবাদী দল কর্তৃক শুধু শত্রু“নিধন নয়, গান্ধী-নেহরু প্রতিষ্ঠিত ধর্মনিরপে রাজনীতির আদর্শ ধ্বংসকল্পেও পরমাণু বোমাকে অবিকল্প অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের প্রণোদনা ইত্যাদির প্রতিক্রিয়ায় অরুন্ধতী লেখেন আরেক বিক্ষুব্ধ কিন্তু দীপ্যমান প্রবন্ধ দ্য এন্ড অফ ইমাজিনেশন। এভাবেই ১৯৯৭-এ দ্য গড অফ স্মল থিংস সৃষ্টির পরে লেখায় ও প্রত্য ক্রিয়াশীলতায় তিনি হয়ে ওঠেন একজন রাইটার-অ্যাক্টিভিস্ট কিংবা সক্রিয় কর্মী-লেখক। উন্নয়নের রাজনীতির অকুণ্ঠ সমালোচনার জন্যে তাঁর দেশের বেনিয়া শ্রেণী এবং নিউকিয়ার পরীক্ষার ঘোরতর বিরোধিতাহেতু ভারতীয় জাতীয়তাবাদীরা তাঁর প্রতি ঘৃণা ও অবজ্ঞাপ্রবণ হয়ে উঠতে শুরু করে। কিন্তু তিনি স্তম্ভিত হন নি। ভারতের বেনিয়াদের সহায়তায় চুক্তির মাধ্যমে এনরন কর্তৃক মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎ ও শক্তি খাত করায়ত্তকরণের অসমর্থনে তিনি লেখেন আরেক বিস্ফোরণধর্মী রচনা পাওয়ার পলিটিক্স। এর পরেও তিনি একজন নিরন্তর কর্মী-লেখক বা লেখক-কর্মীর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস্-এর আমহার্স্টে হ্যাম্পশায়ার কলেজে প্রদত্ত বার্ষিক ইকবাল আহমেদ বক্তৃতার সম্মানী গুজরাটের ভূমিকম্পে তিগ্রস্তদের দান করে। কিন্তু নিজ দেশেই তাঁর সমালোচকের অভাব নেই। অরুন্ধতী ভারতের একটি ম্যাগাজিনকে বলেন : প্রতিবার ঘরের বের হলেই আমি চাপা হাসির ছুরি ক্রমশ ধারালো হতে শুনি। কিন্তু তা ভালো। তা আমাকেও ধারালো করে রাখে।
তাঁর বিশাল অনন্ত ভাবসম্পদ : দেশীয় গণশত্রুদের সঙ্গে বহিঃশক্তির যোগসাজশের বিরোধিতা করতে করতে অরুন্ধতীর সামষ্টিকতা ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে লাভ করে বৈশ্বিকতা। ঐতিহাসিক ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১-এ আমেরিকায় অবিস্মরণীয় হামলার পর ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০১ শনিবার গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তাঁর পঁয়ত্রিশ অনুচ্ছেদে লেখা মাইল ফলক প্রতিম দীর্ঘ প্রবন্ধ দ্য এলজেব্রা অফ ইনফিনিট জাসটিস। এই রচনার নামে, পূর্বে উল্লিখিত লেখাগুলোসহ মোট ছ’টি প্রবন্ধসহযোগে ওই বছরই একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কিন্তু এই নাম প্রবন্ধে তিনি যুগান্তকারী যে কাজটি সম্পাদন করেন, তা হলো, বিশ্বপুঁজিবাদী শক্তির মুখোশ কেবল নয়, এর সারা অঙ্গের আবরণ ও অলংকার খসিয়ে এরই মূল চরিত্র, কর্মকাণ্ড ও উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট পরিসরে বিশদভাবে এবং অনন্ত ব্যঞ্জনাসহযোগে শনাক্তকরণ, অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার দার্ঢ্য, মানবপ্রেমের অপার মসৃণতায়। ধনবাদী রাজনীতি ও অর্থনীতির কানাগলি আবিষ্কার, এর রহস্য উন্মোচন এবং এর প্রতি জনমানুষের অশ্রদ্ধা বাড়িয়ে জনগণকেই এর কুৎসিত আধিপত্যের বিরুদ্ধে সজাগ করে তোলার মহৎ কাজটিও তিনি সম্পন্ন করেন এই দুর্দান্ত গদ্যে। আমেরিকার অর্থনীতির গৌরব টুইন টাওয়ার বিচূর্ণিত হবার পর আফগানিস্তানে অত্যাসন্ন মার্কিন হামলার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বুশ পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের প্রতি সহযোগিতা আহ্বান করেন। প্রথমে ওই প্রস্তুয়মান হামলা-কার্যক্রমের নাম দেওয়া হয় অপারেশন ইনফিনিট জাসটিস । কিন্তু এ-নামকরণ মুসলিমদের জন্যে সরাসরি অপমানজনক বলে প্রমাণিত হবে বিধায় দ্রুতই নাম বদলে রাখা হয় অপারেশন এনডিউরিং ফ্রিডম। শ্রদ্ধেয় পাঠকের নিশ্চয় মনে আছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও, ওয়ার ইজ পিস প্রবন্ধে অরুন্ধতী যাঁকে আমেরিকার প্রিয় রাষ্ট্রদূত ব’লে অভিহিত করেন, ইসলামবিরোধী নন বলে ঘোষণা দেন। মুসলিমদের অপমানের প্রশ্নটি এজন্যে ওঠে যে, একজন মুসলমান বিশ্বাস করেন, অসীম ন্যায়বিচারের মতা একমাত্র আল্লাহরই আছে। এই ইস্যুতেই আলোচ্য প্রবন্ধের শিরোনাম হিসেবে ইনফিনিট জাসটিস কথাটার ব্যবহারের মধ্যে ধনবাদী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রতি অরুন্ধতী রায়ের গভীর এবং প্রখর ব্যঙ্গ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর পুরো শিরোনামটিই যখন দাঁড়ায় অনন্ত ন্যায়বিচারের বীজগণিত, তখন পাঠকের কৌতূহল পরিণত হয় জ্ঞান পিপাসায়। হ্যাঁ, লেখক এই পিপাসাকে পরিতৃপ্ত করে একশো এক ভাগ। প্রবন্ধটি ( তাঁর অন্যান্য গদ্যও) পড়া শুরু করলে, রচয়িতার ইংরেজির সাবলীলতা এবং সেই সঙ্গে উপস্থাপিত বিষয়, প্রসঙ্গ ও তথ্যের নির্ভরযোগ্যতার কারণে, অভিনিবেশ অক্ষুণ্ন রেখেই সচ্ছন্দে ক্রমশ এগুতে পারে পাঠক। পাঠলব্ধ অভিজ্ঞতাকে নিম্নরূপ অনুক্রমে সজ্জিতও করা যায় :
(১) আমেরিকার জনগণ জানতো না তাদের রাষ্ট্রীয় শত্রু কে কিন্তু সে দেশের সরকার কোনো প্রমাণ ছাড়াই অন্ধভাবে চিহ্নিত করে শত্রু।
(২) বুশের অভিযোগ অনুযায়ী আমেরিকার স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে নয়, পৃথিবীব্যাপী মার্কিন সরকারের সামরিক ও অর্থনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেই ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা সংঘটিত হয়।
(৩) মূলত আমেরিকার হাতেই পূর্বে বিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান, যেখানে আধুনিক সভ্যতার কোনো স্থাপনাই নেই, ভূমিতে পুঁতে রাখা কমপক্ষে দশ মিলিয়ন মাইল অপসারণ এবং পিচের সড়ক নির্মাণ করেই সেখানে মার্কিন সেনাবাহিনীকে প্রবেশ করতে হবে। এ হলো আফগানিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রথম কৌতুককর সক্রিয়তা। নতুন শতাব্দীর অনন্ত ন্যায়বিচারের করুণতম ও নিষ্ঠুরতম সাক্ষী হচ্ছে খাদ্যাভাবে মৃত্যুপথযাত্রী লাখ লাখ আফগান নারী, শিশু ও পুরুষ মার্কিন হামলায় নিহত হবার অপোয় ছিলো।
(৪) সিআইএ এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা
(চলবে)
বালক
মন্তব্য
বালকের পদচারণায় সচলায়তন মুখর হোক।
ফন্টের কারণে কয়েকটা যুক্তাক্ষর সঠিক ভাবে আসেনি।
ইউনিকোডে লিখলে বেশীর ভাগ যুক্তাক্ষর ঠিকমত আসে।
লেখা, বিষয়, ভূমিকা সব মিলিয়ে মোহিত হবার মত আবহ তৈরী করেছেন।
আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
শুভেচ্ছা।
সিরিজ চলুক , সাথে আছি ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
জেনে আনন্দিত হলুম।
অরুন্ধতীর সাথে আমার love-hate সম্পর্ক ... আপনার লেখার বাকি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
জেনে ভালো লাগলো। দেখি কবে পরের পর্ব দিতে পারি।
ভাল হয়েছে।
তবে বানান সম্পর্কিত বেশকিছু ভুল একটু সচেতন হলেই শুধরানো যেত হয়ত।
লেখা কনভার্ট করার পর একবার ধৈর্য ধরে পড়ে নিলে ভাল হয়।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
নতুন মন্তব্য করুন