হাসন রাজা যাদুঘরে একদিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৫/০৮/২০০৯ - ৭:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুনামগঞ্জ শহরে ঢুকতেই চোখে পড়বে হাসন রাজা তোরণ। সুনামগঞ্জ বলতেই সর্ব প্রথমে আসে হাসন রাজার নাম। সুনামগজ্ঞে হাসন রাজার বাড়িতেই তার নামে মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রপৌত্র সামারীন দেওয়ান। দর্শনার্থী এবং পর্যটকদের কৌতুহল নিবৃত্তকল্পে হাসন রাজার ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, বংশলতিকা ও অনান্য তথ্যাদি সম্বলিত দলিলাদি মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হচ্ছে।

হাসন রাজার পুরো নাম [sb]দেওয়ান হাসন রাজা চৌধুরী[/sb]। জন্ম ২১ ডিসেম্বও ১৮৫৪ সালে। মৃত্যু ৬ ডিসেম্বর ১৯২২ সালে। তার পিতার নাম দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী। মাতা হুরমত জান বিবি। পিতার মৃত্যুর পর মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বিশাল জামদারির উত্তরাধিকারী হন। বংশের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে আরবী এবং পরে বাংলা শিক্ষা লাভ করেন। সে সময় মুসলমান সমাজে ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন না থাকায় আনুষ্ঠানিক শিক্ষা তার বেশী দূর এগোয়নি। স্বশিক্ষিত এই রাজা ছিলেন একজন শিক্ষা অনুরাগী। সুনামগঞ্জের প্রধান প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরীতে তার অবদান ছিল। সুনামগঞ্জ জুবিলি হাই স্কুল ও কলেজে জায়গা প্রদান তার অন্যতম।

তৎকালীন রাজা, জমিদারদের ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যায় শাষণ, শোষণ আর প্রজা নিপিড়নের কাহিনী। রাজা-প্রজার মধ্যে সম্পর্ক ছিল শোষক আর শোষিতের। যে কজন রাজা প্রজাদের মঙ্গলের জন্য কাজ করেছেন হাসন রাজা তাদের একজন। আমাদের ইতিহাসে তিনিই বোধহয় একমাত্র রাজা যিনি সবসময় প্রজা পরিষ্টেত হয়ে থাকতেন। কারণ তলোয়ার দিয়ে তিনি রাজা হননি, হয়েছেন সুর আর গান দিয়ে। যদিও বংশানুক্রমে তিনি ছিলেন রাজ বংশের উত্তরাধিকার। কিন্তু গানের জন্য তিনি আজও বেঁচে আছেন মানুষের মনে ’লোকের রাজা’ হয়ে। ’লোক’ বলতে এখানে দ্বিমাত্রিক ব্যজ্ঞনা দেয়া হয়েছে। ’লোক’ মানে জনগনের রাজা ছিলেন। অন্যদিকে লোকের রাজা মানে তিনি লোকসাহিত্যের রাজা।

হাসন রাজা নৃত্য গীতে সর্বদা বিভোর হয়ে থাকতেন। কখনো বাড়ির বাইরে গানের আসরের ঘরে, কখনো পানশী নৌকায় করে সুরমা নদীতে, কখনোবা অচিন্তপুরের সাহেরের ভিটে টিলায়, আবার কখনো সদরগড়ের সবুজ গাছ-গাছালি পরিবেষ্টিত জলাশয়ে নৌকার মাঝখানে। মাঝে মাঝে তিনি আবেগআপ্লুত হয়ে নিজের কোলে টেনে নিতেন প্রিয় ঢোলটি এবং স্বতঃস্ফুর্ত হয়ে বাজাতে খাকতেন। এই ঢোলটি হাসন রাজা মিউজিয়ামে আজও শোভা পাচ্ছে।

অত্যন্ত সহজ সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত এই বিশাল জমিদার বাস করতেন মাটির ঘরে। নিজের ঘরবাড়ী সম্পর্কে একটি গানে তিনি বলেছেন- লোকে বলে, বলেরে ঘরবাড়ী বালা না আমার, কি ঘর বানাইমু আমি শুন্যের মাঝার। প্রভাত কুমার শর্মার লেখা থেকে পাওয়া যায় তার ঘরবাড়ী সম্পর্কে একটি সুন্দর ঘটনা। একবার কয়েকজন বিদেশী ভদ্রলোক হাসন রাজার বাড়ী দেখতে এসেছিলেন। বাড়ীর সামনে তারা দেখা পাই হাসন রাজার । রাজা জানতে চাইলেন কি জান? ভদ্রলোকগন তাকে না চিনে বললেন- আমরা হাসন রাজার বাড়ী দেখতে এসেছি। হাসন রাজা অত্যন্ত আগ্রহের সাথে বললেন 'আসুন আসুন আমি আপনাদের হাসন রাজার বাড়ী দেখাই'। এই বলে তিনি তাদের মাঠের মধ্যে নিয়ে গেলেন। সেখানে এই সাধকের কবর তৈরী হচ্ছিল। সেই চিরদিনকার বাড়ীর দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করে দেখালেন - ঐ দেখুন আমার বাড়ী।

হাসন রাজার যেমন বিলাসী তেমনি বৈরাগীও ছিলেন। মুক্ত হস্তে দান করতেন তিনি। তার এক মজার শখ ছিল ছোট ছোট বাচ্চাদের জড়ো করে রুপোর টাকা ছড়িয়ে দেয়া। বাচ্চরা হুটোপুটি করে কুড়িয়ে নিত, তা দেখে খুব মজা পেতেন তিনি। হাসন রাজা ছিলেন অত্যন্ত সুপুরুষ । পশু পাখী ভালবাসতেন । ঘোড়া ও কুড়া পাখির প্রতি তার আসক্তি ছিল বেশী। তার হাতি শালায় ছিল হাতি এবং ঘোড়া শালায় ঘোড়া । তার সংরক্ষিত ১৭৮ টি কুড়া পাখির নাম, ৮০ টি ঘোড়া এবং ৯টি হাতির নাম এখন হাসন রাজা মিউজিয়ামে শোভা পাচ্ছে। অশ্বারহনে সুপটু এই রাজা জীবনে অনেকবার সিলেট, হবিগজ্ঞ, ঢাকা এমনকি কলকাতায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেছেন।

হাসন রাজা রচনা করেছেন দেহতত্ব, মুর্শিদি, সারি, প্রেম ও দেশাত্বোবোধক গান । হাসন রাজার সাথে কাব্য আর দর্শণ এক হয়ে মিশে আছে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবা এবং বড় ভাইকে হারিয়ে তার নিজের মধ্যেও মৃত্যু চিন্তা ভর করে। তাই তার রচিত মরমী গানের অনেক অংশ জুড়েই রয়েছে আধ্রাতিক সাধনা ও পারলৌকিক চিন্তার প্রতিফলন। তাইতো তার কন্ঠে বেজেছে ’আমি যাইমু রে যাইমু আল্লারও সঙ্গে বা একদিন তোর হইবোরে মরণ রে হাসন রাজা- এই রকম অসংখ্য গান। অত্যন্ত তীক্ষ দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এই সাধক তার গানে নিজেকে উল্লেখ করেছেন বাঙালি হিসাবে।
[si]হাসন রাজা বাঙালি হয়ে কাঙ্গালী
প্রেমানলে জ্বালিয়ে যায় প্রান
আমি তোমার কাঙ্গালী গো সুন্দরী রাধা[/si]
হাসন রাজা যখন গান লিখতেন অথবা গানের কলি, সুর এবং তাল মেলাতে ব্যস্ত থাকতেন, তখন তার চারপাশে পরিবেষ্টিত থাকত একদল সাদামাটা নারী-পুরুষ। এরাই তার গানের শব্দ, কলি এবং সুরে যথেষ্ট অবদান রাখতেন। তার কাব্যে অপূর্ব কবিত্ব শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। ভাষা সহজ সরল হলেও তা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী। মরমী কবি হাসন রাজা ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব। তার আধুনিক দর্শণ আজও শেষ হয়ে যায়নি। তিনি মানুষের কবি মানবতার কবি। মানব প্রেম যুগে যুগে মহামনবে উন্মোচিত করেছে তাকে।

তারেক মাহমুদ

([sb]লেখাটি ১৪আগষ্ট, 2009 "প্রথম আলো" তে প্রকাশিত, পাতা ১৩)[/sb]


মন্তব্য

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

সিলেট শহরেই একটা মিউজিয়াম দেখেছিলাম। ওটা আর সুনামগঞ্জের মিউজিয়ামের সাদৃশ্য কী একই?

তারেক মাহমুদ [অতিথি] এর ছবি

উনার বংশের দুইটি ধারা। একটি সিলেটে এবং অপরটি সুনামগঞ্জ। তবে তা সমন্নয়ের কাজও চলছে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কি 'সমন্নয়' এর কাজ চলছে? হাছন রাজার দুই বংশের নাকি দুই মিউজিয়ামের?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

বন্যরানা এর ছবি

মিউজিয়ামে কি কি দেখলেন ডিটেলস লিখলে আরো ভালো লাগতো।

তারেক মাহমুদ [অতিথি] এর ছবি

মিউজিয়ামটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। মিউজিয়ামটি সম্পন্ন হলে আবার লিখব। ধন্যবাদ।

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ তারেক।
আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো।
দারুণ লেখা। এক টানে পড়ে ফেলা যায়।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

তারেক মাহমুদ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ ফিরোজ। আপনার মন্তব্য আমাকে প্রেরণা যোগাবে। ভালো থাকবেন।

নজমুল আলবাব এর ছবি

সুনামগঞ্জের লোকজনের সমস্যাটা কি? এরা হাছন রাজারে নতুন করে আকিকা করাইলো ক্যান? হাছন রাজাতো নিজের নাম দিয়ে লিখতেন। তারে এই আধুনিক (হান) করার মাজেজা কি?

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

তারেক মাহমুদ [অতিথি] এর ছবি

হাসন রাজার নাতি দেওয়ান মোঃ আজরফ "ছ" নয় "স" ব্যবহার করেছেন। আসলে হাসন আরবি নাম। আরবিতে "ছ" উচ্চারণ "স" হয়।

s-s এর ছবি

আরবিতে তো ছ উচ্চারণটিই নেই বলে জানি।
লেখাটা ভালো হয়েছে, আরেকটু হাসন রাজার গান গুলো নিয়ে লিখলে পারতেন।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

১. হাছন রাজার নাম আরবি না ফারসি সেটা বড় কথা নয়, কারন প্রপার নাউন হিসেবে বানানের বিষয়টি অনেকটাই কম গুরুত্বপূর্ণ। হাছন রাজা নিজে হাছন হিসেবে নাম দস্তখত করতেন এরকম প্রামান্য দলিল সিলেটে অসংখ্যবার প্রদর্শিত হয়েছে, সুতরাং তার নামটা তিনি যেভাবে লিখেছেন সেভাবে রেখে দেয়াটাই যৌক্তিক হবে।

২. বাঙালির স্বভাব হচ্ছে সবসময় এক্সট্রিম পর্যায়ে চলে যাওয়া। ভক্তি করলে দেবতা আর ঘৃণা করলে অসুর। আপনার লেখাটিও তার মাঝে একটি।

প্রচুর তথ্য দিয়েছেন যার বেশির ভাগই সত্যের সাথে মিলে না।
হাছন গানবাজনা নিয়েই শুধু মত্ত ছিলেন না , তার বিশাল জমিদারী তাকে সামলাতে হয়েছে। অন্যান্য জমিদারের মতোই তাকেও অনেক মামলা মোকদ্দমা মোকাবেলা করতে হয়েছে, প্রজা তোষনের যে প্রশ্বস্তি গাইলেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠলে জবাব নেই, তিনি গড়পরতা অন্যান্য জমিদারের চাইতে মহৎ এরকম দৃষ্টান্ত আমার চোখে পড়েনি কোথাও।

চরিত্রগত দিক থেকে তিনি সাধারন বিবেচনায় খুব সুবিধার ছিলেন না। একরাতের জন্য বিয়ে করে ফেলে গেছেন এরকম অনেক ইতিহাস থাকার কথা। অধিকাংশই যেহেতু গরীব ঘরের তাই দেবত্ব আরোপের সময় এই তথ্যগুলো আসে না।

তবে রামপাশাতে তার যে বংশ লতিকা সে বিষয়েই যদি নজর দেই তাহলে দেখা যায় হাজি ছৈফা বিবিকে বিয়ে করলেও কোনদিনই শ্বশুরালয়ে নিয়ে যাননি। ছৈফা বিবি যেহেতু জমিদার কন্যা ছিলেন, তাই তার নাম ইতিহাসে পাই, অন্যদেরটা পাই না।

ভক্তি গদগদ এসব লেখা প্রথম আলোতে ছাপার জন্য উপযোগী । সচলায়তনের জন্য আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা ও তথ্য নিয়ে লিখে আমাদের তৃষ্ঞা মেটাবেন, এমনটাই আশা করি।

গৌতম এর ছবি

হাছন রাজা সম্পর্কে নেটের কোথাও বিস্তারিত কোনো লেখা পাওয়া যায় কি? আমি খুঁজে পাই নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশংসামূলক লেখাই বেশি পাওয়া গেছে। সেক্ষেত্রে আপনি বা নজমুল আলবাব ভাই বা আর যারা জানেন, তাঁরা যদি বিস্তারিত লেখা দেন, তাহলে ভালো হয়।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তারেক মাহমুদ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ গৌতম।

তারেক মাহমুদ [অতিথি] এর ছবি

বিয়ে করলেই কি চরিত্র নষ্ট হয়। তবে তো পৃথিবীতে অনেকেই চরিত্রহীন। তার সব স্ত্রীর নামই ইতিহাসে পাওয়া যায়। লেখা পড়ে মনে হল আপনি তার সমসাময়িক। অনেক কিছুই নিজ চোখে দেখেছেন। তবে আর দেরী কেন লিখুন তার সম্পর্কে। জাতি নতুন তথ্য জানুক।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আরিফের মন্তব্যের জবাবে আপনার এই প্রতি মন্তব্য অপরিনত এবং উদ্ধত। কারো সমালোচনা করতে হলে তার সমসাময়িক হতে হয় বা নিজের চোখে দেখতে হয়, এরকম আজাইরা ধারনা আপনি কোত্থেকে পেলেন?

হাছন রাজা'রে যে আপনি প্রজাহিতৈষী অবতার বানিয়ে ফেললেন, সেসব কি আপনার নিজের চোখে দেখা নাকি?

আরেকটা তথ্য আপনার জানা দরকার- হাছন রাজা 'রাজা' ছিলেন না, তিনি একজন মাঝারী মানের জমিদার ছিলেন মাত্র। তার চেয়ে অনেক বড় বড় জমিদার ঐ সময়ে ভাটি অঞ্চলে ছিলেন। 'রাজা' তাদের নামের অংশ।

প্রথম আলো'র এইসব হাবিজাবি ডাম্প লেখা সচলায়তনে দেখতে চাইনা।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তারেক মাহমুদ [অতিথি] এর ছবি

হাছন রাজা 'রাজা' ছিলেন না, তিনি একজন মাঝারী মানের জমিদার ছিলেন মাত্র।------ রাজা বলতে আপনি কি বুঝেন একটু বিস্তারিত জানাবেন কি? আর কারো প্রসংসা করলে আপনাদের জ্বলে কেন?

আপনি বলেছেন 'আরিফের মন্তব্যের জবাবে আপনার এই প্রতি মন্তব্য অপরিনত এবং উদ্ধত' এই কথা পড়ে আপনাকে ভদ্রলোক ভেবেছিলাম কিন্তু প্রথম আলো সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কতটা শোভনীয়?

নজমুল আলবাব এর ছবি

তারেক আর ss আমার মন্তব্যটি মন দিয়ে পড়েন নাই। দুজনেই আরিফ ভাই এর হাছন নাম সংক্রান্ত কমেন্ট অংশটা একটু দেখবেন।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

মুস্তাফিজ এর ছবি

জ্ঞানের উৎস যদি "প্রপৌত্র সামারীন দেওয়ান" হয় তাহলে সঠিক ইতিহাস বের করে আনা কঠিন।
সামারীন দেওয়ান একজন প্রতারক (যথেষ্ঠ প্রমাণ হাতে নিয়েই বলছি)।

...........................
Every Picture Tells a Story

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

সবার জন্যই বলছি:
১. আমার মনে হয়, বিতর্ক ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। যে কোনো বিতর্ক তথ্যভিত্তিক হওয়া উচিত।
২. কেউ একজন হাছন (হাসন) রাজা বিষয়ে নতুন পোস্ট দিতে পারেন, তাহলে আমাদের ধারণা স্বচ্ছ হতো।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

তারেক মাহমুদ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ ফিরোজ জামান চৌধুরী। ব্লগে এটা আমার প্রথম লেখা। ভাবলাম সবাই না হলেও কেউ কেউ স্বাগত জানাবে। কিন্তু হল তার উল্টোটা। কি আর করা "কুকুরের কাজ কুকুর করেছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,"

সাদা-মডু এর ছবি

কি আর করা "কুকুরের কাজ কুকুর করেছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,"

আপনার এই কথার পর আসলে সচলায়তনে আপনাকে স্বাগত জানাবার পরিবেশও থাকে না। আপনি একটা লেখা দেয়ার পর তার কোনো সমালোচনা হবে না, সবাই আপনাকে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাগত জানাবে, এ ধরনের প্রত্যাশা থাকলে হতাশ হতে হবে।

আপনি মনোযোগ দিয়ে সচলায়তন পড়ুন কিছুদিন। তারপর যদি মনোবৃত্তি পাল্টায়, তাহলে আবার লিখতে আসবেন। এই মনোবৃত্তি নিয়ে লিখতে চাইলে দূরে থাকুন। ধন্যবাদ।