সাত আট বছরের এক বাচ্চা দোকানে গিয়ে এক প্যাকেট সিগারেট চাইতেই দোকানী রেগে ফায়ার- এত টুকু বাচ্চা সিগারেট খাও, দাঁড়াও তোমার বাবাকে এখনই জানাচ্ছি। ছেলেটি উত্তর দিল- আংকেল আমি সিগারেট খাইনা, ছোট ভাইয়ের জন্য নিচ্ছি। জোকসটা শুনেছিলাম ক্লাসের ফাঁকে এক সহপাঠীর কাছে। আমরা তখন অনার্স ফাষ্ট ইয়ারে পড়ি। বিরাট একটা সার্কেল ছিল আমাদের। সুযোগ মিললেই বসে যেতাম জমজমাট আড্ডায়। আজকে তাদের অনেকেরই নাম মনে করতে পারবো না। যাক সে কথা।
জোকসটা শোনার পর আমরা কে কবে সিগারেট ধরেছি তার বর্নণা শুরু হল। যে যার মত নিজের এই সুকর্মের ইতিহাস শোনাতে লাগলো। হঠাৎ এক বন্ধু বললো- আমি যখন ক্লাশ টুয়ে পড়ি তখন সিগারেট খাওয়া ছেড়েছি। সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। একেবারে সুপার ডুপার হিট হল তার গল্পটি। সিগারেটের পক্ষে বিপক্ষে অনেক ধরণের অনেক ধরণের গল্প, হাসি, তামাশা, যুক্তি-তর্ক শোনা যায় তাই বলে ক্লাশ টুয়ে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়া - এতো একেবারে গাঁজা খুরে গল্প। আর গাঁজা খুরে হবেই বা না কেন? সিজারেটের মধ্যে ভরে অনেকেই তো গাঁজা টানে। সেই হিসাবে সিগারেট গাঁজার আশ্রয়দাতা।
সিগারেট নিয়ে অনেক ধরণের জোকস আছে। আইএসএসবির মেডিক্যাল বোর্ডের গল্প তো অনেকেরই জানা। একটু এমন তেমন আছে জন্য এখানে উল্লেখ করলাম না তবে যারা জোকসটি জানেন তারা নিজ দায়িত্বে একটু হেসে নিবেন। আমি বরং অন্য একটা বলি। এক লোক ছেলেকে নিয়ে গেছে স্কুলে ভর্তি করাতে। শিক্ষক ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করলেন- কি ব্যাপার ঠোট কালো দেখছি তুমি কি সিগারেট খাও? লোকটি উত্তর দিল- গরীবের ছেলে স্যার ঐগুলা না খাইলে বদহজম হয়। আবার, বাসর রাতে নববধু তার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলো - তুমি কি সিগারেট খাও ? স্বামী বললো- ঠিক বুজতে পারলাম না, এটা প্রশ্ন না নিমন্ত্রন ?
আমার বয়স তখন পাঁচ কিংবা ছয় বছর হবে। নানার বাড়ী বেড়াতে গেছি মায়ের সঙ্গে। বাবার শাষণ নেই একেবারে স্বাধীন জীবন। খাই দাই ঘুরিয়া বেড়াই। কিন্তু কাল হইলো ভাত খাইয়া না মানে বিড়ি খাইয়া। আমার নানার তখন বিড়ির কারখানা ছিল। কারখানাতে গেলেই শ্রমিকরা আমাকে বিড়ি ধরিয়ে দিত আর আমিও মনের সুখে -দে টান। এভাবে বেশ কয়েকদিন চলছে। আমারও কারখানা ভ্রমন বেড়ে গেছে। সকাল দুপুর সন্ধ্যা ওখানেই থাকি। ইতোমধ্যে আমার মামারাও এই সুখবরটি জেনে গেছেন এবং তাদের উৎসাহে আমার টানের অভ্যাস আরও বেড়ে গেল। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে আর নানার বিড়িতে। ধরা পড়লাম একদিন রঙ্গিলা জালে সরাসরি নানীর হাতে । পড়িল গুড়ুম গুড়ুম পিঠে। মামাদের উপর ১৪৪ ধারা জারী হল তারা যেন কেউ আমার সঙ্গে কথা না বলে। আর আমার ওপর তিনি জারী কররেন কারফিউ। বাড়ীর বাইরে যাওয়া নিষেধ এবং আমার বাবা এলেই তিনি আমাকে বাবার সঙ্গে পাঠিয়ে দিবেন (ভাগ্যিস তখন মোবাইল ফোন ছিলনা) সেই সাথে ১০ নম্বর সতর্কতা সংকেত চিরতরে নানার বাড়ী বন্ধ। কয়েকদিন পর বারা এলেন । সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাবাকে আমার সুকর্মের ইতিহাস বর্নণা করে বললেন- এক্ষুনি তোমার ছেলেকে এখান থেকে নিয়ে যাও, সে যেন কোনদিন আমার বাড়ীতে না আসে। এখানে একটু বলে রাখি আমার বাবা খুবই রাগী মানুষ । আমরা ভাই বোনরা ভাত অপেক্ষা মার খেয়েছি বেশী। সুতরাং পরের দৃশ্য আর বলার অবকাশ রাখেনা। অতঃপর সোজা আমাকে নিয়ে হাঁটা ধরলেন। সেই প্রথম মাকে ছাড়া বাবার সঙ্গে অনেকদিন ছিলাম।
রেনেসাঁ
মন্তব্য
টুকরো জীবনটা বেশ
ধন্যবাদ।
লেখা পড়ে মুগ্ধ হওয়া গেলো না, কিন্তু সে যদি বা চলে, এতো বানান ভুল দেখে খুবই খারাপ লাগলো। উৎসাহ দেবার সুযোগই যদি না দেন তো কী করি!
গাঁজা খুরে
সিজারেটের
ধরণের
ঠোট
নববধু
বুজতে
নিমন্ত্রন
শাষণ
ভ্রমন
কররেন
বারা
বর্নণা
এক্ষুনি
বাবানে আমার দক্ষতা কম, আর বাংলা টাইপ শিখেছি মাত্র এক মাস হয়। ক্ষমা করবেন।
সঠিক বানানগুলি দয়া করে লিখে দিবেন কি?
গাঁজা খুরে: গাঁজাখুরি
সিজারেটের: সিগারেটের (এটিকে অযত্নপ্রসূত ভুল বলেই মনে হচ্ছে)
ধরণের: ধরনের
ঠোট: ঠোঁট
নববধু: নববধূ
বুজতে: বুঝতে
নিমন্ত্রন: নিমন্ত্রণ
শাষণ: শাসন
ভ্রমন: ভ্রমণ
কররেন: করবেন (এটিও)
বারা: বাবা (এটিও)
বর্নণা: বর্ণনা
এক্ষুনি: এক্ষুণি
ধন্যবাদ।
ভালো লাগল, আরো লিখুন, আর লেখার পরে এখানে ঠিক করতে পারবেন বানান। টেক্সট কপি পেস্ট করে ঠিক করে নিয়েন। বিড়ি সিগারেট খাই না, তাই কিছু যোগ করতে পারলাম না। তবে আমার এক বন্ধুর কথা বলে যাই, তাকে বললাম, অই ব্যাটা , সিগারেট খাস কেন, এটাতো স্বাস্থের জন্যে খারাপ, সে অম্লান বদনে বলল, ঠিক এজন্যে আর সিগারেট খাই না, পিওর গাঞ্জা খাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অশেষ ধন্যবাদ লিংক দেবার জন্য।
ভাল লাগেসে।
জুহের,ঢাকা
ধন্যবাদ জুহের।
নতুন মন্তব্য করুন