গত বছর এই মাসে জুবায়ের মারা যায়। আমি তার স্ত্রী। তার শেষ দিনগুলোর কথা ঘোরের বশে লিখতে শুরু করেছিলাম। ঠিক ডায়রি নয়, স্মৃতি থেকে উদ্ধার করে পরে লেখা।
জুবায়ের ছিলো সম্পূর্ণ সচলঅন্তপ্রাণ। সচলায়তনের কাছ থেকেও সে পেয়েছে অকুণ্ঠ ভালবাসা আর শ্রদ্ধা। আর তাই একান্ত ব্যক্তিগত এই রচনাটি এখানে প্রকাশ করাটাই সমীচীন মনে হলো।
কিছু ইংরেজি শব্দ আর বাক্য লেখায় ব্যবহার করেছি – কিছু সংলাপে এবং যখন জুতসই বাংলা খুঁজে পাইনি। তাই পড়তে খটকা লাগলে ক্ষমাপ্রার্থী।
মেহবুবা জুবায়ের
২৪শে আগস্ট, ২০০৮
অস্টিন থেকে ফিরে এলাম দুপুরে। রাত থেকে আমার কাজ। তাড়াতাড়ি জুবায়ের ও অর্ণবকে খেতে দিয়ে ঘুমাতে গেলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম, বাপ-ব্যাটা মিলে ঘুমাচেছ। আমার তাড়া ছিলো, তাই ওদের আর জাগালাম না। কাজ থেকে একবার ফোন করে শুনলাম, ও পীযুষদার সাথে লাইনে আছে।
২৫শে আগস্ট, ২০০৮
তখন প্রায় সকাল আটটা। বাসায় ফিরে দেখি, ও তখনও ঘুমাচ্ছে। কিছু দিন থেকেই ও বাসায় থেকে অফিসের কাজ করছিল, আমি ঘরে ঢুকতেই চোখ খুলে তাকালো।
“কী ব্যাপার, শুয়ে আছো যে! শরীর খারাপ?”
“হ্যাঁ।”
“অর্ণব কার সাথে স্কুলে গেল”?
“হেঁটে।”
জুবায়ের বাসায়, অথচ অর্ণব হেঁটে স্কুলে গেছে! এটা এক্কেবারে অসম্ভব ব্যাপার। তক্ষুণি বুঝলাম, সামথিং রং। ওর পাশে বসে মাথায় হাত দিয়ে দেখলাম, বেশ জ্বর। বেডসাইড টেবিলের ওপরে Tylenol, পানি ও ঝাল চানাচুর (মাস দুয়েক হলো খুব ঝাল চানাচুর খাচ্ছে)।
“Tylenol কখন খেয়েছো”?
“একটু আগে। প্লিজ, এখন একটু ঘুমাতে দাও।”
২৭শে আগস্ট, ২০০৮
আজ থেকে আমার চারদিন অফ। মাঝখানে দু’দিন ও বেশ ভাল ছিলো, আমার ধারণা। বাজার করেছে, রান্না করেছে, অফিসের কাজ করেছে, কিছু লেখালেখিও করেছে, শরীর কেমন জিজ্ঞেস করে ধমকও খেয়েছি। গ্যারেজের দরজা খুলে ফ্যামিলি রুমে ঢুকে দেখি, ও ক্যাবিনেটের কাছে দাড়িয়ে আছে।
“Pepto-Bismol-টা কোথায়?
বের করে দিলাম। দুটো ট্যাবলেট খেলো, তারপর নিজে থেকেই বললো, পেটটা ভালো নেই। ওকে ভীষণ ক্লান্ত লাগছিল।
“চলো, শোবে চলো।”
ধরে বেডরুমে নিয়ে এলাম।
২৯শে আগস্ট, ২০০৮
মাঝখানে দুটো দিন ও খুব অসুস্থ ছিলো: upset stomach, কাশি, খুব দুর্বল এবং সবচেয়ে বড়ো কথা, ওর একদম খিদে ছিলো না। কিছুই খেতে চাইছিল না। খাবার কথা মনে হলেই নাকি ওর বমি পাচ্ছিলো। এর মাঝে হাজার বার বলেও ওকে ডাক্তারের কাছে নিতে পারিনি। শুধু এক কথা, “আই’ম ফাইন, এতো সহজে মরবো না”। শুক্রবারে ডাক্তারের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে তখন যাবো। ডোরাকেও একই কথা বলেছে।
বেলা ২টার সময় অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিলো। শেইভ করলো, শাওয়ার নিলো। তারপর নিজে নিজেই রেডি হলো ডাক্তারের কাছে যাবার জন্য। আমি জানি, ও খুব জেদি, যদি সে বলে একা একা ডাক্তারের কাছে যাবে, সে যাবেই। কিন্ত তা এখন হতে দিতে আমি পারি না। আমি বললাম, “দেখ, আমি তোমার ডাক্তারের অফিসে যাবো না, বাইরে থাকবো। শুধু আমি ড্রাইভ করে তোমাকে নিয়ে যাবো, প্লিজ! আমার এই কথাটা রাখো, আমি ভীষণভাবে অনুরোধ করছি।”
শেষ পর্যন্ত ও রাজি হলো। সারা রাস্তা ও খুব শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। ডাক্তারের অফিসের কাছে পৌঁছে পার্কিং-এর জায়গা পাওয়া গেল না। ও বললো, “আমাকে এখানেই নামিয়ে দাও। এটুকু পথ আমি হেঁটেই যেতে পারবো।”
কিন্তু আমি ডাক্তারের অফিসের ঠিক সামনে ওকে নামিয়ে দিলাম। একটা বেঞ্চ ছিলো ওখানে। ও এতোটাই দুর্বল ছিলো যে, দাঁড়িয়েও থাকতে পারছিল না। বসে পড়লো ওখানে। আমি গাড়ি দাঁড় করিয়ে ওকে ধরে ধরে নিয়ে গেলাম ডাক্তারের কাছে। এখানে প্রথমে নার্স এসে চেক-আপ করে, তারপর ডাক্তার আসে। সেটাই নিয়ম। নার্স ওর অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে ডেকে আনলো। ডাক্তারের অফিসটা ছিলো হাসপাতালের সঙ্গে লাগানো। তারপর ওরা ওর অক্সিজেন লেভেল চেক করে দেখলো, হি ইজ টেকিং ওনলি ৫৫% অক্সিজেন (একজন লোক গড়ে ৯০% অক্সিজেন নিয়ে থাকে)। ওর নখগুলো সবুজ হয়ে গেছে। ডাক্তার তক্ষুণি এমার্জেন্সি টিম ডেকে পাঠালো। তারা এসে ওকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে নিয়ে গেল এমার্জেন্সি রুমে।
ওখানে ছিলাম বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। এর মধ্যে সব ডাক্তার (pulmonary specialist, হাসপাতালের ডিরেকটর, কার্ডিওলজিস্ট, এমার্জেন্সি রুমের অ্যাটেন্ডিং ডাক্তার, ওর প্রাইমারি কেয়ার ডাক্তার) চলে এসেছে। তারা নানানভাবে চেষ্টা করলো, কিন্তু নিজের থেকে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার ক্ষমতা ওর তখন নেই। অবশেষে তারা ওকে ICU-তে (ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট) নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। তখন বাজে রাত আটটা।
খুব সম্ভব রাত সাড়ে দশটার দিকে ধীরে-ধীরে ওর অক্সিজেন লেভেল ৯০%-এ উঠলো। ওর মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো ছিলো, তাই কথা ভালো করে বুঝতে পারছিলাম না। হাতের ইশারায় আমাকে চলে যেতে বলছিল। অর্ণব একা আছে লাবণীর বাসায় (আমাদের পাশে এক বাঙালি পরিবার থাকে, স্কুলের পর থেকে অর্ণব ওখানেই ছিলো)। পরদিন সকালে ওর সকার গেইম। ডাক্তারও আমাকে বললো, “তুমি এখানে থেকে কী করবে? বাসায় যাও, রেস্ট নাও। প্রয়োজন হলে আমরা তোমাকে ফোন করবো।”
অর্ণবকে নিয়ে বাসায় আসতে আসতে প্রায় এগারোটা। বাসায় ঢুকতেই অস্টিন থেকে ডোরার ফোন, “আম্মু, তোমরা কোথায়? বাবা কোথায়? আমি দুপুর থেকে বাবাকে, তোমাকে এবং বাসায় ফোন করেই যাচ্ছি, তোমরা ফোন ধরছো না কেন? আমি টিকেট কিনেছি, কাল বাসায় আসছি।”
(চলবে)
* লেখায় রেটিং না দেয়ার অনুরোধ রইলো।
মন্তব্য
জুবায়ের ভাইকে প্রায়ই মনে পড়ে..., বিমর্ষ হই, স্মৃতিকাতর হই।
এমন একজন অসাধারণ মানুষকে কখনো ভুলবো না...।
ধন্যবাদ
...
অনেক ধন্যবাদ ভাবী লিখতে শুরু করার জন্য..
পড়ছি, সেটা জানাতে হাজির হলাম
From: mz1971
To: arup.kamal
Date: Fri, Aug 29, 2008 at 1:59 AM
Subject: mz1971 এর সাথে চ্যাট
1:52 AM me: আপনে সিনেমাটা দ্যাখেন নাই
1:54 AM Zubair: ভয়ানক অসুস্থ
me: হৃদয় না ফুসফুস?
1:56 AM Zubair: কোনোটাই না, অন্য ঝামেলা
1:57 AM me: কি হল? চিন্তার বিষয়!
Zubair: ভালো হলে সেরে যাবে
1:58 AM me: কি ভালো হলে কি সারবে??? ঘটনা কি???
1:59 AM Zubair: অসুখ ভালো হলে সারবে, চিস্তার কিছু নেআউ
me: ভালো হওয়া মানেই সেরে যাওয়া
2:00 AM প্রশ্ন হল ভালো হচ্ছে কি?
Zubair: আসলে টাইপ করতে অসুবিধা হচ্ছ, পরে কথা বলি?
2:01 AM me: ঠিকাছে
অগাস্টের ঊনত্রিশ তারিখে মানুষটার সাথে এই ছিল আমার কথা চালাচালি, শেষ কথোপকথন। মনে একটা খটকা নিয়ে আমি সে রাতে সাড়ে সাতশো কিলো পাড়ি দিয়ে সাগর দেখতে গেলাম, আর জুবায়ের ভাই গেলেন হাসপাতালে... তারপর আমাদের আর কোনদিনই কথা হল না.. দেখা হল না..
অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet
আমরা রওনা দিয়েছিলাম দুপুর ২:১০ এর দিকে। যাবার আগে ও কম্পিউটারে ছিলো। আমি গাড়ীতে বসে ওর জন্য আপেক্ষা করছিলাম। ওর তখন যে কি খারাপ অবস্থা, তা শুধু আমিই দেখেছি। ওই অবস্থায়ও ও শুধু আপনার সাথেই যোগাযোগ করেছে। আপনে কি বুঝতে পারছেন অরুপ ! কতটা ভালবাসলে তা সম্ভব!!
আপনি কি আমাকে একটা ইমেল করবেন?
ইমেইল করেছি, আমার ঠিকানা arup.kamal@জিমেইল.com
অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet
আপনাকেও মিস করছি অরূপ দা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মনটা খারাপ হয়ে গেল।
ভাবীকে সচলে স্বাগতম
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
"মনটা খারাপ হয়ে গেল। "
মন খারাপ করে দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয় ভাই। তাহলে কি লেখাটা বন্দো করে দিতে বলবো?
এই মানুষটার সাথে সশরীরে দেখা করার খুব ইচ্ছা ছিল আমার ... দেখা হল না ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
উওর দেবার ভাষা আমার জানা নেই।
আজকে সারাদিন ধরে অজানা কারণে মনটা খুব, খুব খারাপ। সাধারণত মন খারাপ হলে আমি নিরুদ্দেশপানে হাঁটি, নয়তো কোনো একটা কোণায় ডুব দেই। ল্যাবে কামলা খাটছি, তাই চাইলেও এর কোনোটাই সম্ভব না। একটু পরপর হিমশীতল হলওয়েটায় হাঁটি শুধু। কেন যেন আজকে শুধুই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ছিলো খুব। বিচ্ছেদ আর পতনগুলো আজকে সারাদিন মাথায় ঘুরছে খুব। সেপ্টেম্বর মাসটা আমার জন্য খুব কষ্টের। আমার কষ্টের প্রতিটা কারণ/মানুষ কোনো না কোনো ভাবে সেপ্টেম্বরের সাথে জড়িত। থাকতে না পেরে এই একটু আগেই হিমু ভাইকে বলছিলাম যে বিষণ্ণতায় অস্থির লাগছে।
প্রথমে বুঝিনি লেখাটা জুবায়ের ভাইকে নিয়ে লেখা। বিষণ্ণতায় ছটফট করতে করতে সচলায়তনে ঢুকেছিলাম। শিরোনামে "জুবায়ের" শব্দটা দেখে পুরনো কথাগুলো মনে পড়ে গেলো। কী মনে করে পোস্টে ঢুকে দেখি জুবায়ের ভাইকে নিয়েই লেখা। বুকে পাথর বেঁধে লেখাটা পড়লাম। লাজ-শরম ভুলে ল্যাবেই কাঁদতে হলো।
এই মানুষটার কাছে আমার অনেক ঋণ। জুবায়ের ভাই ছিলেন বলেই অনেক খোলস ভেঙে বের হয়ে আসতে পেরেছি। নিঃসঙ্গ মুহূর্তে তাই জুবায়ের ভাইয়ের কথা মনে পড়ে প্রায়ই। এত স্নেহের সাথে কথা বলতেন, যেকোন ঝামেলায় এত আপন করে আস্বস্ত করতেন... ভুলতে পারি না। জুবায়ের ভাইয়ের সাথে দেখা করতে না পারার কষ্ট আজীবন ভোগাবে।
ভালো থাকবেন। ডোরা আর অর্ণবকে বলবেন ওদের বাবা খুব, খুব ভালো মানুষ ছিলেন। অনেক অনুরাগী রেখে গেছেন।
জুবায়ের বলতো, "বুঝবে, বুঝবে আমি যখন থাকবো না, কবি জীবনানন্দ দাসের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী লাবন্য প্রভা জানতে পেরেছিলেন ( নামটা কি ঠিক বল্লাম) তাঁর স্বামী কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন।" তারঁ স্ত্রী বিছানার তোষক উলটিয়ে স্বামীকে নতুন করে আবিষ্কার করেছিলেন। আর আমি , সচলের পাতা উলটিয়ে।
জুবায়ের ভাই কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন এবং সচলায়তনের পেছনে তাঁর ভূমিকা কত, তা বুঝতে শুধু সচলের পাতা যথেষ্ট নয়। যাঁরা তাঁর সমসাময়িক ব্লগার নন, তাঁরা কল্পনাও করতে পারবেন না কী মহীরূহ হারিয়েছি আমরা।
জুবায়ের ভাইয়ের সবচেয়ে বড় অবদান ছিলো উপযুক্ত সমালোচনা। তালেগোলে অনেক লেখাই ভালো হয়ে যায়। এই 'অজান্তে ভালো' লেখাগুলোর গুণাবলি তুলে ধরতেন তিনি। একই সাথে কোনো লেখা ত্রুটিপূর্ণ হলে তা কঠোর ভাবে ধরে দিতেন। জুবায়ের ভাইয়ের ব্যক্তিগত বার্তা তো যমের মতো ভয় পেতাম! কী জানি কী ভুল করে বসলাম। এ-কারণেই জুবায়ের ভাই একটু করে ভালো কথা বললেও সপ্তম স্বর্গে উড়তাম।
বাংলা ভাষার যথার্থ প্রয়োগের প্রতিও ছিলেন আপোষহীন। আমরা অনেকেই দায়িত্বের অংশ হিসেবে বাংলাকে আঁকড়ে ধরে রাখি। এই উন্মাদ সময়েও যে বাংলাকে ভালবেসে বাংলা চর্চা করা যায়, তা দারুণ ভাবে তুলে ধরতেন। সচলের অলিখিত মূলনীতিগুলো তাই অনেকটাই জুবায়ের ভাইয়ের মানসের আদলে গড়ে উঠেছে।
নতুন একটা ব্লগের বেড়ে ওঠা, সদ্যছিন্ন অনেক সম্পর্কের টানাপড়েন, উঁচু করে ধরা মানদণ্ড নিয়ে অনেক অসন্তোষ, নিত্যনতুন নীতিমালার সাথে তাল মেলানো, অনাকাঙ্খিত বিবাদ, ইত্যাদিতে জুবায়ের ভাই ছিলেন আমাদের শেষ আস্থা।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা কী বলবো আর? এই মানুষটা না থাকলে আমি কোনোদিন প্রবাস জীবন নিয়ে ভাসা-ভাসা লেখার বাইরে বের হয়ে লিখি বা মন্তব্য করি না। খেলাপীর খাতায় আমার নাম তুলে দিয়েছিলেন জুবায়ের ভাই। সেই জুবায়ের ভাই-ই খেলাপী হয়ে চলে গেলেন।
বয়সে ছোট হলেও প্রতিটা মানুষকে 'আপনি' বলে সম্বোধন করা, যোগ্যতার অধিক সম্মান দেওয়া, এমনি আরও কতো যে অনুকরণীয় দিক ছিলো এই মানুষটার। যাঁরা জুবায়ের ভাইয়ের সান্নিধ্য পাননি, তাঁরা কোনোদিন তাঁর মাপ আন্দাজ করতে পারবেন না। বড় ভালো মানুষ ছিলেন। সেজন্যই হয়তো বড় দ্রুত চলে গেলেন।
মন্তব্যটা অনেক বড় হয়ে গেলো বলে দুঃখিত।
আপনার লেখায় মন্তব্য অনেক আগেই করেছিলাম। বেশ বড় করে। কিন্তু আজ ফিরে এসে দেখছি ওটা হাওয়া। কি হলো বুঝলাম না।
ব্যাপার না। সময় করতে পারলে আবার লিখেন নাহয়। আপনার এই লেখা, প্রতিটা মন্তব্য... আমার মনে হয় যেন জুবায়ের ভাইয়ের ছায়া পাশে পাশে হাঁটছে। শেষ কথাটা কানে বাজে এখনও। খসখসে গলায় হালকা শ্লেষ মিশিয়ে, "কী ব্যাপার ইশতি, আমার খোঁজ নাও না যে?"...
ভাবী, আপনাদের কথা প্রায় মনে পড়ে। জুবায়ের ভাইয়ের কথা মনে পড়ে। আপনাদের আপন করে নেয়া আতিথেয়তার কথা মনে পড়ে। আশা করি ভালো আছেন। বাচ্চা দুটোর প্রতি ভালোবাসা রইলো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
তুমি তো ভাই ঘোড়ায় জিন লাগিয়ে এসেছিলে। ও বলেছিলো আমার ব্লগের একজন আসবে, আমার নামে নাম। ভেবে ছিলাম বড় সর কেউ হবে। এত বাচ্চা একটা ছেলে ভাবিনি। জুবায়ের নেই, আমি তো আছি। এদিকে এলে আবার এসো কেমন।
ডোরা অস্টিনে কেমন করছে? নতুন জায়গা ভালো লাগছে ওর? আন্দাজ করি ফ্রেশম্যান ইয়ার শেষ হলো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
মায়ের কাছে মেয়ের কথা জানতে চাইছো? তবুও বলি নিজের মেয়ে বলে বলছি না, জুবায়ের মারা যাবার মুহুর্ত থেকে ও আমার মা হয়ে গেছে। মনে হয় বয়স বেড়ে গেছে বিশ বছর। সব প্রতিকুল ( জুবায়েরের স্ত্রী হয়ে কি অসম্ভব ভূল বানানে মন্তব্য লিখে যাচ্ছি, আমাকে তোমরা মাফ করে দিও) অবস্থা থেকে আমাকে ও অর্ণবকে বুক দিয়ে আগলাতে চেষ্টা করে। 'এসে' লিখে প্রথম হয়ে টিউশন ফি যোগার করেছে। স্কুলের পরে কাজ করে রাত ১১টা পর্যন্ত। তারপরেও সবগুলিতে 'এ' রাখছে। এর মধ্যেই ৫৯ ঘন্টা শেষ করে ফেলেছে। ডিসেম্বরে দাদীকে দেখতে যাবে তাই আর একটা কাজ শুরু করবে আগামি সপ্তাহ থেকে।
অথচ এই ডোরা বাবা বেঁচে থাকতে ১৫০ ডলার দিয়ে চুল কাটাতো, ১৬৫ ডলার দিয়ে জুতো কিনতো। ৩৫০ ডলারেরে ব্যাগ দেখে বলতো, "ইটস্ ওনলী ৩৫০ আম্মু"
জুবায়ের ভাই যেদিন চলে গেলেন, বিশ্বাস হয়নি; যেমন এখনো ঠিক বিশ্বাস করতে পারিনা আমার বাবা আর ফিরবেননা! বাবা হারানোর ব্যাথা যে কি বুঝিয়ে বলা মুশকিল, শুধু মনে হয় একটা বিশাল পাথর বুকটার উপর পরে আছে! আপনার এই মন্তব্য পড়ে পাথরের ফাকঁফোকর গলে কিছু জল গড়ালো অনেকদিন পর। এরকম মানুষ খুব বেশী নেই দুনিয়াতে। ভালো থাকবেন আপনারা।
"পাথরের ফাকঁফোকর গলে কিছু জল গড়ালো অনেকদিন পর।" মন ছুঁয়ে গেল কথাটা। ভালো থাকবেন আপনিও।
--------------------------------------------------------------------------------
মডুদাদাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, ভাবীকে একখানা একাউন্ট দিলে হয় না!! উনি উনার কথাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করতে চান, অতিথি হিসাবে না লিখে যদি নিজের নিকে লিখতে পারেন, তাহলে লেখাগুলো একসাথে থাকবে। আমার মনে যা আসল, বললাম, আশা করি কেউ মাইন্ড করবেন না। জুবায়ের ভাইয়ের সাথে পরিচয় ছিল না, শুধু তার লেখাই পড়েছি, তাকে না চেনার বা না জানার দু:খ আজীবন থেকে যাবে। ভাবীকে ধন্যবাদ লেখার জন্যে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সচল আমাকে একাউন্ট দিয়েছে ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ।
এই পোষ্টে কি মন্তব্য করবো আর?
না দেখা মানুষটা আমাদের খুব কাছের স্বজন ছিলেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমার ধারণা ছিল ওর মতো ঠোঁট কাটা, কাটকোষ্ঠা (বানান টা কি ঠিক হলো) টাইপের মানুষকে যারা পছন্দ করে , তাদের তালিকা খুব ছোট্ট। কিন্তু আপনারা আমার সেই ধারণা ভূল প্রমান করেছেন।
ভাবী - পড়েছি এটাই জানালাম, মন্তব্য বলতে কিছু নেই। ফোনে বাকি কথা হবে।
আগামি কাল থেকে চার দিন ছুটি। ফোনে কথা হবে।
..................
জুবায়ের ভাইয়ের লেখা পরেই শুধু চিনি,তাও মনে হয় খুব কাছের একজন আমাদের মধ্যে নেই।
-------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
হয়ত এটা ওর লেখার গুন। আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাবী, আপনাকে কতবার ফোন করব ভেবেছি। দুই একবার ডায়ালও করেছি। সংযোগ পাইনি। কিন্তু কি বলব ভেবে বারবার পিছিয়ে গিয়েছি। আজকে আপনার পোস্টে স্বীকার করছি সেটা। ক্ষমা করবেন আমার এই ক্ষুদ্রতা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কথা বলতে পারলে ভালো লাগতো। তখন আমাদের খুব খারাপ সময় গেছে। বিশেষ করে অর্ণবকে নিয়ে। ক্লোজেটের ভিতর দরজা আটকিয়ে বসে থাকতো। বলতো অন্ধোকারের ভিতর বাবা কেমন আছে, সেটা অনুভব করতে চায়। ঘুমাতো না, সারা রাত সারা বাড়ীর লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হতো। ঘুমালে ওর নাকি নাইট মেয়ার হয়। একদিন জুম বৃষ্টিতে বাইরে গিয়ে ভিজতে শুরু করলো। কিছুতেই ঘরে আসবে না। জোর করাতে কানতে কানতে বল্লো, " বাবা তো বাইরে"।
আব্বু মারা যাওয়ার পর প্রতি মুহূর্তে খালি এই কথা মনে হত।:( অর্ণবের অনুভূতি টুকু পুরোপুরি বুঝতে পারছি।
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
ধন্যবাদ মন্তবের জন্য।
--------------------------------------------------------------------------------
আপনি লিখুন, আমরা পড়তে চাই।
প্রিয় স্বজনকে আবারও জানাতে চাই
সকল বিনীত শ্রদ্ধা।
লেখালেখি আমার কাজ না। গাধা দিয়ে হাল চাষ হয় না। জুবায়ের আমার এই কান্ড দেখে, দেখেন গিয়ে চোখ মটকিয়ে হাসছে! ( ও তো নিশ্চয় দেখছে সব তাইনা?)
.......
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অনেক মর্মদন্তু। লেখাটা পড়ে কষ্ট লাগলো।
কষ্টের তো কেবল শুরু। আপনাদের মন্তব্য পরে আমি শুধু কেঁদেই যাচ্ছি।
এই আয়তনে আমার বয়স কম। সময়ের হিসাবে বুঝতে পারি- অল্প কিছুদিনের জন্যই জুবায়ের ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়নি (এটা সামগ্রিক হিসাবে ভালো না খারাপ সেটা বুঝি না, কারণ এ কথাটাও মনে হ'লো এই মাত্র, যে- তাঁকে প্রত্যক্ষ সময়ে চিনলে এখন কষ্টটা আরো বেশি বৈ কম হ'তো না নিশ্চয়ই)। আমার একআধটু পরিচয় হয়েছে তাঁর কিছু লেখার সাথে, কিছু মানুষের মাঝে তাঁর রেখে যাওয়া প্রগাঢ় কিছু ছাপের সাথে, আর তাঁর প্রতি এই প্রাঙ্গণের কারো কারো অসম অসীম শ্রদ্ধার সাথে। এমন যথেষ্ট সমসাময়িক এবং তার চেয়েও বেশি মরণহীন একটা মানুষকে শুধু তাঁর স্মৃতি থেকে চেনা খুব অস্বস্তিকর। খুব ভারি ভারি গোটা ব্যাপারটা। চাপ চাপ লাগে।
তবু, এ লেখাটির কলেবরেও নিঃশর্ত শ্রদ্ধাই থাকলো তাঁর প্রতি। আর, হ্যাঁ, ভাবীর প্রতি ঋণ আর ধন্যতাও স্বীকার করছি। লিখুন আপনি। পড়বো আমরা।
অর্ণব-ডোরা, আপনারা ভালো থাকুন।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ঋণ আপনার না। ঋণ আমার। সচলের প্রতি, আপনাদের সবার প্রতি। অথচ জানেন এই সচলকে আমি দু'চক্ষে দেখতে পারতাম না। ও সচল নিয়ে থাকতো বলে কত অশান্তি করেছি।
' জুবায়ের ভাই বেচেঁ থাকবেন আমাদের মাঝে' এটা যে কত সত্যি কি করে বোঝাবো। ওকে আপনারা বাঁচিয়ে রেখেছেন। আর তাই আমি যখন তীব্র শোকে কাতর হই তখন সচলে আসি জীবিত জুবায়েরকে ছুঁয়ে দেখতে।
জ্বি ভাবী,
উনি আছেন। আমরাও আছি।
তাই, আপনি অবশ্যই আসবেন, ছোঁবেন, সাথে থাকবেন।
স্যাল্যুট!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
..............................................................................................
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপনি লিখে যান...যতখানি ইচ্ছে, যতটা হলে বুদবুদ পরিমান হলেও হালকা হতে পারেন...
জুবায়ের ভাই আপনার কতখানি ছিলো আর কেউ জানে না...
জুবায়ের ভাই আমাদের কি ছিলো, আমরাই জানি...
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
আপনাদের ভালবাসার ক্ষমতা দেখে আমি অবাক হই। 'জগত আছে কেন, আমি আছি বলে"। কিন্তু আমি না থাকলেও যে জগতের সবাই আমারি থাকে তা আপনারা প্রমান করলেন। ইস জুবায়ের যদি দেখতে পেত।
আপনি লিখে যান...যতখানি ইচ্ছে -- মেয়েদের লেখা লেখি নিয়ে জুবায়ের কৌতুক করে বলতো, "মেয়েদের লেখালেখির সীমানা শুধু মাত্র বাজার ফর্দ, মামুলি পত্র, আর প্রেম পত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত
এর বাইরে গেলেই মুশকিল।" এর পর আর লেখালেখির ইচ্ছে হয়নি কখনো।
--------------------------------------------------------------------------------
বিনম্র শ্রদ্ধা... উনার কথা শুধু শুনেছি, সৌভাগ্য হয়নি পরিচিত হওয়ার।
কিন্তু এই প্রথম একজন মানুষের কথা জানলাম যার সম্পর্কে প্রতিটি মানুষ 'অসাধারণ ভাল' বলে!
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
প্রথম একজন মানুষের কথা জানলাম যার সম্পর্কে প্রতিটি মানুষ 'অসাধারণ ভাল' বলে!
২৪সে সেপটেম্বর সকালে ডোরা আমাকে বলেছিলো, " কেঁদোনা আম্মু, বাবা যদি চলে যায়, তাহলে জানবে এটাই হবার কথা ছিল। বাবা একজন অসাধারণ ভালো মানুষ। ভালো মানুষ বেশী দিন বাঁচেনা। তুমি একটাও ভালো মানুষ দেখাতে পারবে যারা বেশী দিন বেঁচে ছিলো,"?
এই সচলায়তনের চারপাশে আমার এ না দেখা মানুষটির একটি প্রগাঢ় ছাপ দেখতে পাই। তাঁর লেখা পড়েছি, তাকে দেখিনি; তবুও চারপাশের সকলে যেনো তাঁর মত করেই দেখতে চান,দেখাতে চান...।
শ্রদ্ধা...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ধন্যবাদ
জুবায়ের ভাইকে চিনতাম না। তখন নতুন এসেছি সচলে।
যখন চিনলাম, তখন তাঁর সাথে আর আলাপেরই সুযোগ নেই।
তারপর একদিন পুরনো লেখা ঘাঁটতে গিয়ে দেখি আমার লেখায় জুবায়ের ভাইয়ের মন্তব্য। বুকটা ভারী ফাঁকা ফাঁকা লাগল। মানুষটা এত কাছে দিয়ে চলে গেছেন, টেরই পাই নি!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আমারো একই অবস্থা । আমার একটা মাত্র লেখায় ওনার মন্তব্য আছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মৃদুল আহমেদ ও এনকিদু আপনাদের মন্তব্যের জ্ন্য ধন্যবাদ।
পড়ে গেছি।
........................
আপনি যে লিখছেন এর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অনেক বড় মানুষ আছেন যাঁদের প্রিয়জনরা তাঁদের সম্পর্কে কিছু লেখেননা বলে তাঁদের সম্পর্কে অনেক কথাই অজানা থেকে যায়। আপনার এই লেখায় আপনার চোখ দিয়ে জুবায়ের ভাইকে দেখার যে সুযোগ হচ্ছে তা অবশ্যই সচলের যেকোন লেখক বা পাঠকের কাছে এক বিরল অভিজ্ঞতা। আমার শ্রদ্ধা জানবেন, ডোরা-অর্ণবকে স্নেহাশীষ জানাবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনারা পড়ছেন তাই কৃতজ্ঞতা আমার ই জানানো উচিত
জুবায়ের ভাইকে দেখার বা চেনার সুযোগ হয়নি কখনো। তাঁকে জানা তাই তাঁর লেখা পড়ে, আর অন্য সচলদের লেখার-কথার মাঝে তার নিয়মিত আসা-যাওয়া দেখে। তাতেই বুঝি কতটা বিশাল আর শক্তিমান মানুষ হলে এতগুলো মানুষের মাঝে এমন নিরন্তর বেঁচে থাকা যায়।
জুবায়ের ভাইয়ের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। আপনাদের জন্য শুভকামনা।
ওকে কি তেমন করে আমি ই চিনেছিলাম? চেনালেন আপনারা। ধন্যবাদ।
উনার সাথে আমার পরিচয় নাই। এখানে আসার পর অনেক শুনেছি উনার কথা । সচলে আমার পড়া প্রথম লেখাটাই সম্ভবত জুবায়ের ভায়ের ছিলো (মেয়েকে দিয়ে আসার কাহিনী)। উনি বেঁচে থাকবেন আমাদের ভালোবাসার মাঝে।
ভালো থাকবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনেও ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
জুবায়ের ভাইকে নিয়ে লেখা আপনার জন্য কত কষ্টের কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি; কষ্টকর কাজটা করার সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
তবে এতে মানসিক ভাবে হালকা বোধ করবেন; দুঃখ ভাগ করলে কমে; আর আনন্দ বাড়ে।
উনি সচলায়তনের প্রাণ ছিলেন তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না; আপনাকে সচলায়তনে স্বাগতম।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ওর শেষ দিন গুলির কথা ওর ভাই বোনকে জানাবার জন্যই লেখাটা শুরু করেছিলাম। তারপর তো এখানে এসে পৌছালাম। ধন্যবাদ।
দীর্ঘশ্বাস!
লেখাটা পড়ে মন খারাপ হলো।
ভালো থাকুন আপনি।
_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
গত ফোবানার সময় আপনাদের বাসায় যাবার কথা ছিল, যেতে পারি নি। তবে জুবায়ের ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছিল। দেখা হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরেও, দৈবপাকে পড়ে শেষ সময়ে গিয়ে হাজির হয়েছিলাম; ভুল সময়ে। মাঝে মাঝে মনে হয় জুবায়ের ভাইয়ের সাথে দেখা না হলে জীবনে একটা অপূর্ণতা থেকে যেত, আবার কখনো মনে হয় শেষ সময়ে এভাবে দেখা না হলেই হয়তো আমি বেঁচে যেতাম। এখন যতদিন বেঁচে আছি এই সেপ্টেম্বর মাস শুধু তাড়া করে বেড়াবে।
আপনারা ভালো থাকবেন। অর্ণব-ডোরার জন্য অনেক শুভাশীষ।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জুবায়েরকে নিয়ে সেই লেখাটার জন্য। ওই লেখাটা আমার ব্যক্তিগত সংগহে আছে। আপনাকে আমি মনে মনে খুঁজছিলাম। আচছা যখন আপনি ওর কাছে গিয়েছিলেন তখন কি ওর জ্ঞান ছিলো? কি কথা হয়েছিলো? ও নিশ্চয় খুব খুশী হয়েছিলো আপনাকে পেয়ে। ইস তখন যদি আমি ওখানে থাকতাম! কাজ, বাসা আর হসপিটাল এই ত্রিভুজের মধ্যে ঘুরপাক খেতে খেতে আমি ওর কাছে পুরোটা সময থাকতে পারিনি।
আমি যখন গিয়েছিলাম তখন জুবায়ের ভাইয়ের জ্ঞান ছিল। কথা হয় নি, কারণ মুখে মাস্ক ও অন্য যন্ত্রপাতি ছিল। আমাকে দেখে খুব খুশি হয়ে মাস্ক খুলে কথা বলা শুরু করেছিলেন, কী বলেছিলেন পরিস্কার বুঝতে পারি নি, মনে হয় আমার কী খবর বা কেমন আছি তা জিজ্ঞেস করেছিলেন। ওনার সাথে এর আগে মাত্র একবারই দেখা হয়েছিল। তাই ভেবেছিলাম আমাকে হয়তো আবার পরিচয় দিতে হবে, অন্তত সে অবস্থায়। কিন্তু মাত্র একবার দেখায় উনি আমাকে দেখে যেভাবে খুশি হয়ে উঠেছিলেন তাতে তাঁর স্মরণশক্তি দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম এবং তখনই আসলে আমার প্রথম মনে হয়েছিল উনি দ্রুত সেরে উঠবেন। ওনাকে মাস্ক খুলে কথা বলার চেষ্টা করতে দেখে আমি একটু ভয়ও পেয়েছিলাম কী হয়ে যায়, এক নার্স দ্রুত দৌড়ে এসে সেটা আবার লাগিয়ে দিয়েছিল। জুবায়ের ভাইকে বলেছিলাম সচলায়তনে সবাই আপনার জন্য খুব চিন্তা করছে। শুনে তিনি মাস্ক লাগানো অবস্থাতেই হো হো করে হেসে উঠলেন। সেদিন ছিল ১৭ ই সেপ্টেম্বর। আমি আমার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম। আসার পথে আমরা দু’জনেই একমত হলাম জুবায়ের ভাইকে দেখে খুবই প্রাণশক্তিসম্পন্ন মনে হচ্ছে, সেরে না ওঠার কোন কারণই নেই। কিন্তু যা ভাবি, তা যদি সবসময় সত্যি হতো!
উপরে মন্তব্যে ডোরার কথা শুনে অনেক ভালো লাগলো। অনেক।
আপনার লেখায় মন্তব্য অনেক আগেই করেছিলাম। বেশ বড় করে। কিন্তু আজ ফিরে এসে দেখছি ওটা হাওয়া।
শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।
তিনি যেখানেই আছেন, যেন থাকেন পরম শান্তিতে--এই দোয়া রইলো।
আপনি লিখে চলুন মেহবুবা আপু.......।
কোথায় আছে ও যদি জানতে পেতাম। কি আছে মৃতু্যর পরে? একজন বলে,মইরা গ্যালে কিসসু নাই, মইরা গ্যালে হড্ডি।
আমার ভেতরে বড়ো বেশি উচাটন। অকারণে পেছনের কথা ও সময়কে আকড়ে ধরে পড়ে থাকি।
যেদিন সবুজ বাতিটা জ্বলা বন্ধ হলো, যেদিন জানলাম তিনি অসুস্থ, সেদিন থেকে রোজ একটু পর পর দেখতে থাকি বাতিটা জ্বলে কী না। না জ্বলেনি। আর জ্বলবে না। তবু আমি রোজ রোজ একবার করে কন্টাক্ট এর লিংক ধরে সেই নামটা দেখি... না, জ্বলে না।
গতমাসে একদিন সকালে উঠে সোজা বসলাম পিসিতে। জিমেইলে ঢুকে প্রথমেই দেখি সেই বাতিটা ধুসর হয়েই আছে। দেখি মাসুদ ভাই এর নামটা সবুজ হয়ে আছে। আমি তারে বলি ভাই একটা কথা শুনবেন, একটা জিনিস দরকার, দেবেন? তিনি বলেন কি? আমি বলি জুবায়ের ভাই এর একটা ছবি দেন...
জুবায়ের ভাই এভাবেই আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখেন, সবসময়। এই দীর্ঘ সময়ে একটা দিনের জন্যেও তাকে ভুলতে পারলাম না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনার লেখাটা পড়ে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।
শ্রদ্ধাস্পদেষু:
জুবায়ের ভাইকে নিয়ে লেখা দেখে লগইন করলাম। তাঁর লেখাগুলো কিন্তু এখনও পড়ি মাঝেসাঝেই। আইরিস জুবায়েরের লেখা হেলথ রিপোর্ট লেখাটা পড়ে মর্মস্পর্শী বেদনা অনুভব করেছিলাম।
ভালো থাকুন আপনি, শোককে শক্তিতে পরিণত করতে যেন পারেন, এই কামনা করি।
বিনীত
ss
ওই লেখাটায় দেওয়া আপনাদের সবগুলি মন্তব্য ও ডোরাকে পড়িয়ে শুনিয়ে ছিলো।
জুবায়ের ভাইয়ের সাথে সচলায়তনের অনেকের তুলনায়ই অনেক কম পরিচয় ছিলো। সে সময় পর্যন্ত আমার কাছে তাঁর একটাই পরিচয় ছিলো, অসাধারণ প্রাঞ্জল লেখক।
আজ তাঁর বিদায়ের বছরখানেক পর, যখন তাঁর অনুজ দুই ভাইয়ের সাথেই অনেক ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, তখন আফসোস লাগে। অনুজ দুজনের সাথে কথা বলেই বুঝতে পারি, কী চমৎকার একজন মানুষ ছিলেন তিনি।
সচলায়তনে স্বাগতম। আশা করি আপনাকে নিয়মিতই পাবো আমাদের মাঝে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
না ভাই নিয়মিত কেন, অনিয়মিতও আমাকে পাবেন না। বিদেশে বসে একা একা দুটো সন্তান মানুষ করতে হচ্ছে। দোয়া করবেন ।
পড়ছি..
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
লেখাটা অনেকবার পড়লাম।
আপনাদের সবার জন্য আন্তরিক শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ।
তাঁর সাথে পরিচয় সামহয়্যারে। সে সময় আমি একটা সিরিজ লিখছিলাম। বেশ কয়েকটা পর্বে জুবায়ের ভাইয়ের গঠনমূলক মন্তব্য পেয়েছিলাম যা সিরিজের শেষদিকটায় বেশ কাজে লেগেছিলো।
একদিন দেখলাম উনি বা পরিচিত স্কুলের কোনো ব্লগার-ই আর নেই সেখানে। অনেকদিন পরে এখানে আসলাম। ততদিনে তিনি সবাইকেই বিদায় জানিয়েছেন।
অনেক অনেক ভালো একজন মানুষ তিনি। আপনাকে ধন্যবাদ ভাবী উনার কথা আবার মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। অর্ণব আর ডোরা'র প্রতি স্নেহ রইলো। ভালো থাকবেন।
"ততদিনে তিনি সবাইকেই বিদায় জানিয়েছেন।"
'আমি চির তরে দুরে চলে যাবো, তবু আমারে দিবোনা ভুলিতে' শেষের দিকে এই গানটা খুব শুনতো।
কিছু কিছু ঘটনা যখন কিছুতেই আর পালটানো যায় না, নিজেকে খুব অসহায় লাগে তখন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমরা মানুষেরা যে কত অসহায় তা আমার চেয়ে ভালো করে মনে হয় আর কেউ অনুভব করেনি।
--------------------------------------------------------------------------------
জুবায়ের ভাইয়ের সাথে আমার কখনো ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়নি। অথচ আমাদের মধ্যেই ব্যক্তিগত যোগাযোগ হবার সম্ভাবনা যেনো একটু বেশিই ছিলো।
জুবায়ের ভাই যখন সামহোয়্যার ব্লগে তাঁর উপন্যাস "পৌরুষ" সিরিজাকারে দিচ্ছেন, ঠিক তখন আমিও উপন্যাস "গন্দম" সিরিজাকারে দিচ্ছিলাম। জুবায়ের ভাই যখন সামহ্যোয়ারের আচরণে বিরক্ত, সেই সময়ে আমিও সামহোয়্যার ছাড়ার তাল খুঁজছি। সচলায়তনের ঠিক শুরুতে আমাদের প্রবেশও একই সময়। অরূপ ভাই আমাদের স্বাগত জানিয়ে একটা পোস্টও দিয়েছিলেন, "স্বাগতম মুহম্মদ জুবায়ের ও অমিত আহমেদ"।
মন্তব্যে, লেখায়, কিংবা ছবিতে আমাদের যোগাযোগ চলেছে। আমি ঈর্ষা নিয়ে অন্যদের সাথে জুবায়ের ভাইয়ের জিটকে কিংবা ফোনে আলাপের গল্প শুনেছি। কিন্তু নিজে থেকে কখনো যোগাযোগ করতে পারিনি। অজানা একটা শঙ্কায়!
জুবায়ের ভাই যে কতো কাছের ছিলেন তা বুঝেছি শেষ দিনগুলোতে। কী যে অসহ্য দিন গেছে ভাবি... কী যে অসহ্য...
ভালো থাকবেন... আর ডোরা-অর্ণবকে আমার ভালোবাসা জানাবেন।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
আপনেই মনে হয় অন্য একটা ব্লগে জুবায়েরের মৃতু্য সংবাদটা পোস্ট করেছিলেন তাইনা? "অজানা একটা শঙ্কায়!" এ কথাটা কেন? মিশলে বুঝতে পারতেন ও ছিল খুব উইটি, ওর সেন্স ওফ হিউমার ছিল অসাধারণ।
--------------------------------------------------------------------------------
ভাবছিলাম এই পোস্টে কোনো মন্তব্য করবো না। কিন্তু এই লাইন কটা পড়ে শরীররটা শিরশির করে উঠলো : জোর করাতে কানতে কানতে বল্লো, " বাবা তো বাইরে"।
মানুষের মৃত্যু কতো স্বাভাবিক; কিন্তু স্বজনের মৃত্যু কী ভযঙ্কর।।
আপনাদের মন ভালো থাকুক। এইই প্রার্থনা।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আপনাকে ও ধন্যবাদ ।
আপনি লিখে যান। লেখার মাঝে ভেতরের অদমনীয় কষ্টকে মোকাবেলা করার সাহস জন্মায়। আপনাদের জন্যে আন্তরিক শুভকামনা রইলো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------------------------------
আমার অবস্থা ছিল অনেকটা অমিত আহমেদের মত।
আমি নিজে এত বেশি পোস্ট দিতাম যে অন্যদের লেখা পড়ে মন্তব্য করলেও ঠিক মিথষ্ক্রিয়ায় অংশ নিতে পারতাম না।
আমি জানতামও না জুবায়ের ভাই আমার বড়। আমি মন্তব্য লিখতে মুহম্মদ জুবায়ের-ই লিখতাম।
মনে পড়ে জুবায়ের ভাইয়ের ধারাবাহিক উপন্যাস পৌরুষের প্রশংসা শুনি নবনীতার কাছে (নবনীতা চৌধুরী, বিবিসি বাংলাবিভাগে অনুষ্ঠান প্রযোজক) নবনীতাকে খুব সমালোচক-পাঠক হিসেবেই জানি সুতরাং সে যখন পুরো উপন্যাসটা পড়ে বিপুল প্রশংসা করে তখন আমি জুবায়ের ভাইয়ের লেখাগুলো পড়তে শুরু করি।
তবে সচলায়তনে আসার পর থেকে মন্তব্যের মাধ্যমে একটা যোগাযোগ তৈরি হয়ে যায়।
সচলায়তনের ছোট গল্প সংকলন দিয়াশলাই-য়ের দীর্ঘ সমালোচনা লিখেছিলেন যখন তখন আমরা বিস্মিত হয়ে যাই দেখে যে কত সময় তিনি দিয়েছেন এই লেখার পেছনে।
জুবায়ের ভাই ও আপনার সন্তানেরা নিশ্চই মানুষের মত মানুষ হবে ভাবী। আমার বাবা মারা গিয়েছিলেন যখন আমি মাত্র সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি। অর্ণবের কষ্টগুলো আমি বুঝতে পারি। কতদিন কবর খুঁড়ে বাবাকে তুলে আনতে চেয়েছি। পাঁচটা সন্তান নিয়ে বিধবা হওয়া আমার মা কীভাবে যে আমাদের বড় করে ফেললেন এখন ভাবতেও অবাক লাগে। তবে বিস্ময় আরো যে এই বড় হওয়াটাো তিনি ঠিকঠাক দেখে যেতে পারলেন না।
অর্ণব আর ডোরা নিশ্চই অনেক বড় হবে। বাবার ভালবাসা আর ব্যক্তিত্বের স্পর্শই তাদেরকে অনেক বড় করবে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
পাঁচটা সন্তান নিয়ে বিধবা হওয়া আমার মা কীভাবে যে আমাদের বড় করে ফেললেন এখন ভাবতেও অবাক লাগে। তবে বিস্ময় আরো যে এই বড় হওয়াটাো তিনি ঠিকঠাক দেখে যেতে পারলেন না।
আপনার জীবনের গল্প আর কবি শহীদ কাদরীর গল্প একই সুরে বাঁধা। তবে ওঁর মায়ের বয়ষ ছিলো মাত্র ২৩।
--------------------------------------------------------------------------------
শ্রদ্ধা রেখে গেলাম।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধন্যবাদ
--------------------------------------------------------------------------------
ধন্যবাদ
--------------------------------------------------------------------------------
...
জুবায়ের ভাইকে শ্রদ্ধা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ
--------------------------------------------------------------------------------
পোস্টটা অনেক আগেই পড়েছি। কী মন্তব্য করবো, ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। এখন আবার পড়লাম। পড়লাম মন্তব্যগুলো। কী অদ্ভুত, যে আমি ভাবছিলাম, অনেক শক্ত হয়ে গেছি এখন, সেই আমিই চোখের পানি আটকাতে পারলাম না। বিশাল শূন্যতা অনুভব করছি।
জুবায়ের ভাইয়ের সাথে আমার সেভাবে সরাসরি যোগাযোগ ছিল না। তবে তাঁর লেখায় মন্তব্যে-প্রতিমন্তব্যে অথবা সচলায়তনের অণুগল্প সংকলনের রিভিউতে আমার লেখাটা সম্পর্কে তাঁর ছোট্ট সমালোচনা... এসবই মনে পড়ে এখন। কিন্তু শুধু লেখার কারণেই নয়, এর বাইরেও, জুবায়ের ভাই আমার কাছে অনেক বড়ো মাপের একজন মানুষ। বিভিন্নজনের কাছ থেকে তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি, সচলায়তনের পাতায় বিভিন্নজনের সাথে তাঁর যোগাযোগ দেখেছি। মুগ্ধ হয়েছি সবসময়ই। একজন মানুষ যে এতগুলো মানুষের হৃদয়, জীবন স্পর্শ করতে পারে, তা সত্যিই অভাবনীয়। কতোটা অসাধারণ হলেই কেবল তা সম্ভব!
তাঁর সম্পর্কে জানা শেষ হয়নি তাঁর চলে যাওয়ার পরও। আমার ভীষণ প্রিয়, সন্ন্যাসী'দা ও আনিস ভাইয়ের মতো অসাধারণ দুইজন মানুষের সান্নিধ্যে আসার পর আরো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি জুবায়ের ভাই মানুষ হিসাবে কতোটা অসাধারণ ছিলেন। আজকের এই দিনে, আপনার লেখা পড়ে, উনার জন্য শ্রদ্ধা জানাই।
হাজার ব্যস্ততার মাঝেও, সময়-সুযোগ করতে পারলে, আপনি নিয়মিত লিখুন এখানে, জুবায়ের ভাইকে নিয়ে, প্লীজ। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক বড় করে লেখা আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার বাঙলা লিখতে অনেক সময় লাগে। আক্ষর গুলি খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে যাই। তারপর অনেক কষ্টে লেখা মন্তব্যটা পোষ্ট করার পর হারিয়ে যায়। অমিত আহমেদ কে লেখা মন্তব্য দুই বার হারিয়ে গেছে। ঠিক করেছি প্রথম লেখাটায় দেওয়া সবার মন্তব্যের জবাব দিবো।
--------------------------------------------------------------------------------
অনেক বড় করে লেখা আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার বাঙলা লিখতে অনেক সময় লাগে। আক্ষর গুলি খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে যাই। তারপর অনেক কষ্টে লেখা মন্তব্যটা পোষ্ট করার পর হারিয়ে যায়। অমিত আহমেদ কে লেখা মন্তব্য দুই বার হারিয়ে গেছে। ঠিক করেছি প্রথম লেখাটায় দেওয়া সবার মন্তব্যের জবাব দিবো। তার পর আর নয়।
--------------------------------------------------------------------------------
অনেক বড় করে লেখা আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার বাঙলা লিখতে অনেক সময় লাগে। আক্ষর গুলি খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে যাই। তারপর অনেক কষ্টে লেখা মন্তব্যটা পোষ্ট করার পর হারিয়ে যায়। অমিত আহমেদ কে লেখা মন্তব্য দুই বার হারিয়ে গেছে। ঠিক করেছি প্রথম লেখাটায় দেওয়া সবার মন্তব্যের জবাব দিবো। তার পর আর নয়।
--------------------------------------------------------------------------------
অনেক বড় করে লেখা আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার বাঙলা লিখতে অনেক সময় লাগে। আক্ষর গুলি খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে যাই। তারপর অনেক কষ্টে লেখা মন্তব্যটা পোষ্ট করার পর হারিয়ে যায়। অমিত আহমেদ কে লেখা মন্তব্য দুই বার হারিয়ে গেছে। ঠিক করেছি প্রথম লেখাটায় দেওয়া সবার মন্তব্যের জবাব দিবো। তার পর আর নয়।
--------------------------------------------------------------------------------
ডোরা আর অর্নবের জন্য অনেক অনেক প্রার্থনা থাকলো, নিশ্চয়ই অনেক অনেক বড় হবে ওরা।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আপনাকে জানাই আমাদের আন্তরিক সুভেচ্ছা
--------------------------------------------------------------------------------
গত বছরের কথা। অগাস্ট মাসের শেষের দিকে জুবায়ের একটি লেখা পোস্ট করলেন। বিষয়টি ছিল মেয়েকে তার ইউনিভার্সিটিতে নামিয়ে ফিরে আসার অনুভূতিগুলোকে নিয়ে। বিষয়টি সাধারণ বিচারে স্পর্শকাতর নিঃসন্দেহে, কিন্তু সেটি আমার কাছে আরো একটু বেশী দ্যোতনা নিয়ে এসেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে আমি আমার কথাটিও পোস্ট করেছিলাম এখানে। লেখাটি পড়ে তাঁর মন্তব্যটিও পেয়েছিলাম। তারিখ ছিল অগাস্ট ২২। তারপর মনে হয় আর কিছু লেখার মতো শারিরীক অবস্থা ছিল না তাঁর। একসময় শুনলাম তিনি আর নেই।
জুবায়েরের সাথে আমার কোনদিন পরিচয় হয়নি। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়ার সংবাদটি শুনে সেদিন কাজে বসে চোখ মুছেছি বারবার। এখনো তাঁর কথা মনে হলে চোখ ভিজে আসে। এই পৃথিবীতে কত মানুষ এসেছে, কত মানুষ চলে গিয়েছে। কেন তাঁর কথা মনে হলে চোখ মুছি? উত্তরটি আমার জানা। তিনি আমার হৃদয়ের কাছাকাছি একজন মানুষ ছিলেন। যাঁকে সামনাসামনি চেনার কোন প্রয়োজন নেই। সেইভাবেই তিনি আছেন, এবং থাকবেন। অনেক মানুষের হৃদয়ে। তার চলে যাওয়ার শোকচিহ্নটি যেন ভেঙে যাওয়া কাঁচের গেলাসটি। সময়ের আঠা দিয়ে একে জুড়লেও দাগগুলো কোনকালেই মিলিয়ে যাবে না।
আপনার এবং পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা রইলো। মনে রাখবেন-এ ক্ষতি আমাদের সবার। এতগুলো মানুষের আন্তরিক বিষাদ এবং ভালবাসা আপনাদেরকে ঘিরে থাকবে চিরকাল।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
যাঁকে সামনাসামনি চেনার কোন প্রয়োজন নেই। সেইভাবেই তিনি আছেন, এবং থাকবেন। অনেক মানুষের হৃদয়ে। তার চলে যাওয়ার শোকচিহ্নটি যেন ভেঙে যাওয়া কাঁচের গেলাসটি। সময়ের আঠা দিয়ে একে জুড়লেও দাগগুলো কোনকালেই মিলিয়ে যাবে না।
কি দারুন সুন্দর কথা গুলি! এতো সাধারণ কথা, অথচ এতো ভালো করেও যে লেখা যায়!!
এটা পড়ে জানলাম।
যারা সচলে পরে এসেছেন, এবং জুবায়েরের সংগে পরিচয় হয়নি। তাঁদের জন্য এ ধরণের কিছু একটা লিখতে চাইছিলাম। ধন্যবাদ আপনি লিখে দিলেন বলে।
--------------------------------------------------------------------------------
আমি নিজেকে একজন শক্ত মনের মানুষ বলেই জানি। সেই ছোট বেলা থেকেই বাবার অসুস্থতা নিজে এক হাতে সামলিয়েছি। বিদেশ বিভুইয়ে নিজের যখন খুব কঠিন এক অপারেশন হয় তখনো দুঃশ্চিন্তা করিনি। সত্যকে সহজভাবে নিতেই চেষ্টা করি। আজ নিজেকে আবারো নতুন করে চিনলাম। জুবায়ের ভাইকে পাইনি কারণ সচলে এসেছি অনেক দেরীতে। কিন্তু সর্বত্র জুবায়ের ভাইয়ের ছোঁয়া দেখতে পাই। জুবায়ের ভাইকে নিয়ে উনার ছোট ভাইয়ের লেখাটি পড়ে সেদিন প্রথম কাঁদলাম। আজ পুরো লেখা জুড়ে কাঁদলাম। প্রতিটি মন্তব্যে কাঁদলাম। তাই ভাবি নিজের বাবা, মা, স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা, তাঁরা যখন ভিন্দেশে যাত্রা করবে কিভাবে আসলে বেঁচে থাকবো। এবার দেশে গিয়ে যে দিন চলে আসি, রাস্তায় মা কে ধরে এমন কান্না দিয়েছিলাম ভাবলেই অবাক লাগে। আসলে নর্থ আমেরিকা এত দূর, মনে হয় মোটামুটি মৃত্যুর কাছাকাছি। ছোটবেলা থেকেই বাসার বাহিরে ছিলাম। ক্যাডেট কলেজে থেকেছি, বুয়েটে হলে থেকেছি, বলা যায় বাব/মা কে কখনো মনে করিনি। দেশের বাহিরে এসে আজো মাঝে মাঝে রাতে খুম ভেঙ্গে উঠি এক হিমশীতল অনুভুতি নিয়ে। মনে হয় আমি চাইলেই বাব/মা বা আমার প্রিয় বন্ধুটিকে একটু ছোঁয়ে দেখতে পারবো না, এত দূঁরে আমি চলে এসেছি। মৃত্যুটাকে খুব কাছেই বলে মনে হয় তখন। নিজেকে নতুন করে চিনেছি বিদেশে এসে।
মন্তব্যটি বড় হয়ে গেল আর ব্যক্তিগত কথা চলে আসলো বলে লজ্জিত। আমার কোন সন্দেহ নেই, আপনার ও জুবায়ের ভাইয়ের সন্তান একদিন অনেক বড় হবে, সত্যিকার মানুষ হবে। তবেই জুবায়ের ভাইয়ের মৃত্যু সার্থক হবে। শুধু কামনা এমন মৃত্যু যেন আমাদের সকলেরই হয়।
কোন স্টেইটে থাকেন আপনি?
এখন, ঠিক এই মুহুর্তে আমি যা ভাবছি তা হলো, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল দেশ ছেড়ে বিদেশে আসা। কেন এসেছি ? কারণ আমি খুব স্বার্থপর, নিজে ভালো থাকতে চেয়েছি। আমাকে কেউ এ দেশে আটকিয়ে রাখেনি, তবুও আমি যাবোনা। একশ একটা কারন দেখাবো। কিন্তু ভেতরে তো ওই একটাই কারণ। নিজে ভালো থাকতে চাই। আমি তো একা আমার নই, আমার এই আমিত্বে দুরের কাছের সবারই কিছু না কিছু প্রাপ্য ছিলো। তাঁদের যেমন বঞ্চিত করেছি, প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে নিজেও বঞ্চিত হয়েছি। এটাই নিয়তি এ থেকে আমাদের মুক্তি নেই।
কিছু মনে করবেন না।
--------------------------------------------------------------------------------
...
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
.......
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
শ্রদ্ধা রেখে গেলাম...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ
--------------------------------------------------------------------------------
জুবায়ের ভাই যখন ছিলেন তখন আমি সচলে ছিলামনা আর যখন সচলে এলাম তখন জুবায়ের ভাই নেই। সচলে প্রথম এসেই নীড়পাতার বা'দিকে এই মানুষটির লেখার লিঙ্ক দেখে অনেক বার তার লেখাগুলি পড়েছি। প্রত্যেক সচল, অতিথি সচলের সাথে যেন তার আজীবন বন্ধুত্ব ছিল। এই মানুষটিকে তাই শুধু শ্রদ্ধাই করতে ইচ্ছে করে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জুবায়ের ভাই যখন ছিলেন তখন আমি সচলে ছিলামনা আর যখন সচলে এলাম তখন জুবায়ের ভাই নেই।
আপনার মত আরো অনেক সচলেরই এই দুঃখ্য রয়ে গেছে। তার মানে গত এক বছরে সচলদের সংখা বেড়েছে অনেক। ও তো এমন টাই চেয়েছিলো।
--------------------------------------------------------------------------------
ভাবী, প্রথমেই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের মাঝে আসার জন্য এবং আমাদের প্রিয় জুবায়ের ভাইয়ের শেষ সময়ের কথাগুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য।
না দেখা কোন মানুষের জন্য এত তীব্র টান হয় এবং তার চলে যাওয়ায় এতোটাই যন্ত্রনা/শোক/আহাজারি হতে পারে তা জুবায়ের ভাইয়ের চলে যাওয়াতে আমি জেনেছি, বুঝেছি। আমার বাবা গত হওয়ার পর কোন মানুষের চলে যাওয়ায় আমি এতো কেঁদেছিলাম অথচ ব্যাক্তিগত তো নয়ই ব্লগেও যে খুব বেশী কথা হতো তাও কিন্তু না.........................। তার লেখায়, কথায় কখন যে তিনি এতো আপন হয়ে গিয়েছিলেন তা জানতেই পারিনি....!
আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ অনিয়মিত হোক, মাঝে মাঝে হলেও আপনি আসবেন, লিখবেন আর আমাদের সাথে ভাগাভাগি করবেন আমাদের প্রিয় মানুষের শেষ কথাগুলো, আপনার কষ্ট, শোকগুলো।
ডোরা-অর্ণব কে অনেক ভালোবাসা দিবেন ।
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
এ ক' দিনে জানলাম, অর্ণবের মত সচলের অনেকেই তাদের বাবা হরিয়েছে ছোটবেলায়। এটা জুবায়েরের কথা মুন্নি ভাবীকে বলা। " বাবার অভাবে মা সন্তানকে শত প্রতিকুল অবষ্হার মাঝেও মানুষ করে তোলে, কিন্ত মার অভাবে বাবা তাদের করে অমানুষ।"
--------------------------------------------------------------------------------
আমি সচলে পরে লিখতে শুরু করেছি বলে ওঁর সঙ্গে কথা হয়নি। মাঝে মাঝে মনে হয় আর কিছুদিন আগে যদি আসতাম! মুহম্মদ জুবায়েরের একটিমাত্র লেখা পড়েই আমি চিরকালের মতন ওঁর ভক্ত হয়ে গেছি। তারপরে খুঁজে খুঁজে পড়েছি ওর উপন্যাস- চুপকথা, পৌরুষ। হৃদয় আকুল করে তোলা লেখা। অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি, অসাধারণ। কখনো না কথা হওয়া এই মানুষটি আমার নিকটতম আত্মীয়ের চেয়েও কাছের হয়ে গেছেন, এমন যে হতে পারে আমি নিজেও ভাবিনি কখনো।
ওঁর কথা লিখেছিলাম সচলচারণে, আমার চিরকালের আফশোস থেকে গেল এই মানুষটার সাথে আমার চেনাশোনা আর কথা কওয়া হলো না বলে।
যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন তিনি, তিনি বেঁচে থাকুন আমাদের ভালোবাসা-স্পন্দিত হৃদয়ে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনাদের সচলের সবার এই এত পছন্দের মানুষটা আমার বিচারে ছিলো সংসারে এক্কেবারে অচল। বিয়ের পর পর আমাদের সংসারে অর্থ ছাড়া আর কোন কিছুর অভাব ছিলোনা। একদিন ঘরে চাল নেই। ওকে ২০০ টাকা দিয়ে বল্লাম চাল কিনে আনতে। সন্ধা পার করে উনি এলেন ঠিকই, তবে চাল না একপ্যাকেট চকলেট নিয়ে। কারণ যে চাল সে কেনার জন্য নির্বাচন করেছিল সেটা ২০০ টাকায় পাওয়া যায নি। ২০০ টাকায় আমার পছন্দের এক প্যাকেট চকলেট পেয়ে সেটা কেনাটাই ওর সমীচীন মনে হয়েছে।
আপনারা জানেন কিনা জানিনা গত ২১শে ফেব্রয়ারীতে 'পৌরুষ' প্রকাশিত হয়েছে 'অন্যধারা' প্রকাশনি থেকে।
--------------------------------------------------------------------------------
.
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
প্রিয় মেহবুবা জুবায়ের
আপনার লেখাটা সচলায়তনকে সম্মানীত করলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আপনার লেখাটা সচলায়তনকে সম্মানীত করলো
আর আপনার এই লেখাটি আমাকে সন্মানীত কারলো।
--------------------------------------------------------------------------------
'আমি চিরতরে দূরে চলে যাবো, তবু আমারে দেব না ভুলিতে'
-জুবায়ের ভাইয়ের জন্য আজ নজরুলের এই কথাটাই মনে পড়লো।
মেহবুবা ভাবি, শ্রদ্ধা জানবেন। ডোরা-অর্ণবের জন্য স্নেহ-আদর।
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
ওই গানটা শুনতো
--------------------------------------------------------------------------------
জুবায়ের ভাইয়ের জন্যে শ্রদ্ধা রইল।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ধন্যবাদ
--------------------------------------------------------------------------------
কী বলব বুঝতে পারছি না।আমার অজানা অচেনা এবং সবার আত্মার কাছের এই মানুষটির প্রতি বিনীত শ্রদ্ধা রেখে গেলাম।আপনাকে শুভেচ্ছা। বাচ্চাদের জন্য অনেক আদর আর অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
নৈশী।
বাচ্চাদের জন্য অনেক আদর আর অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাদের শুভকামনাই ওদের আগামি দিনের পাথেয়।
--------------------------------------------------------------------------------
আমি সচলায়তনে একে বারেই নূতন। জুবায়ের ভাইকে পাইনি, এটা আমার দুর্ভাগ্য। লেখা পড়ে, মন্তব্য পড়ে মনটা ভীষন খারাপ হয়ে গেলো, কেমন হয়, প্রিয় মানুষ গুলো অকালে চলে যায়। প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন শান্তিতে রাখে।
দুর্ভাগ্য কেন বলছেন? জুবায়ের চলে গেছে আপনাকে সচলে আসবার জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়ে। অতীতের উপর দাড়িয়েই তো বর্তমান গড়ে উঠে তাইনা?
--------------------------------------------------------------------------------
ভাবী,
জুবায়ের ভাইয়ের সাথে আমার খুব বেশি কথা হয়নি কখনো। শুধু অরুপের কম্পিউটার স্ক্রীনের দিকে তাকালেই দেখতাম গুগল টকের একটা চ্যাট উইন্ডো সবসময় খোলা থাকে। জুবায়ের ভাইয়ের সাথে ওর কী এত গল্প ভেবে অবাক হতাম। দু'জন অসমবয়সী অদেখা বন্ধুর টান দেখেও খুব অবাক লাগত। ব্লগের নানা দুঃসময়ে কী অদ্ভুত টানেই না জুবায়ের ভাই ওদের আগলে থাকেন! একদিন হঠাৎ করেই দেখি ওর খুব মন খারাপ, জুবায়ের ভাই অসুস্হ। তার ক'দিন পরেই শুনলাম জুবায়ের ভাই চলে গেছেন। ঠিক বিশ্বাস হল না। এক বছর হয়ে গেল, না? এখনো বিশ্বাস হয় না। মাঝে মাঝে হঠাৎ হঠাৎ মন খারাপ হয়, কেন ওনার সাথে আরো যোগাযোগ ছিল না ভেবে। তখন আমার পুরনো লেখাগুলো বের করে ওনার কমেন্ট পড়ি। জুবায়ের ভাই সবসময় খুব ইন্সপায়ারিং কমেন্ট করতেন। খুব অনিয়মিত লিখি বলে আরো লিখতে উৎসাহ দিতেন। গত এক বছরে যে অল্প কয়েকবার কিছু লিখেছি, প্রতিবারই অবচেতন মনে জুবায়ের ভাইয়ের কমেন্ট খুঁজেছি। সেই একজন একটা কমেন্ট করেনি বলে প্রতিবারই মনে হয়েছে লেখাটা ঠিক হল না, কিছু একটা বাকি রয়ে গেল। মনে হয়েছে বলি, এই তো একটা কিছু লিখেছি জুবায়ের ভাই, আরো কিছু নতুন ছবি তুলেছি, কই আপনি তো দেখলেন না। না, আমার এখনো বিশ্বাস হয় না উনি নেই। ব্লগ খুললেই মনে হয়, জুবায়ের ভাই আছেন তো আমাদের সঙ্গে। হয়তো একটু ব্যস্ত, তাই আজকাল আর আগের মত লেখা বা পড়া হয় না। এখনো দেখেন, ওনাকে নিয়ে একটা লেখা সব্বাইকে কেমন একসাথে করে দিল।
মনটা খুব খারাপ লাগছে। খুব আশা থাকল কোন একদিন অর্ণব, ডোরা আর আপনার সাথে দেখা হবে কোন এক দেশে।
ভাল থাকবেন।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
মাশীদ এই পৃথিবী আগে যেমন ছিলো এখনো তেমনই আছে, কিচ্ছু বদলায়নি, কিসসু না। যে সেন্ডেলটা পরে বাইরে যেত সিগেরেট খেতে, সেটা তেমনি রয়ে গেছে দরজার পাশে। যে ঢাউস মগটাতে পানি খেত, আধ খাওয়া পানি সহ এখনো সেভাবেই আছে ওটা ওর পড়ার টেবিলের পাশে। লন্ডিতে পাঠাবার জন্য এক ব্যাগ ব্যবহার করা কাপড়ে, এখনো ওর গায়ের গন্দ্ধ। অর্ধেক পড়া 'মিলান কুন্ডেরার আইডেনটিটি বইটার ৬৯ পাতা ২৩ অধ্যায়ে একটা বুক মার্ক। আধ খাওয়া সিগেরেটের বাডে ওর ঠোঁটের দাগ। কার্পেটে ঢেলে ফেলা কফির দাগ। ' টু ডু লিস্টে' পরের পে পিরিয়ডে কি কি করবে তার তালিকা।
শুধু একজন নেই। কোথাও আর নেই। এ জীবনে আর কখনই থাকবে না। আমার জীবনের সব রঙ মুছে দিয়ে এক্কেবারে নাই হয়ে গেল।
হ্যাঁ দেখা হবে। দেখা যে হতেই হবে।
--------------------------------------------------------------------------------
লেখাটি পড়ে অনেক মন খারাপ হচ্ছে।
ভালো থাকুন আপনারা সবাই।
ভালো থাকুন আপনিও
--------------------------------------------------------------------------------
গত দুদিন প্রচণ্ড ব্যস্ততায় সচলে ঢুকতে পারিনি। আজ সাংবাদিক নাট্যকার অরুণ চৌধুরীর অফিসে বসে সচলায়তন খুলে বসলাম। আপনার লেখাটা পড়লাম। অরুণদা জুবায়ের ভাইয়ের খুব কাছের বন্ধু ছিলো বলে জানলাম। আমার আশপাশে যাদের সঙ্গে আমার খুব কাজের যোগাযোগ- ইমদাদুল হক মিলন, হুমায়ূন ফরীদি, সুবর্ণা মুস্তাফা, ফিরোজ সারওয়ার... এরকম আরো অনেকে... প্রত্যেকের সঙ্গেই জুবায়ের ভাইয়ের অনেক অনেক বন্ধুত্ব। তাঁদের কাছে গল্প শুনি। আমার সঙ্গে কখনো দেখা হলো না, এমনকি কথাও হলো না। সচলায়তনেই শুধু টুকটাক দুয়েকটা মন্তব্য বিনিময়...
অথচ কতোটা আপন হয়ে মিশে আছেন তিনি। যখনই সচলায়তন খুলি... চোখটা চলে যায় জুবায়ের ভাইয়ের লিঙ্কটাতে। ডানদিকে তাকিয়ে দেখি বালকবেলা বইটার প্রচ্ছদ দেখা যায় কী না...
আরিফ জেবতিককে অনেক ধন্যবাদ... জুবায়ের ভাইয়ের একটা বইয়ের প্রচ্ছদ করতে সুযোগ করে দিয়েছেন বলে... একটা কিছু উল্লেখযোগ্য স্মৃতি হয়ে অন্তত তো রইলো...
সচলায়তনে মুহম্মদ জুবায়ের বেঁচে থাকবেন চিরকাল... চিরটা কাল তিনি বেঁচে থাকবেন আমাদের ভালোবাসায়।
ভালো থাকবেন ভাবী। মাঝে মধ্যে এক লাইন দুলাইন হলেও যদি পারেন লিখবেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার জবাব পেয়েছি। ওর কবরের হেড স্টোনে লেখা আছে" আমার না থাকাটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় থাকা"
--------------------------------------------------------------------------------
শ্রদ্ধা, প্রার্থনা।
শুভকামনা আপনার এবং বাচ্চাদের জন্য।
"Life happens while we are busy planning it"
আমার ছেলের নাম অর্ণব, আপনার নাম সমুদ্র। একই অর্থ তাইনা? শুভকামনা আপনাকেও
--------------------------------------------------------------------------------
আপনার নাম ও আমার ছেলের নামের একই অর্থ তাইনা? আপনাকেও শুভেচ্ছা।
--------------------------------------------------------------------------------
...........
-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অর্ণবের কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
আশা করি আপনারা ভালো আছেন।
ভালো থাকেন।
রাসেল
অর্ণব ওর ছোট্ট বুকে বাবাকে বাঁচিয়ে রেখেছে ওর মত করে। বাবার বানানো প্যান কেক ওর খুব প্রিয় ছিল। এখন আর ও প্যান কেকই খায় না। বাবার সাথে গিয়ে বাবার পছন্দের যে কাপড় গুলি কিনেছিলো এখন ঘুরে ফিরে সে সবই পরে। 'আমি যদি বলি এটা কেন পরলে, শার্টটা তো ছোট হয়ে গেছে'। শার্ট টা টেনে লম্বা করার ব্যর্থ চেষ্টা করে বলে, 'নো, ইটস ফাইন।"
--------------------------------------------------------------------------------
শাহীন আপা, মন্তব্যে আমি কি লিখবো বলুন? জুবায়ের ভাইয়ের মৃত্যুর পরে অনেক বার ভেবেও অনুভূতি গুলো কথায় সাজাতে পারিনি। তাছাড়া গত ১৮/২০ মাস যাবত আমি ব্লগে ঢোকার একেবারেই সময় পাইনা। আপনাদের সাথে আমার সম্পর্ক অন্তত দেড় যুগতো হবেই। এতদিনের সব স্মৃতি চোখে ভেসে উঠে। আপনার সাথে আজ কথা হবার বেশ কদিন আগে থেকেই ভাবছিলাম যেকরেই হোক ব্লগে একটু করে সময় দিব অন্তত সপ্তাহে একবার। জুবায়ের ভাইয়ের কথা খুব মনে পড়ছিল। জুবেয়ের ভাইই আমাকে ব্লগের পরামর্শ দিয়েছিল। বিশ্বাস করবেন? যে আমি স্বপ্ন দেখিনা কিংবা দেখলেও মনে থাকেনা বলে বুঝিনা না সেই আমি গেল মাসে কোন এক রাতে জুবায়ের ভাইকে দেখলাম। কোনো কথা হয়নি কিনতু কেন জানি মনে হলো বলছে এর মাঝেই সময় করে নিতে হবে। আপনি যাকে কাঠখোট্টা বলতেন সেই লোকটার হাসি হাসি চেহারাটাই শুধু স্বপ্নে দেখলাম। শেষ দিন গুলোতে আমি কাছে ছিলামনা। কিনতু জুবায়ের ভাইয়ের কথা মনে হলে আমাদের আড্ডার সেই চেহারাটাই ভেসে উঠে।
"আমাদের আড্ডার সেই চেহারাটাই ভেসে উঠে।" এমন আড্ডা আার কখনও কি হবে? ১৬ই আগস্টে ডোরার জন্মদিনে আকবর এসেছিলো। জুবায়েরের লিকার ক্যাবিনেট খুলে ও বাচ্চাদের মত শব্দ করে কেঁদে উঠে। " আপা জুবায়ের ভাই নাই, দারু খেয়ে আার নেশা হয় না আজকাল। আর একদিনও ভোটকা/অরেঞ্জজুস খাইনি, আর খাবোনা, ওটা জুবায়েরে ভায়ের জন্য তুলে রাখলাম। "
--------------------------------------------------------------------------------
মেহবুবা,
আপনার লেখা পড়ছি, না পড়ে উপায় নেই বলে।
জুবায়ের আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ভালো বন্ধু ।
আমি সেই সপ্তাহে থাইল্যান্ড, নাটকের শুটিং শেষে ঢাকা নামতেই এয়ারপোর্টেই আমার বউ চয়নিকা বললো, তোমার কোনো এক বন্ধু মনে হয় মারা গেছেন। কিছুদিন আগে তোমার বন্ধুরা সব আফজাল, মিলন, সাগর, সুবর্ণা ছোটাছুটি করে কার বাড়িতে যেন গেছিলো।
সাথে সাথে মিলনকে ফোনে পেলাম। জানলাম, জুবায়েরের কথা।
তখন টুকটাক লিখি, বিচিত্রায় এক-দুটি গল্প ছাপা হয়, আড্ডা দেই পিঠাঘরে, পরিচয়টা করিয়ে দিয়েছিলো আফজাল। প্রথম আলাপেই কাঠখোট্টা ভাষা, আপনার দুটি লেখা পড়েছি। প্রথম গল্পটা পড়ার কারণে সেকেন্ডটা ইন্টারেস্ট নিয়ে পড়ছিলাম। একদমই ভালো লাগেনি।
ছোটবেলা থেকে আমি নির্বিরোধ টাইপ, খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।
সেদিন থেকেই বন্ধুত্ব।
জীবনে কত-কত বাইরের সাহিত্য যে তারপর আমার বন্ধুটি আমাকে পড়িয়েছে।
মাঝে হঠাত তিন-চার বছর আগে জুবায়েরের ফোন, ছোটো ভাই আনিসের কাছ থেকে নিয়েছে, কি ভাই, লেখালেখিটা ছেড়েই দিলেন ? ঘোড়ার ডিমের শুধু টিভি নাটক লিখে কি হবে ?
আমাদের সেই প্রাণবন্ত বন্ধুটা চলেই গেলো ? এতো তাড়াতাড়ি যাোয়াটা খুব অন্যায় হয়েছে।
মেহবুবা,আপনি আপনার লেখাটা বড় করবেন, প্রতাশা করি। আপনার লেখার সূত্রে জুবায়েরের সান্নিধ্য পাবো।
অরুণ চেৌধুরী, ঢাকা
আপনাকে কি কখনো দেখেছি? মনে করতে পারছিনা। আমি তপন চৌধুরীর ভায়ের সাথে গুলিয়ে ফেলেছিলাম। অনেক বাদ ছাদ দিয়েও লেখাটা বেশ বড়ো হয়ে গেছে। এখন শেষ পর্যন্ত পাঠকের পড়বার ধর্য্য থাকলে হয়।
না মেহবুবা,
আপনার সাথে আমার কখনও দেখা হয়নি সম্ভবত। আমাকে সেভাবে চেনারও কোনও কারণ নেই।
আমার লেখা নাটক, কিংবা পরিচালিত টিভি নাটক কখনও কোন না কোন টিভি চ্যানেলে হয়তো দেখে থাকতে পারেন।
আপনার লেখা দ্বিতীয় পর্বটি থেমে-থেমে পড়তে হয়েছে। একটানা পড়া কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো, বিশেষ করে ডোরা যখন ওর বাবাকে বলছিলো, বাবা, তুমি এভাবে যেতে পারো না, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি বাবা। গলাটা ব্যথায় কেমন টন্ টন্ করছিলো।
আমিও সেভাবে কখনও কাঁদতে পারি না, বাবা যেদিন মারা গেলেন, বাড়ি ভর্তি ভাইবোন সবাই খুব কাঁদছিলো, আমি শুধু সারা সময় পায়চারি করছিলাম,কেমন বমি-বমি লাগছিলো।
আপনার আশ্চর্য-কঠিন বাস্তবতা থেকে তোলা লেখাটি পড়তে পড়তে পাঠকরা যে চোখের জলে ভেসে যাচ্ছে সেটাই তো স্বাভাবিক। পুরুষ-নারী বলে কথা নয়।
আপনি লেখক নন, অথচ কী অসাধারণ বর্ণনায় সব লিখছেন, যে শক্তিটুকু দুঃসহ বাস্তবতা আপনাকে দিয়েছে।
পাঠকের মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে আপনার একটা কথা পড়ে আরেকটা বিষয় বুঝেছি, দুঃসহ বাস্তবতা আপনাকে আরো একটি শক্তি দিয়েছে।
এটাই সত্যি, কারও কাছে সারেন্ডার করে বসে থাকার কোনো মানে নেই। পৃথিবীতে ভগবান-টগবান বলে যদি কিছু থাকতো, তবে চারপাশটা অনেক সুন্দর হতো, মানুষের এতো কষ্ট থাকতো না, তফাতও না।
পরের পর্ব পড়ার আগ্রহ নিয়ে থাকলাম।
অরুণ চৌধুরী, ধানমন্ডি, ঢাকা
লেখাটা পড়তে পড়তে ভাবছিলাম অনেক বড় কোন মন্তব্য করবো, না দেখা জুবায়ের ভাইয়ের ব্লগ-মন্তব্য প্রতিমন্তব্য নিয়ে। কিন্তু পড়া শেষ করে মন্তব্যগুলো পড়তে পড়তে বুকের ভেতরের তরল নদীটা জমে পাথর হয়ে গেছে। আর কোন মন্তব্য সম্ভব নয়।
আমি যখন সচলায়তনে আসি, তখনো কি জানতাম, কতো বড় মাপের মানুষটি আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করলেন ? কোন একটা পোস্টে তিনি যখন মন্তব্য করেন যে তিনিই সচলের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি, আমিও দুষ্টুমি করে পাল্টা বলি- আমি বিশ্বাস করলাম না জুবায়ের ভাই !
এমন সতেজ প্রাণবন্ত মানুষ প্রবীণ হয় কী করে ! কেন আমি বিশ্বাস করবো ?
আহা ! শেষবারের মতো সচলকে টা টা জানিয়ে কি তা-ই বিশ্বাস করাতে চেয়েছেন ? আমি এখনো তা বিশ্বাস করি না।
ভাবী, জুবায়ের ভাই'র শোকগুলো আপনার মধ্যে শক্তি হয়ে ফিরে আসুক। এই সচলের পাতায় কষ্টগুলোকে গলিয়ে গলিয়ে স্রোতস্বী বানিয়ে ছেড়ে দেবেন আপনি। আমরা ওতে স্নান করে শুদ্ধ হবার চেষ্টা করবো।
ভালো থাকবেন সবসময়। অর্ণব ও ডোরা'র জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভাবী, জুবায়ের ভাই'র শোকগুলো আপনার মধ্যে শক্তি হয়ে ফিরে আসুক। এই সচলের পাতায় কষ্টগুলোকে গলিয়ে গলিয়ে স্রোতস্বী বানিয়ে ছেড়ে দেবেন আপনি। আমরা ওতে স্নান করে শুদ্ধ হবার চেষ্টা করবো।
প্রার্থনা করি যেন তাই হয়।
জুবায়েরের অত্যন্ত সুন্দর সময়ের একটি লেখা হচ্ছে, আপনার সচলে আপনার প্রথম পড়া। আমার কী দুর্ভাগ্য, এ ব্লগে আমার প্রথম-পাঠ বন্ধু জুবাযেরের মৃত্যর শেষ দিনগুলোর বুক ব্যথা-করার বর্ণনাতে..
নতুন মন্তব্য করুন