আমি যেখানে থাকি আমার আশে পাশে বেশ কতগুলি বাঙ্গালী পরিবার আছে। আজকে আমার পরিচিত একজনের বাসায় জন্মদিনের দাওয়াত ছিল। এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলো মেয়েদের জন্য হল শাড়ি বা গহনা দেখাবার ফ্যাশনশো। অথবা কার বাড়িতে কি হল তাই নিয়ে পরনিন্দা করবার জায়গা। আর ছেলেরা কি নিয়ে আলাপ করে তা বলতে পারবনা। আমি সচরাচর এই ধরনের দাওয়াতে না যাবার চেষ্টা করি। কখনও শরীর খারাপ এর বাহানা বা কখনো অন্য কোথাও দাওয়াত আছে এধরনের নানা রকম বাহানা বানিয়ে কাটিয়ে দেবার চেষ্টা করে থাকি। আজকের দাওয়াতটা কোনো বাহানা দিয়ে পার না পেয়ে অবশেষে জেতেই হল। ঐখানে আমারই মত আরো একজনকে পেলাম যার কাছে হয়ত শক্ত কনো বাহানা ছিলনা না আসবার। মেয়েটির নাম লীনা। নতুন বিয়ে হয়েছে তা বলবো না। কিন্তু প্রেমের বিয়ে ছিল। তখন কপোত কপতি দুইজনই ছিল ছাত্র-ছাত্রী। তাদের বিয়েতে বাসায় কেউ রাজি না থাকায় দুইজন ফিল্মি কায়দায় রেজিশট্রি করে বিয়ে করেছিল। এখন বাড়ীর সবাই মেনে নিয়েছে। আজ তাদের বিয়ের তিন বছর অতিবাহিত হবার পর এখন দুইজনই বেশ ভাল জায়গায় চাকুরিরত। পাটিতে দেখা হবার পর আমি জানতে চাইলাম তার বরের কথা। দেখাগেল শুধু আমি নই, সবাই একই প্রশ্ন করতে লাগল। আর লীনাও সবাইকে একই কথা বলতে থাকল যে ওর বর কাজ থেকে এসে ক্লান্ত তাই আজকে আসতে পারেনি। সচরাচর এধরনের বাহানা কেউ বিশ্বাস করতে চায় না। ওর বেলাতেও তার ব্যাতিক্রম কিছু হয়নি । স্বাভাবিক ভাবেই তার কথাও কেউ মানেনি। আর মানে নি বলেই হয়ত ঐদিনের পর লীনাকে নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়ে গেল। আরো কিছুদিন পর কানে এল তারা এখন আর এক সাথে থাকছেনা। লীনা এখন তার মায়ের বাড়ি। এখন সবার মাঝেই কৌতুহল দেখা দিল এই নিয়ে যে কেন তারা আজকে আলাদা। সবাই না জেনে ধরেই নিচ্ছে যে মেয়েটিই তার সম্পক নষ্টের জন্য দায়ি। সবার মনে একই প্রশ্ন কার দোষ ছেলেটার নাকি মেয়েটার? আমার প্রশ্ন হল একজন বাঙ্গালি মেয়ের সব পরিচয় কি তার স্বামী আর বাবা ? তার নিজের স্বত্বা থাকতে নেই? ঐদিন রাত্রে বাসায় ফিরবার সময় আমি আমার বরকে বললাম, তুমি অফিসের কাজে বাইরে গেলেও আমি একলা কখনও কোন দাওয়াতে যাবনা। ও অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে , কেন? আমি বললাম, কারন আমি চাই না কেউ আমাকে একলা দেখে আমাকে নিয়ে গল্প করুক। সাথে সাথে মনে মনে ঠিক করলাম আর কখনও কোন মেয়ে কে স্বামী ছাড়া একলা কোথাও দেখলে প্রশ্ন করবনা সে আজ একলা কেন?
মন্তব্য
পরবর্তীতে লেখার শুরু বা শেষে নাম জুড়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
এই ব্যাপারটা আমি ঠিক বুঝিনা। পশ্চিমা দেশে এসেও, কর্মক্ষেত্রে নারী পুরুষ সমান তালে ভদ্রতা সম্ভ্রম বজায় রেখে কাজ করতে পারলেও, বাঙালি পার্টিতে পুরুষরা থাকে বাইরের ঘরে আর স্ত্রী রা ভিতরের কোনো ঘরে।
প্রচণ্ড অনাবশ্যক সাজগোজ তো বুঝিই না, এই ধরণের মধ্যযুগীয় মানসিকতাও ঠিক বুঝি না। এইটা কি ইনসিকিওরিটি থেকে আসে?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
এভাবে এক প্যারাতেই সবটা না লিখে কয়েকটা প্যারা প্যারা করে লিখলে পড়তে চোখের আরাম হয়।
যাই হোক, ভাল থাকুন আর নামসমেত লিখতে থাকুন সচলে।
......................................................
পতিত হাওয়া
পুরুষেরা দেশের নানা নিন্দায়, ব্যর্থতায় এবং তার সমাধানে ব্যস্ত থাকে। আর থাকে এখানকার ও ওখান কার তুলনায়। এ আমার অভিজ্ঞতা।
লেখায় প্যারা চাই, বক্তব্য স্পষ্ট চাই।
লিখে যান আরো।
- একজন ছেলে তার বউকে ছাড়া কোনো দাওয়াতে গেলে 'বউ অসুস্থ' বলে আসতে পারে নি, এটা মেনে নিলে একজন মেয়ে যদি বলে তার বর অসুস্থ বলে আসতে পারে নি, তাহলে মেনে নিতে সমস্যা কোথায়?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখাটা আমার কাছে ভালো লাগল। বিষয়টা আসলেই ভাববার মতোই।
লেখার আগে বা শেষে নামটা দিয়েন। প্যারা করে দিলেও পড়তে সুবিধা। নিয়মিত লিখুন। ভালো থাকুন।
পড়ছি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গত কয়দিনে অতিথি লেখকের নিকে যে কয়টি লেখা এসেছে, সেগুলোর মধ্যে বেশ একটা মিল লক্ষ করলাম- অধিকাংশ লেখাতেই একটি বা নির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিষয়ের সাধারণীকরণ (জেনারেলাইজড) করা হয়েছে, ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে সামগ্রিক বিষয়টা বিবেচনা করা হয়েছে এবং লেখা ও ঘটনার পরম্পরা অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। আড্ডায় আলোচনা-সমালোচনার জন্য এই পদ্ধতিটা যথেষ্ট কার্যকরী, কিন্তু ব্লগে অনেক সময় এই ধরনের লেখাগুলো মিসকনসেপশন দিয়ে থাকে- লেখা ও লেখক উভয়ের সম্পর্কেই।
এটা ঠিক, এই লেখাগুলোকে কেন্দ্র করে ব্লগারদের পারস্পরিক মতামতগুলো উঠে আসে দারুণভাবে, ক্ষিপ্রগতিতে, নানান কায়দায়। কিন্তু একসঙ্গে বা পরপর কয়দিন এ ধরনের লেখা আসলে আলোচনার উৎসাহটা আর থাকে না।
ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, লেখার বক্তব্য আরও স্পষ্ট হওয়া উচিত, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতাকে বিবেচনা করে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এইটা আমার প্রথম লিখাতো তাই ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর পরেরবার নামটি অব্যশই দিব। আপনাদের সকলের মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার লেখাটির সাথে কিছুটা দ্বিমত পোষণ করছি। এ কথা ঠিক যে যদি একটি মহিলা তার স্বামীকে না নিয়ে কোন পার্টিতে যায় তাহলে কথা উঠবে। তবে এও কিন্তু সত্যি যে যদি একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে না নিয়ে (একের অধিকবার ) অনুষ্ঠানে যায় তাহলে সেখানেও কিছুটা হলেও কথা উঠবে। দুঃখের ব্যাপারটি এই যে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এই কথা চালাচালির কাজটি মহিলারাই করে থাকেন। জানি চিরটাকালই পুরুষেরা বিভিন্ন ভাবে নারীকে দমিয়ে রেখেছে, কিন্তু নারীরাও নারীদের সর্বনাশ কম করেনি। এই প্রসংগে শ্বাসুড়ী-বৌয়ের চিরকালীন কলহকে উল্লেখ করা যেতে পারে। এমনকি কর্মক্ষেত্রেও একজন মহিলা অন্য মহিলাকে সবসময়েই কি সাহায্যের হাতটি বাড়িয়ে দেন?
আপনার মন্তব্যের শেষ অংশটি আমার পরের লিখার প্লট বানিয়ে দিল। তবে আপনার সাথে আমি একমত যে মেয়েরাই মেয়েদের বড় শত্রু। বউ- শ্বাশুড়ীর যুদ্ধ নিয়ে কিছু বলতে চাইনা। তবে আপনার কথাটি ঠিক যে কাজের জায়গায় একজন মহিলা অন্য মহিলার জন্য খুব কমই সাহায্যের হাত বাড়ান। আমি আমার ৭ বছরের কমক্ষেত্রে আর ছাত্রী জীবনে প্রতিবার ছেলেদেরকেই সাহায্যের হাত বাড়াতে দেখেছি।
সব ক্ষেত্রে আমি এটা মেনে নিতে পারবোনা... কথা লাগানোর বিষয়ে ছেলেরাও মেয়েদের থেকে কম যায়না... এমনকি আজকাল, আমি আমার চারপাশে ছেলেদের যে কুটনামী দেখছি তা মাঝে মাঝে মেয়েদেরও হার মানায়... হতে পারে আমার চারপাশের ছেলেগুলো হঠাৎই বদলে গেছে, কী জানি!
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বানানের ব্যপারে একটু সতর্ক হবেন। উপরে কয়েকটা উল্লেখ করলাম ( প্রকৃত বানান- কোন বা কোনো, যেতে, কপোতি, রেজিসট্রি বা রেজিস্ট্রি।
বিষণ্নর সাথে একমত। তবে আপনিও প্রথমে স্বত্ত্বাবান হয়ে পরে আবার রক্ষণশীল হয়ে উঠলেন কেন বুঝলাম না- স্বামীকে ছাড়া কোথাও যাবেন না।
[/i]দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা[i]
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
নতুন মন্তব্য করুন