২৬ বছর বয়স আমার , জীবনে এখনো নিজেকে প্রতিষ্ঠত করতে পারিনাই, আমার বাপের বয়স ৪৫ আমার চেয়ে বেশি কামায়, সে অশিক্ষিত, গ্রামে থাকে, আমি থাকি কোরিয়াতে আবার ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটা ডিগ্রীও আছে কাধে, তবুও নিজের অকর্মন্যতা নাকি ভাগ্যের দোষে আজ আমি আমার বাপের মত ইঙ্কাম করতে পারিনা। বাপ একবার কইছিল খালি তরকারি কেনার টাকা ইঙ্কাম করতে শেখ চাল যা লাগে আমি দিমু, না আজ ২৬ বছরেও সেই টাকা ইঙ্কাম করতে শিখি নাই, শিখিনাই বললে ভুল হবে আমি সুযোগ দেওয়া হয়নাই, তার পর ও অনেকে বলে অনেকের চাইতে সুখেই আছি , কথাটা মিথ্যাও নয়। আমি আমার চেয়ে অনেককে দেখছি তাদের চালের সাপ্লাইও নাই। নিজের ভালবাসার মানুষ চোখের সামনে কাঁদতে কাঁদতে অন্যের বাড়ি যায় আর আমারে অভিশাপ দিয়ে যায়, তোমার ভাল হবে না! ওনেকের অভিশাপে আমি অভিশপ্ত...কিছুই করার নেই। মাঝে মাঝে মনে হয় কিছু হবেনা আমকে দিয়ে। তাই এই চুল চেরা কথা বার্তা।
আমি আজ কোরিয়াতে থাকি প্রায় দুই বছর, অনেকের সাথেই এই জীবনে অভিজ্ঞতার আদান প্রদান হয়েছে, তো সেইদিন কথা হইল এক কোরিয়ানের সাথে। আমরা সবাই জানি উত্তর আর দক্ষিন কোরিয়ার কি সমস্যা? একজন টাকার মালিক আর একজন অস্ত্রের। কেউ কাওরে ছার দেয়না! কিন্তু ভেতরের গল্প অন্য রকম, আমি সহজ একটা উদাহরন দেই, উত্তর আর দক্ষিন কোরিয়ার টোটাল সৈন্য প্রায় ১৫ লক্ষ, আবার এদের সব পুরুষ মানুষের আরমির প্রশিক্ষন আছে, আবার উত্তর কোরীয়ার নিউক্লিয়ার পাওয়ার এর কথা চিন্তা করলে দুই কোরিয়া মিলে পৃথিবীর অন্যতম বড় শক্তি, এমন কি সুপার পাওয়ারের দাবি ও তুলা অসম্ভব নয়। জাপানেরতো অনেক বড় মাথা ব্যাথা, আমার ত মনে হয় দুই কোরিয়া এক জায়গায় হইলে জাপান পাগল হয়ে যাবে, কারন ঐতিহাসিক ভাবে জাপান দুই কোরিয়ার শত্রু এবন দুই কোরিয়ার মানুশই জাপান কে দেখে আমরা স্বাধিনতার পক্ষের মানুশ যেভাবে পাকিস্তান কে দেখি। কারন জাপানের পাশেই চিন এবং রাশিয়া নিক্লিয়ার সুপার পাওয়ার কিন্তু জাপান শুধু উত্তর কোরিয়াকে গালাগালি করে, কারন তারা ফিউচার কে বোঝে, তারা জানে এই দুই কোরিয়া এক হইলে কি ঘটতে পারে, তাই উত্তর কোরিয়াকে জাপান ভয় পায় না, ভয় পায় দুই কোরিয়ার এক্ত্রিত করন।
কোরিয়ানরাও জানে এই কথা সেই জন্য তারা ধীরে চলা নীতিতে এগুচ্ছে। সেই কোরিয়ান আমাকে এইটুকু বললো যে উত্তর কোরিয়ার মানুষরা আমাদের নিজের এবং আমরা তাদের ঘৃণা করিনা, কিন্তু আমরা দুই কোরিয়াই জাপানকে ঘৃনা করি।
কিছুদিন আগে চিনের একজন গবেষক দেখিয়েছেন যে চীন ইচ্ছে করলেই ভারত কে ২০ টুকরা করা সম্ভব। টুকরা করার দরকার কি? কারন দেশ ভাংলে শক্তি কমে যায়। চিন্তা করুন একবার গোটা ভারত উপমহাদেশ যদি একজায়গায় থাকতো তাহলে আমরা কি পারতাম না পরাশক্তি হতে ? হয়তো পারতাম! ছোট দেশ ও পরাশক্তি হতে পারে, যেমন জাপান পৃথিবিতে অর্থনৈতিক পরাশক্তি, সাইজ কি খুব বড়? হুম সাইজ বেপার না, দক্ষিন কোরিয়া বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ছোট কিন্তু ইকোনমি অনেক অনেক গুন বড়।কিন্তু আমরা কেন পিছিয়ে পরে আছি, আমি কিছু কারন খুজে পেয়েছি...
১। আমরাই পৃথিবির একমাত্র জাতি যাদের মাথায় মোটামুটি রাজনীতির জ্ঞান খুবই ভাল।
২। আমাদের কে টাকা বা ক্ষমতার জন্য প্রলুব্ধ করাটা সহজ, অর্থাৎ আমদেরকে কেনাটা সহজ।
৩। আমরা কাজের চেয়ে সমালোচনা করতে পছন্দ করি বেশি, কি আর করা এটা আমরা উত্তরাধিকার হিসাবে পেয়েছি, সত্যি বাংলার মানুষের এক সময় এত সম্পদ ছিল যে কাজ করতেই হয়নাই।
৪। আমরা মানুষের উপকার ভুলে যাই, অর্থ আমরা বেঈমান, আমরা বিশ্বাস ভঙ্গ করি।
আপনি হয়ত বলবেন এইসব গুন অন্যদেশের মানুশের ভেতর নাই...আছে থাকবে না কেন কিন্তু আমাদের মত নাই...কেম্নে বলছি...পৃথিবির মহান জাতিগুলো তাদের মানুষ্কে করেছে রোবট , এরা অতিমাত্রাতে কম্পিউটারের উপর নির্ভরশীল , এমন কি এরা নিজ শহরের রাস্তাও চলে মাপ দেখে, বিপরীতে বাংগালীর আছে অনেক সময়. জীবন তাদের এতটায় ব্যস্ততায় কাটে যে তাদের সময় নেই কে কি করছে কার কি করা উচিত। রাজনীতি কেন দেশ সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞানই নেই, যেমন অনেক আমারিকানের কাছে তুর্কি(টারকি) নামে কোন দেশ থাকতে পারে সেটা হাস্যকর বিষয় অথচ এখানেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল।
আগেই বললাম দুই কোরিয়ার মিলন জাপান চায়না, আমেরিকাও চায়না, কারন দক্ষিন কোরিয়া তাদের কাছে থেকে আর্মস কেনে। আমদের দেশে আমেরিকা কি চায়...হুম কঠিন প্রশ্ন...পাকিস্তানের অবস্থা ইদানিং খুব খারাপ যাইতেছে, তালেবানরা মোটামুটি একটা সাইজ করতেছে, পাকিস্তানিরা বংশিয় ভাবে রাজনিতিক , কারন তাদের সব সময় রাজনীতি করতে হয়েছে আর্মির বিরুদ্ধে, তারা সবাই জানে ঘারের কাছে ইন্ডিয়ার মত বড় দেশ থাকা ঠিক নয়, তাই তারা আজ ও ইন্ডিয়া ভাঙ্গার চেষ্টা করে যাচ্ছে, উদাহরন...দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা চলছে বাংলাদেশে এই অস্ত্রের লিংক পাওয়া গেছে পাকিস্তান এবং তালেবানের সাথে, এবং বাংলাদেশে প্রথম আলো ছাড়া সবায় মনে করে এই অস্ত্র আসলে ভারতের বিচ্ছিন্যতাবাদি গ্রুপের কাছে যাচ্ছিল। লিঙ্ক দেখেই বোঝা যায় আসলে কে কি চাচ্ছিলো। পাকিস্তান এখন ও ভারত ভাঙ্গার পররাষ্ট্র নীতি থেকে সরে আসে নাই, যদিও তারা বাংলাদেশের কিছু মানুষের সহায়তা নিয়েছে। আর প্ল্যান দেখলেই বোঝা যায়যে যে অঞ্চলের দিকে যাইতেছিল অস্ত্র সেই অঞ্চল গুলোতে মানুষ অবহেলিত এবং মানসিকতা বাঙ্গালীর মত, ঐ যে বলছিলাম বাংগালীকে কেনাটা সহজ।
আমাদের দেশে রাজনীতি ভাল নয় কারন আজ ও আমরা বিড়ি খেয়ে ভোট দেই, এবং আজ ও আমরা মানুষ্কে মরতে দেখি বিনা বিচারে। বাংলাদেশে সহিংসতা টিকিয়ে রাখার জন্য সব এলিমেন্টি আছে , যেমন মৌলবাদ, সেকুলারিজম, আর্মি সবাই এই দেশটা শাসন করেছে, এবং বাঙ্গালীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের দেওয়া ভোটে নয় আসলে ক্ষমতার চাবি তাদের কাছে। দেশের সম্পদ আমাদের চোখের সামনে নিয়ে যাবে আমরা কিছু বলতে পারব না, যেমন পারেনা দুই কোরিয়ার মানুষ ইচ্ছে করলেই দেখা করতে, কথা বলতে বুকে বুক মিলাইতে। কোরিয়ার চাষযোগ্য জমি নাই বললেই চলে তাই আই এম আফ এর ঋন দিয়ে এরা ইন্ডাস্ট্রি করেছে বাংলাদেশে আছে তাই কৃষি ক্ষেত্রে প্রাধান্য বেশি দেয়, কারন তাহলে টেকনলজি দিতে হবে না, কোরিয়াকে তারা এতা করাতে পারেনাই। ইন্ডাস্ট্রি না হইলে দেশ এগুবে না আমরা সবাই জানি এই কথা। আমারে একবার আমার এক বন্ধু বলেছিল "দেশের যুদ্ধ অপরাধীদের খপ খপ করে ধরলেই পারে বিদেশের চাপ আবার কি?" আমি বললাম ইউ এস এম্বাসি । ইউরোপিয়ান ইউনিওনের অফিস বাংলাদেশে খালি আমারে তোমারে ভিসা দেওয়ার জন্য আছে!! আমাদের দেশের সরকার এই সব এম্বাসির কাছে বন্ধক আছে যাওতদিন তারা ছাড়া পাবেনা ততদিন আমাদের ও মুক্তি নেয়।
দিন দিন আমরা পেছাতেই থাকব...
মন্তব্য
ভিন্ন দৃষ্টিকোন পড়তে ইন্টারেস্টিং লাগল। দিন দিন পেছাতে থাকব আপনার এই দাবীর এটাও জানতে ইচ্ছে করে আগানোর জন্য কী করা যায় বলে মনে করেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লেখাটা পড়তে দারুণ ইন্টারেস্টিং লাগেলা। আপনি লিখেছেন ঐতিহাসিক ভাবে জাপান দুই কোরিয়ার শত্রু এবং দুই কোরিয়ার মানুশই জাপান কে দেখে শত্রু হিসেবে আমরা স্বাধিনতার পক্ষের মানুশ যেভাবে পাকিস্তান কে দেখি। কারন জাপানের পাশেই চিন এবং রাশিয়া নিক্লিয়ার সুপার পাওয়ার কিন্তু জাপান শুধু উত্তর কোরিয়াকে গালাগালি করে, কারন তারা ফিউচার কে বোঝে, তারা জানে এই দুই কোরিয়া এক হইলে কি ঘটতে পারে, তাই উত্তর কোরিয়াকে জাপান ভয় পায় না, ভয় পায় দুই কোরিয়ার এক্ত্রিত করন। আমরা দুই বাংলার মানুশ সেটা পারি না কেন? / মনাজ হক
ভালো লিখেছেন। আরও লিখুন। দয়া করে বানানের ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখবেন।
ভালো লেখা- এই দৃষ্টি দিয়ে চিন্তা করি নাই আগে।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
মোস্তফা ভাই,
অবশেষে আপনেরে এইখানে টেনে আনতে পেরে ভাল লাগল। অন্যব্লগের জগাখিচুড়ীর মধ্যে আপনার লেখা দেখলে ভাল লাগত না। ধন্যবাদ, আমার কথাটা রেখেছেন।
তো, পোস্টাইছেন ঠিকাছে কিন্তু নাম কৈ আপনার। সচলায়নের রেজিষ্ট্রেশন না করলে এক্ষণ তা করে ফেলেন আর যেহেতু অতিথি হিসেবে লিখতেছেন, আপনার নাম(যে নামে রেজি: করছেন) আর ইমেইলটা লেখার শেষে দেবেন।
সচলায়তনের নীতিমালাটা একবার চোখ বুলিয়ে নিয়েন। খুব দরকারী জিনিস।
প্রথম প্রথম বাংলা টাইপ করতেছেন যখন তখন বানানে সাধারণ ভুলভাল হবেই। একটু বেশি বেশি চেক করে নিয়েন যাতে ভুল-ভ্রান্তি কম চোখে পড়ে। বানান ভুল দেখলে পড়ে আরাম পাওয়া যায় না।
ছবিটবি এ্যাড করতে চাইলে বা টেক্সট ফরমেটিং এর দরকার হলে বা আরো আনুসাঙ্গিক বিষয়াদির জন্য এই পাতায় যান।
বিশেষ আর কি । লিখতে থাকেন। এলুমাতি সিরিজটা এখানে পোস্টাইতে পারেন।
......................................................
পতিত হাওয়া
ভালো লিখেছেন। দেশের কথা ভাবলে চোখে আন্ধা দেখি, মন বিষন্ন হয়। আমরা কোন দিকে যাচ্চি? আমাদের কোনোদিন কি বিবেক বুদ্ধি হবেনা? আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা কি একটু দেশের কথা ভাববেন না? লিখে যান, ধন্যবাদ।
দলছুট
=====================
বন্ধু হবো, যদি হাত বাড়াও।
শুধু কোরিয়ার ব্যাপারটা নিয়ে একটা আলাদা পোস্ট হতে পারে, শুধু ভারত ভাঙ্গার চেষ্টা নিয়ে একটা আলাদা পোস্ট হতে পারে, শুধু বাংলাদেশের দুর্গতির পিছনে বাইরের হাত থাকার সম্ভাবনা নিয়ে আলাদা পোস্ট হতে পারে। সব কথা একবারে না বলে ভেঙে ভেঙে বিস্তারিত বলুন, নিজের ভাবনাগুলো জুড়ে দিন, নিজের মতের আলোকে ব্যাখ্যা করুন। আমার মত পাঠকরা আপনার কাছ থেকে এভাবে লেখা আশা করি। আপনার লেখা পড়ে বোঝা যায় আপনার অভিজ্ঞতা আছে, ভালো পড়া-শোনা আছে। আমাদের জন্য একটু চেষ্টা করুন, আমার বিশ্বাস আপনি আমাদেরকে দরকারী বিষয়ে চমৎকার সব পোস্ট উপহার দিতে পারবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার আশা আমি পূর্ণ করিব!
- লেখার বিষয়টা বেশ আকর্ষক, সন্দেহ নেই। কিন্তু ভাই, লেখার সময় বা পরে আরেকটু মনযোগ দিয়েন একটু কষ্ট করে। বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনিও
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পোস্টটা পড়ে ভালো লাগল।
৬ঠ পান্ডবের সাথে সহমত। আরো লিখুন।
পড়লাম।
ভাল লাগল।
ভাল থাকুন।
সৈয়দ আফসার
কারও যদি ভালো হবার ইচ্ছা থাকে, তাকে খারাপ করা যেমন কঠিন, তেমনি কেউ খারাপ হতে চাইলে তার ভাল কে করতে পারে ! ষড়যন্ত্র ত্বত্তের উপর তেমন আস্থা নেই । অন্যের ষড়যন্ত্রের কারনে আমরা তলিয়ে যাচ্ছি একথা বিশ্বাস করতে ভালো লাগে না । ব্যতিক্রমি দৃষ্টি আছে লেখাতে, ধন্যবাদ ।
সাধু
ইমেইল :
নতুন মন্তব্য করুন