রাগ পুষতে পুষতে হয়তো স্তব্ধ হয়ে যাব একদিন! সবার প্রতি অনুরোধ লেখাটার ভুলত্রুটিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে। এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য কিছু তথ্য অন্তত কিছু মানুষের মধ্য ছড়িয়ে দেওয়া; তাও যদি কোন পরাক্রমাশালীর নজরে পড়ে!
এক.
আমরা অনেকে খুব খুশী হই বাংলাদেশে জামাত ইসলাম বা মোল্লা সংগঠনগুলোকে কোনঠাসা হতে দেখে। কিন্তু আদতেই কি তারা কোনঠাসা? আমি হলফ করে বলতে পারি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে জামাতের যে প্রভাব তা যে কোন দলের চেয়ে বেশী। এখানে মনে রাখতে হবে জামাত দেশের বাইরে জামাত নামে কাজ করে না। ইয়াং মুসলিম, মুসলিম ব্রাদারহুড, মুসলিম এইডসহ নানা সংগঠনের আড়ালে জামাত কাজ করে। একটু খেয়াল করে দেখবেন, এসব সংগঠনের কর্তাব্যক্তিদের ৯০% জামাতি ব্যাকগ্রাউন্ডের।
এখন প্রশ্ন হলো, যে দল বাংলাদেশে সুবিধে করতে পারেনা তারা এদেশে কি করে এতো শক্তশালী? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে এখনো নানারকমের গবেষনার বাকী আছে। তবে বিশ্বে জাতি হিসেবে আমাদের আইডেনটিটি ক্রাইসিসটা এর পেছনে এক বড় সমস্যা হিসেবে কাজ করে চলেছে। আমরা এখনো জানিনা আমরা কি বাঙ্গালী, বাংলাদেশী না মুসলিম! কোন পরিচয়টা দিতে আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি তার উপরই নির্ভর করে আমাদের প্রতিক্রিয়া। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের বাইরে বা NRBদের বেশীর ভাগ নিজেদের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে কমফোর্ট করে; এই প্রবণতাটা ইয়াংদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী। আর আমার মনে হয়, এখানেই জামাতের রাজনীতির সুযোগ তৈরী হয়। জামাত এই বোধটাকে জ্বালিয়ে দিতে তেল মরিচ থেকে শুরু করে সবকিছুরই ব্যবস্থা করে। যাইহোক এই অবস্থার আরো গভীর পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন আছে। কেন এবং কি কি কারনে এই অবস্থাটা তৈরী হয়েছে তা বোঝারও ব্যাপার আছে। তবে আজকে আমার লেখার উদ্দেশ্য এটা নয়; ভূমিকা হিসেবে যতটুকু দেয়া প্রয়োজন মনে করেছি তাই উল্লেখ করলাম।
দুই.
এই অবস্থার ভেতরে জামাত বেড়ে উঠেছে বেশ শক্তপোক্ত হয়ে। বিশেষ করে ৯/১১ এর পর জামাত সংগঠিত হয়েছে সবচেয়ে বেশী; তাদের কোষাগারে অর্থ জমেছে পর্বত সমান। আর এই অর্থের সবচেয়ে বড় চালানটা যায় বৃটেন থেকে। আজকের বৃটেন তথা লন্ডন জামাতিদের মক্কা! বৃটেনের প্রায় সবগুলো মসজিদ, মাদ্রাসা, NGO, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জামাতিদের দখলে। মিডিয়াগুলোকে তারা তাদের ক্ষমতা সম্প্রসারনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে। মিডিয়া বিশেষ করে ইলেক্টনিক মিডিয়া এখন আর বিনোদনের মাধ্যম নয়; চাদা তোলার অনন্য মাধ্যম। বিভিন্ন চ্যারিটির আড়ালে চলে তাদের ক্ষমতার সম্প্রসারণ। গত চার/পাঁচ বছরে এই চ্যারিটি নামক চাদাঁবাজী এক মহিরুহে পরিণত হয়েছে। তবে এ কথাও ঠিক যে, এই চ্যারিটি থেকে উপকৃত হয়েছে কিছু সাধারন জনগণ; বিশেষ করে সিডরসহ অন্যান্য দুর্যোগে কিছু অর্থ গেছে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে। তবে সবচেয়ে বেশী অর্থ পাচার হয়েছে গাজায়; নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের সাহায্যেও কাজে লেগেছে এই অর্থ। তবে মজাটা এখানেই, সাধারন মুসলিমদের কাছে চ্যারিটি সংগঠনগুলোর এসব কর্মকান্ড বেশ বাহ্বাযোগ্য; কিন্তু এর আড়ালে যে ব্যবসা চলে, যে সাম্রাজের বিস্তার চলে তা চোখের আড়ালেই থেকে যায়। লক্ষ লক্ষ পাউন্ড চ্যারিটির নামে পাচার হয়। এখন প্রশ্ন হলো বৃটিশ চ্যারিটি কমিশন কি আঙ্গুল চোষে? না, তা তারা করেনা। তবে লোকবলের অভাবে, সাংস্কৃতিক ব্যবধানের কারনে আমাদের অনেক ভন্ডামি ওদের চোখে ধরা পড়েনা। আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে তাদের অনেক তথ্য দিয়েছি, তারা যারা এসব বদমায়েশী করছে তাদের পেছনে না লেগে, উঠলো হয়রান বানিয়ে ফেলে প্রশ্ন করতে করতে। এমনও শোনা যায় কমিশনের ভেতরও জামাতের লোক কাজ করে। একটা ছোট্ট উদাহরন দেয়, আপনারা অনেকেই হয়তো বিখ্যাত যুদ্ধাপরাধী (তিনি নিজে গর্ব করে বলেন বুদ্ধিজীবি হত্যার পেছনে তার প্লানিং-এর কথা, পাকিস্তান ঐক্যের প্রয়োজনে এসব করতে হয়েছে বলে সাফাই দেন) মঈনুদ্দিনের কথা জানেন। যে লোক কিছুদিন আগেও মুসলিম এইডের কর্ণধার ছিলেন। যাইহোক কোন এক কারণে গত দুইবছর আগে তার ওয়েষ্ট লন্ডনের আস্তানায় যেতে হয়, গিয়ে আমার চক্ষু মাথায় উঠার জোগাড়! লন্ডনের লেবার, কনজারভেটিভ থেকে শুরু করে প্রায় জনা ৩০ প্রভাশালী রাজনৈতিক নেতা ঐ প্রাইভেট মজলিশে উপস্থিত ছিলেন; যাদের ক্ষমতার কথা নাই বল্লাম! শুধু তাই নয় এই জ্ঞানপাপী মঈনুদ্দিন সারা বিশ্বে তার নেটওয়ার্ক ঠিক রাখতে একই সাথে ব্যবহার করে ৭০-এর উপর কম্পিউটার। তার একেকটা ক্লিকে পৃথিবীর নানা প্রান্তে চলে জামাতের তথা মোল্লাতন্ত্রের সম্প্রসারণ। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন জামাত ইসলামী বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একই সংগঠন আজো। সুতারাং চ্যারিটি কমিশনে তার বা তাদের প্রভাব থাকবেনা তা ভাবাটাও বোকামী।
তিন.
মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা এই চ্যারিটি কি করে কাজ করে?
গত কয়েক বছর আগেও এই ব্যবসাটা এতো রমরমা ছিলোনা। চ্যারিটি সংগঠনগুলো বিভিন্ন কারণে মাঝে মাঝে চ্যারিটি এ্যাপিলের আয়োজন করতো। এই আয়োজন ট্রেন ষ্টেশন থেকে শুরু করে মসজিদ-মাদ্রাসা, বাড়ি বাড়ি সর্বত্র চলতো। কিন্তু আজকের মতো রমজান মাস আসলেই প্রায় সবগুলো মুসলিম চ্যানেল চ্যারিটি এ্যাপিলে নেমে পড়তোনা। এখন নেমে পড়ার মূল কারণ, ঠিকে থাকার সংগ্রামে এ ছাড়া তারা আর বিকল্প নাকি দেখেনা! সো, আজকের এই চ্যারিটি ব্যবসা ফুলেফেপে বেড়ে উঠেছে বিশেষ করে বাংলা ও পাকিস্তানি চ্যানেলগুলোর উপর ভর করে। এমনও দেখা গেছে প্রতি রমজানের কয়েকমাস আগে গজে উঠেছে নতুন নতুন মসজিদ-মাদ্রাসা। সবগুলো সংগঠনই বেশ ভালো ব্যবসা করছে তা নয়, তবে কিছু কিছু সংগঠন একরাতে ১০০ থেকে ১৫০ হাজার পাউন্ড তুলেছে এর নজিরও আছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন চ্যানেলে পর্দায় দেখতে পেলাম না এই অর্থের ব্যয়ের বিস্তারিত বিবরণ। বরং মানুষের চোখে ধুলো দিতে নিয়ে এসেছে আপাত বিশ্বাসযোগ্য ভন্ডামী। এখন দেখা যায়, মসজিদের ইট বিক্রী হয় ব্যক্তির নামে। হায়রে ধর্ম বিশ্বাস!
চার.
বাংলাদেশী চ্যানেলগুলোর কি লাভ?
এদের লাভের হিসেব দেয়ার আগে দেওয়া দরকার ক’টি বাংলা চ্যানেল বৃটেন তথা ইউরোপে সক্রিয়। এই মুহুর্তে ৫টি চ্যানেল তাদের ঠিকে আছে বৃটেন। এদের মধ্যে আবার ৩টি একটি গ্রুপের আন্ডারে, অন্য দু’টি আলাদা আলাদাভাবে তাদের কর্ম পরিচালনা করছে। এসব চ্যানেলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো চ্যানেলের নাম বাংলা টিভি (sky 786), একসময় পে-চ্যানেল হিসেবে ভালো ব্যবসা করতো; এখন চ্যারিটির টাকায় আবার খাড়া হয়ে গেছে। বাকী ৩ চ্যানেল চালায় চ্যানেল এস গ্রুপ, চ্যানেল এস(sky 814), এটিএন (sky 827) ও ইকরা (sky 826)(আগে ছিলো চ্যানেল এস এনটিভি)। আর বাকী থাকে এনটিভি (sky 834), এটি সরাসরি এনটিভি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় চলে। রমজান আসলে এই সব ক’টি চ্যানেল ঝাপিয়ে পড়ে এই চ্যারিটি ব্যবসায়। প্রত্যেকটি চ্যানেল কমপক্ষে ২১৬,০০০ হাজার পাউন্ড থেকে ৩৩৬,০০০ হাজার পাউন্ড ব্যবসা করে প্রতি রমজানে। প্রত্যেকটি চ্যানেল প্রতিটি চ্যারিটি সংস্থা থেকে ন্যুততম ৮০০০ পাউন্ড থেকে ১২০০০ পাউন্ড চার্জ করে। কখনো কখনো কিছু চার্জ মওকুফও করে (যদি সংস্থাটি টাকা তুলতে না পারে)। আর সংগঠনগুলো প্রতি রাতে এভারেজে তুলে ২০,০০০ থেকে ১০০,০০০ পাউন্ড। সুতারাং বুঝতেই পারছেন কেন চ্যানেলগুলো এই চ্যারিটিগুলোকে তাদের এতো এতো এয়ার টাইম ছেড়ে দিচ্ছে।
পাচঁ.
কেন চ্যানেলগুলো এই পথে নামলো?
২০০৪ সালের আগে বৃটেনের বাংলা চ্যানেলগুলো পে-চ্যানেল ছিলো (আমেরিকায় এখনো পে-চ্যানেল)। ২০০৪ সালে বাংলা মিডিয়ার জগতে আবির্ভাব চ্যানেল এস নামের একটি চ্যানেল, যার মালিক মাহী ফেরদৌস জলিল। তিনি দু’টি মূল মন্ত্র নিয়ে এই চ্যানেল খুললেন sky 814-এ। এক. সিলেটি ইসম দুই. টাকা দিয়ে টিভি দেখবোনা। খুব স্বাভাবিকভাবেই যেহেতু আমাদের কমিউনিটির বেশীর ভাগ মানুষ সিলেটি তারা খুশি হলেন; এমন কি নন-সিলেটিরাও খুশি হলো টাকা দিয়ে টিভি দেখতে হবেনা বলে। রাতারাতি চ্যানেল এস জনপ্রিয় চ্যানেলে পরিণত হলো, জলিল সাহেব বস্তায় বস্তায় টাকা সাদা করলেন। কিন্তু একসময় তিনি আবিস্কার করলেন, টোটাল বাংলাদেশী মার্কেটের আয় প্রতি মাসে ৫০,০০০ থেকে ১০০,০০০ পাউন্ড। আর বৃটেনের মতো জায়গায় একটা চ্যানেল চালাতে প্রতি মাসে লাগে ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ পাউন্ড। আর তার চ্যানেল ফ্রি চ্যানেল হওয়ার কারণে শুধুমাত্র নির্ভর করতে হচ্ছে লোকাল মার্কেটের বিজ্ঞাপনের উপর। যাইহোক ভদ্রলোকের (!) যেহেতু টাকার যোগানের অভাব নেই তাই কনটিনিউ করে যেতে পারলেন। অন্যদিকে তার শত্রু চ্যানেল বাংলাটিভি ক্রমে তাদের সাবস্ক্রিপশন তুলে নিতে বাধ্য হলো। আরেক ভদ্রলোকের (!) ফিরোজ খান মাসের পর মাস কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে, কোম্পানি কয়েকবা লিকুডিশনে পাঠিয়ে বাংলা টিভির অস্বিত্ব ঠিকিয়ে রাখলেন। রাজার ভান্ডারো একসময় শেষ হয়, বছর না গড়াতে চ্যানেল এস পড়লো অর্থনৈতিক টানা পোড়নে। ঐ চ্যানেলে ভেতর ব্যাপক সংস্কার গঠলো, বলতে পারেন একধরনের ইসলামী বিল্পব ঘটে গেল। অভিজ্ঞ মেরুদন্ডহীন মিডিয়ার লোকরা বিতারিত হলো, তার জায়গায় স্থান করে নিলো মিডিওকার জামাতি হিজরেগুলো।
কিভাবে সম্ভব হলো?
ঐ অর্থনৈতিক মন্দার সময় ইস্ট লন্ডন মসজিদ এগিয়ে আসলো নতুন এক দাওয়া নিয়ে, নাম তার চ্যারিটি এ্যাপিল। এই দাওয়াতে গোলাম রসুল রাতারাতি হেড অফ প্রোগ্রাম বনে গেল। প্রথমদিকে ৫০০০ পাউন্ড করে চার্জ করতো চ্যানেল এস। আর গোলাম রসুলকে ব্যাক-আপ দিলো ইস্ট-লন্ডন মসজিদ, মুসলিম এইড এবং ইসলাম চ্যানেল। কিছুদিন পর রসুল ইসলাম চ্যানেল থেকে নিয়ে আসলো বৃটেনের চ্যারিটি জগতের চমক একসময়কার ডিজে ও ভিজে মহাভন্ড ব্যারিষ্টার রিজওয়ানকে। রসুল, রিজওয়ান ও আব্দুল আওয়াল মামুনের তত্ত্বাবধানে চালু হলো চ্যানেলের এস-এর চ্যারিটি ডিপার্টমেন্ট। গোটা চ্যানেলকে অল্পকিছুদিনের ভেতর তারা তাদের দখলে নিয়ে আসলো। অন্যদিকে চরিত্রহীন বাংলাটিভি নিজের এ্যস বাচাঁতে আহবান জানালো ব্রিকলেন মসজিদকে। ইস্ট লন্ডন মসজিদ বনাম ব্রিকলেন মসজিদ, মওদুদি বনাম আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, সুন্নি বনাম শিবিরের সেই পুরোনো যুদ্ধ শুরু হলো। টিভি চ্যানেল দু’টি ক্রমান্বয়ে আধাখেচড়া রিলিজিয়াস চ্যানেলে পরিণত হলো। কিন্তু চ্যানেল এস এখানেই থেমে থাকলোনা, নিজের সাম্রাজ্য বাড়াতে এবং নতুন চ্যানেলের আগমণ রোধ করতে খুললো আরো দু’টি চ্যানেল। এটিএন ও এনটিভি আলাদাভাবে আগে কয়েকবার এসেও ঠিকতে পারলোনা চ্যানেল এসের পলিসি-র কারণে। যাইহোক একসময় প্রত্যেকে জলিলের তথা জামাতিদের পলিসি-র কাছে পরাস্ত হলো নিজেকে ঠিকিয়ে রাখতে গিয়ে। এভাবেই চলছিলো বেশ কিছুদিন ধরে কিন্তু আবার নতুন করে মাথাব্যাথা দেখা দিলো এনটিভি নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আসার ফলে। কি সমস্যা হলো? প্রথম সমস্যা হলো, সীমাবদ্ধ বাজারের ভাগে আরেকজন হাত ঢুকালো। দ্বিতীয়ত, আরেকটি স্বতন্ত্র ভয়েজ তৈরী হলো যার সরাসরি বাংলাদেশের মাটিতে যোগাযোগ রয়েছে। আর এই যোগাযোগ থাকার ফলে নানা গোষ্ঠি স্বার্থে আঘাত আসার সম্ভাবনা তৈরী হলো। বাংলাদেশের সংস্কৃতি এতো কিছুর পরও যেহেতু এখনো অনেকটা সেক্যুলার, তাই স্বাভাবিকভাবে বাপ্পি-ফালুর মালিকানাধীন চ্যানেল হওয়া স্বত্ত্বেও তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে বাধ্য হয়। তাই আবার নতুন করে প্রয়োজন পড়ে এই শক্তি রোধের। তবে জামাত একটা ব্যাপারে বাহবা পাওয়ার যোগ্য, তাদের পলিসি এক্কেবারে পাশ্চাত্যের মতো। কাউকে দরকার না পড়লে সরাসরি গায়ে হাত দেয়না। এক্ষেত্রেও তারা তাই করলো। তাদের অকুতোভয় খলিফা উমর ফারুক হরফে আব্দুল আওয়াল মামুনকে (যতদূর জানি এই লোক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজাহান হলের সাধারন সম্পাদক ছিলো দীর্ঘদিন, এখনো সক্রিয়)পাঠালো রাজ্য দখলে; আবু বকর হরফে গোলাম রসুল (একসময়কার শিবিরের সদস্য, এখনো সক্রিয়) পেছনে দাড়িয়ে থাকলে সমস্ত রসদ নিয়ে। এই রমজানে পর এই চ্যানেলও তাদের দখলে চলে যাবে পুরোপুরি ভাবে।
এসব চ্যারিটিগুলোকে কি ভয় পাওয়ার কারন আছে?
ভয়ের যেমন কারন আছে তেমন আবার প্রয়োজনও আছে। এখনো এসব চ্যারিটি থেকেই কয়েকটা চ্যারিটি আন্তরিকভাবেই মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছে, সমস্ত চ্যারিটি যদি আজকে বন্ধ হয়ে যায় তবে এর ক্ষতির পরিমাণও ভয়াবহ। তবে যদি একে কন্ট্রোলের মধ্য আনা না যায় তবে এর পরিণতি মারাত্ত্বক। ‘বাংলা হবে আফগান, আমরা সবাই তালেবান’ এই শ্লোগানের বাস্তব রুপ দেখতে হবে এদের এখনি শক্তহাতে দমন করা না হলে।
কি করার আছে?
প্রথমত. যারা দান করছেন তাদের বিগত কর্মকান্ডের বিশেষ করে যে দান তারা করেছেন তা দিয়ে কি কি করেছেন তার বিশদ বিবরন চাই হবে নতুন করে দান করার আগে।
দুই. নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করতে হবে এক এলাকায় কয়টি মসজিদ-মাদ্রাসা দরকার? মাদ্রাসা কেন স্কুল থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ন তা খুজতে হবে।
তিন. বৃটেনের চ্যারিটি কমিশন, অফ-কম’মে আরামে না খায়িয়ে মাঠে নামাতে হবে; প্রয়োজনে কমিউনিটি পুলিশের আদলে গোয়েন্দা লাগাতে হবে এদের কর্মকান্ড মনিটর করতে। খুজেঁ বের করতে হবে কতগুলো লোক ফুল্টাইম কাজের অনুমতি না থাকার পরও কাজ করছে। খুজেঁ বের করতে হবে কোন কোন কোম্পানী সপ্তাহে ৪০ ঘন্টার বেশী কম পারিশ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছে। ইনকামট্যাক্সওয়ালাদের একাউন্ট্যান্ট ফার্মগুলো’র উপর নজরদারি বাড়াতে হবে। চ্যারিটিগুলোর কর্মপরিধি দেশের বাইরে হলে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তথ্য সংগ্রহে কাজে লাগাতে হবে।
চার. আমাদের কমিউনিটি নেতাদের আঞ্চলিকতা ও ধর্মীয় সংকীর্নতাকে পুজিঁ করে নির্বাচনে জেতার টেকনিক বাদ দিতে হবে। বিশেষ করে কাউন্সিগুলোকে অনেক বেশী প্রতিটি পরিবারের প্রতি মনোযোগী হতে হবে; বিশেষ করে তাদের স্বাভাবিক শিক্ষা জ়ীবন যাতে অব্যাহত থাকে তার দিকে নজর দিতে হবে।
পাচঁ. চ্যানেলগুলোকে চ্যারিটির উপর ভর করে আয়ের চিন্তা কমাতে হবে। উন্নতমানের লোকাল প্রডাকশন বাড়িয়ে দিনে দিনে বাজারটাকে বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এমন কি বাংলাভাষা নির্ভর প্রডাকশন ছাড়াও ইংরেজী ড্রামা, মিউসিক ভিডিও, কারেন্ট এ্যাফেয়ারের উপর প্রোগ্রাম তৈরীর মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হতে পারে। তবে কথা হলো বিড়ালের গলায় ঘন্টা পড়াবে কে বা কারা? এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই আমার, কারো জানা থাকলে মাঠে নামতে পারেন। তবে আমি বরাবরের মতোই হতাশাবাদী; আশাবাদ শুধু ঘুমাতে সাহায্য করে।
মন্তব্য
লেখার শুরু বা শেষে অতিথি লেখকের নাম জুড়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
কিন্তু স্তব্ধ হয়ে গেলে তো ওদেরই হাত শক্ত করে দেয়া হবে! কনফ্রন্টেশান হইল একমাত্র উপায়, তা সেইটা ভারচুয়ালি হোক কিংবা সামনাসামনি।
চমৎকার হইসে লেখাটা!
- তন্ময়
অনেক তথ্যবহুল একটি লেখা...যার সম্পর্কে আমার ধারনা কম। কিন্তু বিশ্লেষন গুলোর সাথে সহমত।
'এখনো এসব চ্যারিটি থেকেই কয়েকটা চ্যারিটি আন্তরিকভাবেই মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছে, সমস্ত চ্যারিটি যদি আজকে বন্ধ হয়ে যায় তবে এর ক্ষতির পরিমাণও ভয়াবহ। তবে যদি একে কন্ট্রোলের মধ্য আনা না যায় তবে এর পরিণতি মারাত্ত্বক।' ----একমত
'মাদ্রাসা কেন স্কুল থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ন তা খুজতে হবে।' -----একমত
'তবে আমি বরাবরের মতোই হতাশাবাদী; আশাবাদ শুধু ঘুমাতে সাহায্য করে।'----
উপসংহার পড়ে একটু মন খারাপ হলো।
- বলেন কী! এতো দেখি ভয়াবহ ঘটনা। সেদিন চ্যানেল খুলেই মেজাজ খিচড়ে গিয়েছিলো। সবগুলো চ্যানেলে একই জিনিষ। "রমজান উপলক্ষে চান্দা দিতায়!" আর একটা চ্যানেলে তো রিজওয়ান সাহেবকেও দেখলাম। ভেতরের খবর জানতাম না যদিও কিন্তু মেজাজ খারাপ হয়েছিলো এই মওসূমী মানবিকতার নির্লজ্জ প্রদর্শনে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাথা ভোঁ ভোঁ করছে লেখাটা পড়ে। লেখকের নাম/ছদ্মনাম জানতে ইচ্ছুক। আরও লিখুন। সচলে স্বাগতম।
এমন লেখায় কিছু জায়গায় ফরম্যাটিং (বোল্ড, ইটালিক) থাকলে সুবিধা হতো।
এই বিষয়টা নিয়ে আমার লিখতে ইচ্ছে হতো। কিন্তু আমি ইনসাইডার না। গোলাম রসুল হেড অব ডিপার্টমেন্ট হয়ে গেল এই কথাটা পড়ে মনে হচ্ছে আপনি চ্যানেল এস-এর সাথে সংযুক্ত।
বাংলাদেশে যেমন রাস্তার মোড়ে মাওলানারা মাইক নিয়ে বসে বাসযাত্রীদের কাছ থেকে মসজিদ-মাদ্রাসা-মক্তবের জন্য টাকা তোলে, এটা হলো তার টিভি সংস্করণ।
স্কুলে চাঁদা দিলে তো আর আল্লাহর পিয়ারা হওয়ার লাইন নাই সুতরাং মাদ্রাসা-মসজিদ-মক্তবের জন্য অর্থকড়ি দিয়ে সবাই সওয়াব কামাতে চায়। যাদের বিশ্বাস এরকম তাদেরকে নিয়ে ঠা্ট্টা করতে গেলে তাদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করা হয়। তাদের এইসব দানের টাকা কীভাবে অর্জিত সেসব নিয়ে প্রশ্ন তোলাও কিছুটা ঈর্ষাজনিত মনে হয়।
টিভি চ্যানেলগুলো অফকমের নিয়ম মেনেই নিশ্চই এরকম চ্যারিটির জন্য অর্থ তুলতে পারে। শপিং চ্যানেল যদি থাকতে পারে, চ্যারিটির জন্য সময় দেয়াটা নিশ্চই নিয়মবিরুদ্ধ হতে পারে না।
বলতে গেলে বলতে হয় আমাদের অনভ্যস্ত চোখে ভীষণ লাগে। তা ছাড়া আপত্তির আর মাত্র একটা জায়গা সেটা হলো টাকাগুলো ঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তো। কিন্তু সেই ব্যবহার নিশ্চিত করেই বা কার লাভ? রাণীর টাকায় যদি বাংলাদেশে মহিলা মাদ্রাসা হয় তাতে রাণীরই উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা বেশি।
আসলে এই মূহুর্তে আমাদের দেখে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় সম্ভবত: নেই। হয়তো আমরা আরো বেশি তথ্য জোগাড় করতে পারি। কিছুটা জনমত তৈরি করতে পারি তবে যারা এসব কাজে অর্থ দেন তারা হয়তো সেই জন-এর আওতায় আসবেন না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
'আসলে এই মূহুর্তে আমাদের দেখে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় সম্ভবত: নেই।'-
কেনো নেই? ওরা যদি দায়বোধ থেকে এতকিছু করতে পারে, আপনার/আমার বাঁধা কোথায়? নাকি আমরাও বিশ্বাস করবো -একদিন উপর থেকে সাহায্য নাজিল হবে আমাদের জন্য!
খুবই প্রয়োজনীয় লেখা
লেখককে সাধুবাদ জানাই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
খোদ লন্ডনেই যদি আপনার বর্ণনার মত অবস্থা থাকে,তবে পিছিয়ে থাকা মুসলিম দেশগুলোর অবস্থা ভেবে শিউরে উঠছি।
লেখাটা সকালে একবার পড়েছি, এখন আরেকবার পড়লাম।
... আপনি এই বিষয়ে আরো লিখবেন, এ আশায় থাকলাম।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
দারুণ পোস্ট!
হুমম।
তবে বৃটিষ পুলিশ এবং রেভিনিউ এসবের দায় এড়াতে পারে না। আমি কানাডা রেভিনিউ এজেন্সীর মেইলিং লিস্টে প্রায়ই -- "ওমুক চ্যারিটির চ্যারিটিত্য বাতিল হয়েছে" ধরনের মেইল পাই।
ভালো লেখা।
অসাধারণ পোস্ট... লেখকের নামটা না জানার দুঃখটা থেকে গেলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নামটা জানাতে আমারো ইচ্ছে হয়; কিন্তু হাত-পা বাধাঁ। আশা করি বুঝতে পারবেন।
আশাকরি ছদ্মনাম দিতে কোন সমস্যা নাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
চমৎকার পোস্ট। নামহীন লেখককে ধন্যবাদ।
কী ভয়ংকর সব তথ্য......
"Life happens while we are busy planning it"
খুব অসাধারন একটা লেখা। শিবির সংক্রান্ত সবচেয়ে তথ্যভুল লেখা। আপনাকে সশ্রদ্ধ্য সালাম, আশা করি আরো লেখা পাবো আপনার কাছ থেকে। আপনার আপত্তি না থাকলে লেখা খোমাখাতায় শেয়ার করতে চাই।
বস, আসলে কি তারা বাংলাদেশে সুবিধা করতে পারতেসে না? আমার হিসাবে তারা তো এখন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী সংঘবদ্ধ, আশা করি আপনি দেশের সাথে বিদেশের অবস্থার তুলনা করেছেন। শিবির তো তার মত কাজ করেই যাচ্ছে, তাদের কোন কুকাজই আটকায় থাকতেসে না। তানভীর ভাইয়ের লেখা পড়লে বুঝবেন, ব্যাপারটা, সব সরকারী প্রতিষ্ঠানে বড়বড় পদে বস আছে তারা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ বস,
এট্টু খিয়াল কৈরা বস----
নামহীন লেখককে সাধুবাদ জানাই। ...
-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সমকালে পড়লাম, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক দুইশো এনজিওকে নজরদারিতে আনছে সরকার। পাশাপাশি সকল এনজিওর অর্থব্যয় সরকারের গোচরে আনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন যা দাঁড়িয়েছে, মনে তো হচ্ছে বিলাতি চান্দাতেই বান্দরগুলি কান্ধে উঠতেছে।
প্রিয় নামহীন,
আপনার লেখা আবার নতুন করে ভয়ের জন্ম দিল।
খুব প্রয়োজনীয় একটা লেখা।
সাবধানে থাকবেন আর এই বিষয়ে আরো লেখা দিতে পারলে খুবই উপকার হবে।
শুভেচ্ছা
ব্যাপারটা হচ্ছে ব্রিটিশ ইন্টেল আসলে এসবের ভিতরের খবর বহু আগে থেকেই জানে। শুধু এসবই না, এগুলোর টাকায় বাংলাদেশের কোথায় কি হচ্ছে সেই খবরও তাদের কাছে আছে।জামাতকে ব্যবহার করে মামুদের ভবিষ্যৎ প্ল্যানটা কি, সেটাই বোঝা দরকার।
জামাত যেইভাবে বাংলাদেশকে রেপ করে চলেছে তার ঔষধ একটাই...যেমন কুকুর তেমন মুগুর। কিন্তু জনবিচ্ছিন্ন, মেরুদন্ডহীন সরকার আর দিশাহারা জনগণ নিয়ে এটা এখন অবাস্তব কল্পনা বলেই মনে হয়।
তিলে তিলে সবাই জামাতের কাছে দাসখত দিয়ে দিচ্ছে, র্য্যাব ডাইনে বামে সবাইরে ক্রস ফায়ার করে কিন্তু একটা রগ কাটা কুত্তার বাচ্চারেও চারা চোখে দেখেনা। আর্মি /তদারকী সরকার সবাইরে জেলে পুরে, কিন্তু জামাতী শুওরের বাচ্চাগুলা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
'একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার'---আরেকটা প্যাথেটিক ফাঁকা বুলি?
প্রিয় নামহীন
অসাধারণ পোষ্ট, আপনি আরো লিখুন নাম প্রকাশ করেই লিখুন, লেখকদের ভয় নেই ভয় থাকে অপরাধীদের।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
১
আরো লিখুন, আরো দেখে শুনে বুঝি কাহিনী কী । আর নিজের নাম দিতে না পারলে ছদ্মনাম দিন । এমনিতেও আপনি এমন কোন বিরাট গোপনীয়তার আড়ালে নাই । আমার ধারনা, আপনার আইপি সহ অনেক কিছুই জানা হয়ে গেছে এতক্ষনে ।
২
যাক, বিলেত টাও এখন ডুবসে তাইলে । এখন তাইলে এমনিতেও বাংলাদেশের সাথে বিলেতের কোন পার্থক্য নাই । তবে আমি ইংরেজি পারি, বিলেতিরা বাংলা পারেনা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আপনি যেই হোন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি পোষ্টের জন্য । এটা ঠিক গত কয়েক বছর ধরে এদেশের বাঙ্গালী/বাংলাদেশী মুসলিমদের ভিতর একটা ব্যাপক পরিবর্তন আমি লক্ষ্য করছি-যা খুবই ভয়ের সন্দেহ নেই ! বিশেষ করে এই প্রজন্মের মধ্যে জামাতীদের প্রভাব প্রতিপত্তি আগ্রাসী রূপ নিয়েছে । যদিও নানা ছদ্ম নামের আড়ালে বিলেতের প্রায় ৮০% বাঙ্গালী ঘরে এরা ঢুকে পরেছে-আর সেটা সম্ভব হয়েছে ধর্মীয় পরিচয়ের আড়ালে ! এরা যে কত ভাবে কত রূপ ধরে কাজ করছে তা ভাবলে শিউরে উঠতে হয় ! কিছু কিছু বিষয় আপাত দৃষ্টিতে এতোই তুচ্ছ মনে হবে, কিন্তু এই তুচ্ছ ব্যাপারগুলোই আমাদের আশপাশটাকে এত ত্রুত বদলে ফেলেছে-যে মাঝে মাঝে ভাবতে কষ্ট হয় আমরা কি বাঙ্গালী/বাংলাদেশী নাকি আরবের কোন দেশ থেকে এসেছি ? এসব নিয়ে লেখার ইচ্ছা আমার বহুদিনের,খালি হয়ে উঠছে না ...
আপনি যে কোন ছদ্ম নাম নিতে পারেন কিন্তু আসল নাম দেওয়ার আমি কোন দরকার দেখিনা । ভালো থাকুন ।
নন্দিনী
জামাতের দৃষ্টিতে বিশিষ্ট নাগরিকদের একটা লিষ্ট পাওয়া গেল:
বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার পার্টির আয়োজন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী দেশের বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, প্রাক্তন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ওলামা-মাশায়েখ, ব্যবসায়ী ও কৃষিবিদসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে আজ ২রা সেপ্টেম্বর, ০৯ তারিখ বিকেল ৬:৪৫ মিনিটে ঢাকা মহানগরীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের মাল্টিপারপাস হলে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করেন।
এ ইফতার পার্টিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জনাব আব্দুর রহমান বিশ্বাস, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এমপি, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি, বিএনপির মহাসচিব এড. খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ার এমপি, সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন, জনাব সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপি, সাবেক মন্ত্রী জনাব আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার (অব:) আসম হান্নান শাহ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান, ঢাকার মেয়র জনাব সাদেক হোসেন খোকা, সাবেক মন্ত্রী জনাব মীর্জা আব্বাস, বিরোধী দলের হুইপ জনাব জয়নাল আবেদীন ফারুক এমপি, সাবেক মন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ডা. এমএ মতিন এবং মহাসচিব জনাব আবু নাসের মোঃ রহমত উল্লাহ, সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক এমপি শিরিন সুলতানা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা ইসহাক এবং মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের বাচ্চু, ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা মাওলানা আবুল হাসান, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুর রকীব, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, পিডিপির চেয়ারম্যান জনাব ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি জনাব শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব আবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব জনাব শামীম আল মামুন ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি জনাব মোঃ তৈয়বুর রহমান, বিচারপতি আবু সাঈদ আহমদ, মেজর জেনারেল (অব:) ইমামুজ্জামান, বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) ফজলুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার উইং কমান্ডার (অব:) হামিদুল্লাহ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মোশারফ হোসেন, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা হামিদুল্লাহ, মাওলানা মোফাজ্জল হোসাইন খান, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক জনাব আবুল আসাদ, দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক জনাব আলমগীর মহিউদ্দিন ও নির্বাহী সম্পাদক জনাব সালাহ উদ্দিন বাবর, দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জনাব মাহমুদুর রহমান, দি নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক জনাব মোস্তফা কামাল মজুমদার, দৈনিক দিনকালের সম্পাদক জনাব আমানুল্লাহ কবীর, দৈনিক খবরপত্রের সম্পাদক জনাব গিয়াস কালাম চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল আলম, বিএফইউজের সভাপতি জনাব রুহুল আমীন গাজী, মহাসচিব এমএ আজিজ, ডিইউজের সভাপতি আবদুস শহীদ ও সেক্রেটারী বাকের হোসেন, ডিইউজের সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান ও সাবেক সেক্রেটারী সরদার ফরিদ আহমদ, দিগন্ত টিভির নির্বাহী পরিচালক জনাব কেএম হানিফ, ডিরেক্টর নিউজ জনাব আজম মীর শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাসের সেক্রেটারী জনাব কামাল উদ্দিন সবুজ, বিশিষ্ট কলামিস্ট ড. মাহবুব উল্লাহ, জনাব তারেক শামসুর রহমান, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, জনাব মোবায়েদুর রহমান, জনাব আজিজুল হক বান্না, জনাব শাহ আহমদ রেজা, অধ্যাপক ফজলুল হক, কবি আবদুল হাই শিকদার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম আলী ফকির, শেরেবাংলা কৃষিবিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের ডিন ড. সিরাজুল ইসলাম, ড. এমএ মাজেদ, ড. মোঃ আবদুল লতিফ, ড. মোঃ আবদুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুজাহিদুল ইসলাম, সাবেক সচিব জনাব শাহ আবদুল হান্নান, কমোডর (অব:) আতাউর রহমান, সাবেক সচিব এসএম জহরুল ইসলাম, এটিএম আতাউর রহমান, আনম আখতার হোসেন, জনাব এসএম সোলাইমান চৌধুরী, জনাব আবদুল হাই হাওলাদার প্রমুখ।
জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মাদ ইউসুফ, নায়েবে আমীর জনাব মকবুল আহমদ ও অধ্যাপক একেএম নাজির আহমদ, সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী জনাব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুস সুবহান ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল জনাব মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান, জনাব আবদুল কাদের মোল্লা, জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মীর কাসেম আলী, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জনাব মমিনুল ইসলাম পাটওয়ারী, অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ ইজ্জত উল্লাহ, মাওলানা এটিএম মাসুম, এড. জসিম উদ্দিন সরকার, অধ্যাপক শাহেদ আলী, জনাব আহমদ উল্লাহ ভূঁইয়া, মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমীর জনাব এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, সেক্রেটারী মাওলানা হামিদুর রহমান আজাদ এমপি, সহকারী সেক্রেটারী জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল ও মাওলানা আবদুল হালিম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারী জনাব আমিনুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক মাযহারুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জনাব রেজাউল করিম ও সেক্রেটারী জেনারেল জনাব শিশির মুহাম্মাদ মনির প্রমুখ।
ইফতারীর পূর্ব মুহূর্তে পার্টিতে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী।
এই মাহফিল্টার উপ্রে একটা বজ্রপাত হলেই দেশের বর্জ্যগুলা ফিল্টার হয়ে যেত।
চমৎকার লেখা।
======================
হা হা হা। দারুণ বলেছেন, মামুন হক।
----------------------------------------
বাসে অনেক ঘুম জমে
ভিতরে ভুলে যাই শস্যের চমক
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
http://www.dailyexpress.co.uk/posts/view/126915/Ofcom-launch-investigation-into-Muslim-TV-/
অসাধারন চোখ খুলনেওয়ালা একটা পোষ্ট। নামহীন লেখককে অজস্র ধন্যবাদ। এরকম লেখা আরো চাই। নামহীন হলেও।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নতুন মন্তব্য করুন