একা একা মা কে ছাড়া...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৯/২০০৯ - ১০:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মা আমাকে রেখে বাংলাদেশে চলে গেলো প্রায় এক মাস হতে চললো। আমি এর আগে কখনো মাকে ছাড়া থাকিনি। একেকটা দিন যেন একেকটা যুদ্ধ। রোজ কোন না কোন ঝামেলা হবেই হবে। সেই ঝামেলা গুলো নিয়ে লিখতে গেলে আলাদা করে আরেকটা লেখা লিখতে হবে। আজকে না হয় মা কে নিয়েই লিখি? মা কতবার বলেছে “আমরা গেলে বুঝবি কত ধানে কত চাল। আমার মেয়ে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝবেনা…”…আমিতো হেসেই উড়িয়ে দিতাম। রোজ কিভাবে যে এমন নিত্যনতুন উদ্ভট সব ঝামেলা হয়, ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলেও বুঝে উঠতে পারিনা কিভাবে কি হলো। আমাকে “স্পয়েল্ট ব্র্যাট” বললে যেমন ঠিক হবেনা আবার দুনিয়ায় একা টিকে থাকতে অচল বললেও ভুল হবেনা। ভাই বোন নেই তাই বাবা মার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কখনোই তেমন কোন কেরামতি করতে হয়নি। ২০০১ সালে আমরা যখন বাংলাদেশ থেকে চলে আসি তখন আমার বয়স ১৩ কি ১৪ বছর। মা’র চোখে তখন আমার “টিনএইজ সমস্যা” গুলোর মধ্যে ব্রণ ওঠা আর তখনো ছেলেবন্ধুদের সাথে দাপাদাপি করে বেড়ানোটা অন্যতম। ব্রণ তাড়ানোর জন্যে তাও আড়ং এর উপ্টান আর নিম আছে কিন্তু ছেলে গুলাকে কেমনে তাড়াবে! আশেপাশের প্রায় সব মা’র দেখতাম একই সমস্যা বিশেষ করে মেয়েদের মায়ের! আমাদের স্কুলটায় ছেলেরাও পড়তো হয়ত সেই জন্যেই এত কান্ড কিনা কে জানে। খুব রাগ হতো। এতদিন পর্যন্ত যারা ছিলো আমার বন্ধু তারা হুট করে কিভাবে আমিসহ ক্লাসের আর সব মেয়ের পোটেনশিয়াল বয়ফ্রেন্ড হয়ে গেলো সবার চোখে আর আমরা টেরই পেলাম না! যদিও সেসব ড্রামা বেশিদিন টেকেনি। মনে মনে তাও রাগটা রয়েই গেলো। যদিও আমার মা খুবই উদার একজন মানুষ তাও পিয়ার প্রেশারের ঠেলায় মাঝে মাঝে খুব ঝামেলা করতো। ঢাকায় কোথাও গেলে অন্য সবার মা’র মত আমার মাও আঠার মত সাথে লেগে থাকতো, স্কুল, কোচিং, শপিং যাই হোক না কেনো। এখানে আসার আগে মা কে যা ভয় দেখিয়েছিলাম! এখনো মনে আছে বাবা টিকেট করার পর যখন আমাদের গোছগাছ শুরু হলো মা কে বলেছিলাম, এইবার দেখবোনে তুমি আমাকে কই কই পাহারা দিয়ে নিয়ে যাও। মা’র চোখে মুখে রাজ্যের দুশ্চিন্তা ছেয়ে যায়, গেলো মেয়ে হাতছাড়া হয়ে!

এখানে এসে আস্তে আস্তে আমি কেনো যেনো খুব অসামাজিক হয়ে গেলাম কাউকে ভাল্লাগেনা কিচ্ছু ভাল্লাগেনা। হয়তো বন্ধুদের কথা মনে পরতো সেই জন্য আর কালচার শক তো আছেই।হাতেগোনা খুব অল্প কয়টা মানুষের সাথে মিশতাম। কাউকে বন্ধু করে নেয়া আমার জন্যে যতটা কঠিন, শত্রু করে নেয়া ততটাই সহজ এমনই অবস্থা হয়ে গেলো। স্কুল, বাসা, কাজ, বই, গান, মুভি থিয়েটার ব্যাস এই হলো আমার জীবন। একটা পর্যায়ে গিয়ে মা খুব দুশ্চিন্তা করতো আমাকে নিয়ে যে হঠাৎ কি হলো। আমাদের বাসার অনেক গুলো আজগুবি সমস্যার মধ্যে একটা হলো কথায় কথায় মিটিং বসানো। ৩ টা মাত্র মানুষ তাও এতো কিসের মিটিং আমি এখনো বুঝিনা।তো সেই মিটিং এর থিমটা সম্ভবত ছিলো “আমার মেয়ের প্রেমঘটিত সমস্যাসমূহ”

- তুই এইরকম হইসিস ক্যান তুই কি প্রেম করিস?
- মা বিরক্ত করবানা
- তোকে ছ্যাঁকা দিসে কেউ নামটা খালি বল আমাকে আমি ঐ ছেলের রাতের ঘুম হারাম করে দিবো!আমার একটা মাত্র মেয়ে ওর মুখে হাসি নাই আমার কি ভাল্লাগে বল?
- উফ তোমার প্রব্লেমটা কি!
- এই বয়সে আমি তোর বাবার সাথে পালায় গেসিলাম আর তুই ঘরের মধ্যে বসে বসে বই পড়িস এইটা কোন কথা?! বলনা কি সমস্যা মা আমিতো তোর ফ্রেন্ড এখন!
- খিদা লাগসে খেতে দাও না এগুলা কি শুরু করলা!
তখনি আমার সেল ফোন্টা বেজে উঠলো। স্ক্রীনে লেখা “তানি কলিং…”। তখন তানি নামের একটা মেয়ের সাথে আমার বেশ কথা হতো।ওরা মাত্র এসেছে বাংলাদেশ থেকে আমি তানিকে রাস্তাঘাট সব ঘুরে ঘুরে দেখাতাম। আমি ফোন্টা ধরতে যাবো আর তখনি মা তানি’র নাম দেখে ধুম করে বলে বসলোঃ
- শোন…আচ্ছা তুই কি মেয়েদের পছন্দ করিস??
- মা!!! ইউ আর ক্রেইজি!
- ক্যান আমাকে বললে কি হয় আমিতো কিছু মনে করবোনা! আমিতো মা আমাকে বল্বিনা তো কাকে বলবি? শুন না তুই কি তানিকে পছন্দ করিস?
- তুমিনা বেশি ইয়ে হয়ে গেসো বুঝছো! আজকে থেকে তোমার টিভি দেখা নিষেধ! সোজা বাংলাদেশে পাঠায় দিবো!

বলে রুম থেকে হনহন করে বের হতে না হতে শুনি কাকে ফোন করছে… “হ্যালো ভাবি!...নাহ আমরা যেটা সন্দেহ করসিলাম সেটা না…”
শুনতে হয়তো অবাক লাগবে তবে আমি মা’র উদ্ভট সব প্রশ্নে বিব্রত হওয়াটা খুব মিস করি…

গান শুনতে খুব ভালো লাগে। দিনের পর দিন মাসের পর মাস আমি একই গান শুনে কাটিয়ে দিতে পারি যদি ভালো লাগে। একটা সময় এটাকে আমার মা গুণ হিসাবে দেখলেও এখন তার কাছে এটা আমার দোষ গুলোর একটা। নতুন কোন বাংলা গানের এ্যাল্বাম হাতে পেলেই সপ্তাহখানেক দিন রাত চলতে থাকে। মা বলে, ভালো এভাবেই গান শুন্তে থাক। আমি পাশের ঘরে অজ্ঞান হয়ে পরে থাকলেও তো টের পাবিনা! গানের সাথে অজ্ঞান হওয়ার কি সম্পর্ক? আমি বুঝিনা। আমাদের খুব ঝগড়া লাগে আমি কি কি কার কার গান শুনি এসব নিয়ে। আমার মা হয়ে সে আর্টসেলের গান পছন্দ করেনা এটা আমি মেনে নিতে পারিনা। অর্থহীন, ওয়ারফেইজ, বাংলা, রি-ধুন, মেঘদল, শিরোনামহীন এমন কি অর্ণবের গান পর্যন্ত তার ভাল্লাগেনা! এ্যাবনরমাল মহিলা! তার পছন্দের গান গুলোর নাম নিলে আমার নিজেরই লজ্জা লাগে। এলিটার “কোথায়”। কত্তবার যে তাকে আমি রান্না করতে করতে গাইতে শুনেছি… “হঠাৎ দুজনে কেনো হারালাআআআআম…একলা এ পথে এসে দাড়ালাআআআআম” দিন টাই মাটি হয়ে যেতো। একদিন অবশ্য শুনেছিলাম “তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায় মেঘাচ্ছন্ন ব্যস্ত ঢাকায়য়য়য়য়য়” বাজার করে আনার পর খুশির চটে মা’র ৩ ডলার ১৪ কি ১৫ সেন্ট ফেরত দিয়েছিলাম অন্যদিন হলে মেরে দিতাম। একবার তাকে জোর করে বসিয়ে পিংক ফ্লয়েড এর হাই হোপ্স, শাইন অন ইউ ক্রেইজি ডায়মন্ড আর আয়রন মেইডেনের ওয়েস্টিং লাভ শুনিয়েছিলাম। মা শুনে টুনে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, আমার অপরাধটা কি বল? তুই কেনো আমার সাথে এমন করিস?
মাকে গান্স এন রোজ়েস এর চাইনিজ ডেমোক্রেসির কয়েকটা গান শুনিয়ে জ্বালানোর খুব ইচ্ছে ছিলো। এমন হুট করে চলে গেলো সুযোগই পেলামনা।

আজকে মিলা’র “রি-ডিফাইন্ড” শুনতে শুনতে মনে পরলো, ২ বছর আগে “বন্য” এ্যল্বামটা বের হওয়ার পর পেলাম ফাইয়াজের কাছ থেকে। টেক্সট ম্যাসেজ পাঠিয়ে বললো দোস্ত বুইঝা শুনিস সব গান সুবিধার না আন্টি আশেপাশে থাকলে স্কিপ ট্র্যাক ১, ৪, ৫। কিসের কি আমি ভাব্লাম আমার মা টা বোকাসোকা ফুয়াদের লিরিক্স যাতা হয় বটে তাও কতটাই বা যাতা হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। আর আমি যেহেতু এখনো মনে প্রাণে একটা টিনএইজার, যদিও আমার টিনএইজ পোলাপান পছন্দ না কিন্তু কিভাবে জানি তাদের সাথে আমার বাজে স্বভাব গুলো মিলে যায়, সেহেতু ফাইয়াজ মানা করা স্বত্তেও আমি ৪ নাম্বার ট্র্যাক্টা দিয়েই শুরু করলাম।আমার “দৃঢ় বিশ্বাস” গানটা অনেকেরই শোনা। গানের কথা গুলো এরকম “মাঠের গাসে লাউ ধইরাসে লাউ যে বড় সোহাগী, লাউয়ের পিসে লাগসে বৈরাগী”। গানের কথা শুনে আমার তখনো হুঁশ ফেরেনাই এরই মধ্যে কত্থেকে যে মা তেড়ে আসলো!

- তুই এগুলা কি গান শুনিস অসভ্য কোথাকার!
- মা শুনো…
- কি শুনবো রাতের বেলা এইসব কি লাউ কদু শুরু করসো!
- আরে বাবা…
- হ্যা ডাকো তোমার বাপ কে! যেমন বাপ তেমন মেয়ে দুনিয়ার বেহায়া! তুমি কি ভাবসো আমি লাউ মানে বুঝিনা??
- লাউ মানে কি বলোনা?
- চোপ! অসভ্য! আমার বাসায় এই সমস্ত চল্বেনা আমি বলে দিলাম! এ্যাই শুনসো! তোমার মেয়ে কি সব অশ্লীল গান শুনে আমি কিন্তু বাসা থেকে বের হয়ে যাবো!

বলে বিড়বিড় করতে করতে রান্নাঘরে চলে গেলো। সেই থেকে আমাদের বাসায় ফুয়াদ এবং সাঙ্গোপাঙ্গোকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করা হলো। আজকে ডিস্কো বান্দর শোনার সময় কেউ এসে বাড়ি মাথায় তুললো না। ভাল্লাগেনা।আমার দুটা বন্ধু প্রায় ৫ বছর ধরে একা থাকে মাকে দেখেনা বহুদিন। সেই তুলনায় আমার এই ঘটনাবহুল এক মাস কিছুই না বটে কিন্তু তাও নিজেকে বুঝিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হয়।

কতকিছু যে গতকয়েকদিন ধরে মনে পড়ছে। সব লিখতে গেলে আর এই লেখা শেষ হবেনা। এরকম ছোট ছোট হাজারো ঘটনা এখন চোখে ভেসে ওঠে রোজ। মনে হয় মা যেন সামনে বসে মুখ টিপে হাসছে আর বলছে “বলেছিলাম না? আমি চলে গেলে বুঝবি?...”

(হয়তো চলবে?)

[ সচলায়তন পড়ছি বহুদিন। ৮/৯ বছর হবে বাংলাদেশে নেই। খুব পিচ্চিকালে বাইরে চলে না এলেও মোটামুটি ছোটই ছিলাম বলা যায়। দেশ ছেড়ে আসার পর প্রথমবার বেড়াতে গেলাম গতবছর, ৮ বছর পর! বড়চাচ্চুর পাঠানো গল্পের বই, দৈনিকপত্রিকা, গান, সচলায়তন, দু একজন পুরনো বন্ধু আর বাসায় ধমক খেয়ে যতটা বাংলার চর্চা করা হয় আর কি। যদিও বাবার মতে নিজের ভাষাটা ভালো মত না জানার ক্ষেত্রে দেশের বাইরে থাকাটা নিছক টালবাহানা আর খামখেয়ালি ছাড়া কিছুইনা, ভুল ব্যকরণ আর বানানের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।]

- ভ্রম


মন্তব্য

সচল জাহিদ এর ছবি


ভ্রম,
আমার চেনা পরিচিত কয়েকজন আছেন যারা আপনার মত বয়সে দেশ ছেড়ে এসেছে, তারা বাংলা বলে কিন্তু কখনো লেখেনা। আপনি এত সুন্দর সাবলীল ভাবে লিখে গেলেন যে আমি মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। মাকে নিয়ে আপনার প্রতিদিনকার কথাগুলো এত সহজ ভাবে বললেন যে মনে হচ্ছে আমরা সচলের সবাই আড্ডা দিচ্ছি আর আপনি আমাদের কাছে গল্প করছেন। সব থেকে ভাল লেগেছে আমরা অনেক কিছু শুনি, আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে অনেক কিছু ঘটে যার সব কিছু লিখিনা, আপনি চেষ্টা করেছেন বিব্রতকর কথাগুলিও লিখতে। এটিই একজন লেখকের সততা।

হয়ত চলবে টলবে মানিনা , পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া। আরো যে কতো বিব্রতকর অভিজ্ঞতা আছে কোনটা রেখে কোনটা বলি!
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন! হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

ভ্রম, লেখাটা ভালো লাগলো খুব! কেমন সোজাসুজি, মিষ্টি করে বলা মায়াময় কিছু কথা! সবচাইতে ভালো লেগেছে

এ্যাবনরমাল মহিলা!
এই কথাটা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু!

- ভ্রম

bhromoman@gmail.com

অনিকেত এর ছবি

চমৎকার লেখা ভ্রম
সচলায়তনে স্বাগতম!

আর লেখা কেমন হচ্ছে বা বানান ভুল হচ্ছে কী না, এইসব নিয়ে মাথা ঘামাবেন না---আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, আমাদের অনেকের চেয়েই আপনার লেখা সাবলীল---

শুভেচ্ছা রইল---

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। জ্বি লিখতে চেষ্টা করবো তবে বাংলায় লিখতে গেলে এত্ত সময় লাগে...আসলে অভ্যাস নেইতো বহুদিন। উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

পেন্সিলে আঁকা পরী এর ছবি

খুব চমৎকার লেখা। হাসি "হয়তো চলবে"টা "চলবে" হলে খুব খুব খুশি হব হাসি

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। চেষ্টা করবো। হাসি

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

নজমুল আলবাব এর ছবি

সচল থাকুন।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অতিথি লেখক এর ছবি

সচল থাকতে চাই!!!!

ধন্যবাদ।

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

ভাবছি চোখ কান ও খুলে নেবো নাকি!

হাহা...ধন্যবাদ আপনাকে!

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আরে সব্বোনাশ! আমার মাও যে একজন 'অ্যাবনরমাল মহিলা' ... হাসি মাকে অনেক জ্বালিয়েছি ফুয়াদের বিভিন্ন গান জোরে বাজিয়ে... খাইছে

আপনার লেখা খুব ঝরঝরে! ভালো লাগলো! ঝাপিয়ে পড়ে দাপিয়ে তুলুন সচলায়তন! আমরা বখে যাওয়া দুষ্ট বালিকারা আছি কী করতে? দেঁতো হাসি

---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহা লাউ গাছের গানকে মনে হয় ফুয়াদের অন্য গান গুলো টেক্কা দিয়ে উঠতে পারেনি!
আপনাকে ধন্যবাদ! হাসি

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

অবাঞ্ছিত এর ছবি

আপনার মা কে আমার বেশ মনে ধরেছে । দেঁতো হাসি

চমৎকার লেখা। আমি মাত্র বছর চারেক আগে দেশ ছেড়েছি। তারপরেও আপনার বাংলা সত্যি আমার থেকে অনেক ভাল। ঈর্ষনীয় এবং শ্রদ্ধা করার মত।

আপনার লেখার হাতও অসাধারণ।

আর "মাঠের গাছ"? আমি তো সব সময় ভাবতাম মাটির গাছ !!! (যার মনে যা.... )

বেশি বেশি করে লিখুন। আরো অনেক লেখা পড়তে চাই।

তারা দেওয়ার সামর্থ্য নাই। থাকলে ১০ টা দিতাম মন খারাপ

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে! আর যার মনে যা'র কথাটা একদম ঠিক কিন্তু!
আপনার লেখাও পড়তে চাই!

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

অতিথি লেখক এর ছবি

খুউউব মজা লাগলো পড়ে।

শায়লা শাওন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারো খুউউব মজা লাগলো আপনার কমেন্ট পড়ে!

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

রানা মেহের এর ছবি

খুব সুন্দর লেখা
হঠাত করে আপনার মাকে খুব ভালো লেগে গেল
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
আর মাকে ভালো লাগার জন্য আরো অনেক ধন্যবাদ! হাসি

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

_প্রজাপতি এর ছবি

ভ্রম সচলায়তনে স্বাগতম আপনাকে, খুব ভাল লাগলো আপনার লেখা।
কোন জড়তা নেই, একদম ঝরঝরে লেখা।

------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! ভালো থাকবেন।

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

রেনেট এর ছবি

মাকে নিয়ে লেখা বলেই লেখাটা পড়তে শুরু করেছিলাম...ভাগ্যিস পড়েছি...নাহলে এরকম চমৎকার লেখাটা চোখ এড়িয়ে যেত।

লেখা অবশ্যই চলবে। লেখার সাবলীলতা মুগ্ধ করলো চলুক

সচলায়তনে স্বাগতম হাসি

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! সাহস বেড়ে গেলো! হাসি

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আরে!! আমি তো ডিসকো বান্দর নিয়ে লিখবো লিখবো করছিলাম। দিলেন আমার আগেই বানর মেরে!

খুব ঝরঝরে সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমার কিছু আত্মীয়া আপনার মতো অল্প বয়সে দেশে ছেড়েছিলো। "মেয়ে" হওয়ায় এই চিন্তা/কথাগুলো তাদের শুনতে হতো। যতটা আমুদে মুচমুচে ভাবে লিখলেন, ততটা আনন্দদায়ক ছিলো না সেই মুহূর্তগুলো। তবুও এটাই তো প্রবাস।

ভালো লাগলো আপনার লেখা। ৮ বছর ধরে এভাবে বাংলাকে ধরে রাখা বিশাল ব্যাপার। এর পেছনে নিশ্চিত ভাবেই আপনার বাবা-মায়ের অবদান অনেক। বানান, ব্যাকরণ নাহয় বাবাকে দেখিয়ে নেবেন। ভুলচুক থেকে গেলে পরে ধরা যাবে। হাসি

ওহ, সচলায়তনে স্বাগতম।

রেনেট এর ছবি

ডিস্কো বান্দর জিনিস্টা কি?

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

পেন্সিলে আঁকা পরী এর ছবি

কয় কি! আপ্নে ডিস্কো বান্দর জিনিস্টা কি এখনো জানেননা!!! অ্যাঁ
ফেসবুকে ভিড্যুর লিংক দিছিলাম তো!তাড়াতাড়ি দেখে আসেন। মিলারে ব্যাপক লাগতেছে চোখ টিপি

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

মূলত পাঠক এর ছবি

এই বিশেষ বান্দর নিয়ে পোস্ট চাই। আমাদের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর হোক।

অতিথি লেখক এর ছবি

আহা! কি যে মিস করছেন ভাইয়া এখনি ইউটিউবে দেখে নিন! এবারের ঈদের বিশেষ আকর্ষণ!

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

অতিথি লেখক এর ছবি

কি বলেন ভাইয়া আমি তো শুধু বললাম ডিস্কো বান্দর নামক একটা জিনিস আছে মাত্র কিন্তু তা নিয়ে লিখলাম কোথায়! আপনার ডিস্কো বান্দর বিষয়ক লেখার অপেক্ষায় রইলাম সাথে পুরো অ্যাল্বামটার একটা রিভিউ হয়ে গেলে মন্দ হয়না (চিন্তার বিষয় হলো এই জিনিসের "রিভিউ" কেম্নে করে!)

আমুদে আর মুচমুচে অভিজ্ঞতা কিন্তু আমারো নেই লিখতে লিখতে প্রসংগ এসে গেলো আর কি। চেষ্টা করছিলাম লেখাটা আপাদমস্তক হতাশাজনক না হয়ে যায় তাই পাশ কাটিয়ে গেলাম। মা কে নিয়ে লিখছি যখন মা-ই মূখ্য থাক, নাহলে এমনিতে "আমি আমি" সিন্ড্রোমে আমি বেশ আক্রান্ত বটে। ইচ্ছে আছে পাশ কাটানো ব্যাপার গুলোকে নিয়ে কিছু লেখার।

বাংলা ধরে রাখার ক্ষেত্রে বাবা-মার বিশাল অবদান আছে সে জন্য আমি তাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। বাবাকে যে দেখিয়ে নেবো বানান আর ব্যকরণ সেই সুযোগ ও তো আর নেই বাবাই তো মা কে সাথে নিয়ে চলে গেলো!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। খুব উৎসাহ পেলাম! হাসি

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

তথাস্তু। আপাতত আরও ভয়াবহ কিছু একটা নিয়ে লিখছি। আগামী দুই দিনে কেউ না লিখে ফেললে কিছু একটা পাবে। আপাতত এই ঘন্টার মাঝে কিছু নামাই।

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার লাগলো। লিখতে থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!

-ভ্রম

bhromoman@gmail.com

মামুন হক এর ছবি

চমৎকার লাগলো। আরও লিখুন। আপনার লেখা পড়ে মায়ের কথা মনে পড়ল খুব।

সমুদ্র এর ছবি

চমৎকার করে লিখেছেন, একটানে পড়ে ফেললাম। হাসি
স্বাগতম সচলে।

"Life happens while we are busy planning it"

s-s এর ছবি

মেয়ে তুমি চমতকার লেখো! আমাদের সবার কিশোরবেলাটাই কি একদম এক? কতখানি কপি-পেস্ট করা দেখেছো? আর ভ্রম একটা সুন্দর নাম, দ্বার বন্ধ করে দিওনা, ভ্রমটাকে রুখতে গিয়ে। ভালো থেকো।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনার লেখা আসলেই চমৎকার লেগেছে- একটানে পড়ে ফেললাম। দারুণ। আরো লিখুন না, আশায় থাকলাম...।

---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

ভুতুম এর ছবি

চমৎকার লাগলো আপনার লেখা। অনেক অনেক লিখুন আরো।

আর আপাতত উইশ ইউ ও্য়্যার হিয়ার শুনতে থাকুন। আশা করি খুব শিঘ্রী আবার মায়ের সাথে মিলতে পারবেন।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

দময়ন্তী এর ছবি

চমত্কার
-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আপনার মা এই লেখাটি পড়লে জানতে পারতেন তার মেয়েটা দূর প্রবাসে বসে কি রকম মিস করছে মা-কে।
কে বলবে আপনার মা-ও হয়তো আপনাকে ঠিক একই রকম মিস করছেন! কে জানে তিনি হয়তো প্রতিদিন সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাতে আপনার জন্যে কেঁদেকেটে একাকার হচ্ছেন! কে জানে হয়তো প্রতিদিন আপনার বাবাকে আপনার মায়ের অভিসম্পাৎ শুনতে হচ্ছে! মা কে সঙ্গে নিয়ে চলে যাওয়া আপনার স্বার্থপর বাবাটাও খুব গোপনে লুকিয়ে লুকিয়ে আপনার জন্যে প্রতিদিন কাঁদছেন কি না কে জানে! জীবন বড় জটিল।

কামনা করছি—শিগগিরই আপনার কাছে ফিরে আসুক আপনার প্রিয় মা।
লেখা খুবই সুন্দর হয়েছে। কিপিটাপ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার সহজ-সরল-সাবলীল বর্ণণা ভীষণ ভীষণ কিউট লাগলো।
লিখতে থাকুন। হাসি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা
ভ্রম,সচলায়তনে স্বাগতম!

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

চমৎকার একটা লেখা চোখ এড়ায়ে গেছিল, আজকে আরেকজনের মুখে শুনে খুঁজে বের করলাম ... খুব ভালো লাগলো চলুক
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।