লাট সাহেবের তিন ঠ্যাং ও আমার বন্ধু...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১১/০৯/২০০৯ - ১১:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেয়ের নাম ধরে নিন ডানা, আর ছেলের নাম সে ও ধরে নিতে পারেন আপাতত আমি একটা দিয়ে দেই কারন গল্পে নায়ক নায়িকার নাম থাকাটা অনেক ক্ষেত্রেই আবশ্যিক। সুজন দেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে আজ প্রবাসে পড়ালেখা করছে। পরিচয় ডানার সাথে সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই, বন্ধু হিসাবেই ছিল, কিন্তু কাছের বন্ধুদের মনের কথা আমাদের অজানা থাকেনা আর সেটা যদি ভালবাসার কথা হয় তাহলেতো অবশ্যই থাকেনা। ভালবাসার শুরুটা বন্ধুত্ব দিয়েই হয় কিন্তু ডানার আগুন ঢালা রূপের কাছে এবং তার অনেক ভাল রেজাল্টের কাছে সে ভালবাসা প্রকাশ হলেও কোনদিন ভাষা খুজে পায় নাই। পাস করবার আগেই বিয়ে হয়ে যায় ডানার, কোটিপতি স্বামী, অনেক বড় চাকুরী সদ্য পাশ করা সুজনের কাছে হিমালয়ের মতই মনে হয়, সত্যিই তো এত কিছুর সামনে সে দাঁড়াবে কি ভাবে। ছোট্ট হৃদয়ে যে ভালবাসা অনেকদিন ধরে বুনন করেছে তা প্রাচুর্য্যের সামনে ম্লান না হয়ে উপায় কি। অনেক কাছের বন্ধু তারপর ও আত্ম আবমাননার গ্লানি ডানার বিয়েতে তাকে যেতে দেয়না। পরবাসে পড়তে আসবার আগে একবার দেখাও করতে পারেনি। দেশ থেকে আসবার সময় দীর্ঘ নিঃশ্বাসের সাথে একটা কথা বাহির হয়ে আসে , হায়রে প্রাচুর্য্য!

প্রাচুর্য্য সুখ আনতে পারেনা এটা হয়ত সত্য কিন্তু এমনটা আশা করেনি সুজন , সে চেয়েছিলো ডানা সুখে থাক কিন্তু উপরের লেভেল এ হিসেবটা মনে হয় অন্য ভাবে চলে তাই বিয়ের কিছুদিনের ভেতর ডানার ডিভোর্স হয়ে যায়। সুজনের খুশি হবার কথা কি? কিন্তু না কান্না পায় তার, হাউমাউ করে কাদেঁ, কেন তার ভালবাসার মানুষটা এভাবে ঠকে চলেছে? ডানার কষ্টে কান্না পায় সুজনের কিন্তু ডানা তখন ও স্বাভাবিক। আশ্রয়ের জন্য আবার ছুটে আসে সুজনের দিকে। হাত বাড়িয়ে দেয় সুজন, ভাবে এইবার হয়তো পাইলাম , থেমে যাওয়া স্বপ্নগুলো আবার কথা বলতে শুরু করে।

মানুষের অনেক স্বপ্ন কাছে এসে আবার সরে যায় আর আমাদের মত দেশের মানুষের কাছেতো সেটা নিত্যদিনের মত, কিন্তু তারপর ও কিছু স্বপ্ন থাকে সরাটা বুক জুড়ে, অনেক কষ্টে থাকলে ও সেই স্বপ্ন গুলো তাকে সজীব থাকে সাহায্য করে। না, আমাদের দেশের মানুষ গুলোও আগের মত আর নেই এরা আজ মৃত মানুষের রক্ত চুষে বের করতে চায়। কিছু বুঝে উঠবার আগেই ডানা বিয়ে করে আমেরিকা প্রবাসী আরেকজনকে। এটা ও নাকি তার প্রেমের বিয়ে! সুজন আকাশ থেকে পরেনা, কারন যতটুকু চেনে ডানাকে ততটুকুর ভেতর এ বেপারটা অত্যন্ত স্বাভাবিক, কিন্তু একবার বলতে ও তো পারত নাকি মনে করেছিল সুজন বিয়ে ভেঙ্গে দেব। না, স্রষ্টা তাকে এতটা ক্ষমতাবান করেন নাই, ক্ষমতা থাকেলে ডানা তার কথা একবার অন্তত ভাবতো কিন্তু না সে নিজেই অক্ষম। কিন্তু তার পর ও নিজের বুকের ভেতরের আগুনের বার বার জ্বলে আবার নিভে যাওয়া তাকে আর কষ্ট দেই। কিন্তু প্রকাশে ক্ষমতাও এবারও নেই।

মনের মাঝে উঁকি দেয় মুজতবা আলির সেই পন্ডিতের কাহিনী "লাট সাহেবের কুকুরের গল্প, তার আটজনের পরিবারে মাসিক বেতন যদি ২৫ টাকা হয় তাহলে তা লাট সাহেবের কুকুরের কয়টা ঠ্যাঙ্গের সমান?"। কথাটা সুজনের এক বন্ধু তাকে মনে করিয়ে দেয় আর সেটা হল, "বাংলাদেশে একজন মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেলে তাকে ধরা হয় অর্ধেক পচেঁ গেছে এবং পরবর্তীতে তার আর ভাল পাত্র পাওয়া কঠিন" সুজনের বন্ধু সুজনকে বলে "ডানা যেহেতু তোকে একবার ডিভোর্স হবার পরে ও বিয়ে করলো না তাহলে তুই একবার ডানা কে প্রশ্ন করে দেখে তার কত বার ডিভোর্স হলে তুই তাকে বিয়ে করবার যোগ্য হবি"। টাকা পয়সা এক সময় সবার-ই হয় অথবা না হলেও একজন প্রতিষ্ঠত মেয়ে কেন একজন অপ্রতিষ্ঠিত ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে না। সুজন নিজেও তাকে সব কিছু দেওয়ার ক্ষমতা রাখে কিন্তু অভাব শুধু প্ররাচুর্য্যের।

সমান অধিকারের প্রশ্ন বার বার-ই ঘুরে ফিরে আসে, আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত মেয়েদের এরকম কবে হবে যখন একজন পুরুষ একজন তার চেয়ে বেশি যোগ্যতার একজন মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে। আমাদের দেশের মেয়েদের কল্পনাতে কি এই রকম পুরুষ আসে কখনো স্বামী হিসাবে তা আমার জানা নেই তবে আমার বন্ধুকে দেখে মনে হয়েছে না এ রকম আসে না। তবু ও ডানারা সুখে থাক , আমরায় জ্বলে মরি মর্ম বেদনায়।

গরীব
সাউথ কোরিয়া


মন্তব্য

যন্ত্র এর ছবি

মনে হচ্ছে এই ডানা আমাদের পরিচিত কেউ। অবাক করা মিল!

অতিথি লেখক এর ছবি

"গল্পটি পুরোটায় কল্পনা প্রসূত...কোন কারনে কারো বাস্তব জীনের সাথে মিলে গেলে তার জন্য লেখক কোন ভাবেই দায়ী নয়"

গরীব
মোস্তফা

মূলত পাঠক এর ছবি

ডানা যে সুজনকে বিয়ে করেনি তার একমাত্র কারণ সে যথেষ্ট উপার্জনক্ষম নয়, এই স্বতঃসিদ্ধটা পাওয়া গেলো কীভাবে? টাকাপয়সা নিয়ে যে ছেলের এমন বাজে কমপ্লেক্স যে প্রেমোচ্চারণ অবধি করে উঠতে পারে না পছন্দের মেয়েটির কাছে, তার বাতিল হবার কারণ একাধিক। যেমন,
১। সে ভীতু,
২। ঐ পূর্ববর্ণিত কমপ্লেক্স,
৩। খুব সুপুরুষ কিছু নয় নিশ্চয়ই নইলে গল্পে ডানার রূপের প্রশংসা থাকলেও তার চেহারা নিয়ে কোনো কথাই আসে নি, সে ঘাটতি মেটাতে তার ভাণ্ডারে আর কোনো গুণ আছে কি না তারও উল্লেখ দেখলাম না। ছোকরা ভালো নাচতে গাইতে জানে? রাঁধে কেমন? ঘরদোর গুছিয়ে রাখে? শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ভাঙিয়ে তো হবে না, সে তো ডানাও পড়েছে সেখানে, অন্ততঃ গল্প পড়ে সেই রকমই মনে হলো।
৪। ভালোও সে কদ্দূর বেসেছে মেয়েটিকে তা নিয়ে সন্দেহ হয়, নইলে প্রেমাষ্পদকে নিয়ে লাটসাহেবের কুকুর-ঘটিত বদরসিকতা তার মনে ধরে কীভাবে।

সব চেয়ে বড়ো কথা, বেড়ালের কপালে শিকে ছঁিড়লো না, এ জন্য শুধু শুধু মেয়েটিকে দোষ দেওয়া কেন। যে পোস্টের জন্য আবেদনপত্রই পাঠানো হলো না সে চাকরি যে জুটবে না তাতে আশ্চর্য হওয়া যায় কি? বরং একটি মেয়ে বিবাহবিচ্ছেদের পরেও যে আবার জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে পারছে সমাজের এই প্রগতি দেখে আমি যারপরনাই আহ্লাদিত। এ গল্পের পজিটিভ দিক এটাই, যদিও বলাই বাহুল্য লেখকের অভিপ্রায় সেটা দেখানো ছিলো না।

ভুতুম এর ছবি

চলুক

---------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি গল্পটা পড়েন নাই ভাল করে, সুজন নয় তার বন্ধু তুলনা করেছে কুকুরের ঠ্যাঙ্গের সাথে। আবার আপনি ডানার বিয়ে নিয়ে অনেক আনন্দিত কিন্তু গোড়ঁমী আপনার ও কম নেই আপনি সুজনের রূপ কেমন জানতে চেয়েছেন যার অর্থ প্রাচুর্যের সাথে এবার রূপটা ও আবশ্যক। আপনি লেখার উদ্দেশ্য থেকে সরে গেছেন, আপনি আপনার জীবনে কত জন মেয়েকে দেখেছেন যাদের যোগ্যতা ছেলের চেয়ে বেশি, যদি বিয়ে করে ও থাকে তবে সেই মেয়ে কতটুকু সমালোচনার স্বীকার হয় সেটার বেপারে ও আপনার কোন জ্ঞান নেই মনে হচ্ছে। আমাদের দেশটা এখন এখানে ছেলে বলতে মেয়েরা যা চায় সেটা হল ধনবান, ৬ ফিট উচ্চতা, গৌড় বর্ণ, সম্ভ্রান্ত বংশ সাথে ইউরোপ আমেরিকা ফেরত হলে আরো ভাল হয়। আপনার মত একজন আমার গল্প পড়েছে আমি ধন্য।

গরীব
মোস্তফা

মূলত পাঠক এর ছবি

আমি আপনার গল্প যত্ন করেই পড়েছি, মুশকিল হলো আপনিই বরং আমার মন্তব্য "পড়েন নাই ভাল করে"।

"সুজন নয় তার বন্ধু তুলনা করেছে কুকুরের ঠ্যাঙ্গের সাথে।" আমি কোথায় বললাম সুজন তুলনা করেছে? পড়ে দেখুন আবার।

আমার গোঁড়ামী (যাকে আপনি সযত্নে 'গোড়ঁমী' লিখেছেন) নিয়ে দু কথা বলা যাক। আমি সুজনের রূপ কেমন জানতে চেয়েছি "অর্থ প্রাচুর্যের সাথে এবার রূপটা ও আবশ্যক বলে"। এই অর্থ প্রাচুর্যের সাথে রূপ কথাটা ভুল হয়ে গেলো না? তার অর্থ প্রাচুর্য নেই এমনটাই তো লিখেছিলেন, "সাথে" মানে তো অতিরিক্ত, রামের সাথে সুগ্রীব আসে কোত্থেকে যদি রামই না থাকে? সে তো যাক বাক্যবিন্যাসের ভুল, কিন্তু মোদ্দা কথাটা হলো কে কী চায়। সুজন ও ডানা পড়াশোনায় সমান-সমান না হলেও হতে পারে তবে তুলনীয়, একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে তারা। ডানা অতিশয় সুন্দরী, সুজন উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। সে ঘাটতি সুজন পোষাবে কী দিয়ে এটা জানতে চাওয়া গোঁড়ামী হলো কেন? ডানা তো তার প্রেমে পড়ে নি, কোনো অঙ্গীকারও করে নি তাকে বিয়ে করবে বলে। না কি আপনার মতে করা উচিত ছিলো, ছোকরা অর্থে-রূপে-গুণে অসফল বলে তাকে সান্ত্বনা পুরস্কার দিতে? তাহলে খুব একটা মহৎ ব্যাপার হতো, ধন্য ধন্য পড়েও যেতো, গোঁড়ামীর আর কোনো অভিযোগও করার থাকতো না, কিন্তু ব্যাপারটা কী পরিমাণ বালখিল্য হতো সেটা বলার অপেক্ষা রাখে কি?

প্রেমঘটিত বিয়ে না হলে সবাই চায় যতোটা ভালো পাওয়া যায়, এতে ছেলে মেয়ের পার্থক্য কোথায় পেলেন? বেশি শিক্ষিত বা সুন্দরী মেয়ে তার চেয়ে সফলতর ছেলে খোঁজে, ঠিক যেমন সফল কদাকার ছেলেও ফুটফুটে কনে নিয়ে আসে।

"আমাদের দেশটা এখন এখানে ছেলে বলতে মেয়েরা যা চায় সেটা হল ধনবান, ৬ ফিট উচ্চতা, গৌড় বর্ণ, সম্ভ্রান্ত বংশ সাথে ইউরোপ আমেরিকা ফেরত হলে আরো ভাল হয়।" ঠিক কথা, পাওয়া গেলে মেয়েরা তাই চায় হয়তো। তাতে দোষটা কী? ঠিক যেমন কুচ্ছিত নির্গুণ ধনী ছেলেরাও রূপসী বিদ্বান সদ্বংশের মেয়ে চায়, সাথে নাচ কি গান জানলে আরো ভালো হয়।

যে ছেলে প্রেমের কথা মুখ ফুটে বলে উঠতে পারে নি এই ভয়ে যে তার অর্থপ্রাচুর্য কম, টাকাপয়সা নিয়ে মাথাব্যথাটা তারই বেশী। সময়কালে বললে হয়তো মেয়েটি রাজি হতো (যদিও এমন লজ্জাবতী ছেলেকে মেয়েরা পছন্দ করলে তার অনেক পুণ্যের ফলেই সেটা হবে), কিন্তু সে কথা না বললেও মেয়েটি ছুটে আসবে তার কাছে এমন ক্যারিশমার পরিচয় কি সুজন দিয়েছে? তারপরে তার যদি হাতে-রইলো-পেন্সিল দশা হয় তো তার দোষ সবটাই তার নিজের। এখন দুই বন্ধুতে বসে মেয়েটিকে নিয়ে খেউড় করা ছাড়া তার করার বিশেষ কিছু যে নেই তাতে আর আশ্চর্য কী!

অতিথি লেখক এর ছবি

মোদ্দা কথা হল এই , যেই সমাজে একজন প্রতিষ্ঠিত নারী একজন অপ্রতিষ্ঠিত পুরুষকে বিয়ে করতে চায় না সেই সমাজ এ নারীর সম অধিকারের এত আন্দলন কেন? দেশে পুরুষরা কি তাহলে আমাদের দেশের অপ্রতিষ্ঠিত মেয়েদের বিয়ে করে ভুল করছে ? যদি আপনি বলেন পুরুষরা মেয়েদের দাবিয়ে রেখেছে? তাহলে আমার প্রশ্ন পুরুষদের উপরে তুলেছে কে? নারী কি পুরুষের ২০০০ বছর পর পৃথিবিতে এসেছে নাকি? আমাদের দেশের নারীদের সমস্যা হচ্ছে তারা তৃপ্ত না অথবা সমাজ তাদের কে বাধ্য করছে এই সব করতে।

"""আমাদের দেশটা এখন এখানে ছেলে বলতে মেয়েরা যা চায় সেটা হল ধনবান, ৬ ফিট উচ্চতা, গৌড় বর্ণ, সম্ভ্রান্ত বংশ সাথে ইউরোপ আমেরিকা ফেরত হলে আরো ভাল হয়।" ঠিক কথা, পাওয়া গেলে মেয়েরা তাই চায় হয়তো। তাতে দোষটা কী? ঠিক যেমন কুচ্ছিত নির্গুণ ধনী ছেলেরাও রূপসী বিদ্বান সদ্বংশের মেয়ে চায়, সাথে নাচ কি গান জানলে আরো ভালো হয়।""

দেশে এই সংখ্যা খুব-ই কম কিন্তু এখানে একটা মিল আছে...ধনবান কথাটা আপনার দেয়া নির্গুন ছেলেটার আছে। নিজের ফাদঁএই পরে গেলেন মনে হচ্ছে তাই না।

বাক্যের বিন্যাসে কোন ভুল নেই, ভুল শিক্ষা পেয়েছেন আপনি জীবন এ তাই সরল কথা গুলো আপনার কাছে এত খারাপ লাগছে মনে হয়, অথবা বুঝতে পারছেন না।

"এমন ক্যারিশমার পরিচয় কি সুজন দিয়েছে? "

আশ্রয়ের জন্য আবার ছুটে আসে সুজনের দিকে। হাত বাড়িয়ে দেয় সুজন, ভাবে এইবার হয়তো পাইলাম , থেমে যাওয়া স্বপ্নগুলো আবার কথা বলতে শুরু করে।

বুঝেছেন ক্যারিশমা?? নাকি আরও বোঝাবো?

"এখন দুই বন্ধুতে বসে মেয়েটিকে নিয়ে খেউড় করা ছাড়া তার করার বিশেষ কিছু যে নেই তাতে আর আশ্চর্য কী!"

আপনি একটা নির্মমতাকে চোখ বুঝে সাপোর্ট করছেন , আশ্চর্য হবার ও কিছু নেই, পুরুষ শাসিত এ সমাজে পুরুষের কষ্ট যে খেউর হবে সেটা তো নির্ভাবনায় বলা যায় কারন কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম "পুরুষ কিভাবে বাচেঁ তা কেবল পুরুষ ই জানে" আমাদের ঐ দেশটাতে কোনদিন পুরুষের কষ্ট স্থান পায় নাই পাবে ও না যত কষ্ট সব নারীর অধিকারে...অবমাননার গ্লানি বয়ে বেড়ানোর দায়ীত্ব আমাদের নিজের এবং সবার অজান্তে আর তাই কাছের একজনের কষ্টের সমবেদনা জানানো ও এই সমাজে পাপ আর সেই পাপের পাপে দুষ্ট এইবার সুজনের বন্ধু। তার পর ও সুজনের সেই বন্ধু চায় সুজন আরও ভালো একজন মানুষ হোক , বেচেঁ থাকুক সে আমাদের মাঝে, কারন তার মত বন্ধু খুব কম মেলে এই ধরাতলে...

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনে মিয়া আর কিছু না বুঝলেও যদি স্টাটিস্টিকস ব্যাপারটা বুঝতেন তাহলে এতো কথা বলতে হতো না। আমাদের সমাজে নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলা হয় কারণ আপনার ডানার মতো মেয়ে ১% থাকলে নির্যাতিতা আছে তার বহু বহু গুণ। ঐ ১% আপনাকে (বা আপনার বন্ধুকে) দাগা দিয়ে থাকলে (যদিও সে ব্যাপারটাও খোলসা হলো না এখনো) সে দোষে গোটা নারীজাতি তুলে গাল পাড়লে লোকে আপত্তি জানাবেই, সে আপনার পছন্দ হোক আর নাই হোক। আর তার উত্তরে খেপে গিয়েছেন দেখে খুবই হতাশ হলাম। ভাষা/বানান/টাইপো ইত্যাদি নিয়ে ছাড় দিতে পারি কিন্তু গুছিয়ে তর্কটাও যদি না করেন তাহলে আর কী বলি! আবার একবার ধরে ধরে যুক্তির ফাঁকগুলো দেখানো যায়, কিন্তু তাতে ফল বিশেষ ফলবে না বোঝা গেছে। কাজেই ক্ষান্ত দিলাম।

শুধু ভবিষ্যতের জন্য একটা কথা, পাবলিক ফোরামে লিখলে পাঠকের মতামত নিয়ে এতো ক্ষেপে গেলে মুশকিলের কথা। সেক্ষেত্রে লেখার উপরে ডিসক্লেমার লিখে দিতে পারেন, "মন্তব্য গৃহীত হয় না"।

তানবীরা এর ছবি

বাংলাদেশে একজন মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেলে তাকে ধরা হয় অর্ধেক পচেঁ গেছে এবং পরবর্তীতে তার আর ভাল পাত্র পাওয়া কঠিন"

এ ধরনের বক্তব্য অত্যন্ত আপত্তিজনক। গল্পটির বক্তব্য অত্যন্ত একপেশে দৃষ্টিভঙ্গীর, সীমাবদ্ধ বিশ্লেষন। দুঃখিত লেখকের সাথে একমত হতে পারলাম না, পাঠকদার বক্তব্যের সাথে একমত পোষন করছি।

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সুধীর  এর ছবি

আমি আফনেরে কই আসল সমস্যা কি ।

সুজন এত পচা গদ্য-পদ্য ল্যাখে যে ডানা সারাজীবন হেইডা শুনার কথা ভাইবা ভয় পায়।

এরশাদ মিয়াও যখন এস, এম হলে আছিল, কেহ তার রুম-মেট এই কারণে হৈতে চাইত না। আমার মনে হয় কবিকন্যা বিদিশা তার কোবতের কড়া সমালোচনা করাতেই ছাড়াছাড়ি ।

আমাগো বিজ্ঞান মন্ত্রী শওকত ওসমানের পোলা ইয়াফেস ওসমানও নিজেরে কবি সমঝে, আর হুনসি হগল বিজ্ঞান কনফারেন্স উদবোধন কইরতে গিয়ে চাইর লাইনের অখাদ্য স্বরচিত ছড়া শুনাইয়া মানুষরে উত্যক্ত করে। লোকে সেই সময় নিজেরা বাতচিত করে।

ক্যাপ্টিভ অডিয়েন্সের যুগ আর নাই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

গল্পের বক্তব্যের দুর্বলতাগুলো মূলত পাঠক খুব চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন।

গল্পে তথ্যবিন্যাসের দুর্বলতা বা অপ্রতুলতা নিয়ে কিছু বলি। মেয়েটি বা ছেলেটি দুজনের সম্পর্কেই যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে, তা তাদের যোগ্যতা বুঝানোর জন্য সম্ভবত যথেষ্ট নয়। যেমন, ছেলেটির যেন একমাত্র যোগ্যতাই দেশের সবচেয়ে বড়ো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া! মেয়েটির যোগত্য সম্পর্কেও স্পষ্ট বলা নেই, যদিও ইঙ্গিত রয়েছে যে তারা সহপাঠী। বড়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়াটা যদি হাইলাইটেড হতে পারে, তাহলে যোগ্যতা হিসেবে স্ট্যাবলিশড হওয়াটা কি দোষ করলো?

মনের কথা অজানা থাকে না; কিন্তু অজানা কথাটি কি কখনো বলা হয়েছে? কোনো কমিটমেন্ট হয়েছে? বলা না হলে, কমিটমেন্ট না থাকলে ঘটনাটা যতোই দুঃখের হোক, তা নিয়ে অভিযোগ চলে না। সবচেয়ে অমার্জনীয় হলো, একবার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে দ্বিতীয়বার যখন সে মেয়েটির সাথে ঘনিষ্ঠ হয়, তখন কেনো একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটে?

মূলত এ দুর্বল দিকগুলোর কারণে গল্পের নায়ক পাঠকদের সহানুভূতি পায় না, তার কষ্টকেও পাঠক হিসেবে খুব একটা উপলব্ধি করা যায় না।

গল্পের নায়কের সাথে বাস্তবে দেখা হলে, তাকে তার পাশের জগতটাকে আরেকটু চোখ মেলে দেখতে বলতাম। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটপ্রাপ্তিই জীবনের জন্য সবকিছু অটোমেটিক্যালি বয়ে নিয়ে আসে না। এটা হয়তো আত্মবিশ্বাস যোগায়, তবে জীবনের পথ খুবই পিচ্ছিল, এখানে সার্থক হতে গেলে বর্তমানের ওপরে দাঁড়িয়ে অনবরত 'কাজ' করে যেতে হয়। একবার ঢিলা দিলেই খেল খতম।

বক্তব্যে দ্বিমত থাকলেও পোস্টের বিষয়টার জন্য ৪ তারকা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।