সারা মাস চিৎকার কইরা ঘুমের বারোটা বাজাইছে, আর এখন আইছে টাকা লইতে। টাকা না দিতে চক দিয়া দরজার ওপরে ক্রস দিতাছে আর পিছনের একজন ছোট্ট একটা কাগজে টুইকা রাখছে বাসার নম্বর। খোদাই জানে এই লিষ্টি দিয়া হালখাতা করবো নাকি দেনার দায়ে রাস্তায় ধইরা রগ কাটবো?
রোজার মাস এলেই পাশের মাদ্রাসার ছাত্ররা মাঝ রাত থেকে শুরু করে দল বেঁধে যন্ত্রণা সং গীত (বানান ঠিক আছে)। উদ্দেশ্য একটাই রোজাদারদের ঘুম ভাঙ্গানো। সেই সাথে শুরু করে আশেপাশের সব মসজিদ থেকে মাইক দিয়ে ডাকাডাকি- আর ঘুমাইয়েন না রাত এখন দুইটা তিরিশ মিনিট, ঘুমাইয়েন না রাত এখন তিনটা-----। চলতে থাকে এই আওয়াজ ভোর ছয়টা পর্যন্ত। সারাদিন রোজা রেখে ক্লান্ত মানুষ একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারেনা এদের জন্য।
প্রযুক্তির এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। হাতে হাতে এখন মোবাইল ফোন। সব মোবাইল ফোনেই আছে ঘড়ি আর এলার্ম সিষ্টেম। রোজাদাররা তাদের ইচ্ছেমত উঠবে। মাঝ রাত থেকে সব মানুষের ঘুম ভাঙ্গানোর কোন দরকার আছে বলে মনে হয়না। যদি চেহরীর শেষ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটা হয় তবে মাঝ রাত থেকে কেন এই ডাকাডাকি ? চেহরি খেতে তো দুই বা আড়াই ঘন্টা লাগেনা। এর মাঝে অন্য কোন কারণ আছে নাকি? তাদের হয়ত কাজ কম দিনে ইচ্ছেমত ঘুমাতে পারে কিন্তু ঢাকা শহরের সব লোক তো আর তাদের মত না। আর আমার কোলের বাচ্চা তো রোজা রাখবে না, তাহলে চিৎকার করে কেন তার ঘুম ভাঙ্গানো হচ্ছে?
রেনেসাঁ
মন্তব্য
ঠিক। আমার অবশ্য এ সমস্যা নাই এখন, রেস্ট্রিক্টের এরিয়াতে থাকি
বানানটা বোধহয় 'সেহরি' হবে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আমার বাসার চারপাশে মসজিদ। কি যে যন্ত্রণা আর দুইটা দিন গেলেই বাঁচি।
আরবি শব্দের বানানে দ্বিমত থাকাই স্বাভাবিক। আর আমার বানানে দুর্বলতা আছে এটাও সত্য।
আরবীতে "চ" বর্ণটি বা তার কাছাকাছি উচ্চারণের কোন বর্ণ নেই। আরবীতে "ছ"-এর কাছিকাছি উচ্চারণের শব্দ হয় তবে "চ" নৈব নৈব চ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
- আরবের লোকেরা অনেক ভালো, চ-বর্গীয় গালি তারা দেয় না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা হা ! এরা কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
যা বলেছেন দাদা, একেবারে নো বলে ছক্কা।
মুসলমানের বুৎপত্তি অর্থ হল- মুচ, ----, মান।
আরবের লোকেরা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। ধন্যবাদ ধুগো।
ধন্যবাদ ষষ্ঠ পাণ্ডব সুন্দর বিশ্লেষনের জন্য। আপনাদের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে।
আপনার অবস্থান সঙ্গত। আমার বিশ্বাস আপনার প্রতিবেশিদের মধ্যেও অনেকে এই ব্যপারে আপনার সাথে একমত হবে। সম্ভব হলে মাদ্রাসায় গিয়ে তাদের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন। এমন সঙ্গত বিষয়ে বুঝিয়ে বললে তারা নিশ্চয়ই সহযোগীতা করবেন।
আমার মনে হয় ফল বিপরীত হবে। আজ সারা রাত মাইক বাজছে। চিন্তা করুণ চার পাঁচটা মাইকের শব্দ যদি কানে আসে ঘুম হয় কিভাবে? এখানে একটা মাদ্রাসায় এসএসসি পরীক্ষা সময় (ফেব্রুয়ারী মাসে) ২দিন ব্যাপী বাৎসরিক ওয়াজ হয় । অনেকেই বলেছে ডেট বদল করতে কিন্তু তারা বলে এই তারিখে তারা দীর্ঘকাল ধরে জালসা করে আসছে তাই ডেট বদল করা সম্ভব নয়। তবে এটা কি পরিকল্পিত?একে মাইকের অত্যাচার তার ওপর তাদের আকথা কুকথা।
আসলে ধর্মীয় শিক্ষা আইন করে বন্ধ করা দরকার।
কোনো সরকারই এই কাজ করে গিয়ানজামে পড়তে চাইবে না, আর ধর্মীয় শিক্ষার সমস্যা না এটা, সমস্যা শিক্ষার উপসর্গে। তবে শব্দ দূষণের ব্যাপারে কঠোর আইন করা দরকার। মাদ্রাসা-মসজিদে ৩৬৫ দিন জলসা হোক, কোনো আপত্তি নাই আমার, কিন্তু মাইক টেনে সেটা আমার কানের কাছে বাজালে আমি রাষ্ট্রের কাছে প্রতিকার চাইতে পারি, এমন কোনো আইন প্রয়োজন। আমি যদি মাদ্রাসার হুজুরের হোগার পিছে মাইক ধরে ব্ল্যাক আইড পীজ এর ড়্যাপ গান শুনতাম রমজানের সময়, উনার কেমন লাগতো?
এটা ২০০০ পার্সেন্ট সত্য আমাদের দেশের কোন সরকারই এই কাজটি করবে না। একদল আঁচলের মধ্যে রাখে জামাত না পায়জামাতে ইসলাম কে আর অন্যদল তো ভোটের ভয়ে মুখ খুলেনা।
আমি যদি মাদ্রাসার হুজুরের হোগার পিছে মাইক ধরে ব্ল্যাক আইড পীজ এর ড়্যাপ গান শুনতাম রমজানের সময়, উনার কেমন লাগতো?
ভাইরে গানে তো একটা সুর-তাল আছে। এই ব্যাটাদের নাই সুর নাই তাল তার ওপর যদি হয় আকথা কুকথা।
দেখবেন এই দেশে শব্দ দুষণ রোধে যদি কোন দিন আইন হয় সেদিনও এই কাজের মাইক এর আওতা বর্হিভূত থাকবে। গত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেখেন নাই সব দলের কর্মকান্ড বন্ধ কিন্তু এই শালারা ঠিকই ইসলামী জালসার নামে সভা সমাবেশ করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ হলেও এই কুত্তার বাচ্চারা ১৯৭৬ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ইসলামী জালসার নামে জামাতের সম্মেলন করেছিল। যে রেসকোর্স ময়দান থেকে বঙ্গবন্ধু '৭১ এর ৭ মার্চ বলেছিলেন- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
ফল বিপরীত হবে কি হবে না সেটা বলা কঠিন। তবে একটু কাঠ-খড় পুড়িয়ে দেখতে দোষ কি? আপনি যখন আমাদেরকে বললেন আমরা সবাই তো বুঝলাম। তারা যে বুঝবে না সেটা ধরে নিয়ে যদি বসে থাকি তাহলে এই না বোঝার বরফ তো কোনমতেই গলবে না। শোনার এবং বলার ধৈর্য যেখানে আছে সেখানেই শান্তিপূর্ণ একত্রে বসবাস সম্ভব। আইন করে, বা খড়গ হাতে সব সমস্যার সমাধান হয়না হয়ত। ওয়াজের ব্যাপারটা আরো ঘোরালো মনে হচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় জমানো বরফ অনেক ভারী হয়ে আছে। সবাইকেই হয়ত সময় নিয়ে পরস্পরের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এইযে আপনি বলছেন তাদের কথা "আকথা-কুকথা" সেটাকে তারা মনে করছে স্বর্গীয় বানী। আমাকে আপনাকে এগুলো বিশ্বাস করতে হবে এমন কোন কথা নেই। কিন্তু এটা "সবার" বোঝা দরকার এবং পরস্পর মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে নর্ম বা গ্রহনযোগ্য বিষয়গুলো ঠিক করে নেয়া দরকার। আপনি যেখানে ভাবছেন "ধর্মীয় শিক্ষা আইন করে বন্ধ করা দরকার" তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন তারা বলবে "ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া অন্য সব শিক্ষা আইন করে বন্ধ করা দরকার"। তাহলে সমাধান কি করে হবে? সংখ্যার ভিত্তিতে, জ্ঞানের ভিত্তিতে, ভোট করে নাকি আপনার ভাষায় আইন করে? আইনের কথাই যদি আসে তবে আইন কাকে সুরক্ষা দেবে। কেবল মেজরিটি কে? সহজ কথা হচ্ছে - সমাজে বৈপরিত্যকে মেনে নিতে হবে যতক্ষন পর্যন্ত সেটা আপনার আমার ব্যক্তি অধিকারকে খর্ব না করে। সেক্ষেত্রে ব্যপারটা একমুখী নয়। সেটাই মূলত বলতে চাচ্ছি।
আচ্ছা, এরকম একটা কথা নাকি আছে হাদীসে- ঘুম হচ্ছে ইবাদতের মতো, ... ?
মাদ্রাসার হুজুররা কি তা জানে না ? সেটা জেনেও যদি এসব কর্ম করে থাকে, তা হলে তাদেরকে আর কী বুঝাবেন !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ঘুম সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদতের একটি। আল্লাহ্ নিজেও কখনও নবীর ঘুম ভাঙ্গাননি। যার প্রমান সুরা মুজাম্মেল।
এই ব্যাটাদের যে কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়া দরকার। রমজানে এই কুৎসিত অসভ্যতা ছাড়াও বছর ভর পাড়ার মসজিদে কোনো এক হুজুরের কাউকাউ বয়ান তার টেনে মাইকে করে সারা মহল্লায় শোনানো হয়। ধর্মগুণ্ডামির এই সশব্দীকরণ আইন করে নিষিদ্ধ করা উচিত। রমজানে আমি সেহরির ওয়াক্তে জেগে থাকবো না ঘুমাবো, সেটা ঠিক করার পূর্ণ অধিকার আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। রমজান-পিকেটারদের ধইরা পুলিশে দেয়া উচিত।
ধন্যবাদ হিমু। আমি কখনই কোন মাদ্রাসা বা মসজিদে দান করিনা আর করবো না, এই ব্যপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
কমবেশী সারা মাস চলতে থাকে এদের এই অত্যাচার। এখন রাস্তায় বের হলেই দেখা যায় মোড়ে মোড়ে মাদ্রাসার জন্য টাকা তোলা হচ্ছে মাইক দিয়ে। এমনিতেই রাস্তার গাড়ির হর্ণে কান ঝালাপালা তার ওপর এই ফকিরের বাচ্চারা। ইচ্ছে করে টান মেরে মাইকের তারতুর ছিঁড়ে ফেলি। আরে বাবা খোদার মাদ্রাসা খোদা রক্ষা করবে তোর এত চিৎকারের দরকার কি? আর আমাদের সাধারণ শিক্ষার পয়সা তোদের খোদার কালাম শিখতে কাজে লাগবে কি না সেটাও তো তোদের ভাবা দরকার।
এই ছাগলা দাঁড়ি শিবিরের বাচ্চাগুলারে যদি একেবারে দেশ ছাড়া করতে পারতাম!
এই সমস্যা বোধ হয় সব ধর্মেই আছে। ছোটোবেলায় পাড়ায় অতি ভক্তদের ঠেলায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হতো, মাঝে মাঝেই অষ্টপ্রহর হরিনাম সংকীর্তন। অষ্টাশি প্রহর কর না, কে বারণ করেছে, শুধু মাইকটা না লাগালেই হয়, কিন্তু সে কথা বললেও শোনে কে!
আজকাল ডেসিবেল-এর মাপ বেঁধে দেওয়ার কারণেই হোক, বা মানুষের ধর্মের নামে বজ্জাতি একটু কমে থাকার দরুণই হোক, অত্যাচার নাকি কমেছে অনেকটা।
আজকাল ডেসিবেল-এর মাপ বেঁধে দেওয়ার কারণেই হোক, বা মানুষের ধর্মের নামে বজ্জাতি একটু কমে থাকার দরুণই হোক, অত্যাচার নাকি কমেছে অনেকটা।
এক ফোটাও কমেনি। আমি যদি একদিন মাগরিবের আজানের ধ্বনি আমার বাসায় বসিয়ে শোনাতে পারতাম তবে বুঝতেন। একসাথে ২০/২৫ টা মাইক আর মাঝে মাঝে আকাশে উড়ে বিমান। কি যে অসহ্য যন্ত্রণা আপনাকে যদি শোনাতে পারতাম।
আমি কোন ধর্মেই বিশ্বাস করিনা তবে মনে হয় ধর্ম মানুষকে ভোঁতা করে দেয়।
আজানের শব্দ যতদূর পর্যন্ত শোনা যায়, ততদূর পর্যন্ত নাকি দ্বিতীয় মসজিদের প্রয়োজন হয় না। এর প্রয়োগ তো দেখি না।
এইটা অতি অতীতকালের নিয়ম, যখন খালি মুখে আজান দেওয়া হইতো। মাইকের যুগে এই নিয়ম পালন করলে তো পুরা ঢাকা শহরে সাড়ে নয়টার বেশি মসজিদ হওয়ার কথা না। কাছাকাছি প্রসঙ্গে ষষ্ঠ পাণ্ডবের এই লেখাটার কথা মনে পড়লো।
যদি খালি মুখে আজানের বিষয়টাও বিবেচনা করেন সেটাও ঢাকা শহরে মানা হয়নি। অন্তত আমার পাড়ায় যে হয়নি সে বিষয়ে আশাকরি কেউই দ্বিমত করবেন না।
আবার দেখেন অফিসে কাজ করে সাড়ে তিন জন, আগে খোঁজ করে , নামাজের রুম কোনটা?জীবনে নামাজ পড়ুক আর না পড়ুক আগে নামাজের রুম চায়। লোকজন একটু বেশী হলেই অফিস বাউন্ডারীতে তৈরী করে মসজিদ। কয়েকদিন আগে এক সরকারী উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অফিসে গিয়েছিলাম আমাদের কথার এক পর্যায়ে তাঁর রুমে ঢুকলেন দুইজন। তাদের দাবী তিন তলায় নতুন যে কয়েকটা রুম হয়েছে সেখান থেকে নামাজের জন্য একটা রুম দিতে হবে। অথচ ঐ অফিসে দোতলায় নামাজের জায়গা আছে শুধু তাই নয় সেই অফিসের সাথে লাগোয়া বিল্ডিংটাও মসজিদ। তারপরেও প্রতিটা তলায় নামাজের জায়গা দরকার। এবং এই ব্যাটারাই বলে- অজুর সময় বিরক্ত করেন কেন? যা দেবার পকেটে দেন।
আমি আসলে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলছিলাম। সেখানে ডেসিবেলের মাপ বেঁধে দেওয়া হয়েছে (মাইক তথা বোম-পটকা-আতসবাজির ক্ষেত্রে), তাছাড়া রাত দশটার পর মাইক বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আশা করি এই নিয়ম আপনাকেও একদিন এই অত্যাচার থেকে বাঁচাবে, তবে সে সুদিন কবে আসবে জানি না। ধর্মের কথা উঠলে সবাই এমন সতর্ক আর সাবধানী হয়ে যায় যে আশা পূর্ণ হওয়া কঠিন ব্যাপার।
আমাদের দেশে এই নিয়ম কার্যকর হবার আশা খুবই ক্ষীণ। আসলে এখানে ধর্মপ্রান মানুষের চেয়ে ধর্মভীরুর সংখ্যা বেশী।
ধর্মভীরু নয়, ধর্মগোঁড়া !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ দাদা।
ভাই আপনে কৈ থাকেন জানি না, তবে আমার পুরান ঢাকায় থাইকা অভিজ্ঞতা আছে! এক্কেরে ১২মাস আল্লাহ-খোদা-কালী-কেষ্টো ....তার উপর আবার মহর্রমের আলী....কানের খৈল কাঁপায়া ছাড়ে !!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ভাই আমি নাখালপাড়ায় থাইকা নাজেহাল হচ্ছি। আমার বাসা থেকে যে কোন দিকে দুই/তিন হাঁটলেই এক বা একাধিক মসজিদ পাবেন।
আমার শ্বশুড়বাড়ি নাখালপাড়া... আমার শ্বশুড়েরও আছে মসজিদ মাদ্রাসা... লোল...
আপনে নাখালপাড়ার কোনঞ্চলে থাকেন? পূব না পশ্চিমে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তয় আন্নে তো দুলাভাই হইয়া গ্যালেন।
আঁই কেবলামুখী... আন্নের শ্বশুরবাড়ী কুনায়?
আমার শ্বশুড়বাড়ি পূবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- উত্তর-দক্ষিণে কেউ নাই?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
উত্তরে যেতে মানা, দক্ষিণে আনাগোনা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
উত্তরে হিমালয় পাহাড় আর দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর। পারলে বাঁকিটা বুইঝা লন।
কানে তুলা নামক বস্তু চিকিৎসটাও কিন্তু ইমার্জেন্সীতে খারাপ না। আমিতো মাথা বালিশ চাপা দিয়ে ঘুমাতাম।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
কানে তুলা দিয়াই এতকাল ছিলাম কিন্তু ধৈর্যের তো একটা সীমা আছে। এত অত্যাচারে কোন মাইনসের মাথা ঠিক থাকে? আজ রাতে একমিনিটের জন্যও মাইকের চিৎকার বন্ধ হয়নি ।
সহমত।
মনামী
শুধু আর্থিক নয় সব ধরনরে সাহায্য বন্ধ করে দেয়া দরকার, এদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
সিলেটে আমরা থাকতাম বিখ্যাত (!) বুলবুলি মাওলানার মাদ্রাসার পাশে । রমজান মাসে অনেক ফতোয়া শিখতাম রাতব্যাপী। বিবি বিষয়ক অনেক ফতোয়া অবিবাহিত অবস্থায় অবগত হওয়ার জন্য এই ওয়াজ কাজে লাগতো সবার।
বিয়া কইরা মাওলানারে কদমবুসি করছেন ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
যা বলেছেন দাদা !
"বিশ্ব যখন এগিয়ে চলে আমরা তখন পিছে
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজি কোরান হাদিস চষে"
এরা sex এবং sexual relation ছাড়া আর কিছুই বোঝেনা। মনে আছে আমার মাষ্টার্স পরীক্ষার আগে একমাস রুম থেকে বের হইনি ফলে খোঁচা খোঁচা দাঁড়িতে মুখ ভরা। একদিন ডাইনিং এ এক শিবির বললো- ভাই দাঁড়িতে আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে, দাঁড়ি শুধু মুখের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করেনা সেক্সও বাড়ায়।
আরিফ ভাই আপনার কাছে বিস্তারিত মন্তব্য আশা করছি।
আপনি দাঁড়ি বিষয়ে কার কাছে মন্তব্য চাইতেছেন ! হা হা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাঁড়ি বিষয়ে তো আপনাকেই গুরু মানতে হয়।
আমার আলহাজ আব্বাজান এই হুজুরদের( ! ) অত্যাচারে প্রায়ই বলেন-
টুপি আর দাঁড়ি
নব্বইভাগ বদের ধাড়ি।।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: দাদার কিন্তু দুটোই আছে।
দাঁড়ি হচ্ছে "।" যতিচিহ্ন। কিংবা দাঁড় বায় যে মাঝি। থোতার চুল হচ্ছে দাড়ি।
মুখের দাড়ি
খিলাল করি
খুশবু ছড়ায় পান,
পেয়ারা পাকিস্তান ।
--দাঁড়ি ধরে মার টান
জামাত-শিবির যাক পাকিস্তান
শুকরিয়া যে রমজান মাস শেষ। এই ভোগান্তি আগামী ১১ মাস আর পোহাতে হবেনা আপনাদের !
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
না ভাই ১১ মাস একটানা সহ্য করতে না হলেও মাঝে মাঝে হবেই। অনেক সময় দেখি এই ব্যাটারা মাঝ রাইতে গজল গাওয়া শুরু করে। শেষ রাতে এটাও বিরক্তিকর। আর ইসলামী জালসা আর জিহাদি জোস তো আছেই!
আমার এইখানে খালি মাইকের ডাকাডাকি। অনেক আগে যেখানে থাকতাম সেখানে পাড়ার ছেলেরা লাঠি শোঠা নিয়ে রাতে বের হতো, চিৎকার চেঁচামেচি করে মানুষের ঘুম ভাঙ্গাতো। এর বিনিময়ে রমজান শেষে টাকার জন্য আসতো। চিন্তা করেন অবস্থা ...
হালার ভাই হুজুরগুলা যখন রাইতে গান গায় মনে হয় জ্বিহবা টাইনা ছিঁড়া ফেলি ...
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
আমারও একই মত-এদের জিহবা কাটা দরকার।
শুধু হুজুরদের দোষ দিলে ভুল হবে। উচ্চ শব্দে প্রচার সঙ্ক্রান্ত পুরো বাঙালি জাতিরই সেন্সের অভাব আছে। মুজিব-জিয়া এদের জন্মদিন-মৃত্যুদিন গুলোতেও সারাদিন সারারাত। পাড়ার মোড়ে মোড়ে কানঝালাপালা করা মিউজিক বাজায়!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এক্কেবারে হাচা কইছেন। আমাদের সিভিক সেন্সের বড্ড অভাব।
প্রায় দিনই আমার ঘুমাতে ঘুমাতে পাঁচটা — সাড়ে পাঁচটা বেজে যায়। সেহরীর এই সামাজিক অ্যালার্ম প্রতিদিনই শুনি। মাঝে মধ্যে জেগে থেকেই চমকে উঠি আচমকা এই বিকট শব্দে। আর সবচেয়ে খারাপ লাগে (যেটা আগের বছরও কয়েকবার হয়েছিলো) যখন এই বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। কয়েক সেকেন্ড বুঝতেই পারি না যে, আমি কোথায় আছি, এই শব্দই বা কোথায়। সুস্থ সবল মানুষই কাবু হয়ে যাই, অসুস্থ কিংবা বৃদ্ধ অথবা শিশুদের কী অবস্থা হয় সেটা ভাবতেই খারাপ লাগে। অনেকেই অনেক আলোচনা, প্রতিকার ইত্যাদির কথা বললেন। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না এতে কোন লাভ হবে না। ব্যক্তির ধর্ম যখন রাষ্ট্রকে গ্রাস করে ফেলে, রাষ্ট্রও যখন একটা ধর্মীয় সত্বার অংশ হয়ে যায়, তখন অনেক লজিক্যাল সিদ্ধান্তও 'হঠকারী', 'ব্লাসফেমি' বলে গণ্য হয়ে। আর বাংলাদেশের সরকারসমূহ যেভাবে উত্তরোত্তর ফ্যানাটিক হয়ে উঠছে, তাতে এই সম্ভাবনা আরও কমে যাচ্ছে।
আমি বরং বলি কী, একটা মধ্যপন্থা বের করা যাক। ওরাও গান গেয়ে মানুষ জাগাক, সাধারণ মানুষও ভোগান্তি না পোহালো। এ ক্ষেত্রে, আমি প্রস্তাব করবো ছায়ানটের ছাত্র ছাত্রীদের নাম
সারারাত ধরে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে মানুষকে তোলা হচ্ছে ঘুম থেকে, ভাবতেই
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
একটা সত্যি কথা বলি। রবীন্দ্রসংগীত শুনলে এমনিতেই আমার ঘুম পায়। ঘুম থেকে জাগাতে যদি রবীন্দ্রসংগীত ব্যবহার করা হয় তাহলে আমার আর ঘুম ভাঙবে না।
অভিজ্ঞতা বলে, চান্দুরা জনপ্রিয় হিন্দি সিনামার সুর কাটুপেষ্টু মারে।
- এতো ঝামেলার কী কাম? হিমুর গান মাইকে ছেড়ে দিলেই হয়। আশি বছরের মরা রুগীও ফাল দিয়া উইঠা বসবো অর গানের চমকে ধমকে। দে হিমু, ঢাকার সব মহল্লার মসজিদে মসজিদে তোর গাওয়া গান গুলা ফরোয়ার্ড কইরা দে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সখী চলো না, সখী চলো না ... রান্নাঘরে এবার যাই চলো না, চলো না ...
হিন্দি বাংলা দুটাই আছে। আগে একবার শুনছিলাম 'পড়েনা চোখের পলক/ কি তোমার রুপের ঝলক' এর প্যারোডি
"পড়েনা নামাজ কালাম
কি করে দিব সালাম?"
ছাইয়া দিল মে আনারে গানের সাথে একদল চ্যাংড়া হুজুরের নাচ, চলবে?
রেনেসাঁ
আমার ছেলের যেদিন জন্ম হয় সেদিন ছিল সবেবরাত। চারিদিকে ফুটছে পটকা, আতশবাজি। আমার স্ত্রীর একটু একটু করে জ্ঞান ফিরছে, চোখ মেলেই বিকট শব্দে আঁতকে উঠছে। ছেলে ঘুমাতে পারছে না। নিজেকে যে কি পরিমান অসহায় লাগছিলো বলে বুঝাতে পারব না।
রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলে ঘুম ভাঙ্গার সম্ভাবনা কম। বরং গাইতে পারে তালাত মাহমুদের গান- ঘুমের ছায়া চাঁদের চোখে এ মধু রাত নাহি বাঁকি
আর বাসা থেকে আমারা গাইবো মমতাজের গান-- আমার ঘুম ভাঙ্গাইয়া গেল মরার কোকিলে
আমিতো গতকাল ধরাম করে তাদের সামনে গেট লাগায় দিলাম! টাকা চাইতে আসছিলো!! রগ কাটবো নাকি পরে
----------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
এতটা সাহস তাদের এই মুহুর্তে নেই। তবে কিছুই কওন যাইনা।
কষ্ট করেন ভাই, একটা মাসই তো। তারপরেই শান্তি। কোনো মতে দাঁতে দাঁত চাইপা কষ্ট সহ্য করে গেলে পরকালে আপনি পাবেন নিশ্চিত জাঝা। আপনার রূহের শান্তি কামনা করছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ আমারে পাগলে পাইছে। এখন কয়েকজন ছাগলাদাড়ির অত্যাচারে ঘুম নষ্ট আর পরকালে বেহেশত পাইলে ৭০টা হুর। ঘুমামু কখন?
কী আর করবেন। সহ্য করেন। আর মাত্র তিন দিন। তারপর একবছরের জন্য শান্তি।
কোথাও শান্তি নাইরে ভাই।
চারিদিকে ডিস্টার্ব...
কবে যে শান্তি পামু !
আগের কমেন্টটা কই গেলো??? ( নয়া আসছি... বুঝে উঠতে পারছি না এখানকার চাল চলন...)
আমার কিন্তু মজাই লাগে। বহুত কিছু শেখা যায়।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হ সোনাও যায় শিখাও যায়!!!!!!!!!!!!১
15 জনে আইসা আম্মার কাছ থেক্যা ২০ টাকা চান্দা নিয়া গেসে... ওইটা ওদের রাত সাড়ে তিন্টার গাওয়া গানের জন্যে। যে যা দিসে,তাই নিসে ...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ক্লাসিক্যাল চর্চা না করলে টাকা বন্ধ।
ফারহানা সিমলা
ধন্যবাদ সত্য উচ্চারণের জন্য। আমি তো ভেবেছিলাম এই সমস্যা আমার একার। এখন তো দেখি মোল্লার জাত গুলো সবার মাথার উপরে উঠে বসছে। কি করা যায় বলেন তো? এই সমস্যা শুধু রমজান মাসের জন্যে নয়, এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে সারা বছর এইসব চলে। আর যখন আজান দেয় মনে হয় মসজিদ গুলোতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে কে কতো জোরে চেঁচাতে পারে। যত্তোসব......
ফারহানা সিমলা
সমস্যাটা আমার আপনার মত অনেকেরই কিন্তু কেউ ধর্মীয় বিষয়ে মুখ খুলতে চায় না। রাস্তায় গাড়ি আর গাড়ির হর্ণ, মসজিদের মাইক, উপর দিয়ে চলে উড়োজাহাজ ও ট্রেন। মঝে মঝে সবগুলো একসাথে শুরু করে। চিন্তা করেন এবার বাস্তব অবস্থা। এর মাঝেই আছি ঢাকা শহরে। প্রত্যেকটা মসজিদই মাইকের একাধিক হর্ণ ব্যবহার করে। মাঝরাতে উঠে শুরু করে গজল। আর তা যে কি উচ্চারণ আর সুর। কাটমোল্লাদের কাছে বলতে গেলেই সেটা ধর্মীয় ইস্যুতে পরিণত হয়। আমরা পরিণত হই নাস্তিকে আর তারা হয় ধর্মের খাদেম। তারপর জুম্মার নামাজ শেষে সুন্নতি লাঠি নিয়ে নামবে রাস্তায়, ঘোষণা করবে মুন্ডুর দাম।
এক মহিলা কিছুদিন আগে তার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাইতুল মোরাকরম মসজিদের পাশ দিয়ে । যাবার সময় বাচ্চাকে বলছেন- মা দেখ এটা আমাদের জাতীয় মসজিদ, এখানেই প্রতি শুক্রবার মারামারি হয়।
ফারহানা সিমলা
"সমস্যাটা আমার আপনার মত অনেকেরই কিন্তু কেউ ধর্মীয় বিষয়ে মুখ খুলতে চায় না। "
কথাটা সত্য কিন্তু মুখ খোলা উচিত আমাদের সকলের। চলুন আপনি আর আমাকে দিয়েই শুরু হোক। আর নাস্তিক্যের কথা বলছেন? আমি ভেতরের অস্তিত্তে বিশশাস করি বাইরের লোক দেখানো কালচারে নয়।
ফারহানা সিমলা
ধন্যবাদফারহানা সিমলা। সহযোদ্ধা পেয়ে আরও সাহসী হচ্ছি, আসুন হাত মেলাই।
ধন্যবাদফারহানা সিমলা। সহযোদ্ধা পেয়ে আরও সাহসী হচ্ছি, আসুন হাত মেলাই।
নতুন মন্তব্য করুন