আত্মনিবেদনের ভঙ্গিতে ঝরা পাপড়ির গালিচায়
তুমি শুয়ে থাকো।তুমি শুয়ে থাকো সূর্যের ফলায়।
বোনিটো মাছের মতো দ্রুত রিনরিন শব্দে বেজে ওঠো।
ওখানে আছড়ে পড়ে পানি সফেন তরঙ্গ ফেনা
তুমি শুয়ে থাক নীল জলাশয়ে হ্রদের সিঁড়িতে
তোমার পা ছুঁয়ে যাবে এককোষী সমুদ্র জীবেরা
তোমার মাথার উপরে ঝরবে বালুকণা অকালের চেরিফুল
তোমার স্খলিত বীজ থেকে তৈরি হবে ভ্রূণ
তুমি শুয়ে থাকো আধোজাগা স্রোতের উপরে।
মাথার উপরে ভাসতে থাকুক পূর্ণিমার চাঁদ
আঁজলায় তুলে নেবে পানি,চুমুকে চুমুকে পান
করে যাবে অহোরাত্রি,প্রাণী থেকে প্রাণীর ভেতরে
পরিব্যাপ্ত হবেই এবারে।
তুমি ফুটে ওঠো কাঠ কয়লায় তুলির আঁচড়ে
গতিশীল শরীরের তলা থেকে তুমি জাগো
প্রেমে ও শীৎকারে
মানব শিশুর জন্য তুমি জাগো পূর্ণ মাতৃরূপে।
মন্তব্য
ভালো লাগলো। আপনার কবিতার বাক্যগুলোর শরতের মেঘের মতো লঘুভার, কোথাও ধাক্কা দেয় না অকারণে।
একটু কৌতূহল হচ্ছে, এই মাছটির কি কোনো বিশেষ তাৎপর্য আছে? নেট ঘঁেটে দেখলাম মাছটি স্নেহময় (-ময়ী?), এর ব্যবহার হয় জাপানি মাছের স্টক বানাতে (দাশি), এবং স্পেনে টুনামাছকে কখনো কখনো বোনিটো ডেল নোরটে বলা হয়। কোনো পৌরাণিক গল্পটল্প আছে নাকি? কবির কাছে ব্যাখ্যা চাইছি না, তবে রেফারেন্স / অনুষঙ্গ ধরতে পারলে কবিতাপাঠের আনন্দ বাড়ে এই কারণেই প্রশ্ন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নেট থেকে আপনি সঠিক তথ্যটিই উদঘাটন করেছেন।এই মাছটির একটি বৈশিষ্ট এই যে গছটি একটি রিদমে মাঝে মাঝে কম্পিত হয়ে এক ধরণের সিম্ফনি তৈরি করে বলে জীব বিজ্ঞানীরা সনাক্ত করেছেন।সেই থেকে উপমা হিসেবে ব্যহৃত।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাঃ, দারুণ তথ্য তো।
কবিতায় চিত্রকল্প তো আসেই, সাথে এমন ছোটো ছোটো জিনিস যখন ঝলকিয়ে ওঠে, পড়ার মজাটা আরো বাড়ে। বিষ্ণু দে'র কায়দায় গ্রীক-রোমান পুরাণ থেকে অনেকেই রেফারেন্স দেয়, বা আর্কিটাইপ আনে ভারতীয় মহাকাব্য থেকে, সে সব চেনা কায়দা। আমার বরং এই কায়দাটা বেশি পছন্দ। পাঠককেও একটু খাটতে হবে বৈ কি, কবিতা স্বয়মাগতা বলে তাকে হেলাফেলা করাটা কোনো কাজের কথা নয়।
আগামীতে এমন কবিতা আরো পড়ার আশা রাখলাম।
ধন্যবাদ!
আপনিও আমাকে আগ্রহান্বিত করে তুলেছেন।
খুব ভালো লাগলো আপনাকে,আপনার মন্তব্যগুলোকে।
ভালো থাকুন,নিরন্তর।
ভালোলাগাটুকু জানিয়ে গেলাম। আপনার আরো কবিতা পড়তে চাই।
অশেষ ধন্যবাদ।
আপনার অনুপ্রেরণা আমাকে অনুপ্রাণিত করছে।
চমৎকার লাগল।
অজস্র ধন্যবাদ!।
নতুন মন্তব্য করুন