অবশেষে বোরখা খুলল!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২১/০৯/২০০৯ - ১২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অবশেষে বোরখা খুলল চায়ের দোকান! পার করলাম আরও একটি বিরক্তিকর মাস । যে যেভাবেই দেখেন না কেন রোজার মাসটি আমার অপছন্দের মাস। সাধারণ মানুষের জন্য অজানা এক আতংকের নাম রমজান মাস। সংযমের নামে যম এসে ভর করে এই মাসে। যার যার ধান্দায় সে সে ব্যস্ত হয় এই মাসে।

দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টার- রোজার পবিত্রতা রক্ষা করুণ, দিনের বেলা পানাহার থেকে বিরত থাকুন, হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ রাখুন আরও কত কি। কেন হোটেল রেস্তোরা বন্ধ রাখতে হবে? এদেশে রোজা কি প্রতিটা মানুষের জন্য বাধ্যতামুলক? যদি তাই হয়, কে করলো এই আইন? রোজা রাখা না রাখা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।

দেশে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের লোক বাস করে। তাদের ওপর তো রোজা ফরজ নয়। শিশু, বয়স্ক, রোগী যারা রোজা রাখতে পারেনা তাদের খেতে হবে অথচ মাইকিং করে, পোষ্টার লাগিয়ে অথবা অন্য উপায়ে চাপ সৃষ্টি করা হয় হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ রাখার জন্য। আমি খাব, আমি বিল দেব, তোর এত মাথাব্যথা কেন? ধরে নিলাম এদেশের বেশীরভাগ মানুষই রোজা রাখে তাই বলে বাঁকিদের ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর খবরদারি করার অধিকার কেউতো তাদের দেয়নি।

রোজার মাস এলেই হঠাৎ করে পুরো জাতি রাতারাতি মুসলমান হয়ে যায়। মনে হয়না আমরা বাংলাদেশে আছি । চিরচেনা এই দেশটির রুপ মুহুর্তেই বদল হয়ে যায়। চারিদিকে তথাকথিত ঈমানদারদের ছড়াছড়ি। রোজা আছেন কিনা, কেন নেই, রোজা না থাকলে পরকালে কি হবে নানান প্যাচাল কানের পোকা মাড়িয়ে ছাড়ে। বিশেষকরে রোজার প্রথম সাতদিন তো খুবই ভয়ানক। কোথাও একটা চায়ের দোকানও খোলা থাকেনা। বাড়তি পাওনা হিসাবে যোগ হয় রোজাদারের মুখের গন্ধ। উহফ্. . . (সোয়াইন ফ্লুর মাস্ক এবার একটু বাচাইছে)

কিছৃ বিষয় মেনে নিতাম যদি দেখতাম এই ঈমানদাররা তাদের নিজেদের ঈমানের পরীক্ষা দিচ্ছে। রোজার মাসে সত্যিকারের সংযম প্রদর্শন করছে। রোজার মাসে চুরি, পকেটমার, ছিনতাই, ঘুষ, চাঁদাবাজি কি বন্ধ থাকে? দ্রব্যমুলের বাজার কি স্থিতিশীল থাকে? গরীব কি পেট পুরে খেয়ে রাতে ঘুমাতে পারে? এসিড নিক্ষেপ, খুন, ধর্ষণ, মিথ্যাচার, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, খাদ্যে ভেজাল দেয়া কি বন্ধ থাকে? নারী কি নিশ্চিন্তে পথে বের হতে পারে? পরুষের লোলুপ দৃষ্টি থেকে নারী কি দুরে রাখতে নিজেকে পারে ? কখনই না। তবে কিসের সংযম প্রদর্শন করে এই দেশের রোজাদাররা? অন্য যে কোন মাসের তুলনায় আইন শৃংখলার অবনতি হয়, রেকর্ড পরিমান ঘুষ লেনদেন হয় এই মাসে। ঈদের শপিং নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। রোজার মাসকে সংযমের মাস বলা হলেও প্রতিটা সেক্টরই অসংযমী হয়ে উঠে এই মাসে। আসলে রোজার মাসেই এদেশের মুসলমানদের সত্যিকারের চেহারা বেরিয়ে আসে।

রেনেসাঁ

tareq.mahamudএ্যাটইয়াহুডটকম


মন্তব্য

ফজলুল কাদের এর ছবি

আপনার লেখার প্রায় পুরোটার সাথেই একমত। অনেক অপ্রিয় সত্য অকপটভাবে প্রকাশ করেছেন। যদিও অনেকেই আহত বোধ করতে পারেন।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

হ্যাঁ ভিন্নমত তো থাকবেই। কাউকে আহত করার জন্য আমার এটা পোষ্ট দিইনি। আমি শুধু সত্য কয়েকটা কথা বলার চেষ্টা করেছি মাত্র।

মূলত পাঠক এর ছবি

পাঁচতারা দাগিয়ে গেলাম! তবে শুধু ব্লগে নয়, দৈনন্দিন জীবনে এই স্বর শোনাবে কে?

অতিথি লেখক এর ছবি

"বন্ধু গো বড় বিষজ্বালা এ বুকে,
তাই দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি
যাহা আসে কই মুখে।"

রেনেসাঁ

বালক এর ছবি

ভাবছিলাম এরকম একটা পোস্ট দেবো, আপনিই দিলেন।
পোস্টে উত্তম জাঝা!
_____________________________________________
"যে কথায় কবিতা জন্মাতো সে-কথার শিরায় শিরায় বিষ, এক-একটা কথার ছোবলে কবিতার খাতা পুড়িয়ে দিস..."

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

না বালক মন খারাপ করবেন না। আপনার নিকট থেকে লিখা আশা করছি। ভালো থাকবেন।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

অবশ্যই জোড়াজুড়ির বিষয় নয় এটা।
ভালো থাকুন। দেশের শীর্ষ শয়তানগুলা হজ্জ, ওমরা এইগুলান বেশি বেশি করে, দেখেন না?!!

ধর্ম দিয়ে 'মানব'কে কতোটা 'মানুষ' বানানো সম্ভব সেটা আমারও প্রশ্ন।

হাসি

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

জোরাজুরি তো পরে ধর্ম জন্মগত হওয়াও ঠিক নয়।

ধর্ম দিয়ে মানুষ বানানো সম্ভব হলে মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত একজন হলেও ভাল মানুষ দেখতে পেতেন।

ভ্রম এর ছবি

আপনার লেখার সাথে একমত।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ ভ্রম।

নন্দিনী [অতিথি] এর ছবি

ভন্ডামীর যেনো কোন সীমা পরিসীমা নেই রে ভাই ...
ব্লগে হলেও লিখে যান এসব ধর্মের নামে ভন্ডামীর কথা...
আমার একেক সময় চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে
দেশ কি তোদের বাপের তালুক???

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ নন্দিনী ।
ছোটবেলায় বকধার্মিক শব্দটার সাথে যখন পরিচিত হলাম তখন খুঁজতাম বক ধার্মিক কারা। এখন দেখি এদেশের বেশীরভাগ মানুষই বকধার্মিক।

দ্রোহী এর ছবি

কী আর করবেন বলেন? এই জিনিস মনে হয় না আদৌ বদলাবে!

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

বদলাবে নিশ্চয়ই তবে সময় লাগবে। শিক্ষার সাথে ধর্মের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটা আমুল পরিবর্তন দরকার।

সোয়াদ [অতিথি] এর ছবি

রোজাদারদের জন্য হালাল টুথপেস্টের ব্যবস্থা করা যায় না কি কোনোভাবে? রমজান মাসে রোজাদার বান্দাদের সাথে কথাবার্তা বলতে গেলে রীতিমতো ম্যাট্রিক্স এ নিও-র বুলেট এড়ানোর মতো করে এঁকেবেঁকে মুখের দুর্গন্ধ এড়াতে হয়।

অবশ্য এও হতে পারে যে রোজাদারদের মুখ থেকে সুগন্ধই বেরোয়; আমি পাপী বান্দা, তাই আমার কাছে দুর্গন্ধ মনে হয়। কবরের আজাবের মতো আর কি।

রায়হান আবীর এর ছবি

হে হে হে। এইটারে কয় বেহেশতি গন্ধ। বুঝেন অবস্থা ... দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

আর লোভ দেখাইয়েননা ভাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা হালাল বললে ওরা তো শুনবে না। একটা কাজ করা যেতে পারে, গু আজম-খালেদার ছবি দিয়ে একটা হারবাল প্রডাক্ট তৈরী করা যেতে পারে। লোগো হিসাবে সহিদুল্লাহ জিয়ার ছবি দিলে মন্দ হবেনা।

হয় শুনছি ঐ দেইখ্যা নাকি খোদায় রোজাদার সনাক্ত করবে।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

মেজাজ খ্রাপ কইরেননা। চলেন বিড়ি টাইনা আসি চোখ টিপি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

এক্ষুনি ভাবছিলাম যাবো.... চলেন চলেন.......

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

প্রায় একই ধরণের মনোভাব পোষণ করি। পরিবর্তনটা ভেতরে দরকার, বাইরে লোক দেখানো আচরণে নয়...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

অনিকেত এর ছবি

কিছু চেনা কিন্তু অকথিত বিষয় উঠে এসেছে আপনার এই লেখায়।

আপনার অনুভূতির সাথে আমার অনুভূতি প্রায় সমান্তরাল। ধর্ম পালন নিয়ে এই রকম বাড়াবাড়ি আমার মনে হয় না কেবল পড়াশোনা বা তথাকথিত শিক্ষার বিস্তার দিয়ে প্রশমিত করা সম্ভব। এই ব্যাপারটা আমাদের মনে অনেক দিন ধরে গেড়ে বসে আছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গীর আগাগোড়া রদ-বদল না করলে এই সংস্কৃতি থেকে মুক্তি নেই।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ অনিকেত |এই ভাবনাগুলো আমার নতুন নয়। ছোট বেলা থেকেই এরকম হাজার প্রশ্ন জাগে।

ধর্ম আমাদের দেশে সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি বোধহয় আর অন্য কোন দেশে হয়নি। ঢাকা শহরে অনেক বাচ্চাকেই একইসাথে নাচ, গান আর আরবী পড়ানোর শিক্ষক দেয়া হয়। এভাবে অজান্তেই চরিত্র গঠনের নামে আমরা আমাদের কত বড় সর্বনাশ করে যাচ্ছি।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ সুহান রিজওয়ান।

মুখ মে শেখ ফরিদ
আর বগলমে ইট..... এই নীতিটাকে প্রচন্ড ঘৃনা করি।

রায়হান আবীর এর ছবি

লেখায় জাঝা


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ রায়হান আবীর। আপনাদের প্রেরণা এই বিষয়ে আরও লিখতে আমাকে অনুপ্রানিত করবে ।

রণদীপম বসু এর ছবি

সবকালেই ধর্ম ছিলো শাসন ও ব্যবসার নিরাপদ হাতিয়ার। একালে এসে এই হাতিয়ারটা অনেক বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। আগে মানুষের অজ্ঞতা বা সারল্যের কারণে বিশ্বাস জনিত যতটুকু ধর্মীয় বোধ আপাত নির্দোষভাবে কাজ করতো, এখন তা সরে গিয়ে ভণ্ডামির রাজত্ব কায়েম হয়েছে।
খাবার দেখলে যার সংযম ঠিক থাকে না, সে সংযমী নয়, বাহ্যিক ভেকধারী। মন থেকে সংযমবোধ লালন করলে খাবার মুখের সামনে তুলে দিলেও তো সংযম নষ্ট হবার কথা না। সংখ্যাগরিষ্টতার জোরে চাপিয়ে দেয়া অনৈতিকতায় কোন ধর্ম থাকে না। অন্য ধর্মাবলম্বীরা যে একটানা দীর্ঘ উপবাস বা একাদশী পালন করেন, কই, তাদের তো কোন খাবার প্রদর্শনীতে নিয়মিত সংযমে সমস্যা হয় না !
গায়ের জোরে ধর্ম পালন বা পালন করতে বাধ্য করার মধ্যে কোন ললিত মুগ্ধতা নয়, বিরক্তি বা ঘৃণাই ছড়ায়। ধর্ম নামক বস্তুটির যে বিদায়-ঘণ্টা বাজছে, তা এর চাপিয়ে দেয়া আচার-অনাচার দেখলেই বুঝা যায়।

রেনেসাঁ-কে অভিনন্দন, মুখ ফোটে কথাগুলো বলার জন্য।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পলাশ [অতিথি] এর ছবি

খাবার দেখলে যার সংযম ঠিক থাকে না, সে সংযমী নয়, বাহ্যিক ভেকধারী। মন থেকে সংযমবোধ লালন করলে খাবার মুখের সামনে তুলে দিলেও তো সংযম নষ্ট হবার কথা না

একমত।

অন্য ধর্মাবলম্বীরা যে একটানা দীর্ঘ উপবাস বা একাদশী পালন করেন, কই, তাদের তো কোন খাবার প্রদর্শনীতে নিয়মিত সংযমে সমস্যা হয় না !

অন্য ধর্মাবলম্বী বলতে কাদের বুঝিয়েছেন? অন্য ধর্ম বলতে যদি হিন্দু ধর্ম বুঝিয়ে থাকেন তাহলে তুলনাটা যৌক্তিক মনে হলনা।
দীর্ঘ উপবাস বা একাদশী থাকলেও সেখানে নিশ্চয় ‍৩০ দিনের নিয়মিত সংযম করতে হয়না।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

দীর্ঘ উপবাস বা একাদশী থাকলেও সেখানে নিশ্চয় ‍৩০ দিনের নিয়মিত সংযম করতে হয়না।

ভুল হলে ক্ষমা করবেন, আমি যেটুকু জানি অন্যকোন ধর্মেই একটানা ৩০ দিনের সংযম বা উপবাসের বিধান নেই। তাই বলে তাদের বিষয়গুলোকে খাটো করে দেখবার অবকাশ নেই। তারা কখনই আপনার হাতে সিগারেট দেখলে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসবে না। এটাও সংযমেরই একটা অংশ যেটা আমাদের মাঝে অনেকক্ষেত্রেই নেই।

আসলে আমাদের দেশের কিছু মানুষ যতটা না ধর্ম পালন করে তার চেয়ে ধর্মকে হাতিয়ার হিসাবে বেশী ব্যবহার করে ।

পলাশ [অতিথি] এর ছবি

তাই বলে তাদের বিষয়গুলোকে খাটো করে দেখবার অবকাশ নেই

খাটো করে দেখার মত কিছুতো এখানে বলিনি। শুধুমাত্র তুলনা করার জন্য দেখয়েছিলাম ব্যাপারটা। মুসলিমদেরও তো কিছু নফল রোজা আছে (মহররম ও সম্ভবত ঈদুল আজহার আগে পরে) এই রোজাগুলোর খবর অন্য ধর্মের লোকদের জনা তো দুরের কথা, মুসলিমদেরও আনকেই বুঝতে পরেনা, কারন খুব কম সময়ের জন্য এইগুলো থাকে(২/৩ দিন) ধার্মিক মুসললিমরা কিন্তু ঠিকই এই রোজাগুলো রাখে অন্যদের কোনপ্রকার বিরক্ত না করেই।

তবে রণদার সাথে আমি একমত, মনের সংযম-ই হচ্ছে আসল সংযম, সেটা রোজা ৩০ দিনের হোক আর ২/৩ দিনের হোক।
আত্ম সংযমের জন্য রমজানে সবচেয়ে বেশী জোর দয়া হয়েছে, এই জিনিসটা না থাকলে পুরা রমজানের উদ্দেশ্যটাই বৃথা।

তারা কখনই আপনার হাতে সিগারেট দেখলে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসবে না

অতি সরলীকরন হয়ে গেল না? আমি যা বুঝলাম মুসলিমরা সবাই আপনার কথামত তেড়ে আসে, রোজার সময় খাওয়া দাওয়া করতে দেখলে।

আমিতো অনেক সময় রোজার সময় বিভিন্ন ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন University Canteen - এ খাওয়াদাওয়া করেছি, হলের অন্য যারা রোজা রাখতোনা তারাও এখানে এসে খাওয়াদাওয়া করত কোন সমস্য দেখিনি। আপনি কোন জায়গায় বাস করেন জানিনা, আপনার কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে, রমজানে সবাইকে উপোস থাকতে বাধ্য করা হয়। হ্যা কিছু কিছু উগ্র লোকযে তেড়ে আসেনা, তা না, তবে সেটা দিয়েতো সবাইকে এক রকম ভাবতে পারেননা।

আর হিন্দুদের(সবাই না উগ্র হিন্দুদের কথা বলছি) কথাই যদি আসেন, তাহলে একটি ঘটানা বলি যেটা আমি নিজে দেখেছি। চট্রগ্রামের একটা নামকরা Private University-r International হলে ভারতীয় (সম্ভবত কশ্মীর অথবা হায়দ্রাবাদী) ছাত্ররা যখন গরু জবাই করল তাদের কি একটা অনুষ্টান উপলক্ষে, সাথে সাথে নেপালী হিন্দু ছাত্রদের মধ্যে কিছু (সবাই কিন্তু না, খেয়াল করেন) অতিমাত্রায় Sensitive ছাত্র হঠাত ভারতীয়দের আক্রমন করে বসল এবং হলের অনেক মুল্যবান জিনিস ভাংচুর করল। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাইতো হতবাক। পরবর্তীতে বাংগালী ছাত্ররা গিয়ে বুঝিয়ে শুনিয়ে নেপালী ছাত্রদের শান্ত করল । এবার চিন্তা করুন, নেপালে অথবা ভারতে উগ্র হিন্দুদের সমনে গরু জবাই করলে কি হতে পারে।

উগ্রবাদী লোক সব ধর্মেই কমবেশী থাকে, সেটা দিয়ে সবকিছুকে সরলীকরন করা মনে হয় ঠিকনা।

রণদীপম বসু এর ছবি

ভাই পলাশ, তুলনাটা হয়তো সমরৈখিক হয়নি। ধর্মভীরু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যারা ধর্মপালনে খুব আন্তরিক তারা বিচ্ছিন্নভাবে হলেও বছরে ৩০ দিনের বেশিই উপবাস ইত্যাদি ইত্যাদি পালন করে থাকেন। তবে বক্তব্যের টোন আমার এটা নয়। সংযম একটা স্বতন্ত্র বিষয়, খাবারটা এখানে প্রতীকী। এটা একদিনই হোক, আর ত্রিশ দিনই হোক, সংযম সংযমই। আমরা সংযমের মধ্যে কেবল খাবারটাকেই দেখি বলে এটা নিয়ে তথাকথিত ধ্বজাধারীরা বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠে। ওই যে কথায় বলে সামনে দিয়ে মশা গেলেও থাবা দিয়ে ধরে, পেছন দিয়ে হাতি চলে যায়, সেদিকে খবরই নাই !
মনের সংযমই আসল কথা। আর সেটা কি কেবল রমজান মাসেই প্রযোজ্য ? আর আদৌ কি খাবারেও সংযম দেখায় কেউ ? খাবারের তলে রমজান মাসেই সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। প্রায় সবারই দেখি এমাসে এসে ওজনও বেড়ে যায় !
হাত-পা বেঁধে না খাইয়ে রাখার নাম সংযম না, সংযম হওয়া উচিৎ স্বতঃস্ফূর্ত প্রবৃত্তি। আমার খাবার সময় আমার যে বন্ধুটি পাশে বসে নির্মল আড্ডা মারে, তার সংযম যদি এখানে নষ্ট না হয়, তাহলে তার সংযম সুরক্ষার জন্য বাইরে দোকান বন্ধ রাখার কোন মানে দেখি না। রোজা যে রাখছে না, দোকান বন্ধ রেখেও তার রোজা কিন্তু টিকানো যাচ্ছে না, এটা তো হরদম দেখছি আমি !
বস্তুত যারা মন থেকে পালন করেন, তাদের জন্য এসব সমস্যা হয় না, এটাও প্রতিনিয়ত দেখছি। উগ্রবৃত্তিক মানুষগুলোই আসলে সমস্যার।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

মনের সংযমই আসল কথা।

ধন্যবাদ দাদা। সংক্ষেপে খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন।

মানুষ প্রকৃত সংযমী হোক এটাই আমার আপনার কামনা।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা। লেখার পর থেকেই আপনার সহ কয়েকজনের মন্তবের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগলো, এই না হলে রণদা।

দাদা ঐ জুতা জোড়া ফ্যালাইয়েন্না, মাঝে মাঝে হয়ত কাজে লাগতে পারে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে রোজাদার মালিকগন গেলেন ওমরা পালন করতে। ভন্ড আর কত প্রকারের হয়।

পুরো ভারতবর্ষেই ধর্ম একটা ভন্ডামীর পর্যায়ে চলে গেছে। আমিও বিশ্বাস করি -ধর্মের বিদায় ঘন্টা বাজতে আর দেরী নেই।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সহমত! উত্তম জাঝা! চলুক

--------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ দুষ্ট বালিকা ।

তীরন্দাজ এর ছবি

যৌক্তিক ও সত্য আর সেকারনেই সহমত প্রকাশ করছি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ তীরন্দাজ । আমিও অনুপ্রানিত হলাম।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

সরি এই প্রথম কারো লেখা পড়ে আমি ৫তারা দাগালাম না
মুসলমান দেশে থেকে একথা আপনার মুখে মানায় না। খ্রিস্টান প্রধান দেশে থেকে আমি যদি বলি কেন ক্সিসমাস নিয়ে এত মাতামাতি করে সেটা আমার মুখে মানাবে না। আপনার দেশে রোজার মাসে এতো বিরক্ত লাগলে রমজান মাসটা অন্য কোনো দেশে গিয়ে কাটালেই পারেন। আর যারা খারাপ কাজ করে তাদের কাছে রোজার মাস বা অন্য কোনো মাস বলে কোনো ডিফারেন্স নেই। তারা কেন ভাল কাজ করেনা এমাসে সেকথা বলে লাভ নেই। আপনি আপনার কাজ করেন সেটা ভাল বা খারাপ যেটাই হোক দয়া করে রমজান মাসকে এভাবে পাবলিকলি ইনসাল্ট করবেন না।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

মুশফিকা মুমু আমিও দুঃখিত যে আমরা কখনই মুসলমান দেশ চাইনি। এদেশ স্বাধীন হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশ গড়া বা ইসলামী মূল্যবোধকে বিকশিত করা মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ বা উদ্দেশ্য ছিলনা। আমরা কখনই চাইনা এই দেশটি মুসলমান রাষ্ট্রে পরিণত হোক এবং হতেও দেব না।

আপনার দেশে রোজার মাসে এতো বিরক্ত লাগলে রমজান মাসটা অন্য কোনো দেশে গিয়ে কাটালেই পারেন।

আপনার মন্তব্যটি আমার কাছে দায়িত্বহীন মনে হয়েছে। এদেশ আমার আপনার সবার। দেশের কোন নাগরিককেই আপনি এই কথাটি বলতে পারেন না।

দয়া করে রমজান মাসকে এভাবে পাবলিকলি ইনসাল্ট করবেন না।

আল্লাহ কোরানে বলেছেন-তোমরা জেনেশুনে সত্যকে গোপন করোনা। সুতরাং সত্য প্রকাশ করে আমি ঠিক কাজটিই করেছি।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

সরি টু বি রুড বাট আপনার কোনো কথার সাথেই আমি একমত না। ইনফ্যাক্ট আপনার লেখা পড়ে প্রচন্ড রকমের মেজাজ খারাপ হয়েছে, আপনার রিপ্লাই দেখে আরো বেশি, যাইহোক আমি নিজে ধার্মিক না, সাংঘাতিক রকমের সিনফুল কিন্তু ধর্ম নিয়ে কেউ নেগেটিভ কিছু বললে সেটা ভাল লাগেনা। আপনি আপনার নিজের কথা প্রকাশ করেছেন, আমি আমারটা করলাম, এন্ড ওফ স্টোরি।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

উনার মন্তব্যের কোনো কথাকেই তো ভুল মনে হচ্ছে না। হাসি

১ নম্বর পয়েন্ট, বাংলাদেশের জন্ম ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে না। কারেক্ট।
২ নম্বর পয়েন্ট, কাউকে ১ মাস দেশ ছাড়তে বলার বিষয়টা ঠিক না। এই জিনিসটা ইসলামেই নাই। এটা করতে হলে নবী (সাঃ ) কে যারা হিজরত করতে বাধ্য করেছিলো, তাদের সাথে আপনার অ্যাটিটিউডের পার্থক্যটা কোথায় রইলো?
৩ নম্বর পয়েন্ট, রমযান মাসকে ইনসাল্ট করা। এখানে উনার পোস্টের মুখে দুর্গন্ধের ব্যাপারটি যে ধর্মের সাথে রিলেটেড না, এটা বুঝিয়ে বললেই তো হয়। আর এখানে আত্ম অনুসন্ধানের কিছু ব্যাপার আছে। রমযান মাসকে ইনসাল্ট করার বিষয়টি কিন্তু অতি ধার্মিকেরাই সামনে এনে দেয়। নামায, রোযা এগুলা মুসলমানের জন্য ইবাদত; কিন্তু অমুসলিমদেরকে এটার জন্য যাতে বিরক্ত না হতে হয়, সে ব্যাপারে মুসলমানদেরকেই সতর্ক থাকতে হবে। একই কথা খাটে দুর্গাপুজায় কারো বাড়ির সামনে গিয়ে সমানে ঢাকঢোল পিটিয়ে উত্যক্ত করার ক্ষেত্রেও। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্নপূর্ণ বিষয়টি হলো, আল্লাহ কিন্তু মুসলমানদেরকেও নামায পড়তে বা রোযা রাখতে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বলছেন না, যার ইচ্ছা পালন করবে, যার ইচ্ছা পালন করবে না। হিসাব-নিকাশ আমার আপনার কাছে দিতে হবে না, রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছেও দিতে হবে না। আল্লাহই তাঁর বিষয়টা হ্যান্ডেল করবেন। এখন, রোযার মাস এলেই খাবারের হোটেল বন্ধ করে দিতে হবে বা বোরখা পরিয়ে মাহে রমযানের সো-কলড পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে, নাইলে পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যাবে, এই বিষয়গুলো আল্লাহ আমাদেরকে বলেছেন, নাকি আমরাই মনমতো বানিয়ে ধর্মের নামে চালাচ্ছি, এটা খিয়াল করতে হবে।

এর বাইরে রোযার মাসকে বিরক্তিকর বানানোর জন্য আমাদের আচরণই দায়ী। যে মাসে আল্লাহ বলেছেন সংযম সাধনের কথা, সে মাসেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, বাহারী ইফতারী পার্টি দেয়া হয়, ঈদের সময় কেনাকাটা, ছিনতাই, লঞ্চডুবি, ধান্দাবাজি সবকিছু বেড়ে যায়। এই জিনিসগুলা যে ইসলামের আচরণ না; বরং ইসলামে রোযার উদ্দেশ্যের সাথে কন্ট্রাডিক্টিং তা বুঝায়ে না বললে তো আন-পড় পাবলিক ভাববে, রোযা একটা গযবের মাস।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ অছ্যুৎ বলাই সুন্দর আলোচনার জন্য।
আমি যে টুকু জানি, রোজাদারের মুখে দুর্গন্ধের ব্যাপারটি ধর্মের সাথে রিলেটেড। তবে সব কিছুর উর্দ্ধে এটা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার ব্যাপার।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

মুমু যে কোন বিষয়ে যৌক্তিক আলোচনা হলে সেখান থেকে একটা ভাল পরিসম্পাতি আসতে পারে। আমি হয়ত আপনার মত কে বিশ্বাস করিনা কিন্তু শ্রদ্ধা করি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করি। আসুন অযথা উত্তেচিত না হয়ে যৌক্তিক ডিবেট করি।

সবজান্তা এর ছবি

আপনার দেশে রোজার মাসে এতো বিরক্ত লাগলে রমজান মাসটা অন্য কোনো দেশে গিয়ে কাটালেই পারেন।

এই অংশতে আপত্তি জানালাম।


অলমিতি বিস্তারেণ

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ সবজান্তা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার মন গড়া উত্তরের সাথে একমত হতে পারলাম না। কিছু অনিয়ম আছে, সেটা স্বীকার করি, তাই বলে রোজার মাস বিরক্তির মাস এটার সাথে একমত হতে পারলাম না।

কিছু সামাজিক অসংগতি তুলে ধরেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।

দলছুট।
=========
বন্ধুর হব যদি হাত বাড়াও।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

আমার লেখা মনগড়া হলে আপনার নিকট থেকে সঠিক লেখা প্রত্যাশা করছি। রমজান মাস ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে বিরক্তিকর, সবার কাছে বিরক্তিকর বা সবাই রমজান মাসকে পছন্দ করে এরকম কোন কথাই আমি বলিনি।

সবাই যদি ব্যক্তিস্বার্থের উর্দ্ধে উঠে এই মাসে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করে তাহলে আমিও এমাসকে নিয়ে গর্ববোধ করব। সেই সুদিনের প্রতীক্ষায় রইলাম।

মঞ্জুর এর ছবি

আপনার দেশে রোজার মাসে এতো বিরক্ত লাগলে রমজান মাসটা অন্য কোনো দেশে গিয়ে কাটালেই পারেন।--মুশফিকা মুমু

আরো সহনশীল মন্তব্য কাম্য। লেখার সাথে দ্বিমত থাকতেই পারে, তার কারণে লেখককে নির্বাসিত করতে চাইবার প্রতিক্রিয়া নিঃসন্দেহে বাড়াবাড়ি।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ মঞ্জুর।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখার অনেকটুকুর সাথেই একমত, কিন্তু পুরা জিনিস টা কিছুটা খাপছারা, একপেশে।
"কেন হোটেল রেস্তোরা বন্ধ রাখতে হবে? এদেশে রোজা কি প্রতিটা মানুষের জন্য বাধ্যতামুলক? যদি তাই হয়, কে করলো এই আইন? রোজা রাখা না রাখা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।" - দোকান বন্ধ রাখাও কিন্তু দোকানির নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কোনো আইনের কারনে সে দোকান বন্ধ রাখে না।আপনি একটা সিগারেট টান্তে পারছেন না, তার চেয়ে ওই দোকানির কিন্তু সারাদিনের ব্যাবসা মার যাওয়াটা অনেক বেশি significant. তবুও সে রাখছে, নিজ বিশ্বাসের খাতিরে।

অবশ্যি অনেকেরই রোজা রাখাটি ভন্ডামি। চুরি, বাটপারির ত আছেই, সারা বছর ফরজ নামাজ এর খবর নাই, ঈদ এর নামাজ এ মসজিদে জায়গা হয় না। আজকে আবার তাও হয় নাই, কারন বৃষ্টি। ধর্মের কল আসলেই বাতাসে নড়ে, সাথে বৃষ্টি থাকলে ত কথাই নাই।

আর মুখের গন্ধ, কি করবেন আর, গালের গন্ধে দিনে হাফ ডজন মাছি না মরলে ত খাটি কাঠমোল্লা হওয়া যায় না। রোজা বিষয় না, যার মুখে গন্ধ, সে এম্নেই খবিশ। কোথাও, দাঁত রেগুলার মাজলে, মাউথওয়াশ ব্যভার করলে রোজা হাল্কা হয়, এমন নির্দেশনা দেখি নাই কখনো।

ভন্ডামি আমাদের জাতীয় চরিত্র, অনেক কিছুর মত রোজাতেও তাই প্রকাশিত।

সংসপ্তক

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ সংসপ্তক। ভালো লাগলো আপনার যুক্তিগুলো।

দোকান বন্ধ রাখাও কিন্তু দোকানির নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
অবশ্যই দোকানীর ব্যক্তিগত ব্যাপার তবে তাকে চাপ প্রয়োগ করা ঠিক না।

সিরাত এর ছবি

Bhai eiguli kintu long term cultural shift er bepar, ebong shei shift hochcheo, inevitably but slowly, ei ar ki.

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ সিরাত। কেমন কাটছে দিন? লেখাতে ছবি দিচ্ছেননা কেন?

তানবীরা এর ছবি

সবাই সব বলে ফেলেছে তাই আমি শুধু সত্যকথনের জন্য সাধুবাদটুকু রেখে গেলাম। আমাদের অনেকের মনের প্রতিফলন ঘটেছে, এ লেখাটায়।

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রেনেসাঁ‌ এর ছবি

ধন্যবাদ তানবীরা ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মুখের দুর্গন্ধের ব্যাপারে রোজাদার-ননরোজাদার কোনো সমস্যা না, এখানে পরিচ্ছন্নতাজ্ঞানটাই সমস্যা। রোজা রাখলে দাঁত ব্রাশ করা যাবে না, ধর্মে এরকম কোনো জবরদস্তি নাই।

খাবারের দোকানে বোরখা টানানোর বিষয়টি ভুক্তভোগীদের জন্য খুব বিরক্তিকর। এটি করা হয় মূলত কিছু অতি উৎসাহী সিজনাল ঈমানদারের খবরদারির কারণে। অনেক দোকানিই কাজটি স্বেচ্ছায় করে না, করে বাধ্য হয়ে। তবে সিলেট শহরে একবার রোজার মধ্যে গিয়ে দেখেছিলাম, শুধু বাইরের বোরখাই না, পুরা ভিতরেও স্টিলের আন্ডু পরানো। সারারাত জার্নি করে সকাল বেলা দেখি উপোস দেয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই। পরে ইউনির হলের ক্যান্টিনে গিয়ে সে যাত্রায় জান বাঁচাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ রেনেসাঁ, আপনার সাহসী লেখার জন্য।
তবে আপনি নিজ ব্লগে না লিখে 'অতিথি কলামে' লেখেন কেন? আগের লেখাটাও 'অতিথি কলামে' লিখেছিলেন বলে মনে পড়ছে। সাহসী লেখা লেখেন ঠিকই, কিন্তু সামনে আসতে ভয় কেন ভাই?

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

রেনেসাঁ‌ এর ছবি

ধন্যবাদ ফিরোজ জামান চোধুরী পিছন থেকে সাহস দেবার জন্য।

আমি ভাই সচল এ এখনও সদস্য পদ পাইনি তাই অতিথি লেখক হিসাবে লিখছি। আমি সামনা পিছন বুঝিনা, সত্য কথাটা সব জায়গাতেই বলতে পারি। সদস্যপদ পেলে আমার নিজ নামেই এই রকম লেখা দেখতে পাবেন, ছদ্দবেশ পছন্দ করিনা।

ভয় কি রে তোর ভয় কারে
দ্বার খুলে দিস চারধারে।
রবীন্দনাথ ঠাকুর

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমার কষ্ট কমিয়ে দিলেন। এই কথাগুলোই লিখি-লিখি করছিলাম।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

আমি তো ছন্নছাড়া মানুষ যা মুখে আসে তাই বলে ফেলি। আপনার লেখা অনেক মান সম্পন্ন।
ইশতিয়াক রউফ আপনার নিকট থেকে লেখা প্রত্যাশা করছি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সংযমের মাস আধেক যাইতে না যাইতেই যে হারে কেনাকাটার ধুম পড়ে, তাতে তো সংযমের সংজ্ঞা নিয়াই বিপুল সন্দেহ তৈয়ার হয়া যায় মনের ভিতরে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

মুলধনের মত সংযমের একটা নতুন সংজ্ঞা দেন ধুগো।

রেনেসাঁ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।