আমি তখন প্রাইমারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ি। ক্লাসের সবচেয়ে দুর্ধষ ছেলে। কাকে মারতে হবে, কার গাছের আম পারতে হবে, কার গায়ে বিছুটি লাগিয়ে দেব, পিটির লাইন ঘোরার সময় কাকে কাকে ল্যাং মারব এই সব নিয়ে আমি খুব ব্যস্ত। কোন কারন ছাড়াই দিনের পর দিন আমি স্কুল কামাই দেই এবং এতে আমার বাড়িতে মায়ের লাকড়ির মার থেকে শুরু করে সারাদিন দড়ি দিয়ে বেধেঁ রাখার সব ওষুধ যখন আমাকে আমার রাস্তা থেকে ফেরাতে পারে না সেই সময় আমার স্কুল সহপাঠি এসে খবর দিল ক্লাসে শহর থেকে এক নতুন মেয়ে এসেছে, মাথায় চরম বুদ্ধি এবং কেহই তার সাথে টক্কর দিতে পারছে না। সুতরাং বন্ধু মহলের ইজ্জতের জন্য আমার যদি বিন্দু মাত্র মায়া থাকে তাহলে যেন আমি শীঘ্রই স্কুলে যাই। আমি গিয়ে দেখি ঘটনা সত্য। আমার যা অস্ত্র আছে, তার আছে আমার গুলোর ঠিক বিপরীত গুলো। যেহেতু এক বন এ দুই বাঘ থাকতে পারে না তাই আমার সাথে তার যুদ্ধ লেগে গেল। সে ক্লাসের প্রথম হইয়া চতুর্থ শ্রেনীতে উঠলো এবং আমি আমার ছয় বছরের বড় খালাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে কোন রকমে তরী পার হলাম। আমাদের মারা মারি পিটির সময় খুব ভাল জমত। ল্যাং মারা বাদ দিয়ে লাইন ভেঙ্গে গিয়ে মারামারি। অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীর ভিড়ে আমরা অধিকাংশ সময়-ই স্যার ম্যাডামদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব করতে দুই পক্ষই বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছি তখন। সব বিষয়ে পেরে উঠলে ও লেখাপড়ায় পারছিলাম না তার সাথে কারন বই নামক জিনিসটা আমি পরিক্ষার আগেরদিন ছাড়া ধরতাম না। সুতরাং মেয়েটি সবার চখের মনি আমি সবার চক্ষুশুল হয়ে উঠেতে লাগলাম দিন দিন।
চতুর্থ শ্রেনীর শেষের দিকে আমার গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে পাশের গ্রামের আর একজন শিক্ষক এসে যোগ দেন। কিন্তু তিনি যেই স্কুলে আগে ছিলেন সেই স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর রায়হান নামে এক ছেলে স্যারের এতই ভক্ত ছিল যে সে ও স্কুল পরিবর্তন করে স্যারের সাথে সাথে চলে এলো। আর আমাদের লাভ হয়ছিল এই জন্য যে আমাদের পালে একটা মেধাবী ছেলে এসে জুটলো। রায়হান তার আগের স্কুলের ফার্স্ট বয় ছিলো তাই সে আসা মাত্র তাকে আমরা দলে ভিড়িয়ে নিলাম এবং ঐ মেয়ের নামে কান ভারি করতে লাগলাম। সে যেহেতু অন্য এলাকা থেকে আমাদের এলাকায় পড়তে আসতো তাই আমাদের কথা না শুনলে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিলাম এবং সব কাজে আসলো। মেয়েটিকে যথা সময়ে টক্কর দিয়ে সে পঞ্চম শ্রেনীতে প্রথম হল এবং সেই সুবাদে তাকে আমরা অনেক গুলো পচিঁশ পয়সা দামের আইস্ক্রিম দিয়ে অভিবাদন জানালাম। যেহেতু ক্লাসের নায়কের ভূমিকা আমিই পালন করছি তাই কোন রকম শাস্তি আসলে সেটা আমি ভোগ করতাম ষোলাআনা তাই বন্ধুরা কখনো ছেড়ে যায় নাই। আমি কোন রকম এ সমাপনী পরীক্ষা পাশ করলে ও প্রাথমিক বৃত্তি পরিক্ষা দেবার যোগ্যতার পরীক্ষায় ফেল করে বাড়ি বসে থাকলাম এবং আমার ঐ বন্ধুর সাথে যোগাযোগ অনেক কমে গেল। আমি অনেক দিন তার বাড়িতে গিয়েছি, থেকেছি এবং খেয়েছি। অনেক ভালো একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছিলাম।
হাইস্কুলে উঠে রায়হান থানা স্কুলে ভর্তি হল কিন্তু আমি আমার রাজত্ব ছারতে নারাজ তাই একই মাঠের বিপরীতে অবস্থিত হাইস্কুলে গিয়ে ভর্তি হলাম। বন্ধুত্বের যোগাযোগ বলা যায় সেখানেই শেষ। এর পর কাল ভদ্রে দেখা হয়েছে কিন্তু আলাপ তত জমে নাই। আর হাইস্কুলে উঠে আমি নিজেই চুপসে গেলাম সেই মেয়ের কাছে। তার আলোয় আমাদের স্কুল আলোকিত। সে ভাল নাচ জানত, ভাল পড়ালেখা করত, ভাল পরিবারের একজন মেয়ে হওয়ায় সবার মুখে তার নাম সমাদৃত। একই ভাবে আমার বদনাম সব দিকে ছড়িয়ে পড়ল, ইতর, সারাদিন সিনেমা হলে থাকি, মানুষের গাছের আম পারি, রাতে মানুষকে ভয় দেখিয়ে বেরায় এবং এসবের জন্য আমি মাঝে মাঝেই খুব ধোলাই খেতাম। কিন্তু গোয়াঁর গোবিন্দ আমি বদলাই নাই।
ক্লাস সেভেন এ উঠার পর ঐ মেয়ের বাবা ট্রান্সফার হয়ে বগুড়াতে চলে যায়, আমি আমার প্রতিপক্ষকে হারিয়ে তখন বেকার হয়ে গেছি। সারাদিন তার জন্য মনটা উদাস থাকত, কিন্তু এত কিছুর মাঝে আমার স্কুল কামাই দেওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন না হওয়ায় আমার বাবা উদবিগ্ন হয়ে আমাকে ভর্তি করে দেন বগুড়ার একটা প্রাইভেট স্কুলে। আমি এখানে হোস্টেলে থাকতাম এবং বাবা মা ছাড়া কারো সাথে বের হতে পারতাম না। আমি কিছুটা বন্দী হয়ে পড়ালেখা করতে লাগলাম এবং দীর্ঘদিনের অব্যাবহিত মস্তিষ্ক তখন যা পড়ত তাই মনে থাকতো , এবং যেহেতু আমার বাহিরে যাবার কোন রাস্তা ছিলনা তাই অগত্য পড়ালেখায় মনোনিবেশ করলাম।
বাড়ি আমি যেতাম শুধু বিশেষ বিশেষ ছুটিতে তাই রায়হানের সাথে আর দেখা হয়নাই ভালমতো। আমাদের পৃথিবী আলাদা হয়ে পড়ে। আমরা তিনজন বেড়ে উঠি তিন পৃথিবীতে। কবে দেখা হবে আবার আমরা জানতাম না। আমি দিন দিন পড়ালেখায় ভাল হয়ে উঠেতে থাকি কিন্তু অন্য পাশের কোন খবর পাইনা। তাই নিজের মাঝের তাদেরকে প্রতিপক্ষের ভূমিকায় রেখে গড়ে তুলি নিজেকে।
বুয়েটে ভর্তি পরিক্ষায় চান্স পেয়ে আমি রাজশাহী গেলাম ভর্তি পরিক্ষা দেবার জন্য। সেখানে গিয়ে শুনলাম ঐ মেয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছে (আমি বগুড়া গেলে শুরুতে আমার অতিমেধার কারনে স্কুলের স্যার আমাকে এক ক্লাসে দুইবার রাখার সিদ্ধান্ত নিলে আমার বাবা অমত করেন নাই আর এই জন্য মেয়েটি আমার এক বছরের সিনিয়র হয়ে যায়) এবং নাট্যকলাতে। সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে ভাল দেখালেও আমার কেমন জানি মনে হল সে একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আবার বুয়েটের ছাত্র আমি সেই অহংকারে বুকের ছাতি ফুলে গেল, ভাব সেদিনের সেই গাধা ছাত্র ও এক সময়ের প্রতিপক্ষকে এমন অবস্থায় দেখে নিশ্চয় খুব খুশি হবেনা এবং ভেতর ভেতর জ্বলে মরবে। সেখানে গিয়ে তার সাথে যোগাযোগ না করতে পাড়লেও ঠিকানা রেখে এলাম, এই ভেবে যে সে হয়তো যোগাযোগ করবে। পরে তার সাথে আমার অনেক যোগাযগ হয়েছে এবং আমরা দুইজন এখন খুব ভাল বন্ধু। সেদিনের সে শত্রুতা আমাদের আজকের বন্ধুত্বকে আরো গারো করেছে। সেদিন মিথ্যা অহংকারে ভেবেছিলাম সে ভুল বিষয়ে পড়ালেখা করছে, কিন্তু দিন দিন সেই অহংকারগুলো ভেঙ্গে পড়তে লাগলো। আমি বুঝলাম আমি অনেক ভালো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে আমি হয়ত একদিন অনেক পয়সা রোজগার করবো কিন্তু সে যেরকম মানুষ হয়েছে তেমন মানুষ কি কোনদিন হতে পারবো। দেশ চিন্তা, সামাজিকতা, কালচার, সাহসিকতা, ব্যাক্তিত্ব বোধ , সামাজিক মূল্যবোধ সব কিছুতে সে আমাকে এমন ভাবে ছাড়িয়ে গেছে যে আমার এতদিনের সব প্রচেষ্টা আর একবার তার সামনে নতজানু হল। বুঝলাম এ মেয়ে আমাকে সারাজীবন হারিয়েই যাবে, বিধাতা আমাকে এমন কোন ক্ষমতা কোনদিন দেবেনা যা দিয়ে আমি আমার এই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পারি। কিন্তু এ পরাজয় আমাকে লজ্জিত করেনাই, আমি তার জন্য গর্বিত। ইবসেনের নাটকের দুর্দান্ত পরিবেশন দেখলাম তার, মনে হচ্ছিল মঞ্চে এই যে মেয়েটি অভিনয় করছে, আমি তাকে চিনি, সে আমার ছোটবেলার বন্ধু, আমরা একসাথে বড় হয়েছি। আজকের জাতীয় নাট্যমঞ্চে সে অভিনয় করছে দেশ বিদেশের কত মানুষ তার অভিনয় দেখছে , কত হাততালি...তার সন্মানে কত মানুষ উঠে দাঁড়িয়েছে। আমিও আর একবার উঠে দাড়ঁলাম আমার বন্ধুকে সন্মান জানানোর জন্য।
বুয়েটে প্রথম বছর মুকিদের গোলাগুলিতে বুয়েট বন্ধ হয়ে যায়। বাড়ি গিয়ে আমার কোন কাজ ছিলনা, তাই বসে বসে সারাদিন কার্ড পিটাইতাম। আমার এক গ্রামের বন্ধুর কাছে কেনো জানি প্রশ্ন করলাম রায়হানের কি খবর। সে বলল আর বলিস না “সে এখন শিবিরের অনেক বড় নেতা” আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেমনে? নতুন করে পুরান গল্প শুনতে শুরু করলাম, কান গরম হয়ে গেল। তার সেই প্রিয় শিক্ষক থানা জামায়াতের আমীর এবং সে তার প্রিয় শিক্ষককে আনুসরন করতে করতে একেবারে শিবিরের আড্ডায় গিয়ে উপস্থিত। সেই সময়টা ছিল ২০০২ এর দিকে, জোট সরকার ক্ষমতায়, সুতরাং কথায় কথায় সে এর হাত কেটে নেবে, তার পা কেটে নেবে এবং কেউ কোন ঝামেলা করলেই বন্দুক নিতে দৌড় দিত। আমি সব শুনে থ মেরে কিছুক্ষন বসে থাকলাম। আমাদের দেশের শিক্ষকদের রাজনীতির অনেকটা তখন দেখা হয়ে গেছে ঢাকাতে কিন্তু সমাজের এত ভেতরে শেকড় নিয়ে গেলে দেশের অশিক্ষিত পিতামাতার সন্তানেরা নিরাপদ কোথায়। ১/১১ এর সময়টাতে আমি বাড়িতে ছিলাম। একটা গ্রাম হলেও সেখানে আওয়ামীলীগ এবং বি এন পি এর মুখোমুখী অবস্থানের কারনে ১৪৪ ধারা জারি হয়। ঢাকায় তখন গুলি করে , পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। আমার বাড়িটা যে দিকে সে দিকে অবস্থান নিয়েছে জোট সরকারের অনুসারী, এমন সময় একজন নেতা বলে উঠলেন শিবির এর ছেলেরা কই, জামাতের নেতা মুখ কচুমাঁচু করে বললেন ঢাকা গেছে, সেখানে হয়ত আমার একসময়ের প্রিয় বন্ধু রায়হান ও আছে।
অনেক দিন পর আমার বান্ধবীর হঠাৎ কল আসে রাজশাহী থেকে, ধরেই বলে আজ সম্পর্ক ভেঙ্গে দিলাম। আমি বললাম মানে, সাড়ে ৪ বছর প্রেম করলাম আর সেই কিনা বলে আমার মঞ্চ নাটক ছাড়তে হবে। আমি বলি কেন হঠাৎ এমন বলছে কেনো। কিছু দিন আগে থেকে সে শুরু করেছে, ইদানিং সে দাড়ি রেখেছে এবং বলেছে বিয়ে করতে হলে আমার এই সব কিছু করা চলবে না। আমি কি করে ছাড়বো বলো। আমার কতো স্বপ্ন এই মঞ্চকে ঘিরে একদিন অনেক বড় নাট্য পরিচালক হব, অনেক বড় বড় লেখকের নাটক পরিচালনা করব, এক সময় যে আমাকে এই সবে উৎসাহ দিত আজ সেই আমাকে বলে সব ছেড়ে দাও, তাই তাকেই ছেড়ে দিলাম একবারে। ও বলছে আমি নাকি প্রতারনা করছি তুমি বলত আমি কি প্রতারক? ও পাশে কান্নার শব্দ এপাশে নিরব আমি।
শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাফর ইকবাল স্যারকে শিবিরের ছেলেরা গিয়ে হুমকি দিয়েছে শুনেই ফোন লাগালাম আমার কলেজ বন্ধু কে। বললাম তুমি ছিলে, সে বলল, সব মিছে কথা জানো, আমরা খুব ভাল ভাবে গিয়ে বলেছি যে স্যার আপনি ক্লাস নিচ্ছেন না কেন ? আর সেই কথাকে মিডিয়া প্রচার করছে আমরা স্যার কে হুমকি দিয়েছি। আমি বললাম তুমি পর আইপি বিভাগে অন্য বিভাগের একজন শিক্ষক কে তুমি ছাত্র হয়ে সেই বিভাগে ক্লাস নিতে বলাটাকে তুমি কি বল? এই ভদ্রতা কি তোমাদের সংঠন শিক্ষা দেয়। আমার সেই বন্ধু জামাত পরিবারের একজন সদস্য হলেও সে ভার্সিটির তৃতীয় বৎসর পর্যন্ত শিবিরের কর্মকান্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিল যা হয়ত অনেকেই পারবে না । আমি আজ ও বিশ্বাস করি ছেলেগুলোর ভেতরে আজ ও সেই সব গুন আছে যা একজন সভ্য বাঙ্গালীর থাকার কথা, কিন্তু তারা প্রকাশ করতে পারেনি কেন? এর দায়ী কি শুধুই তারা নাকি আমরা ও কিছুটা। আমাদের দেশে স্বাধীনতার কথা অনেকেই বলি, বলি সে স্বাধীনতার পক্ষের সে স্বাধীনতার বিপক্ষের, কিন্তু সবাই যে চোর সে কথাটা আমরা বলিনা। আমরা বলিনা আমাদের সাথে বারবার প্রতারনা করা হচ্ছে, ক্ষমতায় যাবার আগে এক কথা ক্ষমতায় গেলে আর এক কাজ। তারা ও তাদের প্রতিশ্রুতির কথা ভোলেনা , আমরা ও ভুলিনা। কিন্তু কেউ তাদের লিস্টিটা হাতে নিয়ে বসে না, পাঁচ বছর শেষে কেউ হিসাব করেনা আমরা বরাবরের মতো এবার ও প্রতারিত।
আমার পাশের মানুষের উপর এই সব হচ্ছে , ব্রেইন ওয়াস থেকে শুরু করে আত্মার খুনোখুনি। তাদের আত্মার খুনের রক্ত আমার হাতে আমি অনুভব করি। মনে হয় আমার কাছে মানুষ গুলোর নিরাপত্তা আমিই দিতে পারি নাই। অনেক আগে থেকে চেষ্টা করলে হয়ত পারতাম, কিন্তু আত্মকেন্দ্রীকতার কারনে হয়ত পারি নাই, আমার মত অনেকেই হয়তো পারে নাই। তাই এরা দিন দিন শেকড় গেড়েঁই যাচ্ছে, এবং আজ কোন শিবিরের পাতি নেতার ধমক খেলে মুতে দেই কাপড় ভরে। আমাদের পৌরুষ আজ শুধু কলমে, কিন্তু এ দেশটার স্বাধীনতা শুধু কলমের জোরে আসে নাই। আমি প্রতি নিয়ত হারিয়ে ফেলছি আমার পৃথিবীর মানুষ গুলোকে, হয়ত আমরা আরও সজাগ করে তুলতে পারতাম তাদের , কেন পারছিনা সেটা অনেক বড় প্রশ্ন। কিন্তু আমাদের বিপক্ষের শক্তি আমাদের দেশের বিরোধীরা, আমাদের দেশটার জন্মের শত্রুরা সে কাজটা কিভাবে করছে? আমি দেখছি আমার পৃথিবীর চারপাশ ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারে আপনারটা কি নিরাপদ? যদি নাই হয় তাহলে আমাদের বসে থাকলে চলবে না , নিজে জেগে আছি সেই গর্বে গর্বিত আমি ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না , কারন ৭১ এর সেই বিষধর সাপ আহত হয়ে এখন আর ও ভয়ানক আকার ধারন করেছে, একটু অন্ধকার পেলেই সে তার ছোবল মারবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। তাই জেগে আছেন অন্যকেও জাগান, বোঝান দেশের শত্রুরা আজ জেগে আছে। স্বাধীন একটা পৃথিবীতে বেঁচে আছি কিন্তু যেমন পেয়েছি তার চেয়ে ভাল করে রেখে যাবার দায়িত্ব আমাদের। তাই আমাদের ও জেগে থাকতে হবে , এই মৃত্তিকায় আমি আর কোন কুকুরকে মানুষের রক্তের গন্ধ শুঁকে বেড়াতে দিতে চাই না।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
মন্তব্য
এই ভাবনাটা আমার মাথায় সব সময়ই ঘুরপাক খাচ্ছে। খুব দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজটি শেষ না করতে পারলে খুব বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
বাঙ্গালীর কাছে এটাই শেষ চান্স। এইবার না পারলে আমাদেরকে এই আশা ছেড়ে দিতে হবে। আমি খুবিই হতাশ এই বিচারের শ্মভূক গতি দেখে।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
শেষ বলতে কিছু নাই। গান শোনেন নাই, তার আর পর নেই, নেই কোন ঠিকানা .........।।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এই লেখাটি ভালো লেগেছে।
নতুন মন্তব্য করুন