শিবিরের ব্যবহারিক ক্লাশ!
রেনেসাঁ
সকালে নাস্তা সেরে বাসার নিচে নামলাম, উদ্দেশ্য এককাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই। বৃষ্টি হচ্ছে ভোর থেকেই তাই মানুষের বিড়ম্বনার শেষ নেই। দোকান থেকে একটা সিগারেট ধরিয়ে দেখলাম ঈদের নামাজ পড়ে মানুষ ঘরে ফিরছে। তাদের বেশীরভাগই ভিজে গেছে বৃষ্টিতে। দোকানের সামনেই আমার পাশে দাঁড়িয়ে গল্প করছে পনের-ষোল বছরের দুই তরুণ। সাধারণত অন্যের কথাতে নিজের বোঁচা নাক গলানোর অভ্যেস কম। কিন্তু দূরত্ব খুব কম হওয়ায় অনিচ্ছাসত্বেও তাদের কিছু কথা কানে আসছিলো। তারা কথা বলছিলো ঈদকে ঘিরেই। রোজার ঈদে বৃষ্টি হচ্ছে কুবরানীর ঈদে কি হবে, এটাই তাদের ভাবনা। হঠাৎ একটি সংলাপ আমাকে স্তম্ভিত করে দিল। একজন বলছে- গত কুরবানীর ঈদে ২৫টা জবাই করেছি। ইনশাল্লাহ এখন কাফের (?) জবাই করতে আর অসুবিধা হবেনা!
তারা দুজনেই পাশের মাদ্রাসার বাচ্চা হুজুর। এই পাড়ার বেশীরভাগ কুরবানীর পশু জবাই করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় লোকজনও এদেরকেই পছন্দ করে যেন এর মাধ্যমে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের একটু সাহায্য করা যায়।
কিন্তু মানুষ জবাই করার প্রসঙ্গ কেন? বুঝতে বাঁকি রইলো না এরা শিবির কর্মী, গু আজমের চ্যালা। শিবির এই অল্প বয়সেই তাদের মগজ ধোলাই করে দিয়েছে। ধর্মের নামে এরা এখন জীবন দিতে এবং জীবন নিতে দুই ক্ষেত্রেই প্রস্তুত। দেশের প্রায় সব মাদ্রাসায় এখন শিবিরের ক্যান্টনমেন্ট। জামাত-শিবির ই একমাত্র দল যারা রগ কাটা, মানুষ খুন করার মত জঘন্য কাজ করার জন্য দলীয় কর্মীদের ট্রেনিং দেয়। অনান্য দলের কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলেও এই দলটি বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের মূল হোতা। মানুষের সরল ধর্ম বিশ্বাসকে পুঁজি করে চলছে এদের জঙ্গীবাদী কার্যক্রম।
আসছে কুরবানীর ঈদে নিশ্চয় আরও ২৫টা পশু জবাই করবে। তাহলেই হাফ সেঞ্চুরী। প্রথম শ্রেনীর ম্যাচে ৫০ উইকেট শিকারী এরপর নিশ্চয় ডাক পাবে মূল দলে খেলার জন্য।
কুরবানীর পশু জবাই করার সময় দোয়া-দরুদ পড়ার একটা বিষয় থাকে জন্য সাধারণ মানুষ কসাইকে না দিয়ে এদের দিয়ে পশু জবাই করায়। বয়স এবং গায়ের শক্তির বিবেচনায় মানুষ অল্প বয়সীদের প্রাধান্য দেয়। আর এটাকে পুঁজি করেই এরা রগকাটা বা মানুষ জবাই করার বিভৎস কাজটির প্রাথমিক শিক্ষা নেয়। তাহলে কুরবানীও কি শিবিরের ব্যবহারিক ক্লাশ?
রেনেসাঁ
মন্তব্য
স্যরি রেনেসাঁ, আপনার সাথে একমত হতে পারছি না।
বাংলাদেশে জামায়াত-শিবিরের আমি কোনো সম্ভাবনা দেখিনা।
আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে আমাদের অনৈক্য। সেই সুযোগটাকেই ধর্মব্যবসায়ীরা কাজে লাগাই।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আমি আশাবাদী।
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
জামাত শিবিরের সম্ভাবনা আছে কিনা সেই প্রশ্নটা একটু পরে, তার আগে আপনি বলেন আমাদের ঐক্যের কোন সম্ভাবনা আছে কিনা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমাদের ঐক্য থাকলে কি আর জামাত-শিবির এদেশে নড়াচড়া করতে পারে। ঐগুলাতো নাস্তার টেবিলেই শেষ হওয়ার কথা।
যেহেতু আপনি পেশায় সাংবাদিক, তাই আপনার জানার পরিধিও নিঃসন্দেহে অনেক বিস্তৃত।
আমি আপনার মন্তব্যের অনেকটুকু অংশ নিয়ে সামান্য সন্দেহ প্রকাশ করছি, কিন্তু এই লাইনটায়-
আমার তীব্র সন্দেহ আছে। জামাত শিবির অন্তত এখন এমন অবস্থায় আর নেই যে, যুদ্ধপরাধীদের বিচারে ওদের কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়বে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
১. জ্ঞান কখনো কমিউনিটিভিত্তিক হয় আমার জানা ছিল না। আমি সাংবাদিক ঠিকই, তবে সবজান্তা নই। সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিট থাকে, তারা সাধারণত সেই বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে ওঠে। বাকিটা নিজের প্রয়োজনমতো শিখতে হয়।
২. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় কী। আমি এখনও বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোশকতা ভিন্ন জামায়াত-শিবির বেশিদূর এগোতে পারবে না। কারণ আমাদের দেশের জনগণ ধর্মভিরু, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। একটা কথা মনে রাখতে হবে, 'ধর্ম' এক জিনিস আর 'রাজনৈতিক ধর্ম' অন্য জিনিস। জামায়াত-শিবির সব সময় 'রাজনৈতিক ধর্ম'কে ব্যবহার করে।
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
এখানে জানা শোনা বলতে আমি ঠিক "জ্ঞান"কে বুঝাইনি, আমি বলেছি "তথ্য" বা "ইনফরমেশন" -এর কথা। ব্যক্তিগত জীবনে আমি যে কজন সাংবাদিকের সাথে পরিচিত হয়েছি তাদের সবাই-ই এ বিষয়ে অর্থাৎ বাংলাদেশের রাজনীতি এবং জামাত— শিবির - এ ব্যাপারে বেশ খোঁজ খবর রাখেন। সে ধারণা থেকেই এ কথা বলেছিলাম।
রাজনৈতিক ধর্ম এবং ধর্মের ব্যাপারে আপনার মন্তব্য ঠিকাছে। কিন্তু শিবিরের ব্যাপারে আমার সন্দেহ এবং প্রশ্ন অন্য জায়গায়। এই পোস্টটির কথা ভুলে গিয়েছিলাম, না হলে আরো আগেই মন্তব্য করতাম। যাই হোক একটু পরই ঢাকার বাইরে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছি। আশা করি সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসলে ৪-৫ দিন পর এই নিয়ে আলাপ করা যাবে (যদি ততোদিনে আপনার এনিয়ে কথা বলার আগ্রহ থাকে)।
ভালো থাকবেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ ফিরোজ জামান চৌধূরী। আমি নিজেও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি জামাত এদেশে কখনই সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের সমর্থন পাবেনা।
আমার বক্তব্য আসলে জামাতের ঘৃন্য কৌশল নিয়ে তাদের সম্ভাবনা নিয়ে নয়।
নৃশংশতাকে পবিত্র করে তোলার এর থেকে ভালো উপায় আর কী আছে আপনিই বলুন?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
জামাত-শিবিরের মত নিকৃষ্ট চিন্তা ও কাজ আর কোন দল করে বলে আমার মনে হয়না।
আপনার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। মৌলবাদের বিরুদ্ধে আমাদের স্বর যেন চাপা না পড়ে সে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
মৌলবাদের বিরুদ্ধে আমার যুদ্ধ কোন দিনই থামবে না। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
জামাত-শিবির-ছাত্রী সংস্থা সবগুলোই ধ্বংস হোক !!!
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
ধ্বংস হোক !!!ধ্বংস হোক !!!
আমাদের দেশের মানুশের ধর্ম জ্ঞান খুব কম, আমার ও একই অবস্থা কিন্তু এইটা জানি নিজের কোরবানী নিজে জবাই করা ভাল। হুজুর দিয়ে নয়। শিবিরকে কে কতটা কাছে থেকে দেখেছেন আমি জানি না, আমাকে বুয়েটে এক শিবির কর্মী সালাম দিত। আমি তাকে বলে দিলাম আপনি আমাকে সালাম দেবেন না, সে বলল কেনো আমি বললাম আপনার সালাম আমি চাইনা। তার পর থেকে সে আর আমাকে সালাম দেই নাই। সে আমার সিনিওর ছিল। শিবির এমন একটা সংগঠন যে আমাদের সমাজের কাছে প্রশ্রয় পাইল কি পাইল না সেটা নয় এদের কে নির্মূল করতে হবে। একটা কথা আছে সাপ মারলে লেজ বাঁচিয়ে রেখে লাভ নেই। বিচার করে জামাতের অবস্থা এমন করতে হবে শিবির যেন এমনিতেই গুটিয়ে যায়। এবং এই সংগঠন কে সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমি বিচার নিয়েই টেনসানে আছি, হইলে ভাল না হইলে খুব খারাপ, উলটা সার্টিফিকেট নিয়ে বের হবে তারাই দেশ প্রেমিক।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
'৯১ এর নির্বাচানের আগে জামাত প্রার্থী আমার সাথে হাত মেলাতে আসলে বলেছিলাম- রাজাকারের সাথে হাত মেলাই না। এই নিয়ে পরে তারা জল ঘোলা করার চেষ্টা করেছিল। সম্ভব হলে একদিন এই পর্বটা লিখব।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়া জরুরী।
পোস্টের ফোকাস নিয়ে একটা অভিজ্ঞতা জানাই আপনাকেঃ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
শাহেনশাহ সিমন অভিজ্ঞতা কই?
বাকিটুকু রেস্ট্রিকটেড ।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কোরবানি'র পশু জবাই আমিও নিজে জবাই দিতাম কিন্তু এখন আর কোন পশু-পাখি জবাই করিনা , আগামী দিনগুলোতে হয়ত করব না। আর একান্তই যদি করতেই হয়........
রেনেসাঁ
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
ধন্যবাদ রায়হান আবীর |
শিবির বড় ভালো লাগে
আপনার লেখা পইড়া খুব মজা পাইছি।
নতুন মন্তব্য করুন