ইদানীং প্রাকৃতিক আচরণগত কারণে ছোট বেলায় পড়া ষড়্ ঋতুর কোন অস্তিত্ব বাংলাদেশে খোঁজে পাওয়া যায় না। কখন কোন ঋতু আসে আর কখন যায় সেটা শুধু পত্রিকা পড়ে জানা যায়। যেই শরতের আকাশে সাদা সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ানোর কথা সেখানে দেখা যায় বড় বড় কালো মেঘের দৌড় ঝাঁপ। কখনো প্রকৃতিকে অন্ধকার উপহার দিয়ে নেমে আসে ধরনীতে বৃষ্টি হয়ে, ভাসিয়ে দিয়ে যায় শহর,বন্দর, গ্রাম, মাঠ ঘাট, রাস্তা ও বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি। এখন বর্ষা আর শরতের যেমন কোন পার্থক্য চোখে পরে না, তেমনি কখন হেমন্ত আসে আর কখন শীত চলে গিয়ে গাছে ফুল ফুটে সেটাও জানতে হয় পত্রিকা পড়ে।
মানুষের আচরণও এখন প্রকৃতির মত হয়ে গেছে। শৈশব, কৈশোর, তরুণ, যুবক, মধ্য বয়সী, বৃদ্ধ এই বিশেষণ গুলো আচরণে প্রকাশ পায় না। যে বয়সে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের পাঠ্য বইয়ে মন দেয়ার কথা সেই বয়সে তারা প্রেম করে। এক জন যুবককে যেখানে বিয়ে করে সংসারী হওয়ার কথা সেখানে সে পর নারীতে আসক্ত হয়, একজন যুবতীও এর ব্যতিক্রম নয়। যেই বয়সে একজন মধ্যবয়সী মানুষকে পরবর্তী বংশধরের জন্য সঞ্চয় করা উচিত, সেই বয়সে সে আনন্দ ফুর্তি করে, যেই বয়সে একজন বৃদ্ধকে পরকালের কথা চিন্তা করে(পরকালের চিন্তা সব সময় করা উচিত) আল্লাহর নাম স্বরণ করা উচিত(আল্লাহর নাম সব নেয়া উচিত), সেই বয়সে সে আরেকটা বিয়ে করতে চায়। কখনো কখনো পত্নী বিয়োগে ব্যথিত না হয়ে, নূতন পত্নী খোঁজায় ব্যস্ত হয়ে পরে। আকাশের মত মানুষের মনের রঙ ক্ষণে ক্ষণে বদ্লে যায়। মানুষের স্বাভাবিক আচরণ এখন আর বোঝা যায় না। যেমন বোঝা যায় না প্রকৃতির ষড়্ ঋতুর আচরণ।
সীমান্ত আর রীমের তিন বছরের বিবাহিত জীবনটা প্রকৃতির ষড়্ ঋতুর মত হয়ে গেছে। কেউ কাউকে ইদানীং বুঝতে পারেনা। কখন ভালবাসে আর কখন পরস্পরকে অবহেলা করে এটা যেন তাদের কাছে দুর্ভেদ্য হয়ে গেছে। প্রথম প্রথম জীবনটা অনেক রঙিন ছিল, জীবনের বসন্ত, শরত, হেমন্ত তাঁরা বুঝতে পারত। এখন যেন সারা দিন হৃদয় আকাশে মেঘ জমে থাকে, নিজেদের অজান্তে বৃষ্টি হয়ে ঝরে নীরবে, নিভৃতে। নিজেদের মাঝে কথা বার্তাও কমে গেছে। ঠিক যেন বর্ষাকালের রোদের মত ক্ষণস্থায়ী। সংসারের প্রয়োজনে টুকটাক বাক্য বিনিময়। শারীরিক আবেদন যেন এখন শীতের মত ক্ষণস্থায়ী। হঠাৎ যেন দু একদিন শৈত্য প্রবাহ, তারপর আবার স্বাভাবিক।
সীমান্ত খাটের উপর আধ শোয়া হয়ে একটা বই পড়ছিল, রীম রুমের দরজাটা চাপিয়ে পাশে এসে বসল।
-আমি মনে হয় তোমার কাছে অসয্য হয়ে গেছি, আই মিন বোরিং হয়ে গেছি?
-হঠাৎ এ কথা কেন?
-তুমি বাসায় এসে মোবাইলে যেন কার সাথে চুপিচুপি কথা বলো, আমি কাছে এলে লাইন কেটে দাও।
-সেটা তোমার ভুল ধারণা।
-হতে পারে! কিন্তু আমার সাথে তুমি কবে হাসি মুখে কথা বলেছ, বলতে পারবে?
-আমি কি দিন, সময় গুনে তোমার সাথে কথা বলি?
-আমার এই এক ছাদের নিচে থেকে অভিনয় করতে ভালো লাগে না।
-এটাকে অভিনয় বললে? তাহলে কী চাও?
-জানি না।
-মনের ভেতর কথা না রেখে সোজা বলে ফেলো?
-আমি জানতে চাই তুমি কার সাথে আমার আড়ালে ফিসফিস করে কথা বলো?
-সেটা সময় হলে বলব।
-কখন সময় হবে?
-যেদিন হবে সেদিন বলব।
-ও বুঝেছি যেদিন আমাকে ডিভোর্স দেয়ার সময় হবে সেদিন বলবে--
-বাজে কথা বলো না। রাত হয়েছে ঘুমাও, সকালে দুজনেরই অফিস আছে।
সীমান্ত কথা না বাড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। রীমের ঘুম আসছে না। মাথার উপর ফ্যানের দিকে এক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে। চোখের কোণ ঘেঁষে গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত অশ্রু। নিজেকে অনেক অসহায় মনে হচ্ছে। বাবা-মার ইচ্ছে কে সম্মান জানাতে গিয়ে নিজের পছন্দকে হত্যা করেছে, প্রতারণা করেছে নিজের ভালবাসার সাথে। রীমের চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু সীমান্ত পাশে থাকায় সেটাও করতে পারল না। নানান কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলো জানে না।
সীমান্ত অফিসে ঢুকেই দেখে তার জন্য অপেক্ষা করছে মৌরি। এটা সীমান্ত আশা করেনি। যেমন মানুষ আশা করে না শীত কালে বৃষ্টি । সীমান্ত মৌরি কে সাথে নিয়ে নিজের রুমে আসল। মৌরি দেখতে বেশ সুন্দর, লম্বা, চিকন স্বাস্থ্য, বড় বড় চোখ, হিপ ছুঁই ছুঁই চুল। কথাও বলে গুছিয়ে। আজ নীল শাড়ির সাথে নীল টিপ আর নীল নেইল পলিশের সাথে নীল চুড়ি, খুব সুন্দর লাগছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে সকালে উঠেই গোসল করে এসেছে। সীমান্ত ভিতরে ভিতরে একটু বিরাগ হলেও মৌরির সৌন্দর্যে অভিভূত। তাকিয়ে আছে পলক হীন ভাবে। অফিস বয় দুই কাপ কফি দিয়ে গেল।
-"নাও, কফি নাও"
-ধন্যবাদ।
-তারপর সাত সকালে আগমনের হেতু?
-আজ আমার ধুমকেতুর সাথে দেখা করার কথা, কি বলবো ওকে সেটা বুঝতে পারছি না
-দেখো মৌরি, তুমি একজন সম্পূর্ণ পরিপক্ব, নিজের ভালো মন্দ বোঝার যথেষ্ট জ্ঞান তোমার আছে, যা ভালো মনে করবে তাই করবে।
-তোমার কোন পরামর্শ বা উপদেশ নেই আমার জন্য?
-না। আমি কাউকে পরামর্শ বা উপদেশ দিতে পছন্দ করি না।
- আমি যে সিদ্ধান্ত নেবো তা কি তুমি মেনে নেবে?
-অবশ্যই
মৌরি কফি শেষ না করে পার্সটা হাতে নিয়ে কোন কিছু না বলে সোজা রুম থেকে বেড় হয়ে এলো। সীমান্ত কিছুটা বিস্ময় হয়ে রীমের চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে থাকল।
রীম আজ অফিসে যায় নি, বাসায় শুয়ে আছে। অফিসে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে শরীর খারাপ, আজ আসতে পারবে না। রীমের মনের আকাশে ইদানীং ঘনঘোর মেঘ জমে, বৃষ্টি হয়। রীম জানে এটা "পার্বণ" নামক মৌসুমী বায়ুর প্রভাব। বিয়ের প্রথম দুই বছর পার্বণকে ভুলে থাকতে পারলেও ইদানীং খুব মনে পরে। পার্বণ কীভাবে মোবাইল নাম্বার পেয়েছে সেটা রীম জানে না, কখনো জানতেও চায় নি। ফোন করলে কথা বলে। আর এখন পার্বণ ফোন করলে রীমের ভালো লাগে, নিজেকে হালকা লাগে, কথা বলে সময় কাটানো যায়। ভাবতে ভাবতেই মোবাইলে রিং বেজে উঠল।
-হ্যালো
-কেমন আছ?
-হুম ভালো। তুমি?
-ভালো। অফিস যাওনি কেন?
-ভালো লাগছিল না।
-কী ভাবলে? আমি তোমার জন্য আর কত অপেক্ষা করব? আমার বয়স বাড়ছে,
-পার্বণ, আমি কী তোমাকে অপেক্ষা করতে বলেছি?
-ভুলে গেলে?
-কী ভুলে গেলাম?
-মনে পরে আমাকে বলেছিলে-ডাকলেই চলে আসবে।
রীম চুপ করে আছে, কী বলবে বুঝতে পারছে না।
-কী ব্যাপার চুপ হয়ে গেলে যে?
-পার্বণ, আমি একজনের স্ত্রী, আমার সংসার আছে।
-আমিও একটা সংসার চাই, যেই সংসারের স্বপ্ন তুমি আমাকে দেখিয়ে ছিলে।
-আমাকে কী করতে বলো?
-ওকে ডিভোর্স দাও। এখন আমরা দু'জনেই উপার্জন করি।
-পার্বণ, উপার্জনটাই কী সব? দায়িত্ব, সম্মান, শ্রদ্ধা, সামাজিকতা কি কিছুই না?
-যে দায়িত্ব, সম্মান, শ্রদ্ধা, সামাজিকতা সুখ দেয় না সেটা রেখে লাভ?
-জানি না, আমি কিছু ভাবতে পারছি না।
-তোমাকে কিছু ভাবতে হবে না, আমি সব ভাববো, তুমি শুধু আমাকে সাহায্য করো?
-কী করবে?
-তোমাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করাবো, না করলে পথের কাটা কী ভাবে সরাতে হয় আমি জানি, আমি তোমাকে পাওয়ার জন্য এখন সব করতে পারি।
-পার্বণ? তুমি কী বলছ, চিন্তা করে বলছ?
-হুম, শুধু আমাকে সাহায্য করো, আমি যা বলি তাই করো, সব ঠিক হয়ে যাবে, আমরা নূতন সংসার সাজাতে পারবো।
-আমি পারবো না, আমার ভয় হয়।
-আসলে তুমি আমাকে ভালবাস না। নরকে পরে পুড়বে তবু মুক্তি তোমার কাম্য নয়?
-আমি নরক থেকে মুক্তি চাই, তাই বলে অন্যায়ের পথে নয়, মীমাংসার পথে।
-সেটা তুমি কোন দিনও পারবে না। তোমার নরক যন্ত্রণা শুধু বাড়বে, কমবে না।
-পার্বণ, আমি রাখি, আমি কিছু ভাবতে পারছি না,
সীমান্ত সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখে রীম শুয়ে আছে এবং ঘুমে। এত তাড়াতাড়ি রীম অফিস থেকে ফিরে না। তার উপর ঘুম! একবার ভাবল কী হয়েছে ডেকে জিজ্ঞাসা করবে, কাছে গিয়ে কপালে হাত দিতে গিয়েও দিল না। নিজে ফ্রেস হয়ে টিভি দেখতে বসল। মোবাইলটা হাতে নিয়ে মৌরি কে ফোন দিল ।
-হ্যালো
-জী বলুন।
-কী সিদ্ধান্ত নিলে?
-তা জেনে আপনার লাভ? আপনি কী আমাকে ভালবাসেন?
-মৌরি তুমি মনে হয় আমার উপর রেগে আছ?
-না রাগার কী কোন কারণ আছে?
-কারণটাই তো আমি ধরতে পারছি না।
-আপনি আমাকে নিয়ে খেলবেন, আর আমি ফুটবলের মত আপনার আর ধুমকেতুর লাথি খেয়ে যাবো? কী পেয়েছেন আপনারা? আমি ধুমকেতুর সাথে সম্পর্ক ছেদ করে এসেছি।
-মানে?
-হ্যাঁ, আপনি না বললেন, আমি যে সিদ্ধান্ত নিব, তাতেই আপনি সম্মান জানাবেন, মেনে নিবেন?
-তুমি কী ভেবে করেছ?
-না ভেবে তো করি নি।
-আমার স্ত্রী আছে, সংসার আছে, মা-বাবা আছে--
-আমাকে ভালবাসার আগেই এই কথা গুলো ভেবে দেখেন নি?
-মৌরি, আমি তোমাকে ভালবেসেছি,এটা কখনো বলি নি, একজন বন্ধু হিসাবে, শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে তোমার ভালো চেয়েছি, ধুমকেতুর সাথে তোমার বনিবনা হচ্ছিল না, তাই একটা সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলাম। এটাকে তুমি প্রেম হিসাবে নিলে কখন, সেটাই তো বুঝতে পারলাম না।
- কী বললে? কী বললে তুমি। লায়ার, কাপুরুষ, প্রতারক, আমি সব রীমকে বলে দেব। দেখি তুমি কীভাবে সুখে সংসার করো। আমি তোমার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেবো, সব তছনছ করে দেব। কী ভেবেছ তুমি?
-মৌরি প্লিজ শান্ত হও, বোঝার চেষ্টা কর, আমার স্ত্রী কে রেখে তোমাকে কীভাবে গ্রহণ করি?
-যেটা করলে গ্রহণ করতে পারবে সেটাই করবে, আর তা না হলে আমি সব ধ্বংস করে দেব।
-মৌরি শান্ত হয়ে কথা বল, তোমার সাথে আমার তেমন কোন সম্পর্ক হয়নি যা দিয়ে তুমি আমার সংসারে ঝামেলা পাকাবে?
-তাই? ভুলে গেলে? সেই রাতে হোটেলে আমাকে------
-মৌরি সেটা দু'জনের সম্মতিতে হয়েছিল, সেখানে কোন ভালবাসার প্রমিজ ছিল না।
-কখন একটা মেয়ে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ নির্বিঘ্নে সঁপে দেয়, জান তুমি?
-মৌরি, আমি কোন প্রলোভন দেখিয়ে, তোমাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কিছু করি নি।
-তোমার সাথে সেই দিনের সম্পর্কের পর থেকেই আমি ধুমকেতুকে অবহেলা করা শুরু করেছি, ওকে অবজ্ঞা করছি, তোমার চোখে আমার প্রতি যে টান দেখেছি, তাতেই আমি ধুমকেতুকে আজ ফিরিয়ে দিয়ে এসেছি।
-সেটা তুমি ভুল করেছ। আমার পক্ষে তোমাকে গ্রহণ করা অসম্ভব।
ফোনটা কেটেই দেখে রীম দরজায় দাঁড়িয়ে। রীম কিছু বলে না, পাশে এসে বসে। বুয়া চা-নাস্তা দিয়ে যায়। রীম চায়ের কাপ তুলে দিতে দিতে জানতে চায় কখন এসেছে। সীমান্ত কোন কথা না বলে হাত বাড়িয়ে কাপটা নেয়। দু'জনে চুপচাপ টিভি দেখে আর চা -নাস্তা খায়।
সকালে দু'জনে একসাথে অফিসের জন্য বেড় হয়। সীমান্ত রীমকে অফিসে নামিয়ে নিজের অফিসে যায়। রীম অফিসে ঢুকেই পার্বণের ফোন পায়।
-রীম, কিছু ভাবলে?
-পার্বণ, আমি মাত্র অফিসে ঢুকলাম,একটু পর ফোন দেই।
-ওকে, তবে ভাবনাটা যেন আমার অনুকূলে হয়। আমি সব প্ল্যান করে রেখেছি, শুধু তোমার সম্মতি আর সাহায্য দরকার।
-কী?
-কাল তো শুক্রবার, সীমান্তকে নিয়ে ঘুরতে বেরুবে,আমি যেখানে আসতে বলবো সেখানে নিয়ে আসবে বাকীটা আমি করবো।
-কী করবে?
-পথের কাটা তুলে ফেলবো।
-পার্বণ প্লিজ আমি তোমাকে পরে ফোন দিব, এখন রাখি।
রীম ফোন কেটে দিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসল। মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে, পার্স থেকে পেইন কিলার বের করে খেয়ে নিল। কী করবে চিন্তা করছিল। শেষে মোবাইলটা নিয়ে সীমান্তকে ফোন দিল, সীমান্তের ফোন ব্যস্ত। ফোন রেখে দিল। আবার পাঁচ মিনিট পর ফোন দিল, এবারও ব্যস্ত। কাজে মন বসছিল না। কী করবে কোন কিছু বুঝতে পারছে না। পার্বণের কথা গুলো মনে পড়ল। "শুধু তোমার সম্মতি আর সাহায্য পেলেই পথের কাটা তুলে ফেলবো"। দু'হাতে মাথা চেপে ধরে ডেস্কে মাথা ঠেকিয়ে চুপ করে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর আবার সীমান্তের মোবাইলে কল দিল, এখনো ব্যস্ত। ল্যান্ড ফোনে কল দিল, রিং হচ্ছে ধরছে না। বসকে ফোন দিয়ে অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে বের হয়ে গেল।
সীমান্ত অফিসের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরল। কয়েকটা মিটিং করল। কিছু প্রয়োজনীয় ফোন সেরে নিয়ে ফ্রি হল। মৌরির কথা মনে হল। সেই রাতের কথা ভেবে নিজে নিজে অনুতপ্ত হল। কি করবে বুঝতে পারছে না। রীম জেনে গেলে কী হবে, রীম কীভাবে গ্রহণ করবে। নিজে থেকে বলবে কিনা, নানা বিষয় চিন্তা করতে লাগল। ডেস্ক ফোন বেজে উঠল।
-হ্যালো
-রীম তুমি? তোমার কণ্ঠ এমন লাগছে কেন? তুমি কী অসুস্থ?
-না আমি সুস্থ আছি। তুমি কোথায়?
-আমার ল্যান্ড ফোনে কল দিয়ে বলছ আমি কোথায়? তোমার কী হয়েছে?
-কিছু হয় নি।
-তুমি কোথায়?
-আমি বাসায়।
-তোমার শরীর কী অনেক খারাপ লাগছে, আমি কী আসবো?
-না, আসতে হবে না।
-ঠিক আছে ডাক্তারকে ফোন করে দিচ্ছি।
-তার দরকার হবে না। আমি ঠিক আছি, তুমি তোমার কাজ কর।
রীম ফোন রেখে দিয়ে পার্বণকে ফোন দিল।
-হ্যালো রীম, তুমি?
-হ্যাঁ আমি, আমি নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই। আমাকে সাহায্য করো।
-তুমি কোথায়? আমি কী আসবো?
-না তোমাকে আসতে হবে না, তুমি কোথায়?
-আমি অফিসে।
-বের হতে পারবে? আমরা একসাথে দুপুরের খাবার খাবো।
-ওকে তুমি গুলশান দুই নাম্বারে চলে এসো, আমি তোমাকে ওখান থেকে পিক করবো।
-ওকে আমি আসছি।
সীমান্ত দুপুরের খাবার খেয়ে চেয়ার হেলান দিয়ে রেস্ট নিচ্ছিল। এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল।
-হ্যালো মৌরি।
-কী ভাবলে?
-কোন বিষয়ে?
-আমার ব্যাপার নিয়ে।
-আমিতো আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি
-মিঃ সীমান্ত সেই রাতের ঘটনার পর আমি যে প্রেগনেন্ট হয়েছিলাম এবং প্রেগনেন্সি ক্লিয়ার করার সময় তুমি যে আমার স্বামী সেজেছিলে সেটা কিন্তু আমার কাছে আছে, সুতরাং একটু ভেবে চিন্তে কথা বলা কী বুদ্ধি মানের কাজ না?
-তুমি কী আমাকে ব্ল্যাক মেইল করতেছো?
-যদি বলি তাই?
-সেটা কী ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে? আর আমি সেদিন আমাদের একটা ভুলকে মুছে দেয়ার জন্য স্বামী সেজে ছিলাম। অন্য কোন ভবিষ্যত ভেবে নয়।
-কিন্তু আমি যে ভবিষ্যত ভেবে স্বপ্ন সাজিয়ে রেখেছি।
-সেটা তোমার আরেকটা ভুল।
-সীমান্ত শুনে রাখ আমি যে করেই হউক তোমাকে চাই, প্রয়োজনে রীমকে সরিয়ে দিয়ে।
-মৌরি তুমি বেশি বাড়াবাড়ি করছ। তোমাকে বাস্তবতা বুঝতে হবে। তুমি এখন আর স্কুল-কলেজ পড়া মেয়ে না।
-আমি ওতো কিছু বুঝি না, আমি আমারটা বুঝি। কীভাবে আমাকে গ্রহণ করবে সেটা ভাব, তা না হলে রিপোর্ট নিয়ে তোমার বাবা-মার কাছে যেতে বাধ্য হব।
-তুমি ব্ল্যাক মেইল করার চেষ্টা করছ, আমাকে আমার বাবা-মার কাছে ছোট করতে চাচ্ছ। এটা তোমার হিংসাত্মক মনোবৃত্তি, এখানে ভালবাসা নেই, শুধুই প্রতিশোধ। এর ভবিষ্যত কত খারাপ, সেটা কী তুমি ভেবে দেখেছ।
-সীমান্ত, আমি তোমাকে ভালবাসি, আর তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি সব করতে পারি।
-এটা ভালবাসা না, এটা পাগলামি, তুমি সিক, একজন সাইক্রিস্ট দেখাও।
-কী আমি পাগল? আমাকে তুমি পাগল বললে? আমি দেখে নেব কে পাগল।
ফোনটা দপ করে রেখে দিল। সীমান্ত হ্যালো হ্যালো বলে শেষে রেখে দিল। কী করবে বুঝতে পারছিল না। একটা দুশ্চিন্তা মাথার মাঝে ঘুরপাক খেতে লাগল। মৌরি তার জীবনে আসার পর থেকে রীমের সাথে তার দূরত্ব তৈরি হয়েছে, রীম ভুল বুঝতে শুরু করেছে। একটা অপরাধ বোধ কাজ করে সারাক্ষণ মনের মাঝে, রীমের সামনে সীমান্ত স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পারে না। মনের মাঝে একটা বড় মেঘের দল সব সময় দৌড় ঝাঁপ করে, কখন বৃষ্টি হয়ে ঝরে, সেটা রীম দেখে না। কবে সে রীমের সাথে শেষ শারীরিক সম্পর্ক করেছে ভুলে গেছে। এক বিছানায় শুয়েও একে অন্যের নিঃশ্বাস ছুঁয়ে দেখে না আজ কতদিন। ভাবনার ধুম্রজালে নিজেকে হারিয়ে ফেলে সীমান্ত। কাউকে কোন কিছু না বলে অফিস থেকে বের হয়ে যায়।
সীমান্ত রাতের খাবার খেয়ে টিভি দেখতে বসল। কাল শুক্রবার, অফিস নেই, সকালে ওঠার তারা নেই, তাই একটু রিলেক্স নিয়ে টিভি দেখতে বসল। রীম পাশে এসে বসল।
-কাল কী তোমার বিশেষ কোন কাজ আছে?
-না। কেন?
-চলো না আমরা বাইরে থেকে একটু বেড়িয়ে আসি।
-খুব ভালো প্রস্তাব। কোথায় যাবে?
-সেটা কাল বেড় হওয়ার আগে ঠিক করে নেবো?
-ওকে।
-তুমি কী আরো টিভি দেখবে?
-হুম
-তাহলে আমি ঘুমতে গেলাম।
সীমান্ত একটা বড় নিঃশ্বাস ছাড়ে, কোথায় যাওয়া যায় এই ভাবনার চেয়ে মনে মনে ভাবে কীভাবে রীমকে মৌরির কথা বলবে, মৌরির প্রতিশোধ পরিকল্পনা কীভাবে শেয়ার করবে। রীম ব্যাপারটা কীভাবে নিবে। টিভি চলতে থাকে কিন্তু সীমান্তের চোখ টিভির দিকে থাকে না। ভাবতে ভাবতে সোফায় ঘুমিয়ে যায়।
রীম রুমে এসে ঘুমতে পারছে না। পার্বণের কথা মনে পরছে, পার্বণ যেটা করতে চাচ্ছে সেটা কী ভাল হবে? মানুষ যদি জেনে যায়, পুলিস যদি টের পেয়ে যায়, কী হবে? আর ভাবতে পারে না। আবার ভাবে এই ভাবে বাঁচার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো। জীবনে সুখী হওয়ার জন্য মানুষতো অনেক কিছু করে, আমি না হয় একটা অন্যায় কাজ করবো। আবার ভাবে মা-বাবা কী ভাবে নিবে। পরক্ষণেই ভাবে ওনাদের জন্যই তো আজ আমার জীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ। যে সুখের কথা ভেবে মা বাবা আমাকে বিয়ে দিয়েছিল, আমিও রাজী হয়েছিলাম, সেটা কী পেয়েছি? নানান এলোমেলো ভাবনায় ঘড়ির কাটা কখন যে চারটা বেজে গেছে খেয়াল করেনি। খেয়াল করেনি সীমান্ত যে রুমে আসে নি। বিছানা থেকে উঠে এসে দেখে সীমান্ত সোফায় ঘুমিয়ে আছে। সীমান্তকে না ডেকে নিজে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল।
সকালে মৌরির ফোনে ঘুম ভাঙ্গে সীমান্তের।
-সুপ্রভাত।
-সুপ্রভাত।
-সরি স্যার সকাল সকাল আপনার ঘুম ভাঙ্গানো জন্য।
-কী চাই তোমার?
-তোমাকে।
-ফাজলামো ছাড়, সিরিয়াস কথা বলো। কতটাকা হলে তুমি আমার কাছ থেকে সরে যাবে।
-টাকা! টাকা দিয়ে কী ভালবাসা কিনা যায় নাকি?
-যে মেয়ে একজনকে ভালবেসেও আরেক জনের সাথে বিছানায় যেতে পারে সে টাকা পেলে সব ভুলতেও পারে।
-ভুল, ভুল ধারণা তোমার। আমি তোমার সাথে যেটা করেছিলাম, সেটা আমার ভুল ছিল, কিন্তু পরে আমি ভুলটাকে সংশোধন করার জন্য ভালবেসেছি।
-তুমি কী চাও?
-বলেছিত তোমাকে।
-আমি তো দুই বউ নিয়ে থাকতে পারবো না।
-তোমাকে তো দুই বউ নিয়ে থাকতে বলি নি।
-তাহলে?
-আমার কথা মত কাজ করো, ওকে সরিয়ে দিয়ে আমরা সুখে সংসার করবো। কেউ জানবেও না, বুঝবেও না।
-কী?
-বিকালে ওকে নিয়ে বের হবে, ওইখানে আসবে, বাকীটা আমি করবো।
-আমার ভীষণ ভয় হচ্ছে। তাছাড়া পরে জেনে গেলে পুলিস, কোর্ট, জেল, না আমি পারবো না। তাছাড়া রীমের তো এখানে কোন দোষ নেই। ওকে কেন শাস্তি ভোগ করতে হবে। আমি পারবো না।
-না পারলে আমি তোমাকে সুখে থাকতে দিব না।
-তুমি কী করতে চাও, ভয় দেখাও কেন? আমি তোমাকে ঘৃণা করি।
-এটা তোমার মনের কথা না। মনে পরে বলে ছিলে, "রীমকে ছাড়তে পারলে আমাকে বউ বানাতে"।
- সেগুলি ছিল আবেগের কথা। বাস্তবতা ভিন্ন।
-আমার কাছে আবেগটাই জীবন, আমি যে সারা জীবন আবেগী হয়ে তোমাকে জরিয়ে রাখতে চাই।
-মৌরি প্লিজ আমাকে ক্ষমা করো। প্লিজ
-সীমান্ত প্লিজ আমাকে গ্রহণ করো, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না।
-মৌরি প্লিজ পাগলামি করনা। তুমি ধুমকেতুর কাছে ফিরে যাও। প্লিজ।
ফোন কেটে দিল। মোবাইলটা অফ করে রাখল। উঠে ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেস হলো। রুমে এসে দেখে রীম ঘুমচ্ছে। কাছে গিয়ে রীমের কপালে একটা চুমু খেলো, তাতেও রীমের ঘুম ভাঙল না। মনে মনে বলল-"রীম আমাকে ক্ষমা করো, আমি তোমাকে ঠকিয়েছি, তুমি আমাকে ঠকিয়ো না।" খাটে বসল। একটা বালিশ নিয়ে রীমের পাশে শুয়ে পড়ল।
দু'জনে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক শহর ছেড়ে একটু বাইরে বেড়াতে এল। চারপাশ নিশ্চুপ।কোন মানুষ জন নেই। গজারি গাছের ছোট বন পেরিয়ে গাড়িটা পার্ক করে দু'জনে ছোট একটা দীঘির পাশে বসল। রীমের মুখে কোন কথা নেই। এদিক -ওদিক তাকাচ্ছে বারবার।
-রীম জায়গাটা অনেক সুন্দর না?
-হুম(শুষ্ক গলায় বলল)
-রীম তোমাকে এমন ফ্যাকাসে লাগছে কেন? তুমি কী কিছু ভাবছ? রীম এখানে তোমাকে নিয়ে এসেছি কেন, জান?
-(রীম ভয় পেয়ে) কেন?
-আমি জানি তোমার মনে অনেক ক্ষোভ আছে, আমাকে তুমি সন্দেহ করো, তোমাকে কিছু সত্য কথা বলার জন্য এই নির্জনে ডেকে এনেছি।
-আর আমি কেন তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি জান?
-কেন?
-একটা সত্য উপহার দিব বলে।
-মানে?
রীম সোজা উঠে দাঁড়ায়। মোবাইল ফোন বেজে উঠে। তার মানে সংকেত পেয়ে যায়। পার্বণ আসে পাশে চলে এসেছে। কী করবে, বুঝতে পারছে না। যেখানে তাঁরা বসেছে সেখান থেকে পুকুরটা অনেক নিচে। সীমান্ত সাঁতার জানে না, ফেলে দিলেই হয়। কেউ সন্দেহ করবে না। আবার ভাবে যদি মারা না যায়? তার চেয়ে অস্ত্র ব্যবহার করাই ভাল হবে।
-তুমি কী কিছু ভাবছ? তোমার চোখ -মুখ কেমন যেন দেখাচ্ছে? তোমার এইরকম চোখ আমি আগে কখনো দেখি নি।
-আমার একি প্রশ্ন, তোমার এমন চোখ -মুখও আমি আগে কখনো দেখি নি। তুমি কী ভাবছ? রীমের ফোন বেজে উঠল।
-কে ফোন করছে?
-একটা অপরিচিত নাম্বার। (মিথ্যা কথাটা বলে রীম স্বস্তি পেল।)
-ওহ।
রীম পার্স খুলে রিভলবারটা বের করল। সোজা সীমান্তের মাথা বরাবর ধরে -"আজ তোমাকে আমি মৃত্যু নামক সত্য জিনিসটা উপহার দিব। আমি তোমার নরক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই পথ বেছে নিয়েছি।"
সীমান্ত কী করবে, কী বলবে বুঝতে পারছে না। সে আস্তে আস্তে ঘুরছে, এখন তার পেছনে পুকুর। একটু পেছনে গেলেই পরে যাবে। সে পকেটে হাত দিল, রীমের চোখের উপর চোখ রেখে তাকিয়ে আছে। রীমের মনোযোগ চোখের উপর রাখার চেষ্টা, সীমান্ত রীমের চোখের উপর মায়া মায়া দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে। বিস্ফারিত দুটি চোখে যেন অসহায়ত্ব ফুটে তুলছে। খুব সাবধানে পকেট থেকে রিভলবারটা বের করে রীমের বুক বরাবর ধরে বলল-"আমি তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছিলাম, আমার জীবনে নূতন একজনকে গ্রহণ করার জন্য। তোমাকে বিদায় জানিয়ে আরেক জনকে বরণ করার পথ পরিষ্কার করার জন্য।"
দু'জনের অগ্নি দৃষ্টি। কেউ কাউকে কিছু বলছে না। কাছা কাছি চলে আসছে। কারো চোখে কোন বিশ্বাস নেই, ভালবাসা নেই, আশ্বাস নেই, স্বপ্ন নেই। কতক্ষণ এইভাবে গেলো বোঝা গেলো না। কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দ, দু'জনে মাটিতে পড়ে গেল। রক্তাক্ত দু'টি চোখের স্বপ্ন উড়ে গেল দূর আকাশে।
==========
দলছুট।
মন্তব্য
জটিল!!!
দলছুট ভাই, কিছু মনে করবেন না। আমি এটাকে ভালো হয়েছে বলতে নারাজ। বানান ভুল কিছু কমেছে (তবে এখনো যথেষ্ট আছে- প্রথম বাক্যেই ষড়ঋতু বানান ভুল।), কিন্তু আপনার গল্প আসলে বাংলা নাটক বা সিনেমার চিত্রনাট্য বলেই ভুল হবে [চিত্রনাট্য সম্পর্কে ধারণা নেই- কেউ রাগ করবেন না, সোজা বাংলায় এটাকে নাটক নাটক মনে হয়।]।
... আপনার তো বেশ কয়েকটা গল্প পড়ে ফেললাম, কিন্তু দেখছি আপনি আপনার গল্পের নায়ক-নায়িকার নাম নিয়ে যতটা ভাবেন-অর্থাৎ আপনার পাত্রপাত্রীর নাম যতটা সুন্দর হয়- গল্প ততটা হয় না। আপনি বরং কিছুদিন হিমু ভাই,আনোয়ার সাদাত শিমুল ভাই, স্পর্শ ভাই- এইসব গল্পকারদের লেখা এই সচলেই পড়ে দেখুন না; অনেক চমৎকার প্যাটার্ন পাবেন।
... মন্তব্যে রাগ করবেন না যেনো- সচলে নিয়মিত গল্পকার হওয়ার চেষ্টা আপনি করছেন, তাই বলা। একজন নতুন গল্পকার পেতে আমার ভালোই লাগবে
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ষড়ঋতু= এইটা কিন্তু আমি ঠিক লিখেছিলাম, এখন দেখলাম একটা হসন্তর মত দেখা যাচ্ছে। এটা আমার ভুল না ভাই, অভ্র আর ফোনেটিকের দ্বন্দ্ব।
আর কাহিনী বললেন নাটকের মত, নাটক কী গল্প ছাড়া হয়? জীবনের গল্প কী নাটক না?
আপনি যাদের লেখা পড়তে বললেন, তাদের লেখা পেলেই আমি পড়ি। আমি সচলের গল্প সব পড়ার চেষ্টা করি।
আর মন্তব্যে আমি কখনো রাগ করি না। আপনাদের মন্তব্য আমার জন্য পরামর্শ বা বলতে পারেন দিক নির্দেশনা হিসেবে নেই।
আর বানানের দিকে নজর বেশী দিচ্ছি। আর একটা ব্যাপার আপনাকে কিন্তু বিবেচনা করতে হবে কোনটা আমার জানার ভুল আর কোনটা টাইপিং বা বাংলা ফন্টের জন্য ভুল হয়। ষড়ঋতুর বানান আমি কী পাড়ি না? এটা কিন্তু শুধুই বাংলা ফন্টের জন্য হয়েছে। তারপরও ধরিয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আশা করি ভবিষ্যতেও পড়বেন এবং আরো কড়া ভাষায় মন্তব্য করবেন।
ধন্যবাদ।
দলছুট।
==========বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও
অবশ্যই আপনি 'পাড়েন'
জি আপনিও "পাড়েন"।
ধন্যবাদ।
নাহ, আমি 'পারি'
তাইলে আমিও পারি কিন্তু মাঝে মাঝে কীবোর্ড "পাড়ে" না।
নতুন মন্তব্য করুন