মেলার সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্টীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির যোগাযোগ নিবিড় । বাংলার এই সংস্কৃতিতে থাকে সব ধর্মের মানুষের সংস্কৃতির সমন্বয় । কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায় বা কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় মেলার। মেলাকে ঘিরে গ্রামীণ জীবনে আসে প্রানচাঞ্চল্য। এই সমন্বিত সংস্কৃতিকে পাকিস্তানী শাসক এবং তাদের এদেশীয় ধ্বজাধারী এবং নব-উত্থিত মুসলিম বাঙালি মধ্যবিত্তের একটা অংশ সরকারি পর্যায়ে এবং সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং পাকিস্তানী তথা মুসলিম-আদর্শের জন্য ক্ষতিকর বলে প্রচার চালাতে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে স্থবিরতা নামতে থাকে মেলার আয়োজনে।
আমরা মেলার স্বাদ কিছুটা পেলেও ঢাকা শহরের বাচ্চাদের কাছে এই মেলার সাথে পরিচিতি নেই বললেই চলে। ইট কাঠের খাঁচার বন্দী জীবনে তাদের সমস্ত বিনোদন আজ যন্ত্র কেন্দ্রিক। দূর্গা পুজা উপলক্ষে তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দরের কাছে শাহীনবাগ সিভিল এ্যাভিয়েশন মাঠে বসেছে ছোট্ট পরিসরে মেলা। ছেলেকে নিয়ে বের হয়েছিলাম আবহমান বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতির সাথে তার পরিচয় করানোর জন্য।
গ্রামের মেলায় যাত্রা, পুতুল নাচ,নাগরদোলা, জারি-সারি, রামায়ন, গম্ভীরা কীর্তন, পালার আসর, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, লাঠি খেলা, হাডুডু খেলা মুগ্ধ করে আগত দর্শনার্থীদের। এখানে নাগরদোলা ছিল সব বয়সীদের কাছে প্রধান আকর্ষন।
গ্রামীণ মৃৎশিল্প ও কারুপণ্যের বিকিকিনি মেলার আরেক আকর্ষণ। এই নিয়েই গ্রামীণ মানুষের সেকি আনন্দ! পুতির মালা, বাঁশি, কাঠ-বাঁশের খেলনা, নবান্ন, কদমা, হাওয়ার মিঠাই দিয়েই হাসি ও সুখের আভা ফোটানো যায় অল্পে তুষ্ট গ্রামীণ নারী ও শিশুর মুখে।
http://www.flickr.com/photos/42211226@N02/3962658793/in/photostream/
তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দর শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের প্রতিমা।
বাবার সাথে দূর্গা দর্শনে এসেছে ধরণীর লক্ষী ও স্বরসতী।
"কিনে দে রেশমী চুড়ি নইলে যাব বাপের বাড়ী" । মেলায় রেশমী চুড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে বিক্রেতারা।
বাচ্চাদের হরেক রকম খেলনা নিয়ে বসে আছে দোকানীরা
বাদ পড়েনা টিয়া পাখি দিয়ে ভাগ্য গনণাকারী।
বেশী দামের আশায় মেলায় কচ্ছপ বিক্রি করতে এসেছে জনৈক ব্যক্তি। কিন্তু প্রহরীরা তাকে বসতে দেয়নি মেলার আঙ্গিনায়।
গ্যান্ডারী পিসাইয়া লোহার কলে বসাইছে দোকানী রসের কারবার।
মেলার মধ্যে আমার পুত্র অমিয় রেনেসাঁ।
রেনেসাঁ
মন্তব্য
মনে হলো ছবির ক্যাপসন এগুলো... কিন্তু ছবি নাই... কাহিনী কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি নিজেও কিছু বুঝতে পারছিনা। flickr থেকে ছবি এ্যাড করেছি। ছবির ওপর ক্লিক করলে ছবি দেখা যাচ্ছে কিন্তু সচল এর পেজে শো করছে না। সমাধানের জন্য সচলদের সহযোগিতা চাচ্ছি।
রেনেসাঁ
@রেনেসাঁ
চমৎকার শিরোনামের জন্যে ৫।
ছবির ব্যাপারে বলি। একটু কষ্ট করে ছবিগুলো প্রথমে "লেখালেখি করুন" এই অংশে 'ছবি'তে ক্লিক করে ক্যাপশন সহ আপলোড করে নিন। পরে মূল ব্লগে নীচে দেখবেন ছবি যোগ করার একটি বাটন আছে যেটা ক্লিক করলেই সেইভ করা ছবিগুলো দেখায়। সেখান থেকে সঠিক সজ্জা নির্বাচন করে যোগ করে দিন ব্লগে। আর সমস্যা হবে না।
ছবির আকার ছোট করে (৬৪০ গুণ ৪৮০) আপলোড করলে সময় কম লাগে। এই সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন (http://www.vso-software.fr/products/image_resizer/)। অথবা এডব থাকলে অপটিমাইজ ফর ওয়েব অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন ছবির আকার ছোট করার জন্যে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই। শিরোনামের জন্যে দেয়া ৫ এর জন্য বারেক ঠ্যাকানু মাথা।
এবার ছবি দিতে আর কোন সমস্যা হবেনা বলে আশা করছি।
- বস, ফ্লিকারে আপনি ছবিটা খুললে তার নানান সাইজ দেখতে পারেব। ঐখানে একটা সাইজ ঠিক করে ক্লিক করলে দেখবেন নিচে একটা এ্যাম্বেড করার হাবিজাবি কোড দেখায়। ঐ কোডটা নাড়িভুঁড়ি সব শুদ্ধা কপি করে এনে সচলের টেক্সট বক্সে জায়গা মতো পেস্ট করে দেন। দেখবেন ছবি চলে আসছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ স্যার । এখন আশা করছি ছবি এ্যাড করতে পারব।
আমার এই পোষ্টে ছবিগুলো ঠিক করার কোন উপায় আছে কি? যদি থাকে দয়া করে সমাধানের পথ দেখান।
ধন্যবাদ আলমগীর।
ছবিগুলো দেখতে পেলে নিশ্চই ভালো লাগতো। এছাড়া ভালোমন্দ বলতে পারছিনা
ছবির ওপর ক্লিক করলেই ছবি দেখা যাবে। আমার সীমাবদ্ধতার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
ছবিগুলো ঠিক করার ব্যাপারে আমি মডারেটরদের সাহায্য কামনা করছি।
আরে বাদ দেন। কোন ব্যাপার না। কিন্তু আমি তো কিছু দেখতে পারছিনা। শুধু একটা লিংক দেখছি। সেখানে গিয়ে ছবিগুলো দেখেছি অবশ্য।
আমার মনে হচ্ছে এই পোষ্টে আমি পাঠকের সাথে প্রতারণা করলাম। আবারও ক্ষমাপ্রার্থী....
নতুন মন্তব্য করুন