সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে বিবাহিত পুরুষদের ৬০ শতাংশই দাম্পত্য জীবনে কোনো না কোনো সময়ে স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। হয়তো প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও আরও বেশি। কেননা এদেশে খুব কম নারীই স্বামীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাইরে মুখ খোলে।
'ঘর-বাহির' এর রাজনৈতিক দূরত্ব তাদের এই নির্যাতনের পরিসীমাকেও খণ্ডিত করে। তাই এর বিরুদ্ধে আইন-বিচারের জায়গাও হযে পড়ে খন্ডিত, বিচ্ছিন্ন এবং বিক্ষিপ্ত। যার কারনে নারী ছিটকে পড়ছে আরও দূরে, কেননা কোন্ নির্যাতনের জন্য কেথায় গিয়ে বিচার চাইতে হবে সেটি হয়ে পড়ে তার কাছে অস্পষ্ট। তাই চোখ বন্ধ করে বলা যায় এই ৬০ শতাংশ হলেন তারাই যারা কিছুটা বলতে পেরেছেন কিংবা সমাজের হাজারো চোখ রাঙানীকে উপেক্ষা করে বলার মতো শক্তি অর্জন করেছেন, কিংবা যারা স্বামীর নির্যাতনের কারনেই ভয়কে জয় করতে পেরেছেন।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই যে, এখানেই শেষ হয়ে যায়নি এই তথ্যের জৌলুস। গবেষণা তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা রিপোর্টটি আরও জানায় যে, পরিবার কাঠামোতে ৫৪ শতাংশ স্বামীর মতে, স্ত্রীকে নির্যাতন করা স্বামী-স্ত্রীর একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। ৩৯ শতাংশ মনে করেন স্ত্রীকে মারধর করার অধিকার স্বামীর আছে। এখানে মনে রাখা জরুরি, এটি কোনোভাবেই ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, এটি একবারেই পুরুষতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়। ব্যক্তিগত ঘটনার আবরন দিয়ে এটিকে জায়েজ করা হয়, বৈধ করার চেষ্টা হয় কিংবা অপরাধ জেনেও আড়াল করার অবিরাম চেষ্টা চলে। তাই এই প্রবণতাকে মোকাবেলা করতে হবে রাজনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে। আর শুধূ স্ত্রী কেন, যে কাউকেই শারীরিকভাবে আঘাত করা অপরাধ, নির্যাতন। সেটি কারো অধিকার হতে পারেনা।
বাংলাদেশে পরিচালত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ মতে ১৫ বছরের বেশি বয়সী গ্রামের নারীদের ৪২ শতাংশ এবং শহরের নারীদের ৪০ শতাংশ কাছের মানুষের মাধ্যমে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। এরসঙ্গে আরও তথ্য জানা যায় আইসিডিডিআরবি এবং নারীপক্ষ পরিচালিত জরিপ থেকে, যেখানে দেখা গিয়েছে ১৫ থেকে ১৯ বয়সী নারীদের ৪৮ শতাংশই এ নির্যাতনের শিকার (প্রথম আলো , ১২ সেপ্টম্বর ২০০৯ প্রকাশিত রিপোট অনুযায়ী)। এ রিপোর্ট আমাদেরকে আতঙ্কগ্রস্থ করেছে, শংকিত করেছে। পারিবারিক নির্যাতন বন্ধ এবং এর বিপরীতে লিঙ্গীয় সমতা রক্ষার জন্য সরকার এবং বেসরকারী উদ্যোগকে রীতিমতো ব্যঙ্গ করেছে রিপোর্টটি। এই রিপোর্টের তথ্য আমাদের আলোর বিপরীতে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়, আশার আলো নিভিয়ে দেয়। আমরা ঘরের দিকে ফিরে তাকাই, নির্যাতনের চিত্র দেখি, ভয়াবহতা দেখি, নারীর অবস্থা বিবেচনা করি।
এই বিষয়ে বেশ কটি গবেষণা রিপোর্ট থেকে আরও জানা যায় বাংলাদেশে ৫-৯ বছর বয়সী মেয়ে শিশুরা প্রথম যৌন হয়রানী এবং নিপীড়নের শিকার হয় খুব কাছের আত্মীয় পরিজনদের মাধ্যমে, আদর -স্নেহের আবরনে কিংবা অতি ভালোবাসার প্রলেপে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একজন মেয়ে শিশুর বয়স এতোই কম থাকে যে সে বুঝতেই পারে না এটি নির্যাতন। পরবর্তীতে বুঝতে পারলেও, সামাজিক চাপ এবং পুরুষতন্ত্রের অনি:শেষ তাপে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই বিষয়ে খুব বেশি এগুনো সম্ভব হয় না।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইসস্টিটিউটের সর্বশেষ হেলত সার্ভে ২০০৭ শীর্ষক এক জরীপে স্ত্রী নির্যাতনের পেছনে যে সব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে স্বামীর আদেশ অমান্য করা, স্বামীর যৌন আগ্রহে সাড়া না দেয়া, যথাসময়ে ঘরের কাজ শেষ না করা, সন্তানদের যত্ন না নেয়া, স্বামীকে না বলে বাইরে যাওয়া, ধর্মীয় আচার না মানা এবং স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করা। এর মধ্যে কোনটিই নির্যাতনের অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানোর সুযোগ নেই।
নারীর এই ধরনের আচরনের সামাজিক চাহিদা য় 'সামাজিক নারী'র একটি কল্পিত রূপ আমাদের সামনে হাজির করে। এই নির্যাতন সহ্য করে, কখনও কখনও এর বিরুদ্ধে সয়ে যাওয়া প্রতিবাদ করে কিংবা এটিকে অনিবার্য বলে মনে করে নারী 'বিয়ে' নামক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে আসলে একটি ব্যবস্থার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি আপোষ রফার চেষ্টা করে মাত্র , দেন দরবার করে, এমনকি সেটি কখনও কখনও ঘটে তার জীবনের বিনিময়েও। কিন্তু এটি হওয়া ঠিক নয়, এই ধরনের প্রবণতার মাধ্যমে নারী নির্যাতন আরও বাড়ে।
এখানে কিছূ বিষয় খোলাসা করা প্রয়োজন। প্রথমত নারীর প্রতি শারীরিক নির্যাতনের ধরন বলতে বলা হয় কিংবা বোঝানো হয় শারীরিকভাবে মারধর করাকেই। কিন্তু এই নির্যাতনের অন্যতম ধরন হলো 'ম্যারিটাল রেইপ' অর্থাৎ বিয়ে সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষন, যেটিকে বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই স্বীকার করা হয়না। দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষনের অস্তিত্ব এবং এর মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি নির্যাতনের বিষয়টিও পারিবারিক কাঠামোতে নারীর প্রতি নির্যাতনের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ধরন। কিন্তু এটিকে সামনে আনা হয়না, কখনোই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়না, বরং দাম্পত্য সম্পর্কের অনিবার্য শর্ত হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
নিশ্চিত করে বলা যায় যে, ম্যারিটাল রেইপকে যদি নির্যাতন হিসেবে দেখা হতো তাহলে নির্যাতনের পরিমান ৬০ শতাংশ অনেক আগেই ছাড়িয়ে যেতো। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র নেপালেই ম্যারিটাল রেইপের বিরুদ্ধে আইন রয়েছে। বলা হয়েছে 'ধর্ষন হলো ধর্ষনই' সেটি যার মাধ্যমে সংগঠিত হউকনা কেন।
আমেরিকার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপে দেখা গিয়েছে বিয়ে সম্পর্কের মধ্যেই সবেচেয়ে বেশি ধর্ষনের ঘটনা ঘটে যা কখনও পারিবারিক নির্যাতন হিসেবে উল্লেখ করা হয়না। পারিবারিক নির্যাতনের একটি বড় জায়গা হিসেবে বাংলাদেশে অচিরেই ম্যারিটাল রেইপের মতো বিষয়কে সামনে নিয়ে আসা প্রয়োজন।
দ্বিতীয় প্রসঙ্গটি হলো পারিবারিক নির্যাতনকে ব্যক্তিগতভাবে দেখা। পরিবার একটি সামাজিক স্তম্ভ। কিন্তু কী কারণে পারিবারিক সম্পর্ককে 'ব্যক্তিগত' বলা হয় কিংবা ব্যক্তিগত হিসেবে দেখা হয় তা বোঝা মুশকিল। ব্যক্তি মাত্রই রাজনৈতিক। এখানে কোনো কিছুকে ব্যক্তিগতের মোড়কে দেখার সুযোগ নেই। সম্পর্ক কখনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারেনা।
বিশেষ করে লিঙ্গীয় সম্পর্ক বিশ্লেষণে বলা যায়, এই সম্পর্কে যে রাজনৈতিক লেনদেন থাকে, শাসন-শোষনের বিষয় থাকে, উপনিবেশিকতা-অধীনতার ধরন থাকে, এটি কখনও ব্যক্তিগত হতে পারেনা। পারিবারিক নির্যাতন একটি রাজনৈতিক বিষয়, এটি অপরাধ। এটি বন্ধ হওয়া উচিৎ।
-জোবাইদা নাসরীন
শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidan asreen@জেমেইল. কম
মন্তব্য
আপনার অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় কিন্তু। অতিথি লেখক অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে লেখার প্রয়োজন নেই, নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে লিখতে পারেন।
ধন্যবাদ হিমু।
এর পরে নিজ অ্যাকাউন্ট থেকেই লিখবো।
আমি আসলে বেছে বেছে এমন এক দেশে এসেছি যেখানে ধর্ম কর্মে কারো মন নেই। তাই আগে যেমন দেশে থাকতে কালে ভদ্রে দুই একজন নাস্তিকের দেখা পেতাম , এখন সেখানে কালে ভদ্রে দুই একজন আস্তিক দেখি। ধর্ম না থাকলে ও এরা বিয়ে করে আমি অনেক জন কে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন? বলে সামাজিকতা। আমি কথা গুলো বলছি এই জন্য যে এখানে অধিকাংশ বিয়েই প্রেম ঘটিত এবং এরা প্রেমে পরে শতবার। আমি গত দুই বছরে এক জন ছেলেকে পেয়েছি যে একজন মেয়ের সাথে প্রেম করে সুখী হবার স্বপ্ন দেখছে। ডিভোর্সে এরা পৃথিবীতে মোটামুটি এক নম্বরে বলা যায়।
আপনি বিয়েটাকে সঙ্গায়িত করেন নাই। আপনি যদি প্রেম করে বাবা মা পরিবার ছেড়ে বিয়ে করেন তবে সেখানে কিভাবে "ম্যারিটাল রেইপ" কে সঙ্গায়িত করবেন আর আলোচনার বিয়ে হলে সেখানে কিভাবে "ম্যারিটাল রেইপ"-কে সঙ্গায়িত করবেন? আলোচনার বিয়েতে এটা হবেই আর যেহেতু আলোচনার বিয়ে পরিবার এবং ধর্ম মতে হয়, তাই আপনি যদি ধর্ম মানেন তাহলে সেটা ইসলামে অধিকার দিয়েছে। ধর্ম মানে বলেই হয়ত এই ব্যাপারটি অনেক সময় সামনে আসলে ও সামাজিক চাপে হারিয়ে যায়। "ম্যারিটাল রেইপ" বিষয় চলে আসলে সেখানে তালাক এবং শাস্তি চলে আসবে। পেছনে থাকা নারীদের ঘর ভেঙ্গে যাবে খুব তারাতারি। সঙ্গায়িত আপনি যেভাবেই করেন "ম্যারিটাল রেইপ" কে সব ক্ষেত্রে একই সমাধান শাস্তি এবং তালাক, পরনির্ভর নারীর জীবনে সেটা হয়তো অনেক বাবা মায়ের কাম্য নয়। পরিবারে চাপিয়ে দেওয়া বিয়ে যখন মেয়েরা না করবার সাহস পাবে তখন আপনি এই আইন প্রনয়নের কথা বলতে পারেন কিন্তু এর আগে এই ধরনের আইন আমাদে কাঠ মোল্লাদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলবে এবং যত বড় দিন বদলের মন্ত্র বলে ক্ষমতায় আসুক না কেন এই কর্ম করতে কারো সাহস হবে বলে মনে হচ্ছেনা। যে দেশে এখন ও অনেক বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়না যেখানে এখন ও হিল্লা বিয়ে হয়, যেখানে এখন ও মুখের কথায় তালাক হয় সেই দেশে এই আইন করতে গেলে একটা আন্দোলন যে হবে সেটা আর বলতে। আগে ফতোয়া বিরোধী আইন আমাদেরকে বাস্তবায়ন করতে হবে এর পর অন্য আইন। এক এক করে না হলে দেখা যাবে সব আইনই বানানো হল কোন কাজ হচ্ছে না, আইন থাকার চেয়ে তার প্রয়োগ অনেক গুরুত্ব পূর্ণ। আর অই যে বললাম তালাকের পরিমান বেড়ে যাবে এবং যে আইনের দাড়াঁ এগিয়ে যাবার কথা সে আইনে পিছিয়ে যাবে এবং তালাকের ভয়ে অধিকাংশ নেয়ে মুখ খুলবে না এখন খুলছে ও না।
আমি রিপোর্ট পড়েছিলাম আমার ও সন্দেহ আছে রিপোর্ট নিয়ে।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে এর সঙ্গে মা-বাবার পছন্দ কিংবা নিজের পছন্দের বিয়ের কোন সম্পর্ক নেই। ধর্ষন, ধর্ষনই সেটি স্বামী দ্বারা সংঘটিত হউক আর যে কারো দ্বারাই হোক।
পুরুষের উপর নির্ভরশীলতা কমান , এসব আইন এমনিতেই কার্যকর হবে। আমাদের দেশে ৯৮%(আনুমানিক)স্বামীরা তাদের বউকে লালন পালন করে বলেই হয়ত স্ত্রীর শরীরের অধিকার তার নিজের মনে করে। তাই স্ত্রীর বিমুখীতা পুরুষদের এই কাজে উৎসাহ জোগায় বলে আমার বিশ্বাস। আলোচনার বিয়ে সেই হিসাবে ১০০% রেইপ, কারন অচেনা এক পুরুষের সাথে আলোচনার বিয়েতে এমন অলৌকিক কিছু ঘটবেনা যেখানে মেয়ে দুই ঘন্টার ভেতর প্রেমে পরবে এবং সম্মতির মিলন হবে। সমাধান কিছুটা এমন, স্বামীর ইচ্ছের সাথে তাল মিলছে না তালাক দিন , আইন আছে এ ক্ষেত্রে। আমার এক বান্ধবী বলেছিল অন্তত ৬০% মেয়েরা স্বামীর ঘরে থেকে ও অন্য পুরুষকে মনে ধারন করে, একজন পুরুষ হিসাবে আমার কথাটি হজম করতে অনেক সময় লেগেছে। পুরুষের ক্ষেত্রে ও ব্যাপারটা একই রকম ঘটে, অন্য নারীকে লালন করা। দুই জনেই যেহেতু এ রকম তখন মেনে নেওয়া অথবা মানিয়ে নেওয়াটা কি দরকার নয়? আমার মনে হয় স্বামীর সাথে সেক্স করতে কোন নারী অসম্মতি জানালে স্বামীর ভেতর এ রকম মন মানসিকতা কাজ করে , তার বউ হয়ত পর পুরুষে আসক্ত, তাই সে জোর খাটানোর চেষ্টা করে। ভাল লাগছেনা দুই একদিন এটার জন্য স্বামী রেইপ করবে এটা আমি মানি না, আমার মনে হয় ব্যাপারটা সেই সময়ই খুব সিরিয়াস হয় যখন এই ভাল না লাগাটা অনেক দীর্ঘায়িত হয়। তখন স্বামীর ভেতর সন্দেহ এবং ক্রোধ থেকেই এটার জন্ম। বিয়েটা সেক্স করবার একধরনের লাইসেন্স ইস্যু ছাড়া আমার কাছে অন্য কোন প্রয়জোন মনে হয় নাই, এই জন্যি বিয়েতে মোহরানা নিয়ে আমাদের সমাজে এতো দরাদরি। বিয়ের এত জটিলতার জন্যই লিভ টুগেদার দিন দিন এত জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের মেয়রা এটাতে কি নিরাপদ ভাবতে পারে? তাই আমার ও হুমায়ুন আজাদের মত বলতে ইচ্ছে করে, আধুনিক নারী পতিতার সুখ এবং স্বতীত্বের মর্যাদা নিয়ে বেচেঁ থাকতে চায়।
তসলিমা নাসরীন একবার একটা কথা বলেছিলেন" আমার শরীর , আমার শরীরে আমি কার সন্তান ধারন করবো সেটা আমার ব্যাপার, আমার স্বামীর সন্তানই ধারন করতে হবে সেটার কোন মানে আছে", আমার বক্তব্য কাজটা বাপের বাড়িতে থেকে করুন অথবা নিজের বাড়িতে, বিয়ে করেছেন কেনো? আপনার শরীরে আপনি আর একজনের সন্তান ধারন করবেন, আর একজন পুরুষ নিজের গতর খাটিয়ে সেই সন্তানকে লালন পালন করবে আমার কাছে ব্যাপারটা জাস্টিস মনে হয় নাই।
ম্যারাইটাল রেইপের সমাধান তালাক ছাড়া আমার কাছে আর কিছু নেই, রাষ্ট্র কোন আইন করতে গেলে আমার মনে হয় এই সমস্যা এভাবেই সমাধান দিতে চাইবেন তার আইনের পরিবর্তে।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
ধন্যবাদ আপনাকে, অনেকগুলো বিষয় অবতারনা করার জন্য। তবে আমি একটি বিষয়ে দ্বিমত পোষন করি , আর সেটি হলো অনেক চাকুরীজীবী নারীও ম্যারিটাল রেইপের শিকার হতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয় সেটি হলো বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে এই ধরনের ধর্ষনের বিষয় আছে তা কেউ চিন্তায় আনতে পারে না। অনেক নারীও হয়তো মতাদর্শিকভাবে এটি ভাবতে পারেনা। আর পরনির্ভরশীলতার বাইরেও যে নারী রোজগার করে, আপমদের দেশের প্রেক্ষাপটে তার পক্ষেও কী সংসার ভেঙ্গে দেয়া এতোটাই সহজ? সমাজ কী এই বিষয়ে তাকে সমর্থন দেয়? একজন নারীকে যখন তার স্বামী তালাক দেয়া সেখোন অনেংকাশে এখনও ভাবা হয় নিশ্চয়ই মেয়েটোর কোন সমস্যা আছে?' আর নারী যদি তালাক দেয় তাহলে বলে 'মেয়েটা উশৃংখল, নিশ্চয়ই অন্য কারো সাথে সম্পর্ক আছে'। সেখানে তালাক দেয়াটাও অনেক সাহসের বিষয়। তবে ভালো কথা হলো এখনতো নারী অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে।
আপনি যেহেতু শিক্ষক সেহেতু আপনার কাছ থেকে এ বিষয়ে আরো গবেষণাধর্মী লেখা নিশ্চই আমরা পাবো।
ম্যারিটাল রেইপের বিষয়ে নেপালে আইন আছে আপনি জানিয়েছেন। সেটা হয়তো আলাদা আইন। পারিবারিক এই বিষয়গুলোতে আইনের সুযোগ থাকাটা যথেষ্ট নয় আমরা জানি তবু আপনাকে অনুরোধ করবো একটা বিষয় পরিষ্কার করতে যে দন্ডবিধি (সিআরপিসি) অনুযায়ী বাংলাদেশে ম্যারিটাল রেইপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা - এটা একটু নিশ্চিত হয়ে নিন।
আমার জানা ছিল দন্ডবিধি অনুযায়ী (সঠিক ধারার নম্বর মনে নেই ৪৪৫-৪৬০ এর মাঝামাঝি মন বলছে ৪৪৬) ম্যারিটাল রেইপের বিরুদ্ধে মামলা করা যায়। শুধু সিআরপিসি পড়ে জানা - এর প্রয়োগ হয়েছে কিনা কখনও জানি না।
যেহেতু বিদেশে সেহেতু হাতের কাছে সিআরপিসি না থাকায় আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
তবে আপনি দেখে নিলে ও কারো ব্যাখ্যা পড়ে নিলে আপনার এই লেখাটাকে আরেকটু শক্তিশালী করতে পারবেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ধন্যবাদ আপনাকে। চেষ্টা করবো আমি।
বাংলাদেশ থেকে সদ্য বিদেশে আসা মেয়েরা কি কি সমস্যার পরে, তাদের ওপর কি ধরনের পারিবারিক নির্যাতন হয় এবং তাদেরকে কিভাবে সাহায্য করা যায়, এই বিষয়ের ওপরে একটা ওয়ার্কশপে গিয়েছিলাম কয়দিন আগে। ডিসকাশনের এক পর্যায়ে কথা হচ্ছিল, বিদেশ থেকে অনেকে দেশে গিয়ে মিথ্যে কথা বলে বিয়ে করে এখানে মেয়েদের নিয়ে আসার পর, সত্যি কথা ফাস হয়ে যাওয়ার পর বউরা প্রতিবাদ করলে স্বামীরা মারে তা নিয়ে।
সেই সময় একজন পুরুষ সদস্য মন্তব্য করলেন, একটু আধটু চড় টরতো মারাই যেতে পারে বউদেরকে, এটা খুবই স্বাভাবিক। যিনি এই মন্তব্য করেছেন তার নাম না উচ্চারন না করাই ভালো। তাকে এক নামে সারা বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ চিনেন। আমি তীক্ষন কন্ঠে চ্যাঁচিয়ে ওঠা মাত্রই আলোচনার মোড় অন্যদিকে ঘুরল। কতোটুকু পর্যন্ত প্রহার অত্যাচারের পর্যায়ে পরে না, মানে সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্য!!!!!!
বিচিত্র সেলুকাস, সভ্যতার দাবী করি আমরা।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নামটা বলে ফেলেন । একটা শুকর চিনে নেই । ভরা মজলিসে যখন সে এই কথা বলেছে তখন আপনার তরফে গোপণীয়তার দায় নেই বলেই মনে হয় ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমিও দাবী জানালাম তনুপা।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আপনি যদি মনে করেন এ্ দিরনের মানুষকে চেনা দরকার তাহলে তার নাম প্রকাশ করা প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপনাকে।
নামটা জানতে চাই।
নাম জানানো আমার পক্ষে সম্ভব না, দুঃখিত।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এই বিষয়গুলো সবার সামনে নিয়ে আসা দরকার।
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স বিডি এর সাইটে চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ নিয়ে কিছু তথ্য দেখেছিলাম। এখানে অনেক কিছু জানা হল।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরা রিপোর্টা দেখা যাবে অনলাইনে কোথাও? বিপরীত চিত্র নিয়ে কোন প্রশ্ন ছিল কি?
বিষয়টি পরিষ্কার বুঝলামনা। আপনার প্রশ্ন থাকলে করুননা ....
রিপোর্টটা কোথায় পাওয়া যাবে? অনলাইনে আছে কি? স্টাডি ডিজাইন কারা করেছে? ড্যাটা কিভাবে, কোথায় থেকে নেয়া হয়েছে? বস্তিবাসীদের লিস্ট আছে বলে শুনিনি। একটু বিস্তারিত বলবেন কি?
আপনি যদি আমার লেখাটা পড়েন, তাহলে নিশ্ছয়ই খেয়াল করবেন, সেখানে কোথাও লেখা নেই যে, এটির উত্তরদাতারা সবাই বস্তিবাসীর। হঠাৎ করে বস্তিবাসী প্রসঙ্গটা আসলো কেন? তার মানেই মোটের উপর ধারণা করা হয় বস্তির লোকজনই বস্তির উপর নির্যাতন করে? আর মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তরা করেনা? কথা হলো মধ্য বিত্ত আর উচ্চবিত্তদের তথ্য বাইরে প্রকাশ করা হয় না, নিম্নবিত্তের কথা আমরা জানতে পারি। মধ্যবিত্তের ভনিতা বেশি, আবরন বেশি, কিন্তু পুরুষতন্ত্রের সব শ্রেণীতেই কার্যকর।
আমি নিচে রিয়াজের পোস্টে উত্তর দিয়ে প্রভাবিত হয়ে এখানে মন্তব্য করতে এসে বস্তিবাসীদের কথা উল্লেখ করেছি। সেজন্য দু:খিত।
আপনি কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর দেননি।
আমি আমার লেখায় গবেষণা রিপোর্টের সূত্র উল্লেখ করেছি। আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিপোর্টটির কপি পেতে পারেন।
নামটা যানতে পারলে খুব ভালো লাগতো, চেনা যেত, কেননা এই প্রভাবশালা লোকগুলো সমাজের ক্ষতি করে বেশী । এই কথার জন্য সে কি ক্ষমা চেয়েছিল ?
এবার লেখার প্রসংগে বলি, লেখাটা ভাল হয়েছে । তবে আরও তথ উপাত্ত সমৃদ্ধ হলে ভাল হতো ।
অসাধারণ একটা লেখা।
ভাল লাগল খুব।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সময়োপযোগী আর প্রয়োজনীয় লেখা, মানুষের সচেতনতা বাড়লে আর সামাজিক ও আইনগত চাপ পড়লেই কিছু কাজ হবার আশা আছে। নাহলে একশো বছর আগে যা ছিলো তাই থেকে যাবে দেখা যাচ্ছে।
এসব আসলে শিকলের আংটার মতন একটার সঙ্গে আরেকটা লাগানো। আজো আমাদের সমাজে মাস্টারের ছাত্রকে মারা বাপের ছেলেমেয়েকে পিটানো এসব কিরকম কাঁধ ঝাকিয়ে মেনে নেওয়া হয়! ছোটো থেকে এইসবের ভিতর দিয়ে বড় হতে হতে আমাদের মেরুদন্ড যায় নুয়ে। সবলের সব অন্যায় তখন সমাজে জায়েজ হয়ে যায়। তখন স্বামী বৌ পেটায়, পণের জন্য নতুন বৌকে পুড়িয়ে অবধি মেরে ফেলে, গুন্ডাসর্দার অনায়াসে তোলা তোলে, তখন দুর্নীতিবাজ রাজনীতিক কলার তুলে সগর্বে ঘোরাফেরা করে।
সবকিছু এইভাবেই একটার সাথে আরেকটা জড়ানো। এগুলোকে উৎপাটন করতে গেলে আগাছা নিড়ানোর মতন সবই বিদায় করতে হবে।
লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে। এই বিষয়ে পুরুষদের অঙ্গীকার বাংলাদেশের একজন নারী হিসেবে আমাকে নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন্ দেখায়।
আপনি এখানে বিবাহিত পুরুষদের কথা বলেছেন, আমি কিন্তু ঢাকার রাস্তায় অবিবাহিত ছেলেদের দেখেছি তাদের অবিবাহিত প্রেমিকাদের মারধোর করতে । আমরা আসলে এখন আর বৌ পেটানর যুগে বসে নেই, অনেক দূর এগিয়েছি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হ্যা সেটিও ঘটে। কোন ধরনের ভালোবাসা, আদর, স্নেহ এই গুলোর ছলে কাউকে মারধর করা অবশ্যই অপরাধ।
'[]'জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইসস্টিটিউটের সর্বশেষ হেলত সার্ভে ২০০৭ শীর্ষক এক জরীপে স্ত্রী নির্যাতনের পেছনে যে সব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে স্বামীর আদেশ অমান্য করা, স্বামীর যৌন আগ্রহে সাড়া না দেয়া, যথাসময়ে ঘরের কাজ শেষ না করা, সন্তানদের যত্ন না নেয়া, স্বামীকে না বলে বাইরে যাওয়া, ধর্মীয় আচার না মানা এবং স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করা।' এর মধ্যে কোনটিই নির্যাতনের অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানোর সুযোগ নেই।[]
বাংলাদেশ কি আফগানিস্তান হয়ে যাচ্ছে নাকি? কিছুদিন আগে পত্রিকায় পড়লাম 'স্বামীর যৌন আগ্রহে সাড়া না দিলে স্ত্রীকে মারধোর করা যাবে- এ রকম একটা আইন হয়েছে আফগানিস্তানে।'
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে কোন বিষয়ে আধিপত্য দেখানোর মানুষ নানা ধরনের সুযোগ খোঁজে। পরিবার হলো সেই ধরনের একটি জায়গা। এখানে বিভিন্ন উছিলায় অনেক কিছূকে বৈধ করার চেষ্টা করা হয়।
সময়োপযোগী লেখা এবং টপিক, তবে গবেষণার বা রিপোর্টের স্পেসিফিক নাম / সন সহ রেফারেন্স যোগ করলে ভালো হত - কে, কিভাবে গবেষণা করেছে না জেনেই তা নিয়ে গায়েবী আলোচনার আগ্রহ পেলাম না। এন.জি.ও-র কথা বাদ দিলাম - এমনকি পরিসংখ্যান ব্যুরো যেভাবে কাজ করে - তা বললে দেশে সম্পাদিত গবেষনার উপর আস্থা কমে যাবে। ইউ.এন. গবেষণা করলেও লোকাল গবেষকদেরই মাঠে পাঠায়।
আপনার সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। আপনার মতো অনেকেই লোকাল গবেষকরা গবেষণা করলে মনে করে, এটি গবেষণা নয়, এদের উপর আস্থা রাখা কঠিন। আবার বিদেশ থেকে এসে গবেষণা করলে বলেন, ওরা আমাদের দেশ সম্পর্কে কী জানে, তাই এই রকম রিপোর্ট দিয়েছে। তাহলে গবেষণাটা করবে কে? আপনারাই এই দায়িত্ব নেন না!
যুগ পাল্টাচ্ছে। ঢাকা শহরে এখন শিক্ষিত বউরাও জামাই পেটায়।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
সেটিও নিশ্চয়ই অপরাধ। এটি রেষারেষির কোন বিষয় নয়। তবে অত্যাচার নির্যাতনের ধরনে নিশ্চয়ই ভিন্নতা রয়েছে। একজন নারী নিশ্চয়ই কোন পুরুষের গায়ে এসডি ঢেলে নির্যাতন করেনি। এই ধরনের কোন কেইসের কথা জানিনা । কিংবা ধর্ষন? আপনাকে তো ছেলে হিসেবে এই ধরনের নির্যাতনের ভয়ে থাকতে হয়না ।
ধর্ষন কথাটা আসলে আপনি যেভাবে বলেছে আমি সেটা মানতে নারাজ। সমরেশের একটা বইয়ে পড়েছিলাম যেখানে তার একজন সহচরের সাথে একজন মেয়ের শারীরিক সম্পর্ক ছিল কিন্তু মেয়ে পরে বিয়ে করতে নারাজ এবং সেই ছেলে দুঃখ করে বলেছিল আমার সঙ্গে তাহলে সে থাকল কেন। সম্ভ্রম নারীর নিজস্ব কোন অধিকার নয় এ অধিকার পুরুষেরও। এসিড মেয়েরা মারে না ঠিকই কিন্তু মানসিক অত্যাচার এবং পরকিয়া জনিত কারনে স্বামীকে খুন করতে প্রেমিককে প্রলুদ্ধ করার খবর কিন্তু আমরা মাঝে মাঝেই পত্রিকাতে দেখতে পাই। আমি গ্রামের ছেলে, আর গ্রামের অনেক মানুষ শ্রমিক হিসাবে বাহিরে থাকে এবং আমি এমন অনেক দেখেছি যে স্বামীর পাঠানো টাকা নিয়ে পরে পালিয়ে গেছে অন্য পুরুষের সাথে। তালাক হয়েছে কিন্তু টাকা আর ফেরত পাওয়া যায় নাই (নিতান্তই অভিজ্ঞতার কথা ব্যাতিক্রম ও আছে, অনেকে দেশে বউ রেখে বাহিরে গিয়ে আবার অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন)।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
যেখুন , দুইজন মানুষের স্ম্মতিতে কোন সম্পর্ক হলেতো সেটি ধর্ষণ হবে না। সম্পর্ক হলে সম্পর্ক ভাঙ্গতে পারে, নতুন রূপও লাভ করতে পারে। সেটির সঙ্গেতো ধর্ষণের বিষয় যোগ করলে হবেনা।
মন খারাপ কইরেন না টুটুল ভাই , আল্লাহ বিচার করবে।
আর এসব মন্তব্য প্রকাশ্যে দিয়েন না , সচলে আবিয়াত্যা পুলাপান বেশি , এগোরে আগেই ডর দেখাইয়া লাভ কী ?
সহমত।
তিনটা কথা:
১. পরিসংখ্যান দিয়ে বহু অসত্য কথা বলা যায়। আপনি যে গবেষণা রিপোর্ট দেখে এ লেখাটা লিখছেন তার সূত্র দিন অনুগ্রহ করে। অনলাইনে লভ্য হলে লিংক দিন। সেটা পেলে পরে অনেক কথা সহজ হয়।
২. ৬০ না, ৫০% যদি ধরে নিই, তবে আমার পরিচিত বিবাহিত ১০০ যুগলের মধ্যে অন্তত ৫০ জোড় মানুষের মধ্যে সমস্যাটা থাকার কথা। বিপদ হলো, বন্ধু-বান্ধবীদের মধ্যে কাউকেই আমি খুঁজে পাচ্ছি না যে নির্যাতন করে, যা নির্যাতিত। এসব বন্ধুরা যা আমার সাথে শেয়ার করতে পারবে না, তা একজন মাঠকর্মীর সাথে শেয়ার করবে তাও মানতে পারছি না। (তার মানে এই না যে সমাজের বিশেষ শ্রেনীতে নির্যাতন হয় না।)
৩. বাকি কিছু তথ্য প্রতিষ্ঠিত, তাই দুঃখজনক হলেও অবাক হইনি।
বাংলাদেশে গবেষনা বা এর জন্য পরিচালিত জরীপ অনেক ক্ষেত্রেই পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে থাকে এটা ঠিক। তবে এই হারটি সত্য হওয়া অসম্ভব নয় বলে আমার ধারনা। বিশেষ করে অশিক্ষিত দম্পতিদের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি বলেই আমার মনে হয়। বাংলাদেশে এখনো অশিক্ষিত বা অল্পশিক্ষিত দম্পতিদের সঙ্খ্যাই বেশি। ঢাকার প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ লোক বস্তিতে বসবাস করে। এদের হয়ত ৯৫% স্বামীই বিবাহিত জীবনের কোন একসময়ে স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেছেন (অনুমান)। বাকি দেশতো পরেই আছে। সেই অর্থে এই খানে পরিসঙ্খ্যানগত ভাবে সংখ্যাটি বেশি হলেও সেটা হয়ত সামগ্রিক হার নির্দেশ করছে। আর যেহেতু বিবাহিত জীবনে কোন এক সময় হাত তুললেই ৬০% এর মধ্যে পরে যাচ্ছে নিয়মিতদের হার কম হলেও একান্ত অনিয়মিতরাও এই কাতারে পরে যাচ্ছে।
আর সংখ্যাটিতে নিশ্চয়ই সব বয়স সীমার দম্পতিরা রয়েছে। সেদিক থেকে একজন অনেকদিন ধরে বিবাহিত দম্পতির সমগ্রজীবনে এরকম ঘটনা একবার ঘটার এবং পুরানো রীতির প্রভাব প্রতিফলিত হবার সম্ভাবনাই বেশি।
কাজেই আপনার আশেপাশের বন্ধুদের মধ্যে এই প্রবনতা না থাকাটা আসলে এই হারকে ভুল প্রমান করেনা। তবেই প্রথমেই বলেছি জরীপ পরিচালনায় অনেক ক্ষেত্রেই আগে থেকে ফলাফল ধরে নিয়ে সেই অনুযায়ী টেবিলে বসে প্রশ্নমালা পূরন করতে আমি অনেক নামি গবেষককেও দেখেছি।
তবে লেখিকার কাছে অনুরোধ থাকবে গবেষনা পত্রটির রেফারেন্স বা একটা কপি (যদি কপিরাইটের ঝামেলা না থাকে) পাঠকদের সাথে শেয়ার করতে।
একমত ...
জনসংখ্যার শিক্ষা এবং আয়ের সাপেক্ষে এই হারের ডিস্ট্রিবিউশন ভিন্ন হবে বলে মনে করি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমার মনে হয় এটি সম্পূর্ণভাবে আয় কিংবা শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এটি একটি বিশেষ বোধের সঙ্গে সম্পর্কিত। কেননা অনেক 'শিক্ষিত' মানুষও এই বিষয়ে 'শিক্ষিত' নয়।
আয় আর শিক্ষা দ্বারা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত/সম্পর্কিত -- একথা আমিও বলছিনা
তবে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছে, যদিও আমার মন্তব্যটিকে খানিকটা উন্নাসিক বা এলিটিস্ট মনে হতে পারে কিন্তু সেটাও বাস্তবতাই, তাই বলছি, শিক্ষিত আর অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে নারী নির্যাতনের হারে বিস্তর ফারাক থাকার কথা ... নিন্ম আয়/উচ্চ আয়ের প্রসঙ্গটা হয়তো রিডানড্যান্ট, কারণ মোটা দাগে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী উচ্চ আয়, আর অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী নিন্মআয় গ্রুপে আপনাআপনিই পড়ে যায়
আরেকটা কথা, ৬০% সংখ্যাটা দেখে ভড়কে গেছি বলেই প্রশ্নটা জাগলো ... শিরোনামে "ব্উ পেটায়" ফ্রেজিংটা দেখে আমি যেটা রিড করেছি তা হলো ৬০% পুরুষ স্ত্রীকে নির্যাতন প্রায়ই করে বা এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে; মানে বলতে চাইছি, মনে হয়েছে যে যারা জীবনে কখনও ঝগড়ার কনসিকোয়েন্সে ধরুন একসিডেন্টালি এক/দু'বার বউয়ের গায়ে হাত তুলেছে (যেটা আমরা সিনেমা-নাটকে প্রায়ই হতে দেখি, বাস্তবেও হয়তো আছে) তারা এই ৬০% এর মধ্যে পড়েনা ... আমার রিডিং কি ঠিক আছে?সেক্ষেত্রে সিচুয়েশন তো খুবই ভয়াবহ হবার কথা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সেটা কেবল পরিসংখ্যান থেকেই বলা সম্ভব। কোন ধারণা থেকে নয়।
নিম্নের প্রশ্নগুলোর উত্তর চাই:
১। টার্গেট পপুলেশন কারা ছিল? আপনার কথা মতো মনে হচ্ছে অশিক্ষিত বা অল্পশিক্ষিত এবং বস্তিতে বসবাসকারী লোকজনই টার্গেট। তাহলে স্টাডির ফলাফল কি জেনারালাইজ করা যায়?
২। নমুনা কিভাবে নেয়া হয়েছে সেটা কি জানেন? শুধু "মনে হলো" আর ভেবে নিলেন "হতেও পারে"?
৩। পরিসংখ্যান দিয়ে খুব সুন্দর করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় (যেটাকে অনেকেই মিথ্যার সমতুল্য মনে করেন)। কিভাবে ড্যাটা আনা হয়েছে (নাকি পয়সা দিয়ে কেনা হয়েছে) সেটা বলতে পারেন কি?
আমরা সবাই ধরে নেই এধরনের ঘটনা ঘটে থাকে (হয়তো সেটা ৬০%)। কিন্তু ধরে নিয়েই যদি খালাস হই তাহলে স্টাডি করার উদ্দেশ্য কী? (বিদেশি টাকার সদ্ব্যবহার?)
খুবই অপ্রিয় লাগতে পারে তবুও একটা কথা বলি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটা ডিপার্টমেন্টের বেশ কিছু স্টাডির ড্যাটা এ্যানালাইজ করার প্রত্যক্ষ সুযোগ হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, সবাই পারপাসিভ ভাবে ড্যাটা সংগ্রহ করে, যেটা দিয়ে প্রাপ্ত ফলাফল জেনারেলাইজ করা যায়না।
প্রশ্নগুলো কাকে করেছেন ঠিক বুঝলামনা। আমার লেখার কোথাও তো আমি আপনার প্রথম প্রশ্নের 'শিক্ষিত বা অল্পশিক্ষিত এবং বস্তিতে বসবাসকারী লোকজনই টার্গেট' এই গুলো ব্যবহার করিনি। এইগুলো কোথা থেকে পেলেন? আর গবেষণাটি আমার নয়, আমি সূত্র কিন্তু উল্লেখ করেছি। লেখা ভালো করে পড়ে মন্তব্য দেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ।
প্রশ্নগুলো রিয়াজের মন্তব্যের জবাবে করা, অর্থাৎ ওনাকেই করেছি।
পত্রিকায় যা ছাপা হয় তা বিশ্বাস করা ছেড়েছি বহুদিন আগে। যেকোন রিপোর্ট বের হলেই সেটা সহীহ তাই বিশ্বাস করা ছেড়েছি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়েছি। তাই দেখতে চাইছিলাম আসলে স্টাডি কিভাবে করা হয়েছে। আপনি জানলে জানাতেন, সেটাই ভালো হতো। বুঝে নিলাম আপনার কাছেও শুধু তথ্যই আছে, তথ্যটুকু কিভাবে পাওয়া গেছে সেটি নেই। সূত্র বিষয়ক করা মন্তব্যগুলো আপনাকে বোঝাতে পারিনি-- সে আমারই ব্যর্থতা।
আমি এর কথাই বলছিলাম। যে কোনো গবেষণা রিপোর্ট নিয়ে যাদের অগাধ আস্থা - তাদের জন্য নিচের লিঙ্কগুলি দিলাম:
(১) পরিসংখ্যানের ফাঁকি
(২) একটি ক্লাসিক বই How To Lie With Statistics
(৩) একটি ক্লাসিক উক্তি Lies, damned lies, and statistics
বউ জামাই পেটায় না জামাই বউ পেটায় এটা অনেকটা ডিম আগে না মুরগি আগের মতন হয়ে গেলো না? তুলিরেখার কমেন্টটা ভালো লেগেছে। আসল কথা হলো বারুদে ঠাসা বাংলাদেশ - সবাইতো মাইরের উপরেই আছে - এসব নিয়ে হাইপথেসিস দিলে নিচের মতন হবে -
(১) প্রায় ১০০% বাংলাদেশী বাবা-মায়ের হাতে মাইর জীবনে একবার হলেও খাইসে
(২) প্রায় ১০০% বাংলাদেশী স্কুল মাস্টারের হাতে মাইর খাইসে
(৩) প্রায় ৯৫% বাংলাদেশী ভাই-বোনের হাতে মাইর খাইসে
(৪) প্রায় ৯০% বাংলাদেশী আত্মীয়ের হাতে মাইর খাইসে
(৫) প্রায় ৫০% বাংলাদেশী বন্ধু-বান্ধবের হাতে মাইর খাইসে
(৫) প্রায় ২০% বাংলাদেশী জনগণ গুন্ডা-পান্ডার হাতে মাইর খাইসে
প্রশ্নটা হাইপথেসিস নিয়ে নয় - বরং তার জরিপ / গবেষণা পদ্ধতির উপর - লেখক যখন লেখেন " ... গবেষণা তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা রিপোর্টটি ..." এবং লেখার সব যুক্তি আসে সেই রিপোর্টের উপরে, তখন শুধু রিপোর্টের জুজুর কথা না বলে কিভাবে গবেষণা করা হয়েছিল তা বুঝিয়ে লেখাও জরুরি। এ জাতীয় জরিপ 'রকেট সাইন্স' নয় যে কেউই বুঝবে না। প্রকৃতিপ্রেমিক যেমন বলেছেন - অতি জেনেরালাইজেসন এ সব স্টাডির মূল সমস্যা। সূত্র উল্লেখ করেছি বলেই রিপোর্টটিকে আসমানী কেতাব সমতুল্য ভাবার কোনো কারণ নেই।
শেষকথা - সভ্য দেশগুলোর দৃষ্টিতে দেখলে তো হবে না - তাদের মতন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাঠামো আমাদের নেই - বাবার হাতে মাইর খেয়ে কেউ ৯১১ কল করবে না আমাদের দেশে - করলেও কেউ পাত্তা পাবে না। আমরা যা দেখে আসছি তা থেকে হটাথ করেই হলিউডের মুভি দেখলেই আত্ম-উপলব্ধি হবে না - গায়েবী গবেষনার থেকেও এই উপলব্ধি ওহীর মতন নাজিল হবে না - এর জন্য চাই শিক্ষা আর কাঠামো। সেদিন আসতে দেরী আছে বলে মাইর-ধর চালিয়েই যাবো? অবশ্যই না - শিক্ষিত লোকদেরই এগিয়ে আসতে হবে জনমত গঠনে। ফাও আশার বাণী বললেও এটা জানি 'ক্ষুদার রাজ্যে প্রিথিমি গদ্যময়'
এগুলো আমারো প্রশ্ন ছিল। তবে এখানে যেহেতু সবার কথা বলা হয়েছে। টার্গেট পপুলেশন কে সতর্কতার সাথে ভাগ করে সেম্পলকে সট্রাটিফাইড করে নেয়া দরকার হত। হয়ত সেটা করা হয়েছেও। এখানে আলমগীর ভাইয়ের মন্তব্যের আলোকে আমি আমার অনুমানের কথা বলেছি। অর্থাৎ আলমগীর ভাইয়ের পরিচিতদের মধ্যে বউ পেটান লোকজন না থাকলেও ৬০% এই মানটা যে সম্ভব সেটাই ব্যখ্যা করেছি।
সবাই করে কিনা জানিনা তবে অনেকেই করে। সেটাই বলতে চেয়েছি। গবেষকদের পেশাগত জবাবদিহিতা আর সততাএখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ঠিকাছে ভাই। কিছু মনে নিয়েননা।
আপনাকে ধন্যবাদ। প্লিজ এই বিষয়ে 'বস্তি' কিংবা'অল্প বয়সী ' বিবাহিতদের শুধূ দোষ দিবেন না। এটি কোন বিশেষ শ্রেণী বা বয়সের সমস্যা নয়। এটি একটি চিন্তার সমস্যা, মতাদর্শের সমস্যা।
এক বা একাধিক বার নির্যাতন কোন পার্থক্য বহন করেন না আসলে। একবার মারলেও সেটি দিয়ে বোধানো হয় বিয়ে সম্পর্ক কিংবা নারীকে একজন মানুষ কীভাবে দেখছে।
গবেষণাটির নাম এবং সোর্স উল্লেখ করেছি। আপনি যদি আগ্রহী হোন তাহলে সেই অফিসে যোগাযোগ করে গবেষণাটি দেখে নিতে পারেন।
রেফারেন্স বলতে আমি রেফারেন্সের ডিটেইল জানতে চেয়েছিলাম। অর্থাৎ যদি WHO জরীপ হয় সেটা কে তারা কোন একটা প্রকাশনা আকারে প্রকাশ করেছে সেটার ডিটেইল এরকম হবে
লেখক (সাল) "লেখার শিরোনাম", জার্নালের নাম, প্রকাশের স্থান
আসলে আমার মত অনেকেরই হয়ত হাত পা বাঁধা চাইলেই সরাসরি অফিসে গিয়ে গবেষনা পত্র জোগার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাছাড়া তাদের কাছে গেলেও তারা ডিটেইল রেফারেন্স জানতে চাইবেন।
আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমি যেটা বলছি সেটা কেবলই পরিসংখ্যানগত একটা দিক। তবে আপনার কি মনে হয়? শিক্ষার সাথে এই "চিন্তার সমস্যা" বা মতাদর্শের সমস্যার কোন সম্পর্কই কি নেই?
মতাদর্শের সমস্যাই যদি হয় তবে শিক্ষাকি সেটা সমাধানে কোন ভূমিকাই রাখতে পারেনা?
আমি বলছি যারা ঢাকায় বস্তিতে থাকেন তাদের মধ্যে শিক্ষার হার অনেক কম। তাই তাদের মধ্যে এই হার অনেক বেশি হবার কার্যকারন গত ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমার মতে দারিদ্রও এক্ষেত্রে একটা বড় অবদান রাখে। আপনি বলছেন এটা বিশেষ শ্রেনীর সমস্যা নয়। সে বিষয়ে আমার দ্বিমত নেই। কিন্তু আপনি কি মনে করেন শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সবার মধ্যে এই প্রবণতা সমান ভাবে দেখা যাবে? আমার সেটা মনে হয় না। অভিজ্ঞতা বা নৈমিত্তিক পর্যবেক্ষন সেটা বলে না।
আরেকটি বিষয় এই যে নির্যাতনে ঘটনা কয়বার ঘটল সেটা কে আপনি তেমন গুরুত্ব মনে করছেন না সেটার সাথেও আমি পুরোপুরি একমত নই। এখানে কেবল দুইটি কেটাগরি ধরা হচ্ছে-কোনদিন শারিরিক নির্যাতন করেনি বনাম একবার হলেও করেছে।
সেই হিসাবে যেই পুরুষ কোন একদিন তার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে অনুতপ্ত আর যে রাত দিন কোন রকম গ্লানিবোধ ছাড়াই স্ত্রীকে পিটিয়ে ভাবছেন স্বামীর দায়িত্ব পালন হচ্ছে তাদের দুজনকে একই কাতারে ফেলা হচ্ছে। এদের মধ্যে মিল যেমন আছে তেমন মৌলিক পার্থক্যও আছে। আলোচিত বাইনারি রেসপন্স ভেরিয়েবলে সেটা উঠে আসছে না। অনেক অজানাই এখানে চাপা পড়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ মন্তব্য প্রদান করার জন্য। আপনার বন্ধুদের অভিজ্ঞতা হয়নি, কিংবা হলেও বলেনি তাই বলেতো এটি কারো জীবনে ঘটেনা তা বলা যাবে না। আপনার লেখার একটি অংম আপমার কাছে আপত্তিজনক মনে হয়ছে সেটি হলো, 'এসব বন্ধুরা যা আমার সাথে শেয়ার করতে পারবে না, তা একজন মাঠকর্মীর সাথে শেয়ার করবে তাও মানতে পারছি না। (তার মানে এই না যে সমাজের বিশেষ শ্রেনীতে নির্যাতন হয় না।)'। পৃথিবীতে অনেক বিষয় ঘটে যা আমরা অনেক ঘনিষ্ঠ মানুষকে বলতে পারি না কিন্তু অপরিচিত জনকে বলি। কে কখন কী প্রসঙ্গে কাকে বলার মতো মনে করে সেটি কিন্তু বিবেচনায় রাখা জরুরী।
প্রিয় জোবাইদা নাসরীন
আপনি বহু মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছেন, খুবই ভাল।
কিন্তু আমার, প্রকৃতিপ্রেমিক ও ওয়াইল্ড-স্কোপের প্রশ্নের উত্তরটি দেননি।
আমি আবার সহজ করে প্রশ্নটি করি:
একটি গবেষণা রিপোর্টে...
কোন গবেষণা রিপোর্ট, কোথায় প্রকাশিত? আপনি যেহেতু রিপোর্ট দেখেই লেখাটি লিখেছেন, তাই সুনির্দিষ্ট সূত্র জানান।
৬০% এর কথাটা কোন রিপোর্টে এসেছে-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ?
নারীপক্ষের জরিপ?
আইসিসিডিআরবির জরিপ?
আপনার লেখায় তা স্পষ্ট নয়। একাধিক মন্তব্যে বলছেন সূত্র উল্লেখ করেছেন কিন্তু কেউ তা দেখতে পাচ্ছে না।
আমি বা উপরে যারা সূত্র দাবী করছে তারা আপনার তথ্য মিথ্যা এমন দাবী করছি না। বাংলাদেশে নারী নির্যাতন হয় না তাও বলছি না।
বিষয়টাকে লৈঙ্গিক রূপ দিলে শেষ পর্যন্ত সেই যে লাউ, সেই কদু থেকে যাবে। প্রায়োগিক ক্ষেত্র হিসেবে মেয়েরা বেশি নির্যাতিত হয়, তার অনেক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু আইনের ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্যটা না থাকাই উত্তম। এদেশে খুব কম নারীই স্বামীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খোলে, এটা যেমন সত্য, তেমন প্রায় কোনো পুরুষই স্ত্রীর মার খেয়ে প্রকাশ্যে বলবে না।
ম্যারিটাল রেইপের বিষয়ে যৌন সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। যৌনতৃপ্তি যে একপাক্ষিক ব্যাপার নয়, তা বুঝতে পারলে এটা কমে যাবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একমত।
একমত।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
প্রথমত এই ধরনের স্টাডি নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ থাকে
প্রায় সময়ই দেখা যায় গবেষক যে ধরনের রেজাল্ট চাচ্ছেন সেটা আগে ঠিক করে নিয়ে গিয়ে সেই রেজাল্ট যেখান থেকে পাওয়া যাবে সেই কন্ট্রোল গ্রুপে গিয়েই স্টাডি করেন
এই স্টাডির কথাটাও দেখেছি কয়েকদিন আগে
কিন্তু শতাংশের হিসাবটা আমি মানতে পারিনি
আমার ধারণা জেনারেল সিচুয়েশনেরে শতাংশ হিসাবটা এরকম না
০২
শতাংশ যাই হোক
বাংলাদেশে স্ত্রী নির্যাতন আছে এবং হয় সে বিষয়ে আমি একমত
কিন্তু এর কিছু ব্যাখ্যা আমার কাছে অন্যরকম
কারণগুলো অন্য কারণই মনে হয়
০৩
গ্রাম থেকে নিয়ে আসা কাজের মেয়ে যে কারণে শহুরে গৃহকর্তীর হাতে নির্যাতিত হয়। গরম খুন্তির ছ্যাঁকা খায়
স্বামীদের হাতে বেশিরভাগ স্ত্রী নির্যাতনের সামাজিক মানসিক কারণও আমার কাছে একই মনে হয়
এবং সেটা হলো নির্যাতিতের অসহায়ত্ব
নির্যাতনকারী জানে নির্যাতিতের যাবার জায়গা নেই এবং সে নির্ভরশীল
আর দুপক্ষের এই মানসিকতাই একজনকে নির্যাতনকারী আর আরেকজনকে নির্যাতন মেনে নেয়া মানুষ হিসেবে তৈরি করে
০৪
এই নির্যাত প্রক্রিয়া শুধু সচেতনতা কিংবা ঘৃণা দিয়ে রোধ করা সম্ভব বলে আমার মনে হয় না
এই নির্যাতন বিষয়টাকে প্রমোট করার ক্ষেত্রে বোধহয় নারীদেরও ভূমিকা আছে
এবং সেটা তারা করে যোগ্যতা থাকার পরেও নিজেকে পরগাছা এবং নির্ভশীল বানিয়ে
আমার নিজের বন্ধুদের মধ্যে অনেক মেয়েকেই দেখেছি যোগ্যতা এবং সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিয়ের পরে কোনো অর্থ উপার্জনের কাজ করতে চায় না
তাদের যুক্তি হলো- ওটা স্বামীর দায়িত্ব
আমাদের বিয়ের দলিলগুলোও অদ্ভুত (জানি না অন্য কোথায় কীভাবে আছে)
ওখানে স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর
অনেক স্ত্রী এটা স্বামীকে মনেও করিয়ে দেয়
আর নিজে বসে থেকে থেকে হয়ে উঠে স্বামীর সবকিছুর উপরে একটা পরগাছা
নিজের পরিচয় দেয়- আমি মিসেস অমুক
তারপর আমি অমুকের মা
এবং এক সময় নিজের নামটাও হয়তো নিজে ভুলে যায়
নির্যাতন প্রক্রিয়ার পেছনে এই কারণটা একটা বড়ো কারণ বলে আমার ধারণা
নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি পরগাছা টাইপের স্ত্রীরাই নির্যাতিত হয় স্বামীর হাতে
যেমন আশ্রয়হীন গ্রামের কাজের মেয়েরাই নির্যাতিত হয় বেশি গৃহিনীদের হাতে
পরগাছা স্ত্রীরা নির্যাতন সহ্যও করে
কারণ সে জানে তার যাবার জায়গা নেই
স্বামী ছাড়া নিজের ভাত জোটানোর উপায় নেই
(যাদের যোগ্যতার অভাব তাদের জন্য এই মুহূর্তে আমাদের সহানুভূতি ছাড়া কিছু করার নেই। কিন্তু যাদের আছে তাদের নিজেদের যোগ্যতাটাকে নষ্ট করাও কিন্তু শহুরে নির্যাতনের একটা বড়ো কারণ)
০৫
ক্ষমতায়ন নিয়ে বহু কথা হয় বহু আলাপ হয়
কিন্তু ক্ষমতায়ন যে কেউ দান করতে পারে না কিংবা ভিক্ষা দিতে পারে না এটা অনেকেই খেয়াল করতে চান না
আর ক্ষমতায়নের সাথে আর্থিক ক্ষমতার বিষয়টা বোধহয় বিতর্কের অনেক উপরে অনেক দিন থেকেই
বাংলাদেশের শহুরে শিক্ষিত এবং যোগ্যতাসম্পন্ন মেয়েরা বোধহয় অনেকেই এখনো ভাবতে পারেন না যে স্বামীর ইনকাম ভালো থাকলেও নিজের অস্তিত্বের জন্য নিজেকে আয়ের দিকে যেতে হবে কিংবা চেষ্টা করতে হবে
তারা একটা বিয়ে করে রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিরক্ষর এক গ্রাম্য নারীর মতো
নির্যাতন প্রতিরোধের জন্য এই বিষয়টাও বোধহয় সমানভাবে আলোচনা করা উচিত
কারণ যতদিন স্ত্রীরা মিসেস অমুক কিংবা অমুকের মা থাকবে ততদিন বোধহয় নির্যাতন বন্ধ সম্ভব না শুধু আইন করে আর ঘৃণার নিয়ম করে
০৬
আইন কিংবা মিডিয়ার কিছু সমস্যা আছে
কোনো মেয়ে যদি তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কোনো উকিলের কাছে যায় তখন উকিল কিন্তু প্রথমেই প্রশ্ন করে- আপনি কি তার সাথে সংসার করতে চান? নাকি চান না?
বেশিরভাগ উকিলই এই প্রশ্নটা স্ত্রীকে করে। কারণ তারা জানে আইনি লড়াইয়ে নেমে গেলে হয়তো জেতা যাবে কিন্তু সেই সংসার আর করা যাবে না
এক্ষেত্রে বেশিরভাগ নারীই বলে- সংসার করতে চাই আর উকিলরা পরামর্শ দেয় আদালতে না গিয়ে সালিশে মীমাংসা করে ফেলতে
সংসার করতে চান কি চান না?
এই প্রশ্নের উত্তরে বেশিরভাগ নারীই সংসার করতে চায় বলে জানায় কারণ বেশিরভাগেরই সংসার না করা মানে গিয়ে বাপ কিংবা ভাইয়ের সংসারে উপরি বোঝা হিসেবে পড়া..
এবং এক্ষেত্রে বেশিরভাগ নারীরই সংসার করতে চাওযা ভালোবাসার জন্য নয়
বরং আর্থিক নিশ্চয়তার জন্য
এই চিত্র হচ্ছে তাদের যারা উকিল পর্যন্ত যায়। আর অনেকেই যায় না কারণ তারা উকিল প্রশ্নটা করার আগেই উত্তরটা জানে
মিডিয়াতে নারীদের কথা না বলার কারণও একই
০৭
পুরুষতন্ত্র বিষয়টা কিন্তু এমনি এমনি একদিনে তৈরি হয়নি
আর্থিক সামাজি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ পুরুষদের হাতে যাওয়া কিংবা নারীদের হাতে না থাকার কারণেই আস্তে আস্তে হয়েছে
এখন এর বিকল্পের জন্য দরকার আর্থিক সামাজিক রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণ
কিন্তু অনেক বেশি হতাশ লাগে যখন নিজের বন্ধুদের (নারী) মধ্যে দেখি বিষয়টাতে প্রচণ্ড আগ্রহের অভাব
বিশেষ করে আর্থিক বিষয়ে
এটা কিন্তু পরিবারে অন্য ধরনের সমস্যাও তৈরি করে
স্বামীরা স্ত্রীদের উপরে শারীরীক-মানসিক নির্যাতন করে
কিন্তু এই ধরনের স্ত্রীরা যে রীতিমতো আর্থিক-মানসিক নির্যাতন করে স্বামীদের উপর সেই বিষয়টাও বোধহয় খেয়াল করা দরকার
পৌরুষত্ব এতাটাই দম্ভের বিষয় যে, আপনি একটি অমানবিক, অপরাধ মূলক বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বার অনুপাতের উপর জোর দিচ্ছেন। ভাই, গবেষণার নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলছেন। যারা স্ত্রীদের উপর নির্যাতন করে তাদের জন্য আপনার অনেক মায়া আছে। এই সব দিয়ে কিন্তু নিজের নৈতিক অবস্থানকেই আমাদের কাছে স্পষ্ট করছেন।
ব্যক্তি আমার অবস্থান চিহ্নিত হওয়া না হওয়ার উপর যদি সমস্যাগুলোর সমাধান নির্ভর করে তাহলে যেভাবে আমার অবস্থানকে চিহ্নিত করতে পারলে আপনার মনে হবে সমস্যার সমাধান হবে সেভাবেই আমাকে চিহ্নিত করতে দিতে আমার কোনো আপত্তি নেই
কিন্তু আমার মতে বিষয়টা কোনো এক ব্যক্তির অবস্থান চিহ্নিত করা না করার মতো অতো ছোট বিষয় না
আবার আপনার আলোচনার মতো অতটা একরৈখিকও না
আর আমি কার জন্য কীভাবে মায়া করেছি তা কিন্তু আমি খুঁজে পাচ্ছি না
সময় হলে একটু ধরিয়ে দেবেন
০২
আপনার লেখাটাই যেহেতু অপরাধ অমানবিকতা এবং অনুপাত নিয়ে তাই এর কমেন্টে আমার কথাগুলোও সেদিকেই গেছে স্বাভাবিক ভাবে
অন্য কোনোদিকে যাবার কি সুযোগ ছিল আমার?
আর এর সাথে পৌরুষত্বের দম্ভের বিষয়টা মোটেও মাথায় ঢোকেনি আমার
একটু দেখিয়ে দেবেন কি সেটা কোথায় দেখিয়ে ফেলেছি?
পোস্টের চেয়ে আপনার মন্তব্য আমার কাছে অনেক নিরপেক্ষ মনে হয়েছে, কথা গুলো আমি ও বলেছি কিন্তু আসলে সুদুত্তর পাই নাই। পরনির্ভরশীলতা না কম্লে নির্যাতন কমান সম্ভব নয়, এতা লিখে দেওয়া সম্ভব। এখানে পৌরুষের কোন দোষ নেই, নরীর পরনির্ভরতাই বেশি দায়ী। পরনির্ভরশীলতা এক ধরনএর আর্থিক অত্যাচার এটা ও নারীকে বুঝতে হবে।
মাহবুব লীলেঙ্কে তার সুন্দর মন্ত্যব্য্র জন্য ধন্যবাদ।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
আসলে আপনারা এক তরফাভাবে নারীর পরনির্ভরশীলতার কথা তুলেছেন। এখানে আমার কথা হলো-
১. বাংলাদেশের নারীদের পরনির্ভরশীলতার কারন কী? পারিবারিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিসরে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পেরেছেন। আমিও মনে করি অনেক ক্ষেত্রে নারী নিজেও পরনির্ভরশীল থাকতে চাইতে পারে, কিন্তু এটি তার নিজের কোন চাওয়া সা, এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসা একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজেরই চাওয়াকে সে লালন করে। অন্যদিকে অনেক নারী অথনৈতিক কাছে সম্পৃক্ত হতে চাইলে তার 'স্বামী ' কিংবা অন্যদের কাছ থেকে বাধার সন্মুখীন হয়। সেগুলোওতো বাদ দিতে পারবেন না। কিন্তু আপনাদের লেখা দেখে মনে হচ্ছে আপনরার ধরেই নিজচ্ছন নারীই এর জন্য দায়ী, আর এটাই হলো পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মনস্তত্বকে অস্বীকার করার স্পর্ধা! আশাকরি এবার বুঝতে পেরেছেন।
আমি আপনাকে দক্ষিন কোরিয়ার উদাহরন দিয়েছিলাম আপনি মনে হয় খেয়াল করেন নাই। সেই জন্য আবার বলছি , এখানে এই ধরনের বিষয় গুলো প্রাধান্য পায় কারন এখানে মেয়েরা আত্মনির্ভরশীল। তার ইচ্ছে করলেই একজনকে ছেড়ে চলে যেতে পারে।
কথাটা আগেও একজন ব্যাখ্যা করেছেন আর তা হল ব্যাপারটা ভিক্ষে দেবার জিনিস নয়। পুরুষ কেন নিজের আধিকার ছেড়ে দেবে যদি তার অধিকার খাটাতে কোন বাধা না থাকে? আপনারা মেনে নিচ্ছেন বলেই পুরুষরা পারছেন। বেগম রোকেয়াকে ও নারীদেরকে দোষ দিতে দেখছি। আপনি যদি পুরুষদেরকে আপনাদের বেদখল হওয়া জায়গা গুলো থেকে সারাতে চান তাহলে আর একজন পুরুষের কাছে আপনারা আবার সাহায্য চান। আমার কাছে এটাও পছন্দ নয়। আমাদের উপমহাদেশে নারী নিশ্চয় অন্য উপমহাদেশের নারীর পরে আসে নাই , তারা তাদের জায়গা ধরে রাখতে পারলে আপনারা পারেন নাই কেন। আমি খুব গর্ব করে বলতে পারি আমাদের দেশে ৯০ দশক থেকে প্রধান মন্ত্রী নারী , আমাদের দেশের পুরুষরা নারীকে তার পুর্ণ অধিকার দেয় যদি নারীর যোগ্যতা থাকে। কাজের বেলায় আপনি হাওয়া ভাগের বেলাতে ষোল আনা পুরুষ মানবে কেনো? আত্ম নির্ভরশীল নারী কত বেশি শক্তি শালী আমি জানি। এবং বাহিরের দিকে তাকালেই বুঝবেন নারীরা কত স্বাধীন, এখন এটা ও যদি আপনি পুরুষের কাছে থেকে চান তাহলে আসলে কি আধিকার আদায় হল? আমার মনে হয় না।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
সরি স্যার
একতরফাভাবে বিষয়টা তোলা হয়নি
বরং একতরফাভাবে বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়ার কারণে অন্যগুলোর সাথে এটাও সামনে আনা হয়েছে
০২
আমার অভিজ্ঞতা আপনার মতামতকে সমর্থন করে না বলে দুঃখিত
অনেকেই ঝামেলা কষ্ট এবং স্ট্রাগল এড়ানোর জন্য এটা চায় না
আমি নিজেও যদি এমন সুযোগ পেতাম তাইলে জীবনেও কামলা খাটতে যেতাম না
০৩
বাদ দিচ্ছি না
কিন্তু স্বামী চায় না
এই প্রসঙ্গটা শহরাঞ্চলে এখন একেবারেই কম
অন্তত আমার অভিজ্ঞতা বলে
এর প্রধান কারণ হলো শহরাঞ্চলে একজনের ইনকামে এখন টিকে থাকাই বিশাল মুশকিল
আর অন্যদের কাছ থেকে যে বাধা সেটা এই যুগের শহুরে মেয়েদের জন্য গণ্য করার মতো কোনো বাধা বলে আমার মনে হয় না
০৪
নিজের লেখা কমেন্টের অর্থ ধরতে যদি আমি গুলিয়ে না ফেলি আর যদি এখনও বিশ্বাস করি যে অন্তত ৫০% (দুঃখিত আবারো শতাংশ এসে গেলো) বাংলা বাক্যের অর্থ বুঝতে পারি তাহলে মেনে নেয়া কঠিন যে- আমি ধরেই নিচ্ছি এসবের জন্য নারীই দায়ি এই কথাটা বলতে চেয়েছি আমি কিংবা বুঝেছি আপনার লেখা পড়ে
আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মনস্তত্বকে অস্বীকার করার স্পর্ধা!
এইটা কিন্তু এখনো বুঝি নাই
খুবই ইন্টারেস্টিং আলোচনা, কিন্তু বউ নাই দেখে অংশগ্রহণ করতে পারছি না । কিছু কিছু প্রসঙ্গে একেবারে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা না থাকলে কথা বলতে যাওয়া ঠিক্না।
খাইরুন সুন্দরী সিনেমা দেইক্খা অভিজ্ঞতা নেন
৯২% বাস্তব অভিজ্ঞতার গ্যারান্টি
প্রিয় জোবাইদা নাসরীন, সচলায়তনে আপনার নিবন্ধিত অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে পোস্ট ও কমেন্ট যোগ করার অনুরোধ রইলো। পূর্ণ ও অতিথি সচলদের অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন তাঁদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সচলে সক্রিয় হন। অফলাইনে যোগ করা মন্তব্যগুলি অপ্রকাশিত থেকে যেতে পারে। সহযোগিতার জন্যে ধন্যবাদ।
প্রিয় সাদা মডু ধন্যবাদ আপনাকে। আমি আসলে আমার একাউন্ট সংক্রান্ত কোন মেইল এখনও পাইনি, কিংবা এমনও হতে পারে মেইলটি জাঙ্ক এ ছিলো এবং আমি অসাবধানতাবশত ডিলিট ককরে দিয়েছি। দয়া করে কী আবার একটু পাঠানো যাবে। ক্ষমা প্রার্থী ভুলের জন্য।
আসলে আমার এই লেখার যে কয়টি উদ্দেশ্য ছিলো তা হলো
১. বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে ম্যারিটাল রেইপকে হিসেবে আনা অর্থাৎ এটাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা
২. সম্পর্ক কখন্র ব্যক্তিক না এটি াবশ্যই রাজনৈতিক
৩. যারা বক্তিগত বলে নির্যাতনকে ধামাচাপা দিতে চায়, সেক্ষেত্রে এটির রাজনৈতিক বিবেচনা জরুরী
তবে আলোচনা আরও চালিয়ে নিতে আমি আগ্রহী।
অনেক দিন পরে লেখাটি দেখলাম। আরো দেখলাম, লেখিকার নির্লজ্জ মিথ্যাচারের নমুনা।
"৬০ শতাংশ পুরুষই বউ পেটায়" - বাক্যটি শিক্ষিকার নোংরা মিথ্যাচারের মূল। সঠিক বাক্যটি হবে, "৬০ শতাংশ পুরুষ 'দাম্পত্য জীবনের কোনো না কোনো সময়ে' স্ত্রীকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করেছেন"। বাক্যদুটির মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট।
বিশিষ্ট শিক্ষিকা আরো বলতে ভুলে গেছেন, এই ৬০ শতাংশের মাত্র ১৬ শতাংশ গত ১ বছরে অর্থাৎ মাত্র ৯.৬% পুরুষ গত ১ বছরে স্ত্রী নির্যাতন করেছেন।
ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভে'র ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ১১,০০০ নারী ও ৪০০০ পুরুষ এই সার্ভেতে অংশ নিয়েছেন। নূন্যতম, পরিসংখ্যান জানা লোকও এই সার্ভের অসারতার কথা ধরতে পারবে শুধুমাত্র পরিসংখ্যানে অংশ নেয়া মানুষদের সংখ্যা দেখে।
পত্রিকার মূল রিপোর্ট লেখিকা মানসুরা হোসাইন, এবং বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকার মিথ্যাচার ও একপেশে আবেগী সংবাদ পড়ে যরপরনাই বিষ্মিত। তবে নারীদের কাছে, জেন্ডার নিরপেক্ষ লেখা পাওয়া মুশকিল। এতটা এথিকাল, এখনও নারীরা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে বলে মনে হয় না।
http://www.measuredhs.com/pr1/post.cfm?id=47EAC2CB-5056-9F36-DC9B0F805D5CE50F
http://www.prothom-alo.com/detail/news/4877
পোষ্ট এবং সংবাদ বাংলাদেশের জেন্ডার রাজনীতি এবং মিডিয়ায় মিথ্যাচার এবং নারীদের আনএথিকাল জেন্ডার বায়াসড রিপোর্ট ও অ্যানালাইসিসের এক নমুনা হয়ে থাকবে।
নতুন মন্তব্য করুন