আইনের শাসন ও কর্পোরেট মিডিয়ার ‘ক্রসফায়ার’ একাঙ্কিকা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৩/১০/২০০৯ - ১১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আইনের শাসন ও কর্পোরেট মিডিয়ার ‘ক্রসফায়ার’ একাঙ্কিকা
বাধন অধিকারী ও তানজিনা ফেরদৌস তাইসিন

সব মানুষের রক্তের রং-ই লাল
বিশ ত্রিশ পয়ত্রিশ কিংবা চল্লিশ বছর আগে যে শিশুরা ভূমিষ্ঠ হয়েছিলো তারা তাদের মায়ের গর্ভ থেকে বন্দুক কিংবা অন্য কোনো অস্ত্র সঙ্গে করে আসে নি। এসেছে বাঁচবার আনন্দ উপভোগ করতে, সৃজন-মানবিকতার সহজাত বোধগুলোকে সঙ্গে নিয়ে। মায়ের সাথে নাড়ীর সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মায়ের গর্ভ থেকে সমাজের গর্ভে তার স্থান হয়। মায়ের গর্ভে নয়, বিশ ত্রিশ পয়ত্রিশ কিংবা চল্লিশ বছর পরে সমাজের গর্ভের মধ্যেই কেউ চরমপন্থী হয়, কেউ সন্ত্রাসী হয়, কেউ হয় জঙ্গী। আর কথিত বন্দুকযুদ্ধের গল্প ফেদে তাদের হত্যা করা হয় নির্বিচারে। নাম দেয়া হয় ক্রসফায়ার কিংবা এনকাউন্টার। হত্যা করে রাষ্ট্র, আধুনিক সেক্যুলার জাতিরাষ্ট্র আল্লাহর সমকক্ষ হতে চায়। জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে-- সুমহান এই দার্শনিক সত্যকে মিথ্যে প্রমাণ করতে মানুষের জীবন-মৃত্যু-দেখভালের ভার রাষ্ট্র নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। রুশোর স্যোশাল কন্ট্যাক্ট মোতাবেক রাষ্ট্র জনতার উপর সার্বভৗম ক্ষমতা হয়ে চেপে বসবে এই শর্তে যে রাষ্ট্র তাদের দেখভাল করবে।

কিন্তু আদতে আধুনিক জাতিরাষ্ট্র সার্বভৌম ক্ষমতা-সমেত মানুষের উপর চেপে বসা এক দৈত্য। কথিত মুক্ত আসলে রুদ্ধ; বাজার অর্থনীতির চাপে পিষ্ট হয়ে মানুষ চুরি করে, ডাকাতি করে, ছিনতাই করে। যে সমাজে আমরা এই কালের মানুষেরা বাস করছি সেখানে তীব্রভাবে জারি আছে ধনবৈষম্য। আছে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-হতাশা। ফ্রীজ-টিভি-গাড়ী-বাড়ি-কোক-পেপসি-সেক্স-এর বিজ্ঞাপন ও বাজারও আছে, তাই সঙ্গত কারণেই বেনা-কেনার এই যুগে আছে ভোগবাদী মনন। তাই কখনও ক্ষুধা-দারিদ্র্যে, কখনওবা আবার ভোগবাদী মানসের তাড়নায় এই যুগের মানুষেরা অতিষ্ট হয়ে ইসলামী সমাজ কায়েমের স্বপ্ন দেখে কিংবা স্বপ্ন দেখার ভান করে, কখনও আবার সর্বহারা বিপ্লবের মাধ্যমে পাল্টে দিতে চায় দুনিয়াটাকে, অথবা পাল্টে দেবার ভান করে। কখনও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ছায়াতলে কখনওবা আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বাড়তে থাকে সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গীবাদ-সর্বহারাবাদের বিষবৃক্ষ। রাষ্ট্র সন্ত্রাসী-জঙ্গী-সর্বহারা-ছিনতাইকারী-চোর পরিচয় নির্মাণ করে তাদেরকে সোজা বাংলায় খুন করে তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে। কিন্তু রক্তের রঙে যে পার্থক্য নাই কোনো! সর্বহারা-জঙ্গী-ছিনতাইকারীকে খুন করা হোক আর ভালো মানুষকে খুন করা হোকÑ একই রক্ত বের হয় সবার শরীর থেকে। একই লাল রক্ত। রক্তের রঙে কোনো পার্থক্য নাই যে! আর রক্ত ঝরানোটা অন্যায়-অন্যায্য-বর্বরতা। মানবিকতার বিপরীতে যার অবস্থান।

আর সেজন্যই সভ্য জগতে কল্যাণ রাষ্ট্রগুলোর কেউ কেউ আইন করে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে জনপ্রতিরোধের কারণে। কিন্তু বিচার করে মেরে ফেলবার নীতিটা জায়েজ হয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়; বিশেষত আমাদের এই তৃতীয় দুনিয়ার দেশগুলোতে। আইনের শাসন কায়েমের মাধ্যমে নিও লিবারাল এই দুনিয়ায় বিচার করে দমন করবার কিংবা মেরে ফেলবার নীতির ন্যায্যতা নির্মাণ করা আছে। বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন তার বলি হচ্ছে অনেক অনেক মানুষ। বাজার অর্থনীতির পক্ষের সেনা-কর্পোরেট কর্তৃত্ব রাষ্ট্রের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া জারি রেখেছে। সেটার বিরুদ্ধে প্রায় কোনো প্রতিরোধই জারি করতে পারিনি আমরা। কিন্তু যখন হত্যাযজ্ঞকে অন্তত আইনসিদ্ধ না করে; মানে একেবারে বিনাবিচারে মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে, তখনও কি আমরা চুপ করে থাকব?

বাস্তবতার ভাষিক নির্মাণ বাজার-সাংবাদিকতা এবং খুনের নাম যখন ক্রসফায়ার/ এনকাউন্টার
আধুনিকতার যুগ-যন্ত্রণা নিয়ে তীক্ত বিরক্ত এই কালের চিন্তাবিদরা বাস্তবতার ধারণায় পরিবর্তন এনেছেন। দেখিয়েছেন তাঁরা, আমাদের চেনা-জানা পৃথিবীতে আমাদের চোখের সামনে যেটা ঘটে যায় সেই ঘটে যাওয়া ঘটনার ভাষিক নির্মিতি ঘটলে সেটা আর বাস্তবতা থাকে না। হয়ে যায় বাস্তবতার বর্ণনা। নয়া তথ্য প্রযুক্তির তীব্র অগ্রগতির এই যুগে তাই প্রতিনিয়ত ভাষা-প্রতিক ব্যবহার করে মিডিয়াতে বাস্তবতার নির্মাণ ঘটানো হয় আর উপস্থাপিত সেই বাস্ততার বর্ণনাকে একমাত্র বাস্তবতা হিসেবে নির্মাণ করা হয়। তাইতো ইরাকে-আফগানিস্তানে যখন আগ্রাসন চলে বাস্তবিকভাবে তখন সেটাকে ইরাকি-আফগানিস্তানী জনতার মুক্তির জন্য পাশ্চাত্যের আকুতি হিসেবে নির্মাণ করে মিডিয়া। দেশের জাতীয় সম্পদ বিকিয়ে দেবার ঘৃণ্য পায়তারার বিরুদ্ধে যখন মানুষ হরতাল ডেকে বসে তখন তাকে জাতীয় স্বার্থবিরোধীতা হিসেবে নির্মাণ করা হয়। তীব্র বঞ্চনা থেকে যখন বিডিআর বিদ্রোহ ঘটে তখন সেটাকে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নামের মাঝে আড়াল করা হয়, নির্মাণ করা হয় হত্যাখাণ্ডের একক বাস্তবতা। এমনি করে একুশ শতকের জীবন ধারা, তরুণ প্রজন্ম নামে যা যা বাস্তবতা হিসেবে নির্মিত হয় মিডিয়াতে তার সবই একমাত্র বাস্তবতা আকারে নির্মিত হয়, একুশ শতকেও মানুষ না খেয়ে থাকে, একুশ শতকের তরুণ প্রজন্মও অন্যভাবে একাকীত্ব যন্ত্রষায় ভোগে কিন্তু মিডিয়তে তার দেখা মেলে থুব কমই। একমুখী প্রভুর স্বর নির্মিত হয়। ক্রসফায়ার কিংবা এনকাউন্টারও এমনই এক নির্মিত বাস্তব। উৎস হিসেবে মূলত শুধুমাত্র র‌্যাব-পুলিশের প্রেস রিলিজকে ব্যবহার করে ক্রসফায়ারের শিকার যারা তাদের দিককার ভাষ্য না নিয়ে এবং কোনো রকমের অনুসন্ধান না চালিয়ে প্রচলিত সাংবাদিকতার এথিকস নামে যা জারি আছে সেটাকেও ভঙ্গ করে চলছে একমুখী সংবাদের কিংবা ছদ্ম বাস্তবতার নির্মাণ প্রক্রিয়া। অনুসন্ধানে টাকা লাগে, বাজারের যুগে আর সবকিছুর মতো সংবাদপত্রও একটা শিল্পপ্রতিষ্টান, সংবাদও একটা বিক্রয়যোগ্য পণ্য। তাই একটা সংবাদের পেছনকার বিনিয়োগ কতো আর তা থেকে মুনাফা কতো আসবে সেটা খেয়াল করতে হয়। খেয়াল করতে হয় কর্পোরেট স্বার্থের দিকটি। সমাজে জঙ্গী-সর্বহারা-খুনী-ডাকাত-ছিনতাইকারী বাড়লে সংখ্যালঘু বড়লোকদের সমসা,. কর্পোরেশনগুলোর অবাধ বাজার বিস্তারেরও সমস্যা, তাই জঙ্গী-সর্বহারা-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধ নিত্য জেহাদ জারি আছে কর্পোরেট মিডিয়ার। তাই মানবাধিকার ও আইনের শাসনের তুমুল জোয়ারের এই যুগে তারা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে থাকতে বাধ্য হলেও এটা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা কম।

গত ২৩ আগস্ট তারিখের ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার বিবরণে তাই আবারও পড়তে হলো ‘ক্রসফায়ার’ সংবাদ। কৃষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের খেলার মাঠে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে নিহত হলেন নাহারুল ইসলাম। বরাবরের মতোই একই বিবরণ। শুধু নাম-সাকিন পাল্টে দিয়ে একই সেই পুরোনো গল্প। চরমপন্থী আস্তানার খোঁজ পেয়ে পুলিশ গেলো। আর ওমনি চরমপন্থীরা গুলি চালাতে শুরু করলো। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালো। একপর্যায়ে নাহারুল মারা গেলেন। ২৫ আগস্টের ‘সমকাল’ দিলো একই সেই বিবরণ। রাজধানীতে এক সন্ত্রাসী আর পাবনায় এক চরমপন্থীর খুন হয়ে যাবার খবর। সেই একই সন্দেহ, তারপর র‌্যাব/পুলিশের অভিযান, তারপর সন্ত্রাসী/ চরমপন্থীদের গুলি, তারপর আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব/পুলিশের পাল্টা গুলি, তারপর চরমপন্থী/সন্ত্রাসীর খুন হয়ে যাবার খবর। যেন ভিন্ন ভিন্ন মঞ্চে মঞ্চায়িত একই সেই নাটক। একই নাটক! একই একাঙ্কিকা!

এর মাত্র ক’দিন আগে ছিনতাইকারী সন্দেহে 'ক্রসফায়ার’ করে মেরে ফেলা হয়েছে ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের দু’জন ছাত্রকে। এমনি করে মাঝে মাঝেই এইসব বাহিনীর বন্দুকের শিকার হয়েছে আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের নেতা, বাজার-অর্থনীতির চাপে পিষ্ট হয়ে সমাজের কাছে আত্মসমর্পণকারী কোনো ছিনতাইকারী-চোর-ডাকাত, কিংবা কোনো ইসলামী জঙ্গী কিংবা কোনো চরমপন্থী।

আমরা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কথাটি হরহামেশাই ব্যবহার করলেও যে খুব একটা তার মর্মমূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে দেখি, এমনটা মনে হয় না। মানুষের জীবন এতা সহজ নয় যে ইচ্ছে করলেই নিছক সন্দেহের বশে তাকে মেরে ফেলা যায়। কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়া।

রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর বেসরকারী সন্ত্রাস বনাম জনতার আওয়াজ, জনমানুষের গণতন্ত্র
একটা ব্যাপার খুবই স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান যে রাষ্ট্রীয়-ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে এইসব বাহিনীর ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটে না। তারা যেকোনো ক্ষমতা-শক্তির অধীনেই বহাল তবিয়তে থেকে যায়। র‌্যাব গঠন করে ক্রসফায়ারের একাঙ্কিকা শুরু করেছিলো বিএনপি-জামায়াত জোট। সেনা-কর্পোরেট কর্তৃত্বের একটি জরুরী-ক্ষমতার সরকারও একইভাবে চালিয়ে গেছে ক্রসফায়ারের একাঙ্কিকা। আজকে এই আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আমলে এসেও ঐ বাহিনী বহাল তবিয়তে আছে। এখান থেকেই বোঝা যায়, নিপীড়ন আর বলপ্রয়োগ আধুনিক জাতিরাষ্ট্রেরও বৈশিষ্ট্য।

নিবার্চনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়েছিলো যে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড তারা বন্ধ করবে। কিন্তু গণতন্ত্রের নামে জারি থাকা সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র এমন এক জিনিস যে একবার জনগণের সম্মতি নিতে পারলে ৫বছর ধরে যেমন খুশি তেমন করে শাসন করা/ সাইজ করা যায়। তাই ঐ নিবার্চনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবার কোনোরকম কর্তব্যবোধ করেন না মহামান্য আওয়ামী লীগ নের্তৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফেব্রুয়ারি মাসে জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের সম্মেলনে বলেছিলেন বাংলাদেশ সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং আটক অবস্থায় নির্যাতন ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখাবে। এ ধরনের ঘটনাকে বরদাশত করা হবে না এবং এজন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সেই তিনিই গত ২৯ মে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ক্রসফায়ারের ঘটনা রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, দুবর্ৃৃত্তদের আক্রমণের মুখে আত্মরক্ষার অধিকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর রয়েছে। সোজা বাংলায় বললে ক্রসফায়ার একাঙ্কিকা চলবে। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ যদিও বলেছিলেন, সরকার এটা পছন্দ করে না, চায় না; তবুও ক্রসফায়ার ঘটে চলে। তাহলে কে বা কারা এটা চায়? তারা কি সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ? এই প্রশ্ন আমরা এড়াতে পারি না। সোহেল তাজের পদত্যাগকে তাই ক্রসফায়ার একাঙ্কিকারই ফলাফল বলে মনে হয়। সংসদে আমাদের মহান ২/৩জন ‘বামপন্থীও’ ক্ষমতার ভাগীদার, তারাও একেবারে চুপ। ক্ষমতার খেলা এমনই নির্মম ফলাফল ডেকে আনে।

রাষ্ট্র তার বলপ্রয়োগের চরম কর্তৃত্বশীল পযার্য়ে অবস্থান করে বিনাবিচারে এভাবে মানুষ মেরে ফেলতে পারছে। আমাদের ‘সভ্য’ জগতে এটার বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে। এভাবে ভিন্নমত দমনের চেষ্টা কিংবা নিজেরই গর্ভের মধ্যে বেড়ে তোলা অপরাধী দমনের চেষ্টা ভয়ঙ্কর। এটি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে তখন যখন একেবারে ব্যক্তিগত কারণে ক্ষমতাশীল বাহিনীর কেউ কারও সাথে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপারে টানাপোড়েন ঘটে থাকলে তাকে ‘ক্রসফায়ার’ করে মেরে ফেলতে পারেন। তেমন ঘটনা যে ঘটে না সেটা আমরা নিশ্চিত না।

ভয়াবহ যেকোনো হত্যা। ভয়াবহ যেকোনো মৃত্যুদণ্ড। এই ভয়াবহতার অবসান চাই। একদিকে আইনের শাসনের নাম করে নির্বিচারী শাসন আরেকদিকে সেই আইনের শাসনকেই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ক্রসফায়ারের একাঙ্কিকা চলছে। এতে অপরাধ আর অপরাধী কমবে না, বরং বাড়তে থাকবে।


মন্তব্য

মামুন হক এর ছবি

অত্যন্ত প্রয়োজনীয় লেখা, আপনাদের ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
সচলে স্বাগতম।

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

এবিষয়ে আরো অনেক এবং অনেক শক্ত প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ আসা উচিত। দিনে দিনে বর্বর জাতিতে পরিনত হচ্ছি আমরা। ক্রসফায়ার বন্ধ হওয়া দরকার। আজকের প্রথম আলোতে একজন মন্ত্রীর মহোদয়ের মন্তব্য পড়ে নির্বাক হয়ে গেলাম।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

বাধনকে সচলে দেখে ভাল লাগছে ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমাদের মহান মন্ত্রী বলেছেন এই দিয়েই নাকি একদিন সন্ত্রাস বন্ধ হবে!!
আমি বলি কস্কি মমিন!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের দেশের বিচার ব্যাবস্থার যে গতি, একজন সাধারন মানুষ সন্ত্রাসীদের আক্রমনের স্বীকার হলে সেটার বিচার পাওয়া আসলে অসম্ভব। একজন ছিনতাইকারী খুন পর্যন্ত করে সামান্য কিছু টাকার জন্য। জামিন নামক জিনিস থাকায় বের হয়ে আবার সেই একই কাজ করে তারা। ক্রস ফায়ারের বিপরীতে নিরীহ মানুষ যে এই অন্যায়ের স্বীকার হচ্ছে না সেটা আমি বলছি না কিন্তু সন্ত্রাসীদের কাছে থেকে মুক্তির উপায়ই বা কি? বিচার ব্যাবস্থার উপর আমার আস্থা নেই। যাদের আস্থা আছে তারা এ ব্যাপারটার বিরোধী মনে হয়েছে আমার কাছে। ২০০৮ এর সাধারন নির্বাচনের আগের দুই বছর দেশের আইন শৃঙ্খলা বিশেষ করে ছিনতাই অনেক কম ছিলো সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিলো , অস্ত্রের মুখে যদি অনেক সন্ত্রাসী দমন করা যায় হোক না কেনো, অন্তত যতদিন আইনের শাসন কার্যকর না হচ্ছে।

গরীব
সাউথ কোরিয়া

রুিম এর ছবি

ভােলা ॥

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।