বাম পাজড়ের হাড় : নির্ভানা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১০/১০/২০০৯ - ১০:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই আদিকাল থেকে নর-নারীর সম্পর্ককে যতই রহস্যের চাদরে ঢেকে রাখার একটা প্রবনতা থাকনা কেন, এখন এই আধুনিক যুগে এসে তা বোধহয় আর পারা যাচ্ছে না । এখন এমন একটা যুগের ভিতর দিয়ে আমাদের যাত্রা, যখন তথ্য ও জ্ঞানের মহাসড়ক হাতের খুবই কাছে, ইচ্ছে করলেই সড়কে ঢুকে পড়া যায় । এখন মানুষ অনেক বেশী জ্ঞান, বিজ্ঞান যুক্তির মাধ্যমে, কি, কিভাবে ও কেন বোধক প্রশ্নের দ্বারা প্রায় সব বিষয়ে সত্যের কাছাকাছি যেতে চায় । বর্তমান মানুষের এই প্রবনতা থেকে নর-নারীর রহস্যময় সম্পর্কের বিষয়টিও রেহাই পাবে না । এটা অবশ্যই একটা ইতিবাচক প্রবনতা। অত্যাধুনিক পরীক্ষাগারে, তীব্র আলোতে ফেলে, মানুষের দেহ ও মন উভয়কে ব্যাবচ্ছেদের মাধ্যমে মূল সত্যের কাছাকাছি যাবার চেষ্টা চলছে । এই সম্পর্কের রহস্যটা আসলে কোনখানে । কোন্ সে যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক অসম্পূর্নতার কারনে এই সম্পর্কটাকে নিয়ে ভাববাদীদের এত বেশী লম্ফ ঝম্ফ । বাড়াবাড়ি যাই হোক, সবকিছুর পেছনে একটা যথার্থ কারন থাকে, এই ত্বত্তটা এখনও পর্যন্ত বেশ জনপ্রিয় । অপরাপর কারনগুলি বাদ দিয়ে নর-নারী সম্পর্কিত জীববৈজ্ঞানিক কিছু কারন অনুসন্ধান করা যেতে পারে ।

প্রকৃতির বিশেষ প্রয়োজনে একটা অভিন্ন মানব জাতির মধ্যে নর ও নারী নামে দুটো ভিন্ন লৈঙ্গিক প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছিল জীবনের সৃষ্টি ও বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় । প্রকৃতির এই বিশেষ প্রয়োজনটা যে, জীবন তথা প্রজাতির নিরবিচ্ছিন্নতাকে নিশ্চত করা সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই । প্রজাতিকে রক্ষা করতে গেলে লাগে প্রজনন । জীবনের ঘটমানতা নিশ্চিত করতে প্রকৃতি তাই যৌন এবং অযৌন উভয় প্রকৃয়াকে জীবের মধ্যে সন্নিবেশিত করল । মানব জাতিতে অযৌন প্রকৃয়া কৃত্রিম হলেও যৌন প্রজনন প্রাকৃতিক, স হজসাধ্য, কাঙ্খিত এবং রহস্যময় । যৌন প্রকৃয়ার জন্য প্রয়োজন পড়লো দুটো ভিন্ন আঙ্গিকের জননাংগ । প্রকৃতি তাই নারী, পুরুষের সকল স্বাধীন অঙ্গ-ব্যাবস্থা যেমন, পরিপাকতন্ত্র, শ্বষনতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, রেচনতন্ত্র, প্রভৃতিকে হুবহু এক রেখে, শুধু পরিবর্তন ঘটালো প্রজননতন্ত্রের । ভিন্ন দুই ধারার প্রজনন অবকাঠাম তৈরী হলো । দুটো ভিন্ন প্রকৃতির অনুবীজ ওভাম ও স্পারমেটোজোয়াকে একত্রে মিলিয়ে জীবনের প্রারম্ভিক ভিত্তি, ভ্রুন তৈরী করতে যে সমস্ত পরিবর্তন ঘটানো দরকার তার সবকিছু করা হলো নিখুত নৈপুন্যে । জননতন্ত্রের ভিন্নতা সত্তেও তাদের কাঠামোগত ও উদ্দেশ্যগত সাদৃশ্য খুবই চোখে পড়ে । যেমন, নারীতে দুই ওভারি ওভাম তৈরিতে নিয়োজিত, পুরুষে দুটি টেস্টিকল স্পার্ম বানিয়ে চলে । এছাড়া আরও অনেক গাঠনিক বৈশিষ্ট বিশ্লষন করলে দেখা যাবে, কোন এক অভিন্ন অবস্থা থেকে বিবর্তিত হয়ে অঙ্গ-ব্যাবস্থা দুটি একই উদ্দেশ্য সাধনে কিঞ্চিত ভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করেছে । শুধু দুটি ভিন্ন অবকাঠামো তৈরী করে রাখলেই যে মানুষ তাতে উপগত হবে, এমন স হজ প্রানী সে নয় । তার জন্যে প্রকৃতি তৈরী করলো হরেক রকম অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিরস, যা মানুষের মন, মনন, ইচ্ছা, চাহিদা, সৌন্দর্যবোধ, কাব্যিকতা, মায়া, মমতা, স্নেহ সবকিছু মিলিয়ে এক বিশেষ প্রকৃতির ক্ষুধা-চাহিদা তৈরী করে, যার নাম কামানুভুতি বা কাম । অনেকটা খাবারের ক্ষুধার মত, তবে উভয়ের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য সম্পুর্ন ভিন্ন । খাবারের ক্ষুধা যতটা যান্ত্রিক, কাম মোটেই তা নয় । কামের সংগে অঙ্গাংগীভাবে জড়িয়ে আছে মানুষের সুক্ষ থেকে স্থুল সকল মাত্রার শারীরিক ও মানষিক বোধ ও অনুভুতি ।

মানুষের মধ্যে সবসময় ভিন্ন বেক্তিত্ব ও মানষিক গঠন বিদ্যমান । বাহ্যিক বা অন্তরগত যে কোন বিষয়ে সব মানুষ ভিন্ন আঙ্গিকে বা প্যাটার্নে চিন্তা করে থাকে । অন্তঃক্ষরা রাসায়নিক পদার্থ সমূহ মৌলিক বা মিশ্র আবেগ সমূহ নিয়ন্ত্রন করলেও একই প্রকৃতির ভিজুয়ালাইজেশন বা চিন্তার মধ্য দিয়ে সব মানুষের ক্ষত্রে কামানুভুতির চুড়ান্ত বাসনা বা মিলনাঙ্খায় সবসময় পৌছাতে পারে না । তবে মূল কথা হলো, পাঁচ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে যাকিছু যৌনমাত্রিক অভিজ্ঞতা মানুষ গ্রহন করে, তার সবকিছু মস্তিস্কে প্রকৃয়াজাত হয়ে, বিভিন্ন হরমোনের সাহায্যে শরীরে কমানুভুতি জাগাতে সক্ষম হয় । একটা উদাহরনের মাধ্যমে বিষয়টাকে পরিষ্কার করা যেতে পারে : একটা যৌনাবেদনময়ী জীবন্ত নারী মূর্তি দর্শনের পর থেকে তাতে উপগত হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ পথ একটা শিল্পি-মন যেভাবে অতিক্রম করবে, একটা নিখাদ শ্রমজীবি মন সেভাবে অতিক্রম করবে না । এই পথটুকুর গাঠনিক বিন্যাশ ভিন্ন চিন্তা-প্যাটার্ন এর মানুষের জন্য ভিন্ন রকম হবে বলে আমার ধারনা । পাত্রভেদে এই পথ পরিক্রমা যেমন দীর্ঘ হতে পারে, তেমনি সংক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা ও রয়েছে । অতি স্থুলমাত্রার চিন্তা-প্যাটার্ন যুক্ত মানুষের ক্ষেত্রে এই পথ পরিক্রমা স হজাত প্রবৃত্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং সংক্ষিপ্ত হতে পারে ।

আমার কাছে নর-নারী সম্পর্কটাকে কিছুটা হলেও রহস্যময় মনে হয় । এরকম ভাবাটাই মনে হয় জেনেটিক নির্দেশ । যে জিনিস যত বেশী রহস্যে ঘেরা, তার প্রতি তত বেশী আকর্ষন । আর এই আকর্ষন সৃষ্টি করাই প্রকৃতির মূল অভিলাশ । বয়ঃপ্রাপ্তির কিছুসময় আগে বা পরে বালক, বালিকাদের শারীরিক ও মানষিক অবস্থা বিশ্লষন করলে বোঝা যাবে, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন ও রহস্যময়তা কতখানি তীব্র থাকে । বয়োবৃদ্ধির সংগে সংগে এই আকর্ষন কমতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তা বিরক্তিকর বা অত্যাচেরের মত লাগাও বিচিত্র নয় । তবে অভিজ্ঞতা থেকে একটা জিনিস অনুভব করতে পারি, বয়োঃপ্রাপ্তির বা বয়োঃসন্ধিক্ষনের অভিজ্ঞতা উভয় লিঙ্গের জন্যই ভয়ংকর, বিষ্ময়কর এবং অভুতপূর্ব । আমার মনে হয়, এই সময়টা সুন্দর-সুশৃঙ্খল সামাজিক আবহে কাটাতে পারলে বাকী জীবনের দৈহিক, মানষিক ও আত্তিক উন্নতি ও শান্তি কিছুটা নিশ্চিত হতে পারে ।

বঙ্গসমাজে যে শ্রেনীভুক্ত মানুষগুলো সবচেয়ে বেশী বৈসাম্যের শীকার, তাদের মধ্যে: নারী, বৃদ্ধ, শিশু, প্রতিবন্ধি, সংখ্যালঘু ও গৃহপালিত প্রানী উল্লেখযোগ্য । অথচ, মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে এরাই সবচেয়ে বেশী মানবিক ব্যাবহার পাবার যোগ্য । খুব ধীরে হলেও অবস্থার দিন দিন উন্নতি হচ্ছে বলে মনে হয় । এসব ক্ষেত্রে দেশের প্রচার মাধ্যমগুলো মোটের উপর ভাল কাজ করছে । তবে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে, মানুষ আশাবাদী ।

নারী সবসময় পুরুষের জন্য শক্তি ও অনুপ্রেরনার উত্স । শরীরে, মনে সর্বত্র সে এই শক্তি অনুভব করে । নারী পুরুষের মাঝে খুজে পায় আস্থা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা । এই নিরাপত্তা-আস্থা যেমন অর্থনৈতিক হতে পারে, তেমনি নিঃসঙ্গ হীনতাও হতে পারে । এই সম্পর্ক শুধু দেহে নয়, মনে ও আত্মায় পরিব্যাপ্ত । নারী-পুরুষ সম্পর্ক তাই তৃস্তর বিশিষ্ট । তাইতো দৈহিক সম্পর্কের উপযোগীতা ফুরিয়ে গেলেও মানষিক ও আত্মিক সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা বজায় থাকতে পারে । তবে তা থাকে বিশেষ কিছু শর্ত সাপেক্ষে । যেমন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সন্মানবোধ এবং আগ্রহের স্বাভাবিক প্রকাশ থাকতে হবে । খুব তাড়াতাড়ি দেহের প্রতি আগ্রহ একঘেয়েমিতে আক্রান্ত হতে পারে । তখন অন্য কোন আগ্রহের বিষয়ে খোজ করার দরকার হয়, যেমন: সৃজনশীলতা, আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা, রসোবোধ, জ্ঞান অনুসন্ধিত্সা, প্রজ্ঞা ও যৌক্তিক বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি । দেহ একটা ইন্দ্রীয়গ্রাহ্য ধরাছোয়ার বস্তু । তার পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও উপযোগীতা একসময় শেষ হয়ে যেতে পারে । কিন্তু শিল্প-সাধনার, জ্ঞান-প্রজ্ঞার উপযোগীতা কোনদিন শেষ হবার নয়, হয় না । তাই এগুলোর আদান প্রদানে নারী-পরুষ সম্পর্ক আরও সুন্দর আরও উপভোগ্য হয়ে উঠে । এইভাবে তীব্র লৈঙ্গিক বোধের বাইরে, বৃহত্ কর্মপরিসরে নারী পুরুষের একত্রিত ও স হযোগীতামূলক অবস্থান আরো বেশী উত্পাদনমূখী ও শান্তিময় সমাজগঠনে স হায়ক ভূমিকা রাখতে পারে । একে অপরের শক্তি, প্রেরনা ও আস্থার উত্ স হয়ে পাশাপাশি স হাবস্তান সুন্দর-সাবলীল হয় । এটাই আসলে আত্মার সম্পর্ক : নারী-পুরুষ সম্পর্কের মূল রহস্য ।

ভোগী থেকে যেমন যোগী হওয়া যায়, লৈঙ্গিক থেকে তেমনি হতে পারে লিঙ্গোত্তীর্ন বন্ধন : তাইতো সেখানেই প্রতিধ্বনিত হয় কাঙ্খিত অমরতার ।

আমৃত্যু শক্তিমানতায়

তোমার হাতে হাতটি রেখে একটা কথাই বলতে পারি :
পরিচয়ের সীমারেখায় আমি নর, তুমি নারী ।
তোমার কাঁধে কাঁধটি রেখে এই কথাটাই বলতে পারি :
শক্তিশ্রোতের আবর্তনে আমি নর, তুমি নারী ।
অপরূপের দৃশ্যপটে শক্তি হয়ে দিচ্ছ সাড়া,
শব্দ আলোয় মূর্ত হয়ে ভিত্তি ধরে দিচ্ছ নাড়া ।
ধরাছোয়ার যান্ত্রিকতায় তোমায় পাওয়ার চেষ্টা করা :
শক্তিটুকু নিঃশেষ করে জমার খাতায় শূন্য ধরা ।
শক্তি সেত নিঃশেষ হবেই, কি লাভ বলো সঞ্চয়েতে,
তার চেয়ে ভাই হইও মাতাল, সৃজন-সুখের উল্লাশেতে ।
হয়তো তোমায় ভালবাসি, এই কথাটাই সত্য জানি,
আমার মাঝে তোমার খেলা, কোথায় তোমায় খুজবো আমি !
অন্তরেতে তোমার চেরাগ, সেই আলোতেই বাইরে দেখি,
ধরাছোয়ার মোহ-মায়ায় জীবন হলো শূন্য, মেকি ।

এস, কে, নির্ভানা
ইমেইল :


মন্তব্য

আরিফ [অতিথি] এর ছবি

ভাল লেগেছে, খুব ভাল।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ । অনুপ্রানিত হলাম । ভাল থাকুন ।
নির্ভানা

পলাশ দত্ত এর ছবি

লেখাটার প্রথম তিন প্যারার সঙ্গে বাকি অংশটুকুর সম্পর্ক কী?

আর প্রথম তিন প্যারায় এমন কী বলা হলো যা বেশিরভাগ মানুষই জানে না? এই লেখায় কি "নর-নারী সম্পর্কিত জীববৈজ্ঞানিক কিছু কারন অনুসন্ধান" করা হলো, নাকি জীববৈজ্ঞানিক প্রাথমিক যুক্তি উপস্থাপন ছাড়া আর কিছু করা হলো? প্রকৃতি নামে কোনো একটা কিছুকে পরম মেনে (সৃজনক্ষম মেনে) তারপর এগোচ্ছে আপনার কথাবার্তা। এইখানে বিজ্ঞান কই?

লেখাটা সবমিলিয়ে যুত্সই মনে হলো না।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

অতিথি লেখক এর ছবি

মূল্যায়নের জন্য অনেক ধন্যবাদ । এটা কতকটা মিশ্র টাইপের জগা-খিচুড়ির মত হয়েছে, তত গুছিয়ে লেখা না । মূলত বিনোদন মূল উদ্দশ্য । মনের ভাবটাকে নিজস্ব ভঙ্গিতে প্রকাশের একটা ব্যার্থ চেষ্টা বলা যেতে পারে । মতামতের জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ ।
নির্ভানা ।

অতিথি লেখক এর ছবি

একেই বুঝি রম্যরচনা বলে? তবে এইটা ঠিক কৃত্তিম তথা আধুনিক দিকটি অস্পষ্ট হলেও প্রাকৃতিক দিকটি বেশ ভাল করেই ফুটিয়ে তুলেছো। তোমাকে নব শুভেচ্ছা, চালিয়ে যাও!
এস হোসাইন

-----------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে ধৈর্য পরীক্ষা দেবার জন্য । একমত ।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আপনাকে আরো লেখার উৎসাহ দিতে চাই। সেই সাথে দুটি অসংগতি উল্লেখ করতে চাই।

প্রকৃতির বিশেষ প্রয়োজনে একটা অভিন্ন মানব জাতির মধ্যে নর ও নারী নামে দুটো ভিন্ন লৈঙ্গিক প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছিল

আপনি হয়তো অন্যকিছুকে এভাবে বোঝাতে চাচ্ছেন, কিন্তু আক্ষরিক অর্থে কথাটিকে শুদ্ধ ধরা হয় না, আশা করি জানেন। মানব বিবর্তনে কোনো অভিন্ন মানব জাতির কল্পনা করা হয় না। ভিন্ন লৈঙ্গিক প্রজাতির সৃষ্টি মানব বিবর্তনের বহু আগে ঘটেছিল বলে কল্পনা করা হয়।

বঙ্গসমাজে যে শ্রেনীভুক্ত মানুষগুলো সবচেয়ে বেশী বৈসাম্যের শীকার, তাদের মধ্যে: নারী, বৃদ্ধ, শিশু, প্রতিবন্ধি, সংখ্যালঘু ও গৃহপালিত প্রানী উল্লেখযোগ্য

শ্রেণীভুক্ত মানুষের মাঝে গৃহপালিত প্রাণী থাকা উচিত নয়।

উপসংহার কিছুটা খাপছাড়া লাগলো। এমনটা, যেনো মনে হচ্ছে, লেখাটি এভাবে শেষ হবে এমনটা প্রথম প্যারা লিখার সময় নিজেও জানতেন না। হয়তো জানতেন, কিন্তু পরে এমন মনে হচ্ছে।

আরো যত্ন দিয়ে আরো লিখুন।
--
~পর্যবেক্ষণ অসাধ্য তত্ত্ব অর্থহীন~

অতিথি লেখক এর ছবি

মুল্যবান পরামর্শের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । অভিন্ন মানব প্রজাতি বলতা আসলে আমি প্রানের এককোষীয় অস্তিত্বকে বোঝাতে চাইছি । আর গৃহপালিত প্রানির কথা এইজন্য এসেছে, আমাদের অতীত জৈবিক পটভুমির জন্য কোন প্রানকে বা প্রানীকে ছোটকরে দেখার অবকাশ নেই । আপনার পরামর্শগুলো অবশ্য মাথায় রাখবো । ধন্যবাদ ।
নির্ভানা ।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আর গৃহপালিত প্রানির কথা এইজন্য এসেছে, আমাদের অতীত জৈবিক পটভুমির জন্য কোন প্রানকে বা প্রানীকে ছোটকরে দেখার অবকাশ নেই

আমি ছোট বড়র কথা কিন্তু বলি নি। তালিকায় যদি বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে অন্য প্রাণীকে যুক্ত করেন, যা মানুষ নয়, তাহলে আপনি,

বঙ্গসমাজে যে শ্রেনীভুক্ত মানুষগুলো সবচেয়ে বেশী বৈসাম্যের শীকার, তাদের মধ্যে: নারী, বৃদ্ধ, শিশু, প্রতিবন্ধি, সংখ্যালঘু ও গৃহপালিত প্রানী উল্লেখযোগ্য
এর বদলে বলতে পারতেন,
বঙ্গসমাজে যারা বেশী বৈষম্যের শিকার, তাদের মধ্যে: নারী, বৃদ্ধ, শিশু, প্রতিবন্ধি, সংখ্যালঘু ও গৃহপালিত প্রাণী উল্লেখযোগ্য
বা বঙ্গসমাজে নারী, বৃদ্ধ, শিশু, প্রতিবন্ধি, সংখ্যালঘু ও গৃহপালিত প্রাণীই সবচেয়ে বেশী বৈষম্যের শিকার বা আরো অনেকভাবে, কিন্তু যখন বাক্যের শুরুতে বললেন তালিকাটা মানুষের, তখন অন্যপ্রাণীকে যুক্ত করাটা বেশ চোখে লাগে।

--
~পর্যবেক্ষণ অসাধ্য তত্ত্ব অর্থহীন~

অতিথি লেখক এর ছবি

এইবুঝেছি । একই বাক্যের ভিতর পড়ে গেছে । আসলেই দৃষ্টকটু লাগছে । ধরিয়ে দেবার জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ । ভাল থাকুন ।
নির্ভানা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, রম্যরচনা দেইখা ঢুকলাম, ঢুইকা কয়েক লাইন পইড়া পুরাই তাব্দা খায়া গেলাম। এ যে রীতিমতো কাঠখোট্টা গবেষণাপত্র!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুগোদা ধন্যবাদ পড়ার জন্য । এটা নিছক বিনোদন হিসাবে নিবেন । একটা মিশ্রকিছুও ধরতে পারেন ।
নির্ভানা ।

গৌতম এর ছবি

ট্যাগে রম্যরচনা দেখে পড়তে শুরু করলাম। পড়তে গিয়ে চিৎপটাং।

যাই হোক, বানানের ব্যাপারে আরেকটু যত্নবান হলে ভালো হয়।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ গৌতমদা । ভালকরে খেয়াল করলাম এডিটকরে আবার পোষ্ট করার করার কোন সুযোগ নেই । চিত পটাং কেন ভাই, বিনোদন হিসাবে নিলেই হলো । পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

নির্ভানা

দুর্দান্ত এর ছবি

"প্রকৃতি তাই নারী, পুরুষের সকল স্বাধীন অঙ্গ-ব্যাবস্থা যেমন, পরিপাকতন্ত্র, শ্বষনতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, রেচনতন্ত্র, প্রভৃতিকে হুবহু এক রেখে" - তাই ? এটা দেখুন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।