"একটু বসতে পারি?" যদিও পার্কের বেঞ্চে বসার জন্য কারো অনুমতি লাগে না, তবুও সৌজন্যতা হেতু অনুমতিটা চেয়ে নিয়ে বসে পড়ল সীমিন। রোদ চশমাটা রঙ করা চুলের উপর তুলে দিয়ে পার্স থেকে ছোট একটা আয়না আর টিস্যু বের করে নিজেকে দেখে নিয়ে ঘাম মুছে নিল।
ভাবনার পালে হাওয়া লাগিয়ে কিছুক্ষণের জন্য পৃথিবীর বাস্তবতা থেকে সরে ছিল রিচা। সীমিনের কথায় পালের হাওয়ায় বাদা পড়ল। উড়তে থাকা ঘুড়ি যেমন বাতাস না পেলে মাটিতে আছড়ে পরে, ঠিক তেমন করে ভাবনার আকাশ থেকে টুপ করে বাস্তবতার মাটিতে পড়ল রিচা। বিরক্তি নিয়ে সীমিনের দিকে একটু তাকিয়ে আবার ভাবনায় ডুব দিতে চাইল। কিন্তু ডুব দেয়াতো দূরের কথা ভাসতেই পারল না।
ভাদ্রের প্রচন্ড রোদ। গরমের প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায়। রিকশা চালকেরা কেউ কেউ প্যাডেলের বিশ্রাম দিয়ে নিজেরাও শক্তি সঞ্চয় করে নেয়ার জন্য বিশ্রাম নিচ্ছে। পার্কের ইট বাঁধানো গাছের গোড়ায় অনেকে গামছা বিছিয়ে ঘুমিয়ে নিচ্ছে। পার্কের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকটা গাছপালার আধিক্য থাকায় আর দক্ষিণ দিকটা খোলা থাকার কারণে এইদিকে একটু বাতাস পাওয়া যায়, যার ফলে গরমের প্রকটটা গায়ে একটু কম লাগে। সাধারণত দুপুরের দিকে এই দিকটাই লোকজন বেশি বসে। কিন্তু এই মুহূর্তে সীমিন আর রিচা ছাড়া কেউ ছিল না। পার্কটা অন্যদিনের চেয়ে আজ একটু বেশি ফাঁকা লাগছে। হয়তো গরমের কারণে মানুষ জন বের হচ্ছে না, নয়তোবা সবাই ব্যস্ত।
সীমিন নিজেকে একটু গুছিয়ে, রিচার দিকে তাকাল। রিচা একটু উদাস মন নিয়ে চেয়ে ছিল দূরের আম গাছটার মগ ঢালে, যেখানে সবুজ পাতায় রোদ হিংস্র ভাবে হানা দিয়েছে।"আপনার নামটা কিন্তু জানা হল না?" বলে সীমিন রিচার দিকে তাকাল। প্রশ্নটা কানে আসা মাত্র রিচা যেন চেতনা ফিরে পেল। "হুম কী বললেন?" "বলছিলাম আপনার নামটা জানা হল না। পাশাপাশি বসে আছি, অথচ নাম জানি না, এটা কী ঠিক?" বলে একটু হাসি দিল সীমিন, হাসিটার শব্দ না হলেও ঠোঁটের সাথে লেগে থাকল অনেক ক্ষণ। রিচা একটু অবাক হয়ে মেয়েটাকে দেখল। ভাবে এই মেয়ে বড় আলাপী এবং মিশুক। এর সাথে বসে থাকা যন্ত্রণার হবে।"আমি রিচা" বলে হাত প্রসারিত করল হ্যান্ডশ্যাক করার জন্য। সীমিনও হাত বাড়িয়ে বলল-"আমি সীমিন।" পরিচয় পর্বটা শেষ করে, টুকটাক দুইয়েকটা কথা বিনিময় করে আবার দু'জনেই চুপ হয়ে গেল।
দুজনেই নীল রঙের জামার সাথে সাদা পায়জামা আর সাদা ওড়না পড়েছে। দুইজনের সাজসজ্জার মধ্যে পার্থক্য থাকলেও পোষাক আর পার্সের রঙ প্রায়ই এক। দুজন দুজের দিকে একবার চেয়ে আবার যেন কী মনে করে দূরে কিছু পোলাপান খেলা করছিল সেই দিকে তাকাল। এই গরমের মাঝেও ছেলে গুলির খেলায় কোনো বিরতী নেই। মার্বেল দিয়ে খেলছে। সীমিন বা রিচা কেউ কিছুই বুঝল না। শুধু অপলক চেয়ে থাকল।
গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো মাটিতে পড়ে মিলিয়ে যাচ্ছে। ছায়া থেকে পাতার ফাঁকের ঝিলিমিলি রোদ গুলিকে দেখতে ভালোই লাগছে রিচার। মনে হচ্ছে শক্তিশালী সুর্যের রস্মিটা নিস্তেজ হয়ে আত্বসমর্পণ করছে মাটির বুকে। যেমন করে রাতের আধারে পরাক্রমশীল রাজা রানীর বুকে শান্তি খোঁজে, নিজেকে সমর্পিত করে সুখের মোহনায় নিজেকে বিলীন করে।
"আপনি বুঝি কারো জন্য অপেক্ষা করছেন?" ঘাড় ঘুরিয়ে সীমিনের দিকে তাকাল রিচা।"হুম। এখানে তো মানুষ বেড়াতে আসে কারো জন্য অপেক্ষা নিয়ে, তাই না?" প্রশ্নটা সীমিন প্রথমে বুঝতে পারে নি। "কী বললেন ঠিক বুঝতে পারলাম না।" অসহায়ের মত রিচার দিকে চেয়ে আবার জানতে চাইল।
"বললাম এখানে বেড়ানো হয় অপেক্ষার প্রহর গুণে। কেউ একজন আসবে ভেবে বসে থাকা, তারপর স্বপ্নের মানবটি আসলে হাত ধরে বের হয়ে যাওয়া, উদ্দেশ্য কোন এক আলো আঁধারী ঘরে বসে গল্পের সাথে আহার।" "
সীমিন "ঠিক বলেছেন।" বলে হো হো করে হাসতে লাগল।রিচা সীমিনের হাসির সাথে কোরাস মিলাল।
তিনটায় আসার কথা রনির। ঘড়ির কাটা এখন তিনটা পনের ছুঁই ছুঁই। পেট ক্ষুদায় চো চো করছে। রিচা ঘড়ির দিকে তাকাল আর তাকাল পার্কের প্রবেশ পথে। সীমিনও কেমন যেন উসখুস করতে লাগল। অপেক্ষা তাকে যে বিরক্ত করছে সেটা তার মুখের দিকে তাকালেই বুঝা যায়। রিচা মোবাইলটা নিয়ে ফোন করবে, আবার কী যেন ভেবে করে না, মোবাইলটা পার্সে রেখে দেয়।
পার্কে মানুষের ভীর বাড়তে থাকে। পাশের কংক্রীটের বেঞ্চে আরো দুই একজনের উপস্থিতি লক্ষ্য কর যায়। সময় বাড়তে থাকে। সীমিন দুই একবার উঠে আবার বসে। দুইজনের মাঝেই অস্থিরতা বাড়তে থাকে। অপেক্ষা বড়ই পীড়াদায়ক। গাছের ছায়াতলে এতক্ষণ যারা ঘুমিয়ে ছিল তাঁরা সবাই উঠে চলে যায়। ক্ষুদা যে তাদের ডেকে তুলেছে, সেটা তাদের পিঠের সাথে লেগে থাকা পেট দেখেই বোঝা যায়। দুজনের প্রতিশ্রুতি দেয়া সঙ্গীর দেখা না পেয়ে রাগে চোখ-মুখ বিবর্ণ করে রাখে। প্রচন্ড ঘামের পরেও চেহারায় লেগে থাকা সৌন্দর্যের যেটুকু লেশমাত্র ছিল সেটা অপেক্ষার বিরুক্তিতে বিলীন হয়ে যায়। অপেক্ষায় অসহিষ্ণু হয়ে উঠলেও কেউ মোবাইল নিয়ে ফোন করে না।
ঠিক সাড়ে তিনটার দিকে একজন যুবককে পার্কে প্রবেশ করতে দেখে দু'জনে উঠে দাঁড়ায়। কালো টি-শার্ট, রং ফিকে হয়ে যাওয়া জিন্স পরে একজন তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। সীমিন রিচার দিকে তাকিয়ে বলে "ও এলো, কালো টি-শার্ট পড়ে আসবে বলেছিল।" সীমিনের চোখে মুখে হারিয়ে যাওয়া লাবণ্য ফিরে এল। মনের সাথে চেহারার সম্পর্ক আছে সেটা সীমিনকে দেখেই বুঝ যায়। মলিন মুখটায় যেন এখন রাজ্যের সব আলো লেপটে আছে। পারলে দৌড়ে গিয়ে ঝাপটে ধরে। আর একটু কাছে আসতেই রিচা বলল। "ও তো আমার রনি। ঐ যে হাতে বাংলাদেশের পতাকাসহ বেসলেট জরানো।" খুশীতে পারলে ফাল পারে। "কি বলছেন আপনি? ওতো আমার রনি"। দুজন দুজনের দিকে হা করে চেয়ে থাকে।
রনি পার্কের নির্দিষ্ট জায়গায় আসার জন্য হাঁটতে হাঁটতে ভাবে, থাকবে তো? তিনটায় আসার কথা ৩০ মিনিট বিলম্ব, অন্তর্জালের মাধ্যমে সময় ও জায়গা নির্বাচন, সব ঠিক আছেতো? নানা কিছু ভাবতে ভাবতে রনি সামনের দিকে তাকায়। তাকিয়ে দেখে দুইটা মেয়ে একি স্থানে দাঁড়িয়ে আছে। রনির মনে খটকা লাগে। বিচলিত পায়ে সামনে এসে বলে আমি "রনি"।
"আমি আকাশনীলা" -দুজনে একসাথে একি নাম বলে। রনি অবাক হয়ে যায়। সীমিন, রিচার দিকে, রিচা সীমিনের দিকে তাকিয়ে আবার রনির দিকে তাকায়। রনি কিছু বলে না।
"লুইচ্চা, লম্পট এক সাথে দুইজনের সাথে ডেটিং"- দুইজনে এক সাথে তেড়ে আসে।
"প্লিজ আমার কথা শুনুন।" দুইজন থেমে যায়।
পার্কের খালি বেঞ্চ গুলি জোড়ায় জোড়ায় পরিপূর্ণ হতে শুরু করছে। সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। কেউ কেউ আড়ালে মুখ নিয়ে মিটিমিটি হাসছে। একটা জীবন্ত নাটক দেখার জন্য কিছু উৎসুক মানুষেরও আনাগোনা বাড়ছে। তবে সবাই তাদের থেকে একটু দূরে। তাদের কথা বার্তা অতদূর শোনার কথা না। সবাই আন্দাজের উপর নানা কিছু ভেবে নিয়ে চেয়ে আছে।
"আপনারা দুইজনি বলছেন আকাশনীলা, কী করে সম্ভব? " বলেই রনি পার্কের বেঞ্চে বসে ব্যাপারটা স্বাভাবিক করতে চাইল। সীমিন কিম্বা রিচা কেউ বসল না। দুজনেই রাগে টগবগ করছে, পারলে রনিকে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে অবস্থা।
"তুমি আমাকে ফেইসবুকে এখানে আসতে বলেছ।"-রাগে কটমট হয়ে সীমিন বলে।
"তুমি আমাকে পারফেক্ট স্পটে এখানে আসতে বলেছ। বদমাইশ এইভাবে মেয়েদের সাথে..."- কোনো ভাবে কান্না সংবরণ করে রিচা বলল।
"প্লিজ আমাকে শুধু শুধু বাজে ভাববেন না।" বলে উঠে দাঁড়াল।
"আপনি বাজে কাজ করে বেড়াবেন আর আপনাকে বাজে ভাবা যাবে না। আপনাকে পুলিসে দেয়া উচিত।" দুজনেই একসাথে কথা গুলি বলল।
রনি অবস্থা বেগতিক দেখে চিন্তায় পড়ে গেল। দুয়েকজন লোক কাছে আসার পায়তারা করছে দেখে রনি বলল, "শুনুন আমার কথা, প্লিজ সিনক্রিয়েট করবেন, মানুষ জন দেখে মজা নিচ্ছে, গোলমাল করার চেষ্টা করবে। আমাকে ব্যাপারটা পরিষ্কার করতে দিন।"
"আপনি কি পরিষ্কার করবেন?" রিচা এবং সীমিন একসাথে বলল।
"দেখুন আমি জানি না আপনাদের কার নাম কী? আমি যাকে এখানে আসতে বলেছি তার নাম আকাশনীলা। তার সাথে আমার ফেইসবুক আর পারফেক্ট স্পটে কথা হয়।" দুজনেই অগ্নিমূর্তি থেকে নিস্কৃত হল। এক আরেক জনের দিকে তাকাল।
"আমি ফেইসবুকে তোমার সাথে..।" সীমিন বলল।
"আপনি?" রিচার দিকে তাকিয়া রনি জানতে চাইল।
"আমি পারফেক্ট স্পটে..."
"আপনারা দুজনই কি প্রোফাইলে ক্যাটরিনার ছবি সংযুক্ত করেছেন?" দুইজনের দিকে চেয়ে রনি জানতে চাইল।
"হ্যাঁ" সীমিন এবং রিচা একি সাথে বলে দুজন দুজনের দিকে আবার ঈর্ষার দৃষ্টি নিয়ে তাকাল।
"দেখুন আমার বোঝার ভুল, আমি দুইজায়গার আকাশনীলাকে এক ভেবেছিলাম।"
"কারণ?" দুইজনে আবার একসাথে জানতে চাইল।
"আমি আপনাদের প্রোফাইলে যে তথ্য পেয়েছিলাম, সেটা দুই জাগায় একি ছিল।" রনি দুজনের দিকে বিস্ময় ভরা চোখে তাকাল।
"যেমন!" সীমিন জানতে চাইল।
"দেখুন দুই জায়গায় আপনারদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম এবং বাসার ঠিকানার একি ছিল। এবং আরো কাকতালীয় ব্যপার কী জানেন?"দুইজনের দিকেই তাকাল।
"কী" দুইজনেই এক সাথে জানতে চাইল।
"আপনাদের এজ জনের প্রোফাইলে দেখালম (কারো সাথে মিলে গেলে দুঃখিত) এবং অন্য জনের প্রোফাইলে দেখলাম (কারো সাথে মিলে গেলে দুঃখিত), তাতে আমি মোটামুটি ধরে নিয়ে ছিলাম একজনের সাথেই চ্যাট করছি।
সীমিন ও রিচা একজন আরেক জনের দিকে তাকায়। এই তাকানোর মাঝে কোনো হিংস্রা নেই, বিদ্বেষ নেই, ঈর্ষা নেই, শুধুই বিস্বয়। রিচা জানতে চাইল "ঠিকানার ব্যাপারটা যেন কী বললেন?"
"আপনি এখন কোথায় থাকেন?" সীমিন রিচার কাছে জানতে চাইল।
"ধানমন্ডি ২৬ নাম্বার রোডে ২নাম্বার বাসায় থাকি।" উত্তেজিত ভাবে রিচা বলল।
সীমিন অবাক হয়ে-"ওহ মাই গড, এক বছর আগে আমরা ঐ বাসায় থাকতাম। আর আমি ফেইসবুকে নাম নিবন্ধনের সময় ঐ ঠিকানা ব্যবহার করেছিলাম।"
রনি বেঞ্চ থেকে উঠে বলল-"আমি দুঃখিত, আপনাদের দুজনকে এনে কষ্ট দেয়ার জন্য। আমি চললাম।"
দুইজনে একসাথে বলল-"কেন?"
"আমার পক্ষে দুজনের সাথে তো সম্পর্ক রাখা সম্ভব না।"
"আমরা কী বন্ধু হতে পারি না?" রিচা জানতে চাইল।
"বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু করে ভালবাসা যায়, কিন্তু ভালবাসা দিয়ে শুরু করে বন্ধুত্বে শেষ করা কঠিন।" কথা শেষ করে রনি আর দাঁড়াল না। সোজা হেঁটে চলে গেল। সীমিন আর রিচা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে রনির চলে যাওয়া দেখল।
=========
"আনাড়ীলেখক"
=====
মন্তব্য
হিহিহিঃ ভীষণ কাকতাল..
ওফ! আবার!!??
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হা হা হা! আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলতে পারেন - সচলের আলসে ডেভুগুলা যে 'দেয়ালে কপাল ঠুকিবার' ইমো বানায় নাই, এইজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কি না?
সত্যি মাইরী .........
কোথায় লাগে রবার্ট ব্রুস!? সেই একই ভুলভাল অকথ্য বাংলায় মাথামুন্ডুহীন , দিশাহীন লেখা৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আপনার উদাহরণটা ঠিক বুঝলাম না। অকথ্য বাংলাভাষা কোথায় ব্যবহৃত হল সেটা একটু দেখায় দিলে উপকৃত হতাম। মাথামুন্ডু কীভাবে লাগায়,আর কীভাবে দিশা সম্বলিত লেখা লিখা যায় সেইটা বলে দেন। আপনার লেখা পড়ার সুভাগ্য আমার হয়নি কারণ অল্প কয়দিন হল সচালায়তন সম্পর্কে জানলাম। সময় পেলে আপনার লেখা গুলি পড়ে শুদ্ধ বাংলাভাষা শিখে নিব,আর জেনে নিব কীভাবে মাথামুন্ডু লাগান যায়। প্রথম এসেই এই রকম আচরণ পেয়ে খুবি কষ্ট পেলাম। সচলায়তন সম্পর্কে ধারনাটা বদলে গেল।
ধন্যবাদ সাহিত্যবোদ্ধা। আপনার কোনো বই কী বাজারে আছে? থাকলে বলেন কিনে পড়ব। হাজার হোক শুদ্ধ বাংলাভাষাতো শিখা যাবে।
ধন্যবাদ।
আনাড়ীলেখক।
এই পোস্টে আর এই পোস্টে পাঠকদার কমেন্টগুলো পরে দেখতে পারেন। কিছু আইডিয়া পাবেন।
আর যেহেতু আপনি সচলে নতুন, একটা ইনফো দেই। পরের লেখাটা আপনি এই নিক ইউজ করেই লিখতে পারবেন। প্রতি লেখার জন্য নতুন নতুন নিক নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
উদ্ধৃতি
আর যেহেতু আপনি সচলে নতুন, একটা ইনফো দেই। পরের লেখাটা আপনি এই নিক ইউজ করেই লিখতে পারবেন। প্রতি লেখার জন্য নতুন নতুন নিক নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
ভাইয়া বুঝলাম না। কেউ কি প্রত্যেক লেখায় নিক পরিবর্তন করে নাকি? আমার বন্ধুটির দেয়া তথ্য মতেই guest_writer এবং guest password ব্যবহার করেই লিখছি। ও বলেছে কিছুদিন নাকি অতিথি হিসেবে লিখতে হবে। এই বিষয়ে কিছু বলবেন?
ধন্যবাদ।
==========
আনাড়ীলেখক।
===========
চলার পথই শিখার পাঠশালা।
সাধারণত করে না। কিন্তু দেশেতো ছাগলের অভাব নাই। তাই একটু বলে রাখলাম আর কি।
গতকালইতো আমাদের দলছুট ভাই হঠাৎ করে স্বাধীনজামান নামে লেখা শুরু করলো। আজিব, না ?
আমি আবার দলছুট ভাইয়ার ভীষণ ফ্যান ছিলাম। আপনারও ফ্যান হয়ে যাচ্ছি। চালিয়ে যান।
আরে আমার লেখা কেন? এই যে সেদিন মূলত পাঠক বলে দিলেন কতগুলো নাম৷ তাঁদেরগুলো আগে পড়ে নিন৷ দেখে নিন বাংলা শব্দগুলো কেমনভাবে ব্যবহার করা হয়৷ এই যে এই মন্তব্যতেই লিখেছেন "সুভাগ্য', এটা কি একটা শব্দ নাকি? তারপরে ধরুন ওপরে লিখেছেন "গরমের প্রকটটা একটু কম'৷ এই "গরমের প্রকট' বস্তুটা কী? এটা তো কোনভাবেই টাইপো বা বানানের সমস্যা নয়৷ স্রেফ অসহ্য বাজে বাংলা৷ "প্রকোপ' বলে একটা শব্দ আছে জানেন? তার মানে ও ব্যবহারবিধি জানেন? তারপরে আরেকজায়গায় লিখেছেন "কটমট হয়ে চেয়ে রইল'৷ কিছুদিন আগে যখন অন্য একটি নিকে লিখতেন তখনও লিখেছিলেন "বিস্ময় হয়ে তাকিয়ে রইল' ৷ এইদুটোই ভুল বাংলা৷ মানুষ বিস্মিত হয়ে অথবা কটমট করে তাকিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু "বিস্ময় হয়ে' কিম্বা "কটমট হয়ে' তাকিয়ে থাকা যায় না৷
পড়ুন মশাই, অনেক অনেক বই পড়ুন, তারপর লিখুন৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
মূলত পাঠক ভাই কাকে বলেছেন আর সেটা আমাকে বলছেন কেনো ভাই।
আপনার পরামর্শটা গ্রহণ করলাম।
ভাই লিখলাম আমি কিন্ত কার সাথে না কার সাথে আমাকে জড়িয়ে কী সব বলে যাচ্ছে।
আপনাদের কথা কিছু্ই বুঝতেছি না। ঘুম পাইছে, এখন বিদায়।
ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।
=============
আনাড়ীলেখক।
===========
চলার পথই শিখার পাঠশালা।
আপনি পাইসেন টা কি দময়ন্তী,আপনার সুভাগ্যে আমি খুবই বিস্ময় কিন্তু আনারী ( জানিনা উনি নারী না নর) কে সর্বসমক্ষে নিপীড়নের জন্য আমি কিন্তু কটমট হয়ে তাকিয়ে রইবো আপনার দিকে তখন গরমের প্রকটে কিছু হইলে বুঝবেন'খন, হুঁ!!
পড়ার সময়ে সন্দেহ হচ্ছিল, এখন নিশ্চিত হলাম। দারুন মন্তব্য করেছেন দিদি
আপনাদের সকলের এই রকম কটাক্ষ জাতীয় মন্তব্যের কারণ বুঝতে পারলাম না।
আনাড়ীলেখক।
দুঃখিত আপনার মন্তব্যের হেতু বুঝিলাম না। আর বিরক্তির কারণও বুঝিতে পারলাম না।
আনাড়ীলেখক।
ইয়া আল্লাহ, সচলের মডুগুলান কী পাপ কর্সিলো এই জীবনে ...
খালি হাসি আসছে, অযথাই... হাসতে হাসতে চেয়ারছুট হয়ে পড়ছি...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
বন্ধুদের কাছে শুনেছিলাম সচলায়তনে নাকি লেখার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে। আমিতো আমার লেখার মন্তব্য গুলি পড়ে কিছুই বুঝতেছি না।
সবাই এইরকম মন্তব্য করতাছে কেন?
এখানে কী নূতন দের লেখা এইভাবেই মূখ্যায়ন হয়!!!!
আনাড়ী লেখক।
আনাড়ী লেখক লিখলেন, এখানে কী নূতন দের লেখা এইভাবেই মূখ্যায়ন হয়!
"মূখ্যায়ন" জিনিসটা কী?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সেদিন আপনার একটা লেখা পড়েছিলাম, নিবন্ধন না থাকার কারণে মন্তব্য করতে পারি না। সাহিত্যের মানের দিক থেকে কী আপনার লেখা খুব উঁচুতে?
লেখার নিয়ে সমালোচনা না করে মডারেশন নিয়ে কথা বললেন।
যে পজিটিভ ধারনা নিয়ে সচলায়তনে কয়েকদিন ধরে ঢু মারছিলাম, সেটা বুঝি আর হবে না। একটা লেখা দিয়েই বুঝলাম পরিবেশটা ভদ্রতার মুখোশে ঢাকা নোংরামিতে ভরা।
এখানে সময় নষ্ট করার জন্য দুঃখিত।
আনাড়ীলেখক।
প্রিয় অতিথি,
সচলায়তনে লিখছেন বলে আমি আনন্দিত। অতিথিদের মন্তব্য করতে কিন্তু নিবন্ধনের দরকার হয়না। যে কেউ মন্তব্য করতে পারে।
সচলায়তনের পরিবেশের সাথে আপনার পরিচয় কতদিনের তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছি। আর আপনি যে শব্দ চয়ন করেছেন তা একটা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা কি ঠিক হলো? একটা লেখা দিলেন, তার রেসপন্স ভালো না হলেই এরকম মন্তব্য করা কি বিবেচনা প্রসূত না পরিকল্পিত?
সময় নষ্ট করে লিখেছেন, আর আমাকে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
না ভাই, সাহিত্যের মান হিসাবে আমার লেখার কোন মানই নেই- আমি জানি। তবে পাঠক হিসেবে আমার বেশ ভালোই মান আছে- আমি এটাও জানি...। সেই দাবিতেই আপনার লেখাটা পড়ে বিমলানন্দ লাভের কথা জোর গলায় বলতে পারছি।
ভবিষ্যতে আশা রাখি উঁচু সাহিত্য-মানসম্পন্ন একটা রচনা দিয়ে আমার সামনে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
আমাদের সময় যে নষ্ট করলেন সেইটার কী হবে, বস ?
কে কোন মুখুশ পইড়া কার কোনদিক দিয়া নোংরামি করছে?? আর সাহিত্য মানের কথা আপনার মুখে বোধহয় এখন আর মানায় না। পরিবেশের কিছুই আপনে ধরতে পারেন নাই জনাব। আমি খুশি হবো যদি আপনি আরো অনেক বেশী দুঃখিত হয়া আর না আসেন।
ভিক্ষা চাইনা আব্বাজান ... ... ... ... ... ...
------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
সত্যি? তিন সত্যি? আর কখনো আসবেন না তো? ঠিক তো?
জো ওয়াদা কিয়া ও নিভানা পড়েগাই পড়েগা! দেইখেন কইলাম!
তবে আমার মন বলছে আনাড়ী লেখক ওরফে আজাদ বিন করিম আসলেই আর আসবেন না। ওয়ান-টাইম ইউজ নিক এটা। এরপরের নিকটা কী রাখবেন বলে ঠিক করলেন? জানান না একটু। আমরা প্রিপারেশন নিয়ে রাখি।
কয়েকটা বানান আর শব্দে ভুল চোখে পড়লো। বাকীটা তো তেমন খারাপ লাগলনা আমার। এরকম ঘটনা তো ঘটতেই পারে। বর্ণনাও একেবারে খারাপ নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
উপরের মন্তব্যগুলি পড়ে পড়ে আশাহত হয়েছিলাম, সচলায়তন সম্পর্কে একটা নেগেটিভ ধারনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাংলার অন্য ব্লগ গুলিতে ঢু মারব, আপনার কথা ভালো লাগল।
আনাড়ীলেখক।
তার মানে কী ?
আপনি সচলায়তনেই থাকছেন ?
বস, আপনার দিলে কী একটুও দয়া হয় না...
জনাব ডি এম কামরুজ্জামান স্বাধীন ওরফে দলছুট ওরফে জামানস্বাধীন ওরফে আনাড়ীলেখক, সচলায়তন খুউউউউউবখ্রাপ! অত্যন্ত বাজে!! আপনার যোগ্য নয় মোটেই। আপনি অন্য ব্লগগুলিকে সমৃদ্ধ করুন গিয়ে। প্লিজ। খোদার দোহাই লাগে। রহম করেন। প্লিজ ভাই প্লিজ!
উপরোক্ত দুই ব্যক্তির সাথে কেন আমাকে জড়ালেন বুঝতে পারলাম না। আর আপনার বিরাগভাজন হবার কারণও বুঝতে পারলাম না।
আপনাদের কাছে শিখার জন্য এসে কী অর্ধচন্দ্র খেতে হবে!!!! আমি ভাই আজাদ বিন করিম। উপরোক্ত ব্যক্তিদ্বয়ের সাথে কেন আমার নামটা জড়ালেন ?
আপনার কথাতো সচেতন ও বোদ্ধা হিসেবেই জেনেছি।
============
আনাড়ীলেখক
===========
চলার পথই শিখার পাঠশালা।
যা বুঝতেছি আপনি আবার আরো কোন এক নামে দিবেন কিসুএক্টা। তারপর কৈবেন দয়া কৈরা উক্ত তিনজনের সাথে আমাকে মেলাবেন্না ......
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সব মানুষই মুক্তিপ্রেমী, কবি তো কবেই জিগায়া গেছেন, স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় আহা কে বাঁচিয়ে চায়!
তা বলে নিক বানানোর সময় সেই মুক্তাঙ্গনে ছুটোছুটিটা একটু কমালে এই বিশাল যে একটা ভানের প্রাসাদ গড়ছেন সেটা কয়েক মিনিট দেরিতে ভাঙতো, এই আর কী। মুক্তির আশায় দল থেকে ছুটে বেরিয়ে গেলেন, ফিরে এলেন স্বাধীন হয়ে, আবার ফিরে এলেন আজাদ হয়ে। প্রতিশব্দের ভাঁড়ার তো ফুরিয়ে আসছে, এবার কী নতুন নাম হবে বলেন তো? বন্ধনহীন বান্দর?
আর শোনেন, জ্ঞান নেওয়া না-নেওয়া আপনার ইচ্ছা, তবে সেইটা বললেই হয়। তার বদলে বারেবারে সশ্রদ্ধ চিত্ত হওয়ার ভণ্ডামি করে, কীবোর্ড বিরতি নিলাম জাতীয় ডাহা মিথ্যা ফঁেদে আবার নাম বদলে ফেরত এসে যে অসভ্যতা আপনি বারবার দেখালেন, কথা দিলাম পরের বার আপনাকে এই জিনিস আবার করতে দেখলে সৌজন্যের তোয়াক্কা করবো না। আর আপনার যা কদর্য বাংলা লেখার হাত, আপনি সুনুমুনু লাহিড়ি নামে লিখলেও সে চিহ্ন ঢাকা যাবে না। খটাশ কী জিনিস জানেন তো? এ হলো খটাশ বাংলা! নাকে কাপড় দিয়ে পড়তে হয়।
যে যাই বলুক, আপনি লেখা থামাবেন না। আমি সচলে এসে প্রথমে আপনার লেখাটাই খুঁজি, দিনটা ভালো যায়। আপনার লেখাটা হয়তো পড়া হয় না পুরো, কিন্তু লেখার নিচে অনেক উপাদেয় জিনিস থাকে।
আর নামের অভাব ঘটলে ভালো বুদ্ধি আছে, একটা 'শিশুদের সুন্দর নাম' টাইপ কিছু কিনে নেবেন, ঝামেলা শেষ।
ভিন্ন বিষয়, একটু রাগ আছে এখানে। এসব লেখা নীড় পাতায় চলে আসে, কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনটা বহুত সখের ফটো ব্লগ দিলাম, একটাও আসলো না। বুকে একটু বাজে।
ভাই,
দলছুট ওরফে আনাড়ীলেখক,যদিও আমার মন্তব্য করা সাজে না,কারন আমি লিখি না,গ্যালারী থাকা দর্শক মানে শুধুই পাঠক,তারপর ও পাঠক হিসেবে আমার কিছু দাবী থাকতেই পারে।
১-আপ্ নি এর আগে এক্ টা গল্প লিখেছিলেন-পালাতে গিয়ে চির প্রস্থান,এর পর সেই সুখাদ্য গল্প এ মূলোদা আপ্ নাকে খুব্বব্বব্বব্বব ভাল উপদেশ দিয়েছিলেন-
দু শো খানা গল্প পড়ে তার দু লাইনের জিস্ট লিখে সেটার অন্তর্নিহিত নক্সাটা আবিষ্কার করার পরেই লিখবেন, তার আগে উপোস দিন
আপ্ নিও বল্লেন-
দোয়া করবেন যেন ভালো লেখা নিয়ে আসতে পারি[i]
কিন্তু আপ নি কি এইটা কে কোনোভাবে ভালো লেখা বল্ তে পারেন???
আপ নার লেখার ক্ষমতা প্রচন্ড রকমের ভালো।সেই ক্ষমতাটা আরেক্ টু সঠিক ভাবে কাজে লাগান,সচ্ ল এ সব লেখাই সুখপাঠ্য তা কিন্তু না।তাও চোখ কে আরাম দেয়,্মন কে শান্ত করে এরকম লেখা লিখুন
ভাল থাকবেন।
একটা অণুগল্প লিখলাম। দেখেন কেমন হোলো।
রবার্ট ব্রুস একটা গুহার দেয়ালে হেলান দিয়ে বসেছিলেন। মনমেজাজ ভালো না। বৃটিশ বাহিনীর সাথে লড়তে গিয়ে ধরা খেয়েছেন তিনি।
এক সহচর তার মনোবল চাঙা করার জন্যে একটা মাকড়সার জালের দিকে আঙুল তুললো।
"দেখুন রাজন! মাকড়সাটা কী করছে দেখুন!"
রবার্ট ব্রুস কটমট হয়ে (কটমট করেই তাকাতেন, কিন্তু ...) তার দিকে তাকিয়ে বললেন, "ফাইজলামির আর জায়গা পাও না? আমি মরি টেনশনে, আর তুমি মাকড়সার খেইল দেখো?"
সহচর কাঁচুমাচু হয়ে বললো, "রাজন, একবারটি চেয়ে দেখুনই নাহয়! মাকড়সাটা কীভাবে বারবার পড়ে গিয়েও আবার জাল বেয়ে ...।"
রবার্ট ব্রুস হুঙ্কার দিয়ে বললেন, "ঐ গেলি!"
সহচর ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে পালালো।
রবার্ট ব্রুস মনমেজাজ খ্রাপ নিয়েই সচলায়তনে ঢুকলেন। ফ্রন্টপেজ খুলেই তাঁর চক্ষু বিস্ফারিত হলো। তিনি বিড়বিড় করে বললেন, "আবার?"
তারপর তিনি কড়ে আঙুল দিয়ে গুণতে শুরু করলেন ... দলছুট ... জামানস্বাধীন ... আনাড়ীলেখক ... ।"
আস্তে আস্তে তাঁর চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। হ্যাঁ, এই তো স্পিরিট! এমনটাই তো চাই!
রবার্ট ব্রুস বিড়বিড় করে বললেন, "একবার না পারিলে দেখ শতবার ...!"
সহচরকে ডেকে তিনি আদ্যোপান্ত খুলে বললেন। তারপর আদেশ দিলেন, লিখে রাখো সব। আজ থেকে সাতশো বছর পর বাংলাদেশে ছেলেমেয়ে ইস্কুলের রচনায় অধ্যবসায় নিয়ে লিখতে গিয়ে আমার কথা লিখবে!
সহচর চিপায় গিয়ে পার্চমেন্ট আর দোয়াত নিয়ে বসলো। ছোহ, সচলায়তনে দলছুট না ঘোড়ার ডিম! সে লিখতে শুরু করলো, "রবার্ট ব্রুস একটি মাকড়সার জালে একটি মাকড়সাকে বারংবার উঠিতে দেখিয়া মনে প্রবল অনুপ্রেরণা লাভ করিলেন!"
ধারুন!
ধারলাম, এবার চেকটা মেইল করেন তাড়াতাড়ি
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
কি ধারলেন? কত ধারলেন?
)
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একদম খোদার কসম হিমু ভাই, একটু ভিন্ন প্লটে ঠিক এই বিষয়ের একটা অণুগল্প লেখার জন্যে লগিন করসিলাম- অক্ষণ দেখি আপনিই লেইখ্যা ফেলাইসেন...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
আপ্নি লুকটা খ্রাপ, আমিও ভাবছিলাম এইতোএকটা গল্প লেখার প্লট পাইছি, কিন্তুক আপনি দখল কইরা নিলেন, কইষা মাইনাছ
আচ্ছা আপনারা সব্বাই এতো খারাপ কেন? (কেনু কেনু কেনু বলা উচিত আসলে)। জীবনে বিমলানন্দের এমন স্রোতস্বিনী নদী কয়টা আছে যে সবাই মিলে তার গতিপথ এইভাবে রুদ্ধ করে দেন? এরপর যদি তিনি সত্যি সত্যি লেখা থামান তাহলে দেশের দশের এবং পাঠককুলের জন্য এই হাসির ঝর্ণাধারা শুকিয়ে গেলে তার দায়িত্ব নেবেন আপনারা?
যাঁরা যাঁরা এই ত্রিদেব (আপাতত ৩, আগামীতে চতুর্মুখ, পঞ্চমুখ ইত্যাদি হবে এই আশা রাখি) ও তাঁর লেখার নিন্দে করছেন, তাঁদের জন্য চ্যালেঞ্জ রইল, লেখুন তো দেখি এমন একটা লেখা "পলাইতে গিয়া চিরআছাড়" কি "স্বপ্নদোষ ও পাশবালিশ" গোত্রের?
বেসুরে গায় এমন লোক দুর্লভ নয়, কিন্তু আমাদের এক সহপাঠি ছিলো যে গান গাইতে গেলে প্রতিটা তাল অফ-বিটে ফেলতো, এবং সেও ইউনিফর্ম ভাবে হতো না। সুরের কথা আর না-ই বললাম। কিন্তু ফিল্ডে গেলে তার গান ছিলো মূল আনন্দখোরাক। আমি বেশ আনন্দে ছিলাম এই ভেবে যে আবার সে এসেছে ফিরিয়া, নবরূপে। দিলেন আপনারা সব ঘঁেটে। যাই পরশুরামটাই নামিয়ে নিয়ে পড়ি, তাঁর লেখনী যদি এঁর কাছাকাছি যেতে পারে কোনোভাবে!
মূলোদা, আপনি ম্যায় খিলাড়ী তু আনাড়ী ছবিটা দেখেছেন? তারপরেও আনাড়ীকে এত জ্বালাচ্ছেন ক্যান্?
আর যাই বলুন, এ ব্যক্তির অধ্যবসায় দেখে গঙ্গারামও ছুটে পালিয়ে যাবে, ১৯ বারের অনেক আগেই।
----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
"আনাড়ী তো কেবল ভোগে লেখকজ্বর আর খ্যাতির রোগে --- "
খ্যাতি কিন্তু সে পেয়েই গেছে, আপনার লেখা নাম না দেখলে আমি চিনবো না বোধ'য়, আপনারও সেই দশা হবে আমার নামহীন লেখা পড়তে গেলে। এঁকে কিন্তু সব্বাই চেনে, খটাশগন্ধে।
একে বলে সিগনেচার টিউন। হুঁ হুঁ বাবা!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এইরকম একটা চ্রম গল্প নিয়ে মস্করা করার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি । হে আনাড়ী ভাইজান, নিন্দুকের কথায় ধৈর্য্য হারাবেননা। মনে রাখিবেন, মহামতি জুলভার্ণের গল্পও প্রথমে কোন প্রকাশক ছাপাইতে চায়নি। মাগার ইতিহাস বলে....
আমি আনাড়ী ওরফে স্বাধীন ওরফে কামরুজ্জামান ওরফে আজাদ ওরফে দলছুট ভক্ত পরিষদ গঠন করতে ইচ্ছুক। যারা যারা সাথে আছেন জায়গায় বসিয়া আওয়াজ দেন।
ভক্ত পরিষদের দুটো দাবিঃ
১। লেখককে অতিসত্ত্বর সচলত্ব প্রদান করা হোক।
২। এই পোষ্টকে ষ্টিকি করা হোক।
আমি আপনাদের কারো মন্তব্যই বুঝলাম না। কে কী নামে লিখে সেটা নিয়ে কেনো আমার সাথে তুলনা? যে ব্যক্তির সাথে আমাকে তুলনা করে এতো বাজে বাজে কথা বললেন, সেই ব্যক্তি পড়ছে কীনা জানি না, তবে পড়লে ভালো হত!!!!
আমি সবাইকে উত্তর দিতে পারলাম না বলেই এখানে জানাতে চাচ্ছি, ভাই আমি আমার নাম বলেছি এবং চাইলে ঠিকানাও দিতে পারি আসুন দেখে যান আমি কে? আপনারা সবাই কারো লেখার সাথে যদি আমার লেখার মিল খোঁজে পেয়ে আমাকে এইভাবে অপমান করেন, তাহলে দুঃখ প্রকাশ ছাড়া কিছু বলার নাই।
আপনারা ভালো থাকবেন।
===========
আনাড়ীলেখক।
===========
চলার পথই শিখার পাঠশালা।
আপনি এই যে এতো পরিশ্রম করছেন নিজেকে লুকানোর চেয়ে, এসব না করে কিছু গল্প পড়ুন না। গল্পগুচ্ছ দিয়ে শুরু করুন। পড়া শুরু করলে চিরটাকাল এমন জঘন্য লিখে যেতে পারবেন, সে প্রত্যয় আমার নেই। তবে দয়া করে চর্চার জন্যে নিজে একটা ব্লগ খুলে নিন ব্লগস্পটে। সচলায়তনে খামোকা এই অগল্পগুলি পোস্ট করে শুধুশুধু হাসির খোরাক হচ্ছেন।
পরম শ্রদ্ধেয় আজাদ ভাই (পুরান নিক গুলা বাদ দিয়া নতুনটাই লিখলাম, আমি আবার নতুনের পূজারী) আপনি আপনার ঠিকানা দিতেই পারেন কারণ এর আগের নিক-এ ধরা খাইছেন ই-মেইল ঠিকানা দিয়া, So, আপনার কাছে এখন ট্রিক্স আছে আপনার বাড়ির ঠিকানা। নেক্সট টাইম কইবেন - ভাই আমার মোবাইল নাম্বারটা লন।
বড় ভাই, আপনি এতো অবুঝ ক্যা??? আপনি থার্ড স্লিপে কট খাইছেন ঐ আপনার লেখার সেই ম্যাড়ম্যাড়া ইষ্টাইল লয়া, এখন আবার উত্তরও দিতাছেন ঐ একই ইষ্টাইলে??? বুঝলেন না??? এর আগে কট খাওয়ার পর আপনার ক্যাঁ কুঁ গুলি ছিলো এইরকম -
আপানর কথা ঠিক বুঝলাম না। সচলায়তনে দলছুট নামে একজন আছে জানি, তার সাথে কেন আমাকে জরালেন।
জামানস্বাধীন।
আরো ছিলো -
আমি হবাক হচ্ছি আপনাদের মন্তব্য পড়ে, দলছুটের সাথে আমাকে কেন জরালেন?
দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বিদায় নেয়া ছাড়া কিছু থাকল না। নিজের লেখা অন্যের লেখার সাথে তুলনা করে এইভাবে কথা শুনতে কারো্ই ভালো লাগে না।
আপনাদের মাঝে আর আসবো না।
ধন্যবাদ।
একটু ভেবে দেখবেন। এগুলো বোঝার জন্য কোন সাহিত্য বোদ্ধা হওয়া লাগে না। মাথায় ঘিলু থাকলেই সব ফকফকা।
-------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
এখন আমি একটা নিদারুন খাইষ্টা প্রশ্ন করি--এই লেখা মডারেশনের পুলসিরাত কেমনে পাড়ি দিল?? নাকি এটা জেনেবুঝেই ছাড়া হইসে?
মডারেশন থেকে ছাড়া পাওয়ার পর লেখক বা লেখা নিয়ে এই মাত্রার কটাক্ষ করলে যে কিছুটা নিজেদের উপরেও আসে এটা বোঝা উচিৎ।
আর নিক নিয়ে বেলেল্লাপনা এ আর নতুন কী?
আপনার কথা হয়তো ঠিক। পাশাপাশি এইটাও ঠিক, কী ধরণের পোস্ট আসলে প্রতিদিন ঘ্যাচাং করা হয় তার কিছু উদাহরণ সচলদের সামনে থাকাটাও মন্দ না। তবে উদাহরণের সংখ্যা এইক্ষেত্রে যত কম হয় তত ভালো
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
মডারেশনের পুলসিরাত পার হয়ে যে সব লেখা পোস্ট হয় তাদের একটা নূন্যতম মান যাতে থাকে সেই জন্যই মডারেটরদের অংশ নই যাঁরা তাঁদের এই প্রচেষ্টা। না জেনে না বুঝে ছাড়া হয়েছে বলে মনে হয় না, যেহেতু মডারেশন মানুষে করে, যন্ত্রে নয়। কিন্তু তার পিছনে মডারেটরদের কোনো আল্টেরিয়র মোটিভ ছিলো এইটা বলার যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না, যেহেতু সমস্ত প্রকাশিত লেখা এখনো সেই নূন্যতম মানের উপরে উঠে যায় নি। যেদিন সে ঘটনা হবে সেদিনও যদি এই লেখা প্রকাশ পায় তখন না হয় গোপন উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করা যাবে?
মডারেশন পার হওয়া লেখা নিয়ে নিয়ে যে কোনো মাত্রার কটাক্ষ করা (বা, সেভাবে বললে যে কোনো লেখা বা লেখক নিয়েই কটাক্ষ করা) সৌজন্যবোধের পরিপন্থী হতে পারে, কিন্তু সাধারণ সচলদের উপর কেন তার দায়ভার আসবে এই কথাটা খোলসা হলো না। এবং সৌজন্যবোধ শুধু নয়, এই 'লেখক'কে আরো অনেক সদভাবনার কথা বলা হয়েছে, অনেক সময় ও উদ্যোগ ব্যয়ও করা হয়েছে। তিনি সে সব পাত্তা না দিলেও একটা কথা ছিলো, সে অধিকার তাঁর অবশ্যই ছিলো। কিন্তু তিনি তার উত্তরে সশ্রদ্ধচিত্তের ভণ্ডামি করেছেন বারবার, তারপর নতুন আয়োজনে নতুন অসভ্যতার সূচনা করেছেন। এই জাতীয় আচরণের বিষয়ে কথা বলা যাবে না কেন এই প্রশ্ন রইলো আমার। কেউ যদি নিক নিয়ে বেলেল্লাপানা করেন, এবং নির্বুদ্ধিতার সাথে করেন যার ফলে বারবার সেই অসৎ প্রচেষ্টা ধরা পড়ে যায়, সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী, মডারেটরদের দোষারোপ করা? মানের প্রশ্নে এই লেখকের কোনো লেখাই ছাপার যোগ্য নয়, কিন্তু নীতির প্রশ্নে মডারেটরদের ত্রুটি আমার চোখে পড়লো না।
সব কিছুর যুক্তি তুমি একাই খুঁজে পেলে তো তোমাকে মূলত পাঠক যুক্তিবাদী বলা শুরু করতে হবে
আমি যুক্তি খুঁজে না পেয়েই তো জানতে চাই, কেউ দেখে থাকলে দেখান।
দেখালেও দেখবো না এমন কথা কি বলেছি কখনো, বা কোনো প্রিসিডেন্স রেখেছি এই জাতীয়?
৫টা ১ দেখে পোস্টে ঢুকলাম। পোস্ট না পড়ে মন্তব্য পড়লাম। আমি এমনিতে স্বাধীন ভাইয়ের (সচল স্বাধীন না, আমারব্লগের কামরুজ্জামান স্বাধীন) অটোরম্য দেশসচেতন অতিশুদ্ধ ভাষায় লেখা পোস্টের ভক্ত। কিন্তু ১ তারা পোস্ট পাবলিশ না করাই ভালো। মডারেশন পার হওয়ার পর লেখা নিয়ে কটাক্ষের স্বীকার হওয়াটা যে লেখে তার জন্যও বেদনার, যে পড়ে তার জন্যও যন্ত্রণার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এত এত কথা পইড়া কি কমু কিছুই বুঝতাছি না। মুখ ফইস্কা কি বাইরইতে কি বাইরয়; আমিও নতুন যে!!!
মহসীন রেজা
আরে ভাই, যা খুশি কন...। আপনে এইরাম রবার্ট ব্রুস নাই হইলেই হয়...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
নতুন মন্তব্য করুন