সাক্ষাৎকার সাই মিং লিয়ং
অনুবাদ –শুভাশীষ দাশ
পরিচিতি
সাই মিং-লিয়ং (Tsai Ming-Liang) তাইওয়ানের ‘সেকেন্ড নিউ ওয়েভ’ পরিচালক।মালয়েশিয়ায় জন্ম, পরে বেড়ে ওঠা তাইপে শহরে।পড়াশোনা চলচ্চিত্র বিষয়ে।নয়টা সিনেমা বানিয়েছেন।সাথে কিছু টেলিফিল্ম।Rebels of Neon God দিয়ে ১৯৯২ সালে চলচ্চিত্রে আসেন।অভিনেতা লি কেং-সেং (Lee Kang-sheng) কে নিয়ে সেই থেকে সাই মিংয়ের শুরু।তাঁর পরের সব সিনেমায় লি অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে মানুষের একাকীত্ব ফুটিয়ে তোলায় সাই মিংয়ের জুড়ি নেই।সহজ সরল জীবনের গল্প করেন তিনি।চলচ্চিত্রে সাইয়ের ভাষা একেবারে নিজের।সবাক যুগে কথা না বলে ছবি বানানোর জেহাদে রত । নগরজীবন মানুষকে কোথায় নিয়া গেছে – সাই খুঁজেপেতে আমাদের দেখান। Good bye ,Dragon Inn ছবিতে ৪৫ মিনিট কোন ডায়লগ নাই।নানান এক্সপেরিমেন্ট খাটান নিজের মতো করে।৬০-৭০ দশকের পুরানা চীনা সংগীতকে জনপ্রিয় করার জন্য তাঁর ছবিতে দেদার ব্যবহার করছেন।তাঁর ছবি I Don’t Want to Sleep Alone মালয়েশিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়।পরে কিছু অংশ সেন্সর করে মুক্তি পায়।তাঁর সাম্প্রতিক ছবি Face , ২০০৯ সালে কানে গোল্ডেন পামের জন্য মনোনীত।’৯৪ সালে Vive L’Amour য়ের জন্য গোল্ডেন লায়ন পেয়েছেন।’৯৭ ও ২০০৫ সালে Berlin ফিল্ম ফেস্টিভলে পেয়েছেন যথাক্রমে জুরি পুরস্কার ও সিলভার বিয়ার।’৯৮ সালে The Hole য়ের জন্য কানে প্রাপ্তি FIPRESCI পুরস্কার। প্রথম ছবি Rebels of the Neon God তাইপে’র ছন্নছাড়া তরুণদের নিয়ে।দ্বিতীয় ছবি Vive L'Amour য়ে একটা খালি এপার্টমেন্টে তিনজনের অবৈধভাবে ঢুকে থেকে যাবার কাহিনী। পরের ছবি The River; বিষয় নায়ক কেং-সেংয়ের ঘাড় ব্যথা কোনমতেই সারে না।এই নিয়েই গল্প । পরের ছবি একটি মিউজিকাল। The Hole । এর পরে What Time is it There? ছবিতে কেং-সেং ওভারব্রীজে দাঁড়িয়ে ঘড়ি বেচে।দেখা হয় ক্রেতা চেনের সাথে। নিজেদের অগোচরে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক হয়। পরের ছবি The Wayward Cloud; কেং-সেং আর চেনের মধ্যে সম্পর্ক দানা বাঁধে।এর মাঝে সাই একটা ছোটদৈর্ঘ্য ছবি বানান। The Skywalk is Gone ; সেখানে দেখানো হয়- চেন দেখে ওভারব্রীজটা সেই জায়গায় নেই।সে ব্রীজটা খুঁজে বেড়াতে থাকে। THE EVENING CLASS সাক্ষাৎকারটি নেন মাইকেল গুলেইন।
সাই মিং-লিয়ং এর সাথে আমার মোলাকাত হয় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। দুপুরের খাওয়ার টুংটাং চলছিল চারপাশে।আমাদের দুজনের চুলের বাহার একরকমের।আমরা প্রচুর কথা বলি।এখানে তার কিছু তুলে ধরছি।
মাইকেল গুলেইন : তুমি বললা I Don’t Want to Sleep Alone তোমারে বেশ শান্তি দিছে।ঘটনাটা বলবা?
সাই মিং-লিয়ং : আমি যখন কোনো সমস্যা কিনারা করতে পারি না সেটার সুরাহা করতে বসে সিনেমা বানানো ধরি।এতে মাঝে মাঝে কিছু কষ্ট কমে।আমার বাবা যখন মারা যান, আমি মরে যাবার ভয় পেতে থাকি।তখন আমি What time is it there? বানাই।বাবার মারা যাবার ঘটনা সেখানে আছে। মরণের ভয় এতে আমার পুরা কাটে নাই,কিন্তু মোকাবিলা করার মত কামেল হয়েছি।আমার পরিবারের সবার মধ্যে টান বেড়ে গেছে। I Don’t Want to Sleep Alone বানানোর সময় আমি অসাধারণ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছি।ছবির এক জায়গায় সাইও কাং-কে যখন রাওয়াং দেখাশোনা করছিল-ব্যাপারটা আমি ভেতর থেকে অনুভব করেছিলাম।
মাইকেল গুলেইন : মালয়েশিয়ায় করা এটা তোমার প্রথম সিনেমা।বিষয়টা তোমার কাছে...
সাই মিং-লিয়ং : ভূমিকা অনেক বিশাল। আমার কাছে সব সিনেমা সমান গুরুত্বের।সিনেমা বানাতে গিয়ে আমার কাছে মনে হয় –জীবনের একটা চক্রের মধ্যে ঘুরছি।জীবনের টুকরা টুকরা ঘটনা ফিরে ফিরে আসে;হাতড়ে খোঁজার দরকার পরে না।কেন আমি মালয়েশিয়া গেলাম ?আমার জন্ম সেখানে ,বড়ো হয়েছি সেখানে।তাই মনের দিক থেকে একটা টান তো আছেই।আমি কখনো ভাবি নাই সেখানে ফিরে যাবো।কেন জানি হয়ে গেছে।মনে হলো মালয়েশিয়া আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। Good bye, Dragon Inn বানাতে গিয়ে সেই সিনেমা-হল যেমন আমাকে টেনে নিয়ে গেছে অনেকটা সেই রকম। আমি সেখানে ছবি না বানালে হলটাই থাকতো না।আমার সব ছবি আমাকে নিয়ে-আমার জীবনের সব ঘটনা,আমার পছন্দের গান,বাড়িঘর- সবকিছুই আমার পছন্দের ।
মাইকেল গুলেইন : দেখাশোনা করার ব্যাপারটাতে ফিরে যাই- সাইও কাং কে যখন রাওয়াং সেবা করছিল; আমার জীবনে সেই ঘটনা আছে।আমার সাথে যে ১২ বছর ছিল, এইডসে সে মারা যায়।তার জীবনের শেষ দিন গুলাতে আমি তার সেবা করেছিলাম।তাকে পরিষ্কার করাতাম,ভয় পেলে পাশে গিয়ে শুয়ে থাকতাম-ভালবেসেই করতাম।সহজ কিন্তু গভীর এসব বিষয় সিনেমাতে আনার জন্য আমি তোমার এত ভক্ত।
সাই মিং-লিয়ং: আমি সেই ভরসাতেই ছবি বানাই-জীবনের ছোট ঘটনাগুলারে এতো ডিটেইলে দেখাই।অন্য কারো সিনেমাতে তুমি এসব পাবা না।সিনেমা মানেই এখন গল্প।গল্পের কারিশমাতে মোহিত করে দিতে চাইবে।সারা জীবন আর কতো গল্প শুনবো? জীবনের বেশির ভাগ কাটে না বলার মতো ঘটনাতে। আমি এগুলা ফুটায়ে তুলতে চাই।তাই আমার ছবি বেশ গুরুত্বের। সাধারণ না বোদ্ধা লোকে আমার সিনেমা দেখবে আমি তা নিয়ে ভাবি না, ছবিটা আমার কাছে কত গুরুত্বের তাই মুখ্য।লোকে আমার ছবি দেখতে গিয়ে ঘুমাতে পারে-আমি যেমন কুংফু সিনেমা দেখতে গেলে ঘুমাই।গত বছর দেখা গেল আমার সিনেমা দেখতে কেউ যায় না- এই বছর প্রায় দেড় লাখ লোক আমার সিনেমা দেখেছে।
মাইকেল গুলেইন : এভাবে পাল্টাইলো কেমনে?
সাই মিং-লিয়ং: (হেসে) আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি (হেসে)২০০১ সালের আগে খুব কম লোক তাইওয়ানের ছবি দেখত।সবাই দেখত হলিউডের ছবি।আস্তে আস্তে অন্য সিনেমার প্রতি মানুষের আগ্রহ আসল।তবে রুচি ব্যাপক পাল্টানো যায় নি-সময় তো দিতে হবে।রাতারাতি আমার ছবি দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ার কোন কারণ নেই।লোকজনকে বোঝানোর দ্বায়িত্ব আমি নিজে নিলাম।২০০১ সালে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের ছবির টিকেট নিজেই বেচা আরম্ভ করলাম,(হেসে) মজার ব্যাপার- ৫ জনের কাছে আমি ৩০০ টিকেট বিক্রি করে ফেললাম।পুরো দ্বীপ আমি ঘুরেছি,বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে সেমিনার করেছি।তারপর ভোল পাল্টালো।ধরে ঝাঁকি না দিলে কিছু হবে না।
মাইকেল গুলেইন : নিজেকে তুমি স্ব-ঘরানার পরিচালক বলবা?
সাই মিং-লিয়েং : আমি নিজেকে ভাবি স্বাভাবিক একজন লোক।বুঝি না দুনিয়াতে মারদাঙ্গার ছবি এত বেশি কেন?
মাইকেল গুলেইন : এক সাক্ষাৎকারে বলেছ- টাফুর 400 Blows তোমার খুব পছন্দের। সিনেমাটা টাফুর স্ব-ঘরানার,সেজন্য কি?
সাই মিং-লিয়ং: আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প পুরা হলিউড দ্বারা প্রভাবিত।ছোটবেলা থেকে আমি দেখে আসছি।ইউরোপীয় কিশোরদের আমার হিংসা হয়-ওরা নানা ঘরানার ছবি দেখছে – আমার সে সুযোগ ছিল না।
মাইকেল গুলেইন : I Don’t Want to Sleep Alone দেখে আমার মিলান কুন্দেরার The Unbearable Lightness of Being উপন্যাসের এক জায়গার কথা মনে পড়ছে-ভালবাসার লোকের সাথে শুয়ে থাকা যায়,সংগম করা হয় না। তোমার সিনেমা দেখে আমি তাই বুঝলাম আবারো।
সাই মিং-লিয়ং: তোমার মন্তব্যে আমি মজা পাচ্ছি।সেক্সকে আমরা বেশি পাত্তা দেই।কারো সাথে নিজেকে জড়ানোর প্রথম দিকে আমরা যেভাবে সেক্স করি আস্তে আস্তে আগ্রহ কমে।আদৌ কোন ভালবাসা অবশিষ্ট আছে কিনা ভাবতে থাকি।
মাইকেল গুলেইন : তোমার সিনেমাতে দেখা যায়- ভালবাসার জন্য সেক্স একমাত্র নয় ,আরো অনেক ব্যাপার আছে।
সাই মিং-লিয়ং: শাস্ত্রে আছে- নানা মানুষের সাথে নানান ভাবে তোমার টান থাকবে।ঘটনা বা ভাগ্যক্রমে নানান কিছুতে মানুষ জড়িয়ে পড়ে।কিছু জায়গায় ভালবাসার চেয়ে বেশি ঘটে যায়।যৌবনে সবাই ভালবাসতে ছুটি-বুড়োলে বুঝি-আরো অনেক কিছু আছে।
মাইকেল গুলেইন : তারপরেও তোমার সিনেমায় সেক্স বেশ ঘটা করে থাকে।কেন?
সাই মিং-লিয়েং : চীনে ব্যাপারটায় মানুষের আগ্রহ সীমাহীন।ভুল বুঝে অথবা না বুঝে।তাই আমার সিনেমাতে এসে যায়।
মাইকেল গুলেইন : আমেরিকাতে সেক্সে সব বিকোয়।তবে আমরা চীনাদের থেকে বেশি বুঝি তা নয়। I Don’t Want to Sleep Alone এর শেষ দৃশ্য- দুজন ছেলে একজন মেয়ে নোংরা কালো পানিতে বিছানায় শুয়ে ভেসে যাচ্ছে ,সাথে মোজার্টের বাজনা।বুঝাবা একটু?
সাই মিং-লিয়ং: মোজার্টকে নিয়ে আমার বেশি কিছু করার ইচ্ছে ছিল না।
মাইকেল গুলেইন : এমনিতে জানতে চাইছি।
সাই মিং-লিয়ং: হালকা কোন যোগাযোগ হয়তো আছে- মোজার্ট ভবঘুরে ছিলেন।মারা গেছেন ফকির অবস্থায়।
মাইকেল গুলেইন : তোমার সিনেমা পুরা বোঝার মত আমি কামেল না। প্রত্যেক সিনেমায় পানি নিয়ে সমস্যার ঘটনা এসে গেছে।নোংরা পানির কোনো মানে নিশ্চয় আছে।
সাই মিং-লিয়ং: ছবিটার সাউন্ডট্রেকে ময়লা পানি নিয়ে গান আছে।এই পানি উস্কে দিচ্ছে পুরানা স্মৃতি। সাইও কাং আর রাওয়াং পানির দিকে তাকিয়ে ভাবছিল তাদের আগের কথা।হয়তো এমন ঘটনা যার ভেতরে দুজনেই গেছে।তাদের শুরু এক জায়গায় নয় -ভাষা ও বোঝে না কেউ কারো-কিন্তু দেখ শেষে একই পরিণতি।
মাইকেল গুলেইন : আমার মতে তুমি লং টেকের গুরু।হিচককের Rope য়ের মত অতো লং টেকের কথা কখনো ভেবেছ?
সাই মিং-লিয়ং: এই ধরনের ইচ্ছা আমার নাই। আমার নিজের একটা এক্সপেরিমেন্ট আছে- লি কেং-সেং আমার প্রতি ছবিতে থাকবে। নানান পরিস্থিতির মাঝে তার গড়ে উঠা, বেড়ে উঠা আমি ক্যামেরায় ধরে রাখতে চাই।
মাইকেল গুলেইন : ছবিতে সেং য়ের শারীরিক গড়ন বদলে যাওয়া তুমি দেখাচ্ছো।নরমান অতুন তোমার নতুন আবিস্কার।পরে আরো সিনেমায় ওকে নিবা?
সাই মিং-লিয়েং : হ্যাঁ।
মাইকেল গুলেইন : ওরে পাইলা কিভাবে?
সাই মিং-লিয়ং : মালয়েশিয়ার ছেলে।রাস্তায় কেক বেচতো।
মাইকেল গুলেইন : তারে টাকাপয়সা কেমন দিছো?
সাই মিং-লিয়ং: (হেসে) বেশ ভালই দিছি।
মাইকেল গুলেইন : সিনেমায় ওর মন ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনাটায় তার অভিনয় বেশ ভালো...
সাই মিং-লিয়ং: হ্যাঁ । সে উপভোগ করেছে শুটিং।ভাল শিখছে।
মাইকেল গুলেইন : সিনেম্যাটোগ্রাফার লিও পেন-জাং তোমার সাথে একনাগাড়ে কাজ করছে।ওকে দিয়ে সামনেও কাজ করাবা?
সাই মিং-লিয়ং : লিও আমার বেশ পছন্দের। আগে বাণিজ্যিক ছবিতে কাজ করতো, কেন জানি আমার সাথে থেকে গেছে। আমি ভাবি-অনেক কলমের মাঝ থেকে একটা কলমকে বেছে নেয়া যা দিয়ে লিখতে আরাম লাগবে।পরে সারাজীবন সাথে রাখতে চাইবা।
মাইকেল গুলেইন : ভাঙ্গাচোরা বিল্ডিংয়ের আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে ওর হাতের কাজ অনেক ভাল। I Don’t Want to Sleep Alone য়ের এক দৃশ্যে কাঁধের উপর প্রজাপতি উড়ে এসে বসার টেক অসাধারণ। একটু ব্যাখ্যা করবা।
সাই মিং-লিয়ং: আমি নিজে ও বুঝে উঠতে পারি নাই আমি কি ক্যামেরায় বন্দী করছি।পরে বুঝে উঠলাম। শটটা আমার ছবিকে বেশ আলাদা মাত্রা দিয়েছে।
মাইকেল গুলেইন : এতো সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।আমি তোমার সিনেমার একজন অন্ধভক্ত।
সাই মিং-লিয়ং: ধন্যবাদ।
মন্তব্য
কোথাও কোন লিঙ্ক আছে কি উনার সিনেমার?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
Tsai Ming-Liang দিয়ে mininova.org তে সার্চ দিলে পাওয়া যাবে। thepiratebay.org তে ও পাবেন।
The Skywalk is gone পাওয়া যায় য়্যুটিউবে। ২ ভাগে।
http://www.youtube.com/watch?v=j7wooaJCooo
http://www.youtube.com/watch?v=kyLl7xksJW4
শুভাশীষ দাশ
শুভাশীষদা,
অনুবাদের মূল সূত্র দিলে ভাল লাগতো। সাক্ষাতকারের আবেদন কম আমার কাছে, তার চেয়ে কোন বিখ্যাত বা কুখ্যাত ছোট গল্পের অনুবাদ পেলে মনে হয় আরও পাঠকপ্রিয় হত্ লেখাটা
দাদা সাফি,
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মূলটা এখানে আছে। আর আমি একটু ছোট কয়রে সহজ কয়রে লিখছি।
সাক্ষাৎকারটা বেহুদা মাইর খায়ছে। তাই ভোল পাল্টায়ছি। সিনেমা নিয়া আমার মনের ভেতরের বাৎচিতগুলা ইদানীং সচলে দিতাছি। সচল গোত্রপিতা ছায়পা ও যায়তাছেন।
দেখা যাউক, দু চার জনরে চার আটখানা সিনেমা দ্যাখাতে পারলে অধম খুশি হয়বেক।
সেলাম।
শুভাশীষ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন