১। আমিঃ
"কেমন জানি খুশি খুশি লাগতেছে! কিছুক্ষন আগেই গার্লফ্রেন্ড এর কাছে ঝারি খাইলাম। ভার্সিটি থেকে আসছি অনেকখন হয়ে গেসে কিন্ত ওকে একবারো ফোন দেই নাই। ইহজগৎ এর সবচাইতে বড় পাপ। ওর ফোন টা ধরার ত্রিশ সেকেন্ড এর মধ্যেই আমার গুষ্টি উদ্ধার হয়ে গেল। "তোমরা ছেলেরা এই, তোমরা ছেলেরা ওই"। সেই সাথে আরোকিছু সরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের অনুচিত ব্যবহার এর মাধ্যমে শ্রবণ যন্ত্রের উপর নির্মম অত্যাচার এর মিনিট দুই/এক পরে নিজেই রেগে ফোন রেখে দিলো। আজকাল ও খেপে গেলে আগের মতন ভুল করিনা, এখন চুপ থাকি। অবশ্য ঝগড়ার কারনে লেখার একটা নতুন থিম (Theme) পাইসি। অবশ্য মনে হয় লাভ নাই, আগের অনেক লেখার মতন এইটাও মনে হয় "ঘ্যাচাং" হয়ে যাবে।"
"অধিকাংশ মেয়েদের মতে, ইহজগৎ এর সবচাইতে ভয়ংকর প্রানী হচ্ছি আমরা ছেলেরা, যাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে এই ধরণীর নানা প্রান্তে থাকা মেয়েদের সাথে দুইনম্বুরী করা। এদের সারাদিন কাটে মেয়েদের ধোকা দেয়ার নিত্যনতুন কলাকৌশল আবিষ্কারে। এরা হচ্ছে পোষ না মানা টিয়াপাখির মতন, দরজা খোলা পেলেই হল, টিকিটির ও দেখা পাওয়া যাবেনা। মেয়েদের জ়ীবনের অধিকাংশ সময় কেটে যায় এই পোষ না মানা পাখিটিকে পোষ মানানোর নানা আয়োজনে। এর পিছনে বেশিরভাগেরই উদ্দেশ্য নেহায়েত ভালবাসা ছাড়া কিছুই না, তবে এই পোষ মানানোর অন্যায্য আয়োজনে অনেক টিয়াপাখিই তার সৌন্দর্য্য হারায়, এটা তারা বোঝেনা। অধিকাংশই সেই অসুন্দর পাখিটিকে নিয়েই খুশি থাকে, কারন সুন্দর পাখিটিকে তারা কখনো দেখেইনি।"
"আমরাই বা ভাল কিসে? শুধু মুখে মুখে বড় বড় বুলি আওড়ালেই তো হবেনা, কাজে কর্মেও তার প্রতিফলন থাকতে হবে। রাস্তায় চলার সময় সুযোগ সন্ধানী দুচোখ সুযোগ পেলেই চলে যায় কোন সুন্দরীর অপার সৌন্দর্য্যের পিছে। শপিং এ সুন্দরী সেলস গার্ল আছে এমন দোকানে কিভাবে যেন বেশী সময় ব্যয় করে ফেলি। পাশের রিকশার মেয়েটিকে দেখার জন্যে গলাটা কিভাবে যেন নিজে থেকেই লম্বা হয়ে যায়। বিলবোর্ড এর মডেল কন্যাটির উপর থেকে যেন চোখই সরতে চায়না। প্রথম কিছুদিন যাবার পরেই নিজের ভালবাসার মানুষটিকে ছাড়া আর সবার প্রতিই খেয়াল থাকে। নাহ!! সব দোষ ওদের উপর চাপিয়ে দিলেই তো হবেনা। নিজেকেও কিছুটা শুধরাতে হবে।"
"অবশ্য ওরা না শুধরালে আমরা যতই ভাল হই, কোন লাভ নাই। ওদের ভুলটাই বেশি।"
"যাই হোক, দেখি, একটু পরে একটা ফোন দিব। এক ফোনেই সব ঠিক করে ফেলবো।"
২। সেঃ
"ধুর! আবার ওর সাথে ঝগড়া হলো কোন কারন ছাড়াই। কেন যে এমন করি! ছেলেটা সারাদিন খাটনি করে এই মাত্র বাসায় আসল আর আমি কিনা তাকে এত্তগুলো কথা শোনালাম। কিন্ত কিই বা করব, যত ব্যস্তই থাকুক, একটা ফোন তো দিতে পারতো? এরকম গায়ে বাতাস লাগিয়ে কিভাবে চলে ও? সারাদিন ওর ফোন এর অপেক্ষায় থাকি আর ও বাসায় এসে প্রথমেই বসলো ফেসবুক নিয়ে! আমার কথা কি ও কখনো চিন্তাও করেনা? সার্থপর একটা! ছেলেরা এরকমই হয়। মেয়েদের কে খেলনা মনে করে।"
"অবশ্য ওরই বা দোষ কোথায়, এরকম তো ও ছিলনা। প্রথম দিকে তো সারাদিনই ফোন দিত। আমিই ওকে বেশী জালাই অনেক, এজন্যেই এখন এরকম হয়ে গেছে মনে হয়। আগে ঝগড়া করলে ও অনেক কৈফিয়ত দিত, ইদানিং কেমন চুপ করে থাকে। কি যে হল ছেলেটার!"
"আমি জানি ও অন্য দশটা ছেলের মতন না। অনেক অন্যরকম। আসলে অনেক ব্যস্ত থাকে তো, তাই মনে হয় ঠিকমত সময় দিতে পারেনা। আচ্ছা! ও কি নিয়ে এত ব্যস্ত থাকে? ছিঃ ছিঃ কি চিন্তা করছি! আমি জানি ও এরকম না।"
"ও এখন কি করছে? আমার কথা চিন্তা করছে নিশ্চই। নাকি আবার ফেসবুক এ গিয়ে বসেছে? আজকাল কোথায় জানি কিসব লেখালিখিও করছে বললো। সবকিছুর জন্যেই সময় পায়, খালি আমার জন্যেই ওর কোন সময় নাই।"
"যাই হোক, দেখি নিজে থেকে আমাকে ফোন দেয় নাকি। একটু নরম হয়ে কথা বলবো।"
- শূন্য
মন্তব্য
বিয়া কবে? দাওয়াত দিবা কিন্তু।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
অবশ্যি...!! দোয়া কইরো।
প্যাঁচ লেগে গেল
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ভাই, এক লেখা পইড়াই প্যাঁচ খায়া গেলেন। আমি অবশ্যি ৩ বছরে প্যাঁচ এক্সপার্ট হয়া গেসি!!
- শূন্য
বেশী দেরী কইরেন না। শুভ কাজে নাকি দেরী করতে নেই।
লেখা পড়ে মজা পাইলাম।
স্বপ্নদ্রোহ
হোমো ইরেক্টাসের আমলে পৃথিবীটা খুব ভাল ছিল । ছেলেরা তখনো পুরুষ ছিল । গ্রেট মাইগ্রেশনের পথ ধরে এগিয়ে যেত নতুন মহাদেশের পথে । স্থায়ী আবাসন শুরু করার পর থেকেই এইসব ঘাপলা শুরু হল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
জাস্পিং জোহোস্ফ্যাট!
----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।
- ললিতবিস্তর
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বলতে চান কি? সব হোমো ছিলো?
পরের শব্দটা নিয়েও বলার ছিলো, কিন্তু থাক।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিরেখার অ্যাকাউন্ট হ্যাক অথবা শব্দচাবি চুরি হয়েছে মনে হচ্ছে । যে চুরি করেছে, সে শুধু চুরিটাই পারে । তুলিরেখার মত জ্ঞানের গভীরতা নাই । এইটা পড়েন, একটু জ্ঞান হবে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভালো লাগল। কিন্তু মেয়েরা কিবা করবে আগে যদি মনে করে ছেলেরা মিথ্যে বলে সেই ফাঁদে কখন তারাও পরে। একটা গপ্প বলি এই ফাঁকে-
"এক রাত সোহাগীর পেপসী পানের সাধ জাগল। সোহাগীর স্বামী পেপসীর জন্য নিচে নামল। নিচে দোকানে দেখা হল এক সুন্দরীর সাথে। কথায় কথায় সেই সুন্দরীর সাথে তার ড্রইং রুমে। তারপর প্রায় সাড়া রাত। হঠাৎ কানে বাজল সেই সুর- 'আমি পেপসি খাব।' সম্বিত ফিরে পেয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় ম্লান মুখে সুন্দরীকে বলল আমি তো আমার বৌয়ের জন্য পেপসি নেয়ার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। এখন কি হবে?
সুন্দরী তাকে বলল- দাঁড়াও। তারপর ফিরে এসে তার দুই হাতে পাউডার ঢেলে দিল এবং বলল- যা যা হয়েছে বৌকে গিয়ে তাই বলবে।
বাড়ী ফিরে বৌকে সব খুলে বলল। রাগে গজগজ করতে থাকা বৌ শান্ত ভাবে বলল- আমি জানতাম তুমি পাড়ার দোকানে ক্যারাম খেলছিলা, চল ঘুমাই।"
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
হিহি...! মজা পাইলাম!! Honesty is the best policy...বাংলা টা লিখতে গিয়া দেখলাম বানান টা অনেক কঠিন...
- শূন্য
দারুণ লাগল বস-----
আরো আসতে থাকুক--!!
ধন্যবা্দ...!!
- শূন্য
হা হা .. তবু তো রাগের কারণটা বলে। আপনি তাও বেঁচে গেছেন । আমি সাধারণত "কি হইসে? - কিছুনা" মুডে চলে যাই। যতদূর বুঝেছি এইটা সেইরকম কাজ দেয়
ঠিক বলেছেন, ওইটাও মাঝে মাঝে দারুণ কাজে দেয়...!
- শূন্য
মজা পাইলাম। শুভকামনা রইলো।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
- ফোন দিয়েন্না। ধুমায়া ফেসবুকিং করেন আর ব্লগান। ফি আমানিল্লাহ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাই, হার শেষ পর্যন্ত ছেলেদেরকেই মানতে হয়, নাইলে কেয়ামত ঘনায় আশার চান্স বেড়ে যায়...!
- শূন্য
বাহ্ ভালোই তো স্টাডি করতে পারেন আপনি দুই জাতিকে! লেখা মজা লাগলো।
তা, বেচারীকে আর অপেক্ষায় না রেখে ফোনটি আপনিই দিয়ে দিন না..... আফটার অল, ভালোবাসা হইলো দুজনার মাঝে ভালোবাসাবাসির প্রতিযোগীতা
আপু, দেখে শিখতে না পেরে ঠেকে শিখে গেছি...!!
- শূন্য
হাঃহাঃহাঃ ,,মজা পেলাম...যুগলের জন্য শুভ কামনা ! *তিথীডোর
ভাল লাগল লেখাটা পড়ে..........তবে বোধ হয় বেশি মজা পেলাম অম্লান অভি ভাইয়ের জোকসটা পড়ে ........চালায়ে যান
দেরি করার জন্যে দুঃখিত, রাতে বাইরে ছিলাম, লেখা ছাপা হইসে এইটাই দেখি নাই, লোল!! সবাইকে মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। ইনশাল্লাহ দোয়া রাইখেন, সামনেই শুভ কাজ সেরে ফেলব ভাবতেসি
- শূন্য
এক্কেরে আমার মনের কথা !!!
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ভালো লাগলো।
..................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
পোলাগো কথা যা কইস... হাসা কইস...
মাইয়াগোটা কি কইলা না কইলা, ভুল না ঠিক, কইবার পারুম না। হেগোরে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ বুঝব নাহি সন্দেহ আছে।
মনজুর এলাহী
নতুন মন্তব্য করুন