একটা সময় ছিল- সারাক্ষন ভাইবোনেরা মিলে কিচিরমিচির করতাম। এত এত ভাইবোন আর কাজিনদের মাঝে একা একা লাগার কোনো সুযোগই ছিল না। আর বন্ধুরা তো ছিলই। খোঁচাখুচি, মারামারি তো ডেইলি রুটিন এর অংশ ছিল। তবে আর সবার মতই গালাগালি থেকে তা গলাগলি তে আসতেও বেশি সময় নিত না। এইভাবেই স্কুল-কলেজের দিনগুলো কেটে গেল। এরপর থেকে বাসার বাইরে। আস্তে আস্তে নিয়ম করে করা অভিযোগ গুলোর সংখ্যা কমতে লাগলো। আর সেই শূণ্যস্হানটা খুব তাড়াতাড়ি অভিমান দখল করে নিল। মা-খালারা এটাকে আমার বড় হবার লক্ষণ ভেবে আনন্দিত হলো। অথচ আমি কিনা বয়সের ব্যস্তানুপাতে ছোট হচ্ছিলাম। তাই বলে এই না যে- আমি একাকী ছিলাম। হলজীবনের আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া- আমার বন্ধুরা। আর মন খারাপ থাকলে তো কথাই নাই......এক আধটুকু কান্নাকাটি প্রশ্রয় সহ সহ্য না করলে বন্ধুরা আছে কোন দিনের জন্য ।
এভাবেই আরেকটু বড় হলাম, মানে হলের জীবনও ফুরিয়ে গেল। বন্ধুরা সবাই ছরিয়ে ছিটিয়ে গেল। আমি নিজেও দেশছাড়া। ব্যস্তদিনগুলো কোনোরকম অনুভূতিছাড়াই কেটে যাচ্ছিল। হঠাৎকরেই খেয়াল করলাম কী ভীষণ একা হয়ে গেছি। ভাইবোনদের সাথে নিয়মিত কথা হলেও দীর্ঘ অনভ্যাসে কষ্টগুলো ভাগাভাগি করে নিতে পারি না। আর বন্ধুরাও তাদের চাকরি/ পড়াশুনা/ সংসার নিয়ে ব্যস্ত। তারপরেও যোগাযোগ আছে। তবে আগের মত করে আর জ্বালাতন করতে পারিনা। না, এটা বন্ধুত্বের দুরত্ব না। তবে মনে হচ্ছে সেই দিকেই যাচ্ছি ।
অপ্রয়োজনীয় কতগুলো আবরণে ঢাঁকা নিজেকে আজকাল অচেনা লাগে। একসময়ের বকবক করা আমি আজকাল অকারণেই মন খারপ করে রাখি। খুঁজে খুঁজে মন খারাপের উপাদানগুলো সামনে আনি। না পেলেও অসুবিধা নাই.......দুঃখবিলাসীদের আবার কারণ দরকার হয় না কি? পাত্তা পাবার জন্য আশেপাশে তাকাই.... কিন্তু পাত্তা দেয়ার বন্ধুরা আজ পাশে নাই। শেষপর্যন্ত কাওকে না পেয়ে ভাবলাম- প্রায় দুইবছরের একতরফা বন্ধু সচলের কাছে একটু আহাল্লাদিপণা করি। তবে এইবেলা বলে রাখছি, এইজাতীয় কান্নাকাটি কে প্রশ্রয় দেয়াটা খুবই রিস্কি ।
অচেনা আমি
মন্তব্য
হা হা.. এত দ্রুত বড় হয়ে গেলেন! (লেখার মধ্যে বড় হওয়া বোঝাচ্ছি)
আরেকটু আস্তে ধীরে বড় হলে লেখাটাও বড় হতো পারতো।
না না......বাস্তবে কিন্তু আমি এখনও পিচ্চি , বড়রা কি কান্নাকাটি করে!
লেখার হাত আর কীবোর্ডের হাত দু'টোই আনাড়ি কিনা, তাই এই তাড়াহুড়া :p। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো।
ভাল্লেগেছে। কান্নাকাটি চলুক!
এ দেখি পাগলকে সাঁকো নাড়াতে বললেন :D।
ভাল্লেগেছে জেনে ভাল্লাগল।
- আসেন গান শুনি। প্রথমে শুনেন এইটা ।
শোনা হইলে এবার শুনেন এই অরিজিনাল ভার্সনটা।
আর হ্যাঁ, সচলে লিখতে থাকেন হাত পা ঝেড়ে। এর সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শুরু করে ফেলেন। একাকিত্ব দূর হয়ে যাবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বস আপনি পারেন ও।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আরে এএএএ........ধুগোদা যে...
পড়া ও কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ
এটা কি আপনি বানিয়েছেন?
জিনিয়াস ম্যান!
রশনুভা ভাইয়া আর মৃত্তিকা আপুকেও পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এটা কি ধুগো প্রোডাকশন রুম থেকে বের হয়েছে?
অচেনা আমি ভাই মনটাতো খারাপ কইরা দিলেন।
মহসীন রেজা
বস, আপনের কমেন্ট পইড়া তো আমার দাঁত বন্ধ হইতাছেনা, এই পরথম কেউ আমারে ভাই কইয়া ডাকলো :D।
এক পক্ষীয় সম্পর্কটা দ্বিপক্ষীয় করে ফেলুন না...অনেক ভালো লাগবে আশা করি। যখন যে অবস্থায় আছেন সেখানেই নিজেকে মানিয়ে নিন। দুঃখবিলাস ফিলাস বাদ দেন।
/
ভণ্ড_মানব
ধন্যবাদ। একটা কথা কি জানেন-আপনাদের (অতিথি লেখকদের) দেখেই কিন্তু সাহস করে লিখে ফেললাম। তো আগামিতেও সাহস দেবার জন্য দু'হাতে লিখতে থাকুন।
আপনার কান্নাকাটি বহাল থাকুক!
..................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
, ধন্যবাদ পান্থ ভাইয়া।
অচেনা আমি নিকটা কেন যেন চেনা চেনা লাগছে
লেখা চালিয়ে যান
নিকটা চেনা চেনা লাগছে, বলেন কি?
উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ।
লেখার প্রশংসা তেমন করতে পারছি না, তবে কি না প্রথমেই দুর্দান্ত কিছু লেখা আশা করাটা অনুচিত। লিখুন, পড়ে দেখুন এই জাতীয় লেখা অন্যে লিখলে আপনার পড়ে কেমন লাগতো, পাঠক হিসেবে কোথায় কোথায় অন্যরকম হলে আপনার ভালো লাগতো। সেই মতো বদলটদল করে তারপর পোস্টান। লিখতে লিখতে ভালো হবে মান।
পাঠক দাদা, কি যে ভাল লাগছে আপনার মন্তব্য পেয়ে.........অনেকবার আপনার মন্তব্যটা পড়লাম....খুশিতে আমার সবকটা দাঁত দেখা যাচ্ছে। ভালোলাগার প্রকাশটুকু ছাড়া আর কিছুই মাথায় আসছে না।
নতুন মন্তব্য করুন