সকালেই ফিরে এলাম চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রাম। আমার জন্মভূমি। আমার প্রিয় শহর। তেইশ বছরের জীবন, যার বাইশখানাই কেঁটেছে সেই সমুদ্রের কোল ঘেঁষে। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই যে জন্ম নিয়েছিলাম চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে, এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি চট্টগ্রামের স্মৃতি, যদিও অবসরপ্রাপ্ত বাবার সুবাদেই এখন আমাদের বর্তমান ঠিকানা রাজধানী ঢাকা। বাইশ বছরের আনন্দময় জীবন আজ স্মৃতি হয়ে চোখ দুটো শুধু ভারিই করে।
বাসা তখনও চট্টগ্রামে। ঢাকায় ভার্সিটিতে ভর্তির পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ভ্রমণ বরাবরই ট্রেনে করি। যাত্রাপথে কখনোই ঘুম আসতো না। অবশ্যই ধরে বসবেন না যে ট্রেনের অতিরিক্ত শব্দ, জ্বলন্ত টিউব-লাইট অথবা দুলানিতে এই অবস্থা। আসলে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে এতো আনন্দ আর উত্তেজনায় থাকতাম ঘুমের ভাবটাই আসতো না। আবার ফেরার পথ যে চোখ মুছতে মুছতে কখন শেষ হয়ে যেত টেরই পেতাম না। মায়ের আবদারেই নটরডেমে না পড়ে চট্টগ্রাম কলেজে পড়েছিলাম। মা সে সময় বলতো, ‘আরে বাপ, দুই বছর পর তো ঘর ছেড়ে বের হবিই, কলেজটা না হয় বাসায় থেকেই কর।’ প্রথমে একটু হাউকাউ করলেও চট্টগ্রামে কলেজ জীবনের পুরোটাই ছিল উপভোগ্যময়। কলেজে অনিয়মিত যাতায়াত থাকলেও আড্ডার স্পটগুলোতে নিয়মিতই হাজিরা দিতাম। চলতো দিনভর গপ-সপ আর শেষ বিকালে বাড়ি ফেরা। প্রাইভেট পড়তাম পাড়ার স্যারদের কাছেই। স্যারের ভাড়ারুমে এক ঘন্টার পড়ালেখার আগে-পরে চলতো আধা ঘন্টা করে আড্ডা। মেয়েগুলোর সাথে দুষ্টামি-ফাইজলামিও চলতো সমান তালে। আহা, কি দিনগুলোই না ছিল। আজ বুকে খালি হাহাকার আর শূন্যতা।
এখন বাসা মিরপুরে। হর-হামেসাই যাতায়াত। তাই আবেদনটাও বুঝি কমে গেছে। বিড়ির ভগ্-ভগ্ গন্ধ নিয়েই বাসায় ঢুঁকে পরি। মাকে জড়িয়ে ধরতে মন চায়, তাও কেন জানি জড়িয়ে আর ধরা হয় না। কিন্তু মনে পড়ে ভার্সিটির প্রথম দিকে ছুটি পেলেই যখন ট্রেনে চেপে বসতাম, মায়ের দিকে ছুটতাম কতো প্রস্তুতিই না ছিল। সারা রাস্তায় একটা সিগারেটও খেতাম না মাকে জড়িয়ে ধরবো বলে। নিজেকে গ্রামীন ফোনের বিজ্ঞাপনের চঞ্চলের মতো মনে হতো। মোবাইলের মতো দামি কিছু নিয়ে যেতে না পারলেও ভার্সিটি প্রদত্ত হাতখরচের টাকা জমিয়ে কিছু না কিছু নিয়ে যেতাম। আমাকে ঘিরে মায়ের ব্যস্ততা দেখে মনে মনে কি যে আনন্দ পেতাম। আর ঢাকা ফেরার সময় মা-ছেলের প্রতিযোগীতামূলক চক্ষু-স্নান চলতো আধা ঘন্টা ধরে। একসময় দুজনেরই কান্না থামতো, তখন আমি ঢাকায় আর মা চট্টগ্রামে বাসায়। মা কতো কি সঙ্গে করে দিয়ে দিতেন। রুমমেটরা মিলে খেতাম। আর এখন এক দৌড়ে বাসায় চলে যাই। কিন্তু সঙ্গে কিছুই নিয়ে আসা হয় না।
অনেক্ষণ ধরে খালি মা মা করতেছি। একটু চট্টগ্রামের কথা বলি। চট্টগ্রাম আর মা কে আলাদা লাগতো না তেমন। দুটোই ছিল সমান আবেদনময়ী। পুরো শহরটা জুড়েই কেমন অদ্ভুত এক মায়া কাজ করতো। মানুষগুলোকে কেন জানি অনেক আপন মনে হতো। সমুদ্রের অনেক কাছে বাসা ছিল। মন চাইলেই বন্ধুরা মিলে রিক্সায় করে চলে যেতাম সমুদ্রে, পা-টা ভিজিয়ে আসতাম। নিজেদের এলাকাটা মূল শহর থেকে বেশ দূরে হলেও ওখানটাই ছিল আমাদের স্বর্গরাজ্য। রাজার মতোই চলতাম। যখন যেখানে খুশি আড্ডায় বসে যেতাম। শুধু এলাকার আড্ডাগুলোই না, নিউমার্কেট আর জিইসির মোড়ে যে গ্যাদারিংগুলো হতো মনে হলে চোখ ঝাপ্সা হয়ে আসে। জীবনটা যেন সারাজীবন ওভাবেই চলে সেরকম চিন্তা করতাম। কিন্তু ঢাকা আসার পর থেকেই আমার এই মুহূর্তগুলো ফিকে হয়ে আসতে থাকে। আমার মেডিকেল-চুয়েটের দোস্তরা আড্ডা দেয়, আর আমাকে দেয় একটা ফোন। আমার চিৎকার করে আগের মতো ওদের বলতে ইচ্ছা করে, ‘দোস্তরা আমার জন্য দশ মিনিট অপেক্ষা কর, আমি আসতেছি।’ বলা হয়ে ওঠে না সবসময়। ভাব ধরতে হয় আমিও অনেক ভালো আছি, নতুন বন্ধুদের নিয়ে অনেক মজা-মাস্তিতে আছি, মাঝে মাঝে ফেসবুকে জানান দিতে হয় ‘Missing my ctg frnds ’। চট্টগ্রাম ঘুরে আসলাম। অনেকদিন পর সেই প্রিয় আড্ডাগুলোয় আরেকবার অংশ নিলাম। চট্টগ্রামের বদ্-খত্ ভাষার চর্চা আমার কানদুটোকে বহুদিন পর আরাম দিলো, নিজের মুখটাকেও বহুদিন পর অনেক সচল মনে হলো। রাতে একসাথে খেলাম, বন্ধুরা বিদায় দিতে স্টেশন এলো, ট্রেনে উঠতেই এক অজানা শূন্যতা আমাকে ঘিরে ধরলো। এবারের অর্জন বলতে গেলে ওই...বছরের সেরা দুটো দিন কাটিয়ে আসলাম প্রিয় চট্টগ্রামে। আচ্ছা, চট্টগ্রাম ছেড়ে আসতে এতো কষ্ট লাগে কেন?
চট্টগ্রামকে নিয়ে আমার আরেকটা আজিব অথবা হাস্যকর অভিজ্ঞতা হলো আমার শ্বশুর-আব্বা(!)র জামাই নির্বাচনের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামপ্রীতি। তার মতে জামাই হতে হবে ‘জন্ম’ এবং ‘ভিটা-মাটি’সূত্রে চট্টগ্রামের অধিবাসী। আমারে এখন ‘জন্ম’সূত্রে চট্টগ্রামের নাগরিক বলা যেতেও পারে কিন্তু চট্টগ্রামে তো আমার ‘ভিটা-মাটি’ নাই। তাইতো তপুর গানের কথা বউরে শুনাই, ‘তবে ভাবো আবার আরেকবার ভালবাসো কিনা আমাকে...’। বউয়ের সম্মতি, ‘আরে বাসি বাসি’। আর আমিও দাঁতে দাঁত চেপে শ্বশুরের ‘চট্ট-ভূত’ নামানোর পরিকল্পনা করি।
ট্রেন ছাড়ার মিনিট খানেকের মধ্যেই বউয়ের ফোন। তার প্রশ্ন, ‘দুদিন যে ঘুরে গেলা তার কি কি মিস্ করবা?’ আমি বলি, ‘তোমাকে মিস্ করবো, বন্ধুদের মিস্ করবো, তবে কেন জানি মনে হচ্ছে চট্টগ্রামকে অনেক বেশি মিস্ করবো। তোমাদের মিস্ করলে তো একটা ফোন করেই এটা-ওটা বলে মন ভালো করে নেয়া যাবে কিন্তু কখনো কি বলা বে...ওরে চট্টগ্রাম শহর, তুই ভালো থাকিস, তোকে অনেক মিস্ করতেছি।’
/
ভণ্ড_মানব
মন্তব্য
লেখাটা পড়ে মন ছুঁয়ে যায়।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
আপনার মন্তব্যও আমার মন ছুঁয়ে গেলো।
আটঁসাট ঢাকা ভালো লাগে না...চট্টগ্রাম অনেক মিস করি।
আপনার তো আর ঢাকা-চট্টগ্রাম নিয়া চিন্তা করতে হয় না...ভালো থাকবেন।
/
ভণ্ড_মানব
ঢাকা-চট্টগ্রাম না করলেও ঢাকা নিয়ে খুব খুউব চিন্তা করি।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
ইস্...দারুন মিলে গেলো সব !! আমি পড়েছি মহসীন কলেজে, চট্টগ্রাম কলেজের ঠিক মুখোমুখি... যদিও প্রায়শই ঘোষণা দিচ্ছি MBA টা করবো ঢাকায় কিংবা দেশের বাইরে , কিন্তু পরমুহূর্তেই ভাবি..থাকবো কি করে এই শহর ছেড়ে ?? ভালো থাকবেন---*তিথীডোর
মহসীন কলেজেও আমার অনেক দোস্ত ছিল। সবাই একসাথে চকবাজারের জয়নগর আর ফয়জুনে আড্ডা মারতাম। পড়ালেখা করতে তো ঢাকায় আসাই যায়...তবে আমার স্থায়ী নিবাস না থাকায় এখন আর চট্টগ্রামে আসা হয় না। ভালো থাকবেন।
/
ভণ্ড_মানব
আমার বাস বা ট্রেনে মিরসরাই পার হয়ে সীতাকুণ্ডে ঢুকতেই সবসময় মনে হয় "নিজের জায়গায়" এসে পড়েছি এমন একটা অনুভূতি আমি আর কোথাও পাই না; কখনোই না
একটু ভুল বললাম মনে হয়। পাহাড়তলী পার হয়ে শহরে ঢোকার সময় এটা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়।
তানভীর ভাই...চট্টগ্রাম আমি সবসময়ই "নিজের জায়গা" মনে করছি কিন্তু আমার শ্বশুর-আব্বা সেটা বিশ্বাস করলো না।
এখন চট্টগ্রামে একটা চাকরির ধান্ধায় আছি...যদি একটু 'ভিটা-মাটি' জোটে।
/
ভণ্ড_মানব
ভাই ভন্ড, আপ্নেতো বড় সুন্দর লিখেছেন! ভালো লাগ্লো খুবই!
----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।
- ললিতবিস্তর
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুষ্টু আপু...চট্টগ্রাম নিয়ে লেখা এমনিই বের হয়...অনেক আবেগ আর ভালোবাসা অটো কাজ করে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
/
ভণ্ড_মানব
পিচ্চি পাচ্চা পোলাপাইন, দাড়ি-গোফ হইতে পারলো না এখনও বউ বউ শুরু করছে।
চট্টগ্রাম আমিও ভালু পাই। সর্বসাকুল্যে দুই বার গেছিলাম। এর মধ্যে একবার জিসিই মোড়ের পিঠাঘরে সন্ধ্যা বেলা পিঠা খাইতে যায় তো ঐ দোকানের ক্যাশে বসে থাকা মেয়েটারে ব্যাপক পছন্দ করে ফেলছিলাম।
লেখা ভালো হইছে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
রেশনুভাই, বুঝেনই তো যত প্রেম ততো জ্বালা।
চট্টগ্রামে আমার পক্ষ থেকেও দাওয়াত থাকলো..যদিও নিজেই বেইল পাইতেছি না।
লেখা আপনার ভালো লাগবে জানতাম...যে কোন বিরহের গল্পই আপনার ভালো লাগে।
/
ভণ্ড_মানব
আমাকে এখনো এইটা করতে হয়...
স্পার্টাকাস
করে নিশ্চই অনেক আনন্দ পাস...আমি যেমন পাইতাম।
/
ভণ্ড_মানব
ছেলেবেলা, বড়বেলার আদ্ধেকটা মনে করিয়ে দিলেন। জ্ঞান হওয়া থেকে দেখে এসেছি আমাদের বাড়ি সারাক্ষণ অতিথি, আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনায় মুখর! একা হওয়া কাকে বলে বুঝিনি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও তাই, সারারাত -সারাদিন (পড়াশুনো শিকেয় তুলে) আড্ডাবাজি! আর এখন, এখানে মাঝে মাঝে একাকীত্বে দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়......। আপনার লেখা মন ছুঁয়ে গেলো সেই কারণেই!
_______________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ৈশরের স্ৃতি গুলো কেন জানি বাকি জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। চট্টগ্রাম ছাড়া আমিও ভীষণ একা। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন।
/
ভণ্ড_মানব
ঐ সময়টায় আমি ctg collegeএ ছিলাম.আমার শহরের প্রশংসা ভালো লাগলো.
তাই নাকি? ২০০৪-০৫ এ? নামটা বলুন শুনি...স্ৃতি হাতরে কিছু মনে করতে পারি নাকি।
আর আপনিও চট্টগ্রাম শহরের আরেকজন মালিক জেনে ভালো লাগলো।
/
ভণ্ড_মানব
আপনি কে সেটা না জেনে কি করে বলি!বাঁদরামি কম করিনি পুরনো হিসাব মেটাতে হয় যদি!হা হা!ক শাখায় ছিলাম .311 রোলের সেই মেয়েটি!
বাহ, বাহ্ আপনি তো আমারে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করলেন দেখি।
'নক্ষত্র' নামটা আবার ছেলেদের মনে করেছিলাম কিনা।
আমি ছিলাম গ শাখার ৩৮৩(সম্ভবত) রোলের সেই হ্যান্ডসাম ছেলেটি!
/
ভণ্ড_মানব
@রেজোয়ান ভাই : "পিঠাঘর" কিন্তু আমার এক বান্ধবীর স্বোয়ামির... নেক্সটবার আইলে খবর দিয়েন , ডিসকাউন্টে খাওয়ামুনে !
অতিথি ভাই...আমিও ডিসকাউন্ট চাই।
/
ভণ্ড_মানব
ঠিক হ্যায়, "ভাবি"কে নিয়ে চলে আসুন যে কোন দিন...
ভাই সাড়া দেন। এখনই দেন।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
বুঝছি আপনি কেডা।
কবিতা পড়েন; আপনিও বুঝবেন আপনি কে?
জন্ম আমার কৃষ্ণতিথীতে
জীবন শুধু আঁধার কালো।
মরবো আমি শুক্লতিথীতে
কবর জুড়ে অনেক আলো।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আপনার বরাবরই একটু বেশি বুঝার অভ্যাস আর গেলো না।
/
ভণ্ড_মানব
ব্যাটা, বেশি বুঝলেও কিন্তু ঠিকই বুঝি।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
::
লেহা গম হইয়ে বদ্দা
আঁরে লই ন মাতিয়ন বদ্দা...অনরে ধইন্যবাদ।
চট্টগ্রামের ভাষা কেন জানি লিখতে ভালো লাগে না...মুখে বলতেই অনেক শান্তি লাগে।
/
ভণ্ড_মানব
চট্টলায় দু'একবার গেছি এই যা! তবে শহরটি ভালো লেগেছে। আপনার লেখা সুন্দর হৈছে।
...................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
দু'একবার গেছেন...নিশ্চই আরো ক'বার যেচে ইচ্ছা করছে...ঠিক বলিনি পান্থ ভাই?
অনেক ধন্যবাদ ।
/
ভণ্ড_মানব
৫ দিলাম। খুবই ভাল লাগলো। আমার এমন কোন অভিজ্ঞতাই নেই!
এই লেখা তো বেশির ভাগ সচলেরা ক্লিক মাইরাই দেখলো না।
৫ তারা দিয়ে তো ভাই খুশি করে দিলেন।
ঘুরে আসুন একবার চট্টগ্রামে। অনেক ভালো অভিজ্ঞতা হবে।
/
ভণ্ড_মানব
চট্টগ্রাম আমার বাড়ি।আমার ঠিকানা। থাকতাম হাজারি গলিতে। আন্দরকিল্লার আলবেনি দোকানটার পাশের গলি। পাহাড়িকা কিন্ডারগার্টেনে স্কুল কাটিয়ে কলেজিয়েটে তারপর পড়লাম চট্টগ্রাম কলেজে। এরপর ঢাকা চলে আসা।
এডোয়ার্ড সায়ীদের 'শেষ সাক্ষাৎকার' নামের ছবিতে তেনারে শুধানো হল- আপনে এতো কিছু পড়লেন জানলেন কিন্তু ক্রিয়েটিভ কিছু লেখেন নাই কেনো? সায়ীদ কয়ে উঠলেন - হয়তো আমার এক্সায়ল বোধ এর জন্য দায়ী।
আমরা চট্ট পুরনিবাসীরা অত্র এলাকা ছাড়লে এক্সায়ল বোধ ঠেসে ধরে। দেশ ছাড়া লাগে না।
সুস্বাদু আমাদের ডায়ালেক্ট। উয়টি তো বটেই।
আপনার লেখা স্বাদু। লিখতে থাকেন।
শুভাশীষ দাশ
অনেক ধন্যবাদ শুভাশীষ ভাই।
চট্টগ্রাম ছাড়া সবসময় 'দেশ ছাড়া' লাগে না...তবে বেশিরভাগ সময়েই লাগে।
/
ভণ্ড_মানব
চট্টলারে ভালু পাই। যদিও জন্ম/থাকা সূত্রে আমি ঢাকাইয়া, কিন্তু চট্টগ্রামের শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশের সাথে আধুনিকতার সমাবেশ আমার খুবি পছন্দের, দেশে থাকতে ছাত্রাবস্থায় প্রচুর যাও্য়া হয়েছিল, চাকুরি করার সময়েও প্রায় প্রতি দুমাসে একবার হাঁপ ছাড়তে চট্টগ্রাম/রাংগামাটি/বান্দারবান/কক্সবাজার যেতাম। শশুরগুলো এমন না হলে তো ওখানেই দ্বিতীয় বাড়ি নিতাম
ভাল লাগল ভাই তোমার লেখা পড়ে বিশেষ করে নিজের জন্ম শহর নিয়ে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
চট্টগ্রাম আমারও খুব প্রিয় শহর। জন্মের পরপর বছর চারেক ছিলাম। কিন্তু শুধু সেই জন্যেই না, বড় হবার পরেও যে কবার গেছি অসম্ভব ভাল লেগেছে। এখন যে শহরে থাকি, তার মাঝেও কেন জানি চট্টগ্রামের একটা আদল খুঁজে পাই, সেই একই রকম উঁচু নিচু শহর, আবার পাঁচ মিনিটের ড্রাইভেই সোজা সমুদ্র! এই জন্যেই এই শহরটাও অনেক প্রিয় হয়ে গেছে।
আপনার লেখাটা ভাল লাগলো। কিন্তু ছোট্ট একটা আপত্তি আছে আপনার নিক নিয়ে। এটা বদলে ফেলুন পারলে। শুনতে ভাল লাগে না। আমি নিশ্চিত, আর কদিন নিয়মিত ব্লগিং করলে আপনারও এটা আর শুনতে ভাল লাগবে না।
আপনাকে অনুরোধে কাজ না হলে মডুদের কাছে আগেই অনুরোধ জানিয়ে রাখি, নিক না বদলালে ওনাকে সচল করা হবে না, এই মর্মে একটা চিঠি ইস্যু করা হোক শিগগির।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
যে লেখা লিখি তা দিয়া সচল মনে হয় জীবনে হইতে পারুম না।
কনফুসিয়াস ভাই আমার জন্য একটা নিক প্রস্তাব করেন...বিবেচনা করে দেখি।
/
নাই বা দিলাম নিক(এবারের মতো)
একজন পর্যটকের চোখে চট্টগ্রাম শহরটা আমাকে আর আগের মতো টানে না। বোধহয় এ নিয়ে একটা লেখাও দিয়েছিলাম। যতো দিন যাচ্ছে চট্টগ্রাম ঢাকাকে অনুসরণ করতে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ এই শহরটা দেখার লোভে পুরো তিনটি দিন ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম।
আপনার কথা অবশ্য আলাদা- স্মৃতিবিজড়িত স্থানের আবেদন সবসময়ই অন্যরকম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন