মা, তোমার খোকা এখন আর খোকা নয়
আগুনে হাত রেখে হাতপোড়ানো দগ্ধ যুবক
রোকেয়া সরণী আর ধানমন্ডির প্রশস্ত সড়কে-
ক্ষমাহীন চলিষ্ণু যানবাহনের চক্রে চলমান দানব।
মা, তোমার খোকা এখন জোছনা রাতের কেউ নয়
ভোরের পাখির কিংবা বিকেলের ফডিংয়ের কেউ নয়।
সে এখন প্রত্যহ ঝরেপড়া প্রথম সূর্যের অচেনা পুরুষ
আকাশ-গঙ্গায় তারাখসা প্লাবনের বিমুখ সত্তা
বৃষ্টির সন্ধ্যায় কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ আর
ঘানিতেলে মাখানো মুড়ির থালায় সাজানো-
হাইব্রীড মুরগির ফ্রাই-ফ্রাইড উল্লসিত সত্তা।
মা, তোমার খোকা এখন আর খোকা নয়
সে এখন এই দুটি পৃথিবীর ব্যাসের সমান
আকাশে তার হাত, মাটির অভেদ্য স্থরে পদযুগল
নিয়তির দূর্মূল্যে সওদা হাতে ঘরে ফেরে অনায়াসে।
মা, তোমার খোকা এখন খোকা নয়
তার চোখ অন্ধ, কান বন্ধ, বিষাক্ত কামড়মুখী
যেখানেই সুখের হাত ফঁসকে দাঁড়ায় জারজ বর্তমান
তারই ভেতরে তোমার খোকার অনায়াস যাতায়াত।
মন্তব্য
প্রত্যেক কবিতাই কবির কাছে অতি প্রিয়; গল্পকারের কাছে তার গল্পও সম্ভবত ততটা প্রিয় নয়। তাই কবিতার সমালোচনা করতে একটু দ্বিধা হয়।
কবিতাটি অসাধারণ হয়ে উঠতে পারেনি।
আপনার এই নির্লোভ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এরকম স্খলন চায় না মা, চায় না সমাজও বর্তমান
যুদ্ধ হোক আমাদের নিয়তির সাথে, তবেই হবে কুপোকাৎ।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
ধন্যবাদ আপনাকে। মা চান না। কিন্তু আমরা নষ্ট হচ্ছি প্রতিনিয়ত।
নতুন মন্তব্য করুন