নিজেকে আজ একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী(!) দাবি করতেই পারি। খালি কলসী যেমন বেশি বাজে, ঠিক তেমনিই আমার দাবি প্রতিনিয়ত জোরালো হতে থাকে। কলসী যেমন ইচ্ছা বাজুক, আজ আমার হাতে সাদা খামে ভরা সনদপত্রের দলিল। অল্প বয়সেই আমি একজন স্নাতক। ভাবতে ভালোই লাগে...দেশ অল্প বয়সী স্নাতকে ভরে যাচ্ছে। আজই সমাবর্তন হলো। তারই টুকিটাকি ব্লগর-ব্লগর।
SSF এবং কিছু অনিশ্চয়তা
কিছু কিছু ভূলের মাশুল যে এতোটা অমানবিক হতে পারে বুঝতে পারলাম সমাবর্তন উপলক্ষে বাপ-মার জন্য SSF এর নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর ছাড়পত্র জোগার না করে। ছাড়পত্রের ফর্মখানা নির্দিষ্ট সময়ে যথারীতি আমার প্রিয় ঘুম আর খামখেয়ালিপনার কারনে পূরণ করতে ব্যর্থ হলাম। ভার্সিটি প্রশাসন ধরেই নিলো প্রধান অতিথি যদি অনুষ্ঠানের দিন কোনভাবে বোমাক্রান্ত হোন SSF আসামী হিসেবে আমার বাপ-মা ছাড়া ইহজগতের আর কাউকেই খুঁজে পাবে না। একখানা নিমন্ত্রণ পত্রের জন্য তিনদিন ধরে যে কত তলা উঠা-নামা করেছি তার হিসাব করারও অবকাশ পাইনি। বহু কাকুতি-মিনতির(হাত-পা ধরা বাকি ছিল খালি)পরে অবশেষে ভার্সিটির নিমন্ত্রিত অতিথির তালিকায় ঠায় পেলেন আমার বাপ-মা, ফলাফল হাতে একখানা নিমন্ত্রণ পত্র। তবে SSF এ ব্যাপারে সহমত না হলে(ভার্সিটি তালিকায় নাম আছে কিন্তু SSF তালিকায় নাম নাই), SSF যে সিদ্ধান্ত দেবে তা মাথা পেতে নেবো...এই শর্ত প্রযোজ্য। সময়ানুবর্তিতা লঙ্ঘন করায় শর্ত মেনে নিতেই হলো।
সাত-সকালে বাপ-মা এসে হাজির। একবুক উৎকন্ঠা আর অনিশ্চয়তা নিয়ে মিলনায়তন অভিমূখে যাত্রা। ওই মুহূর্তটুকুর জন্য মস্তিস্ক-ঘড়ি বন্ধ। হঠাৎই নিজেকে আম্মা সহ নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর অপরপাশে আবিষ্কার করলাম। SSF এর কর্মকর্তাগুলোকে অনেক বেশি মানবিক অথবা দ্বায়িত্বে অসচেতন(!) বলে মনে হলো।
উপলক্ষ বিদায় এবং ছোট ভাইদের আবদার
ফেসবুকে স্ট্যাটাস মারলাম... “সমাবর্তন। দোয়াপ্রার্থী”। এক ছোট ভাইয়ের জবাবের সারমর্ম অনেকটা এরকম...খালি পেটে নামাজ পড়ার পূর্বে খাদ্যের সন্ধান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তাই খালি পেটে তার নামাজ হবে না, দোয়া করা হবে না, অতএব আগে তার উদরপূর্তির ব্যবস্থা করতে হবে, তারপর যথারীতি দোয়া হবে। আরেক ছোট ভাইয়ের মন্তব্য, “দোয়া করে দিলাম, তবে আমি খাওয়াপ্রার্থী”।
নগদে দেখা কয়েক ছোটভাইয়ের সাথে দেখা। খাওয়াইতে হবেই। নিজেও ভাবলাম চলেই যাব, আরেক দফা না হয় খাওয়াইয়াই যাই। ছোট ভাইদের খাওয়াইতে গেলে খরচটা যে সবসময়ই বাজেট অতিক্রম করে যায় জানা স্বত্তেও ঝুঁকিটা নিয়েই ফেললাম। পরে দেখা গেলো বন্ধুর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পোলাপানের খাওয়ার বিল দিতে হলো। বদগুলো দাঁত কেলিয়ে হাসতে লাগলো। মনে মনে বলি...কেন যে বড় হইতে গেলাম? এক বছর আগেও তো ছোট ছিলাম!
এক ফাঁকে বিড়ি ফুঁকা
হলের রুম, ক্যান্টিন, রাস্তা-ঘাট চারিদিকে খালি মানুষজনের গিজগিজ। কারো বাপ-মা, কারো চাচা-ফুফু, কারো ভাই-ভাবী, কারো বোন-দুলাভাই। আর নিজের বাপ-মা তো আছেই। ঘন্টায় ঘন্টায় বিড়ি ফুঁকার নেশা। কিন্তু উপায়? আব্বা-আম্মাকে ক্যাম্পাস পরিচিতি দিয়ে আর এরওর আত্নীয়-স্বজনের সাথে ‘হাই-হ্যালো’ করেই হতাশার সময়গুলো কাটছিলো। আল্লাহ যেন মুখ তুলে চাইলেন। যোহরের আযান দিলো। আব্বা গেলেন নামাজে। আম্মারেও আড্ডা মারতে পাঠাইলাম পূর্বপরিচিত এক বন্ধুর মার কাছে। আমি আর আরেক ধূমপায়ী দোস্ত মিলে গেলাম ক্যান্টিনে। হাটঁতে হাটঁতেই জানলাম তার বাপও গেছেন মসজিদে। দিনের প্রথম সিগারেটখানা শেষ না হতেই বন্ধু ক্যান্টিন প্রাঙ্গন ছাড়ার তাগিদ দিতে লাগলো। একটু দমে গেলাম। বন্ধু তখন বুঝিয়ে বললো...তার বাপ এতটাই ধার্মিক(!) যে নামাজ শেষ করেই ক্যান্টিনে এসে একটা বিড়ি ধরাতে আসার সম্ভাবনা যথেষ্ঠই প্রবল। দ্রুতই ফেরার পথে পা বাড়ালাম।
গোল্ড-মেডেল এবং কিছু হতাশা
ব্যাচের সেরা ছাত্রটিকে গোল্ড-মেডেল দিয়ে সম্মানিত করা হলো। আমরা বন্ধুরা গর্বে আর আনন্দে ভেসে গেলাম। কিন্তু আমাদের সবার বাবা-মা মনে হয় ভাসতে পারলেন না। তারা যে চার বছর আগেই ছেলেকে ভর্তি করানোর সময় গোল্ড-মেডেল গলায় নিজেদের ছেলের চেহারাই দেখেছিলেন। আমার বাবা-মাও এদের ব্যাতিক্রম ছিলেন না। সনদপত্র প্রদানের সময় হেড স্যার যখন নাম ধরে আমাদের ক্রমানুসারে ডাকছিলেন, আমার নামটা শুনতে বাপ-মার একটু বেশিক্ষনই অপেক্ষা করতে হলো। তারা হয়তো তখন গাঁটের পয়সা দিয়েই আমাকে গোল্ড-মেডেল কিনে দেয়ার কথা চিন্তা করতেছিলেন।
শেষ বিকেলে প্রেমিকাদের আগমন
বিকেল হতেই মুরুব্বী টাইপের অভিভাবকরা ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করলো আর আমাদের ভার্সিটির বাহিরের দোস্ত এবং প্রেমিকাদের আনাগোনা বাড়তে লাগলো। তবে ব্যাতিক্রমও আছে। এক বন্ধুর হবু-বউ তো শ্বাশুড়ীর সাথে এক গাড়িতে চড়েই এলো। ছেলে আর ছেলের বউকে নিয়ে খালাম্মার দিনটা ভালোই কাঁটার কথা। আরেক দোস্তর মামা-শ্বশুর আবার নিরাপত্তায় নিয়োজিত SSF এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনিও কাজের এক ফাঁকে ভাগ্নি-জামাইকে দেখে গেলেন, বিয়ানসাবদের সাথে গল্পগুজব করে হয়তো বিয়েটাই পাকাপাকি করে গেলেন।
আর কিছু ভীতু প্রেমিক বন্ধু বাপ-মা কখন ক্যাম্পাস ছাড়বে সেই চিন্তায় মগ্ন। সেই সুসময় আসতেই একে একে তিন প্রেমিকার আগমন। দুই দোস্ত পুরাই ‘প্রেমিক-টাইপ’ এর পোলা। তাদের প্রেমলীলা তেমন ভাবাবেগ জাগালো না। কিন্তু আসলেই অবাক করলো ব্যাচের ‘প্রেমিক-টাইপ’ তো নয়ই বরং ‘নিতান্তই ভালো ছাত্র অথবা আঁতেল(!)’ এক দোস্ত যখন আমাদের সামনে প্রেমিকাকে পরিচয় করিয়ে দিল...দোস্ত, এটা তোদের ভাবী! আমি বলি, ‘হুম দোস্ত, তোদের ভাবীকে সামনের রি-ইউনিয়নে নিয়ে আসবো ইনশাল্লাহ’।
সমাবর্তনের রাতের বিশেষ-খাওয়া আর বিশেষ-সাজসজ্জা
সমাবর্তনকে ঘিরে আমাদের মধ্যে যে উৎসব আর উৎসাহ কাজ করে তার পুরোটাই মুটামুটি সমাবর্তনের রাতকে কেন্দ্র করে। রাতের বিশেষ-খাবার(ব্যুফের কাছাকাছি কিছু হয়তো!) এবং নব্য স্নাতকদের বিশেষ পোশাক(স্যুট-টাই-সু!)কে সনদপত্রের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ করে, আমাদের চিন্তা করতে হয় না; বরং আমাদের সকল চিন্তা থাকে বিশেষ পোশাক নিয়ে। পোলাপানের মধ্যে শিশুকালের ঈদের মতো একটা আমেজ দেখা যায়। এবারও এর ব্যাতিক্রম কিছু হলো না। সেই সাথে চললো শেষ সময়ের দৃশ্যগুলো ধরে রাখার প্রচেষ্টা। ক্লিক...ক্লিক...ক্লিক। গভীর রাত পর্যন্ত চললো সব বন্ধুরা মিলে ধারণকৃত দৃশ্যগুলোর পর্যালোচনা।
শেষ রাতের দিকে ঘুমানোর আগে দোস্তরে কই, ‘এ ক’দিন যে দৌড়াদৌড়ি হইলো, আজকের ঘুমটা বহুত শান্তির হবে’। পরক্ষণেই মনে হয়, ‘শান্তির কেন হবে? ভাবি...ভার্সিটি তো সমাবর্তন দিলোই...সেই সাথে কাল থেকে যে বেকার জীবনের সূচনাটাও করে দিলো’।
/
ভণ্ড_মানব
মন্তব্য
অতীব চমৎকার। তোমার হাত খুলে গেছে। এইবার কামান দাগাইতে থাক।
আর তুমি যে চামবাজ এইটাতো জানি; দোস্তের GF দের দেইখা নিলা। নিজেরটা আড়াল কইরা।
আমি আসতেছি শীঘ্রি। নিয়া আইসো; দুয়া করে দিব।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু ...সবই আপনার দোয়া।
দেশে আসেন...চিনামুনে...আসমান থেকে পড়বেন।
আর মিথ্যাচার বন্ধ করেন। আমি পুলা ভালু...বদ-নজর দেই না।
আপনে আসেন তো আগে...আপনারে নিয়া আমার শ্বশুরবাড়ি যামু...বিয়ার প্রস্তাব দিতে।
/
ভণ্ড_মানব
নাম ডাকাডাকির সময়টাতে আসলেই মনে হচ্ছিল ভাগ্যিস মা বাবার কেউ আসে নি!
লিখতে থাক।
পুরা দিনের পেইন এর বেশির ভাগ ঐ সময়টাতেই গেছে। ইনশাল্লাহ বাপ-মায়ের মুখ একদিন(কোন একদিন!) উজ্জ্বল করতে পারবো।
আর আমি তো লিখিই...আপনেই বরং লেখালেখিটা আরেকটু বেশি করে করেন।
/
ভণ্ড_মানব
- প্রেসিডেন্ট গেলেন বলে কড়াকড়ি স্বাভাবিক ভাবেই থাকার কথা। কিন্তু ইউনি'র ছাত্রের অভিভাবকের উপস্থিতির জন্য কি আসলেই এসএসএফের অনুমতির প্রয়োজন! কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে তো উক্ত ছাত্র নিজেই সেটা ঘটাতে পারে, অভিভাবকের কী দরকার! এরকম আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বাহুল্যে একজন নব্যস্নাতকের ছাত্রজীবনের সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্তটিকে মাটিতে মিশিয়ে দেয়াটা ভালো কথা না।
যাইহোক, আপনাদের সবাইকে অনেক অভিনন্দন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুরু দুষ্টু এসএসএফ আমারেই অডিটোরিয়ামে ঢুকতে দেয়নাই প্রথমে। কয় আইডি কই! আরে ভাই গাউন পইরা আছি আবার আইডি কিল্লাই
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
আমার তো বাপ-মা আসামী...আর তুই তো নিজেই...খেক খেক খেক। :D
/
ভণ্ড_মানব
আচ্ছা এত লোক থাকতে খালি তোরেই সন্দ করল কেন কেস খারাপ
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
কে সেটা তাদের বুঝাবে কন? আমি নব্যস্নাতক...আমার কাছে আইসা নিমন্ত্রণ পত্র দিয়া যাবে কিনা...আমারই এদের পিছনে ঘুরতে হয়।
যাইহোক, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
/
ভণ্ড_মানব
লেখা অনেক ভাল্লাগলো। আপনার আরো দুএকটি লেখা পড়তে ইচ্ছে করল কিন্তু এখনো বোধহয় সেই সুযোগটি তৈরি হয়নি। মডুদের অনুরোধ করছি আপনাকে তাড়াতাড়ি সচলত্ব দেয়ার।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনারে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমারে সচল করার জন্য জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলুন না ভাই। বারবার নিক টাইপ করতে ক্লান্তি লাগে।
/
ভণ্ড_মানব
আহ্, আর তো মাত্র কয়েকটা মাস! ঠিক এমনি গায়ে গাউন চড়িয়ে সমাবর্তনের দিনটার স্বপ্ন দেখি প্রায়ই... অভিনন্দন,আগামী যাত্রা শুভ হোক.... *তিথীডোর
ধন্যবাদ...আপনার জন্যও শুভ কামনা।
/
ভণ্ড_মানব
পাশ করেছি সেই কবে! এখনো সমাবর্তন হলো না!
আপনার এই লেখাটা ভালো লাগলো। কম্পিউটার বিজ্ঞানী হওয়ায় শুভেচ্ছা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমাদের এখানে প্রতিবছরই হয়। অনেক 'হাই-প্রোফাইল ইউনিভার্সিটি' তো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
/
ভণ্ড_মানব
বেশ ভালো বর্ণনার হাত। ভালো লাগল। সমাবর্তন আবর্তনের চাকায় ঘুরছে সেই ২০০৩ থেকে শেষ সমাবর্তন হয়েছিল একুশে টিভি'র বন্ধের দিন ২০০২ সালে তারপর থেকে প্রতীক্ষমান আমরা অনেক গুলো ব্যাচ। একদিন হয়তো দিন আসবে কিন্তু কাঁচা আমের স্বাদের মত কি পাঁকা আমটি লাগবে!
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
ধন্যবাদ অভি ভাই। শীঘ্রই সেদিন আসবে ইনশাল্লাহ...শুভ কামনা।
/
ভণ্ড_মানব
Congratulations!!!!!
তোমার লেখা পড়ে আমার নিজের গ্র্যাজুয়েশনের কথা মনে পড়ে গেল। খুব ভালো হয়েছে লেখাটা!
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
thanku thanku
বিষয়ভিত্তিক লেখায় এমনি হয় মনে হয়...যাদের অভিজ্ঞতা থাকে তারা স্মৃতিচারণ করে, আর যাদের থাকে না তারা অর্জন করতে চায়।
/
ভণ্ড_মানব
তা ইঞ্জিনিয়ার সাব ভালই আছেন তাইলে। লেখা পড়তে ভাল লাগছে। আশায় আছি কোন একদিন আমিও গ্রাজেয়ুট হব আর এই রকম কিছু একটা লিখে ফেলব। আচ্ছা বউ আর শ্বাশুড়ী একসাথে আসা ছেলেটা কি মিরপুর নিবাসী নাকি?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
লাত্থামু
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
কলা তাইলে রায়হান আবীর খাইছে? আচ্ছা
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
জ্বিনা।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
কসম তোর নাম ইংগিত করার মত সাহস এখন হয় নাই আর মাজাহার সাব কে তো চিনেন তাইলে ঘটনা এইবার আন্দাজ করেন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ও মাযহারের কান্ড এইটা
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
ধন্যবাদ। তোমার আশা পূরণ হবে শীঘ্রই সেই আশাই রাখছি।
ছেলে কোথাকার আপনিই ভালো জানেন।
/
ভণ্ড_মানব
কম্পিউটারের ওপরে পড়াশোনা করার পরে কম্পিউটারকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। নাহলে সায়েন্স নিয়ে পড়া সব্বাইরেই সাইন্টিস্ট উপাধি দেয়া লাগে।
নাইলে আমপাব্লিক সাইন্টিস্ট ডাকলে হাজী অমুকের লাহান লাগে
আমিও মামুলি কম্পিউটারকর্মীই ভাই।
তয় আমজনতা সাইন্টিস্ট ডাকলে আমার খারাপ লাগে না।
/
ভণ্ড_মানব
এহহে!! আমার সাথে আমার বাপরেও বিড়িখোর বানায় দিলি...!! আমাদের কষ্টটা বুঝলি, কিন্তু আমাদের স্মোকার বাপেরাও তো একই কষ্টে কষ্টিত এইটা বুঝলিনা...!!
- শূন্য
আমরা তো সবই বুঝি...তয় মুরুব্বীরাই তো আমগোরে বুঝে না।
/
ভণ্ড_মানব
ভাইয়া,আমি কিন্তু খাওয়া এখনো পাই নাই।যদিও আমি আপনার জন্য দোয়া করসি।.....আপনি ও এখানে লেখেন,জানতাম না।লেখা পড়ে নিজের সমাবর্তনে কি করতে হবে আর কি করতে হবে না,একটু হলেও বুঝলাম।
তুই তো এখন ভার্সিটিতেই নাই। আমার কি দোষ তবে বল। তয় দেখা হইলে মিস যাবে না ইনশাল্লাহ।
সমাবর্তনের প্রস্তুতি শুরু করে দে।
/
ভণ্ড_মানব
অভিনন্দন!
সমাবর্তনের সৌভাগ্য মনে হয় আমগো কপালে নাই
সারাদিন গায়ে বস্তা চাপায়া যে কষ্ট টা গ্যাছে, তার উপর বিড়ি খাইতে পারিনা...যাই হোক, এমন দিন তো জীবনে একটাই আসে।
স্পার্টাকাস
এই ভন্ড যুবকের প্রতিভার যে এত বিকাশ ঘটে গেছে.........বুজতেইতো পারলাম না.......!!!!
খুব ই ভালো লাগলো রে........
লাল গোলাপ (একটি)
নতুন মন্তব্য করুন