এইবার যদি রাজাকারদের বিচার না করা যায়, তাহলে আর কখনোই করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। কারণ জামাতীরা যে ধারায় "রাজনীতি" করে, সেই "হাইটেক পলিটিক্স" করার সামর্থ্য (অর্থ বা চিন্তাধারা) আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কারোরই নেই। জামাতীরা একটা নির্দিষ্ট মতাদর্শে চলে, ওই মতের জন্য তারা জীবনবাজি রেখে "রাজনীতি" করে। মূলধারার আর কোন রাজনৈতিক দলেরই কোন নির্দিষ্ট মতবাদ আন্দাজ করা যায়না। অর্থাৎ আসলে কী নিয়ে তারা রাজনীতি করছে, আমার মনে হয় না তারা কেউ সেটা জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে।
বর্তমান নিয়ে জামাতীদের কোন মাথাব্যথা নেই, ওদের মূল ভবনা আরো ৫০ বছর পরের সময় নিয়ে - যখন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম বা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ন্যূনতম জ্ঞান রাখে বা চিন্তা করে এমন প্রজন্মের কেউ আর অবশিষ্ট থাকবে না, ওদের প্ল্যান সেইসময় নিয়ে। ইতোমধ্যেই পৌনপুনিক ইতিহাসবিকৃতির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম, নীতিবোধ এসব বিষয়ে "লাঙ্গলপাশ" একটি প্রজন্ম তৈরি করা হয়ে গেছে, যারা জামাত-শিবির-মৌলবাদীদের মূল টার্গেট। খুব ঠাণ্ডামাথায় চিন্তাভাবনা করেই এই প্রজন্মটাকে হাতে ধরে বানানো হয়েছে, যাদের দিয়ে মৌলবাদী ফ্যানাটিকরা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য আর কর্ম হাসিল করতে পারে।
জামাত-শিবির-মৌলবাদী চক্রের "ইসলামপ্রীতি" আসলে ইসলামের জন্যে তো নয়ই, আসলে যে কোনরকম ধর্মীয় মূল্যবোধই এদের (অ)কর্মকাণ্ডের মূলনীতি নয়, সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। কারণ ধর্ম, তা সে যেটাই হোক না কেন, তার মূলনীতি হল মানবতাবাদ আর কল্যাণ, যার মর্ম "অহিংসায়" নিহিত। আর অহিংসা যে মৌলবাদীচক্রের চরম অপছন্দের শব্দ, সেটা আমরা সবাই জানি। ইসলামের ধুঁয়া তুলে সহজসরল মানুষকে ধোঁকা দিয়ে এরা নিজেদের আখের গোছানো, অর্থাৎ দেশের ক্ষমতার মসনদে বসার জন্যে আকূল।
জামাতীদের এত বড় নেটওয়ার্ক, এত বড় প্রস্তুতি, এত বড় পরিকল্পনা, সবকিছু স্তব্ধ করার একমাত্র হাতিয়ার হতে পারে এদেরকে বড়মাপর একটা ধাক্কা দেয়া। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই একমাত্র উপায় ওদেরকে থামানোর। এরই মধ্যে বিচারের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার পর এদর নানারকম অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এমনকি দলের গঠনতন্ত্র, মূলনীতি এগুলোতেও তারা "মুক্তিযুদ্ধের" মত Taboo Subject (ওদের কাছে) নিয়ে এসেছে। ভণ্ড আর কতরকম হয় ! এমনকি রাজাকার নিজামী নাকি এখন নানা বক্তৃতা-বিবৃতিতে শেখ মুজিবকে "বঙ্গবন্ধু", এমনকি "জাতির পিতা" বলে "শ্রদ্ধা" প্রদর্শন করতে কার্পণ্য দেখান না। ভণ্ডামীর তো একটা সীমা থাকে, নাকি ?
সুতরাং সহজবোধ্য একটি ব্যাপার হল, বাংলাদেশে জামাত-শিবির-মৌলবাদী ফ্যানাটিক চক্রের মূল পালের গোদা এইসব রাজাকারদের বিচার করতে পারলেই এ সমস্ত মৌলবাদী ভণ্ডামীর শিকড় ওপড়ানো সহজ হবে। না হলে সোনার বাংলায় পাকিস্তানী শুয়োর চরতে দেখতে বেশি বেগ পেতে হবে না।
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
______________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
মন্তব্য
বিচার হতেই হবে, বিচার হবেই হবে। সবগুলা রাজাকার হারামখোরের ফাঁসি চাই।
অকুতোভয় বিপ্লবী,আপনার লেখাটি ভালো লাগল।
আমার মনে হয় সরকার যদি এখনই (পত্র-পত্রিকার ভাষ্যমতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরপরই ডিসেম্বরে)যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু না করে, তাহলে এর চেয়ে বড় রাজনৈতিক ভুল আর হবে না।
কেউ কেউ যেমন সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুটি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখতে পারে আগামী নির্বাচন পাড়ি দেয়ার কৌশল হিসেবে-- আমার মনে হয় এটিও হবে একটি বড়সড় রকমের ভুল। কারণ, আমার মনে হয় সরকার যদি এ ব্যাপারে আন্তরিক থাকে তাহলে যে তরুণ প্রজন্মের ভোটে এবার তারা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে, আগামী নির্বাচনেও তাদের সাথে পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।আর অন্যথায় অন্য রকম হওয়াও বিচিত্র কিছু নয়।
একটা জিনিস বুঝি না, সেটা হলো একটা বিচার কেনো অন্যটা শেষ হবার পরে শুরু করতে হবে। আমাদের কি বিচারকে বা আইনজীবিতে বা আদালতে কমতি পড়েছে, নাকি অন্য কিছুতে? কিসে? দুটো একসঙ্গে কেনো হতে পারবে না? আর যদি একটার বেশি বিচারকাজ একবারে না চলতে পারে, তবে সরকার কিসের ভিত্তিতে তার প্রায়োরিটি নির্ধারণ করেছে সেটা কি জনগনকে জানিয়েছে বা জানাবে?
আমিও বুঝি না বস। তবে এই সরকার যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের মত পুরো ব্যাপারটা কেঁচিয়ে না ফেলে সেইজন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত (আর তো মাত্র একমাস) সময় দিতে রাজি আছি । কিন্তু এরপর যত দেরি করবে সরকার নিজেরই তত সর্বনাশ করবে।
আর মুক্তিযোদ্ধা আলী-আমানের পিঠে যেই কুত্তার বাচ্চাটা লাথি দিছিলো, ওই হারামিটারে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করলে সরকারের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ থাকবে না।
আর ওইদিন পত্রিকায় পড়লাম-যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আ্ইনের ফাঁক-ফোকর খুঁজে বের করে তা ঠিক করার পরামর্শের জন্য সরকার দেশের প্রথিতযশা আইনজীবীদের শরণাপন্ন হয়েছিল-কিন্তু মাত্র দুইজন ছাড়া বাকিরা নাকি সময় করতে পারে নাই। এখন দেখেন আমাদের সিনসিয়ারিটির অবস্থা!!!
সচলে স্বাগতম।
ডিসেম্বের ১৪ তারিখ আমাদের জন্যে 'ভি ফর ভেনডেট্টা' এর
Remember remember the fifth of November
Gunpowder, treason and plot.
I see no reason why gunpowder, treason
Should ever be forgot...
এর মত যেন হয়, নাহলে ভি এর মত আমাদেরকেই আবার এগিয়ে আসতে হবে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মামুন ভাই, বিচার যে কোন মূল্যে করতেই হবে, নইলে কিন্তু এক্কালে শ্যাষ্ !
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
______________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
রাজিব, পুরোপুরি সহমত। খুবই ভাল কথা বলেছেন। পড়া আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সাইব্বাই, হাঁ ভাই এটা আমি
আমি যখনই সুযোগ পাই জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে "অপপ্রচার" করি। এটা আমাদের চালাতেই হবে। কোন সুযোগই দেয়া যাবেনা ওদের ধর্মব্যবসা চালানোর। সবারই এই কাজটা চালিয়ে যেতে হবে।
সচল থাকার চেষ্টা করব সাইব্বাই
লেখাটা পড়া আর মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ।
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
_________________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
লেখা আসার ৫ মিনিটের মধ্যেই যখন লিংক আইল খোমাখাতা থিকা, তখন আমার দাঁত বাইর হইয়া গেছে আনন্দে। বুঝলাম, পাইছি আইজকা আমাগো 'অ-বি' ভাইরে। আরো এমন লেখা চাই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
যুধিষ্ঠিরদা, একটা শেষ হলে আরেকটা - এই সিস্টেমের আসলে কোন মানে বুঝিনা। "শত্রুর শেষ রাখতে নেই" এটা যেমন সত্যি, তেমনি "সুযোগ না দিয়ে আক্রমণ" করাটাও কিন্তু যুদ্ধের একটা পলিসি। অন্তত আমি তাই মনে করি। তা, সরকার কেন ওদের এত গোছগাছ করার সুযোগ দিচ্ছে সেটা বোধগম্য নয়।
সর্বজনাব তানিম, ধন্যবাদ দিয়ে আর ছোট করলাম না
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
______________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
ভালো লাগলো, ভ্রাতঃ।
ইশতিয়াক, ধন্যবাদ দিয়ে.......বুঝই তো
শুভাশীষদা, শুকরিয়া
একটু ভিন্ন রকম মন্তব্য করি।
আপনার লেখার মূল সুরের সাথে আমার কোন দ্বিমত নাই।
এতে করে জামাতকে হয়তো ধাক্কা দেয়া যাবে, কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জামাতকে শেষ করে দেয়ার যে ভাবনা -- তেমনটা যদি আজকের যোদ্ধারা ভেবে বসে থাকি, তাহলে তো মনে হয় বড় ভুল করে বসে আছি আমরা।
আমার বুঝতে ভুল হলে কেউ ধরিয়ে দেন।
পিপিদা,
আপনার অবজারভেশন ঠিক আছে বস। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ন্যায় প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই করতে হবে।আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার পরই যদি আমরা মনে করি কাজ শেষ--তাহলেও আসলে হবে না।
একমত। শিবিরকে নির্মূল করতে হলে নতুন পুরান সব অনুসারী বিদায় করতে হবে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পিপিদা, আপনার পর্যবেক্ষণ যথার্থ, পুরোপুরি একমত এই ব্যাপারে। আসলে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, যুদ্ধাপরাধ এর বিচার ব্যাপারটা অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। এ যে শুধু জাতির লজ্জা দূর করার জন্য করা দরকার তা নয়, রাজনৈতিক নষ্টামীকে চেক দেয়ার জন্যেও জরুরি।
এই বিচারটা করা গেলে আসলে জামাতের নষ্টামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার একটা ইনিশিয়েটিভ নেয়া যাবে। ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠা তো বটেই, জামাত-শিবির-মৌলবাদী প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্যে যে বারুদটুকু দরকার, সেটার প্রাথমিক "স্পার্ক" টা এখান থেকে আসবে। এই বিচার হবে এক অর্থে আরেক লড়াইয়ের সূচনা, যার আসলে শেষ বলে কিছু নেই। মৌলবাদের উত্থানকে প্রতিহত করার জন্যে লড়াই কখনও থামানো যাবে না।
জামাত অনেক কথাই বলে। গোআজম নাকি "ভাষাসৈনিক" - এমন বমনোদ্রেককর কথাও বহুবার শুনেছি জামাতীদের কাছে :-& কিন্তু এসব কথায় কান দিয়ে ফায়দা নাই। এই বিচারকে যদি প্রতিহিংসা বলা হয়, আমি বলব - ঠিক আছে যাহ্, প্রতিহিংসা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা না থাকলে বিচার করা সম্ভব না।
যুদ্ধ তো সবে শুরু। রাজিব ভাই আর সাইব্বাই যেমন বললেন - বিচার করেই কাজ শেষ হবে না, আরো অনেক কাজ বাকি। সেগুলোও করতে হবে।
লেখাটা কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য করার জন্যে সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
______________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
আপনি ঠিক যে ধ্যানধারণা থেকে লেখাটা লিখেছেন, সেটাই আসলে যুদ্ধোপরাধীদের বিচারে বড় বাধা। "যুদ্ধোপরাধ" আর "জামাতের রাজনীতি" একেবারে ভিন্ন বিষয়। আপনি জামাতের রাজনীতি পছন্দ করেন না বা তাতে যাতে ছন্দ পতন হয় সেজন্য যুদ্ধোপরাধের বিচারের কথা বলছেন। আদতে যুদ্ধোপরাধের বিচার সে কারণে হওয়ার কথা নয়। কেউ অপরাধ করেছে, সে কারণেই তাদের বিচার হওয়ার কথা।
আর আইনের কথাই যদি বলেন, আমরা তো সুবিচার কখনই প্রতিষ্ঠা করতে পারি নি। বড় বড় রাঘব বোয়ালরা সব সময় ছাড়া পেয়ে যায়। হয়ত দেখা যাবে, বিচার হলো। বিচারে শাস্তি পেল কোনো এক অজ গ্রামের দরিদ্র কোনো রাজাকার, যে কিনা বাঁচার জন্য ওরকম একটা কাজে অংশ নিয়েছিল। দরিদ্র রাজাকারও নিশ্চয়ই আছে।
আপনি নিজেই বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নীতি আদর্শ নাই, জামাতের যাও কিছু আছে। অন্যরা তাদের নীতিবিবর্জিত রাজনীতি থেকে সরে না আসলে এবং আদর্শিক নেতৃত্বে তরুণদের উৎসাহিত না করলে, তরুণরা দলে দলে শিবিরে ঠুকে পড়লে কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না। সবাই নিশ্চয়ই মানেন, তরুণ মাত্রই আদর্শের চর্চা করতে চায়। এক সময় বাম রাজনীতি তরুণদের খুব টানতো। বাম রাজনীতি এখন মৃত, তাই তারা অন্য দিকে ছুটছে।
আজ দেশে তরুণদের একটা বড় অংশ রাজনীতিকে (কেউ কেউ হয়ত দেশকেই) চরমভাবে ঘৃণা করে, আরেক অংশ বিভ্রান্ত, আর অন্য অংশ রাজনীতি করে ফায়দা লুটার জন্য। এটা দেশে দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য বড়ই হতাশার।
মোদ্দা কথা হলো, যুদ্ধোপরাধের বিচার হতে হবে, কিন্তু তা জামাতের রাজনীতি প্রতিহত করার কোনো কৌশল হিসাবে নয়। তাদেরকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। বিগত নির্বাচনে মানুষজন বোধ করি তার কিছুটা নমুনা দিয়েছে।
আরিফ ভাই(আরিফ জেবতিক)-এর এই কথাটা আমার খুব প্রিয়-- "প্রজন্মের শুভশক্তির উপর ভরসা রাখুন।"
অতিথি লেখক(নামটা জানতে পারলে ভালো হত)--আপনার বক্তব্যের সাথে আমি প্রায় পুরোটাই একমত। সরকার কিন্তু বলেছে তারা ২০ জনের মত রাঘব বোয়াল যুদ্ধপরাধীর বিচার করবে। দেখা যাক, আসলেই কি করে।সাদা চোখে জামাতকে কিছুটা আদর্শবাদী দল মনে হতে পারে--সেক্ষেত্রে এটা কিন্তু আমাদেরই দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় সে ভণ্ডামির মুখোশ উন্মোচন করার।
জামাত-শিবিরের কর্মকাণ্ড-নেটওয়ার্ক কতদূর আর কী পর্যন্ত বিস্তৃত সে সম্পর্কে আমাদের মনে হয় পুরোপুরি ধারণা নেই। রাষ্ট্রীয় হেন প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে তাদের রিক্রুট নেই। নিয়মিত সরকারী নিয়োগগুলোতে ওদের লোকজন আকছার ঠাঁই করে নিচ্ছে। ব্যাংক-বীমা-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন ওরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হবার পথে। ওদের কয়েকশ' স্কুল-কলেজ, কয়েক হাজার মাদ্রাসা-মক্তব আছে। আছে নানা রঙ-বেরঙের সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। আছে পত্রিকা-রেডিও-টিভি-লাইব্রেরী। আছে হাসপাতাল-ক্লিনিক-এনজিও। আর কত বলব, বলে শেষ করা যাবে না। চাকুরীর, ব্যবসায়ের, চিকিৎসার, সাহায্যের, স্কলারশীপের ফাঁদে ফেলে এদের রিক্রুট চলছে প্রতিদিন। সাংগঠনিক দক্ষতায় বাংলাদেশের কোন দল-প্রতিষ্ঠান এদের ধারে-কাছেও নেই।
মূল পরিকল্পনাকারী, মূল বেনিফিশিয়ারী, পরামর্শদাতা, সমর্থনদাতা, অর্থ যোগানকারী, পূনর্বাসনকারী ইত্যাদি গ্রুপগুলোকে বাদ দিয়ে যে কায়দায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার হচ্ছে সেই একই কায়দার যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয় তাহলে ক্ষমতাসীন দল হয়তো সাময়িক তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে পারবে কিন্তু জামাত-শিবির নির্মূল "হনুজ দূর অস্ত্"।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
"যুদ্ধোপরাধের বিচার হতে হবে, কিন্তু তা জামাতের রাজনীতি প্রতিহত করার কোনো কৌশল হিসাবে নয়। তাদেরকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে।"
কথা ঠিক। তবে আমি কিন্তু এ কথা বারবার বলেছি যে, ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই এই ঘৃণ্য অপরাধের বিচার হতে হবে। সবাই একটা কথাতে বারবার একমত প্রকাশ করছেন যে, বিচার করেই সবকিছু শেষ করা যাবে না। আমি নিজেও বলেছি যে, ওটা যুদ্ধের সূচনামাত্র, ওটা কেবল শুরু। জামাতকে রাজনৈতিকভাবেই হোক আর যেমন করেই হোক, ঠেকাতে হবে, কেননা যারা আমার দেশকে, দেশের অস্তিত্বকে স্বীকারই করেনা, তাদের এই দেশে রাজনীতি করার কোন অধিকারই নেই। আমি এই ইস্যুতে কট্টর মনোভাব প্রদর্শনকেই যুক্তিযুক্ত মনে করি।
"আপনি ঠিক যে ধ্যানধারণা থেকে লেখাটা লিখেছেন, সেটাই আসলে যুদ্ধোপরাধীদের বিচারে বড় বাধা।"
এখানেও আমার একটু দ্বিমত আছে। জামাতের রাজনীতি আর যুদ্ধাপরাধ ভিন্ন বিষয় মরন করিনা আমি। কারণ জামাতের মুক্তিযুদ্ধে বিরুদ্ধাবলম্বন করার কারণই হল ওদের রাজনৈতিক আইডিয়োলজি। তাই বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তো বটেই, জামাতের সাথে লড়াই করার একটা স্টেপ হিসেবেও যুদ্ধাপরাধের বিচার হওয়া জরুরি।
"মূল পরিকল্পনাকারী, মূল বেনিফিশিয়ারী, পরামর্শদাতা, সমর্থনদাতা, অর্থ যোগানকারী, পূনর্বাসনকারী ইত্যাদি গ্রুপগুলোকে বাদ দিয়ে যে কায়দায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার হচ্ছে সেই একই কায়দার যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয় তাহলে ক্ষমতাসীন দল হয়তো সাময়িক তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে পারবে কিন্তু জামাত-শিবির নির্মূল "হনুজ দূর অস্ত্"।"
পাণ্ডবদার কথাটা সত্য। সবার আসলে এই উপলব্ধিটা আসা জরুরি যে একমাত্র রাজাকারদের বিচার করলেই ফায়দা হবে না। লড়াই হবে সর্বাত্মক - সাম্প্রদায়িক অন্ধ রাজনীতির বিরুদ্ধে।
"বড় বড় রাঘব বোয়ালরা সব সময় ছাড়া পেয়ে যায়। হয়ত দেখা যাবে, বিচার হলো। বিচারে শাস্তি পেল কোনো এক অজ গ্রামের দরিদ্র কোনো রাজাকার, যে কিনা বাঁচার জন্য ওরকম একটা কাজে অংশ নিয়েছিল। দরিদ্র রাজাকারও নিশ্চয়ই আছে।"
এখানে এটা বিষয় একটু বলা দরকার মনে করি। রাজাকার হবার পেছনে যথেষ্ট আর্থসামাজিক কারণ অবশ্যই ছিল। আর বিচারের দাবির শুরু থেকেই সবাই বিষয়টা নিয়ে মোটামুটি সচেতন। এটা একটা অবশ্যবিবেচ্য বিষয়।
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
______________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
জামায়াত নেতৃত্বের মর্যাদা বুঝে (রেফারেন্স: গোলামের জীবনে যা দেখলাম)। যুদ্ধাপরাধীর প্রকৃত বিচার হলে জামায়াত দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে এবং জামায়াতের নেতৃস্থানীয় লোকদের ১০০%ই সাজাপ্রাপ্ত হবে। এতে ভবিষ্যতেও তারা মাথা উঁচু করতে পারবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমিও মনে প্রাণে চাই যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক। কিন্তু একটা সন্দেহ আছে মনের ভিতরে - যদি এই সরকার আসলেই এই দুইটি বিচার নিষ্পন্ন করে ফেলে তাহলে এরা ভবিষ্যতে আর রাজনীতি করবে কি নিয়ে? বিচার করে যদি খুনী আর রাজাকারদের শাস্তি দিয়ে ফেলে তাহলে দেশে স্বাধীনতাবিরোধীচক্র বলে কি আর কিছু থাকবে? এই বিশাল দুইটা ইস্যু মনে হয় না বর্তমান সরকার কখনো নষ্ট করতে চাইবে। আর রাজনীতির ডিগবাজিময় বর্ণিল পৃথিবীতে কার কখন কাকে প্রয়োজন হয় কেউ জানেনা!! আমরা, সাধারণ জনগণরা 'বিচার চাই, বিচার হবে' - এই ডুগডুগির বাজনাতে আজীবনই নাচতে থাকব আর আড়ালে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা এক টেবিলে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিবে।
একটা মজার খেলা আছে। এর নাম কেপিটি। আপনি পাঁচটা রাজাকারের নাম বলবেন, আমি পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধার নাম বলবো। খেলবেন ?
আচ্ছা একটা ব্যাপারে কেও কী ভেবেছেন, আগামী ক্রীকেট বিশ্বকাপের আগে যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু হয়, আর বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে তারা কোন নাসকতা করতে পারে কী না । কারন ঐ সময়ে আমাদের দেশে প্রচুর বিদেশী আর অনেক বিদেশী ক্রীকেট দল আবস্থান করবে।
বলাইদা, পুরোপুরি একমত।
সচেতন ভাই, কিছু মনে করবেন না। আমি আপনার কথায় একমত হতে পারলাম না। আমি বরাবরই বেশ আশাবাদী মানুষ। সব কিছু নিয়েই আমি আশা করতে, স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। আমার দেশ আর দেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও আমি আশাবাদী সবকিছুর পরেও। আপনার কথাগুলো আমার কাছে বেশ খানিকটা আষাঢ়ে গপ্ বলে মালুম হল। আমার ভাষায় গণ্ডগোল থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার কথাগুলো আমার কাছে বরং কিছুটা অচেতনসুলভ বলেই মনে হল।
রাজাকার আর প্রকৃত কোন মুক্তিযোদ্ধা (জেনারেল জিয়ার মত মুক্তিযোদ্ধা না) একসাথে চা খেতে পারে না।
অতিথি লেখক-এর নামটা জানলে ভাল হত। আপনার ভাবনাটা ভাল। তবে ওই নাশকতা চেক দেয়ার ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেয়া হবে আশা করি।
পড়া আর মন্তব্য করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
______________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
হিমু ভাই, একটু গলা খাকারি দিতেন যদি, বেকতে বুঝত (আমিও )
হুমম "নাউ অর নেভার"। এবার বিচার না হলে আওয়ামী লীগ তার বিশ্বাসযোগ্যতাও হারাবে তরুন প্রজন্মের কাছে।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
যারা বিচারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন সামনে বা মনের কোণায়, তারা হিমুদার এই লেখাটি পড়েন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ ভাইয়ের লেখা ধরে হিমু ভাইয়ের গল্পটা পড়ে মনে পড়ে গেলো, আপনাদের ক'জনের মনে আছে জানি না, আনিসুল হক তাঁর গদ্যকার্টুনে ব্যাঙ্গ করে "আমার সোনার বাংলা"-র একটা জামাতী ভার্শন লিখেছিলেন, "ও আমার বাংলাস্থান, আমি তোমাকে মোহাব্বত করি/চিরদিন তোমার আসমান, তোমার হাওয়া আমার দিলে বাজায় শিঙ্গা"। তখন খুব হাসতাম লেখাটা পড়ে।
তারপর তো কত খেল্ দেখলাম, শুনেছিলাম "আমার সোনার বাংলা" সরিয়ে "প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ"-কে জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেবার একটা পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু বুকটা সত্যিই ভীষণভাবে কেঁপে উঠেছিলো যখন ইউটিউবে বিদেশি সাজে সজ্জিত এক লোককে উর্দু ভাষায় "দেশাত্ববোধক" গান গাইতে দেখেছিলাম। বারবার ঘ্যানঘ্যান করে পেসিমিস্টিক কথা বলতে ভালো লাগেনা, কিন্তু গদ্যকার্টুনের সেই বাংলাদেশ কিন্তু আমাদের ঘাড়ের ওপরই শ্বাস ফেলে যাচ্ছে। এতেও আমাদের নেতাদের টনক নড়ে না! আশ্চর্য!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
আমি গলা ফাটিয়ে বলতে চাই একদিন - হিমুর ঐ লেখাটা একটা মিসাকতা, ডাহা মিসাকতা :'(
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
______________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
প্রিয় অকুতোভয় বিপ্লবী,
সচলায়তনে হার্দ্যিক স্বাগতম।
লেখাটা জরুরী একটা বিষয় নিয়ে। এই সময়ের অন্যতম প্রধান একটি দাবী নিয়ে। একটা সময় ছিল, আমি দেশ নিয়ে বড্ড হতাশ ছিলাম। অন্তহীন পতন ছাড়া আমি আমার দেশের ভবিষ্যতে কিছুই দেখতাম না।
সেইদিন পাল্টেছে।
একটা সময় ছিল আমি ভাবতাম, আমি যখন প্রৌড়ত্বে পৌঁছাব তখন সারা দেশটা কেবল সুরমা-আতর-দাঁড়িতেই ছেয়ে থাকবে।
সেই ভয় কেটেছে।
একেবারে সাম্প্রতিক নির্বাচনে মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে----'ওরা' যদি এক কদম এগিয়ে আসে, আমরা এগিয়ে যাব দুই কদম! বিনা যুদ্ধে আর একতিল মাটিও ছাড় দেয়া হবে না। আমার দেশের পথে-প্রান্তরে চোয়াল শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে তোমাদের মত অকুতোভয় লোক।
এসবই আমার জন্যে স্বস্তির। সন্তুষ্টির হয়ত নয়। সন্তুষ্ট হবার মত এখনো কিছুই করা হয় নি। কিন্তু এই যে শিবিরের ঘর থেকে ধোঁয়া উঠে আসছে---সেটা দেখে অন্তত অল্প হলেও তৃপ্তি পাই। আর আমরা এক গালে চড় খেয়ে আরেক গাল পেতে দিচ্ছি না।
আমার সবচাইতে বড় ভরসার জিনিস হল, মানুষ দেরীতে হলেও বুঝেছে যে, কিছু কিছু ব্যাপার সরকারের হাতে ছেড়ে দিতে নেই--বরং সরকারকে ঘাড়ে ধরে করাতে হয়। মানুষের এই সাম্প্রতিক ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন সরকারকেও তাই ত্রস্ত রেখেছে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি বিএনপি-আওয়ামী লীগ একই সাপের দুই মাথা। দুইটি দলই লোভী অশিক্ষিত বর্বর মানুষের চারণভূমি। তারা একে অন্যের জন্যে অপরিহার্য্য। এই দুই ঘোটকী সময়ে সময়ে স্বৈরাচারীর অঙ্ক শায়িনী হয়েছেন, কখনো মৌলবাদীদের হারেমে থেকেছেন----আর দিনের পর দিন জন্ম দিয়ে গেছেন চোখ-নাক-মুখ বিহীন খচ্চর সম্প্রদায়। এদের কাছে বা এদের উপর দেশ বদল বা উন্নতির দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকার দিন শেষ। এদের ঘাড়ে ধরে কাজ করাতে হবে।
দরকার হলে উপুর্যুপরি চাপ (রসিকজন 'চাপে'র বদলে আরো কাছাকাছি একটা শব্দও ব্যবহার করে দেখতে পারেন) দিয়ে বোঝাতে হবে হু'স দ্য বাপ !!
বাংলার মানুষের জয় হোক----
জয় হোক অসাম্প্রদায়িকতার----
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খবর: আ'লীগের নেতৃ সাজেদা চৌধুরীর পূত্র শাহদাব আকবরের ১৮ বছরের সাজা মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব জিল্লুর ক্ষমা করে দিয়েছেন। এই যদি আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার নমুনা হয়, তাহলে সকল কেন্দ্রিভূত ক্ষমতার মালিক হয়ে প্রতিপক্ষের অপকর্মের বিচার করাকে নিরপেক্ষতার মানদন্ডে ফেলান যায় না। এযেন, 'যাকিছু হারায় গিন্নী বলেন কেষ্টা বেটাই চোর'। তবে যুদ্ধাপরাধীস হ সকল হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। মানুষ চায় আমলীগ অন্যের বিচারের সাথে সাথে নিজেদেরও বিচার করার মতন স্বভাব-চরিত্র গড়ে তুলুক।
পুরোপুরি সহমত।
দৃশ্যমান পাঠকের সাথে আমিও পুরোপুরি একমত।
আর অনিকেতদা আমার একেবারে মনের ভিতরের কথাটি বলেছেন। রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস করি না আমি, ঘাড় ধরে "চাপ" দিয়ে কাজ করানোই শ্রেয়তম।
মন্তব্যের জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ।
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
______________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
অকুতোভয় বিপ্লবী - কে অনেক ধন্যবাদ লিখাটার জন্য। কিছুদিন পরপর এমন একটা লিখা থাকা উচিত সচলায়তনে যাতে কেউ বিষয়টা ভুলে যেতে না পারে।
তবে কেউ যদি বলে জামাত-শিবিরের জন্য আওয়ামী-বিএনপি তাদের নীতি বা আদর্শ নিয়ে বিভ্রান্ত তাহলে আমি তা সমর্থন করতে পারিনা। তাই আগে বিচার পরে ওইটা এই মনোভাব দেখলে হতাশ লাগে।
হয়তো অনেকে আমাকে সমর্থন না করতে পারেন, তবে আমি বলতে পারি যে এইবার আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার একমাত্র কারন কিন্তু এইটা না যে তারা যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করবে। বিএনপি আমল থেকে break পাওয়াও একটা কারন। আমরা নীতি আর স্বজনপ্রীতির মধ্যে conflict হলে স্বজনপ্রীতিকেই অবলম্বন করি। তাই বিচার ভুটভাট করে দেই।
জামাতিরা তো এখন একটু দৌড়ের উপরে আছে মনে হয়। শুনলাম বিভিন্ন দূতাবাসে নাকি লবিংও শুরু করেছে।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
পঠন ও মন্তব্যের জন্য নীল ভ্রমর আর ওডিনকে অনেক ধন্যবাদ।
নীল ভ্রমরের সাথে একমত। তবে আমি মনে করি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রত্যাশাটা একমাত্র কারণ না হলেও ফ্যাক্টর হিসেবে বিরাট, যা এই সরকারকে ভোটযুদ্ধে জিততে সাহায্য করেছে। এ কারণেই তানবীরা আপার মন্তব্যটা আবার উল্লেখ করছি - "এবার বিচার না হলে আওয়ামী লীগ তার বিশ্বাসযোগ্যতাও হারাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে। "
ওডিন, জামাতীরা এখন দৌড়ের উপর আছে। আমরা চাই দড়িতে ঝোলাতে।
পক্ষিপ্রেমিক নিজামি-
########দের নার্ভাস ব্রেকডাউন মনে হয় শুরু হইয়া গেসে!
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
পক্ষীপ্রেমিক? আমি তো বলি পক্ষীপূরীষ
আমি অনেক শিক্ষিতকেই (সুশিক্ষায় শিক্ষতদের মধ্যেও) বলতে শুনেছি যে জামায়াতী ইসলামী হছে বাংলাদেশের একমাত্র গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং এই দল আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় আসবে। কারণ হিসেবে তারা বলে যে তাদের মতো পরিকল্পিত কোনো রাজনৈতিক দল নেই। আমি এই মত বিশ্বাস করি না।
চালিয়ে যা বিপ্লবী। আমি বিশ্বাস করি তুই সত্যিকারের বিপ্লবী।
---মর্তুজা আশীষ আহমেদ
আশীষ, আমিও বিশ্বাস করতে চাই না যে সোনার বাংলায় কখনও সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী মোল্লাতন্ত্র চালু হবে। কিন্তু আমাদের ভুল করার কোন অবকাশ নেই, আমাদের ক্ষুদ্র অবহেলার কারণেই হয়তো সেই সুযোগ ওদের চলে আসতে পারে। আমাদের সকলেরই উচিৎ যার যার অবস্থানে থেকে এই বিপ্লব চালিয়ে যাওয়া। এই বিপ্লব হল দেশের সাধারণ মানুষকে আর নতুন প্রজন্মকে, যারা রাজনীতি বুঝে না বা "বুঝতে চায় না" তাদেরকে সচেতন করা এইসব নরপিশাচদের ব্যাপারে। আর শুধু ব্লগিং করে হাতি-ঘোড়া মারা যাবে না, সক্রিয়ভাবে মাঠে নামার লোক চাই।
আছেন কেউ ভাই?
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
______________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
আশীষ, আমিও বিশ্বাস করতে চাই না যে সোনার বাংলায় কখনও সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী মোল্লাতন্ত্র চালু হবে। কিন্তু আমাদের ভুল করার কোন অবকাশ নেই, আমাদের ক্ষুদ্র অবহেলার কারণেই হয়তো সেই সুযোগ ওদের চলে আসতে পারে। আমাদের সকলেরই উচিৎ যার যার অবস্থানে থেকে এই বিপ্লব চালিয়ে যাওয়া। এই বিপ্লব হল দেশের সাধারণ মানুষকে আর নতুন প্রজন্মকে, যারা রাজনীতি বুঝে না বা "বুঝতে চায় না" তাদেরকে সচেতন করা এইসব নরপিশাচদের ব্যাপারে। আর শুধু ব্লগিং করে হাতি-ঘোড়া মারা যাবে না, সক্রিয়ভাবে মাঠে নামার লোক চাই।
আছেন কেউ ভাই?
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
______________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
আমার বক্তব্যে ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দেবেন ।
কোনভাবে কি ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা যায় না ? আমার মতে ধর্ম একটা একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যপার, এটা নিয়ে রাজনীতি করার কোন মানে হয় না।
ধন্যবাদ।
>< আসেন ভাই বুকে আসেন ><
আমরা এরকম একটা উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছি এক্টিভলি, আপনি চাইলে আসতে পারেন, ডেডিকেটেডদের জন্য দরজা খোলা।
"অকুতোভয় বিপ্লবী"
______________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে।
নতুন মন্তব্য করুন