ঘাস লতা গাছ পাতা আর পেঁকের গন্ধ শুঁকে শিশুকাল
হারিয়ে, নতুন কিছুর গন্ধে পতিত।
উৎস খুঁজতে কয়েক প্রকার পেয়ে আরো
ভয়গুণে কাটিয়ে দিলাম চাওয়া সমেত কৈশোর।
বড় হতে থাকা আমি মাত্র যুবক
ঝাঁঝালো গন্ধের কতো প্রকার
আগত বহুল মিশ্রনের একটা গন্ধ
হয়তো বেহুঁশটানে হবে তা মেশকে আম্বর
খুঁজি নাম তার ঘাটাঘাটি অভিধান
হাতে ধরিয়ে দেওয়া হলো যুবা সংবিধান
প্রতিটি ধারার একই স্লোগান
ঘরের বড়ো ছেলে, চিত্ত রাখো পিন্জরে-শরীর করো মেঝেতে দান
রাখো সমাজ সমুন্নত পরিবারের রাখো মান
অপারগ নীরবতায় দেহ, ভিন্ন মতবাদের বিপ্লবী মন
স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখি তারাতে আকাশ মাখা
জলছে নিভছে জোনাকি পোকা
আঘোষিত দীর্ঘ দৌড় প্রতিযোগিতা
অস্থিরতার আমরন ছুটায় এগিয়ে গেল মন
ধাক্কা খেলো প্রতিমায়- যেন আমারই মতোন
পাই রংগের গন্ধ, ঐ যে! ঝাঁঝালো গন্ধ
গলে যায় অনেক সময়
বলা হয়নি কিছু
দেহ মন ঐকতার অভাবে
হয়ে যাবে।
ঘরের অগনিত ছোট সন্তানদের একজন, একদিন
অর্জন করে নিল প্রতিমা, আমার এক হবার অযোগ্যতায়।
অবশেষে হলো এক দেহ মন, করছে মৌন মিছিল
জল গড়ায়ে চোখে-ডুকড়ে ডুকড়ে-মা, ওমা?
সংশোধন হলো সংবিধান, আমাকে দেওয়া হবে একখানা চির পরীজান
এভাবেই রচিত থাকে কিছু মানুষের পরবর্তি পূর্ব জীবন বিধান।
মজনুভাই
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন