জীবনের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৮/১১/২০০৯ - ১২:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধড়মড় করে ঘুম থেকে জেগে উঠলাম।কি যেন স্বপ্ন দেখছিলাম;আধো আলো আধো অন্ধকারে বদ্ধ ডোবা,ছোপ ছোপ রক্ত নাহ মনে পড়ছেনা।উঁকি দিয়ে আকাশ টা দেখেই মুঠোফোনে এ হাত বাড়াই।আটটা!ঘরের দিকে তাকাতেই মেজাজ বিগড়ে যায়।পুরো ঘর এলোমেলো হয়ে আছে।আজ এই ঘর টা ছেড়ে দেব।আমার র নিরার শৈশব,কৈশোর,এতোদিনের ছড়ানো জীবন বোচকা বেঁধে রওনা হব ;কোথায় ?এখনো ঠিক করিনি।খুব চা খেতে ইচ্ছে করছে।নিরা থাকলে বানিয়ে বলত আপুনি ,খেয়ে আমার জন্য রাখিস একটু।আমাদের ২ বোনের সংসার;সংসার এর দু চারটে জিনিস র আমার কিছু বাদে সবই নিরার।ওর রংতুলি,ওর ছবি,ওর গাছগুলো সবকিছুই নিরার অথচ গোছানোর জন্য পাগলিটা আজ পাশে নেই।আচারের বোয়ামগুলো তুলতে গিয়ে ভাবি খুব আচার খেত নিরা।এইতো সেদিন ওর ইন্টার রেসাল্ট দেবার আগের রাতে এসে বলল আপা ছাদে যাবি?আমি বলি কাল রেসাল্ট দেবে সেই দুঃখে লাফ দিবি নাকি?ও বলল চলনা যাই দুজন ছাদে পা ঝুলিয়ে বসে আচার খাব আর শোন,আমি এ+ পাব তুই দেখিস আর যদি না পাই তাহলে পড়াশোনা ছেড়েদেব।তুই আমাকে বসে বসে খাওয়াবি।পরদিন চারটায় মুঠোফোনে কাঁপা হাতে কল করি ,কি খবর?ওপাশ থাকে নিরা চেঁচায়, পেয়ে গেছিই।আমি মিস্টি নিয়ে অপেক্ষা করি আমার নিরার।ছটা....সাতটা......আটটা নিরা ফেরেনা!আমি পাগলের মত ওর সব বন্ধুর কাছে ফোন করি ,আশেপাশে গিয়ে বলি নিরা এসেছে?রাত দশটায় পুলিশ স্টেশনে রিপোর্ট লেখাই।সারারাত নির্ঘুম কাটে ,সকালে পুলিশ এসে বলে আপা নিরাকে পাওয়া গেছে ,আপনি আসুন।একটা বদ্ধ খালের পাশে যাই ,এইতো নিরা!........................................................................................................নগ্নও মৃত!!!!!!...................................................................................................ঠিক দু মাস চলে গেছে আমার নিরা নেই।কাল বাড়িওয়ালার ছেলেটা হঠাৎ এসে বলল আপা ,একটা কথা...........................................................................................................নিরার মোবাইল ক্লিপিংস বাইর হইছে!


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অনুগ্রহ করে
১। যতি চিহ্নের পরে একটা স্পেস দিবেন, আগে না। অর্থাৎ "... ঘুম থেকে জেগে উঠলাম।কি যেন স্বপ্ন ..." হবে "... ঘুম থেকে জেগে উঠলাম। কি যেন স্বপ্ন ..."

২। প্যারা করে দিন পড়তে সুবিধা হবে

৩। লেখার বিষয়টা বেশ ভালো এবং হৃদয় ছোঁয়া। কিন্তু উপস্থাপনটা আরেকটু ভালো হতে পারত। যেমন, নিরাকে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারতেন, নিরার ভালো মন্দ জানিয়ে আমাদের মাঝে ভালো লাগাটা বাড়াতে পারতেন। তাহলে শেষটা আরো হৃদয়গ্রাহী হত।

লেগে থাকুন। আপনি আরো ভালো করতে পারবেন মনে হচ্ছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

্রাত জাগার ক্লান্তি আর বাংলা টাইপিং এভাবে গল্পের রাশ টানার কারন হিসেবে জুতসই মনে না হলে ও এ দুটোই কারন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে*নক্ষত্র

অতিথি লেখক এর ছবি

কনগ্রাটস মাদমোয়াজেল!!! আমি জানতাম তুই পারবি,আর তোর মাথায় "সচলপোকা" ঢোকানোর পুরো ক্রেডিট যেহেতু আমার...আইসক্রিম না খেয়ে কিন্তু ছাড়ছি না...অনেক ভালবাসা রইলো! *তিথীডোর

অতিথি লেখক এর ছবি

আদেশ শিরোধার্য ম্যাম!*নক্ষত্র

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে, তুইও * ? হাঃহাঃহাঃ... *তিথীডোর

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

লেখকের নামটা কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

নক্ষত্র

বইখাতা এর ছবি

আমাদের সমাজে, আমাদের চারপাশে, আমাদের সাথেই মিশে আছে অনেক অসুস্থ মানুষ।

লেখা ভালো লেগেছে, তবে এই লেখাটাই আপনি চেষ্টা করলে আরো হৃদয়গ্রাহী করে লিখতে পারবেন মনে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম লেখা বলেই হয়ত এক্টু অগোছালো।ধন্যবাদ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

গল্পের শেষের ধাক্কা অনেক বড়ো। তবে শুরুরটা ভালো হলে এই ধাক্কা আরো অনেক বেশি হতো পারতো। রিফাতের কমেন্ট পড়ে মনে হলো আপনি সচলে নবাগত। স্বাগতম। বেশি বেশি লিখুন।
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম লিখছি বলেই হয়তো গোছানো না।ধন্যবাদ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌বাংলাদেশে এরকম গল্পের সংখ্যা যেন কমতে থাকে।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

একই কামনা আমার ও!

অতিথি লেখক এর ছবি

একই কামনা আমার ও

রেশনুভা এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

তিনবার পড়লাম। শেষের দিকে মন কেমন হুহু করে ওঠে।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অতিথি লেখক এর ছবি

তিনবার পড়েছেন জেনে ভাল্লাগলো!*্নক্ষত্র

অতিথি লেখক এর ছবি

তিনবার পড়েছেন জেনে ভাল্লাগলো!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

খালি উপস্স্থাপনাটা আরেকটু সুন্দর হলে এটাকে একটা দুর্ধর্ষ অনুগল্প বলে দেয়া যেতো। যাকগে, আপনি নতুন লেখক যেহেতু- এটা নিয়ে বেশি গুঁতানো উচিৎ হবে না-...
আপনার আরো গল্পের আশায় রইলাম।

______________________________________________________

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা ভালই হল বলা যায়নি।প্রথম দিনেই দুর্ধর্ষ বলা হলে একটু বেশি হয়ে যেত!মাটিতে পা তো আমাকেও রাখতে হবে!

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক
সচলে স্বাগতম
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম। লেখাটা অসম্ভব ভালো লাগলো, কেন যেন... আরও লিখুন, নিয়মিত।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম লেখা কি হল(!) সেটা নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম!নিয়মিত লিখতে বলছেন অনেক ধন্যবাদ

ভণ্ড_মানব এর ছবি

আরে আপনি যে! আমরা না একসাথে কলেজে পড়তাম? সচলায়তনে স্বাগতম। হাসি
লেখার কাহিনীটা অসাধারণ...তবে আরো একটু গুছিয়ে লিখতে পারতেন। আরে আমি কি আপনেরে উপদেশ দিতেছি, আমি নিজেই তো দুনিয়ার অগোছালো। মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম রল্ নং ৩৮৩!অনেক ধন্যবাদ!লেখাটা একটু তাড়াহুড়ায় লেখা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।