অদ্ভুত এক রোগের কবলে আমি
মিঠুন কুমার সমাদ্দার
“তোর তো মামা ওষুধ ফুরায় গেছে” হাসতে হাসতে একদিন একথাটা বলেছিলেন সুবর্ন আর্য্য( ছোটোকাগজ কর্মী, ছড়াকার) এই কথাটা আমাকে মাঝে মাঝে ভাবায় আসলেই কি আমার ওষুধ ফুরাইছে? কোনো কিছুই ভাল লাগছে না ইদানিং, ভাল করে কথা বলতে পারছি না সবার সংগে। যেমন ধর কোনো মিটিং এ কথা বলতে গেছি কথার মাঝ খানে আটকে গেছি.... “তারপর কি হবে, ঔ বলিস না ক্যানরে” এই হল অবস্থা। বেশী বেশি কাজ করতে হবে সেটা তো বাবা ঠিক আছে কাজ তো হচ্ছে কিন্তু কোথায় যেন কি হচ্ছে মাঝখানে গিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলচি, এই যেমন ধর দুদিন আগের ঘটনা বলি মার্কেটে গেলাম পকেটে অনেক টাকা( যেটা সচারচর থাকে না) মডেম, ওয়েভ ক্যাম, হেড ফোন সব ই কেনা হল, ঈদ এল কিন্তু কেমন যেন ভাল লাগছে না। তার মানে কোনকিছু ঘটার আগে আমি উৎফুল্য থাকছি আর ঘটনার প্রাককালে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আর কথা শুনছেন না। আরে ভাই আমার তো ওসব লাগবে না এখন যা আছে তা নিয়েই বাজি ধরে এসেছি এতদিন, তাহলে কেন অন্য ভাবনা ।
আসলে, কথায় কাজে ব্যাটে বলে মিলছে না, কষ্টে থাকি, ভয়ে থাকি নিজের কথার ই না বরখেলাপ করে ফেলি, তাহলে একি আমাতেই প্রবলেম? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন কনফিউশন থাকলে থিম ডেভেলপ করা যায় না। ( আমি যখন নিজেই ভগবান) না বাবা তোমার জায়গায় তুমি একা থাক ভগবান, আমি আছি এখানে আমাদের দলে, না না এখানে আমি বলে কিছু নেই। সব জায়গাই আমরা আর আমাদের। ব্যাস শুরু হয়ে গেল প্রাকটিস, আমরা, আমরা খেলা, যুক্তি দাড় করানো গেল খেলাটার, গ্রুপ ইফোর্ট বাড়ে। বাহ ভালই চলছে খেলা...........কিন্তু চিন্তা কর ভয় এখানে ও আছে......আমি কি বলছি তুমি কি বুঝছো ? বোঝো নাই? আরে তা বলবা না? আমরা যে খেলাটা খেলছি তা মনের শান্তির জন্য, গ্রুপ ইফোর্ট বাড়ানোর জন্য তার যদি বরখেলাপ হয় তাহলে তো শান্তির মা কাদবেই, তোমাকে শিউর করার জন্য বলছি তুমি কষ্ট করে এই লেখাটার শিরোনাম দেখো; কি বুঝছো এবার ?
ওখানে লেখা “অদ্ভুত এক রোগের কবলে আমি” কি হল এটা, এটা তো হবে না, খেলব না যাও, নিয়ম অনুযায়ী ওখানে হবে “অদ্ভুত এক রোগের কবলে আমরা” (আরে জোস তো) দাদা একটু ভাবো কথাটা অদ্ভুত এক রোগের কবলে আমরা ...........তুমি হয়ত বলবে “কি জানি তোর যত সব পাগলামি” কিন্তু দাদা কিছু তো একটা হয়েছেই নইলে কম হ্যাপা হলে কি ভগবান এতরাতে কিবোর্ড কোলে নিয়ে বসে। আচ্ছা শোনো একটু বেশী সিরিয়াস কথা বলে ফেলছি না! তাহলে শোনো এই যে বললাম কিবোর্ড ওটাও একটা সমস্যা যেমন দেখ আগে লিখতাম কাগজে কলম দিয়ে তারপর আলিফ ভাই টাইপ করতো আর আমি ও সরি আমরা তাকায় থাকতাম ও বাবা আমাদের লেখা কম্পোজ হচ্ছে ...হয় এভাবেই হয় আস্তে আস্তে আমরা খাতা ছাড়ি কি বোর্ড ধরি....ধুর ওটাও পুরোনো হয়ে গেছে এখন তো আমরা ডিজিটাল কবি হয়ে যাচ্ছি। এখন অনেক কবির পান্ডুলিপি হল ফেসবুকের নোটগুলো (চিরকুট) বুঝলে দাদা ওসব আমাদের দিয়ে হবে না। (চলবে)
মন্তব্য
আপ্নাদের দোষ দিয়ে লাভ নাই। আমার এন্টেনাটা একটু বেশী খাটো...সব খালি উপর দিয়া যায়...
তয় পইরা ক্যামনি য্যন লাগ্লো।।
নীল ভূত।
এইটা কী বস্তু???!!!
সচলে স্বাগতম মিঠুন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এলেবেলে এলেবেলে, ঐ দেখ কিশোরী নাচে
নতুন মন্তব্য করুন