গল্পঃ "ফুলের মালা।"

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৬/১২/২০০৯ - ১০:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকালে বিলম্বে ঘুম থেকে উঠে রুটিন কাজ গুলি সম্পাদন করে বেড় হতে দেরি হয়ে যায় সোহানের। রাস্তার যে মোড়ে অফিসের গাড়ি ঠিক আটটা ত্রিশ মিনেটে এসে দাঁড়ায় সেখানে পৌছে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৮:৩৫মিনিট। নিজের উপর নিজেই বিরক্ত হয়। ভাবে কেন যে প্রথম এলার্ম বাজার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠলাম না। অগত্যা কি আর করা সিএনজি স্কুটার বা ক্যাব ড্রাইভারের মন জয়ের জন্য সাত-সকালে আঁকুতি-মিনতি খেলা শুরু করে। এই রকম মাঝে মাঝে হয়। তখন কোন ড্রাইভার সদয় হলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন ভাড়া হাঁকে, গোমড়া মুখে অফিসে ঢুকতে হয়। আজ সোহানের জন্য তেমন একটি দিন। বড় বিরক্তিকর এই কাজ। ড্রাইভারদের ভাব দেখলে মনে হয় আমাদের করুণা করছে, বিনে পয়সায় বহন করে চলছে। একটা ট্যাক্সি ক্যাব আসতেই সোহান এগিয়ে গেল। উইন্ডো দিয়ে মাথা দিয়ে ড্রাইভারকে বলল-"যাবেন গুলশান-২?" সোহানের কথার সুর যেন তার কাছে বেসুরে মনে হল। কোন কথা না বলে মাথা দু'দিকে ঝুলিয়ে জানিয়ে দিল যাবে না। প্রত্যাখান হয়ে সোহান আবার ফুটপাতর উঠে দাঁড়াল।

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে নয়টা বাজে। আজ নির্ঘাত ১ঘণ্টা বিলম্ব হবে, সেটাও আবার নির্ভর করে রাস্তার জ্যামের উপর। ১ঘণ্টা বেড়ে ২ঘণ্টা হলেও কিছু করার থাকবে না। কিন্তু বসের অনেক কিছু করার থাকবে, অনেক কিছু বলার থাকবে, যা নীরবে চোখ -কান বন্ধ করে সয্য করতে হবে। আরেকটা সিএনজি আসতে দেখে সোহান ফুটপাত থেকে নেমে এল, হাতের ইশারায় থামাল। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করল-"ভাই গুলশান-২ যাবেন?" সিএনজি ড্রাইভার সোহানের দিকে একবার আপদমস্তক চেয়ে নিয়ে বলল-"যামু, তয় ১৫০টাকা লাগবো।" সোহান জানে ওখান থেকে সিএনজিতে তার অফিস যেতে সর্বোচ্চ ৮০টাকা লাগে, কিন্তু এখন দর দামের সময় নেই, সময় নেই তাকে কিছু বলার। অসহায়ের মত উঠে বসে।

বিজয়স্মরণীর মোড়ে বিশাল ট্রাফিক জ্যাম। সারি সারি গাড়ি পঙ্গু হয়ে পড়ে আছে। যেন কেউ তুলে না দিলে যাওয়ার উপায় নেই। বিরক্তির চরম পর্যায়ে সোহান। এর মধ্যে পথ ভিক্ষুকদের উৎপাততো আছেই। আছে নানা জতীয় ভ্রাম্যমান হকারদের যন্ত্রণা। আট-নয় বছরের একটা মেয়ে কিছু সিউলি ফুলের মালা নিয়ে গাড়ি গাড়ি ঘুরছে। কেউ কিনছে না। মেয়েটা তার সিএনজির কাছে এসে মাথাটা সিএনজির ভেতর দিয়ে বলে-"স্যার একটা মালা নেন, আফা(আপা)রে দিয়েন। তাজা সিউলি মালা, আফা অনেক খুশি অইব।" সোহানের মেজাজটা অনেক উতপ্ত ছিল কিন্তু মেয়েটার মায়াভরা মুখ দেখে সে আর রাগ করতে পারল না। সে তাকিয়ে দেখল মেয়েটার বড় বড় মায়াভরা দুটি চোখ, যেখানে আছে দারিদ্যের নির্মম কষাঘাত। আছে বিস্ময়, আছে মানুষের প্রতি অবিশ্বাস। চিকন দুটি ঠোট শীতের আগমনী বাতাসে ফেটে চৌচির। নাতিদীর্ঘ চুল গুলি পরিচর্যার অভাবে এলোমেলো। শরীরে ময়লা জামা। মৃদু শীতে শরীরে হালকা কাঁপন আছে। মেয়েটাকে দেখে সোহানের চিন্তা হঠাৎ মোড় খেল। অফিসের চিন্তা আর পথের জ্যামের যন্ত্রণা ভুলে মেয়েটার দিকে স্নেহভরা দৃষ্টি নিয়ে তাকাল। পকেট থেকে ওয়ালেট বের করে জিজ্ঞেস করল-"কয় টাকা করে? কয়টা আছে?" মেয়েটা হাত দিয়ে গুনে বলল-"পাঁচটা আছে, পাঁচ টাকা করে। সব গুলি নিলে কমায় দিমু।" সোহান বলল -"কমাতে হবে না, সব গুলি দে।" মেয়েটা মালা গুলি হাতে তুলে দিয়ে টাকা নিয়ে একটা তৃপ্তির হাসি দিল। মহাখুশিতে শাবক হরিণীর মত লাফাতে লাফাতে ফুটপাতে উঠে গিয়ে সোহানের দিকে চেয়ে রইল।

দীর্ঘ বিশ মিনিট পর গাড়ি চলা শুরু করল। বিরক্তি এখন কমে এসেছে। সব কিছুর একটা সর্বোচ্চ পর্যায় থাকে যেখানে থেকে আবার কমতে থাকে। বিরক্তি জিনিসটাও তেমনি। হাতে পাঁচটা তাজা সিউলি ফুলের মালা। মালা দেবার মত তাঁর কেউ নেই। বিলম্বে অফিস গিয়ে বসকে মালা দিলে উল্টো ধোলাই দিবে। তাছাড়া আরেকটা ভাবনা মাথায় এল, ফুল নিয়ে অফিসে ঢুকলে সবাই অন্য কিছু ভাবতে পারে যেটা আরো বিরক্তিকর হবে। অন্যায় না করে সাজা ভোগের মত ব্যাপার হয়ে যাবে, যেটা আরো বেশি পীড়াদায়ক। মালা গুলি ভালো করে দেখল। নাকের সামনে ধরে ঘ্রাণ নিল। মেয়েটার কথা মনে পড়ল-"স্যার নিয়ে যান আফা(আপা)য় খুশি হবে।" সোহান একা একাই একটু হাসল। বাহিরের দিকে তাকাল। যান্ত্রিক বাহন গুলি বিরামহীন ভাবে ছুটে চলছে। সবার চোখে মুখে ঘুমের একটা অতৃপ্ত ছাপ। কেউ কেউ গাড়িতে চোখ বন্ধ করে অপূর্ণ ঘুমটাকে পূর্ণতা দেবার চেষ্টা করছে।

সিএনজি যতই অফিসের কাছাকাছি আসতে শুরু করল, সোহানের মনের ভেতরে মালা নিয়ে কি করবে সেই ভাবনা ততই দানা বাঁধতে লাগল। কোন রকম চিন্তা না করে পাঁচটা মালা কিনাকে এখন নেহায়েত পাগলামি মনে হচ্ছে। আসলে মেয়েটার মায়াভরা চোখ দেখেই সাত-পাঁচ না ভেবে কেনা। আমরা অনেক কিছুই করি যার ভাবিষ্যত ভাবি না। আজকের মালা কিনার ব্যাপারটা সোহানের সেই রকম একটা কাজ। ভাবনা স্যাটেলাইটের মত মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে। কিছুতেই সমাধান খোঁজে পাচ্ছে না। গাড়ি ততক্ষণে গুলশান-১ এর সার্কেলে আবার জ্যামে আটকে গেল। ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখে ৯:৫০মিনিট। তাঁর মনে হচ্ছে হাতের মালা গুলি তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসছে। সে লজ্জা পেয়ে গেল। একটা নয়, পাঁচটা মালা। এই পাঁচটা মালা নিয়ে অফিসে ঢুকলে কি প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেই ভাবনায় সে শংকিত। একেতো বিলম্ব তার উপর পাঁচ পাঁচটা তাজা সিউলি মালা! আর ভাবতে পারে না সোহান। সে যেন কলিগদের ঠাট্টা-মস্করা এখান থেকেই শুনতে পারছে।

ঢাকা শহরের যেখানেই ট্রাফিক জ্যাম সেখানেই এখন ভ্রাম্যমাণ হকারদের উৎপাত। বই, পানি, ফুলের মালা, বাচ্চাদের প্লাস্টিকের খেলনা, বাদাম, নানা জিনিসের পসরা। ভ্রাম্যমান হকার ছুটে যায় গাড়িতে গাড়িতে সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে। সোহান ফুলের মালা বিক্রি করে এমন কাউকে খুঁজছিল। মালাগুলি তার হাতে তুলে দিয়ে মুক্তির পথ খোঁজে পাওয়া আর কি। কিন্তু সব সময় সব চাওয়া পূর্ণ হয় না। এখানে সব ধরনের হকার আছে কিন্তু কোন ফুলের মালা বিক্রেতা নেই। ট্রাফিক পুলিসের উপরে তুলে রাখা হাতটা নিচে নামতেই আবার গাড়ি গুলি সচল হয়, ছুটতে থাকে গন্তব্যের দিকে। মালা গুলি নিয়ে কি করবে সেই ভাবনায় সোহান রীতিমত ঘামছে। একবার ভাবে রাস্তায় ফেলে দিবে, আবার ভাবে ফুলকে এইভাবে রাস্তায় ছুরে মারা ঠিক হবে না। মানুষ এর বিপরীতটা ভাবতে পারে ভেবে থেমে যায়।

মালা গুলিকে কোন ভাবে লুকিয়ে নিয়ে অফিসে ঢুকে। নিজের ডেস্কে গিয়ে বসে হাফ ছাড়ে। সাইড ডেস্কে মালা গুলি রেখে পানি পান করে। এদিক-ওদিক তাকায়। কেউ লক্ষ্য করেছে কিনা সেটা নিয়ে ভাবে। বসের রুমের দিকে তাকিয়ে দেখে রুম ফাঁকা। স্বস্থির নিঃশ্বাস ছাড়ে। ডেস্কটপটা অন করে আপেক্ষা করে। নিজের ডেস্কটা গুছিয়ে রিলেক্স হয়ে বসে। নিজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকিছিল সেই গুলি শেষ করার জন্য মনোনিবেশ করে। "ভাইয়া আসতে পারি?" একটা নারি কন্ঠ সোহানের কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। মনিটর থেকে মুখ তুলে সামনের দিকে তাকায়। দেখে স্নিগ্ধা দাঁড়িয়ে। "আসুন" বলে অনুমতি দেয়। সোহানের ফুলের দিকে চোখ যায়। মনে খচখচানি কাজ করে। স্নিগ্ধা দেখলে কি ভাববে, সেটা ভাবে। কিন্তু লুকাতে পারে না। কারণ স্নিগ্ধা সোজা তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। স্নিগ্ধা চেয়ারে বসতেই সাইড ডেস্কে রাখা সিউলি মালার দিকে চোখ যায়। আনন্দে নেচে উঠে, চেয়ার থেকে উঠে ঝুকে গিয়ে মালা গুলি হাতে নিয়ে বলে-"বাহ সুন্দরতো। কার জন্য এনেছেন?" সোহান কি বলবে বুঝতে পারে না। স্নিগ্ধা আবার বলে-"নিশ্চয়ই আমার জন্য? সোহান কোন কথা বলতে পারে না, নির্বাক হয়ে চেয়ে থাকে। স্নিগ্ধা মালা গুলি হাতে নিয়ে চেয়ারে বসে। কয়েকটা মালা তার চুলে গুজে নেয়, একটা মালা হাতে পেঁচিয়ে নাকের সামনে ধরে ঘ্রাণ নেয়। স্নিগ্ধার চোখে মুখে আনন্দের হিল্লোল খেলা করে। সোহান চেয়ে দেখে আর মেয়েটার কথা মনে করে-"স্যার একটা মালা নেন, আফা(আপা)রে দিয়েন। তাজা সিউলি মালা, আফা অনেক খুশি অইব।"
====
ডি‌, এম, কামরুজ্জামান।


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

ভাই দলছুট - শেষ পর্যন্ত এক চরিত্রের নাম 'স্নিগ্ধা'!!!!!

আচ্ছা, টেকসই দড়ি+কলসি কোথায় পাওয়া যায় বলতে পারেন????

সবজান্তা এর ছবি

আমার কাছে আছে। তবে শর্ত এইটাই, ব্যবহারের পর ফেরত দিতে হবে। আগে যতজনকেই ধার দিসি, কেউ আর ফেরত দেয় নাই।


অলমিতি বিস্তারেণ

স্নিগ্ধা এর ছবি

আল্লাহ্‌র কসম ফেরৎ দিবো, তাও পাঠায় দাও মন খারাপ

কলসি মেইল করা ঝামেলা হইলে শুধু দড়িটাই নাইলে পাঠাও ......

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আগে যতজনকেই ধার দিসি, কেউ আর ফেরত দেয় নাই।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি , স্নিগ্ধাপু!! আজকে আপনার সচল জীবন পরিপূর্ণ হইল চোখ টিপি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

স্নিগ্ধা আপু নামটিতো আপনি কপি রাইট করে নেননি, তাই নিতে সংকোচ করিনি। তবে আপনার অহমিকা দেখে মনে হলো নামটা আপনার কপি রাইট করা। তাই আপনার বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করার জন্য দুঃখিত। কষ্ট করে অখাদ্য খাওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ডি,এম, কামরুজ্জামান। (দলছুট)

স্নিগ্ধা এর ছবি

শুনুন দলছুট, নামের কপিরাইট আমার থাকলে এতোক্ষণে শুধু শ্লেষ না করে হয়তো মামলাই করে বসতাম! আমার বিরক্তির কারণ বুঝতে আপনার এতো সমস্যা যে কেন হচ্ছে, সেটাও আশ্চর্য!

প্রথমদিকে খুবই ভদ্রভাবে আমি আপনার লেখার সমালোচনা করেছি, সময় নিয়ে পড়ে আমার মতে কোন কোন জায়গায় সমস্যা সেটিও দেখিয়েছি - অর্থাৎ একেবারে 'গঠনমূলক' যাকে বলে! মনে না থাকার কোন প্রশ্নই ওঠেনা। তারপরও, স্মৃতিবিপর্যয় ঘটে থাকলে পড়ে দেখে ঝালিয়ে নেবেন। এবং সেই দলে শুধু আমিই ছিলাম না, আরও অনেক সচলই ছিলেন। আপনি তখন ভয়ংকর বিনয় সহকারে ধন্যবাদ টাদ দিয়ে সেই একই অযত্নে লেখা, অজস্র ভুল বানানে ভরা, অশুদ্ধ ব্যকরণে আক্রান্ত গল্প একের পর এক দিতেই থাকলেন - এবং সেটা আবার ছদ্মনামে!!! যতবারই আপনাকে বলা হলো - আমরা বুঝতে পারছি এটা 'দলছুটের লেখা', ততবারই আপনি প্রবল প্রতিবাদ করে আবার আরেক ছদ্মনামে আরেক লেখা ছাপতে থাকলেন! খুব বেশি আগের কথা তো নয়, মনে পড়ছে নিশ্চয়ই?!

লেখার প্রতি আপনার বিরাট কোন প্যাশন কি অনুরাগ কি অদম্য আকর্ষণ কি যা খুশি তাইই থাকুক না কেন, পাঠক হিসেবে আমাদের বুদ্ধিমত্তা এবং ধৈর্য্যের প্রতি এই তাচ্ছিল্য দেখে আপনাকে আর এক বিন্দু ছাড় দিতে আমি নারাজ।

'স্নিগ্ধা' নামের কোটি কোটি মেয়ে থাকুক, ছেলে থাকুক, এলিয়েন থাকুক কিংবা চেয়ার টেবিল থাকুক - আপনার লেখা গল্পে আমার নেইমসেক চরিত্র দেখলে আমি বিরক্ত হবোই। আপনি সেটা পাত্তা না দিতেই পারেন, আপনার ইচ্ছে, কিন্তু আমার বিরক্তিও আমি প্রকাশ করবোই!

দময়ন্তীর মতো আমিও প্রথম প্যারা পড়েই সন্দেহ করেছি এটা আপনার লেখা, এবং 'কষ্ট করে অখাদ্য' গলাধঃকরণ না করেই স্ক্রোল করে নীচে পৌঁছে দেখলাম .........

তবে, একটা কথা মানতেই হচ্ছে - আপনার মতো অধ্যবসায় আমার থাকলে জীবনে উন্নতি হতো! আপনি সেদিক থেকে আমার চাইতে এগিয়ে!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখার প্রতি আপনার বিরাট কোন প্যাশন কি অনুরাগ কি অদম্য আকর্ষণ কি যা খুশি তাইই থাকুক না কেন, পাঠক হিসেবে আমাদের বুদ্ধিমত্তা এবং ধৈর্য্যের প্রতি এই তাচ্ছিল্য দেখে আপনাকে আর এক বিন্দু ছাড় দিতে আমি নারাজ

চলুক একমত

পাঠকদা প্রথম লেখা থেকেই উনাকে এই কথাটা বুঝাচ্ছেন, এবারে কাহিল হয়ে বাদ দিয়েছেন সে চেষ্টা। মনে হয় না কারো কথা আসল স্থানে পৌঁছাচ্ছে। আর এক গল্পে সচলের ২ টি চরিত্রের নাম মিলে যাওয়াটা কাকতাল মেনে নেয়া বেশ কষ্টকর।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সবজান্তা এর ছবি

অসাধারণ ! সিম্পলি অসাধারণ !

এই একটা গল্পের জন্য অন্তত আপনি মহাকালের গর্ভে একদম পার্মানেন্ট কালি দিয়ে নিজের নাম লিখে ফেললেন।

আমি দীন হীন মানুষ, তবে কোনদিন যদি সত্যি সময় সুযোগ মিলে যায়, তবে আপনার কাছে আসবো। শেখার আছে অনেএএএএএএক কিছু দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

না ভাই আপনারা যেই হারে অসাধারন ও ব্যতিক্রমী লেখা লিখে যাচ্ছেন, তাতে আমার বস্তাপঁচা লেখা কেউ পড়বে না, আর পড়লেও মূলত পাঠকদার মত উগড়ে দিবে। পরিহাস করা ভালো, তাই বলে সব সময় করা ভালো না। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ডি,এম,কামরুজ্জামান(দলছুট)

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

অসাধারণ একটা গল্প। ... অসাধারণ। ... জোস...। চরম হৈসে। অনে-এ-এক ভালো লাগলো।

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

পরিহাস করলেন? আমি জানি, আমি কোন অসাধারন লেখক নই, মনের আনন্দে ও অবসর সময়টা কাটাতে এবং নিজের কিছু ইচ্ছা বা অভিলাষ বলতে পারেন, এর জন্যই লেখা। ভুল আছে, গল্পও হয়তো আপনাদের ভালো লাগেনা, যদি আপনাদের মত বুদ্ধাদের বাহবা কুড়াতে পারতাম তাহলে বাজারে দুই-একটা বই ছাপিয়ে ফেলতে পারতাম।
তবে আপনারা যে সময় নষ্ট করে পড়েন, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ।
ডি,এম,কামরুজ্জামান (দলছুট)

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আহা, পরিহাস মনে করেন কেনরে ভাই ?? আপনার গল্পটা সত্যিই ভালো লেগেছে- আপনি অনেক পরিশ্রম করেছেন প্লট নিয়ে, ভাষা নিয়ে কাজ করেছেন- বানান প্রমাদও কমেছে অনেকখানি। তাহলে এটা ভালো লাগায় আমার কী দোষ বলতে পারেন, ভাই ??

... সত্যি অনেক ভালো লেগেছিলো গল্পটা- কিন্তু আপনার মনে কষ্ট পেলাম।

_________________________________________

সেরিওজা

মূলত পাঠক এর ছবি

সিনেমা পরিচালকদের শুনেছি সিনেমাটিক গল্প পড়লেই ছবি বানাতে ইচ্ছে করে। এই গল্প পড়ে আমার হাত নিশপিশ করছে ছবি আঁকার জন্য। এই লাইনটা যেমন, (স্নিগ্ধা) "আনন্দে নেচে উঠে, চেয়ার থেকে উঠে ঝুকে গিয়ে মালা গুলি হাতে নিয়ে বলে", এই জায়গাটায়, হে পাঠক, ভাবেন দৃশ্যটা। আমাদের পূর্বপরিচিত এক স্নিগ্ধস্বভাবের ভদ্রমহিলা ধেই ধেই করে অফিসের মাঝে নাচতে শুরু করেছেন, একবার পেছনে হেলছেন, একবার সামনে "ঝুকছেন" (অনেকটা মাদল নিয়ে সাঁওতালি নৃত্যের ধাঁচে), তাঁর লাল দুপাট্টা মলমল কা হাওয়া মে উড়ছে আর দু হাতে তাঁর একটি নয় দুটি নয়, পাঁচ পাঁচটি 'সিউলির মালা'! এবং বলাই বাহুল্য, "আফা অনেক খুশি অইছেন"! তারপরে তো "স্নিগ্ধার চোখে মুখে আনন্দের হিল্লোল খেলা করে", এবং এই জায়গাটায় মুখে একেবারে সাতরঙা রামধনু এঁকে দেওয়া যায়। তিনি দেখলাম দড়ি কলসীর খোঁজ নিচ্ছেন, পাঁচটা মালাও যথেষ্ট হলো না? টঁেকসইটাই বড়ো কথা হলো? দুষ্কু পেলাম প্রচুর।

সময়াভাবে আজকাল পড়াই হয় না বেশির ভাগ লেখা, কী ভাগ্যিস এইটা পড়লাম! ওয়েলকাম ব্যাক, ডি‌, এম, কামরুজ্জামান সাহেব।

স্নিগ্ধা এর ছবি

তারপরে তো "স্নিগ্ধার চোখে মুখে আনন্দের হিল্লোল খেলা করে", এবং এই জায়গাটায় মুখে একেবারে সাতরঙা রামধনু এঁকে দেওয়া যায়।

আপাতত চুনকালি দ্যান, সেটাই আমার প্রাপ্য!

('কলসী' এবং 'টেঁকসই' বানান ভবিষ্যতে ঠিক লেখা হইবে চোখ টিপি )

সাফি এর ছবি

এবং বলাই বাহুল্য, "আফা অনেক খুশি অইছেন"!

-পাঠুদা, আফা বলতে কি বুঝালেন ঠিক বোজলাম না। ব্রা কেটে কি বুঝাতে চাইছেন দিয়ে দিলে অভাগারা খুশী হইতাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

কি ধরনের গল্প আপনার মনপুতঃ হবে আমার জানা নেই, আমি যেটাই লিখি সেটা নিয়েই আপনার বিদ্রুপের শেষ নেই। আপনার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম। গল্প তো কিছু বাস্তব আর কিছু কল্পনার মিশ্রণ? নাকি ভুল বললাম? বাংলা বানানের ভুলটা আমার ছোট বেলা থেকেই। চেষ্টা করছি, এবং মনে হয় কিছুটা কমাতে পেরেছি। আপনাদের সমালোচনা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে, আশ করি আরো করবে।

বই পড়া আমার অভ্যাস, আপনার কথা মত আমি বই পড়া আরো বাড়িয়েছি, কিছুদিন লেখালেখি বন্ধও রেখেছি। চেষ্টা করছি নিজের উন্নতি করার। কিন্তু আপনি যেভাবে বিদ্রুপ করেন, তাতে মনে হয় আপনি যা লিখেন তা জগতের সেরা, সাহিত্যে নবেল বিজয়ী। আপনার সামনে লেখা উপস্থাপন করা দুঃসাহসিক কাজ, সেটা করে অন্যায় করে ফেলেছি।

তারপরও শ্রদ্ধার সাথে বলছি, আপনার সমালোচনা এবং বিদ্রুপ আমার অনেক উপকারে এসেছে। ধন্যবাদ মূলত পাঠক দা।
ডি,এম,কামরুজ্জামান (দলছুট)

সাফি এর ছবি

দলছুট ভাই,
মাইন্ড খাই্য়েন না। বই পড়া আপনার অভ্যাস যেনে ভাল লাগলো। যেকোন লেখা যেকোন খানেই পাবলিশ করার আগে পড়াটাও অভ্যাস করেন, নিজেকে পাঠকের কাতারে রেখে দেখুন এই লেখা সম্পর্কে আপনার নিজের কি ফিডব্যাক হত- তারপরে ছাপুন। তারপরেও যদি পাঠক দলছুটের হাতে লেখক দলছুটের এই লেখা ছাড়পত্র পেয়ে যায়, তাহলে বলতে হবে, পাঠক দলছুটের পাঠেও সমস্যা রয়েছে।
দেখেন ভাই গল্প লেখা খুবই কঠিন, এখানে অনেকেই আছে আমার মতন পাবলিক, লেখালেখি পারেনা, চেষ্টাও আপনার মতন করেনা, আমরা যেটা করি, চারপাশে যা হচ্ছে উগড়ে দেই নিজের ভাষায়। আপনি সচল পড়েন যেহেতু দেখবেন বেশীরভাগ লেখাই এমন। সেভাবেই শুরু করুন না, গল্প না হয় পরে হবে হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বাংলা বানানের ভুলটা আমার ছোট বেলা থেকেই।

ভাইরে ছোটকালে আপনার স্কুলে বাংলার মাস্টার আছিল না? ছোটকালে তো যেসব শব্দ লিখে পোলাপাইন সেগুলা ঠিক করার জন্যে স্কুলে স্কুলে পন্ডিত স্যার থাকেন একজন। মনে হয় সেখানেই ঘাটতির শুরু হয়েছিল, তার উপরে অভিমানের কারণে বানানের আজ এই অবস্থা।

কিন্তু আপনি যেভাবে বিদ্রুপ করেন, তাতে মনে হয় আপনি যা লিখেন তা জগতের সেরা, সাহিত্যে নবেল বিজয়ী।

ভাই নবেল (যেটা বেলের মত না?) কি জিনিস? খায় না মাথায় দেয়? এইটা কি প্রফেসর ইউনুস পাইছিল? নাকি নোবেল পাইছিল? ভাই কামরুজ্জামান, রাজপুত্র হইল ব্লগারদের প্রথম জেনারেশন, কাজেই তার মত অভিজ্ঞ ব্লগাররে উত্তর দেবার সময় একটু খিয়াল কৈরা। সে যদি আইসা আমারে আজকে কয়, যা ব্যাটা ফুট, কিছু পারস না, আমি কিন্তু মাথা নিচু করে চলে যাব।

সচলে গল্প লেখেন কারা, একটু ভালো করে লক্ষ করলেই বুঝবেন, লীলেনদা, হিমুদা, জাহিদ ভাই ইনারা অভিজ্ঞ গল্প লেখক, আবার নতুনদের মাঝে বইখাতাপু, সুহান এদের লেখা পড়ে দেখেন। এত ভালো লেখার পরেও লীলেনদা ক্যাটেগরী দেন আবজাব। আমার মত পাতি ব্লগার যারা লেখেন, তারা ব্লগরব্লগরই লেখেন। একটু চেষ্টা করে দেখেন না সেটা।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তুলিরেখা এর ছবি

হি হি হি হি।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ওসিরিস এর ছবি

মাঝে কিছুকাল সচলে ঢু মারিনি। আপনার এই লেখা টি পড়ে আগের লেখাগুলোও একবার চোখ বুলিয়ে আসলাম।

ঠিকাছে, তোফা হইসে।

***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সিউলি? এটা কোন ফুল?
শিউলী ফুল চিনি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক এর ছবি

ধুরো মিয়া, বানান ভুল ধরেন যদি তাইলে আগাগোড়া ধরেন, একপিস কইলে ক্যাম্নে কী? নাইলে "জিন্দেগি কা মজা" ন্যান।

সাফি এর ছবি

এটা কোরিয়ান ফুল। সিউল শহরে তৈরী।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বস... বানান আর ব্যাকরণ ভুল এতো বেশি... ধরে ধরে লেখার সময় নাই... বেসিকটা নিয়া বললাম তাই... যে বের না হয়ে বেড় হয়... তাকে বেড় হতে দেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বিমূর্ত! পুরা "জিন্দেগি কা মজা" (কপিরাইট: মূলো'দা) নিলাম।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

দময়ন্তী এর ছবি

আমি আর পুরোটা পড়তে পারলাম না, ঐ 'প্রত্যাখ্যান হয়ে' পর্যন্তই পড়ে 'বিস্ময় হয়ে' স্ক্রোল ডাউন করে সোওজা মন্তব্যে চলে এলাম৷ আমার না মুখের মধ্যে দুই আঙুল পুরে পুইইইপ্পুইইইইই করে সিটি দিতে ইচ্ছা করছে৷ দিলে কি মডুবাবারা খুব রাগ করবে?
তবে মডুবাবাদের কাছে অনুরোধ এনার সমস্ত কীর্তিকলাপ একটা আলাদা ব্লগে সরিয়ে রাখার জন্য৷ ওটা বেসলাইন ব্লগ হিসাবে গণ্য হবে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ওটা বেসলাইন ব্লগ হিসাবে গণ্য হবে৷

চলুক চলুক

...'কুংফু পান্ডা' নামের এনিমেশনটা দেখেছেন কেউ ?? সেখানে নিতান্ত আনাড়ি এক পান্ডা যখন কুংফুতে হাতে খড়ি নিতে যায়- তখন সে শুরু করতে চায় ' জিরো লেভেল ' থেকে। এবং খানিক পর গুরুজী তার দশা দেখে বলেন- "there was no Zero level...but now - there is a zero level"...

_________________________________________

সেরিওজা

নাশতারান এর ছবি

নির্মল আনন্দ পেলাম।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নাশতারান এর ছবি

মেয়েটা তো ভুল বলে নাই। স্নিগ্ধা আপা সিউলি ফুল পেয়ে আসলেই অনেক খুশি হইসে। সোহানের সিউলি সংগ্রাম সফল হল। \:D/

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাবিহ ওমর এর ছবি

সচল ভাই ও বোনেরা, আপনারা দেখতেসি খুবি খ্রাপ মানুষ...
ভাই কামু, আপনার গল্পে আ্যকশন একটু কম পড়ে গেছে। নেক্সট টাইম পোষায় দিয়েন...

ভুতুম এর ছবি

কামরুজ্জামান ভাই, আগের চাইতে অনেকটাই ভালো হয়েছে। এজন্য অভিনন্দন। বই পড়ার অভ্যেসটা বজায় রাখুন, আপনার প্রচেষ্টাও বজায় রাখুন। তবে সাফি ভাইয়ের পরামর্শটাও ভেবে দেখতে পারেন। গল্প লিখতে গেলে আঙ্গিকে নতুনত্ব বা ভাষার গাঁথুনি বা চমৎকার প্লট - এগুলোর উপর দখলদারীত্ব প্রয়োজন। সেটা দীর্ঘ চর্চাতেই আসে - আর সেই চর্চার শুরু হতে পারে রোজনামচা বা সাধারণ ব্লগরব্লগর থেকে। ওটাতে আপনারও চর্চা যেমন হবে, তেমনি অনেক ক্রিটিকাল অ্যানালাইসিসের ঝাঁঝ থেকেও রক্ষা পাবেন। এর পাশাপাশি আপনার ক্রিয়েটিভ রচনাগুলোতে আরেকটু আধুনিক, আরেকটু বাস্তব ভাষা ব্যবহারের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন। কিছু সেকেলে ভাষা চলে এসেছে আপনার লেখায়, যেমন -

সে তাকিয়ে দেখল মেয়েটার বড় বড় মায়াভরা দুটি চোখ, যেখানে আছে দারিদ্যের নির্মম কষাঘাত।

আনন্দে নেচে উঠে, চেয়ার থেকে উঠে ঝুকে গিয়ে মালা গুলি হাতে নিয়ে বলে-"বাহ সুন্দরতো। কার জন্য এনেছেন?"

এবং বানান ভুল ইজ নট হেল্পিং অ্যাট অল।

আপনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া দেখে ভালো লেগেছে বলেই পরামর্শ গুলো দেয়া। আশা করি মাইন্ড করবেন না।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় দলছুট, একটা লেখা তা গল্প হোক আর কবিতাই হোক লেখক নিজেই যখন তার কঠোর পাঠক হয়ে যান তখনই সেটার খামতিগুলো ধরা পড়তে থাকে। আপনি নিজেই নিজের লেখার কঠোর পাঠক হোন, তারপর নির্দয় চোখে তাকে যাচাই করুন। এতে আপনার লেখা ভাল হতে বাধ্য। আপনার লেখায় বানান ভুল দৃষ্টিকটু রকমের। এখন তো বানান ভুল ধরার অনেক সফটওয়্যারও আছে। প্রথম প্রথম সেগুলো ব্যবহার করুন, আর লক্ষ করুন কোন বানানগুলো বেশি ভুল হচ্ছে, বারবার ভুল হচ্ছে। দেখবেন একসময় বানানকে ঠিকই বাগ মানানো যাবে।ক্রমাগত লিখতে থাকুন, আর সেগুলো পড়তে থাকুন। আপনিই বুঝবেন কোনটা পাঠকের পাতে দেয়া যাবে আর কোনটা প্রকাশ করার দরকার নেই। ভালো থাকবেন, লেখা অব্যাহত রাখবেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আমরা অনেক কিছুই করি যার ভাবিষ্যত ভাবি না।

যা লিখেন তা কি বিশ্বাস করেন? করলে তো মনে হয় ঘটনা অন্যরকম হত। আপনার ভুল ধরলে ছেড়াবেড়া হয়ে যাবে। ভাইরে আপনে তো আঞ্চলিক ভাষায় লেখেন না, আপনার বানানের এত খারাপ অবস্থা খারাপ কেন? আসলে আমার মনে হয়, এগুলো বানানের দোষ না, আপনে কথা বলেন যেভাবে সেভাবেই লিখেন। কাজেই সেই বানানগুলোর ব্যাপারে আপনার সেই বোধটা কাজ করে না। খুব বেশি বিরক্ত হয়েছি যেসব স্থানে, সেগুলো বলি, মন্তব্য না আসলে আমার কষ্টটা হয়ত মাঠে মারা যাবে।

'সোহান' শব্দটাই সবচেয়ে বেশি বিরক্তি উৎপাদন করেছে, নামটা ক্লীব লিঙ্গ হয়ে গেছে। সোহানা নাকি সুহান বলতে চেয়েছিলেন? নামের ইচ্ছামত বানান লেখা যায়, একথা বলবেন আমাকে, কিন্তু যখন গল্প লিখছেন তখন কিন্তু আপনার নায়কের নামের ব্যাপারে যত্নবান হবার কথা, ব্লগরব্লগর হলে কোন ব্যাপার ছিল না। আর ২টা চরিত্রই সচলে আছেন, এটা কি কাকতালীয় নাকি উদ্দেশ্যমূলক?

'গুলি' ছিল আরেকটা চরম বিরক্তি, শব্দটা হবে 'গুলো'। বন্দুকের গুলির প্রতি এত টান কেন ঠিক বুঝলাম না। প্রথম লাইনে লিখেছেন "বেড়", হবে বের। বেড় মানে ঘিরে ধরা। তারপর 'মিনেটে' লিখেছেন অথচ সে লাইনের আছে 'মিনিট', এর মানে আপনে একেবারেই যত্নশীল না আপনার লেখার প্রতি, না পড়েই পোস্ট করেন। বানান না জানা এক জিনিস, আর অবহেলা অন্য জিনিস। এলার্ম নারে ভাই অ্যালার্ম হবে। তাছাড়া কোন ক্যাব ভাড়া করার জন্যে উইন্ডো (জানালা লিখলে কি হত?) দিয়ে মাথা গলিয়ে দিল গল্পের নায়ক, ক্যাব-ড্রাইভারকে চুমু খেতে চেয়েছিল নাকি? মাথা কিভাবে ঝুলায় ভাই? মাথা দুলিয়ে সায় দেয় বা না করে বলেই জানতাম। প্রত্যাখান হয়ে? হয় বলেন প্রত্যাখ্যান পেয়ে অথবা প্রত্যাখ্যাত হয়ে, বানান ভুল এবং ভুল ব্যবহার। বানান ভুল ধরলাম না, প্রথম প্যারায় খুব দৃষ্টিকটু ব্যাপারগুলোই শুধু বললাম। আবার এক মহিলা এসে বলবেন যে অতিথি দেখলেই আমি ঘাড়ে চড়ে বসি। আমি নিজেও কিন্তু অতিথি, আর সেজন্যে অতিথি পদটার অপমান হোক, সেটা আমার কাম্য নয়।

এক প্যারা পেরুতে যদি আমাদের সামনে দুর্গম গিরি হাজির করেন, তাহলে চুড়ায় উঠে মেজাজ কেমন হবে? আরেকটু যত্নবান হন ভাই।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মানব সন্তান এর ছবি

কে কারে কি শেখায় ........................ হো হো হো

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হা হা হা, একদম ঠিক। কিন্তু কথা হল, আপনে কি শেখান? সেক্রেটারি, প্রুফ রিডার আরো কত কিছু হবার অ্যাড দিয়ে যাচ্ছেন চিন্তিত
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সবজান্তা এর ছবি

সবগুলি পয়েন্টের সাথে একমত না। প্রথমত নাম তো "যে কোন কিছুই হতে পারে"- এই যুক্তি বাইরেও বলা যায় যে, সোহান মানুষের নাম হতে পারে। যদি স্মৃতিশক্তি প্রতারণা না করে তাহলে বলতে পারি, বাংলাদেশেই সিনেমার একজন পরিচালক/প্রযোজক ছিলেন সোহানুর রহমান সোহান নামে।

আর গুলি/গুলো দুটোই ব্যবহার করা হয়। গুলো চলিততে, গুলি সাধুতে। তবে এটা অতি প্রচলিত ভুল, আমার মনে হয় না এতেও খুব দোষের কিছু আছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই এই ভুল হরহামেশাই করি।

সত্যি কথা যেটা, এই লেখায় আগের লেখার চেয়ে বানান ভুল অনেক-ই কম। তাই বানান ভুল নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার নেই। মূল সমস্যা হচ্ছে লেখার ধরনে। আর এই লেখায় অতিরিক্ত যোগ হয়েছে নাম সিলেকশনে একধরনের হাস্যকর ক্রাইটেরিয়া।


অলমিতি বিস্তারেণ

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

সবজান্তার মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই আমি ভয় পাইসি... আমার কোন লেখাতেই বিশটার বেশী মন্তব্য পাইনা... আর দলছুট ভাইতো এক লেখা দিয়াই সচলের বাঘা বাঘা লেখকদের টনক নড়ায় দিল... মন খারাপ সব বড় বড় ভাইরা এখানে মন্তব্য করছে, আমি এটা মানি না...আমার প্রতি এ অবহেলার বিচার চাই।

---নীল ভূত।

প্রবাসিনী এর ছবি

"বিলম্ব" শব্দটা অনেক দিন পর দেখলাম।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।